এক. এদেশে সব্বাই মন্দ, তেনারা কেবল ভালো, শতাব্দীর আন্ধার জ্বালিয়ে বলেন, দেখ কেমন আলো!
এই হইল ঘটনা এবং এই ঘটনার কোনো মা-বাপ নাই। এনারা আরশ থেকে পড়েছেন বলে সিবিল, বাকি সব হাবিল-কাবিল। আদমের এই দুই পুত্র দুনিয়ায় প্রথম রক্তপাত ঘটিয়েছিল...
আশার সমাধির নাম বাংলাদেশ। অপেক্ষার ডাকনামও এই বাংলাদেশ। আসে আসে করেও কোনো কিছুই এখানে আসে না, কিন্তু অমানিশার মধ্যেও তার আবির্ভাবের সম্ভাবনা ফুটে থাকে ধ্রুবতারার মতো। নাক চেয়ে নরুণ পেলেও আমাদের আশা, একদিন নাক মিলবে। আমরা অপেক...
...তারপরে থাকে শুধু অন্ধকার আর মুখোমুখি বসিবার সচলাধার। বিশ্বের সচলেরা আপাতত ওখানেই থাকেন। মাটিতে তারা র'ন বটে, কিন্তু পাই কই? মাটির দুনিয়ায় কত কী ঘটে, কিন্তু রটে গিয়ে ওই আরশের ভার্চুয়াল মিনার হতে। দিনান্তে সেই আরশের খবর না নিলে ন...
২০ বছর আগে গাঁস্ত রোবের্জ ‘অ্যানাদার সিনেমা ফর
অ্যানাদার সোসাইটি’ নামে বই লিখেছিলেন। ‘নতুন
সিনেমার সন্ধানে’ নামে তা বাংলায় অনুদিতও হয়েছে।
বিশ বছর পর নতুন ইলেকট্রনিক, সাইবারনেটিক,
ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে প্রকাশিত হলো তার নতুন ...
আশা ও সংকল্পের নামে যাকে চিনি তিনি কার্ল মার্কস। কলিকালে তাঁর তেমন প্রচলন নাই। আইয়ামে জাহেলিয়াতে নবীকে মনে হয় খল, খলকে মনে হয় অবতার, আর অবতার হয়া যান কর্পোরেটের ভাড়াটে সং। তাই এই কালে তাঁর নাম নেয়ায় বরকত নাই। তবুও নিতেছি; আজ ৫ মে ত...
সন্ধ্যার দিকে আমরা সেখানে পৌঁছলাম। বাড়িটায় যেতে একটা ডোবা পার হতে হয়। বাড়ি তো না, কয়েকটা টিনের ঘরের গলাগলি করে দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা। ঘরগুলির সামনে একটা পেয়ারা গাছ। পড়ে আসা আলোয় পাতাগুলি কালো দেখায়। তলায় এক মধ্যবয়সী মহিলা মুখে...
মূল লেখার লিংক
১৯১৫ সাল। তুরস্কের আনাতোলিয়া প্রদেশে তখন ফসল পাকার ঋতু। দশবছরের অ্যারাক্সির মনে পড়ে, সেবার ফসলের ক্ষেতে অনেক ঘাসফড়িং নামতে দেখে গ্রামের প্রবীণরা আঁতকে উঠেছিল। তারা জানে এটা অমঙ্গলের চিহ্ন...
লিসনিং টু দা গ্রাসহুপারস টা না খুঁজে পেয়ে বিকল্প হিসাবে এটা দিলাম।
অরূন্ধতি রায়ের ধার ও গভীরতা এই লেখায় পুরোটা নাই, তবে ঝাঁঝটা পাওয়া যায়। তাঁকে চমস্কির সঙ্গে তুলনা করা হয়। কিন্তু চমস্কি সরাসরি-মুখোমুখি কিংবা ব্যক্তি মানুষটাস...
এর মতো প্ররোচনা আর হয় না। এর মতো বেদনাও আর হয় না। ঝরুক ঝরুক তারা চকিতে ঝরুক।
ঈশ্বর
ভক্তরা আকুল হয়ে ডাকছে: ঈশ্বর! ঈশ্বর!
একদিন জবাব এল: কে ডাকে?
ভক্তদের একজন: ঈশ্বর!
সে
অবশেষে সে এল; আমার কবরে।
তুমি
তোমার মুখ আর মনে নেই! তবু প্রতিরা...
'দূরে-কাছে কেবলি নগর, ঘর ভাঙে; গ্রামপতনের শব্দ হয়;' বহু বছর আগে লিখে গিয়েছিলেন এক বাঙালি কব_জীবনানন্দ দাশ। গ্রামপতনের সেই শব্দ এখনো থামেনি, বরং বেড়েছে। একেকটা দুর্যোগ আসে আর গ্রাম আরও ক্ষয়ে যায়। সেই ক্ষয়গ্রস্ত গ্রাম তখন আর তার লো...