। । ধর্মরাষ্ট্র বিষয়ক আলোচনা সমগ্র-- পর্ব ৪ । ।

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: মঙ্গল, ২৮/১১/২০০৬ - ৪:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:



আমার প্রশ্ন- 4 : :

রাষ্ট্র ব্যবস্থায় অমুসলিম ও নারীদের অবস্থান কি হবে? পূর্ববতর্ী ও বিদ্যমান ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর মতোই নিরাপত্তা ও শাসন বিভাগ অমুলীম ও নারীদের জন্য নিষিদ্ধ থাকবে?


'ভোরের সুর্যদয়' এর উত্তর

নারীরা সকল কাজে অংশগ্রহন করতে পারবে, তবে ইসলামী শরীয়তে বর্নিত শালীনতা মোতাবেক । এবং অমুসলিমরা ও নিরাপত্তা বাহিনীতে অংশ নিতে পারবে । একজন সাধারন মুসলমান যে সব অধিকার ভোগ করবে, একজন অমুসলিম ও সেই সব অধিকার ভোগ করবে


সম্পূরক আলোচনা

--------------------------

বাস্তবতা ভিন্ন কথা বলে ।

শরীয়া আইনে কর্মক্ষেত্রে ও রাষ্ট্রীয় অধিকারে নারী-পুরুষ সমানাধিকার স্বীকার করা হয়নি ।
ইসলামে নারী নেতৃত্ব হারাম এই ফতোয়া আমরা যাদের কাছ থেকে লক্ষ হাজার বার শুনেছি তারাই নারী নেতৃত্ব মেনে ক্ষমতার অংশীদারিত্ব পেয়েছে ।
তার আগে কি ফতোয়া বদলানো হয়েছিলো? শরীয়া আইনে অন্তভর্ুক্ত করা হয়েছে নারী নেতৃত্ব আর হারাম নয় ?
এটা বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলোর সুবিধাবাদী ও ক্ষমতালোভী চেহারা প্রকাশ করলে ও শরীয়া আইনে নারী নেতৃত্ব ঠিকই নিষিদ্ধ রয়ে গেছে ।
শরীয়া ভিত্তিক পেনাল কোড এ চোখ বুলালেই বোঝা যায় বিচার ব্যবস্থায় নারী ও পুরুষকে সমান গুরুত্ব দেয়া হয়নি । সমান হলে একজন পুরুষের স্বাক্ষীর বিপরীতে দু'জন মহিলা স্বাক্ষীর প্রয়োজন পড়ে কেনো?

এ ক্ষেত্রে একজন শিরিন এবাদী ই যথেষ্ট উদাহরন । ইসলামী বিপ্লবের আগে শিরিন ছিলেন বিচারক । কিন্তু বিপ্লবের পর পরই তাকে নামিয়ে আনা হয় আইনজীবি পদে কারন ইসলামী আইনে কোনো মহিলা বিচারক হতে পারেন না ।
[লিংক=যঃঃঢ়://বহ.রিশরঢ়বফরধ.ড়ৎম/রিশর/ঝযরৎরহথঊনধফর#খরভবথধহফথবধৎষুথপধৎববৎ] পড়ুন , শিরিন এবাদী'র জীবনী [/লিংক]

ঠিক একই বাস্তবতা ইসলামী রাষ্ট্রে অমুসলিমদের জন ্য । যত যোগ্যই হোক না কেনো একজন অমুসলিম কোন মুসলিম রাষ্ট্রের নীতি নিধর্ারক পদে আসীন হতে পারবেনা ।
একজন অমুসলিম বিচারক কোন মুসলিম অভিযুক্তের বিচার করতে পারবেনা ।
কোরানে যে সব ধর্মের উল্লেখ আছে , তার বাইরে রাষ্ট্র অন্য কোনো ধর্ম বিশ্বাসকে স্বিকৃতি দেবেনা ।
ইরানের পেনাল কোড আবার দেখতে পারেন , সেই সাথে
সময় করে পড়ুন , [লিংক=যঃঃঢ়://িি.িড়বভৎব.ঁহরনব.পয/ষধ/িরপষ/রৎ00000থ.যঃসষ] ইরানের সংবিধানের 12 নং ধারা [/লিংক]

যারা ধমর্ীয় রাষ্ট্রের মতাদর্শ প্রচার করেন, তাদের সত্যটা স্বীকার করা উচিত যে ইসলামী রাষ্ট্রে নারী-পুরুষ, মুসলিম- অমুসলিম নাগরিকের অধিকার সমান নয় ।

কেনো সমান নয় , সেটা তারা যুক্তি দিয়ে বোঝাটে পারেন কিন্তু সমানাধিকার দেয়া হবে দাবী করলে -- সেটা মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছু নয় ।

[লিংক=যঃঃঢ়://িি.িংড়সবযিবৎবরহনষড়ম.হবঃ/ঐধংধহথগঁৎংযবফনষড়ম/ঢ়ড়ংঃ/26020] শেষ পর্ব [/লিংক]


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।