অসমাপ্ত স্বপ্নের জাল-বুনিয়ে

মহাস্থবির জাতক এর ছবি
লিখেছেন মহাস্থবির জাতক (তারিখ: মঙ্গল, ২০/০৪/২০১০ - ৩:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটা স্বপ্ন আছে, একটা ছবি বানাবো।

কাহিনিচিত্র নয়, তথ্যচিত্র। কাহিনিচিত্রও বানানোর যে ইচ্ছে নেই, তা নয়। তবে, একটা কাহিনিচিত্রের পেছনে যে-অর্থসংশ্লেষ, যে-পরিশ্রম, যে-দক্ষতা প্রয়োজন, আমার তা তেমন নেই। এমন নয় যে তথ্যচিত্রে টাকা বা শ্রম বা দক্ষতা লাগে না, কিন্তু, সাধ্যের মধ্যে আপাতত ওটুকু কিছুটা আছে বলেই মনে করছি। তবে, আবারও বিশদ করি, আমি কোন সিনে টেকনিশিয়ান বা এর কাছাকাছি তাত্ত্বিক কোন বিশেষজ্ঞ নই। শুধু ভরসা আছে, পারবো। আপাতত এসব নিয়েই লড়ার ইচ্ছে।

ইচ্ছেটা আজ থেকে নয়, বহু বছর ধরে।

জানি হবে না। তবুও স্বপ্ন দেখি।

আমার ছোট ছবির মর্মবস্তু ছাদ। চারদেয়ালের ওপরে তাকালে যা চোখে পড়ে, সেই ছাদ নয়। চারদেয়ালের ওপাড়ে, দালানের ওপরে মুক্তির আকাশ দেখার বিশাল স্বাধীনতার ছাদ।

ছাদে যান নি কে?

ছাদ পছন্দ করেন না কে?

ছাদের ঘেরা নিরাপত্তায় একটু হাঁপ ছেড়ে বাঁচতে চান নি কে?

ছাদে দাঁড়িয়ে শুধু বিকেলের বাতাসের মৌনমুখরতা নয়, অম্লান আকাশের ঊর্ধ্বমুখিন উদারতা নয়, বরং পাশের ছাদের মানুষী উষ্ণতার অক্লান্ত টান উপভোগ করার অনন্য আনন্দের আশাও কি মনে উড়ুক্কু উন্মাদনা জন্ম দেয় না? তাই, শুধু প্রকৃতি নয়, মানুষও হবে আমার ছবির একান্ত অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ।

আমার ছবিতে ছাদের রূপ পরিবর্তনের নানা চিত্রময়তা ফুটে উঠবে প্রথমত প্রকৃতির হাতে সাজানো রঙে আর ঋতুতে। গ্রীষ্মের প্রখর দাবদগ্ধ ছাদ, বর্ষার নীলাভ বিরহাকুল আবছায়াময় ছাদ, শরতের নির্মেঘ অলসতৃপ্ত আকাশময় ছাদ, হেমন্তের বিষণ্ন তাম্রাভ দ্রুতসন্ধ্যাচ্ছন্ন ছাদ, শীতের হিমাসক্ত গোধূলিহীন ঠান্ডানীরব ছাদ, বসন্তের অশোক বর্ণিল নবপ্রাণময় ছাদ-থাকবে এর সব রূপের আর্তব আভাস।

এমনকি দিনবদলের পালার অভিনয়ও চলবে কুশীলবদের আয়োজনে। সূর্যোদয়ের সময় থেকেই কাটবে আঁধার, ফুটে উঠবে ছাদের চালচিত্র। ভোর ভয়োঁ। আবহসঙ্গীতে থাকবে ভৈরবী বা আহির-ভৈরোঁ কি মালকোষ। কালোর ভেতর থেকে জন্ম নেবে আলোর অমেয় চিরপ্রার্থিত মুখখানা।

এরপর গড়াবে সময়, প্রভাত ঢলবে দুপুরে। তপ্ত ডাহুকের বিরহী স্বরের সুরে ছাদটা যেন আরাম যাচ্ঞা করবে আকুলভাবে। এতেও ঋতুভেদে নানা রঙ দেখানোর, নানা সুর শোনানোর অবকাশ থাকবে।

ক্লান্ত দিন যাত্রা করবে অস্তাচলে। গরমের গোধূলি আকাশে বিকীর্ণ হবে মেঘের অনেক রঙ, আর শীতের হঠাৎ-সাঁঝের নিমেষাগত সংঘটন-এদু'য়ের দ্বান্দ্বিকতায় ছাদ ধারণ করবে অনেক অব্যক্ত অনুভূতি। সন্ধ্যের রাগ কাফি, বা পিলু বা বারোয়াঁয় মুখরিত হোক না ছাদটা।

আর রাত। নবদম্পতি জাগুক না তাদের বিলম্বিত বাসর ছাদে। কানে কানে বা চোখে চোখে স্পর্শসুখের আকুলতা আর কাতরতা বজায় থাক। ছাদ তাদের চারপাশে সান্ত্রী হয়ে থাক। ছাদ তাদের প্রলম্বিত বাসরঘরের বিস্তৃত সুখময়তার সাক্ষী হয়ে থাক, থাক পূর্বরাগের মোহনাঙ্গুলির চিহ্ন রাখার নীরব দর্শক হয়ে। আর ছাদের বাতাসে থাক ইমন বা পূরবী বা খাম্বাজের পরজ বা কড়িকোমলশুদ্ধ স্বরের বিন্যাস।

এতো গেলো প্রকৃতির ক্রীড়াঙ্গনের ক্রীড়নক হিসেবে ছাদের ভূমিকা। কিন্তু, শুধু এ-ই তো আমার আরাধ্য স্বপ্ন নয়, আমায় আবিষ্ট করে শুধু এ-ই তো রাখে না।

আসবে মানুষ। মানুষেরও দিনবদল হয়। হয় রূপবদল।

সেই পরিবর্তনের পালায় চিরদোদুল্যমান মানুষ আসবে। আসবে ছাদে কোমল ফুলোফুলো গালওয়ালা শিশু অন্যকারোর কোলে চড়ে; আসবে ছটফটে বালিকা-বালক, হাতের আইসক্রিম বা লজেন্স চাটতে চাটতে কিংবা ছাদে দলবেঁধে খেলতে; আসবে বয়ঃসন্ধিকালের নওলকিশোরী-কিশোর, যে অল্পেই দুঃখবিলাসী হয়ে পড়ে কিংবা গোপন সুখ আপন মনে আবিষ্কার করে আর কৃপণের ধনের মতো ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখে বারবার; আসবে উদ্ভিন্নযৌবনা তরুণী বা দামাল তরুণ, যে বা যারা চোখে চোখ পড়ার যন্ত্রণা বা তীব্র আবেশের আনন্দ খুঁজে পেয়েছে, আর তাকে চর্চা করছে ফিরে ফিরেই, কারণ তাদের কাছে প্রকৃতির চাইতে মানুষের সৌন্দর্যও কম নয়; আসবে প্রৌঢ়া কি ধূসর প্রৌঢ়েরা, তাদের নিঃসঙ্গতা কম কষ্টকর নয় তাদের অসুখের বেদনার চাইতে, অথবা হয়তো আসবেও না তারা, কারণ বয়েস আর রোগ তাদের সিঁড়ি জয়-করার প্রণোদনায় চমৎকার ভাঁটা ফেলেছে।

কেউ আসবে লুকিয়ে সিগ্রেট খাওয়ার প্রাথমিক অভিজ্ঞতা আবারো ঝালাই করতে, কেউ আসবে লুকিয়ে গল্পবই পড়তে, কেউ আসবে সিঁড়িতে বা ছাদের কোনায় যুগলে গল্প করতে বা ঠোঁটের সেরা প্রথম ব্যবহার করতে, কেউ আসবে লুকিয়ে কান্না করতে, কেউ আসবে শুধুই বিশাল আদিগন্ত উন্মুক্ত আকাশের সাথে নিজের শূন্য জীবন মিলিয়ে নিতে...

এমনিভাবে, হয়তো ছাদের কোন পরিচয় গড়াবে প্রণয়ে, অতঃপর পরিণয়ে বা আমৃত্যু বা আজীবন বিরহে। বিয়েটায় হয়তো ছাদেই বিবাহবাসর তৈরি হবে। কনে লাজুক মুখে ভাববে এই ছাদেই তাদের কাছে-আসার, আলোকিত আশার, আন্দোলিত স্বপ্নের টুকরো টুকরো হাজারো স্মৃতির রঙিন কাচের নকশা, যা ক্যালাইডোস্কোপের ভেতর আরো লাখো লাখো নকশা তৈরি করছে, করেই যাচ্ছে, করেই যাবে ভবিষ্যৎ সঙ্গী করে।

আর, যে বিচ্ছিন্ন হলো, যে চোখের নোনাসাগরে ভাসতে ভাসতে বুকের ভেতর আগামী দিনগুলো নিয়ে হতাশা আর বিগত দিনগুলো নিয়ে হাহাকার জমা করেছে, হয়তো সে-ও ছাদে এসে রোমন্থন করবে তার কষ্টকাতরতাময় স্মরণিকার তথ্যচিত্র, আবারো ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখতে চাইবে তার স্ন্যাপশটগুলো, ক্ষতের ওপরে হাত বুলিয়ে মর্ষকামী সুখ পাওয়ার মতো।

আমার বড়ো ইচ্ছে সেই বয়ঃসন্ধিকালের কিশোরীর চিত্রায়ণ করি যে ছাদে আসে একটু মুক্তির আশায়, একটু স্বাধীনতার লোভে। মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত ঘরের সেই শ্যামলা, সাধারণ মেয়েটা যার জন্যে রবীন্দ্রনাথ হাজারো অনুরোধ করেও শরৎচন্দ্রকে দিয়ে একটা গল্প লেখাতে পারেন নি। পড়ার পাশাপাশি ঘরের হাজারো দৈনন্দিন কাজও যাকে করতে হয়, যে উপন্যাসের পাতায় বা ছোটগল্পের ছায়ায় নিজেকে খুঁজে পায়, যে সমুদ্রের স্বাদ পায় হয়তো চোখের নোনাজলে, যে রাস্তার আর প্রতিবেশের আর ঘরের অজস্র লোলুপ চোখ আর কামুক জিভের হাত থেকে নিজেকে কষ্টে বাঁচিয়ে ছুটে আসে ছাদে। পালিয়ে আসে আকাশের কাছে নিজেকে মেলে ধরবে বলে, বাতাসের কাছে নিজের কষ্ট জানাবে বলে, উড়ন্ত পাখির কাছে বুকের জমানো অব্যক্ত অযুত কথা উজাড় করে দেবে বলে।

কমরেড বা খুবলাল বন্ধুদের কাছে জোড়হস্ত ক্ষমাপ্রার্থনা, আমি তার লড়াই করার বা ফুঁসে-ওঠার ইচ্ছাপূরণের চিত্রকল্প প্রদর্শন করতে পারবো না। আমার মতোই হয়তো সে-ও হবে একটা পরাজিতের জীবনালেখ্যের উদাহরণ। কিন্তু, বর্ষার ডমরুনাদী মেঘে প্রথম ভেজার অস্পৃষ্টপূর্ব পুলক, প্রথম পাওয়া চিঠি ছাদের আবছায়ায় লুকিয়ে পড়ার অদ্বিতীয় উত্তেজনা বা প্রথম যৌন নিগ্রহের অতুল্য অপমানের প্রতিরোধবিহীন, সান্ত্বনালুপ্ত অনুভব কেঁদে হালকা করার বা কল্পরাজ্যের ঈশ্বরের কাছে ফলাফলরিক্ত অনুযোগ জানানোর অপার ক্ষেত্র হিসেবে ছাদের চরিত্রায়ণ করাটাই বোধহয় আমি সাফল্য হিসেবে গণ্য করবো। আর, এক্ষেত্রে মৌসুমী ভৌমিকের ছাদ নিয়ে গানটা বোধহয় অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবেই গণ্য হবে।

ছাদ তো আজকাল স্টেডিয়ামও। খেলার খোলা জায়গার অভাবে ছাদে ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস থেকে শুরু করে ক্রিকেট, ফুটবলও চলে। বিশেষত শীতেই এর প্রকোপ লক্ষণীয়। তবে, নিচের তলার অধিবাসীদের সহযোগিতামূলক মনোভাবও কাম্য। নয়তো, ব্যাপারটা চটাচটি বা মন কষাকষিতেই পর্যবসিত। আশেপাশের ছাদের দর্শকেরাও তালি বা গালি দিয়ে তাদের ক্রীড়ানুরক্তি প্রদর্শন করতে পিছপা হন না। কখনো কখনো ওসব ছাদ থেকেও ভেসে আসবে খেলার খলবলি।

বিত্তভেদে ছাদেরও ঘটে চরিত্রভেদ। বিশুদ্ধ বড়লোকেদের আকাশঝাড়ন ভবনগুলোয় হয়তো থাকে সুইমিংপুল। সেখানে তপ্তকাঞ্চনবর্ণারা অবগাহন বা জললীলা শেষে নিজেদের তীক্ষ্ণবঙ্কিম দেহবিভঙ্গ সূর্যদেবের নির্লজ্জ চোখের সামনে ছেড়ে দিয়ে কুরঙ্গনয়নযুগল ঢেকে রাখেন ব্র্যান্ডেড রোদচশমায়। আশপাশের কোন সুউচ্চ ছাদ থেকে তাঁদের প্রাকৃতিকভাবে প্রদত্ত এবং আর্থিক পরিচর্যায় পুষ্ট তনুবল্লরী উঁকি-মেরে দেখার কেউ থাকে না। আবার বড় বড় দালান-বানিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর উঁচা উঁচা বহুতল ভবনগুলোর বেশিরভাগের ছাদই কমিউনিটি সেন্টার, পাশাপাশি জিম বা অন্যকিছুও থাকতে পারে, স্থানভেদে। উচ্চমধ্যবিত্তদের বা মধ্যবিত্ত অনেকেরই ছাদে ঝুলন্ত উদ্যান, কিছু তো নেবুচাদনেজারকে-ও লজ্জা দিতে পারে। এমনকি গ্রিন হাউজ বা কাচের ঘরও পাওয়া যাবে কোথাও কোথাও। আবার, ছাদে একান্ত কুটিরও দেখেছি। ছনের চাল, বাঁশের দেয়াল, ভেতরে হয়তো ঝুলছে ছোট টব থেকে লতানো মানিপ্ল্যান্ট বা অর্কিডের দুর্লভ ফুল। দেয়ালে দু'চারটা গরমে বসার জন্যে গৃহস্বামিনী/স্বামীর অনবদ্য শিল্পরুচির স্বাক্ষর রইলো আঁকা। আবার লোকশিল্পের পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে কেউ কেউ বাবুই পাখির বাসাও ঝুলিয়েছেন! অর্থগৃধ্নু বা আয়সচেতন কোন দালানাধিপতি ছাদেও চিলেকোঠা তুলে ভাড়া দিয়েছেন। এমনি এক চিলেকোঠার সেপাইকে নিয়ে একজন ইলিয়াস হয়তো আবারও একটা জীবনঘনিষ্ঠ লিরিক বা ছেঁড়া মহাকাব্য লিখবেন। হয়তো ছাদের এমনি অর্থনৈতিক কিছু বিভিন্নতার তন্নিষ্ঠ ছাপও থাকতে পারে, উঠে আসতে পারে আমার না-হওয়া ছবিতে।

আর কী!

এবার শেষের পালা।

নামবে যবনিকা। তবে, তার আগে সমাপ্তিটা হতে হবে মনে-রাখার মতো। শেলিই না বলেছিলেন, "আমাদের বিষাদগীতিগুলোই আমাদের মধুরতম সঙ্গীত"?

তাই, বিষাদাচ্ছন্ন হবে আমার ছবির সমাপ্তি। খেয়াল আছে 'ঘু্ড্ডি' ছবির কথা? তেমনি শেষ হবে ছবিটা মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে। ছাদ থেকে ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে পড়ে দুরন্ত এক কিশোরের মৃত্যু। বিলাপদীর্ণ মায়ের হাহাকার ইথারিত হয়ে মিশে যাবে বিসমিল্লাহর সানাইয়ে বিদায়ের অনুভূতিতে বা বিলায়েতের সেতারে।

অথ মমাসমাপ্ত ছায়াবাণীকথা সমাপনম।

পু: আমার এক বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধু, যার সাথে চলচ্চিত্র সংসদের আন্দোলনে কাটিয়েছি দীর্ঘদিন, প্রদর্শনী আর আলোচনায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, এখন সে দেশের সেরা বিজ্ঞাপন-করিয়েদের মধ্যে অন্যতম। এমনকি প্রথম তিনজনের নাম নিলে তার নামটা আসে বলেও কেউ কেউ বলেন। শুনতে পেয়েছি সে একটা ৩৫ মি.মি. জার্মান এ্যারিফ্লেক্স ক্যামেরা কিনেছে মাত্র এক কোটি আশি লক্ষ টাকায়! আগামী বছর একটা ছবি বানাবে সে। ছবি বানানোর শখ ছিলো তার দীর্ঘদিনের। প্রায়ই সে গল্প করতো একটা ছোট ছবি বানাবে ১১ মিনিটের, চিত্রনাট্যও বোধহয় তৈরি ছিলো। তার স্বপ্ন সাকার হোক।

আর আমার!

আমি স্বপ্ন দেখতে থাকি আমার না-বানানো ছবির, আমৃত্যু, বানানো মানেই তো ফুরিয়ে-যাওয়া।

আমার না-ফুরানো স্বপ্নদর্শন দীর্ঘায়িত হোক।

---মহাস্থবির জাতক---


মন্তব্য

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী [অতিথি] এর ছবি

দারুণ। যাই, ছাদ থেকে একটু বেড়িয়ে আসি।

একদিন নিশ্চয়ই আপনার তৈরী ছবি দেখব... চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

আসুন। তবে, ছবিটা বোধহয় কখনোই তৈরি হবে না।

---মহাস্থবির---

তিথীডোর এর ছবি

পড়তে শুরু করতেই মনে হচ্ছিলো লেখককে চিনতে পারছি বোধহয়... খাইছে

ছাদ আমার ভীষণ প্রিয় জায়গা,
সকাল -সন্ধ্যে অন্তত ঘন্টা দুয়েক সময় কাটাই!!
http://www.sachalayatan.com/tithydor/29713
আর একলা ছাদে দাঁড়ালেই মনে পড়ে --- "ছাদের মাথায় আকাশ দাঁড়িয়ে../
আকাশের গায়ে কতো, কতো রঙ....!!!"

গুরু গুরু চমৎকার লেখা ,
না-ফুরানো স্বপ্নদর্শন সত্যি হোক!

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

মা কসম, আপনার পাশের ছাদে আমি কখনোই দাঁড়াই নি।

একলা ছাদে দাঁড়াবেন না। মা-বাবার বা ছোট ভাই-বোনকে নিয়ে দাঁড়াবেন।

স্বপ্নই ভালো। বাস্তব খুবই খ্রাপ।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

---মহাস্থবির---

স্পর্শ এর ছবি

দারুণ লিখেছেন মহাস্থবির! চলুক
আরেকজন শক্তিমান লেখক পেলাম। ভালো লাগছে। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

এই মন্তব্য তো না পড়েই করা যায় দাদা।

আর, শক্তিশালী যে নই, তার প্রমাণ মন্তব্য সংখ্যা। মন খারাপ(((

---মহাস্থবির---

অতিথি লেখক এর ছবি

ছাদ একটা নির্জীব বস্তু মাত্র, তবু তাকে ভিত্তি করে নানা ভাবের বর্ণালী - ভাল বিবরণ দিয়েছেন আপনি। আর আপনার তথ্যচিত্র বানাবার স্বপ্ন একদিন সত্যি হতেই পারে, এ লাইনে লেগে থেকে দেখুনই না!

কৌস্তুভ

এপিটাফের কবি [অতিথি] এর ছবি

বিশ্বাস করতে সাধ জাগে, অন্তরে তীব্র তিয়াস জাগিয়ে রাখে যেসব স্বপ্ন, একদিন তারা অবশ্যই বিমূর্ততার জঠর ছিঁড়ে মূর্ত রূপ পেয়ে ভুমিষ্ঠ হবে এ পৃথিবীতে... প্রার্থনা করি, আমার এ সাধ যেন মিটে আপনার জীবনের ক্ষেত্রে...

গ্রেট কিশোরইয়োসো [অতিথি] এর ছবি

দাদা, আমার মনেও একটা ছবি বানানোর স্বপ্ন ঝিমুচ্ছিল কিন্তু আপনার লেখাটা পড়ার পর তা এখন নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে । মনে হচ্ছে, আমার স্বপ্নটাকে অমলকান্তির রোদ্দুর হওয়ার স্বপ্ন ছাড়া কিছুই বলা যায় না কেননা এতো গভীরভাবে সূক্ষ বিষয়গুলো নিয়ে কখনও চিন্তা করি নি । বুঝলাম, গ্রেট কিশোরইয়োসোর গ্রেটনেসের দৌঁড় আবছায়া স্বপ্ন দেখা পর্যন্তই ! উপলব্ধি করলাম, আপনার মতো স্বপ্ন কবিতার প্রতিটি পংক্তি ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখি নি কখনও; কেবল বইখানা হাতে ধরেছি । দাদা, আপনার হাতে তো পরশ পাথর আছে । ইউ আর গ্রেটার দ্যান দ্যা গ্রেটেস্ট !

একটা প্রশ্ন, আপনি কি গান শিখেছেন নাকি বা সংগীতের উপর লেখাপড়া করেছেন?

অতিথি লেখক এর ছবি

এগিয়ে যান দাদা... আর আপনার ছবিতে আমাকে একটা পার্ট দিয়েন কিন্তু চোখ টিপি

আপনার স্বপ্ন পূর্ণ হোক এই প্রত্যাশাই করি । আর এতো হতাশামাখা কথাবার্তা লিখেন কেন ? জোরসে বলে ওঠেন, আমার স্বপ্ন অবশ্যই সত্যি হবে ! স্থবিরতা কাটিয়ে গা ঝাড়া দিয়ে দেখুনই না !

অতিথি লেখক এর ছবি

এগিয়ে যান দাদা... আর আপনার ছবিতে আমাকে একটা পার্ট দিয়েন কিন্তু চোখ টিপি

আপনার স্বপ্ন পূর্ণ হোক এই প্রত্যাশাই করি । আর এতো হতাশামাখা কথাবার্তা লিখেন কেন ? জোরসে বলে ওঠেন, আমার স্বপ্ন অবশ্যই সত্যি হবে ! স্থবিরতা কাটিয়ে গা ঝাড়া দিয়ে দেখুনই না !

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।