আজ সবার রঙে রঙ মেশাতে হবে .........

মাল্যবান এর ছবি
লিখেছেন মাল্যবান [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১১/০৩/২০০৯ - ১১:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সুজয়ের মনটা খুব খারাপ ।
পুটে , অর্ক, প্রতিম, তমোঘ্ন , দিব্যেন্দু ওরা সকলে বলেছিলো সকাল সকাল আসবে। কিন্তু এই কিছুক্ষণ আগে ওর মোবাইলের নতুন রিংটোন, “রাঙিয়ে দিয়ে যাও, যাও গো এবার যাবার আগে” বেজে উঠতেই ছুটে মোবাইল তুলেছে এবং দেখেছে প্রতিম কলিং ।
- “আমরা যেতে পারছি না বস, প্রোগ্রাম বাতিল” । প্রতিমের ঘোষনা ভেসে আসে ওপার থেকে ।
- “কেন ?”
- “ ধ্যুৎ ! অর্ক আসেনি, আসতে পারবে না জানিয়েছে । পুটে, তমোঘ্ন ওরা আসবে বলে তৈরী হয়েছিলো , কিন্তু ওদেরও নাকি কী একটা প্রোগ্রাম সেট হয়েছে……”
- কী যা তা বলছিস, তাড়াতাড়ি আয় । আটটায় আসার কথা, এখন সাড়ে আটটা বাজে ।
- আমি কি মজাক করছি বস ? তুই অর্ককে ফোন কর না ?

ফোন কেটে দিয়েছিলো সুজয় । ধ্যাৎ ! এখন এসব কথা বলার কোনো মানে হয় ! যদিও খুব তাড়াহুড়ো করে প্রোগ্রাম হয়েছে কাল রাতে, তখন তো সকলে রাজীও হল । সকালে ঘুম থেকে উঠে ও রেডি । এবার দোল অন্যরকম । সবাই মিলে পাজামা পাঞ্জাবী পরে সাইকেলে বেরুবে । সারারাস্তা গান গাইতে গাইতে যাওয়া হবে । ব্যাপক হবে । সবশেষে ইছামতীতে স্নান । সব গুবলেট হয়ে গেলো । অর্ক যাবে নাতো কি হয়েছে ? আমরা যেতাম । পরে নিজেরই মনে হোলো, অর্ক না গেলে রবীন্দ্রনাথের বসন্তের গানগুলো কে গাইবে ?

রাগ হল খুব । রেগে গিয়ে দোতলায় উঠে নিজের ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়লো চুপচাপ।

এমন সময় হৈ চৈ , অনেক সাইকেলের ঘন্টির শব্দ আর অনবরত ‘সুজয়’ সুজয়’ চীৎকার শুনে বারান্দা দিয়ে ঝুঁকতেই দেখে ওরা সবাই ।
“কিরে কেমন ভড়কি দিলাম ? নেমে আয় । চল চল, দেরী হয়ে যাচ্ছে” ।

আর দেরী করা যায় !

শুভদীপের বাড়ী পৌছতে পৌছতে প্রায় ন’টা । গিয়েই চেঁচিয়ে উঠলো ওরা “ হোলি হ্যায় ”। এই বাড়ীটা হচ্ছে ওদের সেন্টার । এ বাড়ীতে এলে কখনো মনে হয় না যে ওরা বিশুর কেবিনে নেই । শুভর বাবা-মা , মেসোমশাই মাসীমা এমন আন্তরিক যে ওরা খুব সহজ থাকতে পারে এ বাড়ীতে। মেসোমশাই চেঁচিয়ে উঠলেন , “ এই যে ছন্নছাড়া বাহিনী , এসো এসো”।

বেরুতে একটু দেরী হবে । মাসীমা বললেন। “দশ মিনিট, লুচি বেলা আছে, ভেজে দিচ্ছি, তোরা সবাই খেয়ে বেরুবি । দোল খেলে কখন না কখন ফিরবি । খিদে পেয়ে যাবে” ।
খিদে এখনই পেয়েছে সুজয়ের। সকাল থেকে ও কিছুই খায়নি। সবাই মিলে বসলো শুভদের ডাইনিং টেবিলে ।

আচমকা মেসোমশাই অর্ককে বললেন, “আচ্ছা অর্ক বাবু , এই যে তুমি বললে ‘হোলি হ্যায়’ আর তোমাদের মাসীমা বললেন ‘দোল’ এর মানে কী ? হোলি আর দোল কি এক না আলাদা ? নাকি একই” ?

পুটে হল গিয়ে বিশ্ব পাকা । ওর সব কিছুতেই পাকামী করা চাই । আমরা বুঝতে পারছি যে মেসোমশাই কিছু একটা বলবেন । মেসোমশাই এইরকমই । ওনার অবতারনার কায়দাটা বেশ জম্পেশ । একটা বেমক্কা প্রশ্ন করবেন তারপর নিজেই বলতে শুরু করবেন । কিন্তু পুটে ফট করে বলে উঠলো, “ না স্যর , হোলি হল বিহারীদের , আর দোল্টা বাঙালীর”

একমাত্র পুটেই মেসোমশাইকে ‘স্যর’ বলে এখনও । হায়ার সেকেন্ডারী পড়বার সময় মেসোমশাই ওদের ফিজিক্স পড়াতেন প্রতি রোববার। সুজয়রা মেসোমশাই বললেও পুটে ‘স্যর’ বলার অভ্যেস ছাড়তে পারেনি ।
- আজ্ঞে না , হে মহামহিম পুটেশ্বর, ওরকম সরলীকরন করলে চলবে না। সমগ্র উত্তর ভারতেই এর নাম হোলি বা হোরি । শুধু বিহারে নয় ।

সকলে হো হো হেসে উঠলো । পুটে ওদের মুরগী । ওরাও পুটের পেছনে ছুতো পেলেই লাগে । মেসোমশাইয়ের দেওয়া পুটেশ্বর নাম ওদের একটা বাড়তি রসদ দিলো।

- শোনো, দোল বল আর হোলিই বল, ব্যাপারটা আদতে এক । উত্তর ভারত ও অন্যান্য হিন্দীভাষী অঞ্চলে ওটা হোলি বা হোরি , আবার দক্ষিণ ভারতে এর নাম ‘কামায়ন ’ বা ‘মদন-দমন’ । এই দোল উৎসব গোয়াতে বা কোঙ্কন অঞ্চলে হল ‘শিমাগা’, চলে যা ওড়িশায় এর নাম ‘দোলোৎসব’ । নাম ভিন্ন ভিন্ন হলে হবে কি মূল চরিত্র কিন্তু এক ।

- মানে ? মূল চরিত্রটা কি মেসোমশাই ? দিব্যেন্দুর অবাক প্রশ্ন ।
- তুই বল ।
- চরিত্র আর কি , রঙ খেলা মানে আবীর খেলা , রঙ মাখানো এই তো ।

- না , একটা মূল বিষয় বলতে পারলি না, “পোড়ানো” । অবশ্য তোদের দোষ নেই , তোরা এসব দেখিস নি । আমরা দেখেছি , পুড়িয়েছি । হোলি শব্দটাই পোড়ানো অর্থ বহন করে । মেড়া পোড়ানো, বুড়ীর ঘর পোড়ানো , চাঁচর পোড়ানো। আগে জীবন্ত ভেড়া পোড়ানো হোতো এই হোলি উপলক্ষে। এখনো কোথাও কোথাও প্রতীকি ভাবে খড় দিয়ে ভেড়ার মূর্তি তৈরী করে বা জ্যান্ত ভেড়ার গায়ে আগুন ছুঁইয়ে প্রথাটাকে ধরে রাখা আছে । হিন্দিভাষী অঞ্চলে ‘সংবৎ জ্বালানো’র রীতি আছে। আবার মানুষের কুশপুত্তলিকাও পোড়ানো হয় কোথাও কোথাও। কলাগাছ, ভেরেন্ডা গাছ এগুলোও পোড়ানো হয় ।

- ইন্টারেস্টিং ! পুটে ফুট কাটে ।
- হ্যা , ইন্টারেস্টিং । দোল বা হোলি আসলে বেশ কিছু ভাবনা বা রীতির সমন্বয় । কোন কোন পন্ডিতদের মতে এটি শস্যোৎসব , কারোর মতে এটি যৌবনের উৎসব, কেউ এটাকে নববর্ষের উৎসবের একটি রূপ বলছেন । আসলে হোলি এ সব কিছুরই সমন্বয় ।
-দাঁড়ান স্যর, গুলিয়ে যাচ্ছে। পোড়ানোর কেসটা ক্লীয়ার করুন ।

-গোলানোর কিছু নেই পুটেবাবু , আমি আগেই বলেছি , কোথাও এর নাম হোলি বা হোরি । এটি সম্ভবত হোলিকা রাক্ষসীর পুড়ে যাওয়া থেকে এসেছে । এক্ষুনি জিজ্ঞাসা করবি নিশ্চই যে হোলিকা রাক্ষসীটা কে ? কেননা তুই তো রাক্ষসী বলতে শুধু তাড়কা রাক্ষসীর নাম শুনেছিস। হোলিকা হল হিরণ্যকশিপুর বোন । হিরণ্যকশিপু চায় সকলে ওর পূজা করুক , কিন্তু ওর নিজের ছেলে প্রহ্লাদ পূজো করবে না । মানে বাপ ছেলের ইডিওলজিকাল লড়াই । হোলিকা প্রহ্লাদকে কোলে নিয়ে আগুনে প্রবেশ করলো তাকে পুড়ে মারবে বলে । কিন্তু নিজেই পুড়ে মরল । এটা খাপ খাওয়ানো গল্প । এসবই কিন্তু পন্ডিতদের কথা বলছি । আমার নয় । কিন্তু পোড়ানো বরং শস্যোৎসবের একটা অঙ্গ ভাবতে পারিস । ঐ যে ভেড়া পোড়ানো , এ হচ্ছে শস্যদেবতার কাছে বলি প্রদান । আদিম প্রথা । আগুনে যা কিছু ফলমূল দেওয়া হল সেগুলোর ছাই মাঠে ছড়িয়ে দেওয়া হল । কেন ? না পরের বার ফসল ভালো হবে ।
- “বাবা , এটা তো জুম চাষের মতন” । শুভ মুখ খোলে এতক্ষন বাদে ।

- হ্যা , অনেকটা তাই । পাহাড় জঙ্গল পুড়িয়ে জমি তৈরী হল , সেই ছাই ছড়িয়ে দেওয়া হল জমিতে সার হিসেবে । আদিবাসী গোষ্ঠীর ভেতর এখনো খুঁজলে এই প্রথা পাওয়া যাবে ।

হঠাৎ মাসীমার আগমন আর গরম ও ফুল্কো লুচিও । সাথে ছোলার ডাল । মিস্টি ।
- তুমি আবার আজকে ওদের জ্ঞান দিতে বসলে কেনো ?
- আমি ওদের খাওয়া শেষ হওয়ার পর এক মিনিট বেশী সময় নেব না । এই তোরা খেতে শুরু কর । হ্যা , যা বলছিলাম , অনেকে আবার এই বহ্নি উৎসবকে কেউ নববর্ষের সূচনা উৎসবও বলেছেন । নতুন ঋতুর দোলাচল আবির্ভাবকে কেন্দ্র করে মানুষের আনন্দ উৎসব থেকে দোল কথাটি এসেছে বলেও মনে করেন কেউ কেউ । বসন্ত কাল । রঙীন ফুলের সমারোহ । তার পুস্পরেণু অর্থাৎ ফাগ থেকে এ উৎসব কোথাও “ফাগোয়া” নামেও পরিচিত ।
- তাহলে এই রঙ দেবার ব্যাপারটা ?
- আসছি । কিন্তু তার আগে আমি একটা কথা বলে নিই , কিছু কথা বলবো তাতে হয়তো তোরা সংকোচ বোধ করবি । কিন্তু ঐ যে কথায় আছে না ছেলে আর বাবার জুতোর মাপ এক হয়ে গেলে বাপ-ছেলে হয় বন্ধু ।

- হোলি বা দোলে কি দেখি আমরা ? আগুন জ্বালিয়ে পোড়ানো , রঙ মাখানো , আর নাচগানের সাথে নারী-পুরুষের একটু আবাধ মেলামেশা । এর মধ্যে আগুন জ্বালিয়ে পোড়ানোর বিষয়টা তো বুঝেছিস । এবার রঙ মাখানো । হোলিতে সাধারনত লাল ও সবুজ এই দুই রঙের প্রাধান্য । লাল রক্ত ও সবুজ বসন্তের নবীনপাতা মানে যৌবনের প্রতীক । অর্থাৎ কামনা ও যৌবনের । কেউ কেউ বলেন এটা যৌবনের উৎসব। গোয়ার শিমাগা তো তাই-ই , যৌবনোৎসব । আবার দক্ষিণ ভারতের কামায়ন মানে কাম + অয়ন (যাত্রা) । আসলে এ সবই আদিম জনগোষ্ঠীর উর্বরতাকেন্দ্রিক ধর্মসংস্কার থেকে আসা বলে পন্ডিতেরা মনে করেন । সন্তান কামনা, ফসলের কামনার জন্য বিভিন্ন সংস্কারের , প্রথার ব্যবহারিক রূপ । কামায়নের আর এক নাম মদন দমন অর্থাৎ কাম নিবৃত্তি । যৌনাচার কেন্দ্রিক বহমান প্রথা, রিচুয়াল এই সব মিশে গেছে বিভিন্ন উৎসবে , ব্রততে । মথুরা না বৃন্দাবন অঞ্চলে আমার ঠিক মনে নেই এক গ্রামের যুবকরা আর এক গ্রামের যুবতীদের সাথে নকল মারপিট করে । আগে হয়তো সত্যি সত্যিই হতো , এখন রীতিটা রয়ে গেছে । তারপর রঙ খেলা হয় । আবার পরদিন সেই যুবতীদের গ্রামের যুবকরা আগের যুবকদের গ্রামের যুবতীদের সাথে নকল মারপিট করে । রঙ খেলা হয় । মারপিট বলতে আমি জানি যদ্দুর , যুবকরা কুলো ধরে রাখে আর যুবতীরা তার ওপর লাঠিপেটা করে । এগুলো সবই সন্তান কামনা , উর্বরতার কামনা কেন্দ্রিক তন্ত্র মন্ত্র ও প্রথা । একটু আগে মেড়া পোড়ানোর কথা বলেছি , সেই ছাই দিয়ে গৌরীপট তৈরী করা , যা কিনা নারী যোনির প্রতীক , পুতুল তৈরী করা , এগুলো পন্ডিতেরা সন্তান কামনার প্রতীক মনে করেন ।
আমি একবার একটি ব্লগে পড়েছি যে দুমকায় কোনো এক চট্টোপাধ্যায় পরিবারে পূজোর সময় বলি চলাকালীন গায়ে রক্ত মেখে পরিবারের মেয়ে পুরুষ বাচ্চা বুড়ো সকলে মিলে মদ্য পান, নাচ গান করে থাকে ।
সব মিলিয়ে , নতুন শস্যের কামনা , নতুন বছরের আহ্বান , নব বসন্তের যৌবনের ডাক দেওয়ার অনুষঙ্গ দোলের উৎসবের মূল ভাবনা বলেই আমার মনে হয় ।

- মেসোমশাই আমাদের বাংলায় তবে এটা দোল কেন ? আর রাধাকৃষ্ণই বা কেন ?
- ভালো বলেছিস । বাংলা সাহিত্যে পড়েছিস তো বৈষ্ণব সাহিত্য । আমাদের বাংলায় বৈষ্ণব ধর্মের প্রসারের ফলে রাধাকৃষ্ণের প্রেম , বসন্তের রাসলীলা ও হোলি সমার্থক হয়ে গেছে । অনেকে মনে করেন রাধাকৃষ্ণ দোলনায় দোলেন বা দোলায় গমন করেন তা থেকে দোল কথাটির উৎপত্তি । শুনেছি ব্রহ্মবৈবর্ত পুরানে আছে যে রতিক্রীড়ার পর কৃষ্ণের নখের আঘাতে রাধার বসন রক্তবর্ণ হয়ে যাওয়ায় রাধা প্রকাশ্যে আসতে পারছিলো না । তখন কৃষ্ণ রঙ খেলার কথা ঘোষনা করেন । রঙ খেলা শুরু হলে সেই রঙে রাধার বসনের দাগ ঢাকা পড়ে যায় , আর রাধা বেরিয়ে আসেন । মোটের ওপর বাঙালীর দোল বৈষ্ণবধর্মাশ্রিত উৎসব । এখানে অশালীন শব্দ , অশালীন নাচ গান ততটা নেই । কেননা বাঙালী একটু রক্ষণশীল তো ! আর আমাদের প্রতিদিন যাকে বাদ দিয়ে আমরা ভাবতেই পারিনা সেই রবীন্দ্রনাথ দোলযাত্রা উৎসবকে পরিণত করলেন ‘ বসন্ত উৎসবে ‘ । আমরা মনে হয় মনেপ্রাণে রবীন্দ্র ভাবধারারই অনুসারী । দোল আমাদের কাছে প্রীতির উৎসব , প্রেমের উৎসব ।

-যাকগে তোরা বেরিয়ে পড় এখন । প্রায় সাড়ে ন’টা বাজলো । লুচিও শেষ সবার । যা সবাই হাত ধুয়ে নে ।
- হ্যা মেসোমশাই । এই বেরুচ্ছি । তবে আমাদের খুব ভালো লাগলো শুনে । এতো কিছু জানতাম না ।
- আমিও জানিনা রে । যা বললাম সবই পন্ডিতদের কথা । যেমন যেমন মনে পড়লো বললাম । কিছু হয়তো ঠিকমতো বলতে পারলাম না । যা বেরিয়ে পড় ।

সুজয়ের মনটা এখন বেশ ফুরফুরে । পেটটাও ভরা । সাইকেলে পা রাখলো সে । ওদিকে অর্ক গান ধরেছে “ আজ সবার রঙে রঙ মেশাতে হবে ” ।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

মাল্যবান দা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বাংলাদেশে দোল উৎসব হয় কিন্তু বোধহয় তা ঘরে ঘরেই। আমরা বাইরে থেকে তার খুব একটা কিছু বুঝি না। আপনার লেখা থেকে বেশ কিছু জানা গেলো।

মেঘের পরে
মেঘের কথকতা

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

দোলের বিস্তারিত ইতিহাস ও ভৌগলিক পরিবর্তনের সাথে সাথে তার রূপ পরিবর্তনের কথা বেশ সাবলীল ভাবে বর্ননা করেছেন। একদম একটানে পড়ে ফেলা যায়। সাধারণ ইতিহাসের মত একঘেঁয়ে কথন বলে মনে হয়নি। অসংখ্য ধন্যবাদ।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

কেমন গল্পে গল্পে ইতিহাস পাঠ হয়ে গ্যালো। ভালো লাগলো উপস্থাপনার এমন ঢংটি।

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

হোলী হ্যায় ... হ্যাপী বিলেটেড হোলী
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আপনি তো ভয়ংকর লোক, মশাই !
গল্পের ভাঁজে ভাঁজে দিব্যি পড়িয়ে দিলেন। হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মাল্যবান এর ছবি

@মেঘ
@ষষ্ঠ পান্ডব
@পান্থ

আপনারা সকলে আমার ধন্যবাদ জানবেন । আমি সচলে নবীন । বস্তুত এটি আমার দ্বিতীয় পোস্ট । একসময় লোকসংস্কৃতির পাঠ নিতে হয়েছিলো , আমাদের বাঙালী জাতির পূজা, ব্রত প্রচুর । এর পিছনে যত না ধর্মীয় কারণ তার চেয়েও বেশী পার্থিব কামনা বাসনা । গতকাল দোলযাত্রার ছুটিতে তাই ইচ্ছে হোলো আপনাদের সাথে এ বিষয়ে শেয়ার করি । আপনাদের ছুঁতে পেরেছি জেনে ভালো লাগছে ।

@সুলতানা পারভীন শিমূল

আর বলবেন না , বাজে অভ্যেস তৈরী হয়ে গেছে । কন্যাকে পড়ানোর সময় এই কায়দাটা ব্যবহার করে দেখেছি , গল্প করে বললে নীরস বিষয়ও তাকে পড়াতে পারতুম । যাক , আপনাকে ফাঁদে ফেলতে পেরেছি । পড়িয়ে নিয়েছি । হাঃ হাঃ
ভালো থাকবেন ।

লীনা ফেরদৌস এর ছবি

Lina Fardows

সবাই ভাবছে পড়ছি একটা গল্প
গল্পের সাথে ইতিহাস ছিল অল্প

বাহ খুব সুন্দর, আমিও এক টা কলির কৃষ্ণ-রাধার হোলি নামে ছড়া লিখেছি। পড়ার নিমন্তন্ন
থাকল।

Lina Fardows

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।