বাজেট: শিক্ষানীতিকে উপহাস

গৌতম এর ছবি
লিখেছেন গৌতম (তারিখ: শনি, ০৯/০৬/২০১২ - ২:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত বছর বাজেট বক্তৃতার পর যে প্রতিক্রিয়াটি লিখেছিলাম, সেটি কিছুটা ঠিকঠাক করে এবারও চালিয়ে দেয়া যেত। মাননীয় অর্থমন্ত্রী বরাবরই বাজেট বক্তৃতায় শিক্ষা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও বড় কথা বলেন- এবারও তার ব্যতিক্রম হয় নি। ধারণা করি, আগামীবারও তিনি একই ধারা বজায় রাখবেন। শিক্ষানীতি সংসদে গৃহীত হওয়ার পরবর্তী দুবছর তিনি শিক্ষার জন্য যে বরাদ্দ রাখলেন এবং যেভাবে রাখলেন- তাতে বর্তমান সরকারেরই প্রণীত শিক্ষানীতিকে উপহাস করা ছাড়া শিক্ষাবাজেটে বাড়তি কিছু সংযোজিত হয়েছে বলে মনে হয় না। অর্থমন্ত্রী অবশ্য বাজেট বক্তৃতায় মানব উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষাকেই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে ভেবেছেন এবং এজন্য তিনি এ খাতে ‘সর্বোচ্চ’ বরাদ্দ রেখেছেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন! শিক্ষার কথা বলতে গিয়ে ‘ভিশন ২০২১’ এবং নতুন শিক্ষানীতির কথাও বলতে ভুলেননি তিনি। কিন্তু শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের জন্য যে কাজটি করার কথা, অর্থাৎ যথাযথ বাজেট বরাদ্দ রাখা- সেই মূল প্রসঙ্গে তিনি নীরব থেকেছেন গতবারের মতোই।

শোনা যায়, গত বছর বাজেট বক্তৃতার আগে শিক্ষামন্ত্রী আমাদের অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলেন বাজেট শিক্ষাখাতে এমনভাবে বরাদ্দ দিতে যাতে তা শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে সহায়ক হয়। একবারে যেহেতু হবে না, সুতরাং ধাপে ধাপে বরাদ্দ রাখার অনুরোধ করা হয়েছিল বলে শুনেছি। অর্থমন্ত্রী সেই অনুরোধ রাখেন নি। গতানুগতিক বাজেট উপহার দিয়ে শিক্ষাখাতের সাথে তিনি বরং অন্যান্য খাত জুড়ে দিয়েছিলেন। গতবারের অবস্থা দেখে শিক্ষামন্ত্রী এবার অর্থমন্ত্রীকে একই অনুরোধ করেছিলেন কিনা জানা নেই, কিন্তু অনুভব করতে পারি- এই বাজেট দেখে শিক্ষামন্ত্রী কিছুটা হলেও হতাশ হয়েছেন।

একটি সরকার যখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট কোনো কর্মকাণ্ড বা সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনা শুরু করে, সেটি বাস্তবায়নের দায়দায়িত্বও তাদের ঘাড়েই বর্তায়। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ঢাকঢোল পিটিয়ে শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি গঠন করে এবং কমিটিও সময়মতো তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেয়। এর দ্বারা সরকার দেশে নতুন শিক্ষানীতি এবং শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়নে তারা কতোটা আন্তরিক সেটি হয়তো প্রমাণ করতে চেয়েছিল! কিন্তু সরকারের সেই চেষ্টা প্রথমবারের মতো হোঁচট খায় যখন শিক্ষানীতি সংসদে পাশ করার ক্ষেত্রে তারা এক ধরনের উদাসীনতা প্রদর্শন করে। শিক্ষানীতি প্রণয়নের প্রথম পর্যায়ের যে গতি ছিল, তা আস্তে আস্তে হারিয়ে যেতে থাকে। বর্তমানে এই প্রক্রিয়ায় বিশেষত শিক্ষানীতির সুপারিশ অনুসারে নানা কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মোটামুটি গতিহীন অবস্থা বিরাজ করছে বলে ধরে নেয়া যায়- যদিও সরকার সেটা স্বীকার করবে না।

শিক্ষানীতি গৃহীত হওয়ার পর চারদিক থেকে প্রচুর সমালোচনা আসছিল যে বিপুল পরিবর্তনের এ শিক্ষানীতি রাতারাতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। বিশেষত প্রাথমিক স্তরের পরিধি বৃদ্ধি এবং প্রাকপ্রাথমিক পর্যায় চালু, নতুন অবকাঠামো নির্মাণ ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার যে বিশালতা- তাতে সরকারের পক্ষে স্বল্পসময়ে এই কাজ করা সম্ভব হবে না। সরকারও সেটি স্বীকার করেছিল। বলা হয়েছিল ২০১১ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে এর বাস্তবায়ন শুরু হবে এবং ২০১৮ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া একটি পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছবে। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি সে সময় স্থির কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারে নি- তারা একাধিক প্রক্রিয়ার কথা সরকারের কাছে উল্লেখ করেছিল। শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির একজন সদস্য অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের দুটো মডেল উপস্থাপন করেছিলেন বিভিন্ন সেমিনার-সভায়; তাতে মনে হয়েছিল সরকার ২০১৮ সালের মধ্যেই শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের রোডম্যাপ নিয়ে আগ্রহী।

একটি শিক্ষানীতির সুপারিশ বাস্তবায়নে একাধারে ছয়-সাত বছর ধরে কাজ করার প্রধান কারণটিই ছিল অর্থের অভাব। নতুন শিক্ষানীতি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে গেলে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, সেটি মেটানোর ক্ষমতা সরকারের এককভাবে নেই। তাছাড়া প্রাথমিক শিক্ষার আইন পরিবর্তন, মানুষের মনোভাব বদলানো কিংবা সময়সাপেক্ষ দক্ষ শিক্ষক তৈরির প্রক্রিয়া ইত্যাদি বিষয়ও বিবেচ্য ছিল। কিন্তু গতবছরের বাজেট বক্তৃতার পর এক নিমিষেই মনে হয়েছিল সরকার যতোই গর্জাক না কেন, নিজেদের তৈরি শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে তাদের আগ্রহ নেই, কিংবা থাকলেও তা খুবই কম। এবারের বাজেট থেকে পুরোপুরিই পরিষ্কার যে, বর্তমান সরকার এই শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের পথে যাচ্ছে না। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত তাদের হাতে যে পরিমাণ সময় আছে, সেই সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু করা সম্ভব নয়। আর তারা যে উল্লেখযোগ্য কিছু করতে চায় সেরকম কোনো আলামতও নেই। বাজেটে শিক্ষার অংশটি সেটিকে আবারও পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিল।

এখানে এটিও বলা দরকার যে, একটি শিক্ষানীতি তৈরি করা শিক্ষামন্ত্রী বা তাঁর মন্ত্রণালয়ের একার কাজ নয়- গোটা সরকারের মনোভাব বা দৃষ্টিভঙ্গীরও প্রতিফলন ঘটে এর মাধ্যমে। সুতরাং শিক্ষানীতি প্রণয়নের সময় গোটা সরকার এবং প্রতিটি মন্ত্রণালয় জানতো এটি বাস্তবায়নে তাদের কার কাজ কতোটুকু। এর মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার কথা অর্থ মন্ত্রণালয়ের; কারণ তাদের আর্থিক পরিকল্পনার সাথে শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের যোগসূত্রটি খুবই ঘনিষ্ট। তারাই যখন উদাসীনতা পালন করলো, তখন নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, সরকার শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে আন্তরিক নয়। আগের বছরের বাজেট বক্তৃতার পর শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে জোরালো প্রতিক্রিয়া আশা করেছিলাম- পাই নি। এই লেখা তৈরি করা পর্যন্ত এবারও শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায় নি। সরকারের অংশ বলে হয়তো শিক্ষামন্ত্রী কোনো প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন না, কিংবা তিনি ইতোমধ্যে বুঝে গেছেন এই মেয়াদে সরকার আর শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের দিকে যাবে না। শেষেরটি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি এবং যদি সত্যিই সেটি হয়, তাহলে শিক্ষামন্ত্রীর উচিত হবে দেশবাসীর সামনে পুরো চিত্রটি তুলে ধরা। শিক্ষানীতি নিয়ে দিনের পর দিন কথা বলে তিনি মানুষের মধ্যে এক ধরনের আশা তৈরি করেছিলেন, এখন সেটি বাস্তবায়ন না করা গেলে তা পরিষ্কারভাবে জানানোও তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে নানা কারণে দিন দিন জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে (যদিও গ্যালাপের জরিপ ভিন্ন কথা বলে)। এদেশের মানুষ এখন পর্যন্ত একই দলকে পরপর দুবার ক্ষমতায় বসায় নি। যে কারণে বর্তমান সরকারের প্রণীত এই শিক্ষানীতি আগামীতে ঠিকভাবে বাস্তবায়িত হবে কিনা, সেই শঙ্কা যেমন আছে; তেমনি সরকারও আগামীতে ভোট চাইবার অজুহাতে বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রাখতে পারে, তেমনটি মনে করাও অস্বাভাবিক কিছু না। অথচ এ নিয়ে কোনো প্রশ্নই উঠতো না যদি গতবার ও এবারের বাজেটকে শিক্ষানীতি-বান্ধব হিসেবে উপস্থাপন করা হতো। তাছাড়া শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াটি এতোই বিশাল যে, একবার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলে সেটিকে পরবর্তী সরকার চাইলেও থামানো সম্ভবপর হতো বলে মনে হয় না। এই বিশ্লেষণগুলো সরকারেরও অজানা নেই। সুতরাং তারা যেটা করছে ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তাভাবনা করেই করছে বলে ধরে নেয়া যায়। শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন না করার এই সিদ্ধান্ত সরকার মুখে স্বীকার না করলেও সম্ভবত এখন তা আর কারো কাছে অপরিষ্কার নয়।

কথা সত্য, সরকার গত বছরের চেয়ে এবার শিক্ষাখাতে বেশি বরাদ্দ রেখেছে। কতোটুকু বেশি? প্রতি বছরই বাজেটের আকার বাড়ছে। শিক্ষাখাতেও তাই বাড়ছে। বাড়ছে অন্য খাতগুলোতেও। এই বাড়তিটুকু আসলে বাড়তি কিছু নয়। দিনশেষে যেভাবে চাল-ডাল-তেলের দাম বাড়ে, শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ার বিষয়টি সেই প্রক্রিয়াটুকুরই একটি বাজেটীয় রূপমাত্র! চাইলে কেউ এই শিক্ষাবাজেট থেকেও আশান্বিত হওয়ার মতো উপাদান খুঁজে নিতে পারেন, কিন্তু সার্বিক অর্থে এটি শিক্ষানীতিকে উপহাস করার ছাড়া আর কিছু বলে মনে হচ্ছে না।

গত নির্বাচনের দিন থেকেই জানতাম বিএনপি ও তার মিত্ররা এই বাজেটকে প্রত্যাখ্যান করবে। তারা সেটা করেছে। অর্থনীতিবিদ কিংবা বিশ্লেষকরা বাজেটকে হয় উচ্চাভিলাষী নয়তো নির্বাচনমুখী বলবেন- অনুমান অনুসারে তারা সেগুলো বলেছেন এবং বলছেন। সিপিবি বলেছে, বাজেটে সাম্রাজ্যবাদ নির্ভরতা ও লুটপাটের ধারা বহাল। সবারই নিজ নিজ অবস্থান আছে, সেটিকে কেন্দ্র করে তারা তাদের কথা বলে যাচ্ছেন। কিন্তু এই বাজেটে, বিশেষত শিক্ষায়, সরকার নিজেই যে নিজের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, সেটি সরকারকে কে বলবে? সরকারেরও কি সাহস আছে সেটি স্বীকার করার?

[বাজেটে শুধু শিক্ষার অংশটি পড়তে চাইলে এখান থেকে পড়তে পারেন]


মন্তব্য

সচল জাহিদ এর ছবি

চলুক চলুক চলুক


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

গৌতম এর ছবি

ধন্যবাদ জাহিদ ভাই।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

"শিক্ষায়, সরকার নিজেই যে নিজের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে"

সরকারের যে নিজস্ব অবস্থান সেটাও শিক্ষার বিপক্ষেই শুরু থেকে।শিক্ষানীতি ভাল কাজ কিন্তু সরকার নীতিগতভাবে শিক্ষার পক্ষে তা কি সুস্পষ্ট করে? মনে হয় না।

মাল মুহিতের শুধু শিক্ষাকে উপহাস করা দেখলেন, উনি যে কালোটাকার মালিকদের যুগপৎ ভাবে প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে সহীহ পথে আনার উপায় বাতলে দিলেন, সেটা চোখে পড়লো না।

এদেশের মানুষ শুধু খারাপটাই দেখে, ভালো কিছু দেখেনা চোখ টিপি ।এদের উন্নতি হবে কেমতে!

'অনিশ্চিত'

গৌতম এর ছবি

মাল মুহিতের শুধু শিক্ষাকে উপহাস করা দেখলেন, উনি যে কালোটাকার মালিকদের যুগপৎ ভাবে প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে সহীহ পথে আনার উপায় বাতলে দিলেন, সেটা চোখে পড়লো না।

লিখলে অনেক কিছু নিয়েই লেখা যায়, কিন্তু শিক্ষার বাইরে যেতে চাই নি!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

স্পর্শ এর ছবি

শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াক আর সেই টাকা দিয়ে বেয়াদব শিক্ষকরা গাড়ি বাড়ি করুক! সরকারকে কি আপনি বোকা পেয়েছেন?


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

চলুক


_____________________
Give Her Freedom!

গৌতম এর ছবি

চলুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

সৌরভ কবীর

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

গৌতম এর ছবি

ধন্যবাদ।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

এ হাসনাত এর ছবি

চলুক

গৌতম এর ছবি

ধন্যবাদ।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

কড়িকাঠুরে

গৌতম এর ছবি

‌ধন্যবাদ।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

দ্রোহী এর ছবি

আমাদের কপাল! মন খারাপ

গৌতম এর ছবি

পোড়া না ফাটা?

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

শিক্ষার প্রয়োজন কি? আমাদের দেশের শিক্ষিত লোকেরাইতো দেশটার সর্বনাশ করে ছাড়লো! চলুক

গৌতম এর ছবি

তা অবশ্য বেঠিক না!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।