প্রসাধনী আয়নাঃ ধারাবাহিক উপন্যাস (শেষ পর্ব)

জহিরুল ইসলাম নাদিম এর ছবি
লিখেছেন জহিরুল ইসলাম নাদিম [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২৯/১১/২০১১ - ৫:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পর্ব ৯
আগের পর্বগুলো পড়ুন এখানে

‘তাহলে তো মিটেই গেল। কাল চলিস জাদুঘরের মহাপরিচালকের কাছে। আমার পরিচিত উনি। গুপ্তধন উদ্ধার ডাল-ভাত তাঁর জন্য’, নিরীহ একটা ভঙ্গি করে ততোধিক নিরীহ পরিকল্পনা পেশ করল চন্দন। ঝাঁঝিয়ে উঠল অর্ণব সঙ্গে সঙ্গে। ‘হ্যাঁ ততক্ষণে জগলুল পাশা গুপ্তধন হাতড়ে হাতিয়ায় বসে থাক!’,

কথাটা বলল বটে অর্ণব কিন্তু ব্যাপারটা খেয়াল হলো ওর তখনই। আজকের যে আসরের সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি কথাটা এতক্ষণ মনেই আসেনি ওর। চট করে ঘড়িতে চোখ বুলালো অর্ণব। তিনটা দশ বাজে। হ্যাচকা টানে চন্দনকে বের করে আনল অর্ণব। দ্রুত দৌড়ে একটা স্কুটারে চেপে বসল ওরা। চালক প্রথমে একটু হকচকিয়ে গেল। পরে কী ভেবে ছেড়ে দিল স্কুটার। তার একঘেয়েমিপূর্ণ জীবনে একটু যেন রহস্যের ছোঁয়া পাচ্ছে সে। চালক প্রায় উড়িয়ে নিয়ে চলল স্কুটার। এক জায়গায় একটুর জন্য দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেল ওরা। অর্ণব তাকে একটু দ্রুত চালাবার জন্য অনুরোধ করেছিল। আর তাতেই এই অবস্থা! স্কুটার চালক ব্যাপারটাকে মনে হয় বেশ উপভোগ করছে। কিন্তু প্রায় সদরঘাটের কাছে এসে থামতে হলো কঠিন ট্রাফিক জ্যামের কারণে। ঘড়িতে তখন চারটে বেজে গেছে। অর্ণব বুঝে উঠতে পারল না কী করবে এখন। চন্দন এতক্ষণ নিষ্ক্রিয় ছিল এবার সে দ্রুত হাতে ভাড়া পরিশোধ করে অর্ণবকে টেনে নামাল রাস্তায়। তারপর ক্যাঙ্গারুর মতো ছুটল এঁকেবেঁকে। পুরনো ঢাকা তার নখদর্পনে। এই সব ভীড়বাট্টার মধ্যেও যে ও চলতে অভ্যস্ত তার প্রমাণ রাখল চন্দন। বিভিন্ন রিকশার ফাঁক-ফোকড় গলে ও দৌড়াতে লাগল। ওকে অনুসরণ করতে গিয়ে অর্ণবের কিছুটা কাহিল অবস্থা! লঞ্চ টার্মিনালের কাছাকাছি এসে চন্দন দৌড় দিল একটা জেটির ওপর দিয়ে অপেক্ষমাণ একটি লঞ্চের দিকে! অর্ণব থেকে তখন ও বেশ কিছুটা এগিয়ে। কী করবে ভেবে পেল না অর্ণব। এই মুহূর্তে চেঁচামেচি করলে সিনক্রিয়েট হবার সম্ভাবনা। আবার জগলুল পাশার দৃষ্টিতেও পড়তে চায় না ও। শেষে বাধ্য হয়ে ও পেছন নিল। কিন্তু মনটা বিষিয়ে গেছে ওর। এই সব কী? তীরে এসে তরী ডোবানো! লঞ্চে ঢুকে ও কোথাও চন্দনকে দেখল না। কিন্তু সিঁড়ির কাছে এসে ওর গলা শুনতে পেল। সোজা ছাদে উঠে গেছে ও। লোহার রড দিয়ে তৈরী মই বেয়ে অর্ণবও উঠে এলো ছাদে। হঠাৎ চন্দনের এই অদ্ভুত কর্মকান্ডের মানে খুঁজে পেল অর্ণব। সঙ্গে সঙ্গে এক ধরণের প্রশান্তিতে মন ছেয়ে গেল ওর। যথার্থ কাজই করেছে চন্দন। রিকশা বাহুল্যের জন্য নবাববাড়ির কাছাকাছি পৌঁছুতে দেরী হয়ে যেত। তা ছাড়া সরাসরি ওখানে গেলে জগলুল পাশার নজরে পড়বার সম্ভাবনাও খুবই ছিল। তার বদলে এইখান থেকে স্পষ্ট একটা রোকি করা যাবে। নবাববাড়ি এবং তদসংলগ্ন বিশাল মাঠ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। কিন্তু জগলুল পাশা কোথায়? এই জায়গা যতখানি লোকে লোকারণ্য বাউন্ডারি বেড়ার পেছনে নবাববাড়ি ঠিক ততখানি শান্ত, জনশূণ্য। অই দিকে নিষ্পলক তাকিয়ে থাকতে থাকতে ও চিন্তাটাকে ভিন্ন স্রোতে বইয়ে দিল। এখন যদি জগলুল পাশা কিছু একটা করেই বসে ও কী করতে পারবে? দৌড়ে বাধা দেবার চেষ্টা করা যেতে পারে। মনে মনে হেসে ফেলল অর্ণব। বোকার মতো ভাবা হচ্ছে। চেঁচিয়ে লোকজনের সাহায্য চাওয়া যেতে পারে। কিন্তু তাদের কনভিন্স করবে কী বলে? যদি উল্টো তাদেরকেই তস্কর ভেবে বসে লোকজন? সাত-পাঁচ ভাবতে গিয়ে সামনের দৃশ্যপট অস্পষ্ট হয়ে উঠেছিল অর্ণবের সামনে। চন্দনের উত্তেজিত নিচু স্বরের প্রভাবে ঘোর কাটল।
‘দেখ দেখ একটা কেমন দৃষ্টিতে মাঠের দিকে তাকিয়ে আছে!’
অর্ণব দেখল। জগলুল পাশাকে চিনতে ওর সামান্যও কষ্ট হলো না। এখন কী করা যায়? অপেক্ষা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পথই আসলে তাদের সামনে খোলা নেই। রাস্তায় দাঁড়িয়ে শুকুন দৃষ্টি দিয়ে নবাববাড়ির দিকে তাকিয়ে আছেন জগলুল পাশা। ওর চোখ বারে বারে নেমে আসছে ঘড়ির দিকে। আশে পাশে ওর কোনো সহযোগীকে নজরে এলো না অর্ণবের। লোকটাকে চন্দনও নিষ্পলক দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করছে। কারণ একটু আগেই অর্ণবের কাছে তার পরিচয় জেনেছে ও। জগলুল পাশা হঠাৎ লাফিয়ে শিকের মাথা ধরলেন। তারপর কসরৎ করে লাফিয়ে নামলের ভেতরে। এতক্ষণ ব্যাপারটা খেয়ালই করতে পারেনি অর্ণব। পাশাই তার চেতনাকে প্রলুব্ধ করে রেখেছিলেন। জগলুল পাশার আকস্মিক দৌড়ে মনে গেল। কায়া ছায়া যোগ করা অক্ত। দু দিকের দুই ভবনের ছায়া এই মাত্র মাঠের একটা বিশেষ জায়গায় মিলল। জগলুল দৌড়ালেন অই দিক লক্ষ্য করেই। উত্তেজনায় অস্থির হয়ে উঠছে অর্ণব। মাত্র ক সেকেন্ড গড়িয়েছে অথচ ওর মনে হচ্ছে দীর্ঘ সময় ও এইভাবে আছে! জায়গাটায় পৌঁছে কী যেন একটা ছুঁড়ে দিলেন জগলুল পাশা। সম্ভবত নির্দেশক ধাতু জাতীয় কিছু। পরে স্থানটিকে যাতে চিহ্নিত করতে অসুবিধে না হয়। সোজা হয়ে অ্যাবাউট টার্ন করতেই চোখ কপালে উঠল তার। চমকে উঠল অর্ণব সাথে সাথে। ওকে দেখেই এমন চমকে উঠলেন নাকি জগলুল পাশা? অর্ণবের বিস্ময় সীমা ছাড়ালো যখন তিন দৌড়াতে শুরু করল- সোজাসুজি। এ সব পাগলামি ছাড়া কিছু নয়। তিনি পাগলামি শুরু করেছেন। এক লাফে লোহার বেড়া ডিঙ্গাতে গিয়ে একজন পথচারীকে প্রায় চাপা দিয়ে ফেললেন জগলুল পাশা। কিন্তু তোয়াক্কা না করে গাড়ি ঘোড়া অস্বীকার করে দৌড়াতে লাগলেন জগলুল পাশা। প্রথম বাধাটা এলো বার্কল্যান্ড বাঁধের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দেয়ালটার কাছ থেকে। একটু হেঁটে সহজেই দেয়ালটার ওপাশে যাওয়া যায়। কিন্তু উন্মাদের মতো লাফিয়ে দেয়ালে চড়লেন ইতিহাসের ‘গবেষক’। কিন্তু তাড়াহুড়োয় ব্যালান্স রাখতে পারলেন না। তীব্র একটা আর্ত চিৎকারের শব্দ শুনেই চোখ বন্ধ করে ফেলল অর্ণব। পরের দৃশ্য আর দেখা হলো না তার। ইতোমধ্যে লোকজনের প্রচন্ড ভীড় জমে গেছে ওখানে। সম্ভবত পানির নিচে পুঁতে রাখা কোনো বাঁশে শরীর গেঁথে গেছে জগলুল পাশার। ওর কী হলো তা না ভেবে তিনি কেন এমন করলেন তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ল অর্ণব। এই প্রশ্নের উত্তর জানা খুব জরুরী তার জন্যে। নিজের বুদ্ধির ওপর ক্রমশঃ আস্থা ফিরে পাচ্ছে সে। সমাধানটা পেয়ে গেল অর্ণব। খুব সহজ উত্তর। দুটো ছায়া যেখানে মিলেছিল সেখান থেকে নদীর দূরত্ব হবে পঞ্চাশ-ষাট গজেরও কম। অর্থাৎ কিছুতেই শূণ্যের দুই দূরত্বে নয়। এত দিনের সাধনার ফসল নদীর খাম-খেয়ালীতে খোয়া গেছে চিন্তা করে কিছুতেই মাথা ঠিক রাখতে পারেননি জগলুল পাশা। রক্ত চেপে গেছিল তার মাথায়। পাগলের মতো দৌড়ে দেখতে চেয়েছিলেন দেয়ালের ওপারে নদীটা কত দূরে। এখন হাসপাতালের সাদা বেডে শুয়ে কল্পনায় যত খুশী দেখুন! অর্ণবের একটু খারাপ লাগল। লোকটা বাঁচবে কি না কে জানে! তাছাড়া ওর পরিশ্রমটাও আক্ষরিক অর্থেই ‘জলে’ গেল।

xxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxx

মিথুনকে একটা চিঠি লিখল অর্ণব। ঘটনার মোটামুটি একটা বর্ণনা দিল ও। ছেলেটার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল বিশেষ করে। শেষে পুনশ্চঃ দিয়ে সেই ধাঁধার ছড়াটা লিখে দিল। ছেলেটা যে রহস্যপ্রিয় তা তার কথা শুনেই বুঝেছিল অর্ণব। যখন শেষ পঙক্তি গুলো লিখছে নতুন একটা প্রশ্ন দেখা দিল অর্ণবের মনে। শেষে আবার প্রসাধনী আয়নার কথা কেন? একবার তো বলাই হয়েছে। তাছাড়া গুপ্তধন পাবার সংকেত এর আগের লাইনেই সম্পন্ন হয়েছে। তবে কি এতে আরো কোনো সংকেত দেয়া আছে? একবার ভাবল এই নিয়ে ফালতু চিন্তা করার কোনো মানে নেই। তবু ওর মনে খুঁত খুঁতে একটা ভাব রয়েই গেল। বিভিন্ন দিক থেকে সমস্যার দিকে তাকাতে হয়। যে বা যারা তাদের সম্পদ লুকিয়ে রাখার চিন্তা করেছিলেন তারা নিশ্চয়ই তাদের সম্পদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার কথাটি বিবেচনায় নিয়েই এমন করেছিলেন। তারপর নদীর খামখেয়ালিপনার কথাটি তাদের অজানা ছিল এমন ভাবাটাও বোকামি। ওরা তাহলে কেন নদীর কাছাকাছি একটা জায়গায় ধন-সম্পত্তি লুকাতে গেল? অর্ণব আরো ক বার ছড়াটি পড়ল। যদি কিছু ধরা পড়ে! শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ল। এত সহজ উত্তর! খুশীতে অর্ণব কী করবে ভেবে পেল না। সব সমাধান প্রসাধনী আয়নাই দিতে পারে। একশ ভাগ খাঁটি কথা। আয়নাতে কোনো জিনিসের প্রতিবিম্ব উল্টোই পড়ে। এই তথ্যেই রয়েছে জটিল সমস্যার সরল সমাধান। কায়া ছায়া যোগ করা অক্তে যেখানে ছায়া পড়ল তার থেকে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে রয়েছে গুপ্তধন। এখন ব্যাপারটিকে উল্টে দিলেই পাচ্ছো কাঙ্খিত জিনিস! অর্থাৎ সেই দূরত্বটা নদীর দিকে না হয়ে তার বিপরীত দিকে হবে। কত সহজ ব্যাপার! এখন প্রকৃত দূরত্বটা কত? অর্ণব ধারণা করল দুশো গজের বেশি হবে না। তার কারণ বাড়িটার সামনে এর চাইতে বেশি জায়গা নেই। দেড়শ দুশো গজের মধ্যেই বাউন্ডারি ওয়াল অর্ণব দেখেছে।

xxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxx

মিথুন বেশ উৎসাহিত হয়ে লাফালাফি করছে! অর্ণব কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ওকে এখানে নিয়ে এসেছে। সঙ্গে অবশ্য ওর ভাইয়াও এসেছেন। মোটামুটি একটা এলাহী কান্ড। পুলিশের একটা তাবু টাঙ্গানো হয়েছে মাঠের এক কোণে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের লোকজন মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। কী সব মাপ-জোখ করছেন। এইখানে চন্দনের কৃতিত্ব ষোলো আনা। জাদুঘরের মহাপরিচালকের আত্মীয় হওয়ার সুবাদে সে ভদ্রলোককে বুঝাতে পেরেছে ব্যাপারটির মাহাত্ম্য। নইলে অর্ণবের মতো পুঁচকে ছোকড়ার কথায় এমন এলাহী কান্ড ঘটানোর কোনো প্রশ্নই আসত না। মহাপরিচালক ভদ্রলোক খাটো টাইপের। তাঁর পুরো মাথার এক-তৃতীয়াংশ টাকের দখলে। সূর্যের আলো তেল চকচকে মাথায় পড়ে কেমন অদ্ভুত দেখাচ্ছে। ভদ্রলোকের আবার অদ্ভুত বলার বালাই। অর্ণবকে একবার বলেছেন, ‘তুমি একটা অদ্ভুত ছেলে তো- এমন একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটিয়ে দিলে! এমন অদ্ভুত কায়দায় ধন-সম্পদ লুকনো থাকতে পারে তা তোমার মাথায়ই বা আসল কীভাবে? বেশ অদ্ভুত না! হেঃ হেঃ হেঃ।’

সাংবাদিক ভদ্রলোককে বিদায় করে এসে সোফায় বসল অর্ণব। ক দিন ধরে যেন সে আর আগের অর্ণব নেই। এই নিয়ে তিন জন তার ইন্টারভিউ নিলেন। সবগুলোর পত্রিকার সামনের ইস্যুতে ওগুলো যাচ্ছে। সচিত্র প্রতিবেদন। আগামীকাল বিটিভি থেকে সাক্ষাৎকার নিতে আসার কথা। মিসেস সিলভিয়া শেখর অর্ণবের ওপর দারুণ খুশী হয়েছেন। অর্ণবকে তিনি পারিশ্রমিক সেধেছিলেন - অর্ণব নেয়নি। কিন্তু ভদ্রমহিলা দমবার পাত্র নন। একদিন সরাসরি অর্ণবের বাসায় এসে উপস্থিত। বললেন কংগ্রাচুলেশনস জানাতে এসেছেন আর এগুলো স্রেফ উপহার। উপহার ফিরিয়ে দিতে নেই। অর্ণব প্যাকেট খুলে দেখল ওর জন্য চমৎকার কাপড় চোপড় নিয়ে এসেছেন মিসেস শেখর।

টেলিফোনে রিং হওয়াতে রিসিভার ওঠালো অর্ণব।
‘হ্যালো’
ওপাশে রিনরিনে গলার কেউ ধরেছে। নাম বলার আগেই অর্ণব চিনল। চন্দনের ছোট বোন রিনি।
‘আচ্ছা চন্দন ভাইয়া কি আপনাদের ওখানে?’
‘না তো! কেন খুব জরুরী দরকার নাকি?’
‘নাহ এমনিতেই..’
‘শুধু এই জন্য ফোন করা!’
‘না না...’
‘তাহলে?’
‘মানে- ইয়ে-আপনাকে কংগ্রাচুলেট করার ইচ্ছেও ছিল। এমন চমৎকার একটা কাজ করলেন!’
রিনি জড়িয়ে ফেলছে। অর্ণব বুঝল ও লজ্জা পাচ্ছে। অভিনন্দনের জবাবে ধন্যবাদ দিয়ে ফোন রেখে দিল অর্ণব। ওর কেন জানি মনে হলো রিনি খুব অদ্ভুত সুন্দর করে কথা বলে। আর ও গলার স্বরটিও বেশ মিষ্টি! (সমাপ্ত)


মন্তব্য

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ব্যাস প্রেম হয়ে গেল! খাইছে

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

জহিরুল ইসলাম নাদিম এর ছবি

প্রেমের প্রসঙ্গ এলো কোত্থেকে ইয়ে, মানে...

আশালতা এর ছবি

হাততালি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

জহিরুল ইসলাম নাদিম এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

লাবন্যপ্রভা এর ছবি

খুবিইইইইইইইইইই ভাল লাগলো, প্রতিটা পর্বে সাথে ছিলাম... পাঠককে অসীম ধৈর্য ধরতে হয়নি জন্য আরও এক্সট্রা কিছু ধন্যবাদ। সামনে আরও ভাল কিছু পাবার আশা রাখি। ভাল থাকবেন।

জহিরুল ইসলাম নাদিম এর ছবি

কষ্ট করে যে মাঝারি মানের লেখাটি পড়েছেন সে জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর ভাল কিছু লেখার অনুপ্রেরণাও পাচ্ছি।

তাপস শর্মা  এর ছবি

হে হে হে হে । আমিই অইলাম আসল হিরু... অর্ণব ব্যাটাকে নিকুচি করি ।

=====
জহিরুল ভাই খুব খুব ভাল লেগেছে লেখাটা । সময় করে আবার সবটা পর্ব একসাথে পড়লে মজা পাবো।

জহিরুল ইসলাম নাদিম এর ছবি

আপনিই যে আসল হিরো তা কি কারো বুঝতে বাকি আছে!!!! চোখ টিপি
ধন্যবাদ তাপস আপনাকে। সত্যি।

শিশিরকণা এর ছবি

তালিয়া! ভালৈছে! আরো গ্যোয়েন্দা গল্প পড়তে মঞ্চায়!

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

জহিরুল ইসলাম নাদিম এর ছবি

ভালো লাগছে। আপনাকে ধন্যবাদ।

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

যাহ্‌! শেষ? মন খারাপ তয় ভালা হইছে। আপ্নে মিয়া গোয়েন্দা হিসাবে খারাপ না। দেঁতো হাসি

জহিরুল ইসলাম নাদিম এর ছবি

আমি না, অই অর্ণব...কম খারাপ!!

কল্যাণ এর ছবি

একি?? শেষ!! নতুন গল্প কই কই কই কই???

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।