বারুদ হয়ে জ্বলো

সুবোধ অবোধ এর ছবি
লিখেছেন সুবোধ অবোধ (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৭/০৫/২০১৫ - ১০:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
আবুল হাবুলকে বলে-“গালে থাপড়ায়া হুতায়ালামু।”
হাবুল চেতে গিয়ে বলে-“দেখ্‌ না মাইরা”
আবুল হাবুলের গালে চটাস করে চড় মারে। চড় খেয়ে হাবুল ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেলে। বলে-“পারলে আমগো বাড়ির সামনে আইয়া মার।”
আবুল বলে-“চল্‌”
দুজন মিলে হাবুলের বাড়ির সামনে যায়। হাবুল চোখ রাঙিয়ে বলে-“এইবার মেরে দেখ্‌।”
আবুল আবার হাবুলের গালে চটাস করে মারে। চোখ মুখ লাল করে হাবুল এক লাফে বাড়ির সদর দরাজায় গিয়ে বলে- “পারলে এইখানে আইসা মাইরা যা দেখি। হাত ভাইঙ্গালামু একদম!”
আবুল এগিয়ে গিয়ে আরও জোরে হাবুলের গালে চড় মারে। চর খেয়ে হাবুল ফোঁত ফোঁত করে কাঁদতে কাঁদতে বলে-“পারলে এর পরে আবার আইসা মারিস, মাটিত্‌ ডাবায়ালামু”

আমাদের দেশে একেকটা দুর্ঘটনা ঘটে, আমরা কিছুদিন হম্বিতম্বি করি। প্রশাসন থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা আসে। ঘোষণা ঘোষণাই থেকে যায়। পোড়া দেশে দুর্ঘটনার অভাব হয়না। কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার কোন ঘটনা ঘটে। আমরা আগেরটা ভুলে যাই। প্রশাসন তাদের ঘোষণা ভুলে যায়।

অভিজিৎ রায়কে খুন করা হলো জনসম্মুখে। ঘটনার সময় সেখানে দাড়ানো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আঙুল চুষলেন। গোয়েন্দাবাহিনী চোখে পট্টি বেঁধে ভিডিও ফুটেজ অ্যানালাইসিস করলেন। এফবিআই এসে ঘুরে গেলেন। তিন মাস চলে গেল, কিছুই হলোনা। মোটামুটি কাছাকাছি যায়গাতেই পহেলা বৈশাখের নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটলো। এত এত মানুষের(!) মধ্যে, এত এত নিরাপত্তার(!) মধ্যে, এত এত সিসি ক্যামেরার সম্মুখে। এখনো পর্যন্ত নির্যাতনকারী আটকের ব্যাপারে অগ্রগতি শূণ্য। আমরা অপেক্ষা করছি “এর পরেরবার আইসা মাইরা দেখিস এর জন্য!”

ভিডিও ফুটেজ অ্যানালাইসিস করে গোয়েন্দাবাহিনী বললেন-“নারী নগ্ন করার ঘটনা ঘটেনি।” বাহ্‌! উনার কথা শুনলে মনে হয় উনি বড় আশা করে ভিডিও ফুটেজ দেখতে বসেছিলেন। নগ্ন নারী দেখতে না পেরে হতাশ! মতিকণ্ঠকে অনেক মিস্‌ করি। এইক্ষেত্রে স্যাটায়ার করে হয়তো সেই গোয়েন্দার মুখে বলিয়ে দিত- “শালা ফেসবুক, ব্লগের ঘোচুর দলের চিল্লাপাল্লা শুনিয়া কত আশা নিয়া ভিডিও দেখিতে বসিয়াছিলাম নেংটা মেয়ে দেখিব। অথছ, কুথায় কি! কিছুই নাই!”

ভিসি সাহেব আমতা আমতা করে বললেন-“যদি তেমন কিছু ঘটে থাকে তাহলে...”

উনাদের চোখে শুধুই পট্টি বাঁধা, নাকি লোহা গলিয়ে সীল মেরে দেয়া?

এইসব ঘটনায় অপরাধীদের পক্ষে হাজার জন এপোলজিস্ট দাঁড়িয়ে যায়। “কি দরকার ছিলো ওই অত লোকের মধ্যে যাওয়ার”, “কাপর চোপর ঠিক ছিলো না”, “ওড়না গলায় ছিলো, পোলাদের মাথা আর কত ঠিক থাকব”, “ভালো মেয়েরা ওইসব যায়গায় যায়?”, “পর্দার মধ্যে থাকলে এইসব হইতো না” আরো কত শত ব্যাখ্যা...

সহজ সরল একটা প্রশ্নের উত্তর এরা দেয়না- “কুলাঙ্গার মানুষরূপী জানোয়ারগুলোর দোষ ছিলো বলে মনে করেন?” সাথে সাথে ‘কিন্তু’, ‘তবে’, ‘যদিও’, ‘তবুও’ এর ব্যবহার শুরু হয়ে যায়।

অতিমাত্রায় নির্লজ্জগুলো তাদের কুৎসিত রূপের উপরের পর্দা খুলে বলেই বসে- “যাই বলেন না কেন, এটা কিন্তু আল্টিমেটলি ভালোই হইছে, এরপর থেকে মেয়েরা আর ওইসব যায়গায় যাবেনা। অতিরিক্ত বেড়ে গেছিলো এরা!!” আচ্ছা? মেয়েদের ক্ষেত্রে সীমা কোনটা?? “ওই যে, ঘরে থাকা, রান্না করা, স্বামী সেবা...।” এরা সবাই সমাজের শিক্ষিত(!), উচ্চপদস্থ(!) মানুষ(!) কিন্তু... আসলেই?!!!

আচ্ছা, হজ্ব করতে যাওয়া পর্দানশীলা মহিলাও যখন যৌন নির্যাতনের শিকার হন, তখন আপনার ব্যাখ্যা? ৩/৪ বছরের বাচ্চা মেয়েটা যখন লালসার শিকার হয়, সেক্ষেত্রে আপনার ব্যাখ্যা? যখন পরিবারের কোন অতি আপনজনের কাছে যৌন নির্যাতনের শিকার হয় তখন? আবার সেই ‘কিন্তু’, ‘তবে’, ‘যদিও’...

২.
সচলায়তনে নারী সপ্তাহের বিভিন্ন লেখা পড়তে পড়তে কোন কূলকিনারা পাচ্ছিলাম না! বিশ্বাস করবো কাকে? বাইরের লোক, অফিসের কর্তা থেকে শুরু করে পরিবারের মানুষ, আপন মানুষ কেউ তো সুযোগ পেলে ছাড়েনি!! আবার, সময়েই এরা ভোল পাল্টে ধার্মিক হয়ে যায়। নিজেরা ধর্মের নিয়মকানুন মানুক বা না মানুক ঘরের মেয়েদের ওসব নিয়ম মানতেই হবে। “আপনি যে ‘এটা, ওটা’ করছেন, এগুলোও তো ধর্মে নিষেধ” জিজ্ঞেস করলে তাদের অদ্ভুত ব্যাখ্যা-“আমি না মানতে পারলেই কি ধর্মের নিয়ম নাই হয়ে যাবে? আর কেউ মানতে পারবে না?” আরে ব্যাটা বলদ, যে ধর্মের দোহাই দিয়ে এত সাফাই গেয়ে যাচ্ছিস, সেই ধর্মে কিন্তু এটাও আছে “আমল না করা বক্তার মুখ কাঁচি দিয়ে কাটা হবে।” খুব খিয়াল কইরা...

এইসব সিলেক্টিভ ধার্মিকরা সবসময়ই শুধু ফাঁক ফোকর খুঁজে বেড়ায়। আর নিজেদের করা আকাম কুকাম সব ধর্মের মোড়কে ঢেকে রাখতে চায়। একটা ঘটনা বলি-
তখন হাই স্কুলে পড়ি। ক্লাস নাইন বা টেন। আমাদের এলাকার হাফেজি মাদ্রাসায় একটা ছেলে পড়তো যার সাথে আমাদের বেশ ভালো সম্পর্ক ছিলো। ওই সময় শবে বরাতের রাত ছিলো আমাদের বয়সী ছেলেদের জন্য আরাধ্য রাত। নাহ্‌, ভাগ্যে অনেক কিছু লিখিয়ে ফেলব , সেজন্য না। বরং, এই রাতে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে রাতে বাইরে বিভিন্ন যায়গায় ঘুরাঘুরি করা যেত, আড্ডা মারা যেত এসব কারণে। তো এমনই এক শবে বরাতের রাতে হাফেজি মাদ্রাসার সেই ছাত্র আর আমার আরও কয়েকজন বন্ধুরা মিলে কোন এক বাড়ির ডাব চুরি করল। গাছ থেকে নামার পর সেই হাফেজি ছাত্রকে আমার এক বন্ধু জিজ্ঞেস করল- “ওই হুজুর, এই যে ডাব চুরি কইরা খাইলাম, তাও শবে বরাতের রাইতে, পাপ হবো না?” হুজুর উত্তর দিল- “আরে কি কউ, এখন গিয়া দুই রাকাত নামাজ পইড়া ফালামু। ডাব চুরি আর দুই রাকাত নামাজে কাটাকাটি, মাঝখান থেইকা পানিডা লাভ!”

কি বুঝলেন? “আল্টিমেটলি ভালোই হইছে” বাহিনীর ব্যাখ্যা পেলেন তো? এরা আকাম করে গিয়ে দুই রাকাত নামাজ পড়ে পাপ ঝেড়ে ফেলা মানুষগুলো। ধর্মের মোড়কে এদের ব্যাখ্যা সাজানোই থাকে। নিশ্চিত জানুন সুযোগ পেলে এরাই মেয়েদের গায়ে হাত দেবে, তারপর সাফাই গাইবে- “আল্টিমেটলি ভালোই হইছে। এরপর থেকে আর মেয়েগুলা ওইসব যায়গায় যাবে না। কত কত পাপ থেকে জাতি মুক্তি পাবে!”

৩.
বছরের পর বছর ধরে চলে আসা “সব মেয়েদেরকে মা বোনদের মতো দেখতে হবে, তাহলেই এসব ঘটনা ঘটবে না” এই কথাটায় আমার আপত্তি আছে। সব মেয়েরাই তো আমার মা বা বোন না। তাহলে আমার কেন শুধু মা-বোনের মতই দেখতে হবে? আবার কথাটা শুনলে এমনও মনে হয় যেন মা-বোন বাদে বাকি মেয়েদের সাথে অবমাননাকর আচরণ করাটা একটা স্বাভাবিক ঘটনা! মা বা বোন ছাড়া অন্য মেয়েদেরকে স্বাভাবিক সম্মান করতে সমস্যা কি? এই স্বাভাবিক সম্মানটুকু করার জন্য সব মেয়েদের মা বা বোন ভাবার দরকার নেই তো, স্রেফ নিজের মনুষ্যত্ববোধটুকু থাকলেই হয়। আর কিছু লাগে না।

একবারেই সব মানসিকতার পরিবর্তন হয়ে যাবে না। সময় লাগবে। সেই আদিকাল থেকে মাথার মধ্যে সেঁধিয়ে দেওয়া ধ্যান ধারণার পরিবর্তন হতে অনেক সময়ই লাগবে। পারিবারিক শিক্ষাটা জরুরী। ছোটবেলা থেকেই। এসব নিয়ে অনেক কথা হয়েছে তাই আর সেই আলোচনায় গেলাম না। এখন যেটা দরকার, তা হচ্ছে সবদিক থেকে প্রতিবাদ। পাল্টা আঘাত। এক্ষেত্রে মেয়েদেরই অগ্রগামী হতে হবে। সচেতনতা বারাতে হবে সর্বক্ষেত্রে। অনেক লেখাতেই অনেক ভালো ভালো সমাধানের পথ উঠে এসেছে। ‘শক্তি’র আইডিয়াটা অসাধারণ লেগেছে। এমন সর্বক্ষেত্রে রুখে দাড়ানো আপাতত সবচেয়ে বেশি দরকার। হারিয়ে যাওয়া কবি অভিজিৎ দাসের “কালো মেয়ে” কবিতার লাইন মনে পড়ল-
“মা তোর মেয়ের দিকে ম্যাচ বাক্স
ছুড়ে বলেছিলাম-
কাঠি নেই, কাঠি নেই
এবার বারুদ হয়ে জ্বলো”

এবার আসলে নিজেদেরই বারুদ হয়ে জ্বলবার সময় হয়েছে...

সবশেষে সচলায়তন কে ধন্যবাদ “নারীসপ্তাহ” এর মতো এমন অসাধারণ একটা উদ্যোগ নেয়ার জন্য, সমাজ এবং কুসংস্কারের ভয়ে বা সঙ্কোচে প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া যে সব ভয়ঙ্কর ঘটনাগুলো সবসময় অকথিত, অলিখিত থেকে যেত সেগুলোকে সামনে নিয়ে আসার জন্য। এসব কথা সবার সামনে উঠে আসা দরকার ছিলো। চোখ বন্ধ করে থেকে তো আর ধেয়ে আসা বিপদ কে অস্বীকার করা যাবে না।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

গাছ থেকে নামার পর সেই হাফেজি ছাত্রকে আমার এক বন্ধু জিজ্ঞেস করল- “ওই হুজুর, এই যে ডাব চুরি কইরা খাইলাম, তাও শবে বরাতের রাইতে, পাপ হবো না?” হুজুর উত্তর দিল- “আরে কি কউ, এখন গিয়া দুই রাকাত নামাজ পইড়া ফালামু। ডাব চুরি আর দুই রাকাত নামাজে কাটাকাটি, মাঝখান থেইকা পানিডা লাভ!”

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

বছরের পর বছর ধরে চলে আসা “সব মেয়েদেরকে মা বোনদের মতো দেখতে হবে, তাহলেই এসব ঘটনা ঘটবে না” এই কথাটায় আমার আপত্তি আছে।

একমত। সবাই মা-বোন না, যেমন, বিপরীত লিঙ্গের সৌন্দর্য মানুষকে ন্যাচারালি আকৃষ্ট করে, কেন করে তা বিবর্তন বিজ্ঞানেই আছে, তাই সৌন্দর্য অবলোকনে কোন বাঁধাই কার্যকর হয় না, আর তার খুব বেশী দরকারও নেই, তবে কথা হচ্ছে, সৌন্দর্য অবলোকন করতে হবে শ্রদ্ধার সঙ্গে, একজন বিপরীত লিঙ্গের মানুষ যেন আমার কোন আচরনে অস্বস্তি অনুভব না করে, বিন্দুমাত্র বিরক্তি অনুভব না করে এই বিষয়টি আমাকে নিশ্চিত করতে হবে, আর শুধুমাত্র শ্রদ্ধা থাকলেই এটি নিশ্চিত হয়।
।।।।।।
অন্ধকূপ

সুবোধ অবোধ এর ছবি

সেটাই।
পড়া এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

চলুক

সুবোধ অবোধ এর ছবি
ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

গুড জব! কিছু গান রচনার কথা ভাবুন। সচেতনতা ছড়ানোর ক্ষেত্রে গান একটা ভালো টুল।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সুবোধ অবোধ এর ছবি

ধন্যবাদ দাদা।
এই বিষয়ে নতুন গান করার চেষ্টা থাকবে। আর আমাদের ব্যান্ডের "যতদূর" (যতদূর যেতে চাও ততদূরই তোমার...) গানটা সচলায়তনের "নারী সপ্তাহ" কে উৎসর্গ করার ব্যাপারে ব্যান্ডের সাথে কথা বলে স্বীদ্ধান্ত নিয়েছি। মুর্শেদ ভাইকে জানিয়েছি। চাইলে এই গান "নারী সপ্তাহ" এর থিম হিসেবে ব্যাবহার করতে পারেন।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সহমত জানাইলাম

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তাপস শর্মা এর ছবি

আমিও সহমত জানিয়ে গেলাম একজন চিৎকারের সামান্য শ্রোতা হিসেবে। জ্বলে উঠুক...

এক লহমা এর ছবি

"মেয়েদেরই অগ্রগামী হতে হবে। সচেতনতা বাড়াতে হবে সর্বক্ষেত্রে।" - চলুক
"এসব কথা সবার সামনে উঠে আসা দরকার ছিলো। চোখ বন্ধ করে থেকে তো আর ধেয়ে আসা বিপদ কে অস্বীকার করা যাবে না।" - চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সুবোধ অবোধ এর ছবি
রানা মেহের এর ছবি

আপনারা সিরিয়াসলি আপনাদের একটা গান নারী সপ্তাহকে উতসর্গ করছেন?
কীযে ভাল লাগলো শুনে হাসি

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ওডিন এর ছবি

রানা ভাই, এনাদের এই গানটা শুনে দেখতে পারেন। হাসি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো! হাসি

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।