ওয়ান লাইন ওয়ান্ডার!

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি
লিখেছেন ইশতিয়াক রউফ (তারিখ: শুক্র, ০৮/০২/২০০৮ - ১২:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি ব্যক্তিগত ভাবে বারাক ওবামার একান্ত অনুসারী, সেটা মনে হয় জানতে বাকি নেই কারো। সুপার টিউস ডে'তে সাগ্রহে বসে ছিলাম ওবামার দৌড় দেখতে। কিছু প্রশ্ন বাকি ছিল ওবামাকে নিয়ে --

* আইওয়া, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নেভাডা, সাউথ ক্যারোলিনায় সুযোগ ছিল ভোটারদের সাথে মুখোমুখি হয়ে প্রচার চালানোর। সবাই এক বাক্যে স্বীকার করে নেয় ক্লিনটনদের "নেম রেকগনিশন" এবং "পলিটিক্যাল মেশিন"এর কথা। ওবামার যাদুর পরশ পেতে হলে তাঁর সাথে একই ঘরে থাকতে হয়, সেই ঘরের উপচে পড়া প্রাণের বন্যায় ভাসতে হয়। প্রথম দিকের কিছু প্রাইমারি/ককাস ছাড়া এই সুযোগ সীমিত। দেশব্যাপী ২২ টির বেশি অঙ্গরাজ্যে একসাথে নির্বাচন হওয়ায় ওবামার প্রচারণা ও ব্যাপকভিত্তিক গ্রহনযোগ্যতার প্রথম পরীক্ষা ছিল। কী হবে এর ফলাফল?

* আইওয়ার বিজয় কৃষ্ণাঙ্গদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ ৯৮% শ্বেতাঙ্গ অধ্যুষিত এলাকায় ওবামার বিজয় তাঁর "ভ্যালিডিট"র অকাট্য প্রমাণ ছিল। ঝামেলা হল, সাউথ ক্যারোলিনায় ওবামা মাত্র ৩০% মত শ্বেতাঙ্গ পুরুষের ভোট পেয়েছিলেন। বিল ক্লিনটনের বিদ্বেষী ইঙ্গিতের পর কি সাদাদের চোখে ওবামা শুধুই একজন কালো হিসেবে প্রতীয়মান হওয়া শুরু করে দিয়েছিলেন?

* ডেমোক্রেটিক প্রাইমারির ভোটারদের ৫৭% নারী। নারী ভোটাররা খুবই বাধ্য ও অনুগত হিলারি-সমর্থক। একই সত্য প্রযোজ্য হিসপ্যানিক ভোটারদের ক্ষেত্রেও। নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগ পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়া ও মিজৌরার মত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে ওবামা ২০% পিছিয়ে ছিলেন। একই রকম দূরত্ব প্রায় ঘুচিয়ে ওবামা নিউ হ্যাম্পশায়ারে হিলারির সাথে কঠিন লড়াই করেছিলেন। এত কম সময়ে কি ক্যালিফোর্নিয়ার মন ও মত ঘুরানো সম্ভব?

এবারের ডেমোক্রেটিক প্রাইমারির খোঁজ রাখেন, এমন কেউই সুপার টিউস ডে'র পর কোন একক বিজয়ী দেখার আশা করার কথা নয়। আমিও করিনি। নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সি হিলারির ঘরে গেছে। ক্যালিফোর্নিয়াও তাই। তবে "ট্রাইস্টেট ট্রাইফ্যাক্টা" জিততে পারেননি হিলারি। ওবামা অনেককেই অবাক করে কানেটিকাট জিতে নেওয়ায় ইস্ট কোস্টে কিছু জনপ্রিয়তার আভাষ মিলেছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় হারের পিছনে একটা বড় কারণ ছিল অ্যাবসেন্টি ব্যালট। প্রায় ৩ মিলিয়ন ভোট ডাকযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রায় ৩ সপ্তাহ আগে। সেই সময় ওবামাকে সাউথ ক্যারোলিনায় ব্যস্ত রাখছেন বিল ক্লিনটন, আর হিলারি পুরো সপ্তাহ জুড়ে প্রচারকার্য চালাচ্ছেন ক্যালিফোর্নিয়ায়। প্রতি চার ভোটে তিনটিই তখন হিলারির। তবুও দেখার মত ছিল ভোটের আগের রাতে ২০% এর ব্যবধানটি কর্পূরের মত উড়ে যাওয়া।

হিলারি আর ওবামার মাঝে বিভক্ত ডেমোক্রেটরা এখন পথ খুঁজছে কোন ভাবে দুই জনকে "রানিং মেট" করে দিয়ে সম্ভাব্য তিক্ততা এড়াতে। প্রশ্ন হল, হিলারি ও ওবামা একজন আরেকজনকে সহ্য করতে পারলেও বিল ক্লিনটনকে সহ্য করতে পারবেন তো? একটি পলিটিক্যাল কার্টুনে দেখছিলাম হিলারি বলছেন, "আমার মনে হয় না ওয়াটারবোর্ডিং নির্যাতনের কাতারে পড়ে... যাক, বিল'কে নিয়ে অনেক কথা হল, এবার অন্য কিছু বলুন।"

প্রাইমারি ইলেকশনের ভোটের ভিত্তিতে এই মুহূর্তে দুই প্রার্থীই প্রায় সমান সংখ্যক নির্বাচিত "ডেলিগেট" পেয়েছেন। পার্টির এলিটগোষ্ঠী তথা "সুপার ডেলিগেট"দের মাঝে ৮০ ভোট মত এগিয়ে আছেন হিলারি, যদিও প্রায় অর্ধেক সুপার ডেলিগেট এখনো নিজেদের পছন্দের কথা প্রকাশ্যে জানাননি। সামনের দিনগুলোর দিকে তাকালে আমিও আর সবার মত কিছুটা অনিশ্চিত। জয় যার দিকেই যাক না কেন, আমি ওবামার কিছু ব্যাপার মুগ্ধ নয়নে দেখছি --

* "হার্টল্যান্ড আমেরিকা"য় ডেমোক্রেটরা প্রায় কখনই সুবিধা করতে পারেনি। নির্বাচনের পর আমেরিকার মানচিত্র মানেই দুই প্রান্তে দুই মহাসাগরের পাড় ছুয়ে কিছু নীল অঙ্গরাজ্য, আর মাঝে বিশাল এক লালের সমুদ্র। ওবামা এই প্রথা ভাঙার চেষ্টাটুকু হলেও করেছেন। ইভ্যাঞ্জেলিক্যাল খ্রীষ্টানদের মত গোড়াদের সাথেও গিয়ে কথা বলেছেন। গীর্জায় গিয়ে বলেছেন দেশের স্বার্থে কিছু ব্যাপারে হলেও ঐকমত্যের কথা। আইডাহোর মত কট্টর রিপাবলিকান অঙ্গরাজ্যে ওবামা রেকর্ড পরিমাণ দর্শক সমাগম ঘটিয়েছেন। উপস্থিত দর্শকদের প্রায় সমান সংখ্যক ভোটার পরদিন তাঁকে ভোট দেয়। সুপার টিউস ডে'তে সাকুল্যে ওবামা জিতেছেনও বেশি অঙ্গরাজ্য। সিএনএন'এর হিসাব অনুযায়ী দুই প্রার্থীর মোট ব্যবধান ০.৪%!

* লাতিনো ভোটে এখনো পিছিয়ে থাকলেও সাদাদের মাঝে ৪৪% ভোট পাওয়া, কালোদের মাঝে হিলারিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া ৮০% ভোট, নারী ভোটারদের মাঝে সমানে সমান থাকা, ৪০ বছরের কম বয়সী সকল ভোটারের কাছে প্রথম পছন্দ হয়ে ওঠা।

* যথারীতি আরো একটি লোম খাড়া করা ভাষণ। এমএসএনবিসি থেকে এমবেড করা এই ভিডিও শুনে দেখতে পারেন। যদি পুরোটা শুনবার ধৈর্য না থাকে, তাহলে অন্তত ১৪ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত শুনুন। সেটুকুও সম্ভব না হলে শুধু এই বাক্যটি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আওড়ান -- "উই আর দ্য ওয়ানস্‌ উই হ্যাভ বিন ওয়েইটিং ফর!" আমরা আমাদেরই অপেক্ষায় ছিলাম এতকাল! চিরকাল অনুরণিত হবার মত একটি কথা।

সামনে লুইজিয়ানা, ওয়াশিংটন, আর নেবরাস্কায় ইলেকশন। এরপর আসছে ভার্জিনিয়া, মেরিল্যান্ড, আর ডিসি। বলা হচ্ছে ভাল কিছু সপ্তাহ যাওয়ার কথা ওবামার। তবে তার পরেই আসছে ফাইনাল পরীক্ষা -- টেক্সাস, ওহায়ো, আর পেনসিল্ভ্যানিয়া।


মন্তব্য

রাগিব এর ছবি

ক্যালিফোর্নিয়াতে "হার" হলেও কথা থাকে। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ডেলিগেট বণ্টন হয় প্রাপ্ত ভোটের সমানুপাতে, কাজেই ১০% ভোটের ব্যবধানে হারলেও খালি হাতে ফিরছেনা ওবামা।

(রিপাবলিকানদের অবশ্য winner takes all)

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

* রিপাবলিকানদের ভাষ্য মতে, ডেমোক্রেটরা অতিরিক্ত "রোম্যান্টিক" দেখে আনুপাতিক ভাবে ডেলিগেট বন্টন করে। রিপাবলিকানরা অনেক বেশি "স্ট্রং" আর "রিয়্যালিস্টিক" বলে জয়ীকে সব ডেলিগেট দিয়ে দেয়।

* ডেলিগেট বন্টনের রিপাবলিকান পথ কিন্তু প্রেসিডেনশিয়াল ইলেকশনের সাথে মিলে যায়।

* আরেকটা ব্যাপার আছে। রিপাবলিকান পার্টির শৃঙ্খলাবোধ খুবই কড়া। যে বা যারা জিতুক না কেন, সবাই মিলে তার হয়ে জান-প্রাণ দিয়ে লড়বে।

এই তিনটি দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করলে কিছুটা গ্রহনযোগ্য মনে হয় রিপাবলিকানদের ব্যাপারটা। ডেমোক্রেটিক পার্টিতে রীতিমত থানা পর্যায়েও আনুপাতিক ডেলিগেট বন্টন হয়। ধরুন কোন কাউন্টিতে ৪ জন ডেলিগেট আছে এবং এখানে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান ৫৮-৪২। এক্ষেত্রে দুই প্রার্থীই ২ জন করে ডেলিগেট পাবে। কেউ এককভাবে ৬৭% ভোট না পাওয়া পর্যন্ত সত্যিকার কোন "ওপেনিং" খুঁজে পাওয়া যায় না দুই প্রার্থীর মধ্যে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি মূলত যে বিষয়টি ভাবি, তা হল হিলারি বা ওবামা যে-ই নির্বাচিত হোন এবং তাদের কেউ যদি প্রেসিডেন্টও হয়; তাহলেও বিশ্ব পরিস্থিতির কতটা পরিবর্তন ঘটবে। আগ্রাসী আমেরিকার মধ্যযুগীয় সম্রাজ্যবাদী চিন্তা কি উবে যাবে? কোন প্রার্থীর অবস্থান কেমন তা জানতে পারলে ভাল হত। কেউ কি জানেন, ওবামা, হিলারি বা রিপাবলিকান প্রার্থীরা, এদের মধ্যে কেউ বিশ্ব শান্তির কথা ভাবেন কি-না?

মুহাম্মদ২০১৭

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

অনেকটাই বদলাবে বলে আমার মত। রিপাবলিকান পার্টি চিরন্তন ভাবে ব্যয়-সংকোচনের নীতি মেনে চলে এবং মুক্তবাজার অর্থনীতির হয়ে কথা বলে। কোন ধরনের জনকল্যাণমুখী কাজে সরকারী টাকা ব্যয়ের বিপক্ষে, যেকোন অবস্থায় কর বাড়ানোর বিপক্ষে। তবে বুশের আমলে যুদ্ধবাজি করে আমেরিকার টাকশাল ফাঁকা এখন। রিপাবলিকান ফ্রন্টরানার জন ম্যাকেইন তো প্রয়োজনে ১০০ বছর ইরাকে থাকার কথা বলেছেন। এই পার্টি এখনো বলে যাচ্ছে, ইরাক থেকে বেরিয়ে আসা মানেই পরাজয়ের লজ্জা মেনে নেওয়া, এমনটা হতে দেওয়া যায় না।

দুই ডেমোক্রেটিক প্রার্থীর এজেন্ডাই অনেক আলাদা। দুই জনেই স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ ও সবার জন্য সহনশীল হেলথ্‌কেয়ার এর পক্ষে, এবং দুই জনেই ইরাক থেকে মার্কিন সেনা ফিরিয়ে আনার পক্ষে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে ওবামার পরিকল্পনার সমর্থক ৩ টি কারণে--

* ওবামার পরিকল্পনায় বাৎসরিক প্রায় ৬০ বিলিয়ন ডলার আন্তর্জাতিক সাহায্যের প্রস্তাব আছে। হিলারির পরিকল্পনায় এত ব্যাপক আর্থিক সহায়তার কথা নেই।

* ওবামা ইরাক থেকে বিনা শর্তে বছর খানেকের মধ্যে প্রায় সব সেনা ফেরত আনার পক্ষে। হিলারির ভাষায়, ইরানকে মোকাবেলার জন্য কিছু "কমব্যাট ট্রুপ" রাখা হবে, যাদের সংখ্যা রাঁধুনীদের ভাষায় "পরিমাণ মত"। তিনি আরো বলছেন, কবে নাগাদ সেনা ফেরত আনা হবে তা নির্ভর করছে জর্জ বুশের উপর।

* এই কিছুদিন আগেই সিনেটে হিলারি রিপাবলিকানদের সাথে ভোট দিয়েছেন ইরানের জাতীয় সেনাবাহিনীকে "টেররিস্ট অর্গানাইজেশন" বলে। ওবামা সহ অনেক ডেমক্রেট এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। ওবামা শুরু থেকেই ইরাক যুদ্ধে বিপক্ষে ছিলেন, কিন্তু হিলারি আজো স্বীকার করেন না যে যুদ্ধের পক্ষে তাঁর ভোট ভুল ছিল, বা সেই ভোট আবার দিতে পারলে তিনি ভিন্ন কোন কিছু করতেন। সিনেটে নির্বাচনের পর থেকেই জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সব কিছুতে হিলারি ভোট দিয়েছেন রিপাবলিকানদের সাথে, নিজের জন্য একটি "স্ট্রং" ভাবমূর্তি তৈরি করার লক্ষ্যে। এদিকে ওবামার আদর্শগত অবস্থান আমি বিশেষ ভাবে পছন্দ করি।

এছাড়া ডেমোক্রেটিক পার্টি ক্ষমতায় আসলে পরিবেশবান্ধব সরকার পাওয়ার ব্যাপার আছে। অবশ্য, জন ম্যাকেইনও খুবই আন্তরিক ভাবে রিপাবলিকানদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন পরিবেশ-সচেতনতার কথা।

দিগন্ত এর ছবি

"(রিপাবলিকানদের অবশ্য winner takes all)"

- এটা জানার পর থেকে আমার ব্যাপারটা খুবই অগণতান্ত্রিক মনে হয়েছে।

ক্যালিফোর্ণিয়াতে এশিয়ানরা ব্যাপক হারে হিলারিকে ভোট দিয়েছে। ভারতীয়রাও ঝেঁপে হিলারীকে ভোট দিচ্ছে দেখছি। হিলারীকে ভারতসংক্রান্ত সমস্যায় প্রতিবারই পাশে পাওয়া যায় বলে হয়ত।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

বাংলাদেশি মহলেও একই অবস্থা। প্রথম কিছু প্রাইমারিতে কালোদের মধ্যেও ছিল।

জিমি কার্টারের নমনীয় কিছু বছর বাদ দিলে ৭০'এর দশক থেকে একের পর এক জাঁদরেল রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের ভীড়ে বিল ক্লিনটন অনেকটা মরুভূমিতে মহাসাগরের মত ছিলেন। আন্তর্জাতিক পরিচিতি, ক্যারিশম্যাটিক ব্যক্তিত্ব, ইত্যাদি মিলিয়ে বিল ক্লিনটন একেবারেই অনন্য।

ওবামার মূল সমস্যা এখানেই। ক্লিনটনরা রাজনীতির মূলমঞ্চে আছেন আজকে প্রায় ৩৫ বছর ধরে। দেশ-বিদেশে এক নামে চেনে সবাই। ওবামার "ম্যাজিক" এখানেই যে, তাঁকে চেনা-জানার পর অধিকাংশ ভোটারই তাঁর অনুসারী হয়ে যায়; কিন্তু এত কম সময়ে দুই ক্লিনটনের বিপক্ষে লড়ে জেতা খুবই কঠিন কাজ। খোদ রিপাবলিকান পার্টি তাদের সব রকম নোংরা কীর্তিকলাপের পরও স্রেফ বিল ক্লিনটনকেই ঘায়েল করতে পারেনি আজো।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করছি না। আমার মতে, আমেরিকার ভোটাভুটি হাতে কলমের চে কাগজে কলমে বেশী হয় বলে মনে হয়।

লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো। ভাষণটা পরে শুনবো। অফিসে আমার স্পিকার নেই।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

স্নিগ্ধা এর ছবি

এমেরিকার ইতিহাসে ওবামার মত এত অল্প সময়ে এভাবে উঠে বোধহয় আর কেউ আসে নি। ক্লিনটন দম্পতি তাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার এর প্ল্যানমাফিক কাজ করতে শুরু করে দিয়েছিল সেই কবে থেকে, আর ওবামা তো সামনে আসলই মোটে সেদিন। তারপরও তার পলিটিকাল ভিউ আর ক্যারিশমার কারণে, আর আমার ধারনা এমেরিকানরা (যদিও আদতে যথেষ্ট রক্ষণশীল) এখন একটা পরিবর্তন দেখতে চায়, বুশকে দ্বিতীয়বার জেতালেও এখন তারাও হতাশ - সব মিলিয়ে ওবামার সম্ভাবনা যথেষ্ট।

তানভীর এর ছবি

প্রার্থী সিলেকশন লিংক

আমার মত যারা আদার ব্যাপারী হতে চান হাসি উপরের মজার লিংকটা টেস্ট করে দেখতে পারেন। এখানে নির্বাচনে যে ইস্যুগুলো গুরুত্বপূর্ণ, প্রথমে তাতে আপনার নিজের কি অভিমত তা ব্যক্ত করবেন। পরে নিজের মতামতের সাথে কোন কোন প্রার্থীর মিল আছে তা যাচাই করে দেখা যাবে। প্রতিটা ইস্যুর জন্য রয়েছে ৩ পয়েন্ট। আমার সাথে হিলারী ও ওবামা দুজনেরই সর্বোচচ ৮ টা করে ইস্যু মিলেছে। মানে দু'জনেই পেয়েছে ২৪ পয়েন্ট। ম্যাককেইন পেয়েছে মাত্র ৩ পয়েন্ট! একমাত্র ক্লাইমেট চেইঞ্জ ইস্যু ছাড়া ওর সাথে আমার আর কিছু মেলেনি! ম্যাককেইনের বাংলাদেশী মেয়ের কথা চিন্তা করে খুবই দুঃখ পাইছি মন খারাপ

=============
"কথা বল আমার ভাষায়, আমার রক্তে।"

রাগিব এর ছবি

চরিত্র বাদ দিলে ক্লিনটনের মতো শিক্ষিত, ক্যারিশম্যাটিক প্রেসিডেন্ট কমই দেখেছি। (চরিত্রটাও আর কি ... অনেক প্রেসিডেন্টেরই একই কেইস ছিলো, কেবল ভালো করে ধামাচাপা দিয়ে রেখেছে)।

ক্লিনটনের আমলে অর্থনীতির যে চরম উন্নতি হয়েছিলো, এটা আর দেখা যায় না গত বছর আটেকে।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

আমেরিকায় বহুল প্রচলিত একটি বাক্য - ‌it's the economy, stupid! অর্থাৎ অর্থনীতিই সব। মণিকা-কাণ্ডে যখন ইমপীচ করার তোড়জোড় চলছে, বিল ক্লিন্টনের জনপ্রিয়তার পারদ তখনো কেবলই ঊর্ধ্বগামী। কারণ ওই অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার বোধ, যা ক্লিনটনের আমলে ছাড়া আমেরিকার সাম্প্রতিক ইতিহাসে নেই। ওই সময়ে এক রেডিও টক-শোতে ফোন করা একজন শ্রোতার মন্তব্য শুনেছিলাম, I don't give a damn about Paula Jones as long as Dow Jones is doing ok.

আর জেনিফার ফ্লাওয়ারস, পলা জোনস বা মণিকা লিউইনস্কিঘটিত কাহিনী আমেরিকানদের খুব অচেনা নয়। কোনো পরিসংখ্যান আছে কি না জানি না, তবে আমার ধারণা অন্তত প্রতিটি তিনটি আমেরিকান পরিবারের একটিতে এই কাহিনী বাস্তব। নিহত দুই কেনেডি ভ্রাতা তো শোনা যায় এক মেরিলিন মনরোতেই আসক্ত ছিলেন। তখন মিডিয়ার এতো দাপট ও প্রভাব ছিলো না তাই বেঁচে গিয়েছিলেন। ফেঁসে যাওয়ার বেলায় বেচারা ক্লিনটন!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

ক্লিনটন খুবই আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব। কিন্তু হিলারিকে আমার কেন জানি মনে ধরে না।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।