শামসুর রাহমানের কবিতায় নারী

নাজমুস সামস এর ছবি
লিখেছেন নাজমুস সামস [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৫/১০/২০০৯ - ৯:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সমাজে দুর্বলরা সব সময়ই নিগৃহীত হয়। এই দুবর্লদের এক বড় প্রতিভূ হচ্ছে নারী। নারীকে সবসময়ই হতে হয় অবহেলিত ও নিগৃহীত। তাদেরকে আমাদের সমাজ বিভিন্ন ছলে বলে কৌশলে বিভিন্ন ধরণের ফ্রেমে আটকিয়ে রাখে। ‘বুক ফাটেতো মুখ ফোটে না’ ‘সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে’ ‘ভাই বড় ধন রক্তের বাঁধন যদিও পৃথক হয় নারীর কারণ’এইসব কথা বলে আমরা প্রকারান্তরে নারীকে ছোট করে রাখি অবলা করে রাখি কারণ নারীকে আমরা এইভাবে দেখতে ভালবাসি। তাই কন্যা- জায়া -জননীসহ অন্যান্য সম্পর্কের যে নারী তারা আমাদের সমাজে কি অবস্থায় আছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা আমাদের সবচেয়ে প্রিয় যে মা তাকে শিশুকাল থেকেই নিগৃহীত হতে দেখি- শামসুর রাহমানের কবিতায় তা দৃপ্তভাবেই উঠে এসেছে-

কখনো আমার মাকে কোনো গান গাইতে শুনিনি।
সেই কবে শিশু রাতে ঘুম পাড়ানিয়া গান গেয়ে
আমাকে কখনো ঘুম পাড়াতেন কিনা আজ মনেই পড়েনা ।
কখনো আমার মাকে
(বিধ্বস্ত নীলিমা কাব্যগ্রন্থ)
এই পংক্তিগুলোর এবং পুরো কবিতায় মাকে তিনি যেভাবে চিত্রায়িত করেছেন তা আমাদের সমাজে মায়ের অবস্থানকেই তুলে ধরে এ কবিতারই আরো দুটি লাইন হচ্ছেÑ

সংসারে এসেও মা আমার সারাক্ষণ
ছিলেন নিশ্চুপ বড়ো,বড়ো বেশী নেপথ্যচারিণী

এই নেপথ্যচারিণী মায়েরাই কিন্তু পুরো সংসারের হাল টানেন -নিভৃতে আর আমরা বাবার পরিচয়ে পরিচিত হই বাবার নাম সব মহলে বলি আর মা থাকেন বন্দী রান্ন্া আর কান্নার ভিতর। সংসারে তারও যে গৌরবজ্জ্বল ভূমিকা আছে তা আমাদের সাথে সাথে তিনিও ভুলে যান। আর তাই কবি বলেন-

মার চোখে শৈশবের ক্রৌঞ্চ দ্বীপ ভাসে ?
চোখে বেনেবউ পাখি,চোখে চন্দ্রমল্লিকার দাবি
শঙ্কিত আভাসে আঁকা Ñভাবি
রান্না আর কান্না গাঁথা রুক্ষ এই মরুর আকাশে
এখনো কি স্বপ্ন বোনে ঊর্ণনাভ চাঁদ
আমার মাকে
(রৌদ্র করোটিতে)

আবার এই কবিতাতেই তিনি আরো বলেন,
মা’কে দেখি। আজো দেখি কী এক মায়ায়
পাখি তার হাত থেকে স্নেহের খাবার খেয়ে যায়
দু’বেলা আবেগ ভরে। দেখি তসবী গুনে
সন্ধার মিনারে
সত্তার কিনারে
ঐ দূরায়ণী আজানের ধ্বনি শুনে
আর সুবে সাদেকের তীব্র শুভ্রতায় নির্মেঘ আনন্দে শোকে
আজীবন সমর্পিতা কোরানের শ্লোকে

কী গভীর মমতায় তিনি মাকে চিত্রায়িত করেছেন । আমাদের সমাজে মায়ের ভূমিকাতো এরকমই ,সবার সামনে তুলে ধরে তিনি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন মায়ের জন্য আমাদের ভালোবাসা!

স্ত্রী বা বউ সম্পর্কেও আমাদের সমাজ একইরকম। মাওতো স্ত্রী তার স্বামীটি তাকে যে রুগ্ন করে রাখেন তার প্রকাশতো আমরা উপরের কবিতা ও শ্লোকগুলিতে দেখতে পাই তবুও শামসুর রাহমান তৃপ্ত নন। তিনি তার ‘পারিবারিক অ্যালবাম’ কবিতাটিতে স্ত্রীর স্বরূপ উল্লেখ করেছেন এভাবে-
...তার ভিতরে বিধবার ধবধবে শাড়ির
মতো দুপুর কখনো অগাধ জ্যোৎস্নার বিস্তার
কখনো তার ভিতর থেকে ভেসে আসে আকর্ণ হাসি

কখনো ডুকরে ওঠে কান্না
... ... ... ... ... ... ... ...
কখনোবা কবরের বাতির ব্যথিত কম্পন
(আমার কোন তাড়া নেই)

কবিতার শেষে দাড়ি না দিয়ে তিনি যেন অনন্ত ব্যাথার প্রকাশ ঘটিয়েছেন।
এইভাবে তার অনেক কবিতায় তিনি পরম যতেœ নারীকে ভগ্নি- জায়া- জননীতে চিত্রায়িত করেছেন। ‘আসাদের শার্ট ’ কবিতায় তার আরও একটি প্রকাশ আমরা দেখি যেখানে বোনের ছবিটিও সমুজ্জ¦ল-

বোন তার ভায়ের অম্লান শার্টে দিয়েছে লাগিয়ে
নক্ষত্রের মতো কিছু বোতাম কখনো
হৃদয়ের সোনলী তন্তুর সুক্ষতায়
(নিজ বাসভূমে)

নারীকে আমরা মানুষ হিসেবে দেখি না দেখি ভোগের বস্তু হিসেবে আর তাই আমরা ভুলে যাই জেন্ডার ও সেক্সের পার্থক্য। শামসুর রাহমান তার কবিতায় মনে করিয়ে দেন সামাজিক ভাবে গড়ে উঠা নারী পুরুষের পরিচয়, সামাজিক ভাবে নির্ধারিত নারী পুরুষের মধ্যকার সম্পর্ক, সমাজ কর্তৃক নির্ধারিত নারী পুরুষের ভূমিকা, যা পরিবর্তনযোগ্য। মনে করিয়ে দেন মেইনস্ট্রিম হচ্ছে-
ঞযব সধরহংঃৎবসরহম রং ঃযব ঢ়ষধপব যিবৎব ফড়সরহধহঃ রফবধং,ফরৎবপঃরড়হং ঢ়বড়ঢ়ষব ধহফ ড়ৎমধহরুধঃরড়হং ধৎব ষড়পধঃবফ,ধহফ যিবৎব ফবপরংরড়হং ধৎব সধফব ধনড়ঁঃ যড়ি ঃযরহমং রিষষ নব ড়ৎমধহরুবফ ধহফ যিধঃ রিষষ যধঢ়ঢ়বহ. ওঃ রং ঃযব রফবধং ঢ়বড়ঢ়ষব ধহফ ঢ়ৎধপঃরপবং রহ ঃযব সধরহংঃৎবধস ড়ভ ধহু রহংঃরঃঁঃরড়হ,ঃযধঃ ফবঃবৎসরহব যড়ি ৎবংড়ঁৎপবং ধহফ ড়ঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃরবং মবঃ ধষষড়পধঃবফ ধহফ যিড় মবঃং যিধঃ.( সধরহংঃৎবসরহম: অ ংঃৎধঃবমু ভড়ৎ অপযরবারহম বয়ঁধষরঃু নবঃবিবহ ড়িসবহ ধহফ সবহ,ঝরফধ,১৯৯৬)
সিডও(ঈঊউঅড) ধারাসমূহের পরিচ্ছেদ ২ এর ধারা ৯ এর (২) নং এ উল্লেখ আছে,শরীক রাষ্ট্রসমূহ ,নারীকে তাহার সন্তান-–সন্ততি জাতিয়তার ক্ষেত্রে পুরুষের মতই সমান অধিকার প্রদান করিবে। আবার আমাদের সংবিধানের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি-১০ এ উল্লেখ আছে,জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করিবার ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হইবে। এই ধরণের কথা শামসুর রাহমান মনে প্রানে বিশ্বাস করতেন বরেই তার কবিতায় শোষিত, বঞ্চিত এবং নির্যাতিত নারী সমাজের কথা বারবার এসেছে। মাকে নিয়েই তিনি লিখেছেন অনেকগুরি কবিতা (দ্রষ্টব্য:বহুদিন পর মাকে:ধূলায় গড়ায় শিরস্ত্রাণ) যেন এই বঞ্চনা থেকে তিনি তাদের মুক্তি দিতে চেয়েছেন। এ কারণেই কবির কন্ঠ থেকে বের হয়ে আসে-
রূপের মলম মেখে সুচতুর মোমের ঊরুর
মদির আগুন জ্বেলে পুরুষের কবন্ধ বিনোদ
কখনো জানিনি আগে এত ক্লান্ত, এত ক্লান্ত তুমি।
কোনো পরিচিতাকে
(প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে)
উপরের লাইনগুলোই বলে দেয় নারীকে নিয়ে তার ভাবনার কথা,পুরো কবিতাটিতে তিনি নারী অর্থাৎ যারা অবহেলিত সমাজে তাদেরকে নিয়ে গভীর দু:খের বাস্প উদগীরণ করেছেন। তাকে সেজন্য কোন ধারাও পড়তে হয়না অথবা বানাতে হয়না কোন আইন। হৃদয়ের সুগভীর অনুভ’তি দিয়ে যা তিনি পান করতে চানতার স্বচ্ছ জল দিযে ধুয়ে দিতে চান সমাজকে। কোন জাতির অস্থিত্বকে বাঁচিয়ে রাখে সেই জাতির কবিতা বা সাহিত্য। এই কবিতা লেখার জন্য কবিকে হতে হয় মহৎ। এজরা পাউন্ড বলেন,ওভ ধ হধঃরড়হং ষরঃবৎধঃঁৎব ফবপষরহবং,ঃযব হধঃরড়হ ধঃৎড়ঢ়যরপং ধহফ ফবপধুং. সমাজের একটি বৃহৎ অংশ যারা সমাজে নেপথ্যচারীণীর ভ’মিকায় থাকেন তাদেরকে নিয়ে কবিতা লিখে মানুষকে তাদের জন্য কর্তব্যকর্ম করার অণুপ্রেরণায় তিনি লিখে যান-

শৈশবে জননী তার মাথার সতেজ ঘ্রাণ নিয়েছেন কত
কখনোবা স্নেহ ভরে মাথার ওপর হাত রেখে,
মনে পড়ে ,পড়েছেন দোয়া আর দরূদ অনেক,
এখনতো মাঝে মাঝে পড়ন্ত বেলায় স্মৃতি জাগানিয়া স্পর্ষে
বিলি কেটে দেন চুলে,দয়িতা মাথাটা তার কম্পিত দু’হাতে
নিয়ে বুকে কী বিপুর আবেগের খরেেস্রাতে ভেসে
জড়িয়ে ধরেছে কতবার।
সংকটে কবির সত্তা
(শুন্যতায় তুমি শোকসভা)
এভাবে শামসুর রাহমান তার কবিতার মাধ্যমে সমাজের দুর্বল অংশ যে নারী তার কথা বলে আমাদের সচেতন করে তোলেন।


মন্তব্য

ভুতুম এর ছবি

চমৎকার আলোচনা! এরকম আরো পড়তে চাই।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

নাজমুস সামস এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে।

রানা মেহের এর ছবি

খুবই গ্রহনযোগ্য আলোচনা
কিন্তু লেখার মাঝে একটা টেক্সটবুক টেক্সটবুক ব্যাপার থাকায়
উপভোগ করা গেলনা।

আরেকটা কথা
শামসুর রাহমানের কবিতায় নারী শিরোনামে
মাকেই খুঁজে পেলাম অনেক বেশী।
নারী পেলাম না সেভাবে।

লেখাটায় আরোকিছু সংযোজন করা যায় কি?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নাজমুস সামস এর ছবি

আমি আপনার সাথে একমত। দেখি আরো কিছু সংযোজন করবো।
ধন্যবাদ আপনাকে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভাইজান নীচের অংশটা ঠিক করতে হবে:

সমাজ কর্তৃক নির্ধারিত নারী পুরুষের ভূমিকা, যা পরিবর্তনযোগ্য। মনে করিয়ে দেন মেইনস্ট্রিম হচ্ছে-
ঞযব সধরহংঃৎবসরহম রং ঃযব ঢ়ষধপব যিবৎব ফড়সরহধহঃ রফবধং,ফরৎবপঃরড়হং ঢ়বড়ঢ়ষব ধহফ ড়ৎমধহরুধঃরড়হং ধৎব ষড়পধঃবফ,ধহফ যিবৎব ফবপরংরড়হং ধৎব সধফব ধনড়ঁঃ যড়ি ঃযরহমং রিষষ নব ড়ৎমধহরুবফ ধহফ যিধঃ রিষষ যধঢ়ঢ়বহ. ওঃ রং ঃযব রফবধং ঢ়বড়ঢ়ষব ধহফ ঢ়ৎধপঃরপবং রহ ঃযব সধরহংঃৎবধস ড়ভ ধহু রহংঃরঃঁঃরড়হ,ঃযধঃ ফবঃবৎসরহব যড়ি ৎবংড়ঁৎপবং ধহফ ড়ঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃরবং মবঃ ধষষড়পধঃবফ ধহফ যিড় মবঃং যিধঃ.( সধরহংঃৎবসরহম: অ ংঃৎধঃবমু ভড়ৎ অপযরবারহম বয়ঁধষরঃু নবঃবিবহ ড়িসবহ ধহফ সবহ,ঝরফধ,১৯৯৬)
সিডও(ঈঊউঅড)

বাকীরা কি পড়তে পেরেছেন? চিন্তিত

ছায়ামূর্তি [অতিথি] এর ছবি

আমি পড়তে পেরেছি। হাসি
কিন্তু বুঝতে পারিনি !

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বলেন কি? এই ধড়রমড়র পড়লেন কিভাবে? হো হো হো

মূলত পাঠক এর ছবি

যাক আমি ভাবলাম আমার চোখটাই বোধ'য় বিগড়েছে। ধড়রমড়র নিয়ে আরো কারো সমস্যা হচ্ছে দেখে আশ্বস্ত হলাম।

নাজমুস সামস এর ছবি

ধন্যবাদ।

নাজমুস সামস এর ছবি

উত্তর পেয়েছেন নিশ্চয়ই।

নাজমুস সামস এর ছবি

এবার বোধহয় বুঝতে পারছেন।
ধণ্যবাদ আপনাকে।

নাজমুস সামস এর ছবি

কনভার্টে সমস্যা হয়ে গেছে। এটা হবে
The mainstreming is the place where dominant ideas,directions people and organizations are located,and where decisions are made about how things will be organized and what will happen. It is the ideas people and practices in the mainstream of any institution,that determine how resources and opportunities get allocated and who gets what.( mainstreming: A strategy for Achieving equality between women and men,Sida,1996)
আশা করছি এবার বুঝতে পারছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

রানা মেহের এর ছবি

আমি পেরেছি।
মানে আপনি যা পড়েছেন দেঁতো হাসি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নাজমুস সামস এর ছবি

ধন্যবাদ।

পলাশ দত্ত এর ছবি

শামসুর রাহমানের কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে তারপর (অথবা আগে) সেটার একটা ব্যাখ্যা (অথবা সম্পর্কিত করার মতো) বাক্য আছে এই লেখাটায়। উদ্ধৃতাংশগুলি পড়ে পাঠকটির (এই লেখাটির লেখকের) কী প্রতিক্রিয়া হয় সেটা নাই। থাকলে ভালো হতো।

কবিতার এই ধরনের প্রাণহীন আলোচনা কবিতাকে মানুষের কাছ থেকে আরো দূরে সরিয়ে নেয়।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

নাজমুস সামস এর ছবি

ধন্যবাদ।

রণদীপম বসু এর ছবি

চালিয়ে যান আপামণি।
নারীকেই শেষপর্যন্ত নারীমুক্তির জন্য লড়তে হবে। নরলেখকদের আলোচনায় শেষপর্যন্ত পুরুষাঙ্গিকটা থেকেই যায়। আশা করি এধরনের আরো লেখা পাবো আপনার কাছ থেকে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

নাজমুস সামস এর ছবি

ব্যাটা মাইনষের ফটো
তাড়াতাড়ি হটো।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি রানা মেহেরের সঙ্গে সহমত পোষণ করলা। আলোচনায় নারী প্রসংগ পুরোপুরি আসে নাই।

মহসীন রেজা

নাজমুস সামস এর ছবি

সহমত পোষণ করছি।ধন্যবাদ আপনাকে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।