বর্তমান সরকারের তিন বছর: শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্য-ব্যর্থতা

গৌতম এর ছবি
লিখেছেন গৌতম (তারিখ: শনি, ০৭/০১/২০১২ - ৪:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বর্তমান সরকার তৃতীয় বছর পার করে চতুর্থ বছরে পদার্পণের দিন বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলে নানা বিশ্লেষণ ও মতামত প্রকাশিত হয়েছে। এসব আলোচনা থেকে অন্তত একটি বিষয় পরিষ্কার- সরকার যেসব সেক্টরে সফলতার পরিচয় দিয়েছে, শিক্ষা তার মধ্যে অন্যতম। একটি জাতীয় দৈনিকের দেশব্যাপী পরিচালিত মতামত জরিপ থেকেও একই চিত্র উঠে এসেছে। দেশের মানুষ সরকারের তিন বছরে অনেক কর্মকাণ্ডে বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করলেও কিছু কিছু ক্ষেত্র যেমন- বিদ্যুৎ পরিস্থিতি, শিক্ষা-বিষয়ক কর্মকাণ্ড ইত্যাদিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

বিভিন্ন সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যারা শিক্ষা নিয়ে কাজ করেন বা এ বিষয়ে খোঁজখবর রাখেন, তাদের মধ্যেও বর্তমান সরকারের শিক্ষা-বিষয়ক কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি ইতিবাচক ধারণা গড়ে উঠেছে। সন্দেহ নেই, এজন্য বড় ও মূল কৃতিত্বের দাবিদার শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি তাঁর সাধারণ চালচলন ও কথাবার্তা দ্বারা মানুষের সপ্রশংস দৃষ্টি কেড়েছেন। নানা কর্মকাণ্ড দ্বারা শিক্ষার প্রতি তাঁর আগ্রহ ও একাগ্রতার বিষয়টিও মানুষ উপলব্ধি করতে পেরেছে। ফলে মন্ত্রীপরিষদের সদস্যদের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী জনাব নাহিদের একটি স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন ও প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনও এই কৃতিত্বের অংশীদার। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের শিক্ষা সম্পর্কে কিছু মৌলিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের নেপথ্যে অনেকেই হয়তো নানাভাবে নানা ভূমিকা পালন করেছেন, কিন্তু সামনের সারির নেতৃত্ব হিসেবে কেবল এই তিনজনের নামই এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। কেননা, ব্যর্থতার জন্য জনগণের কাছে জবাবদিহিতার কাজটিও মূলত তাদেরই পালন করতে হবে। বর্তমান সরকারের তিন বছর উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সাড়ম্বরে শিক্ষা নিয়ে তার সরকারে সাফল্যনামা পেশ করেছেন- যদিও অনেক কথা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সব মিলিয়ে শিক্ষা যে সরকারের সাফল্যের তালিকায়, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। তবে সাফল্যের পাশাপাশি এ সময়ে শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতাও কিন্তু কম নয়। সরকারের হাতে যেহেতু আর মাত্র দুটো বছর সময় আছে, সুতরাং সাফল্যের পাশাপাশি ব্যর্থতাগুলোও এ সময়ে আলোচিত হওয়া উচিত।

গত তিন বছরে শিক্ষাক্ষেত্রে সরকার সবচেয়ে বড় যে মৌলিক সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে, সেটি হচ্ছে শিক্ষানীতি। স্বাধীনতার পর প্রায় প্রতিটি সরকারই একটি করে শিক্ষা কমিশন গঠন করেছে, কিছু কাজকর্ম করে সেই কমিশন একট প্রতিবেদনও দাঁড় করিয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকারই একমাত্র শিক্ষা কমিশন প্রতিবেদনকে আলোর মুখ দেখিয়েছে। সংসদে প্রতিবদনটিকে পাশ করিয়ে সেটিকে নীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাধীনতার ৩৮ বছর পর এই কাজটিকে প্রকৃতপক্ষে সাফল্য বলা চলে না, বরং একে ব্যর্থতা ঘুচানোর একটা চেষ্টা হিসেবেই ধরা উচিত। কিন্তু বাংলাদেশে শিক্ষা কমিশন প্রতিবেদন নিয়ে যে প্রহসন চলে আসছিল, যে প্রহসন গত আওয়ামী লীগ সরকারও করেছিল, সেখানে এই কাজটিকে প্রকৃত অর্থেই ব্রেক থ্রু বলা চলে। শিক্ষামন্ত্রীর শুরুর দিকের কথাবার্তা থেকেই মোটামুটি পরিষ্কার ছিল- সরকার শুধু শিক্ষা কমিশনকে প্রতিবেদন তৈরি করতেই বলে নি, এটাকে নীতি হিসেবে ঘোষণা করার মতো প্রস্তুতিও সরকারের ছিল। তবে শিক্ষানীতির এই সাফল্যটি ফিকে হতে শুরু করে পরবর্তী সময় থেকে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি অন্য মন্ত্রণালয়গুলোকেও এজন্য দায়ী করতে হয়। যে শিক্ষানীতি সংসদে গৃহীত হলো, সেটিকে যথাযথ বাস্তবায়ন করতে গেলে অন্তত তিনটি মন্ত্রণালয়কে ঝাঁপিয়ে পড়তে হতো- শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে জনাব নাহিদ বেশ দৌড়ঝাঁপ করলেন প্রথমদিকে, কিন্তু আস্তে আস্তে এ বিষয়ে তাঁর কথাবার্তা কমে যেতে থাকলো। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই মন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার কথা ছিল, কিন্তু তাঁদের প্রচেষ্টা বাইরে থেকে লক্ষ্য করা যায় নি। এই শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন বিরাট পরিমাণ অর্থ ছাড়া সম্ভব নয়। বিরাট পরিমাণ অর্থ বলতে আকাশসম অর্থ নয়, বরং স্বাভাবিক শিক্ষা বাজেটের চেয়ে কিছু বেশি অর্থ বাড়ানোটা সময়ের দাবি ছিল। ইউনেস্কোর হিসাব অনুযায়ী জাতীয় আয়ের অন্তত আট ভাগ শিক্ষাখাতে ন্যায্য বরাদ্দের কথা বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়; সেটা হলেও বর্তমান শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে আর কোনো অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু বর্তমান অর্থমন্ত্রী সেটা না করে বরং উল্টো শিক্ষাখাতে বাজেট কমিয়ে দিলেন সুকৌশলে- শিক্ষার সাথে আরো দুটো বিষয়ের অর্থ বরাদ্দ করে। বাজেটে শিক্ষাখাতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখা হয় বলে রাজনীতিকরা যে প্রচারণা চালান বাজেট বক্তৃতার পর- সেটি মূলত কূটকৌশল ছাড়া আর কিছু নয়। বর্তমান সরকার শিক্ষানীতি তৈরি করে দেশের শিক্ষা সেক্টরে একটি সাফল্যের আবহ তৈরি করেছিল, সেটি আসলে বাস্তবায়নের নিরিখে শেষ পর্যন্ত সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে কিনা সন্দিহান! বাস্তবতা এটাও বলে- বাকি দু’বছরে যতো টাকাই বরাদ্দ করা হোক না কেন, ম্যাজিক দেখানো সম্ভব না।

সরকারের আরেকটি সাফল্য হচ্ছে বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ। বর্তমান সরকার প্রাথমিকের গণ্ডী পেরিয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদেরও পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ করেছে। এ কাজটির জন্যও সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে হয়। পাশাপাশি গত দুবছর যাবত জানুয়ারির প্রথম দিনে সারা দেশে শিশুদের হাতে বই তুলে দেয়ার যে রীতিটি প্রচলন করেছে, সেটি সত্যিকার অর্থেই প্রশংসনীয়। আগে যেখানে নতুন বই পেতে শিশুদের প্রথম দুটো মাস চলে যেত, এখন প্রথম দিন থেকেই বিদ্যালয়ের কাজকর্ম শুরু হয়েছে। এই দুটো মাসে শিশুরা অনেক কিছু শিখতে পারবে, সময়টা কাজে লাগানো যাবে। প্রথম দিনে নতুন বই বিতরণের কাজটি শতভাগ সাফল্যের সাথে সম্পন্ন না করা গেলেও একটি সম্পূর্ণ নতুনধারা তৈরি করে দিয়ে গেলেন বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী। এটি এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, পরবর্তী শিক্ষামন্ত্রীরা এই ধারা চালু রাখতে না পারলে তা তাদের ব্যর্থতা হিসেবেই দেখা হবে। বলা যায়, শিক্ষামন্ত্রী এক্ষেত্রে একটি উদাহরণ সৃষ্টি করলেন। পাশাপাশি বিদ্যালয়গুলো আগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা বা বিজয় দিবস ইত্যাদিতে বন্ধ থাকতো। এসব দিবসে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কোনো যুক্তি নেই, বরং বিদ্যালয়ে নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিশুরা এসব দিবসের মমার্থ উপলব্ধি করতে পারবে- সেরকম কার্যক্রমই গ্রহণ করা উচিত। বর্তমান সরকার সেই কাজটিও করেছে সাফল্যের সঙ্গেই।

বর্তমান সরকারের আমলে প্রাথমিক সমাপনী ও জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষার কাজগুলো সুচারুরূপে সম্পন্ন করার বিষয়টিকে অনেকে সাফল্য হিসেবেই মনে করছেন। কিন্তু সত্যিকার অর্থে এগুলোকে সাফল্য বলা যায় কি? প্রাথমিক ও অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য পাবলিক পরীক্ষার আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা সেটি একটি প্রশ্ন। তাছাড়া দুটো পাবলিক পরীক্ষাতেই যে বিপুল পরিমাণ পাশের হার প্রতি বছর দেখা যাচ্ছে, আমাদের শিশুরা সেই জায়গাটিতে পৌঁছেছে কিনা সেটি আরেক প্রশ্ন। তাত্ত্বিকভাবে আমরা আশা করি যারা পরীক্ষাগুলোতে অংশ নিবে, তারা সবাই পাশ করবে; কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন কথা বলে। সম্ভবত প্রত্যেকেই নিজ নিজ অভিজ্ঞতা থেকে জানি আমাদের বিদ্যালয়গুলো কীভাবে চলে, সেখানে কীভাবে পাঠদান করা হয়। আমাদের শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। পরীক্ষায় অংশ নেয়া প্রায় সব শিশুই যদি উত্তীর্ণ হয়ে যায়, তাহলে গুণগত মানের প্রশ্নগুলো কেন উঠে? সরকার কি শিক্ষার্থীদের অধিকহারে পাশ করিয়ে মানুষকে বুঝাতে চাইছে- তাদের আমলে পাশের হার বেড়েছে? শিক্ষার মান বেড়েছে? অধিক পাশের হারে অবশ্য আরেকটি সুবিধা পাওয়া যায়। পরবর্তীতে সরকারে না আসলে এবং পাশের হার কমলে তারা তখন বলতে পারবে যে, তাদের আমলে পাশের হার বেশি ছিল! মনে রাখা দরকার, পাশের বিপুল হারের পাশাপাশি এসব পাবলিক পরীক্ষায় অংশ না নেয়ার কারণে বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার হারও কিন্তু কমেনি এ সময়ে।

সরকারের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে দেয়া প্রধানমন্ত্রী অবশ্য তাঁর ভাষণে শিক্ষার্থী ভর্তির হার ৯৯ শতাংশেরও বেশি বলে দাবি করেছেন। এই তথ্য তিনি কোথায় পেয়েছেন জানি না। তবে ব্যানবেইজের ওয়েব সাইটের সর্বশেষ ২০০৮ সালের যে তথ্য অনুসারে দেশে নেট ভর্তির হার প্রায় ৯১ শতাংশ এবং গ্রস ভর্তির হার প্রায় ৯৮ শতাংশ। গ্রস ভর্তির হার দিয়ে প্রকৃতপক্ষে সাফল্য দাবি করা যায় না, দাবি করতে হয় নেট ভর্তির হার দিয়ে। ব্যানবেইজ সরকারি প্রতিষ্ঠান, এবং তাদের এই হিসাবও প্রশ্নবিদ্ধ কারণ বেসরকারি জরিপগুলোর ফলাফল থেকে কখনোই এতো উচ্চহার পাওয়া যায় না। তাছাড়া এ সাফল্য শুধু বর্তমান সরকারের কারণেই অর্জিত হয়েছে তাও বলা যাবে না। প্রাথমিক স্তরে ভর্তির হার গত প্রায় ১০ বছর ধরেই এরকম উর্ধ্বমুখী এবং সরকার ভর্তির হার আরো বেশি বাড়ানোর জন্য বিশেষ কোনো উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা যায় না।

নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে বলা ছিল ২০১৪ সালের মধ্যে দেশকে নিরক্ষরতামুক্ত করা হবে। বাংলাদেশ যে গতিতে নিরক্ষরতামুক্ত হওয়ার গাড়িটি চালাচ্ছে, তাতে আওয়ামী লীগের এ টার্গেটকে বাস্তবসম্মত মনে হওয়ার কারণ ঘটে নি কখনোই। আশা করা গিয়েছিল ক্ষমতায় গেলে হয়তো নিরক্ষরতামুক্ত করার জন্য বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে। সেরকম উদ্যোগ দেখা যায় নি। অবশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একবার বলেছিলেন, প্রয়োজনে ছাত্রলীগের কর্মীদের দিয়ে নিরক্ষরতামুক্ত হওয়ার আন্দোলনটি সম্পন্ন করবেন। সরকার এখানে কতোটুকু সফল সেটি বোধহয় আলোচনার দরকার নেই।

ধরে ধরে আলোচনা করলে এরকম সাফল্য বা ব্যর্থতা প্রচুর বের করা সম্ভব। ছোটখাট সাফল্য সব সরকারেরই থাকে। বেশি থাকে ব্যর্থতা। সাফল্য-ব্যর্থতার এই হিসাবে আরেকটি বিষয় যুক্ত হয় সবসময়- সরকারের সদিচ্ছা। সেটিও অনেক সময় আবর্তিত হয় ব্যক্তিবিশেষের কারণে অর্থাৎ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কারণে। শিক্ষা নিয়ে বর্তমান সরকারের সদিচ্ছার বিষয়টি অনেকটাই প্রতিফলিত হচ্ছে শিক্ষামন্ত্রীর ইতিবাচক ইমেজের কারণে। সাফল্য-ব্যর্থতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকারের রুটিন কাজগুলোকে মাথায় রেখে হিসাব করা ভালো। ক্ষমতায় এলে সরকারকে কিছু রুটিন কাজ করতে হয়, সেগুলোকে কি সাফল্য হিসেবে ধরা যায়? সাফল্যের পাল্লাটা ভারী হয় যদি রুটিন কাজের বাইরে সরকার নতুন কোনো উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারে। বর্তমান সরকার সেক্ষেত্রে কতোটুকু সফল- সে হিসাবে আপাতত না যাওয়াই ভালো, কারণ আরো দুটো বছর হাতে রয়েছে। তবে শিক্ষা নিয়ে সরকারের প্রতি জনগণের যে ইতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, সরকারের উচিত হবে তিন বছরের ব্যর্থতাগুলো বিশ্লেষণ করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনগণের এ উপলব্ধিকে সম্মান জানানো। সরকারকে মনে রাখতে হবে- সাফল্য শুধু অর্জনের বিষয় নয়, সেটি ধরে রাখাটাও দক্ষতার পরিচায়ক।


মন্তব্য

সচল জাহিদ এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

চমৎকার আলোচনা।

আরেকটি ইচিবাচক দিক মনে হয় পাঠ্যবইগুলোর অনলাইন সংস্করণ। অবশ্য এটা এই সরকারের আমলে হয়েছ কিনা আমি নিশ্চিত নই।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

গৌতম এর ছবি

পাঠ্যবইগুলোর অনলাইন সংস্করণ অবশ্যই ইতিবাচক দিক। এরকম অনেক ছোটখাট উদ্যেগ সরকারের আছে। তবে এগুলোকে আমি রুটিন কাজ হিসেবেই দেখতে চাই।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

রন্জু এর ছবি

দাদা আমি জানি না আপনারা কেন পাঠ্যবইয়ের এই অনলাইন সংস্করণকে (.ebook.gov.bd) এতো বেশী ইতিবাচক ভাবে দেখেন; যাদের জন্য এটি করা হয়েছে বলা হয় তারাই তো এটি ব্যবহার করতে পারে না। ঢাকার বাইরে এই ওয়েবসাইটটি কাজ করে না। বইগুলো এতো ভারী যে ডাউনলোড করা সম্ভব নয়। আর যে ফরম্যাটে আছে সেটিও অদ্ভুত, আপনার প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠা দেখার জন্য প্রতিটি পাতা উল্টাতে হয়।

গৌতম এর ছবি

পাঠ্যবইকে যে অনলাইনে আনা যায়, এই চিন্তাটিই আমার কাছে ইতিবাচক লেগেছে। তবে এটা অবশ্যই ঠিক- পাঠ্যবইকে যেভাবে অনলাইনে আনা দরকার, টেকনিক্যালি সেভাবে আনা যায় নি। অবকাঠামো সীমাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীরা এখনো এই সুবিধাটি ব্যবহার করতে পারছে না, কিন্তু টেকনিক্যাল সমস্যাগুলো এড়াতে পারলে এবং আস্তে আস্তে সারা দেশের বিদ্যালয়গুলোতে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করলে বিষয়টি শেষ পর্যন্ত ইতিবাচকই হবে।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ফাহিম হাসান এর ছবি

বাংলাদেশের শিক্ষাখাত বহুমুখী জটিলতায় আক্রান্ত, তারপরেও আমার পর্যবেক্ষণ আশাব্যঞ্জক।
শিক্ষামন্ত্রীকে এখন পর্যন্ত বেশ কর্মঠ ও গ্রহণযোগ্য বলে মনে হচ্ছে।

গৌতম এর ছবি

আমার ধারণা, শিক্ষামন্ত্রী অনেক কিছু করতে চান। কিন্তু করতে চাওয়াটা শুধু তাঁর একার উপর ডিপেন্ড করে না। আর সে কারণেই হয়তো তিনি অনেক কিছু করতে পারছে না, শিক্ষানীতির ব্যাপারটাও সম্ভবত তাই।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সাফি এর ছবি

পর্যালোচনা ভাল লাগলো। শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ এবং কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানাই। চারিদিকে এত হতাশা আর ব্যার্থতার খবরের মাঝেও তারা কৃতিত্বের সাথে নিজের কাজ করছেন বলেই মনে হয়।

এবার একটা প্রশ্ন, পোস্টের উপাত্ত অনুসারে বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ৯১%, তার মানে কি প্রথম শ্রেণীতে যাওয়া উচিত এমন শিশুদের ৯১ শতাংশ ভর্তি হয় বাকিরা ভর্তি হয়না? অনেক স্থানে স্বেচ্ছাসেবী মানুষেরা রাত্রিকালীন বিদ্যালয় চালায় সুযোগবঞ্চিত শিশুদের জন্য - তারা কি কোন পরিসংখ্যানের আওতায় পরে? এই ৯১শতাংশ ছাত্রছাত্রীর কত শতাংশ মাধ্যমিকে ভর্তি হয়?

গৌতম এর ছবি

ঠিক ধরেছেন। প্রথম শ্রেণীতে যাওয়া উচিত এমন শিশুদের ৯১ শতাংশ ভর্তি হওয়াটাকে নেট ভর্তির হার বলা হচ্ছে। আর গ্রস ভর্তির হার ৯৮ শতাংশ অর্থাৎ কম বা বেশি বয়সী শিশুদেরকে ধরে এবং আরো যেসব রাত্রিকালীন বিদ্যালয় বা উপানুষ্ঠানিক বিদ্যালয় - সবগুলোকে একত্রে বলা হচ্ছে। এই ৯১ শতাংশের কতোজন মাধ্যমিকে ভর্তি হয়, সেরকম উপাত্ত এই মুহূর্তে হাতের কাছে নেই- খুঁজে বলছি। তবে এটুকু বলা যায় এই ৯১ শতাংশের মাত্র ৫৪ শতাংশ প্রাথমিক শিক্ষার গণ্ডী পেরুতে পারে।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সাফি এর ছবি

ধন্যবাদ গৌতম ভাই ধৈর্য্য ধরে উত্তর দেওয়ার জন্য। সরকারের যে ২০১৪ সালের লক্ষ্যমাত্রা, তা পূরণ হওয়ার কোন তো সম্ভাবনা দেখিনা। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেই গত ২০ বছর ধরে ১০০% শিশু প্রাথমিক শিক্ষা অন্তত শুরু করে, তারপরেও একটা বিরাট জনগোষ্ঠী রয়ে যায় যাদের বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আনা প্রয়োজন। আপনি যেহেতু শিক্ষা সংক্রান্ত লেখালিখি করেন, বয়স্ক শিক্ষা নিয়েও একটু জানতে চাই - সরকারের পলিসি বা বর্তমান কার্যক্রম ইত্যাদি।

গৌতম এর ছবি

বয়স্ক শিক্ষা সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত অবজার্ভেশনটি অনেকের সাথেই মেলে না। বয়স্কদের এখন যে ধরনের শিক্ষা দেয়া হয় বা দেয়ার কথা বলা হয়, সেটির কোনো তাৎপর্য খুঁজে পাই না। যার বয়স ৪০, তিনি এখন অ আ ক খ শিখে কী করবেন? কারো ব্যক্তিগত আগ্রহ থাকলে অন্য কথা, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় শেখার কিছুদিনের মধ্যেই তিনি সবকিছু ভুলে যাচ্ছেন। পড়ালেখা চলমান বিষয়, বয়স্ক শিক্ষার ক্ষেত্রে কিছুদিনের পড়ালেখা সার্বিক অর্থে কোনো কাজে আসে না। বরং তাদেরকে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জীবনযাপন ইত্যাদি নানা বিষয়ে সচেতন করার জন্য প্রয়াস নেয়া যেতে পারে যা তাদের পরিবার ও সমাজের কাজে লাগবে।

বয়স্ক শিক্ষা নিয়ে আলাদা একটি পোস্ট দিব ভাবছি। তখন হয়তো প্রাসঙ্গিক অনেক কিছু আলোচনা করা যাবে।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

তানভীর এর ছবি

চলুক

আবুইল্যাকে নাহিদের কাছে কিছুদিন ইন্টার্নশিপ করতে পাঠানো উচিত।

গৌতম এর ছবি

হা হা হা। দারুণ বলছেন। হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শামীম এর ছবি

ভাল লাগলো। এই লেখা কর্তাব্যক্তিদের মাথা পর্যন্ত গেলেই হয়। তবে খেয়াল রাইখেন, সরকার নিয়ে কিছু বলার আগে আদালতে হাজির হওয়ার কন্ডিশনে থাইকেন, নাইলে কিন্তু আদালত অবমাননার দায়ে ৬ মাসের ফাঁসি হয়ে যেতে পারে।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

গৌতম এর ছবি

ডর দেখান ক্যান?

কর্তাব্যক্তিদের মাথা পর্যন্ত যাওয়ার শক্তি এসব লেখার নেই! লেখা কার কলম থেকে বের হয়- এটাও একটা ইন্ডিকেটর।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

আশালতা এর ছবি

একটু অপ্রাসঙ্গিক হলেও বলি, কদিন আগে একজন টিচারের সাথে আলাপ হল। উনি বললেন, পাবলিক পরীক্ষাগুলোর খাতা চেক করার সময় কোনো প্রশ্নের উত্তর কতটুকু লিখলে সেই ছাত্রকে কি পরিমাণ নাম্বার দিতেই হবে সেই বিষয়ে ওপর মহল থেকেই ওনাদের কাছে লিখিত নির্দেশ আসে। এমনকি তাতে গুণগত মান বিচারের কোন সুযোগও থাকেনা, ছাত্রেরা লিখে পাতা ভরালেই নাকি নাম্বার দিয়ে পাশ করানোর নির্দেশ আছে। সেই নির্দেশ না মানলে শো কজের সামনে পড়তে হয়। তার মানে সরকার পাশের পরিমাণ নিয়েই চিন্তিত, মান নিয়ে নয়। ব্যাপারটা যদি সত্যিই এরকম হয় তাহলে শিক্ষার সাফল্য নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী হবার কিছু আছে কি ?

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ব্যাপারটা সত্যি। এবং এই ঘটনা জিপিয়ে সিস্টেম চালুর পরে আশঙ্কাজনক (গানিতিকভাবে পড়ুন এক্সপোনেনশিয়ালি) বেড়েছে। আমার এক খালা কলেজের শিক্ষিকা, এগুলা ওনার মুখেই শোনা। সাত-আট বছর আগেও যেখানে পাব্লিক পরীক্ষাগুলোতে পাশের হার ৩৫% এর মত থাকত, এখন সেটা ৭৫% এর মত থাকে। মান যে বাড়েনি সেটা বলার জন্যে রকেট সায়েন্টিস্ট হতে হয় না। কথা হল, এই পরিমানগত উন্নতির যে গ্রাফ সেটা কি আমাদের জন্যে ভাল না খারাপ?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

গৌতম এর ছবি

এসব বিষয় নিয়ে পাবলিকলি আসলে অনেক কিছুই বলা সম্ভব না। ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় অনেক ঘটনা বলা সম্ভব যেগুলো শুনলে স্তম্ভিত হয়ে যেতে হবে।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

সেটাই। আপনি যেহেতু এসব নিয়েই কাজ করছেন, আপনি তো আরও অনেক কিছুই জানেন নিশ্চই।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

গৌতম এর ছবি

হুমম। কিন্তু এগুলো বলা যায় না।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

guesr_writer rajkonya এর ছবি

সুন্দর পোস্ট সন্দেহ নেই। কিন্তু শিক্ষার মান কি বাড়ল না কমলো তা নিয়ে কি সরকারের মাথা ব্যথা আছে? জে এস সি, এস এস সি ইত্যাদি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের জন্য শিক্ষকদের যে নির্দেশণা ও সময় দেওয়া হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন চলেই আসে।

গৌতম এর ছবি

সেটাই!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

দ্রোহী এর ছবি

চমৎকার বিশ্লেষণী লেখা!

ঠিক কী যুক্তিতে প্রাথমিক পর্যায়ে পাবলিক পরীক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বুঝিয়ে বলতে পারবেন? কিছুদিন আগ পর্যন্ত আমি জানতাম না যে পঞ্চম শ্রেণীতে পাবলিক পরীক্ষার সিস্টেম চালু করা হয়েছে। ইয়ে, মানে...

কানা বাবা এর ছবি

দেশে আগে ৫ম ও ৮ম শ্রেনীতে দুটো পরীক্ষা হতো - একটি নিজ নিজ বিদ্যালয়ের 'বার্ষিক' পরীক্ষা এবং আরেকটি বোর্ডের 'বৃত্তি' পরীক্ষা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন চলে আসে যে একই সিলেবাসের উপর ১৫ দিনের ব্যবধানে দুটো পরীক্ষা দেবার প্রয়োজনটা কি? এটাতে অনেক সময়, শ্রম, টাকা - সব কিছুই দিগুন লাগতো। তাই দুটোর পরিবর্তে একটি কমন পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে । এতে অনেক সুবিধা আছে, যেমনঃ

১। দুটোর বদলে একটি পরীক্ষা সময়, শ্রম, টাকা বেঁচে যাচ্ছে।
২। ছেলেমেয়েরা বেশি দিন শীতের ছুটি কাটাতে পারছে।
৩। একটা কমন প্ল্যাটফর্মে সব ছাত্রকে বিচার যাচ্ছে।
৪। ৫ম ও ৮ম শ্রেনীতে সার্টিফিকেট দেবার ফলে মেট্রিকে অনাকঙখিত 'ড্রপ আউট' যারা, তারা পরবর্তিতে চাকুরি বা অন্য যে কোন কাজে (যেখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা ৫ম বা ৮ম শ্রেনী চায়) একটি সর্বজন গ্রহনযোগ্য সার্টিফিকেট দিতে পারে। আগে এই সুবিধা ছিলো না; কমিশনার বা ষ্কুলের মাস্টার বা হোমরা-চোমরা কাউকে হাতে পায়ে তেল দিয়ে একটা চিঠি জোগার করতে গিয়ে গলদঘর্ম হতে হতো।

/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।

দ্রোহী এর ছবি

হুমম! এখন পরিষ্কার হলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ। হাসি

গৌতম এর ছবি

কানা বাবা মোটামুটি উত্তরগুলো দিয়ে দিয়েছেন। তবে আরেকটি বিষয় যোগ করা যায়- আগে বৃত্তি পরীক্ষার জন্য বিদ্যালয়গুলো সারা বছর বৃত্তির শিক্ষার্থীদের নিয়েই ব্যস্ত থাকতো। এমনও দেখা গেছে, ক্লাসের ৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে শিক্ষকদের সমস্ত মনোযোগ মাত্র ৫ জন বৃত্তির শিক্ষার্থীর ওপর- বাকিদের ব্যাপারে কারোরই কোনো খেয়াল নেই। এই অবস্থাটা দিন দিন এতো বেড়ে যাচ্ছিল যে, সরকারকে বাধ্য হয়ে বিকল্প চিন্তার ব্যবস্থা নিতে হয়। বর্তমান সমাপনী বা জেএসসি পরীক্ষায় সব শিক্ষার্থীকেই যেহেতু অংশ নিতে হয়, তাই শিক্ষকদের এখন সবার প্রতিই মনোযোগ দিতে হয়। গুটিকতক শিক্ষার্থীর বদলে সব শিক্ষার্থীই এখন সমান মনোযোগ পাচ্ছে।

দেশে যখন প্রথম সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়েছিল তখন এটাকে ওয়েলকাম করেছিলাম এই একটামাত্র পয়েন্ট অব ভিউ থেকে।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

দ্রোহী এর ছবি

আমি বৃত্তির কথাটা চিন্তা করিনি তাই বুঝতে পারছিলাম না পঞ্চম শ্রেণীতে পাবলিক পরীক্ষার প্রয়োজনটা কোথায়। এখন পরিষ্কার করে বুঝতে পেরেছি।

কানাবাবা ও আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

শিক্ষামন্ত্রীর উপর আস্থা রাখা যায়। ভালো মানুষ। স্বজনপ্রীতি করেননা বলে শুনেছি।

গৌতম এর ছবি

কিন্তু একজন ব্যক্তি আর কতোটুকু পরিবর্তন আনতে পারেন? তিনি শিক্ষানীতি নিয়ে অনেক দৌড়ঝাঁপ করলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আঁটকে গেলেন তো অর্থমন্ত্রীর কাছে! তিনি এমপিওভুক্তি নিয়ে সততার সাথে কাজ করলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলের প্রবল বিরোধিতার মুখোমুখি হলেন!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

তবুও একজন একজন করে আরো দুইজন এগিয়ে আসবেন। এখন না হলেও পরিবর্তন হবে, আগামী ১০-১৫ বছরেই বিরাট পরিবর্তন হবে-- এরকম আশা করি।

গৌতম এর ছবি

সেটুকুই এখন আশা পিপিদা।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।