অচেনা একজন লেখককে আবিস্কার।। আব্দুল হক।।

জাহেদ সরওয়ার এর ছবি
লিখেছেন জাহেদ সরওয়ার (তারিখ: শুক্র, ০৩/০৪/২০০৯ - ১২:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সম্পুর্ণ অচেনা কোনো লেখকের বইপড়ার মধ্যে ত্রিল আছে। আমি এই ত্রিলারে অভ্যস্ত। কিছুদিন আগে কবি রোজা আইসল্যান্ডারকে আবিস্কার তেমনতর একটি ঘঠনা। অদ্ভুদ সুন্দর মোহনীয় সব কবিতা লিখেছেন তিনি। ভাবি এতদিন কোথায় ছিলেন? তেমনি এই হলুদরঙের বইটা আমি অফিসের লাইব্রেরী থেকে ব্যাগে ভরে নেই। পড়তে পড়তে অবাক হয়ে যাই। এতদিন আগেকার একজন এত গুরুত্বপূর্ন লেখক ইনি এনার নামও শুনিনাই আগে। তিনি আব্দুল হক। ২০০ পৃষ্টার এই বইটি প্রকাশ করেছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। ২৮টি অনবদ্য প্রবন্ধের এই বইটি সম্পাদনা করেছেন আহমাদ মাযহার। অসাধারণ তার তীক্ন তার দেখার চোখ। অসাধারণ তার ভাষাভঙ্গি। ধর্ম দর্শন বিজ্ঞান সাহিত্য সমাজ নাটক কবিতা সববিষয়ে তার মত বৈপ্লবিক। আব্দুল হক সম্পর্কে আসলে আমি জানতে চাই আরো। ব্লগীয় বন্ধুরা শেয়ার করুন যা জানেন। আর যারা এখনো পড়েনা নাই পড়তে অনুরুধ জানাই।


মন্তব্য

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আবদুল হক এর একটা প্রবন্ধের বই মেরে দিয়েছিলাম আমাদের স্কুল লাইব্রেরি থেকে ।
কিন্তু সেই বইতেও লেখকের কোন জীবনি ছিল বলে মনে পড়ে না ।

সবজান্তা এর ছবি

আমি নিতান্তই অজ্ঞ ! নামই শুনি নাই আগে ! কেউ কিছু জানাতে পারলে ভালো হয়...

অফ টপিকঃ মাশা ভাই, লেখাটার শিরোনাম সহ কয়েকটা জায়গায় কিছু বানান ভুল রয়ে গিয়েছে, সম্ভবত তাড়াহুড়ার কারণে। একটু ঠিক করে নিলে ভালো দেখায়...


অলমিতি বিস্তারেণ

পয়েন্ট এর ছবি

ম্পুর্ণ অচেনা কোনো লেখকের বইপড়ার মধ্যে ত্রিল আছে। আমি এই ত্রিলারে অভ্যস্থ কিছুদিন আগে কবি রোজা আইসল্যান্ডারকে আবিস্কার তেমনতর ঘনা। অদ্ভু সুন্দর মোহনীয় সব কবিতা লিখেছেন তিনি। ভাবি এতদিন কোথায় ছিলেন? তেমনি এই হলুদরঙের বইটা আমি অফিসের লাইব্রেরী থেকে ব্যাগে ভরে নেই। পড়তে পড়তে অবাক হয়ে যাই। এতদিন আগেকার একজন এত গুরুত্বপূর্ন লেখক ইনি ইনার নামও শুনিনাই আগে। তিনি আব্দুল হক। ২০০ পৃষ্টার এই বইটি ছেপেচে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। ২৮টি অনবদ্য প্রবন্ধের এই বইটি সম্পাদনা করেছেন আহমাদ মাযহার। অসাধারণ তার তীক্ন তার দেখার চোখ। অসাধারণ তার ভাষাভঙ্গি। ধর্ম দর্শন বিজ্ঞান সাহিত্য সমাজ নাটক কবিতা সববিষয়ে তার মত বৈপ্লবিক। আব্দুল হক সম্পর্কে আসলে আমি জানতে চাই আরো। ব্লগীয় বন্ধুরা শেয়ার করুন যা জানেন। আর যারা এখনো পড়েনা নাই পড়তে অনুরুধ জানাই।

স্নিগ্ধা এর ছবি

মাশা - আপনাকে 'ওরিয়েন্টালিজম' এর ওপর পোস্টটাতে কয়েকটা প্রশ্ন করেছিলাম। আপনি উত্তর দেন নি কি সেগুলো দেখেন নি বলে, নাকি দেবেন না বলে? হাসি

আর, "আমি এই ত্রিলারে অভ্যস্থ কিছুদিন আগে কবি রোজা আইসল্যান্ডারকে আবিস্কার তেমনতর ঘঠনা। " এই বাক্যগঠনটি কি সঠিক? ঠিক হয়ে থাকলে আমারই ভুল হলো উদ্ধৃত করাটা হাসি

হাসান মোরশেদ এর ছবি

কমিউনিষ্ট বিপ্লবী কমরেড আব্দুল হক নাকি?

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

খুব সম্ভবত তাই। অবশ্য বইটি আমি পড়িনি, তবে তার গভীর প্রজ্ঞাময় লেখা আমার পরিচিত। ...

---
৭০ দশকে নকশাল বাড়ি আন্দোলনের সময় তিনজন কমিউনিস্ট বিপ্লবী নেতার নামে শ্লোগান ছিলো:

হক-মতিন-আলাউদ্দিন
এক মহিষের তিনটি শিং।

এই 'হক' হচ্ছেন কমরেড আব্দুল হক।
---
জয় হোক!


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

না , মাশার 'অচেনা একজন লেখককে আবিস্কার।। আব্দুল হক।' কমরেড আব্দুল হক নন । ইনি হলেন সাংবাদিক , নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক আবদুল হক যিনি সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পদক পান ১৯৭৪ সালে । সাংবাদিকতা দিয়ে তিনি পেশাগত জীবন শুরু করেন ১৯৪৫ সালে দৈনিক আজাদে সাব-এডিটর হিসেবে । সর্বশেষ তিনি বাংলা একাডেমির পরিচালক হিসেবে অবসরগ্রহন করেন ১৯৮১ সালে ।

ছেলের অসুস্থার কারনে বিস্তারিত লেখার মত মন নেই তাই এবারের মেলায় প্রকাশিত আমার বই 'স্বাধীনতা যুদ্ধের অপর নায়কেরা' গ্রন্থ থেকে তার সম্পর্কিত অংশটু্কু তুলে দিচ্ছি -

" অধ্যাপক আহমদ শরীফের "ইতিহাসের ধারায় বাঙ্গালী" প্রবন্দটির শুরু ছিল এভাবে -"আমাদের দেশের নাম বাঙলাদেশ, তাই ভাষার নাম বাঙলা এবং তাই আমরা বাঙালী ।" কি আশ্চর্য ! তখন আমাদের এই অঞ্চলের সাংবিধানিক নাম ছিল "পূর্ব পাকিস্তান " । আগেই বলা হয়েছে ,১৯৬৫ সালে অপুর্ব সংসদ গঠিত হয়েছিল স্বাধিনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য । সুতরাং আমরা ধরে নিতে পারি ,ভবিষ্যতে আমাদের দেশ স্বাধীন হলে তার নাম হবে "বাংলাদেশ " এই বিবেচনাটি প্রাবন্দিকের চিন্তায় ছিল । কিন্তু প্রশ্ন হল "বাংলাদেশ" নামটি কি অধ্যাপক আহমদ শরীফের চিন্তায় প্রথম এসেছিল?

১৯৬৪ সালের ৭ ই মার্চ কলকাতার "স্টেটসম্যান "পত্রিকায় পশ্চিমবঙ্গের নাম "বাঙলাদেশ" রাখার জন্য সরকারী সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা হলে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক , নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক আবদুল হক তার প্রতিবাদ করেন। তিনি দেখান যে, পশ্চিমবঙ্গের নাম "বাঙলাদেশ" রাখাটা অনৈতিহাসিক । পুর্ব পাকিস্তানই বাঙলাদেশ , পশ্চিমবঙ্গ নয়। বাঙলী মুসলমানকে তিনি "বাঙালী " হবার আহ্বান জানান । তিনি ব্যাখ্যা করে দেখান যে,দ্বিজাতিতত্ত্ব একটি সাময়িক রাজনৈতিক কৌশলমাত্র এবং তিনি মুসলিম জাতীয়তাবাদের ভ্রান্তি নির্দেশ করেন । তিনি "বাঙালী জাতীয়তাবাদ" এর পথকেই গন্য করেন। তার মতে, সংহত জাতীয়তার চেতনাই রাস্ট্রীয় জীবনে শক্তিশালী রক্ষাকবচ এবং পুর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বাধীকার প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত এমনি সংহত ঘনীভুত বাঙলী জাতীয়তাবাদ ।"

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

বিপ্লব রহমান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ @ নুরুজ্জামান মানিক।
চলুক


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

একসময় কেন্দ্রের সব বই-ই আমার পড়া ছিলো... এখন নাই। এই বইটাও পড়ি নাই। আগ্রহ হচ্ছে... সংগ্রহ করতে হবে।

উনার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবো মাজহার ভাইয়ের কাছ থেকে। জেনে জানাবো।
এখন মাজহার ভাই অনলাইনে নাই। তিনি অফিস থেকে নেট ইউজ করেন। এতো রাতে ফোন করতেও ইচ্ছা নাই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আবদুল হক [অতিথি] এর ছবি

সত্যি বলতে কী, আমিই আবদুল হক। তবে আমি জাতিস্মর নই, ফলে পূর্বজন্মের কিছুই মনে নেই। এখন লেখালেখিটা নতুন করে শুরু করেছি আবার।
জীবনানন্দ বলেছিলেন ফিরে আসবেন, কিন্তু আসেন নি। আমি এসেছি। বলুন নমঃ নমঃ নমঃ!
যদি বিশ্বাস না হয় যে আমি আবদুল হক, তবে আমার ব্লগ দেখুন। অ্যাড্রেস হলো : www.a-haque.blogspot.com

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।