নিশানা

জহিরুল ইসলাম নাদিম এর ছবি
লিখেছেন জহিরুল ইসলাম নাদিম [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০১/০৯/২০১১ - ৮:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এখন শুধু অপেক্ষা করার পালা। জুৎসই মতো একটি জায়গায় ঘোড়াটিকে দাঁড় করিয়ে রেখে তার ছায়ায় বসে পড়ল মেষপালক। তার পাশেই আধ হাত মত দূরত্বে পেছনের পায়ের ওপর ভর দিয়ে বসেছে কুকুরটা। সামনের পা দুটোকে তীর্যক ভাবে টান টান করে চিরাচরিত কায়দায়। মুখের তুলনায় অস্বাভাবিক বড় জিবটাকে ঝুলিয়ে দিয়ে মাথাটাকে দোলাতে লাগল একটা ছন্দ বজায় রেখে। মেষপালক হাত বাড়িয়ে বার কয়েক কুকুরের মাথা ছুঁয়ে দিল আদর করার ভঙ্গিতে।

গরমটা অস্বস্তিকর ঠেকছে খুব। কিন্তু উপায় নেই। আজকে একটা উপযুক্ত শিক্ষা দিতে হবে ব্যাটাকে! দৃঢ় ইচ্ছার কাছে গরমের কষ্ট-টষ্ট কিচ্ছু না। কিছু দেখার আগেই ইঞ্জিনের তীব্র ওঠা-নামার শব্দ শোনা গেল হঠাৎ। সাথে সাথে সতর্ক হয়ে গেল মেষপালক। তার চোখ জ্বলজ্বল করে উঠল। এই মুহূর্তের জন্যেই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে আছে সে। জিনের সাথে বেধে রাখা রাইফেলটাকে ছাড়িয়ে নিল সে দ্রুত হাতে। তারপর পা মুড়ে বসে বাঁ হাঁটুর ওপর বাঁ কনুইটা রাখল। ডানহাত চলে গেল ট্রিগারে। কাছাকাছি একটা টিলার ওপর দিয়ে স্থির তাকিয়ে রইল সে। ওখান দিয়েই প্লেনটার আসার কথা। আগের মতো এবারও প্লেনটার গতি মেষপালককে দারুণ ধাঁধায় ফেলে দিল। মাত্র ক সেকেন্ড আগেও দিগন্তরেখা সম্পূর্ণ খালি ছিল- মুহূর্তের মধ্যেই তার ধূসর অবয়ব রাইফেলের নিশানাছিদ্র ভরিয়ে দিল। প্লেনের পিছন দিকটা লক্ষ্য করে ট্রিগার টিপল মেষপালক। পাইলটকে আহত করার কোনো ইচ্ছে তার নেই। রাইফেলের বিস্ফোরণের আওয়াজ জেটপ্লেনের প্রচন্ড আর্তনাদে মিলিয়ে গেল। মেষপালকের হাজারো ভেড়া ছুটতে লাগল দিগ্বিদিক জ্ঞানশূণ্য হয়ে। যেভাবে হঠাৎ এসেছিল ঠিক সেভাবেই হাওয়ায় মিলিয়ে গেল প্লেন, শুধু দ্রুত অপসৃয়মান শব্দের সাথে বিক্ষিপ্ত হয়ে যাওয়া ভেড়ার পালগুলো তার চলে যাওয়ার চিহ্ন হয়ে থাকল।

মেষপালক খালি কাতুর্জের খোলসগুলো গুণে দেখল। চারটি। এবার হয়তো পাইলট বেচার বুঝবে ভেড়া নিয়ে খেলা কত মারাত্মক হতে পারে! রাইফেলটিকে রিলোড করে আগের জায়গায় বেঁধে রাখল সে। তারপর ঘোড়া এবং কুকুর নিয়ে ভেড়াগুলোকে একত্র করার কাজে নেমে পড়ল। একটা ভেড়ি মারা পড়েছে দৌড়াদৌড়িতে। দ্রুতহাতে তার চামড়া থেকে পশম ছাড়িয়ে তা জিনের সাথে বেঁধে নিল মেষপালক। অন্ধকার ফিকে হয়ে আসা পযর্ন্ত কাজ চালিয়ে গেল সে। ভোর হবার পর আবার ঘোড়ার ওপর চড়ে বসল মেষপালক। তার সমস্ত হাড়গুলো যেন ব্যথা করছে- মাংসপেশীগুলো শক্ত অনমনীয় হয়ে গেছে। রৌদ্র পূর্ণোদ্যমে ওঠা পযর্ন্ত শরীরের ম্যাজম্যাজানী রয়েই গেল। দুপুর নাগাদ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া শেষ ভেড়াটিকেও সংগ্রহ করা গেল। লাগাম টেনে ঘোড়ার দিক ঘুরিয়ে দিল মেষপালক। ক্যাম্পে ফিরে যাচ্ছে সে। কুকুরটা ভেড়াগুলোকে তাড়িয়ে নিয়ে আসতে লাগল পেছন পেছন। এক মাইল আন্দাজ দূরে থাকতেই মেষপালক দেখতে পেল ক্যাম্পের বাইরে অনেকগুলো গাড়ি থেমে আছে। গুলিগুলো জলে যায়নি তাহলে! যদিও প্লেনটা উড়ছিল দুরন্ত গতিতে কিন্তু লক্ষ্যস্থিরের সূত্র একটুও পরিবর্তিত হয়নি গত বেয়াল্লিশ বছরে! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কম করে হলেও তিন তিনটি স্টুকাস সে গুলি করে নামিয়েছে এই হাতে। যে কাজ সে ভালবাসে সেই ভেড়া দেখা শোনা করবার চুক্তিতে সে স্পেনের বাস্ক প্রদেশ ছেড়ে এসেছে উত্তর আমেরিকার এই এলাকায়। সামান্য কটি ছাড়া ইংরেজী শব্দ শেখার কোনো চেষ্টাই করেনি সে। রেঞ্চে সবার কাছে তার পরিচিতি জিম হিসেবে। এর কারণ হলো পাসপোর্টে লেখা তার বিশাল নামের শুধু এই অংশটুকুই উচ্চারণযোগ্য। যে রেঞ্চার তাকে ভাড়া করেছিলেন আবেদনপত্রে বয়স সাতান্ন দেখে প্রথমে একটু দ্বিধায় পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু মুখোমুখি পরিচয়ের প্রথম ক্ষণেই জিমকে পছন্দ হয়েছে তার। আর ক দিন যেতেই বুঝেছেন কাজের জন্য ঠিক লোককেই নিয়ে এসেছেন তিনি। তাছাড়া জিমকে পুরো বিশ্বাসও করা যায়। রেঞ্চার সপ্তাহে দুবার জিমের সাথে দেখা করেন। তার জন্য খাবার, পানি ও অন্যান্য সরবরাহ নিয়ে আসেন। গত দু বছরে তিনি একবারও জিমের কাজে অসন্তুষ্ট হননি। রাইফেল নিয়ে কোনো কথাই বলেনি জিম। শুধু দু হাত ব্যবহার করে মূকাভিনয় করে দেখিয়েছে গুলি করার দৃশ্য। মুখে বলেছে ‘ব্যাং ব্যাং’
‘ওহ্ রাইফেল...। আবার রাইফেলের দরকার পড়ল তোমার’, বলতে বলতে পিক আপের সিটের পেছন থেকে খুঁজে পেতে একটা পুরনো, জীর্ণ ৩০-৩০ উইনচেস্টার বার করলেন রেঞ্চার। আট নয়টি কাতুর্জসহ একটি ছেঁড়া বাক্স আর রাইফেলটিকে ধরিয়ে দিলেন জিমের হাতে।
‘আরো’ মেষপালক বলল। আঙ্গুল দিয়ে গুলির বাক্সটা দেখাল।
‘ওহ জিম! এতো গুলি দিয়ে তুমি কী করবে? যাকে তাকে শুট করতে চাও নাকি!’
‘আরো’ জিম আবার বলল। এবার বেশ দৃঢ় ভাবে। শ্রাগ করলেন রেঞ্চার। পিক আপের মালপত্র ওলট-পালট করে এবার বের করে আনলেন এক বাক্স নতুন তরতাজা বুলেট। জিমের হাতে তুলে দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
‘আর কিছু লাগবে জিম? ময়দা, পানি?’
‘যথেষ্ট’, অসমাপ্ত বাক্য শেষ করল জিম, ‘ওকে’
ধূলোর মেঘ উড়িয়ে দিয়ে পিক আপ হেকে চলে গেলেন রেঞ্চার। ধূলোগুলো পুনরায় স্বস্থানে ফিরে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করল জিম। তারপর একটি কার্ডবোর্ড বাক্সকে টার্গেট বানিয়ে শুটিং প্র্যাকটিস শুরু করল। পাঁচ নম্বর গুলিটা ছুঁড়েই যন্ত্রটার ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আনতে পারল জিম। গুলি নিশানা ভেদ করেছে। অর্জিত দক্ষতা সহজে হারায় না চিন্তা করে খুশি হয়ে উঠল সে। দু বছর ধরে ইউ এস নেভির বোমারু বিমানগুলোর মহড়া দেখে জিম চমৎকৃত হয়েছে। ফাইটারগুলো তাদের রেঞ্চের উত্তরে বোমাবর্ষণ দূরত্বের বাইরে থেকে মহড়া চালায়। তার রেঞ্চার ইশারা আর বাক্যের ভগ্নাংশ ব্যবহার করে বুঝিয়েছেন যে বিমানগুলো কদাচিৎ তাদের নিদির্ষ্ট রুট ত্যাগ করে। আর সেগুলো কখনো পাঁচ শ ফুটের নিচে নামে না। সেই বিকেলে একটি ফাইটার যখন তার নির্দিষ্ট রুট ছেড়ে এসে তীব্র গর্জন করে তার ভেড়ার পাল লক্ষ্য করে নিচে নেমে আসতে লাগল তখন জিম এতটাই অবাক হয়ে গেছিল যে হা করে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি। জিমের বিস্মিত চোখের সামনে দিয়ে ভয় পাওয়া ভেড়াগুলো পালাতে লাগল এদিক-ওদিক। জিম তাতে খুব একটা রাগান্বিত হয়নি। হয়তো পাইলট ইঞ্জিনের গোলযোগের জন্য এমন করতে বাধ্য হয়েছে।

মেষপালককে পাক্কা দুই দিন সকাল-সন্ধ্যা প্রাণান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে ভেড়াগুলো এক সাথে করতে। কিন্তু তারপরের দিন দুপুরেই বিমানটি আবার ফিরে এলো। গায়ে লেখা নম্বর দেখে জিম বিলকুল বুঝেছিল এটা সেই বিমান। এবারও আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো। গর্জন করতে করতে নিচে নামল ফাইটার, দু দিনের রক্ত ঘাম করা পরিশ্রমকে কাঁচকলা দেখিয়ে ভেড়ার পালকে আবার বিচ্ছিন্ন করে দিল এদিক সেদিক। এ পর্যায়ে একটা ভেড়া মারা পড়ল। জিমের রাগ চড়ে গেল প্রচন্ড রকম। অমানুষিক পরিশ্রম করে ভেড়াগুলোকে জড়ো করতে করতে শান্ত স্থির ভাবে পাল্টা যুদ্ধের পরিকল্পনা গুছিয়ে আনল সে। আজ সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটিয়েছে জিম।

ক্যাম্পের কাছাকাছি হয়ে জিম দেখল একদল মানুষ কিছু বলাবলি করছে। লোকগুলোর মাঝখানে আছে তার নিয়োগকর্তা। লোকগুলোর ইউনিফর্মই প্রকাশ করছে তার সশস্ত্রবাহিনীর লোক। জিমকে দেখে রে রে করে উঠলেন রেঞ্চার। এক পাশে সরে এসে বললেন, ‘জিম তুমি নাকি একটা ফাইটারকে গুলি করেছ?’
মেষপালক হ্যাঁ সূচক জবাব দিল ঘাড় নেড়ে।
‘কেন করেছ? তারা এখন আমাদের এই রেঞ্চ থেকে উঠিয়ে ছাড়বে!’ আশু বিপদের কথা চিন্তা করে রীতিমত হায় হায় করে উঠলেন রেঞ্চার। মেষপালক বোঝাবার চেষ্টা করল। জিহ্বার চেয়ে হাতই ব্যবহার করল বেশি। ইশারায় প্লেনের ডাইভ দেয়া দেখাল এবং এর ফলে ভেড়ার পালের কী অবস্থা হলো তাও ব্যক্ত করল।
‘বেশ আমি কথা বলছি তাদের সাথে’, রেঞ্চার একদল পাথরের মতো নির্লিপ্ত চেহারার মানুষের মুখোমুখি দাঁড়ালেন। ‘ও বলছে ফাইটারটি ভেড়ার পাল লক্ষ্য করে ডাইভ দেয়, তাদেরকে ভয় পাইয়ে দেয়- এক জোড়া ভেড়াকে মেরেও ফেলে। একবার নয়, তিন তিন বার এই ঘটনা ঘটে’।
‘অসম্ভব!’ ইউনিফর্মে বেশ কতগুলো সারিবদ্ধ মেডেল সমৃদ্ধ এক অফিসার চেঁচিয়ে উঠলেন সংগে সংগে, ‘আইন ওসবকে বরদাশত করে না। আপনার লোক মিথ্যে বলছে’
মেষপালক শব্দ না বুঝলেও বলার ভঙ্গিতে ব্যাপার বুঝে থাকবে। সে আবার রেঞ্চারের সাথে ভাব বিনিময় করল হাত চালিয়ে।
‘জিম জানতে চাইছে আপনাদের কাছে কি বিমানটির কোনো ছবি আছে যাতে গুলির আঘাত দেখা যায়?’
অফিসার তার একজন সহচরের দিকে হাত বাড়ালেন। লোকটা ইতোমধ্যে চকচকে কতগুলো সাদা-কালো ছবি বের করে দিয়ে দিল অফিসারের হাতে। অফিসার সেগুলো দিলেন রেঞ্চারের হাতে, ‘এই যে প্রমাণ-দেখুন’।
রেঞ্চার ছবিগুলো মেষপালককে দেখালেন। সে গুলি ঢোকার এবং বেরুবার ছিদ্রগুলোর দিকে রেঞ্চারের মনোযোগ আকর্ষণ করল। একটা গুলি মিস করেছে। বয়সকে কিঞ্চিৎ ভর্ৎসনা করল জিম মনে মনে।
একটা দেঁতো হাসি হেসে রেঞ্চার ইউনিফর্মের সারির দিকে এগুলেন, ‘যদি কিছু মনে না করেন- আমাদের একটা প্রশ্ন ছিল। পাইলট বলছেন তিনি কখনো বেঁধে দেয়া উচ্চতার নিচে নামেননি, ঠিক?’
অফিসার দ্রুত সম্মতি ব্যক্ত করলেন, ‘এটাই নিয়ম’।
‘তাহলে ভদ্রমহোদয়গণ, আমরা একটা গোপন ব্যাপার আবিষ্কার করেছি’, রেঞ্চার নাটকীয়তা ছড়ালেন তার কথায়,’ছবির এইখানটার ছিদ্রগুলোর দিকে একটু লক্ষ্য করুন- গুলি কোন দিক দিয়ে ঢুকেছে এবং কোন দিক দিয়ে বেরিয়েছে, প্রায় সমান্তরাল রেখায়- দেখুন’, অফিসার রেঞ্চারের দিকে ভাবলেশহীন চোখে তাকিয়ে রইলেন। কিন্তু তার একজন সহকারীর মুখ কেন যেন আরক্তিম হয়ে গেল মুহূর্তে।
‘রাইফেলের গুলি কীভাবে একটি বিমানকে সমান্তরাল ভাবে ভেদ করে যখন বিমানটি থাকে পাঁচশ ফুট ওপরে আর জিম মাটিতে?’ রেঞ্চার এইটুকু বলে একটু থামলেন। সবার প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করছেন। একজন সহকারী সশব্দে হেসেই দিচ্ছিল অনেক কষ্টে মুখে হাত চাপা দিয়ে থামাল। যে লোকটির চেহারা লাল হয়ে উঠছিল তার গালে লালের পরিমাণ আরো বাড়ল।
‘এক ভাবেই সেটা হতে পারে—আর সেটা হলো জিমকে উড়তে জানতে হবে!’ রেঞ্চার তার কথাবোমাগুলো ফাটিয়ে যেতে লাগলেন। অফিসার প্রায় ছোঁ মেরে রেঞ্চারের হাত থেকে ছবিগুলো নিলেন তারপর থ হয়ে কতক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন তার দিকে। এরপর তিনি কড়া চোখে সহকারীর দিকে তাকালেন। সে ততক্ষণে অ্যাটেনশনের ভঙ্গিতে টানটান ভাবে দাঁড়িয়ে পড়েছে।
‘ইয়েস স্য-আ-র! পাইলট বলল, ‘মনে হচ্ছে আমারই ভুল স্যা-আ-র!’
‘ইয়েস মিস্টার! ভুল আপনারই’, অফিসার অশান্ত গলায় বললেন, ‘মাফ চাও’
‘ইয়েস স্যা-আ-র’, পাইলট থতমত খেয়ে মেষ পালকের দিকে হাত বাড়িয়ে দিল,’ মাফ চাইছি- আমি সত্যি অনুতপ্ত’। মেষপালক করমর্দন করল। তার ঠোঁটে হাসির লেশমাত্র নেই।
এক সপ্তাহ পরে আবার সেই বিমানটি তার মহড়ার সীমানা থেকে বেরিয়ে এলো। কিন্তু এবার পাঁচশ ফুটের নিচে নামল না। একটু দক্ষিণে উড়ে এসে তার পাখা দুলাতে লাগল মেষপালক আর তার ভেড়ার পালকে লক্ষ্য করে। জিম বুঝল পাইলটের উদ্দেশ্য এবার ভিন্ন। সে ও তার হ্যাট খুলে আন্দোলিত করে অভিনন্দনের পাল্টা জবাব দিল। একটা গোল চক্কর দিয়ে প্লেন চলে গেল তার নির্দিষ্ট রুটে। জিমের মনে পড়ে গেল সেই সব দিনের কথা যখন সেও তরুণ ছিল। আবেগে দৃষ্টিটা সামান্য ঝাপসা হয়ে এলো তার। মাতৃভাষায় কী যেন বিড় বিড় করল সে।

(বিদেশী গল্পের অনুবাদ)

[আজ থেকে কুড়ি বছর আগে (০৫/০৮/১৯৯১) রিডার্স ডাইজেস্টের একটি গল্পকে অনুবাদ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কেন যেন তখন কোথাও ছাপতে দিইনি। বই গোছাতে গিয়ে পুরনো যে লেখাগুলো পেয়েছিলাম এই লেখাটাও সেখানে ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো স্ক্রিপ্টের প্রথম পাতাটা হারিয়ে গেছে। যেখানে গল্প আর তার লেখকের নাম ছিল। এতদিন পর হওয়াতে নামটা মনে করতে পারছি না। আর ম্যাগাজিনটাতো নেই-ই। ভাবলাম লেখাটা সচলায়তনে দেই। নিশ্চয়ই মূল গল্পটি পড়া কোনো পাঠকের চোখে পড়বে এটি। তখন গল্পের নাম এবং লেখকের নাম জানা যাবে। সম্ভবত আশির দশকের শেষের দিকে রিডার্স ডাইজেস্টের কোনো এক সংখ্যায় এই ক্ল্যাসিকটি প্রকাশিত হয়েছিল।]


মন্তব্য

রু (অতিথি) এর ছবি

নাম ঠিকানা জানি না। কিন্তু লেখাটা খুব ভালো লেগেছে।

জহিরুল ইসলাম নাদিম এর ছবি

ধন্যবাদ রু!

কল্যাণF এর ছবি

ভাল লেগেছে চলুক

জহিরুল ইসলাম নাদিম এর ছবি

ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল! হাসি

নজমুল আলবাব এর ছবি

মন ভরিয়ে দিলেন। পুরনো বন্ধু তিমুরকে মনি করিয়ে দিলেন।

জহিরুল ইসলাম নাদিম এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে কষ্ট করে পড়া ও মন্তব্য করার জন্য। আর তিমুর?

নজমুল আলবাব এর ছবি
রিশাদ_ ময়ূখ এর ছবি

অনুবাদ ভালো হয়েছে, গল্পটাও ভালো। কিন্তু আগে পড়িনি, তাই আপনাকে সাহায্য করতে পারলাম না

জহিরুল ইসলাম নাদিম এর ছবি

কী আর করা!!! যা হোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

নজমুল আলবাব এর ছবি

মন্তব্য লাফায় কেনো?

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

জম্পেশ!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

জহিরুল ইসলাম নাদিম এর ছবি

হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।