জরুরি অবস্থা কি বিগত? আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রে তার দাগ কীভাবে রয়ে গেল। কোন পরিবর্তন তা ঘটিয়ে গেল? কী এর দেশিয় ও বৈশ্বিক অভিঘাত? এটা কি শেষ না শুরু? এসব প্রশ্ন নিয়েই আগামিকাল এই সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হবে। যারা ঢাকায় আছেন, তাদের আমন্ত্রণ।
স্থান: আরসি মজুমদার মিলনায়তন, কলা ভবনের পেছনে লেকচার থিয়েটারের নিচতলা
সময়: ১৫ জানুয়ারি, বৃহষ্পতিবার, বিকেল ৪টা
প্রবন্ধ উত্থাপক: ফারুক ওয়াসিফ
আলোচ...
গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে গতে শুক্রবার ঢাকায় অনেকগুলো সমাবেশ ও মিছিল হয়েছে। কিন্তু মিডিয়ায় এসেছে শুধু বায়তুল মোকাররমের সামনে সমাবেশটাই। কারণ ফিলিস্তিন ইস্যুকে কেবল ইসলামী ইস্যু হিসেবে দেখানো গেলে সুবিধা হয় বলে কি? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাট মিছিল করেছে বাংলার সংষ্কৃতি আন্দোলন। তিরিশ ফুট উঁচু এফিজি পো...
আঠারোটি মাস আমার জনগণ ঘেরাও হয়ে আছে। তারা বন্দী, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কারাগারে। তারা অবরুদ্ধ, স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে। তাদের খাদ্য কেড়ে নেওয়া হয়েছে, কেড়ে নেওয়া হয়েছে চিকিতসার উপায়। খাঁচাবন্দী প্রাণীর মতো তারা ধুঁকছে। বিনাশের এই ধীর কর্মসূচির পর এখন শুরু হয়েছে বোমাবর্ষণ। এই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো কোনো কিছুই আস্ত রাখেনি, সরকারি ভবন থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি, হাসপাত...
অনুবাদ করার সময় পাই নাই। পেলাম, জানানোর চেষ্টা করলাম। সঙ্গে দিলাম ব্রিটেনের গার্ডিয়ানে প্রকাশিত হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান খালেদ মিশালের একটি লেখার লিংক: কোনো বর্বরতাই আমাদের মুক্তির সংকল্পকে দমাতে পারবে না
This report confirms that these attacks are quite deliberately directed against civilians, using new unconventional weapons.
This is a carefully planned humanitarian catastrophe. How can anybody in the right mind support the actions of the Israeli government.
Our objective is to reveal the truth regarding the attacks on Gaza.
Read this i...
অক্ষরগুলো বসাচ্ছি আর ভাবছি, অক্ষরপিছু কতটি মৃত্যু ঘটছে ফিলিস্তিনে, গাজায়? দশ-বিশ-এক শ বা এক হাজারেও কি তা কুলাবে? মাসের পর মাস তারা ভূমিতে বন্দী, পানি ও রুটি থেকে বঞ্চিত আর আকাশ থেকে আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষুধা ও বিনা চিকিতসার মৃত্যুর পর এসেছে বিমান, ট্যাংক ও সৈন্যদের বোমা-গুলিতে মৃত্যু। ৪০ বছর ধরে ফিলিস্তিন ইসরায়েলি দখলদারির অধীন। একাত্তরের নয় মাসের দখলদারির দুঃসহ অভিজ্ঞতাকে ৫০ দিয়...
দয়া করিয়া ডাবল পোস্টানোর খোঁটা দিবেন না। পরিস্থিতি যাহার আর পর নাই তাহার মতোই গুরুতর। আজ যেন আমাদের এর সঙ্গে আমাদের ওর যেন কী ঘটিয়াছে। যা ঘটিলে যাহা হয় তাহাদের ঠিক তাহাই ঘটিয়াছে। তাইতো তাহাদের তাহারা কেউ ব্লগে নাই। ব্লগের পাণ্ডা-গুণ্ডা-ষণ্ডা-মন্ডারা বুঝিবা তাই কোন বনের ধারে নদীর পারে মাতিয়াছে। আমাদের কালা চান আজ ফুটিয়াছেন। বন্ধুরা পারে তো উহাকে কম্বল পালিশ করুক। পর সমাচার এ...
প্রিয় আব্বাজান ! টেকেরঘাট হইতে
তাং- ৩০/৭/৭১
আমার সালাম নিবেন। আশাকরি খোদার কৃপায় ভালই আছেন। বাড়ির সকলের কাছে আমার শ্রেণীমত সালাম ও স্নেহ রইলো। বর্তমানে যুদ্ধে আছি। আলীরাজা, মাহতাব, রওশন, রুনু, ফুলমিয়া, ইব্রাহিম সকলেই একত্রে আছি। দেশের জন্য আমরা সকলেই জান কোরবান করিয়াছি। আমাদের জন্য ও দেশ স্বাধীন হওয়ার জন্য দোয়া করবেন। আমি জী...
না ভোট প্রসঙ্গে এই চুটকিটি মনে পড়লো। এক লোক কুকুরের লেজে একটা পাইপ ঢুকিয়ে বসে আছে। তো লোক যায় পাশ দিয়ে আর হাসে। একজন তো বলেই ফেলে, আরে বোকা ওর লেজ কী আর সোজা হয়! লোকটির উত্তর: না ভাই, আমি লেজ সোজা করতে পাইপ ঢোকাইনি, পাইপ বাঁকা করার জন্যই লেজ ধরে বসে রয়েছি।
বিষয়টা নিয়ে সংক্ষেপে তড়িঘড়ি করে এভাবে ভাবতে চাইছি। দেখা যাক দাঁড়ায় কিনা।
১. পরাশক্তি প্রেরিত আমাদের সিভিকো-মিলিটারি-কর্পোরেট রে...
যুদ্ধের মধ্যে একজন সৈনিকের সামনে চারটি সম্ভাবনা থাকে: অক্ষত অবস্থায় জয়, আহত হওয়া, রণাঙ্গনে মৃত্যুবরণ এবং যুদ্ধবন্দী হওয়া। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন অনিল আথালের ভাগ্যে শেষেরটিই বরাদ্দ ছিল। ১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর ভারতের পাঞ্জাব সীমান্তে নিয়তি পাকিস্তানি সৈনিকের চেহারায় এসে তাঁকেসহ তাঁর ছয় সহযোদ্ধাকে বন্দী করে। পরের কাহিনীতে তাই যুদ্ধের উত্তেজনা আর রোমাঞ্চ নেই। রয়েছে জে...
'বাবা তোমার এই হাত যুদ্ধ করেছে, তোমার চোখ আমার দেশের মাটি গাছ পাখি দেখেছে। বাবা, আমি চোখে দেখি না। তুমি তো দেশ থেকে এসেছ, তুমি বল, আমার দেশ কি এখনও তেমন সবুজ, আমার মাটি কি এখনও তেমন সজল?'' সেই অন্ধ বৃদ্ধ তাঁর সন্তানের জন্য কাঁদেননি, কেঁদেছিলেন তাঁর শত্রুকবলিত দেশের শোকে। ৩৬ বছর পর সেই কথা বলতে বলতে আরেক বৃদ্ধ কর্ণেলের গাল ভেসে যাচ্ছিল অশ্রুরাশিতে। কফিল আহমেদ গেয়েছেন, 'কাঁদলে কী রে ধুল...