হায় আশরাফুল!!!

সুবোধ অবোধ এর ছবি
লিখেছেন সুবোধ অবোধ (তারিখ: রবি, ০২/০৬/২০১৩ - ১২:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অ্যাশ (আশরাফুল) এর ভক্ত আমি সেই ছোট বেলা থেকে। ইন্ডিয়ান এজ লেভেলের ক্রিকেট টিম বাংলাদেশে এসেছিল কোনো একটা সিরিজ খেলতে, আমার ঠিক মনে নেই। এতদিন আগের কথা আর ছিলামও যথেষ্ট ছোট। অ্যাশ এর বয়স তখন ১৪ কি ১৫ বছর। ওই সিরিজেই প্রথম অ্যাশ এর ব্যাটিং দেখা। যতদুর মনে পরে ৭৪ রান করে আউট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, সেই যে চোখে লেগে গেল তার অসাধারণ ব্যাটিং তা একেবারে চোখ দিয়ে ঢুকে মনে গিয়ে যায়গা করে নিল! প্রশ্ন আসতেই পারে, ওই বয়সে ব্যাটিং এর কি বুঝি? উত্তর হচ্ছে এখনকার চেয়ে তখনই বোধহয় ভালো বুঝতাম!! ৫০ ওভারের খেলাও পুরোটা বসে বসে দেখতাম। পারলে এক বলেও মিস্ করতাম না! আশরাফুল এর তার পর জাতীয় দলে ডাক পাওয়া এবং খর্বাকৃতির এই ছেলেটির ইতিহাস সৃষ্টির কাহিনী মোটামুটি সবারই জানা।

ফিজিওথেরাপি তে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর কাজ করার সুযোগ পাই বি সি বি তে। আর প্রোফেশনের সুবাদে খুব কাছ থেকে দেখার এবং মেশার সুযোগ হয় ছোট বেলার সেই ক্রিকেট হিরোর সাথে। অবশ্য ততদিনে অ্যাশ আর আগের সেই নায়ক নেই বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমিদের কাছে। আশরাফুল তখন অনেকটাই পরিত্যাক্ত জাতীয় দল থেকে। খুব কাছ থেকে দেখে আমার যে কথা মনে হয়েছে - অসাধারণ বিনয়ী, সদালাপী, ফুর্তিবাজ এবং সরল। একসাথে একই টিমে ঘরোয়া লীগের বেশ বড়সড় একটা ট্যুর ও করেছি। আমি গিটার বাজাই শুনে অনেক অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন - "তাই নাকি?!! আপনার গিটার কই?"
সাধারণত আমি খেলার ট্যুরে থাকাকালীন সময় গিটার নেই না সারাদিন মাঠে প্লাস ট্রিটমেন্ট করা নিয়েই অনেক ব্যাস্ত থাকতে হয় বলে।
কিন্তু উনি সেটা শুনবেন না। উনি বললেন – “আপনি গিটার নিয়ে আসেন। মেহরাবও (মেহরাব জুনিয়র) অনেক ভাল গিটার বাজায়। একসাথে গান বাজনা হবে।”
তারপর মাঠের প্র্যাকটিস বা খেলা শেষে রাতে মাঝে মাঝেই হোটেল লবী বা রুমে চলত আমাদের আড্ডা,গান বাজনা। এরকম একজন সুপারস্টার,অথচ কখনো সামান্য অহংকারের চিহ্নও দেখি নি তার মধ্যে। রাস্তায় চলতে গেলে উনার ভক্তরা উনাকে ঘিরে ধরতো। খারাপ ব্যাবহার করতেন না কারো সাথেই। একদিনের একটা ঘটনা বলি-

সিলেট থেকে খেলা শেষ করে ফিরছি ঢাকার উদ্দেশ্যে। গ্রিনলাইন স্ক্যানিয়াতে করে সিলেট থেকে কিছুদূর আসার পরই গাড়ী নষ্ট হয়ে গেল। সন্ধ্যা পার হয়েছে এক কি দেড় ঘন্টা হয়েছে। রাস্তার পাশে বেশ কিছু দোকান দেখে ওখানে গাড়ী থামানো হল। আমরা সবাই নামলাম গাড়ি থেকে। আমি একটা হোটেল দেখে খেতে ঢুকলাম। খেয়ে এসে দেখি গাড়ির চারপাশে ভিড়! সবাই বলাবলি করছে-“গাড়ীতে নাকি আশরাফুল আছে?”

এমনই ভিড় যে আমরা যারা গাড়ী থেকে নেমেছিলাম তারাই উঠতে পারছিলাম না। কোনমতে উঠে দড়জা বন্ধ করে দিলাম। কিন্তু পারলে যেন দড়জা ভেঙ্গে ফেলে লোকজন! একটাই দাবী আশরাফুলের সাথে দেখা করতে চায়!! কিছুক্ষণ পর দড়জা খুলে একজন একজন করে ঢুকে দেখা করার অনুমতি দেয়া হল- একেকজন এসে হ্যান্ডশেক করে চলে যায় তারপর আরেকজন আসে। আমার সিট অ্যাশের পাশে। বসে বসে মজা দেখছি আমি ও অন্য প্লেয়ার রা এবং হাসাহাসি করছি বিভিন্ন জনের কান্ড দেখে। একটা ছেলেএসে ঢুকলো,প্রচন্ড হাপাচ্ছে! দেখে অ্যাশ জিজ্ঞেস করলো-“হাপাচ্ছেন কেন?!” হাপাতে হাপাতেই ছেলেটি বললো- “আমার বাড়ি নদীর ওইপারে,প্রায় ২৫/৩০ মিনিটের পথ।আপনে এইখানে আছেন শুইনা দৌড়ায়া আসছি,রিক্সা ছিল না!!”
অ্যাশ তার হাতে নিজের কাছে থাকা পানির বোতলটি দিয়ে বললো –“নেন,পানি খান।”
ছেলেটি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে কি করবে বুঝতে পারছিল না। তারপর আমরা সবাই অভয় দেওয়াতে পানি নিল। এমন আসা যাওয়া চলছে। কিছুক্ষণ পর একজন বয়স্ক লোক ঢুকলেন। ৫৫ কি ৬০ বছরের মত বয়স। উনি ঢুকে আশরাফুলের ভাই এর হাত ধরে বললেন-“বাবা,আপনারে দেইখা যে কি শান্তি লাগতাছে কি বুঝামু!! এই যে আপনারে দেখলাম,হাত মিলাইলাম,এখন মইরা গেলেও কোনো আফসোস থাকব না!!” এই কথা শুনে অ্যাশ কি বলবে কিছু বুঝতে না পেরে চুপচাপ বসে রইল,আর আমরা বাকিরা একেক অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে লাগলাম!!

একজন ‘ফলেন স্টারে’রও যে এমন ভক্ত থাকতে পারে আমি না দেখলে কখনই বিশ্বাস করতাম না। একটা সময় ছিল আমি বাংলাদেশের খেলাই দেখতাম শুধু উনার ব্যাটিং দেখার জন্য। দুঃখের বিষয় সেই ট্যুর টাতে একটা ম্যাচও উনি ভালো খেলতে পারেন নি। উনার আউট হওয়া দেখেই আমার যেটা মনে হত তা হচ্ছে উনি উইকেটে গিয়ে শট খেলার ব্যাপারে ডবল মাইন্ডেড থাকেন। যেখানে হিসাব টা ফ্র্যাকশন অব সেকন্ডের সেখানে এটা অনেক ভয়ানক একটা সমস্যা! সুযোগ খুজছিলাম কবে এই অস্যস্তিকর ব্যাপার নিয়ে উনার সাথে আলোচনা করা যায়। পেয়েও গেলাম একদিন-

প্র্যাকটিসে ইনজুর্‌ড হওয়ায় এবং মোটামুটি খারাপ ভাবে কেঁটে যাওয়ায় উনাকে নিয়ে যাচ্ছিলাম এপোলো হাসপাতালে। উনার গাড়ীতে যেতে যেতেই উনাকে প্রশ্নটা করলাম। উনি খুব সহজ ভাবেই স্বীকার করলেন। আসলেই তাই। সাথে বললেন-“কনফিডেন্স নষ্ট হয়ে গেছে।” আমি বিভিন্নভাবে মোটিভেট করার চেষ্টা করলাম। কিই বা বলার আছে উনাকে? যাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রত্যেকটা কোচ,বিভিন্ন স্পোর্টস সাইকিয়াট্রিস্ট চেষ্টা করেছেন বারবার,তাকে আমার মত সদ্যই ক্যারিয়ার শুরু করা একজন ফিজিওথেরাপিস্ট কতটুকু আর সাহায্য করতে পারে?? উনি বললেন –“ সবই তো বুঝি,তারপরও কেমন যেন ভিতরে ভয় ঢুকে গেছে। সবাই এত এক্সপেক্ট করে আমাকে নিয়ে,কিছুই তো দিতে পারলাম না!”

কয়েকদিন আগে যখন স্পট ফিক্সিং নিয়ে উনার সম্পৃক্ততার ব্যাপার নিয়ে খবর ছাপা হল,প্রথমে বিশ্বাসই হয় নি!! উনি নিজের মুখে স্বীকার না করলে হয়ত বিশ্বাস করতামই না। তবে একটা ব্যাপার খুব অবাক করা যে উনি ‘আকসু’ এর মুখোমুখি হওয়ার আগে বি সি বি থেকে উনাকে কোন ব্রিফ না দেওয়া। আমার যতদূর মনে পরে ম্যাচ ফিক্সিং এর দায়ে একবার শেইন ওয়ার্ন এবং মার্ক ওয়াহ এই দুজনও অভিযুক্ত হয়েছিলেন! কিন্তু তাদের ক্রিকেট বোর্ড তাদের প্রচন্ড ভাবে সাপোর্ট দিয়েছিল শুধু মাত্র এই কারণে যে তারা নিজেরা স্বীকার করেছে এবং তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ব্যাপারটা তারা অনেকটা না বুঝেই করেছে!! আমি সেটা বলবো না যে আশরাফুলকেও এভাবে ক্ষমা করে দিতে হবে,কিন্তু আমার কথা হচ্ছে নিজেকে বাঁচাবার জন্য উনি যেন কোন গল্প না ফেদে বসেন সেদিকটাও কি একটু নজর দেওয়া উচিৎ ছিল না বিসিবি’র?

অনেকেই ভাবতে পারেন যে আমি হয়ত ব্যাক্তিগত ভালোলাগার কারণে অ্যাশের হয়ে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করছি। আসলে ব্যাপারটা তা না। অপরাধ যদি উনি আসলেই করে থাকেন তাহলে উনাকে শাস্তি পেতেই হবে এবং পাওয়া উচিৎ। কিন্তু উৎপল শুভ্র যে রিপোর্ট টা করেছেন সেটা উনি কোথায় পেয়েছেন। উনি উনার লেখার এক যায়গায় বলেছেন যে ‘আকসু’কোন রিপোর্ট না দিয়েই চলে গেছে,কয়েকদিন পর জানাবে। আরেক যায়গায় লিখেছেন যে ‘আকসু’ নিষেধ করায় আশরাফুলও আপাতত মুখ খুলছেন না। তাহলে উনি এই সব ইতিহাস পেলেন কোথায়??!! ঠিক তার পর দিনই ডেইলি স্টার ‘আকসু’ এর একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে যে রিপোর্ট টি করেছে তাতে তো উৎপল শুভ্রের ওই সব গাল গপ্পো নেই!! সেখানে তো শুধু বি পি এল চলাকালিন সময়ে ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের খেলার ব্যাপারে বলা হয়েছে।

সব শেষে বলি, সবাই লিওনেল মেসি বা শচীন টেন্ডুলকার না যে সব কিছুতেই বিতর্কের উর্ধে থাকবেন। ফুটবলে ম্যারাডোনা,রোনালদিনহো,রোনাল্ডো এবং ক্রিকেটে রেকর্ডের বরপুত্র ব্রায়ান লারাও বিভিন্ন সময়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন বিভিন্ন বিতর্কিত ঘটনার শিরোনাম হয়ে। কিন্তু কেউই তার নিজের প্রোফেশন এবং প্যাশন কে বিতর্কিত করেন নি আমার যতদূর মনে পরে। যে পেশা নিজের অন্ন যোগায়,খ্যাতির শিখরে তোলে তাকে কিভাবে কলঙ্কিত করে সে নিজেই?!!

***************
সুবোধ অবোধ
******************
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

উৎপল শুভ্রের গালগল্প তো নতুন না সে তো সবসময় মনের মাধুরী মিশিয়ে লেখে।।।।।। তবে ঘটনাটা পড়ে শকড, বিশেষত পাইলট আর রাফিক এর নাম দেখে।

অতিথি লেখক এর ছবি

'আকসু' কোন রিপোর্ট প্রকাশ করে নাই। আর উৎপল শুভ্রের আশরাফুল প্রীতি নতুন কিছু না। সে আশরাফুল কে আজীবনই ব্যাকাপ দিয়েছে। জানি না ২০০৪ সাল বা অন্যান্য ঘটনা গুলো সত্যি কি না!! যদি না হয় তবে আমার তো মনে হয় অ্যাশ কে এইসব গালগপ্পো বলার কুবুদ্ধিও ওই উৎপাত শুভ্ররই দেয়া!!! রফিক ভাই এর সাথেও কাজ করেছি একসাথে একই টিম এ। আমার কোনমতেই বিশ্বাস হয় না যে উনি এসব করেছেন। উনি নিজে স্বীকার না করলে বিশ্বাস করব না!

************
সুবোধ অবোধ
**************
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

কয়দিন অপেক্ষা করি, রিপোর্ট সত্যি হলে কি আর করা? শাস্তি হওয়া উচিৎ, অবশ্যই। আর না হলে "নীতি ও আদর্শের সাথে অসঙ্গতিপুর্ণ রিপোর্টটি অনলাইন ভার্সন থেকে প্রত্যাহার করা হবে" ... সহজ সমাধান দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

বড় ধরণের কোন ডলা খাইলে মতি সাব গিয়া কারো পা ধইরা মাপ চাইবো,আর উৎপাত শুভ্র বহিষ্কার হইবো!!! পুরাতন কিচ্ছা!!!
সেটাও বড় কথা না। কথা হল- ধরে নিলাম ঘটনা সত্যি। তাই বলে এটা নিশ্চই দেশের জন্য এমন কোন সুখের সংবাদ না যে প্রথম পাতার অর্ধেক লাল কালির শিরোনামে রিপোর্ট করতে হবে!!!!
'চ' গোত্রিয় বেনিয়ারা ব্যাবসা ছাড়া কিছুই বোঝে না!!

*************
সুবোধ অবোধ
*************
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!

রাত-প্রহরী এর ছবি

আপনার মত আমারও হিরো আশরাফুল। আমার দুই ছেলে সাকিব এর ভক্ত। আমি সাকিবকেও পছন্দ করি। কিন্তু আশরাফুল আমার কাছে হিরো। হবে নাইবা কেন? বাংলাদেশের অনেকগুলো মন ভরিয়ে দেয়া জয়ের প্রত্যক্ষ নায়ক ছিলেন আশরাফুল। গেলো বিপিএল এর একটি ম্যাচে আশরাফুল এর সেঞ্চুরী হলে আমি ছেলেদের সামনে গলা ফাটালাম আমার হিরোর পক্ষ নিয়ে। ছেলেরাও মুখ চুন করে মেনে নিলো বিষয়টা। কিন্তু শুক্রবার থেকে আমার সামনে ছেলেরা বারবার 'প্রথম আলো' পড়ছে, পুরোনো পত্রিকাই বারবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখছে। আমার সামনে কিছু বলছেনা। আমার মতো বীরপুজারী'র কথাটাও একবার ভাবলোনা অ্যাশ?

অতিথি লেখক এর ছবি

মন খারাপ
কিছুই বলার নাই!!

**************
সুবোধ অবোধ
**************
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!

সাইদ এর ছবি

একটা জিনিস বুঝলাম না। বিপিএল-এ এইসব ঘটনা ঘটছে, কিন্তু এর মধ্যে ২০০৪ এর বাংলাদেশ ভারত ম্যাচ কে চান্দের আলু নিয়া আসল কেন। চান্দের আলু একটা ক্যান্সার। আর এই উৎপাত শুভ্র একটা ভাইরাস

অতিথি লেখক এর ছবি

সুজন ভাই কে আমি যতদূর চিনি,প্রচন্ড এথিক্স মেইন্টেইন করে চলেন। প্রায় সব ক্রিকেট প্লেয়ারই বিপদে পড়লে উনার কাছে সমাধান খুঁজেন। উনিও হেল্প করেন সবাইকেই সাধ্য মত। গত পরশুর রিপোর্টের সাফাই গেয়ে শুভ্র সাহেব গতকাল অনেক ইনিয়ে বিনিয়ে নাকি কান্না কেঁদেছেন। সেটা কথা না। ব্যাপার হল যদি ওইসব ঘটনা সত্যিও হয় তারপরও 'আকসু' এর রিপোর্ট প্রকাশের আগেই কিভাবে সে এমন একটা রিপোর্ট করে??!! এতই যদি উনাদের বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা তাহলে পারসোনার ঘটনার সময় তাদের সততা কই ছিল?!!

***************
সুবোধ অবোধ
***************
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!

সুলতান এর ছবি

হট টপিক, পেপারের কাটতি, আলোচনায় থাকা এই ব্যাপারগুলোর কাছে অন্য সবকিছু তুচ্ছ। দুয়া করি যেন উৎপলের রিপোর্ট মিথ্যা হয়। তারপর ওরে দেখব, পেপার দিয়ে বাঁশ বানিয়ে ওকে টাঙ্গিয়ে রাখা হবে।

সুলতান এর ছবি

ভাই, আশরাফুলকে নিয়ে নিজের কাছের বন্ধুদের সাথে মারামারি অবস্থা। একটা সময় ছিল যখন আশরাফুলের ব্যাট হাসলেই বাংলাদেশ জিততো। বাংলাদেশের এই অবস্থানের পেছনে আশরাফুলের সেই অবদান আমি ভুলে যেতে পারি না। তাই সে খারাপ খেলুক ভালো খেলুক আমি তাকে জাতীয় দলে দেখতে চাইতাম। যখন ও বাদ পড়ে, ক্লাব ক্রিকেটে ভালো খেলে আবার দলে ঢোকে। ক্লাব ক্রিকেটে তুলনামুলকভাবে বেশ ভালো পারফর্ম করে ও। শেষ সফরে ও অনেক টাকার অফার ফেলে জাতীয় দলের ম্যাচ খেলতে গেছে, সে কিভাবে এই সামান্য টাকার জন্য এইটা করতে পারে এইটা মাথায় আসে না, তাই আমি এখনো বিশ্বাস করি নাই।

অবশেষে এই কামনা, উৎপলের রিপোর্ট যেন মিথ্যা প্রমানিত হয় এবং আশরাফুল তার আগের সম্মান ফিরে পাক।

অতিথি লেখক এর ছবি

আশায় আছি যেন ডেইলি স্টারের রিপোর্ট টা সত্যি হয়। তারপর দেখা যাবে আলু পত্রিকা কি বলে!!!

***************
সুবোধ অবোধ
*****************
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আশরাফুলের ব্যাটিং এক সময় খুব ভালো লাগত। আবার পরবর্তীতে প্রচুর গালিও দিয়েছি খারাপ খেলার কারণে, হাসাহাসি করেছি, তাচ্ছিল্য করেছি পাবলিক ফোরামে। হয়ত ভেতরে প্রত্যাশা ছিল এবং সেটা পূরণ করতে পারেনি জন্যই এমনটা করেছি, তীব্র অপছন্দ বা ঘৃণা থেকে না।

এই খবরটা আমি আসলে এখনও হজম করে উঠতে পারিনি। সেভাবে ফলোও করিনি ইচ্ছা করেই। তাই এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে পারছি না। আপনার লেখা বা স্মৃতিচারণ ভালো লাগল। আশরাফুল মাঠে গোল্লা মারলেও বেশ নরমসরম বোকাসোকা ভালো মানুষই মনে হতো/হয় ওকে।

দেখা যাক কোথাকার পানি কোথায় গিয়ে গড়ায়...

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ।
আমার মনে হয় উনাকে যারা গালি গালাজ করেছেন তাদের প্রায় সবাই উনার এক সময়ের প্রচন্ড রকমের ফ্যান ছিলেন। গালি যেমন দিত আবার তেমন সবাই আশাও করত যেন আগের সেই আশরাফুল ফিরে আসে। আমার কাছে উনাকে ভাল মানুষ বলেই মনে হয়েছে সব সময়। তবে ক্ষনিকের মারাত্মক কোন ভুল মানুষ কে ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট!!

************
সুবোধ অবোধ
************
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!

স্বপ্নহীন এর ছবি

চিন্তিত

অতিথি লেখক এর ছবি

চিন্তিত

************
সুবোধ অবোধ
*************
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!

বাপ্পীহায়াত এর ছবি

আশরাফুলকে নিয়ে আপনার ব্যাক্তিগত সৃতিচারণ খুবই ছুঁয়ে গেল।
আশরাফুল আমারও খুব প্রিয়, খবরটা শুনে খুবই শকড হয়েছিলাম।

সত্যি বলতে কি, আমি আর কোন সারপ্রাইজ চাইছিনা - মনে প্রাণে আশা করছি বর্তমান টিমের আর কোন খেলোয়ার যেন এসবে জড়িত না থাকে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ।
হুম,আপাতত এটাই সবার চাওয়া।

__________________________
সুবোধ অবোধ
__________________________
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!

স্যাম এর ছবি

মনে প্রাণে আশা করছি বর্তমান টিমের আর কোন খেলোয়ার যেন এসবে জড়িত না থাকে

চলুক চলুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।