গজিনী আর মেমেন্টো

খেকশিয়াল এর ছবি
লিখেছেন খেকশিয়াল (তারিখ: বিষ্যুদ, ০১/০১/২০০৯ - ১০:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

autoগজিনী দেখলাম । তবে গজিনীর কথা বলার আগে মেমেন্টোর কথা বলে নেয়া উচিত । মেমেন্টো হল ক্রিস্টোফার নোলানের সেই মুভি যা সেই সময়ের প্রতিটি মুভি ভিউয়ার থেকে ক্রিটিক সবারই ঘাড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল এই মুভির কাহিনীকার( নোলানেরই ভাই জোনাথন, গল্পটি নেয়া হয়েছে তার ‘মেমেন্টো মরি’ নামক ছোট গল্প থেকে) আর পরিচালককে নতুন করে একবার দেখার জন্য। মুভিটির অদ্ভুত অসাধারণ কাহিনী আর দৃষ্টিভঙ্গী অবাক করেছিল সবাইকে। কাহিনী হল এক শর্ট টার্ম মেমোরী লসের পেশেন্টকে নিয়ে। সেই লোক একদিনের এক দুর্ঘটনায় মাথায় চোট পাবার কারনে হয়ে পরে anterograde amnesia এর রোগী যার কারনে নতুন কোন স্মৃতি তার মস্তিষ্কে স্থায়ী হয় না, হলেও বিশ মিনিটের পরেই সে ফিরে যায় তার সেই আঘাত পাবার মূহুর্তটিতে, তার শেষ অবস্থায়ী স্মৃতিটিতে । যেখানে মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রণা নিয়ে সে নিজেকে শুয়ে থাকতে দেখে তার বাথরুমের মেঝেতে, তার মৃত স্ত্রীর পাশে। তার মনে পড়ে যায় সে রাতের কথা। শুয়েছিল সে, ঘুম ভেঙ্গে গেলে উঠে দেখে পাশে তার স্ত্রী নেই। শব্দ শুনে রিভলবার নিয়ে বাথরুমে আসতেই দেখে এক মুখোশধারী ধরে আছে তার মৃতপ্রায় স্ত্রীকে। গুলি চালিয়ে সেই লোককে ধরাশায়ী করলেও, পিছন থেকে মাথায় আঘাত করে আরেকজন। সে রাতে সেলোকগুলো ধর্ষণ করার পর হত্যা করেছিল ওর স্ত্রীকে। মুভিটি শুরু হয় বলতে গেলে কাহিনীর শেষ দিয়ে, যেখানে সে খুবই খুশিমনে খুন করে একজনকে। পোলারয়েড ক্যামেরা, নোট, গায়ের উল্কি সবকিছু দিয়ে সে ধরে রাখত তার সেইসব বিশ মিনিটগুলো যা তাকে চালনা করত শুধুমাত্র একটি ব্যাক্তিকে খুঁজতে, তার স্ত্রীর হত্যাকারীকে খুঁজতে, যে বেঁচে গিয়েছিলো। যারা মুভিটি এখনো দেখেননি তাদের আর কিছুই বলব না মুভিটি সম্পর্কে।

autoযারা মেমেন্টো দেখেছেন তারা হয়ত বুঝবেন এতক্ষন কেন গজিনীর কথা বলতে মেমেন্টোর বকবক করলাম । গজিনী মুভিটি পরিচালনা করেছেন দক্ষিণের পরিচালক মুরুগাদস, যা বলতে গেলে তারই তামিল ছবি ‘গজিনী’র হিন্দী রিমেইক। ছবিটিকে তাই সবাই মেমেন্টোর রিমেইক বললে একজায়গায় আমির খান বলেন যে এটা মেমেন্টোর রিমেইক বা নকল নয়, মেমেন্টো থেকে অনুপ্রাণিত বলা যায় । আমির বলেন মুরুগাদস যখন মেমেন্টো মুভিটার কথা জানতে পারেন, মুভিটার কনসেপ্ট তার খুবই পছন্দ হয় আর মুভিটি না দেখেই তিনি লেখতে শুরু করেন একই থিমেই তার নিজস্ব স্ক্রীপ্ট। যখন লেখা শেষ হয় মুভিটি দেখেন তিনি আর বুঝতে পারেন যে তার গল্পটি এটার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়েছে। আর তখনি তিনি করে ফেলেন তার নিজের মুভিটি । আমির তার মুভিটি দেখেন, খুবই পছন্দ হয় তার সেই কাহিনী শুধুমাত্র শেষের তিরিশ মিনিট বাদ দিয়ে। তারপর মেমেন্টো দেখে যখন বুঝেন দুটি মুভির কাহিনী ভিন্ন, শুরু করে দেন তিনি মুরুগাদসেরই পরিচালনায় হিন্দী গজনীর কাজ, যেখানে শেষের তিরিশ মিনিট থাকে তামিল ভার্শনটি থেকে অন্যরকম। গজিনীতেও কাহিনী থাকে এক anterograde amnesia পেশেন্টকে যে কিনা খুঁজে ফেরে গজিনী নামের একজনকে , খুন করবে বলে । মুভিটি সম্পর্কে আর কিছু বলব না শুধু ভাল ও খারাপ লাগার কিছু জিনিস ছাড়া। আমার কাছে এই গল্পটিও বেশ ভাল লেগেছে। দেখে নকল না বরং মেমেন্টো থেকে অনুপ্রাণিতই মনে হল। মুভিটি কমার্সিয়াল অ্যাকশন ধাঁচের মুভি, তবে কিছু জায়গায় ডিরেক্টরের বেশ কিছু কাঁচা কাজ আছে, যা দেখে যে কেউ বিরক্ত হবেন। বেশ কিছু বাড়াবাড়ি, ভুল আর কিছু জায়গায় কাহিনী টেনে লম্বা করার (বুঝলাম না এ জিনিসগুলি আমিরের চোখ এড়িয়ে গেল কিভাবে, বেশ কিছু ভাল ছবি দেখার পর উনাকে কাজের ব্যাপের বেশ খুঁতখুঁতেই জানতাম) ব্যাপার আছে মুভিটাতে। তবে মুভিটিতে দেখার যা, তা হল পনেরো মিনিটের স্মৃতিতে ভর করে চলা আমিরের দুর্দান্ত অভিনয়। একজন মানুষের এরকম পাশবিক আক্রোশ হিন্দী মুভিতে আমি আর আগে দেখিনি।


মন্তব্য

ধ্রুব হাসান এর ছবি

'মেমেনটো' আমার দেখা প্রিY ছবিগুলোর একটি। তবে ইরেভারসিবল আমার বেশী পছন্দ, মেকিং-এর কারনে। তবে দু'টো ছবিই অসাধারন। গজিনী দেখা হয়নি, যোগার করতে হবে। থ্যাকস্‌ লেখার জন্য চলুক

যারা মুভিটি এখনো দেখেননি তাদের আর কিছুই বলব না মুভিটি সম্পর্কে
......সবাই দেখি জার্নালিষ্টিক ক্রিটিসিজমের দিকে হাটঁছে। ছবি নিয়ে কিছু একাডেমিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে লিখুন। পাঠক হিসেবে আমরা সংখ্যায় নগন্য হলেও খারাপ না। এ কথা বলছি এ জন্য যে, আপনারো যেহেতু দেখা, আর আমারো। তাই বলছিলাম, একাডেমিক্যালি ক্রিটিসাইজ করলে অনেক মজার ও নতুন দৃষ্টিকোণ পেতাম।

খেকশিয়াল এর ছবি

ওরে বাবা! মেমেন্টোর ক্রিটিসিজম কি যেমন তেমন ব্যাপার! দেখার পর অনেক ঘাটাঘাটি করেছিলাম, ভাল কথা মনে করেছেন, লেখবো তাহলে আলাদা করে হাসি

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

কনফুসিয়াস এর ছবি

আমি খুব নাম-ডাক শুনে মন দিয়ে পুরো মুভিটা দেখলাম।
দেখে মনে হলো, আমিরের চরিত্রটা যদি সানি দেওলও করতো, তেমন কোন পার্থক্য হতো না।

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

খেকশিয়াল এর ছবি

হাহাহা নাহ.. সানি দেওলের ওরকম পাঞ্জাবী লড়াকু ছাগলামি লাগল না, অন্যরকমই লাগল। তবে সুস্থ অবস্থায় আমিরের শার্টের হাতা গুটানো মাস্‌ল দেখানোর প্রবণতা ছাগলামিই লাগল।

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সবজান্তা এর ছবি

গোটা ভারত যখন গজিনী জ্বরে আক্রান্ত, আমি তখন কলকাতাতেই। পরিচিত একজনের সাথে কথা বলছিলাম নোলানকে নিয়ে। তাঁর প্রেস্টিজ, মেমেন্টো কিংবা ডার্ক নাইট নিয়ে। হঠাৎ মেমেন্টো শুনে তিনি জানালেন, এটার থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই গজিনীর উৎপত্তি।

হিন্দি সিনেমা বহুদিন যাবৎ তেমন দেখা হয় না, তবুও আমির খানের সিনেমার উপর কিছুটা আস্থা ছিলো। মেমেন্টোর অনুকরণ শুনে হতাশ হয়েছিলাম, কারণ শাহরুখ খান খ্যাতির মধ্য গগনে থাকার সময়েও ডেড পোয়েট সোসাইটির হাস্যকর অনুকরণ মোহাব্বতে-তে অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু তাই বলে আমির-ও ?

এছাড়া আমি নিজেই মেমেন্টোর বেশ ভক্ত দর্শক, কাজেই এর কোন অপটু অনুকরণ দেখে মেজাজ খারাপ করবো না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে এখন আপনার লেখা পড়ে আগ্রহ হচ্ছে ছবিটা দেখার। হিন্দি বিশেষত আমিরীয় "অ্যাডাপ্টেশন" টুকু কতটা সাবলীল সেটা দেখার আশাতেই।


অলমিতি বিস্তারেণ

খেকশিয়াল এর ছবি

ছবির বেশ কয়েক জায়গার ডিরেকশন দেখে হতাশই হতে হবে, হাসিও পাবে। কাহিনীটা আর আমিরের এক্সিডেন্ট পরবর্তী অভিনয় ভাল।

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আজকে দেখুম।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

লীন [অতিথি] এর ছবি

দেখি নাই দেখি নাই।
কিন্তু আপনার পোস্ট পইড়া দেখতে ইচ্ছা জাগছে।
আমি হিন্দি ছবির দর্শক না, কিন্তু আমির এর অভিনয় ভালোই লাগে।

s-s এর ছবি

আমি এইমাত্র দেখে এলাম, আমিরের অভিনয়ে এ প্লাস, হাউএভার ছবিটিকে দশে চার এর বেশি দিতে পারছিনা, দুর্বল মেকিং দুর্বল চিত্রনাট্য ও মেমেন্টোর হিন্দিফাইং এর জন্য। আমিরকে খুবই ভালো লেগেছে ওই টুকুই।

জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা

অমিত আহমেদ এর ছবি

তবে কিছু জায়গায় ডিরেক্টরের বেশ কিছু কাঁচা কাজ আছে

এ বিষয়ে বিশদ জানার আগ্রহ হচ্ছে, যদি একটু আলোচনা করতেন।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

শিক্ষানবিস এর ছবি

মেমেন্টো আমার খুব প্রিয় একটা সিনেমা। ক্রিস্টোফার নোলানের যত সিনেমা দেখেছি তার মধ্যে মেমেন্টো আর ডার্ক নাইট পাশাপাশিই থাকবে। তবে হিন্দি সিনেমাটা দেখার কোন ইচ্ছা নেই।

খেকশিয়াল এর ছবি

নোলানের প্রেস্টিজ, ইনসম্নিয়া দেখেন নাই! কস্কি মমিন! মাস্ট দেইখেন!

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কয়েক বছর আগে, "মেমেন্টো" আমি মুগ্ধ হয়ে দেখেছিলাম, একাধিকবার। এত চমকপ্রদ মেকিং-এর সিনেমা খুব কমই দেখেছি বলা চলে। আর এই সিনেমা দেখার পরই নোলানের ফ্যান হয়ে যাই।

"গজিনী" দেখার ইচ্ছা সামান্য যেটুকু আছে, তা ওই আমিরের জন্যই। তবে সত্যি বলতে, দেখতে অতটা সায়ও পাচ্ছি না, শেষে না আবার "মেমেন্টো"-র সাথে মেলাতে গিয়ে মেজাজ খারাপ করে ফেলি!


হারিয়ে গিয়েছি, এই তো জরুরি খবর...

অবনীল এর ছবি

আমারো আপনার মতই অবস্থা :P। তবে আমীর এর এই সালমান টাইপ বডি দেইখা ডরাইসি।

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

ফাহিম এর ছবি

শুধুমাত্র এই পোস্টে কমেন্ট করার জন্য এই মাত্র গজিনি দেখে উঠলাম। মোটের উপর খারাপ লাগে নাই, তবে খুব একটা ভালো ও না।

কারনটা হলো মেমেন্তো। যারা মেমেন্তো দেখেছেন তাদের কাছে গজিনি ভাল লাগার কথা না। তবে যারা মেমেন্তো দেখেন নি, তারা গজিনি দেখলে ভালো লাগবে।

গজিনি আর মেমেন্তোর বড় পার্থক্য হল নায়কের চরিত্রায়নে। মেমেন্তো তে নায়ক কে দেখানো হয়েছে আসলেই একজন রোগী হিসেবে এবং তার কাজ কর্মে বাস্তবতার ছাপ স্পষ্ট। কিন্তু গজিনি তে আমির খান কে একজন রোগীর চেয়ে একজন সুপারহিরো বেশি মনে হয়েছে। বিশেষ করে শেষের দিকে একাই পঞ্চাশ মানুষ পিটিয়ে সোজা করার ব্যাপারটা হাস্যকর লেগেছে। যতক্ষন মারামারি করেছে, ততোক্ষনে তার ভুলে যাওয়ার কথা সে কাকে খুজছে বা কেন মারামারি করছে...

সবচেয়ে বেশি বিরক্ত লেগেছে গানগুলো, এই ছবির মুডের সাথে মোটেও যায় না। ছবি টেনে লম্বা করার জন্য আমিরের প্রেমের ঘটনাগুলোর প্লেব্যাক করা হয়েছে, যে কারনে গানগুলো চলে এসেছে। এটা না হলেও হতো।

তবে হিন্দি ছবির দর্শকদের টার্গেট করে বানানো এই ছবিতে এই জিনিষগুলো না থাকলে হয়তো ছবি ফ্লপ করে যেতো। এটাও চিন্তা করতে হবে। তাই আমার মনে হয়েছে টার্গেট অডিয়েন্স অনুযায়ী ছবির মেকিং খুব একটা খারাপ না, হিট হওয়ার কথা...

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

ডার্ক নাইট [অতিথি] এর ছবি

অসংখ্য বার ভেবে সিদ্বান্তে পৌছালাম যে, লেখক ই সঠিক। "রঙ দে বাসন্তী" এবং "তারে জামিন পার" -এর পর আরেকটি বলিউড ক্লাসিক উপহার দিতে ব্যর্থ হলেন আমির খান, অথচ প্রস্তুত ছিল কাহিণী। যোগ্য সহযোগী হিসেবে ' মি পারফেকশনিস্ট' পেয়েছিলেন অসিন-কে; হিন্দী চলচিচত্রের অন্যতম গুরুত্বপুর্ন অনুসংগ হিসেবে পেয়েছিলেন এ আর রাহমানের মিউজিক।
কেবল মাত্র দুর্বল পরিচালনা-দোসে দুস্ট এই ছবি উপভোগ্য সন্দেহ নেই; কিন্তু যারা 'মেমেন্টো' দেখেছেন- তাদের চোখে এই ছবির ভুল-গুলো ধরা দিয়েছে ব্যপক হারে। আমির খানের অভিনয় এবং চুলের অভিনব ধরন ছাড়া এই ছবি মাত্রাতিরিক্ত 'বলিউড মাসালা' যুক্ত ।
দেখতে বসে যান, সময়টা কাটবে দারুন- কিন্তু আবিস্কার করবেন সহসাই , বলার মত কিছু আপনি খুজেঁ পাচ্ছেন না। দুঃখিত মি আমির; আপনি সত্যি-ই 'ব্যতিক্রম'; কিন্তু এ ছবি তা ছিলো বেশ মোটা দাগে।

The Other Side এর ছবি

Ghajini is a self-admitted and self-confessed commercial Hindi action film. It would be unwise (and a futile exercise) to expect any aspect of reality in it or to try to explain the events logically. You need to see this movie with a "willing suspension of disbelief" mindset, just as you would do in case of Gladiator or Superman or Terminator or even the Jason Bourne trilogy. If you can do that then you will enjoy the movie for the most part. What really annoyed me was the absence of any acknowledgement to “Memento”. Also the movie could shorten the “Masala” bit in favour of showing the actual process of transformation from a suave business tycoon to a ruthless killing machine.

FYI, a more realistic action movie by Aamir would be Sarfarosh.

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

লেখা ভালো লাগলো খেকশিয়াল। খেকিয়ে উঠবেন না তো যদি বলি- এ দু'টো মুভির কোনোটাই দেখা হয়নি এখনও এই নাদানের?! হাসি
তবে, হ্যাঁ, দেখতে হবে।
ধন্যবাদ। হাসি

-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

বিপ্রতীপ এর ছবি

'গজিনী' গতকাল রাতে দেখলাম। ভালো প্রিন্ট পাচ্ছিলাম না বলে দেখা হচ্ছিল না বলে দেখা হচ্ছিল না। কাল রাতে অবশ্য বাজে প্রিন্টই দেখলাম। গতানুগতিক বলিউডমার্কা ছবি থেকে ভিন্ন, মোটামুটি ভালোই লেগেছে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...

আনারকলি এর ছবি

ছি ছি ছি। এই নাকি ভালো সিনেমা?

হিমু এর ছবি

অনলাইনে স্ট্রিমিং করে গজিনী দেখার কোন উপায় আছে?


হাঁটুপানির জলদস্যু

বিপ্রতীপ এর ছবি

এখানে দেখতে পারেন। তবে এসব লিঙ্ক দুদিন পরে আর কাজ করে না।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...

বৃষ্টি বিলাসিনী এর ছবি

খেকু'দা

মুভির কাহিনী যত ভালো লাগেনি তার চেয়ে ভাল লাগল পড়তে আপনার এই লিখা। মুভিটা দেখা হই শুধু মাত্র আমীর এর কারনে। কিন্তু সবার মত আমারও আশা বেশি ছিল।

"বেশ কিছু বাড়াবাড়ি, ভুল আর কিছু জায়গায় কাহিনী টেনে লম্বা করার (বুঝলাম না এ জিনিসগুলি আমিরের চোখ এড়িয়ে গেল কিভাবে, বেশ কিছু ভাল ছবি দেখার পর উনাকে কাজের ব্যাপের বেশ খুঁতখুঁতেই জানতাম) ব্যাপার আছে মুভিটাতে।"

উপরের " " করা প্রতিতা শব্দের সাথে আমি একমত। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর করে লিখার জন্য।

~মিনা~

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।