লেখালেখি ও ব্যক্তি জীবনের সংকট।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি
লিখেছেন জুলিয়ান সিদ্দিকী (তারিখ: সোম, ২৩/০৬/২০০৮ - ২:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটা বয়সে এসে যখন লেখালেখিতে হঠাৎ মেতে উঠি, তখন দিনরাত যখন খুশি তখনই লিখতে বসে যেতাম। যখন যেটা মনে আসতো তাই লিখে ফেলতাম। কি হলো তা ফিরে দেখার অবসর ছিলো না। লিখেছি একটা কিছু এ আনন্দতেই মশগুল হয়ে থাকতাম। মনে হতো জগতের সেরা লেখাটাই লিখে ফেলেছি। (অবশ্য এখনও তাই মনে হয়। নিক্কণ সম্পর্কেও এমনি একটি ধারণা ছিলো। কিন্তু পাঠকের মন্তব্য জানার পরই ধারণা বদলাতে বাধ্য হই।) তখন থেকেই একটা জিনিস লক্ষ্য করে আসছি যে, কোনো কারণে লেখালেখির ব্যাপারটি বাধাগ্রস্থ হলে মানসিক ও শারিরীক দু’ভাবেই কষ্ট পেতাম। কিন্তু এমন একটি চাপা কষ্ট যে কারো কাছে প্রকাশ করার মত নয়। আর প্রকাশ করতে পারলেও হয়তো ব্যাপারটি নিয়ে আমাকে উপহাস করা কিংবা কথার বানে বিদ্ধ করার সুযোগটা কেউ ছাড়বে না। তাই চুপ করেই থাকতাম।

রাত জেগে লিখতাম বলে রাতভর হ্যারিকেন জ্বলতো। কখনো কখনো তেল ফুরিয়ে গিয়ে সলতেও ফুরিয়ে যেতো। পরদিন সন্ধ্যায় মা হ্যারিকেন মোছার সময় তেল আর সলতে পোড়ার ঘটনা দেখেতে পেলেই আমাকে বলতেন যে, কাজের কাজ তো কিছু করেই না, হাবিজাবি লিখে আমার কেরসিনের বারোটা বাজায়!

এরই মধ্যে মন্টু ভাইয়ের বউ এলো সিলেট থেকে। থাকবে বেশ কিছুদিন। গ্রামের বাড়িতে বাবা মায়ের সঙ্গে থাকি আর নিমসার কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়ি। মাঝে মধ্যে দু’একটা লেখা কুমিল্লার সাপ্তাহিক আমোদ-এ ছাপা হলে নিজকে মনে হয় আরেকটু হলেই আকাশ ছুঁতে পারবো।

প্রথম দিকে ভাবিটার সঙ্গে আমার তেমন বনিবনা ছিলো না। কেন যেন আমাকে দু’চোখে তিনি দেখতে পারতেন না। কিছু বললেই উল্টোপাল্টা করে ভাইয়ের কাছে চিঠি লিখে নালিশ করে দিতেন। মন্টুভাই যদিও কিছু বলতেন না। কিন্তু ভেতরে ভেতরে টিউবের মতই ফুলে থাকতেন। বাড়ি এলে আমার সঙ্গে কথা বলতেন না।

পরে কিভাবে যেন আমার প্রতি তার কুটিল মনোভাব দূর হয়ে গেল। তখন সন্ধ্যার দিকে ভীষন একা হয়ে পড়তেন। কথা বলার মানুষ না পেলে আমার কাছেই ঘুরঘুর করতেন। কিন্তু হয়তো তখন কোনো একটি লেখার মাঝামাঝি আছি কিংবা শেষের পর্যায়ে আছি, সংগত কারণেই তার প্রতি মনোযোগ দেওয়া আমার জন্য কঠিন। তখন পাত্তা না পেয়ে তিনি পেছন দিক থেকে এসে হঠাৎ করেই হাত থেকে কলমটা কেড়ে নিতেন। কিন্তু আমার যে কী সর্বনাশটা হয়ে গেল তিনি বুঝতে পারতেন না। পরে দেখা গেছে সেই লেখা ছ’মাসেও সমাপ্ত হয়নি। কোনো কোনো লেখা যেখানে থেমেছিলো সেখানেই ফুরিয়ে গিয়েছিলো। আজও সেই অসম্পূর্ণ লেখাগুলোর কিছু কিছু রয়ে গেছে।

মোটামুটি লেখাপড়া জানা মেয়ে খুঁজে বিয়ে করলাম। (বিয়ে হয়ে যাওয়াতে ডিগ্রি ক্লাসের ছাত্রী হয়েও পরীক্ষা ছাড়াই বিয়ে পাশ করে ফেলেছে।) ভেবেছিলাম যে, আমি যা কিছু ছাই ভস্ম লিখি না কেন, প্রথম পাঠক হিসেবে বউটাকে অন্তত পাবো। সে যদি ভালো বলে তো আরেকটু ভালো করতে চেষ্টা করবো। আর যদি বলে খারাপ, তাহলে আরো বেশি যত্ন নিয়ে লিখতে চেষ্টা করবো। কিন্তু হায়, কবিতা লিখি জানতে পেরে বউ হাসে। যে হাসির অর্থ পাগলে কিনা করে আর ছাগলে কি না খায়। কত কষ্ট করে ভেবেচিন্তে এক একটি লেখা শেষ করি। তারপর কম্পিউটারে কম্পোজ করি! কিন্তু আমার সেই লেখা পড়া তো দূরের কথা একবার জিজ্ঞেসও করেনি কি করি?

২০০৫ এ আমার প্রথম উপন্যাস নিজের খরচে বের করি। নিজের টাকা না থাকলেও আমার কলিগ নাহার বললো সে পাঁচহাজার টাকা দেবে এবং সেই মতে চেকও লিখে দিলো। কিন্তু আর কোথায় পাই? আমার কাছে আছে হাজার দুয়েক। প্রকাশক তাড়া দিতে থাকলো বইমেলার আর দেরি নাই!

আমারও যে কি হলো! তারই ক’দিন পর গ্রামের বাড়ি গেছি। উদ্দেশ্য মা আর আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে দেখা করা। তো আমি গ্রামের বাড়ি গেলেই ঘুরে ঘুরে প্রায় সবার সঙ্গেই দেখা করি। দিন ভর কথার জালে বন্দি হয়ে থাকি। এভাবে কথায় কথায় আমার বয়সের চাইতে বড় এক চাচাতো ভাই শহিদউল্লাহর সঙ্গে বসে বসে বিড়ি টানছিলাম আর গপসপ করছিলাম। কথায় কথায় সে জানতে চাইলো আমার লেখালেখির খবর। তখন নাহারের দেওয়া টাকার কথা বলতেই তার বউ হনুফা বলে উঠলো- যদি তিনমাসের মধ্যে ফেরত দিতে পারেন তাহলে আমি দিবো পাঁচ হাজার।

আমি তো থ। যাদের সংসারের অভাব ঘোঁচে না। আর টাকাটাও হয়তো বাপের বাড়ি থেকে কান্নাকাটি করে এনেছে। সেই কিনা এত বড় একটি সাহস দেখাতে পারছে! যদিও সে বেশি লেখাপড়া করেনি। এমনকি তার স্বামী শহিদুল্লাহও ক্লাস সিক্স পেরুতে পারেনি। কিন্তু আমার মত একজন অজ্ঞাতকূলশীল লেখকের প্রতি যে তাদের ভালোবাসা, তা দেখে আমি অনেকদিন একরকম ঘোরের মধ্যে ছিলাম। বইয়ের প্রথম কপিটিই তার হাতে তুলে দিয়েছিলাম। আমি এখনও জানি না যে, সে বইটি কখনো পড়তে পেরেছিলো কি না। কিংবা ভেতরের কাহিনীতে কী আছে আদৌ জানতে পেরেছে কি না।

উত্তমপুরুষে লেখা উপন্যাসটি পড়ে আমার স্ত্রীর বড় বোন বললেন যে, আমারই জীবন কাহিনী বিধৃত করেছি। কিন্তু সত্যি ঘটনা দিয়ে খুব কমই উপন্যাস বা গল্প কাহিনী হতে পারে। বিশেষ করে সত্য কিছুটা থাকলে তা নিয়ে বেশি দূর লেখাটাকে এগিয়ে নিতে পারি না। উপন্যাসটি পড়ে বউকে অনেকেই প্রশ্ন করেছিলো, তোর হাজবেন্ড যে, বাইরে এত ফস্টিনস্টি করে বেড়ায় তুই বুঝতে পারিস না?

২০০৬এর ২০শে জুনে আমি সৌদি আরবে আসি। প্রথম প্রথম এতটাই গরম লাগতো আমার কাছে যে বাইরে বের হতে চাইতাম না। যদিও দিনের বেলা কোনো কারণে অফিস থেকে বাইরে বেরুতে হয়েছে, দেখাগেছে খুব সামান্য সময়েই চশমার ফ্রেম, হাতের ঘড়ি, আংটির পাথর (জারকোন) গরম হয়ে উঠতো। বাধ্য হতাম ছায়ায় সরে যেতে। না পারলে চশমা, ঘড়ি, আংটি খুলে ফেলতাম। তখন থেকেই ঘড়ি আর আঙটি পরা বাদ দিয়েছি।

বাইরে বের হতে না পারার কারণে ছুটির সময়টাও রুমেই থাকতাম। যদিও আশেপাশে আরো বাঙালী আছে, তাদের সঙ্গে আমার পরিচয় হতে অনেকটা সময় লেগেছিলো। তো সেই সময়টা কিচেনে বসে বসে লিখতাম। অফিস থেকে এক পাশে প্রিন্ট হওয়া কাগজগুলো রাফ প্রিন্টের জন্য ব্যবহৃত হতো। আমার ভারতীয় সহকর্মী সুনীল কারিপুঝা নিজের স্টকের রাফ কাগজগুলোও আমাকে দিয়ে দিতো। এভাবেই আমি আমার অসহায় নিরানন্দ বিরক্তিকর সময়গুলোকে বাঁধতে সচেষ্ট হয়েছিলাম। যে কারণে মানসিক ভাবে ততটা আহত হওয়ার সুযোগ পাইনি। মাজমাহ ক্যাম্পে আমার রুমমেট হিসেবে এক বাঙালী সার্ভেয়ার ছিলো। ডিপ্লোমা করা এই সার্ভেয়ার সাহেব নিজকে ইঞ্জিনিয়ার বলে পরিচয় দেন। কিন্তু আমি জানি না যে, বাংলাদেশের কোনো সার্ভেয়ার ইঞ্জিনিয়ারের মর্যাদা পান কি না। কিংবা কারিগরি শিক্ষাবোর্ড তাদের সনদপত্রে প্রকৌশলী লেখে কি না।

আমি দিন রাতের বেশির ভাগ সময়টাই কিচেনে বসে থাকতাম বলে সেও কথা বলতে না পারার কষ্টে ভুগতো। কিছুক্ষণ পরপরই কিচেনের দরজায় এসে খটখট শুরু করে দিতো। বলতো যে, কী হাবিজাবি লেখেন দিনরাত! কী হয় এইসব বানিয়ে বানিয়ে লিখে?

আমার ভাবনার চলমানতা বাধাগ্রস্থ হলে বিরক্ত হয়ে হল্লাচিল্লা করি। কিন্তু ব্যাটা পাত্তা দেয় না। একদিন আমি দোকানে যাওয়ার সময় সে বলে দিলো, রাতে খাওয়ার জন্য মাছ অথবা মাংস, মশলাপাতি, ডাল আর পেঁয়াজ নিয়ে আসতে। কিন্তু আসার সময় পেঁয়াজের কথা ভুলে গেলাম।
যথারিতী সে বিরক্ত হয়ে বলে উঠলো, আরে মিয়া দিনরাইত এইসব আজেবাজে লেখা লেইখ্যাই আপনের মাথাডা নষ্ট করছেন! এইসব অকাজ করলে কি মাথায় কিছু থাকে?

আমি ভাবতে চেষ্টা করি যে জগতের তাবৎ লেখকের মাথায় মগজ নামক জিনিসটির কী হয়? কোথায় যায়? আর আজ সচলায়তনের অ্যাত্ত অ্যাত্ত লেখকের ভীড়ে মিশে গিয়ে ভাবতে খুবই কষ্ট পাই যে, সবাই কি আমার মত মাথা খারাপ?

মাঝে মাঝে মটুর সঙ্গে কথায় কথায় বলতাম যে, লেখালেখি করতে পারছি বলেই মনে হয় একা একা এমন একটি দেশে বান্ধবহীন অবস্থায় থাকতে পারছি। না হলে হয়তো পাগল হয়ে যেতাম। বউ তখন টিটকারি মেরে বলতো, খবরদার, আর যাই কর- পাগল হইয়ো না!

গত পরশুদিন বোনের কাছ থেকে এসএমএস পাই যে, মটু নাকি কান্নাকাটি করে তার কাছে বলেছে যে, আমাকে সে বিদেশে পাঠিয়েছে টাকা কামানোর জন্য। বই লেখার জন্য নয়। এমন কি লেখালেখির ভূত মাথা থেকে না নামাতে পারলে আমার দু ছেলেকে রেখে সে একদিকে চলে যাবে!


মন্তব্য

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ভাল লাগলো পড়ে খুব। জীবনের যন্ত্রণাগুলো লেখায় অবয়ব পায় বলেই বড় লেখাগুলো পাই আমরা। লিখতে থাকুন। জীবন নিজেকে গুছিয়ে নেবে নিজের মত। সফল লেখকজীবনের শেষের আত্মজীবনীর জন্য এরকম অভিজ্ঞতাগুলো জরুরী। আমরা তখন ভাব নিয়ে আপনার গল্প শোনাবো নাহয় লোকজনকে! চোখ টিপি

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

ইশতিয়াক রউফ, আপনার আশাটা সুদূর পরাহত মনে হয়। কিংবা সত্যিই যদি এমনটি আশা করেন তাহলে আমার দশা রণদীপম বসুর ট্যাপ্টা করা ওই ছবিটার মত হবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

অচেনা কেউ এর ছবি

অন্য কে কি বলছে সেদিকে না নজর দিয়ে আপনি লিখে যান নিরলস।অন্যদের কথা বলতে পারিনা আমার কিন্তু আপনার লেখা পড়তে ভালই লাগে।আর ভুলোমন যে শুধু লেখকদেরই থাকে কথাটি সত্য নয়।আমাদের সামাজিক সমস্যা হল আমরা সব কিছুর মধ্যেই লাভ-ক্ষতি খুঁজতে যাই।তাই আপনি এভাবে ভাবুন যে আপনি লেখালেখি করেন লাভের জন্য নয়, নিজের মনের খোরাকের জন্য।যেমন সকলের জীবনেই বিনোদনের প্রয়োজন রয়েছে, আপনার কাছে নাহয় লেখালেখিই বিনোদন হয়ে থাকল সারাজীবন।শুভকামনা আপনার জন্য।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আসলে আমার বিনোদন বলতে এখন এই লেখালেখি ছাড়া আর কিছুই নেই। এখন যুক্ত হয়েছে সচলায়তন। যখন মন্তব্য করি বা পড়ি তখন মনে হয় যেন সামনা সামনিই কথা বলছি। লাভের জন্য লিখলে নীল গল্প লিখতাম। ওসব লিখলে কামাই মন্দ না। সত্যি বলছি!

তবে লাভ একটা আছে। আর তা হলো এই যে অন্যান্য লেখকদের সঙ্গে যে একটি অদৃশ্য যোগসূত্র ও বন্ধুত্ব এটাই মনে করি বিশাল কিছু। যাদের সঙ্গে হয়তো ইহ জীবনে আমার যোগাযোগ ঘটবার কোনো সম্ভাবনাই ছিলো না।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

সাহেব-বিবি-গোলামের লেখক বিমল মিত্র তখন গগনচুম্বি জনপ্রিয়তায়... লিখে টাকা কামিয়ে বাড়ি তুলেছেন, রাস্তায় গাড়ি হাঁকান, সে সময়ের কলকাতায় এটা বিশাল ব্যাপার!
ঠিক সেই সময়েই লেখক শঙ্কর ছিলেন মারাত্মক দুর্বিপাকে। বাবা মারা গেছেন, সংসারের বড় ছেলে সে। নিম্ন মধ্যবিত্ত একটি পরিবারের দায় সেই কিশোরের ওপর। তাকে করতে হয় বিভিন্ন আজেবাজে চাকরি। অনুভূতিহীন মনিবের কথা শুনতে হয়।
ভেঙ্গে পড়া সেই লেখক শঙ্করকে বলেছিলেন বিমল মিত্র, শঙ্কর, সংসার খুব মারাত্মক জিনিস! আমার এত সাফল্যও সংসারের জটিলতাকে কাটাতে পারে না! দুদিন ঠিকমতো না লিখলেই আমার নিয়মিত ইনকামে বাধা পড়বে, আমার এত সহ্যশীলা বউ, সেও সংসারে তিতিবিরক্ত হয়ে আমাকে যাতা কথা বলে, কিন্তু আমি জানি, আমার কাজ লেখা। আমাকে লিখে যেতেই হবে। সেখানেই আমার প্রকৃত শান্তি। আপনি কোনোদিকে না তাকিয়ে নিজের মনমতো লিখে যান। আপনি বুঁদ হয়ে থাকুন আপনার তাজমহলে! সারা পৃথিবীর কী আসল কী গেল, সেদিকে তাকাবার দরকার নেই!
জুলিয়ান, আপনার ক্ষেত্রেও আমার কথা তাই। আপনি লিখে যান, কোনোদিকে তাকাবেন না। আপনার যে ভেতরের শক্তি আপনাকে প্রেরণা দেয়, তার পুজো করুন। লেখার এই তাড়না অনেক বিখ্যাত লেখকেরও থাকে না।
সৌদি আরবের মতো জায়গায় দিনের পর দিন বান্ধবহীন আপনি সংসার ফেলে, স্ত্রী-পুত্র ফেলে, জীবনের সব হাসি-আনন্দ-গান মুলতবি রেখে দিনের পর দিন লিখে চলেছেন... আপনার এই অকৃত্রিম অপরাজেয় লেখক মনটিকে আমার অসীম শ্রদ্ধা! আভূমি প্রণাম!
আপনার এই ত্যাগ নিশ্চয় একদিন বিশাল ফলাফল নিয়ে আসবে! কারণ কোনো ত্যাগই বৃথা যায় না!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

মৃদুল আহমেদ, কী আর বলতে পারি? আপনাকে প্রতি প্রণাম।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

আকতার আহমেদ এর ছবি

স্যালুট

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

প্রতি স্যালুট

____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

রায়হান আবীর এর ছবি

আপনার লেখা মানেই ছুটে চলা গদ্য। পড়তে ভীষণ আরাম লাগে। *****

দু:খ কইরেন্না বস। এইগুলা কোন ব্যাপার না।

---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

বস, মাঝে মধ্যে একটু না কানলে যে বুকের ভেতর পাথর জমতে জমতে নিজেই একদিন পাথর হয়ে যাবো!

____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

আমি হলে ফিরতি এসএমএস পাঠাতাম-
যদি তুমি যেতে চাও তবে যাও

বুঝেন তো,খালের ওপারে গিয়ে বলা যায়-ডাইলে লবন হয় নাই।

---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

জ্বি জনাব অসীম সাহসী প্রকাশক সাহেব...
খালের ওপারে গিয়ে বলা যায়-ডাইলে লবন হয় নাই।

....................................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

মহব্বত যে করি! এত শক্ত কথা কেমনে কই!
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

কীর্তিনাশা এর ছবি

লিখে চলেন জুলিয়ান ভাই। থামবেন না ।

আমরা আছি আপনার লেখা পড়ার জন্য। আপনার লেখা আমি খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ি। মাঝে মাঝে ইর্ষা হয় এত ভালো লেখা আমি কেন লিখতে পারি না এই ভেবে।

--------------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

সচলায়তনের ভীড়ে দাঁড়িয়েই কিছুটা শ্বাস ফেলতে পারছি। আমার অবরুদ্ধ জীবনে সচলায়তন একটি জানালা সদৃশ। আপনাদের কাছ থেকেই তো সাহস পাই, উৎসাহ পাই। যে কারণে পচা লেখা পড়েও কেউ খারাপ বলতে চায় না। কীর্তিনাশা আপনিও তাদেরই একজন। আমাদের অসংখ্য বন্ধু এই সচলায়তনে। সবাই যে খুব ভালো বন্ধু!
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আপনার অনুভূতি ভীষনভাবে স্পর্শ করে গেলো। লেখার সাথে আবেগ জড়ানো না থাকলে সেটা কি অন্যকে টাচ করে? মনে হয় না। আপনার লেখার ব্যাপারে তীব্র আবেগটা তো পজিটিভ ।
যদিও নিক্কন পড়া হয়নি। আপনার অন্য লেখাগুলো পড়েছি। আমার ভালো লেগেছে।
আপনি ওসব ছোটখাট চিন্তা বাদ দিয়ে লিখতে থাকুন...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

অনুভূতিটা কি কেবলই আমার একার? মনে হয় না। আমাদের অন্যান্য বন্ধুদেরও কি এমন অভিজ্ঞতা নেই? অনেকেরই আছে। সেই তুলনায় মনে হবে আমারটা নিতান্তই নগণ্য।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভেঙেপড়া মানুষের জন্য একটু সাহস অনেক কিছু।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

জুলিয়ান ভাই... লেখা অবশ্যই চালায়ে যাবেন... কিন্তু সাথে টাকাও কামাইতে হবে... দুই ছেলেকে ফেলে বউ চলে গেলে তো হবে না... তাকেও আটকাতে হবে। লিখে যান... সংসারও চালিয়ে যান... আর ভালো থাকেন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

নজরুল ইসলাম, এমন হইতো কাম-কামাই না কইরা কেবল লিখি, তাইলে না এমন একটা সমস্যায় আমার কিছু চেঞ্জ হইতে পারতো। কিন্তু আমি বউ, বান্ধবী, বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন সামলাইয়াই তো একটু লেখালেখির কাম করি। আরে ভাই আসল কথা তা না। সক্রেটিস না অ্যরিস্টটলের বউ স্বামীর মাথায় বিষ্ঠা ঢাইল্যা দিসিলো। দোষটা কি জানেন? বউয়ের লগে ব্যাটায় ক্যান পাল্টা খ্যান খ্যান করে না! ব্যাটায় এত শান্ত কেন? ভদ্র কেন? হা হাহাহা!
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍আপনার জীবনের কাহিনী মন ছুঁয়ে গেল।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

সন্ন্যাসে না আবার সমস্যা হয়। শুনেছি সন্ন্যাসীরা আবেগহীন। সন্ন্যাসীর আবেগের উত্থান ঘটলো বলে অসংখ্য ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

হয়তো ওইসব অসঙ্গতির জন্যই আপনি লিখতে পারেন, সেই যে রবিবাবুর একটা কবিতা আছে না,
অলৌকিক আনন্দের ভার বিধাতা যাহারে দেয়
তাহার বক্ষে বেদনা অপার।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

ওই কথাইত্তো হইলো সার্কাসের ক্লাউন সারাদিন মানুষরে হাসায়। কিন্তু তার অন্তর্গত কান্নার খোঁজ কেউ রাখে না।
ফারুক ওয়াসিফ আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

কনফুসিয়াস এর ছবি

আপনার কলম ছুটে বেড়াক চিরকাল।
শুভকামনা রইলো।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

সবার জীবনেই সুহৃদের শুভকামনা পাথেয়। ধন্যবাদ কনফুসিয়াস।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

রণদীপম বসু এর ছবি

হা হা হা ! আরে ভাই, লেখক মানেই তো ছিটগ্রস্ত ! বাধ্য সংসারীদের চোখে। যেদিন ওরা বলবে যে, না, এখন ঠিক আছে, বুঝবেন লেখন আপনার কিছুই ঠিক নাই।
সব পার্থক্যটা তো ওখানেই। সাধারণের মাঝে তিনি অসাধারণ, সব অসাধারণের মাঝে তিনি অত্যন্ত সাধারণ।
আপনি কি বিষন্ন ? কোন সৃষ্টির ভেতরে চারিয়ে দিন, অসাধারণ কিছু হয়ে যাবে ! অনুভব দিয়ে সৃজন করতে লেখকরাই তো পারেন।

আপনি লিখেন বলেই আপনাকে চিনি আমরা।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

বসু, আপনার কথা বুঝতে পারছি। কিন্তু সহসা বিষন্নতায় ভুগি না। বিষন্ন হলে আমার সব কিছু এলোমেলো হয়ে যায়। তবে পরে কোনো এক সময় তা কাজে লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

অতিথি লেখক এর ছবি

দুনিয়া বড়ই আজিব। কাছের মানুষগুলো বেশি কষ্ট দেয়.... কারণ জানে কোথায় আঘাত দিলে কষ্ট বেশি হবে.. জেনে শুনে কষ্ট দেয়, কেন দেয়? জীবনানন্দ সব চেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছিলো কার কাছ থেকে? নজরুল? কোন লেখক পায় নাই? আপনাকেও পেতে হবে... এই পথ নয় তত মসৃন....

পরশ পাখর

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

তাহলে কি লেখকের জীবন ঘষটে ঘষটে চলা? ছেচড়ে ছেচড়ে, ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে? হায় নিয়তি! কেন যে মাথায় লেখার বিষ ঢুকেছিলো!
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

বেদনার বিষেই তো মুক্তাজনম হয়। শুভকামনা রইল।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

সবার জীবনেই সুহৃদের শুভকামনা পাথেয়। ধন্যবাদ ফারুক ওয়াসিফ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

পুতুল এর ছবি

এ শুধু শীতের মেঘে কপট কুয়াশা লেগে
ছলনা উঠিছে জেগে এ নহে বাদল।।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।