অ-কবিতা (কবিরা দূরত্ব বজায় রাখুন)

শিশিরকণা এর ছবি
লিখেছেন শিশিরকণা (তারিখ: রবি, ২৬/০৬/২০১১ - ৯:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সচলায়তনের পাতায় অনেক কবিতা দেখি, কবিতার প্রশংসা দেখি। কিন্তু বিধাতা আমায় সে রসবোধ দেননি কবিতার রস আস্বাদন করার মত। আমার মত যাদের মেট্রিক বাংলা পরীক্ষার খাতায় কবিতার মূলভাব লিখ প্রশ্নের উত্তরে চোখ বুজে মুখস্ত উগড়ে দেয়া ছাড়া গত্যন্তর ছিল না, তাদের কাব্য-প্রতিভাকে উৎসাহিত, উদযাপিত করার জন্য এই পোস্ট। মডুরা যদি ছাড়পত্র দেয় তবে আপনিও এর রস আস্বাদন করুন- রস-যোগ করুন। আর সচলের শ্রদ্ধেয় শক্তিমান কবিরা নিজের স্বার্থে (এবং আমাকে মাইর দেয়ার ইচ্ছা সংযত করার স্বার্থে )এই পোস্ট সযতনে এড়িয়ে চলুন... চোখ টিপি

মুখবন্ধঃ
বুয়েটের ফাইনাল ইয়ারে উঠার পর ক্লাসে একদমই মন বসতো না। মেয়েদের জন্য বরাদ্দ ফার্স্ট বেঞ্ছে বসে আমরা তাই কবিতা লিখতাম চিরকুটে। একজন এক লাইন, পরের জন আরেক লাইন এভাবে আগা মাথা বিহীন কবিতা, শর্ত একটাই যে করে হোক শেষ পদটুকু মেলাতে হবে। এভাবে মহাকাব্য তৈরি হয়ে যেত যার কোন মাথা-মুন্ডু কিচুই নাই। সেদিন পুরানা দিনের কথা মনে করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলাম... প্রথম ৬-৮ লাইন নিজের লেখা বাকিটুকু মন্তব্যের ঘরে পাওয়া বিভিন্ন জনের অবদানের সম্পাদিত রূপ... তো শুরু করা যাক অ-কবিতার রেলগাড়ি...

ফেসবুকে দিচ্ছিস পোক
তুই কি এখন খাচ্ছিস কোক?
তোর দাঁতে পোকা হোক।
তোর কি কম্পুতে গেম খেলার ঝোঁক?
গরুর টানা টানা চোখ
পুকুরের পানিতে আছে জোঁক,
বাংলাদেশে অনেক লোক
মাছের মায়ের পুত্রশোক
আজকাল বাউল গানকে বলে ফোক
কাটিস না কেন নোখ?
কবিতা লেখার আজ চেপেছে রোখ
তোমার উপর শান্তি বর্ষিত হোক
পাপ করিলে যাইবা দোযখ
তোমার কি তাই ইচ্ছা? তবে তাই হোক
তোমার উপর পড়েছে পেত্নীর চোখ
এবার ওঝা এসে করবে ঝাঁড়-ফুক
বলছে, তোদের ঝেঁটিয়ে বিদেয় করব, বেটি আহাম্মক!
কবিতার ছিরি দেখে সবার চক্ষু চড়ক
অপমানে কবিকুলে লেগেছে আত্মহত্যার ঝোক,
কবিমহলে তাই লেগেছে মড়ক
রাস্তার আরেক নাম সড়ক।
ওরা হিংসায় মরুক
জয় অ-কবিদেরই হউক।
হিংসুটেরা যতই করুক ছোঁক ছোঁক।
আর যতই গিলুক ঢোক।
তোরা খেতে থাক কোক
এরপর যতই ঢেকুর উঠুক।
পাবে না সময়, যখন আসবে ঘটক।
পাত্র দেখিয়া লাগবে চমক
টেন্ডুলকার রান করেছে দ্বি-শতক
তার ব্যাট তৈরি যে কাঠে তার নাম ওক।
যদি চাও করিতে আপনার কাব্য-প্রতিভার পরখ
মন্তব্যের ঘরে কবিতার রেলগাড়ির যাত্রা শুরু হোক...


মন্তব্য

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আমি নাই, অন্য কেউ এসে মন্তব্য করুক! খাইছে

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বাহ
বহুদনি পর কবিতা পড়ে বুঝলাম কবিতা কেন পড়ি না

বিষণ্ন বাউন্ডুলে এর ছবি

কবি বা অ-কবি হওন আপনি মজারু লোক!

শিশিরকণা এর ছবি

ধন্যবাদ। নেন সিঙ্গারা খান, খুবই মুখরোচক।
এর সাথে নেন একটুসখানি তেঁতুলের টক,
বানিয়েছেন টমি মিয়া, উনি বিখ্যাত পাচক।
এর পর খাবেন চা, ঘুম বিতাড়ক।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

তিথীডোর এর ছবি

কবিতা বুঝি না...
বড় হয়ে ঠিকঠিক বুঝে যাবো। খাইছে

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মৌনকুহর. এর ছবি

হাসি

শায়ের আমান এর ছবি

কবিতা বুঝি না বললেই চলে, কিন্তু মডু-মন্ডলী পার হয়ে যেহেতু এসছে...ওয়েল, আরো লেখা দেখার অপেক্ষায় রইলাম!! ভালো লিখুন সবসময়!

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

কবিতা পইড়া খাইলাম টাসকি
খবরদার জিগাইয়েন্না ভুলেও- খাস্ কি?

শিশিরকণা এর ছবি

কেন? জিগাইলে কি লাগবে পেচগি?
গলা বেয়ে উঠবে হেচকি?
একটু খেয়ে দেখেন ছোট মাছ কাচকি,
গরু এমনি এমনি খায় ঘাস কি?
ভিটামিন এ আছে, সাথে আরো মিনারেল পাঁচটি!
উলটে কাটা বেছে খান মাছটি।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

মাছ নয় মৎস
বাছা নয় বৎস।
পড়ে এই কবিতা
ভুলে যাই সবই তা-
রন নয় অকারনে
শুধু শুধু ঠকা-রনে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

যেহেতু এইটার প্রায় সবগুলা বাক্যের শেষেই "ক" আছে... তাইলে এইটা কবিতা হোক বা না হোক, নিঃসন্দেহে এইটা একটা উত্তম "ক"বিতা...
বাংলা সাহিত্যে এ এক নতুন আবির্ভাব... জয় হোক... চোখ টিপি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

‘ক’বিতা নয়, ‘ক’বিতান বলতে পারেন।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

দুষ্টু দুষ্টু দুষ্টু যতো-
সামনে বইসা মাস্তানী,
ক্লাসের ভেতর ধুগোগিরি-
এইটা এতো সস্তা নি!

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

হো হো হো বেশ মজারু!

অ ট। কিছু মনে না করলে একটি জিজ্ঞাসা। আপনি কি বুয়েট (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং) - ৯১ ব্যাচের?

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

শিশিরকণা এর ছবি

আপনি কবি মানুষ, এই পোস্টে ঢুকার সাহস করলেন, আপনাকে সালাম!
অ ট এর উত্তরঃ আমি আরো ১০ বছর পরের ব্যাচ। ইলেক্ট্রিক্যাল।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

সাহস করে ঢুকিনি তো বোন, আলাভোলা মানুষ, পথ ভুলে ঢুকে পড়েছি! যাক, হাওয়াও খাইলাম, মজাও পাইলাম!
অটঃ আমি যে আপনার ডিপার্টমেন্টেরই ছাত্র ছিলাম। '৮৬ ব্যাচের।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

স্বপ্নাদিষ্ট এর ছবি

আপু! নিক দেখে চিনতে পেরেছি! বাঘের বাচ্চা বলেন তো আমি কে খাইছে !!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।