সত্তরের দশকে আসলে কী ঘটেছিল নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দারের জীবনে?

নৈষাদ এর ছবি
লিখেছেন নৈষাদ (তারিখ: রবি, ১৬/০৮/২০০৯ - ১১:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কবি দাউদ হায়দারের নিজের লেখা আত্মজীবনীমুলক প্রবন্ধ পড়েছি সম্ভবত তিনটা। প্রথমটা ছিল সম্ভবত ষাটের দশকের অথবা সত্তর দশকের গোড়ার দিকের বাংলাদেশে কবির ঈর্ষণীয় জীবন নিয়ে, দ্বিতীয়টা ছিল ভারতে দুর্বিনীত, বেহিসেবী জীবনের একটা খন্ডচিত্র যেখানে কবি শাবানা আজমীর বাসায় এক মজলিশে যোগ দেন এবং সকালে উঠে আবিস্কার করেন তিনি শাবানা আজমীর বিছানায় 'বাকি রাত' ঘুমিয়েছেন (নাম মনে নেই লেখা দু'টির)।তৃতীয়টা ছিল নিষিদ্ধ সাপ্তাহিক ২০০০-এর ঈদসংখ্যায় প্রকাশিত 'সুতানটি সমাচার'। বিষয়বস্তু ভারতের দমদম বিমান বন্দরে নামার পরবর্তী কঠিন, কিন্তু এক অর্থে বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে। লেখা গুলি অনেকটা স্ন্যাপশটের মত, একটা সময়ের খন্ডচিত্র, অথচ আমার কাছে অসম্ভব কৌতুহলোদ্দীপক মনে হয়। মজার ব্যাপার হল, সুতানটি সমাচার লেখাটি আমি দুপুরে একটানে পড়ে, বিকেলে 'আড্ডাতে' গিয়ে জানতে পেরেছিলাম যে সাপ্তাহিক ২০০০-এর ঈদসংখ্যাটি এই লেখার জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রথমে আমি ধরে নিয়েছিলাম মসজিদে কিছু ঘটনার বর্ণনা আছে, তারই কোন দ্যোতনা থেকে এই নিষিদ্ধকরন। যে বিশেষ দু'টি লাইনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তা তার লেখার বিষয় বস্তুর সাথে এত সাবলীল ছিল যে আমার বোঝতেই সময় লেগেছিল যে এ দু'টি লাইনের জন্য এই নিষিদ্ধকরন। প্রতি বছর আমি অপেক্ষা করে থাকতাম (এখনো থাকি) বই মেলাতে হয়ত দাউদ হায়দারের কোন গদ্যের বই প্রকাশিত হবে। আজও হয়নি।

কবি দাউদ হায়দারের লেখা পড়ার চেয়েও তার যাপিত বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে জানতে খুব ইচ্ছা হয়। কিন্ত তেমন কিছু খোঁজে পাওয়া যায় না। ঘটনা-বহুল সত্তর দশকের বাংলাদেশের ঘটনা গুলি এমনিতেই ধোয়ঁটে, হয়ত দাউদ হায়দারের এ ঘটনা তেমন কোন গুরুত্বই বহন করে না। আমার সীমিত অনুসন্ধানে বেশি কিছু পাই না। মাঝে মাঝে দ্বিধা হয়, হয়ত কেউ তাঁকে নিয়ে লেখেছে, আমিই জানিনা। কিন্তু পরিচিত কেউই আমাকে এর সন্ধান দিতে পারেনা। বিভিন্ন ছোট ছোট তথ্যের উপর ভিত্তি করে একটা ছবি দাঁড় করানোর চেষ্টা করলাম। বিভিন্ন তথ্যসুত্রে সন বা তারিখের ভিন্নতা আছে, তবে আমি সবচেয়ে গ্রহনযোগ্যটাই নিতে চেষ্টা করেছি।

দেখা যাচ্ছে সত্তর দশকের গোড়ার দিকে তিনি 'সংবাদের' সাহিত্যপাতার সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৩ সালে 'London Society for Poetry' তাঁর কোন এক কবিতাকে “the Best Poem of Asia” সম্মানে ভুষিত করে। ১৯৭৩ সালে সংবাদের সাহিত্যপাতায় 'কালো সুর্য্যের কালো জ্যোত্স্নায় কালো বন্যায়' নামে একটি কবিতা লিখেছিলেন যাতে, বলা হয়ে থাকে, তিনি হযরত মোহাম্মদ (সাঃ), যিশুখ্রীষ্ট এবং গৌতম বুদ্ধকে অপমান করেছিলেন। কবিতাটার কোন কপি কোথাও পেলাম না। ধারনা করা হয় তাঁর 'Songs of Despair' বইতে এই কবিতাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যদিও আমার সন্দেহ আছে। ১৯৭৩ সালে এর বিরুদ্ধে প্রচন্ড প্রতিবাদ শুরু হয় এবং এই ঘটনায়ই ১৯৭১ এর পর বাংলাদেশ প্রথম 'ইসলামীস্ট প্রটেস্ট' দেখার সুযোগ পায়।

ঢাকার কোন এক কলেজের শিক্ষক ঢাকার একটি আদালতে এই ঘটনায় দাউদ হায়দারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। কথিত আছে তাঁকে রক্ষা করার জন্যই ১৯৭৩ সালে কবিকে 'Protective Custody' তে নেওয়া হয়। ১৯৭৪ এর ২০ মের এক সন্ধ্যায় তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং সেই সন্ধ্যায়ই ঢাকা ত্যাগ করতে বলা হয়। অবশেষে ২২ শে মে (অথবা ২১ শে মে) সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটা রেগুলার ফ্লাইটে করে তাঁকে কোলকাতাতে পাঠানো হয়। দাউদ হায়দারের একাধিক আত্মজীবনীমুলক প্রবন্ধে দেখা যায় তাঁর কাছে সে সময় ছিল মাত্র ৬০ পয়সা এবং কাধে ঝোলানো একটা ছোট বেগ (বেগে ছিল কবিতার বই, দু'জ়োড়া শার্ট, প্যান্ট, স্লিপার আর টুথ ব্রাশ)। এর থেকে বোঝা যায় যে মুজিব সরকার তাঁকে নিয়ে প্রচন্ড চাপের মুখে ছিলেন এবং তাকে খুব কম সময়ের সিদ্ধান্তেই ভারতে পাঠানো হয়। (তা না হলে হাতে কিছু টাকা পয়সা দেওয়ার মত লোকের অভাব ছিল এটা মানতে আমার খুব কষ্ট হয়।)। মুজিব সরকারের ব্যাপারটা সহজেই অনুমেয়, কারন তখন মুজিব সরকার ইসলামিক রাস্ট্র গুলোর স্বীকৃতি পাবার জন্য আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছে, এর মধ্যে নিশ্চই দাউদ হায়দারের মত একটা 'আনওয়ান্টেড এলিমেন্ট' কোন ভাবেই কাম্য ছিল না। কবির ভাষায় 'আমার কোন উপায় ছিল না। মৌলবাদীরা আমাকে মেরেই ফেলত। সরকারও হয়ত আমার মৃত্যু কামনা করছিল'। হয়ত এই নির্বাসনই কবির প্রান বাঁচিয়েছে। ৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর রাষ্ট্রের চরিত্র পরিবর্তন করে ইসলামী প্রজাতন্ত্র করার কুশীলবদের খুশি করার জন্য হয়ত মেরেই ফেলা হত এই দুর্বিনীত কবিকে।

যদি আসলেই তাঁকে নিয়ে কেউ লেখে না থাকে, তবে কী ধরে নেব ধোয়ঁটে ঘটনা-বহুল সত্তর দশকের এই লেখক তেমন কোন গুরুত্ব বহন করে না? অথবা তিনি এমন কিছু করেছিলেন যাতে সুশীল সমাজের বিরাগভাজন হয়েছিলেন? অথবা তাঁর প্রথা-বিরোধী, দুর্বিনীত অথচ বর্ণাঢ্য জীবন সতীর্থ্যদের পছন্দ হয়নি? জ়ানতে ইচ্ছে হয়।

সুতানটি সমাচারে দেখা যায় ভারতে প্রথম দিকে দাউদ হায়দারের কঠিন জীবন যুদ্ধের কথা। আবার আজ (১৬ আগস্ট ০৯) দৈনিক সমকালে লেখা তাঁর কলামে (বঙ্গবন্ধু ও অন্নদাশঙ্কর) দেখলাম যায় ১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসে তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে 'আন্তর্জাতিক তুলনামূলক সাহিত্যের' ছাত্র ছিলেন। বলতেই হয় এ তথ্যটা একেবারে নতুন।

নির্বাসিত অবস্থায় ১৯৭৯ সালে তিনি ভারতে বাংলাদেশ দুতাবাসে নবায়নের জন্য পাসপোর্ট জমা দিলে তা বাজেয়াপ্ত করা হয়। কথিত আছে এরশাদ সরকারের কাছেও দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। খুব সঙ্গত কারনেই এটা তখনকার সরকারকে প্রভাবিত করতে পারেনি। দাউদ হায়দারকে ভারত থেকেও নির্বাসনে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে ১৯৮৫ সালে পেন আমেরিকান সেন্টারের ২০০০ লেখকের পক্ষ থেকে ভারতের প্রধান মন্ত্রীর কাছে একটা চিঠি লেখা হয় যাতে দাউদ হায়দারকে ভারতের নাগরিকত্ব দেয়ার অনুরোধ করা হয়। এর পিছনে অন্নদাশঙ্কর রায়ের প্রভাব ছিল।

জার্মানীর নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক গুন্টারগ্রাসের সহযোগীতায় ২২ শে জুলাই ১৯৮৭ সালে তিনি জার্মানীর বার্লিন শহরে যান এবং তার পর থেকে সেখানেই আছেন। উল্লেখ্য তিনি বার্লিন যাত্রায় পাসপোর্টের পরিবর্তে ইউএন এর বিশেষ ট্র্যাভেল পাশ ব্যবহার করেছেন। তথ্যমতে এ ব্যাপারে তখন জেনেভায় UNHCR এ কর্মরত মিঃ শামসুল বারী তাঁকে অনেক সাহায্য করেন। দাউদ হায়দার পরে এই ইউএন এর ট্র্যাভেল পাশ ব্যবহার করে বহু দেশ ঘুরেছেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৭, প্রায় ১৩ বছর তিনি কাটিয়েছেন ভারতে। অথচ কয়েকটি খন্ড চিত্র ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়না তার ভারতে নির্বাসিত জীবনের।

নব্বইয়ের দশকে পড়া হাসনাত আব্দুল হাইয়ের 'নভেরা' এবং 'সুলতান' নামের দু'জনের বর্ণাঢ্য জীবনী দু'টি আমার কাছে অসাধারন লেগেছিল। অপেক্ষায় আছি কোন দিন হয়ত দাউদ হায়দার নামের এই দুর্বিনীত, রাজসিক ও বর্ণাঢ্য চরিত্রটা সম্পর্কে খুব সুন্দর একটা লেখা পাব। তাঁর তিনটি লেখায় যা আভাস পাওয়া যায়, তার যাপিত জীবন হয়ত নভেরা আহমেদ অথবা এস এম সুলতান থেকেও বর্ণাঢ্য, কিন্তু তার নিজের মত করে।


মন্তব্য

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

তথ্যবহুল লেখা পড়ে ভাল লাগল হাসি

---------------------
আমার ফ্লিকার

নৈষাদ এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ফারুক হাসান এর ছবি

কৌতুহলজাগানিয়া লেখা

নৈষাদ এর ছবি

ধন্যবাদ। আমারও তাঁর ব্যাপারে জানতে কৌতুহল হয়।

পুতুল এর ছবি

তসলিমা নাসরিন তাঁর আমার অন্তরে আমার স্বদেশ বইতে দাবী করেছেন

টেক্সি করে কোন এক অনুষ্ঠান থেকে গাইডের সাথে বাসায় ফেরার সময় কবি দাউদ হায়দার এক রকম জোর করেই তাঁর সহযাত্রী হয়ে যান। দুএকটা কথা হয়েছে কেবল তাদের মধ্যে। পরের দিন কবি দাউদ হায়দার দাবী করেণ যে তসলিমা নাসরিন তাঁর ঘরণী।

সত্যমিথ্যা যাচাই করা আমাদের মত আমজনতার পক্ষে সম্ভব নয়।

সে যাই হোক। দাউদ হায়দার এবং তসলিমা নাসরিন, দুজনের দ্বীপান্তর আমাদের জন্য খুবই দুঃখ জনক।
আপনার লেখা পড়ে দাউদ হায়দার সর্ম্পকে অনেক কিছু জানলাম। খারাপ লাগে যে, নির্বাসিত জীবনে দাউদ হায়দার কিছুই লিখছেন না দেখে।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

নৈষাদ এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে। এই মুহূর্তে তথ্যসুত্র মনে পড়ছে না, তবে কোথায় যেন পড়েছি দাউদ হায়দার তসলিমা নাসরিনকে 'বিয়ে করার' দাবী আস্বীকার করেছেন। এমনকি, তাঁর লেখাও (তসলিমা) খুব একটা পছন্দ নয়, এমন মন্ত্যব্যও করেছেন।

আপনার সাথে সহমত যে তাঁর মত একজন প্রতিভাবান লেখক নির্বাসিত জীবনে তেমন কিছুই লিখছেন না।

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

দাউদ হায়দারের ব্যাপারে শুনে আমার তাঁকে রহস্যপ্রেমি এক সাহিত্যিক মনে হয়, যিনি নিজের সত্বা নিয়েই রহস্য করছেন।

নৈষাদ এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ শাহেনশাহ সিমন। হয়ত তাই।

কীর্তিনাশা এর ছবি

চমৎকার তথ্যবহুল পোস্ট। চলুক

দাউদ হায়দার সম্পর্কে আরো জানতে চাই।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নৈষাদ এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

দাউদ হায়দার এর সেই সময়ের আলোচিত কবিতা -

জন্মই আমার আজন্ম পাপ

জন্মই আমার আজন্ম পাপ, মাতৃজরায়ু থেকে নেমেই জেনেছি আমি
সন্ত্রাসের ঝাঁঝালো দিনে বিবর্ণ পত্রের মত হঠাৎ ফুৎকারে উড়ে যাই
পালাই পালাই সুদূরে

চৌদিকে রৌদ্রের ঝলক
বাসের দোতলায় ফুটপাতে রুটির দোকানে দ্রুতগামী
নতুন মডেলের
চকচকে বনেটে রাত্রির জমকালো আলো
ভাংগাচোরা চেহারার হদিস

ক্লান্ত নিঃশব্দে আমি হেঁটে যাই
পিছনে ঝাঁকড়া চুলওয়ালা যুবক। অষ্টাদশ বর্ষীয়ার নিপুণ ভঙ্গী
দম্পতির অলৌকিক হাসি প্রগাঢ় চুম্বন

আমি দেখে যাই, হেঁটে যাই, কোথাও সামান্য বাতাসে উড়ে যাওয়া চাল-
অর্থাৎ আমার নিবাস।

ঘরের স্যাঁতসেতে মেঝেয় চাঁদের আলো এসে খেলা করে
আমি তখন সঙ্গমে ব্যর্থ, স্ত্রীর দুঃখ অভিমান কান্না
সন্তান সন্তুতি পঙ্গু
পেটে জ্বালা, পাজরায় তেল মালিশের বাসন উধাও-
আমি কোথা যাই? পান্তায় নুনের অভাব।

নিঃসংগতাও দেখেছি আমি, উৎকন্ঠার দিনমান জ্বলজ্বলে বাল্বের মতোন
আমার চোখের মতো স্বজনের চোখ-
যেন আমুন্ড গ্রাস করবে এই আমাকেই
আমিই সমস্ত আহার নষ্ট করেছি নিমেষে।

শত্রুর দেখা নেই, অথচ আমারি শত্রু আমি-
জ্বলন্ত যৌবনে ছুটি ফ্যামিলি প্ল্যানিং কোথায়
কোথায় ডাক্তার কম্পাউন্ডার
যারা আমাকে অপারেশন করবে?

পুরুষত্ব বিলিয়ে ভাবি, কুড়ি টাকায় একসের চাল ও অন্যান্য
সামান্য দ্রব্যাদী মিলবে তো?
আমার চৌদিকে উৎসুক নয়ন আহ্লাদী হাসি
ঘৃণা আমি পাপী
এরা কেন জন্ম নেয়?
এরাই তো আমাদের সুখের বাধা অভিশাপ।
মরণ এসে নিয়ে যাক, নিয়ে যাক
লোকালয়ের কিসের ঠাঁই এই শত্রুর?
-বলে
প্রাসাদ প্রেমিকেরা

আমিও ভাবি তাই, ভাবি নতুন মডেলের চাকায় পিষ্ট হবো
আমার জন্যই তোমাদের এত দুঃখ
আহা দুঃখ
দুঃখরে!

আমিই পাপী, বুঝি তাই এ জন্মই আমার আজন্ম পাপ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নৈষাদ এর ছবি

ধন্যবাদ। আমি প্রথমে দাউদ হায়দারের গদ্য পড়েছি। যখন ভাল লেগেছে তখন কবিতা পড়েছি। এটাই ছিল আমার প্রথম পড়া দাউদ হায়দারের কবিতা। আমার জানা মতে এটা সত্তরের দশকের গোড়ার দিকে লেখা, যখন তার বয়স খুব কম। সেই বয়সে এমন একটি কবিতা লেখতে পারার প্রতিভা আমাকে আকর্ষণ করেছিল।

অর্জুন মান্না [অতিথি] এর ছবি

২০০০-এর ঈদ সংখ্যা সেইবার দুই সপ্তাহে বের হওয়ার কথা ছিল। নিষিদ্ধ হলে তা আর সম্ভব হয়নি। আর আমরাও 'সুতানটি সমাচার' শেষ অংশ পড়েতে পারিনি। সম্ভবত ২০০০-এ খোঁজ করলে লেখার দ্বিতীয় অংশটি পাওয়া যাবে।

নৈষাদ এর ছবি

আমরাও 'সুতানটি সমাচার' শেষ অংশ পড়ার খুব ইচ্ছে ছিল। অপেক্ষায় আছি কখনো হয়ত পড়তে পারব। ধন্যবাদ আপনাকে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দাউদ হায়দার সম্পর্কে এতো ইনফর্মেশন জানা ছিলো না। আমি তার কবিতাও খুব যে বেশি পড়েছি তা না। কিন্তু "জন্মই আমার আজন্ম পাপ"... কিংবা "আমি কেন শবমেহেরের প্রথম ধর্ষণকারী হতে পারলাম না" ইত্যাদি কবিতায় তার জাত চিনেছিলাম।

কিন্তু আমার যত্দুর মনে হয় বৈচিত্রময় জীবন বিষয়ে সুলতানের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া কঠিন... চাইলে সুলতানের জটিল জীবন নিয়ে আলাদা পোস্ট দিয়ে দিতে পারি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নৈষাদ এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে। স্বীকার করি বৈচিত্রময়তার দিকে দিয়ে সুলতানের জীবনের সাথে পাল্লা দেয়া কঠিন। এস এম সুলতানে উপর হাসনাত আব্দুল হাইয়ের বইটি পড়ে আমি অবাক হয়ে গেছলাম। আমি শুধু বলতে চেয়েছি তিনটি লেখায় যে আভাস পাওয়া যায় তাতে আমার মনে হয়েছে দাউদ হায়দারের জীবনও খুবই বর্ণাঢ্য, অবশ্যই তার মতন করে। সুলতানের উপর আপনার কাছ থেকে একটি লিখা পাবার অপেক্ষায় থাকলাম।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।