মনমোহন সিং মহোদয় সমীপে রাতঃস্মরণীয়ের অগ্রিম মানপত্র

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি
লিখেছেন রাতঃস্মরণীয় [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৫/০৯/২০১১ - ১০:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উপমহাদেশের অন্যতম প্রবীন রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ঠ অর্থনীতিবিদ, শিক্ষক, গণতন্ত্রের মানসপুত্র, ভারতাধিপতি, দয়ালু, নির্ভিক ও দৃঢ়চেতা, রিপাবলিক অব ইনডিয়ার সূযোগ্য প্রধানমন্ত্রী জনাব ডক্টর মনমোহন সিং-এর বাংলাদেশ আগমন উপলক্ষে বাংলাদেশের কতিপয় ভুক্তভোগী ব্লগারের পক্ষ থেকে হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে অশ্রুজলে বিধৌত এই সশ্রদ্ধ

হে সুমহান,
তোমার আগমণে দেশে নামলো খুশীর বাণ।
সুস্বাগতম জানাই তোমায় জেনো কদমবুসি
ধন্য সকল বাংলাদেশী, সবাই মহা খুশি।

রাজনীতিবিদ নয়কো শুধু, টিচার তুমি বটে,
জ্ঞ্যান-বিদ্যা বোঝাই তোমার পাগড়িমোড়া ঘটে।
অর্থনীতির শিক্ষকতায় তোমার বিরাট খ্যাতি,
তোমার অনেক ছাত্র আজি হয়েছে দেশপতি।

বহু যুগের নিষ্পেষণে আমরা প্রায় মৃত,
তাইতো লভি, ঢালবে তুমি আশীর্বাদের ঘৃত
এই অভাগা জাতির তরে। ওগো দয়াময়,
তোমার দয়ায় নিষ্পেষণা যদি লাঘব হয়।

হে হৃদয়রাজ,
দাও দেখিয়ে দাওগো কিছু তোমার মহান কাজ।
সীমান্তে আজ হত্যাযজ্ঞ, বন্ধ হবে কিসে,
দাও দেখিয়ে সেই নিশানা, দেখাও মোদের দিশে।

ফালানী এক গরীব মেয়ে, তোমার দেশের গুলি
খেয়ে ম’লো। আমরা মরা তা কিভাবে ভুলি?
কৃষক মরে, শ্রমিক মরে, মরে কিশোর ছেলে,
ঘরের কোনে নিশব্দে মা চোখের পানি ফেলে।

মানবতার ধ্বজাধারী তোমরা বড় দেশ,
তা’ই হয়তো নির্বিচারে করছো মোদের শেষ।
গরীব দেশের গরীব মানুষ, মারলে যে নেই পাপ।
তাইতো তোমায় ছোঁয়না মোদের বুকফাটা বিলাপ।

ন্যায্য পানির হিস্যা নিয়ে নাটক কতো আর?
খরায়-বানে মরতে মরণ আমরা সানাইদার।
তিস্তা পারের বালুর মরু, কৃষক হারায় ঘুম,
পড়তে নামাজ নাইরে ওজু, করছি তায়াম্মুম।

তোমার কাছে চাই সমাধান, চাই ন্যায্য পানি
গরীব দেশের তরে ফেরাও দয়ার বদনখানি।
ছোট ভাইয়ের মতো মোরা, মোদের রেহাই দাও,
প্রয়োজনে তৈরী আছি ধরতে তোমার পাও।

মোদের দেশের বাণিজ্য আজ জিম্মি তোমার কাছে,
আওয়াজ দিতে পাইনা সাহস ধ্বংসিয়ে দাও পাছে।
বিএসএফের মদদপুষ্ঠ চোরাচালানীর দল
নিত্য নতুন ফন্দি খোঁজে, খোঁজে নতুন ছল।

এই দাবীটাও রাখছি আজি তোমার চরণ পরে,
বাণিজ্যে সমতা বিধান দাওগো কৃপা করে।
আর মেরোনা ব্যবসা মোদের আর মেরোনা ভাই
তোমার তরে এই দয়াটা ভিক্ষা করে যাই।

হে মহাপ্রাণ
দয়া করে যাও শুনিয়ে সমাধানের গান।
এবার যদি না যাও করে সব ঝামেলার শেষ
তোমার নামে মুর্দাবাদে মুখর হবে দেশ।

বড়ো দেশের বড়ো দাদা, কাজেও বড়ো হবে,
এই কামনায় বুক বেধে রই বাংলাদেশের সবে।
তোমার কাছে এই মিনতির নাই যদি দাও দাম,
লুঙ্গি খুলে থাকবো মোরা কোরো পায়ুষ্কাম।

মোদের দেশকে মারছো গত চারটি দশক ধরে,
মারতে থাকো, দেশ যতোদিন না যায় পুরো মরে।
নয়গো সিকিম বাংলা মোদের, যাও শুনে হে পীর
মরতে মরণ সানাইদারের, নোয়না তবু শীর।

তোমার গুণমুগ্ধ,

স্বাক্ষর অস্পষ্ট
(রাতঃস্মরণীয়)
বাংলাদেশের কতিপয় ব্লগারের পক্ষে
৫ সেপ্টেম্বর ২০১১


মন্তব্য

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

তিস্তা পারের বালুর মরু, কৃষক হারায় ঘুম,
পড়তে নামাজ নাইরে ওজু, করছি তায়াম্মুম।

ক্যাডায় কইচে আম্নেরে এমন মানপত্র দিতে? কই যাইবার চান আখেরে ওস্তাদ? হের চাইতে লেখেন,

তুমি মা কল্পতরু
আমরা সবাই পোষা গরু
শিখিনি শিং বাঁকানো
ভুষি পেলে খুশী হবো
ঘুষি পেলে বাঁচবো নাকো

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

মানী লোকেরেই তো মানপত্র দিছি বস! চিন্তিত

ধইরা যদি জেলে ভরে, মাগনা মাগনা খাওন পামু। আর যদি এক্কেরে ঠুস কইরা দ্যায়, মাগনা মাগনা শহীদ হমু। মন্দ কি!

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

আশফাক আহমেদ এর ছবি

রাতঃ দাকে চমৎকার ভ্রমণ কাহিনীর জন্য ঈর্ষা করতাম।
ঈর্ষার পালকে এবার কোবতেও যুক্ত হল।

গুরু গুরু

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আপনার ঔদার্য্যে শর্মাইলাম আশফাক ভাই। লইজ্জা লাগে

আমার নাতি হাসান জাকির বেজায় ভালো কবি
বান্ধবীরা ক্ষেপায় ওকে, ডাকে, "ওহে গবি"।
এমন নাতির নানা আমি সুখে ভরা মন।
আশফাক আমায় ডাকতে পারেন, "গবি গোবর্ধণ।"

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

গুরু গুরু
এই এমোটা দেবার যোগ্যতাই শুধু আছে আমার।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ অতিথি রাজকন্যা।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তারেক অণু এর ছবি
রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ তারেক অণু।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

বাউন্ডুলে এর ছবি

চলুক

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ বাউন্ডুলে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

কৌস্তুভ এর ছবি

ভারত সম্পর্কে বাংলাদেশের বেশ কিছু ক্ষোভ রয়েছে, তার কয়েকটা সম্পর্কে জানি কেবল। তবে ব্যঙ্গকবিতা মোটের উপর ভালই হয়েছে। আপনার লেখা এমনিতেই ভাল লাগে। শুরুতে "তাই তো লভি, ঢালবে তুমি..." লাইনটায় লভি শব্দটা ব্যবহারের কারণ বুঝলাম না।

একটা জিনিস জানতে আগ্রহী, গত চার দশকে ভারত বাংলাদেশকে কতটা মেরেছে, আর কতটা সাহায্য করেছে? বাংলাদেশও তো সেই হিসাবে ভারতীয়দের পরোক্ষে মেরেছে, পূর্বাঞ্চলের জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়ে। বাংলাদেশের এখন যা সমস্যা, যা দুরবস্থা, তার পেছনে ভারতের দোষ বেশি নাকি নিজেদের?

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ কৌস্তুভ ভাই। আমি ভেবেছিলাম 'লভি' শব্দটার মানে হচ্ছে আকাঙ্খা/কামনা করি। বাংলা ভাষায় আমার দখল নিদারূণ দুর্বল। এক্ষেত্রে সম্ভবত 'যাঁচি' শব্দটা আরও এ্যাপ্রোপ্রিয়েট হতে পারে। চেক করে দেখে বদলে দেবো।

আপনার জানার আগ্রহ পরিসাংখ্যিক উপাত্ত তো ভাই আমি উপস্থাপন করতে পারবোনা। ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে এটা কোনও অবস্থাতেই অস্বীকার করার ধৃষ্ঠতা কেউই দেখাবে বলে আমার মনে হয়না। ভারতের সাহায্য আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয়কে তরান্বিত করেছে, লাখো শরনার্থীদেরকে ভারত খাইয়ে বাঁচিয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন দূর্যোগে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে, এগুলোর কোনওটাই অস্বীকার করার মানে হবে অকৃতজ্ঞতা। তবে একজন সাধারন মানুষের অবজারভেশনে আমি দেখি ভারত আমাদের মারতেও কম মারেনি। স্পেসিফিক রেফারেন্স হয়তো দিতে পারবোনা তবে কিছু উদাহরণ তো দিতে পারবো।

# সীমান্তের বিএসএফ কর্তৃক হত্যাকাণ্ড একটা পুরোনো ইস্যু। এটা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার অবকাশ নেই।
# অসম পানিবন্টন একটা পুরোনো ইস্যু। এবিষয়ে জানাশোনা লেখকরা এটা নিয়ে সবসময়েই লিখছেন। সম্প্রতি সচল বন্ধু জাহিদ লিখেছেন। এই অসম পানিবন্টনের সমস্য শুধু বাংলাদেশের সাথেই নয়, নেপাল ও পাকিস্তানের সাথেও ভারতের এই সমস্য চলে আসছে বহুকাল ধরে।
# ইন্দিরা-মুজিবের চুক্তিগুলোর অসম্পূর্ণ বাস্তবায়ন একটা উদাহরণ।
# চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে সার, বীজ, ডিজেল ক্রয়।
# বাংলাদেশে উচ্চ কৃষিফলন মৌসুমে আলু-পেঁয়াজ-ডালের দাম কমিয়ে দিয়ে স্থানীয় কৃষকগোষ্ঠীকে পথে বসানো। তেমনইভাবে, কৃষি উৎপাদনে মন্দার সময়ে কৃষিপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে ভোক্তার নাভিশ্বাস তোলা।
# তুলো এবং সুতোর সেক্টরে ভারতের কৌশলের কারনে আজ এই শিল্পদুটোও ধ্বংসের মুখে। নির্ভরশীলতার কারনে ভারত এটা করতে পারছে। এই দুটো পণ্যের দামের ভারসম্য বজায় না থাকায় কখনও স্পিনিং মিলগুলো আবার কখনোবা টেক্সটাইল মিলগুলো ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। গত পরশু টেলিভিশনের সংবাদে এই বিষয়ে একটা প্রতিবেদন দেখছিলাম।

পূর্বাঞ্চলের জঙ্গীদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে আপনার মন্তব্যের সাথে একটু দ্বিমত পোষণ করছি। কোনও দেশই অফিসিয়ালি কোনও জঙ্গীকে আশ্রয় দেওয়ার মতো বোকামী করেনা। আর যদিও তা করে, প্রমানের বাইরে থেকে করে। জঙ্গীদের সবসময়েই নিজস্ব নেটওয়ার্ক থাকে এবং তারা সেই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এদেশ-ওদের করে বেড়ায়। যদি তাদের আশ্রয়ের কথা বলতে হয়, তবে বলতে হয় বাংলাদেশে তাদের নেটওয়ার্কভূক্ত কিছু লোকজন তাদের আশ্রয় দিয়েছে। ঢালাওভাবে বাংলাদেশ বললে এখানে সরকার এবং বৃহত্তর জনগণকে বুঝাচ্ছে। এই কাজ যে শুধু বাংলাদেশের কিছু মানুষ করছে তা কিন্তু নয়। ভারতও একাজে কম যায় না। শত মামলার আসামী জয়নাল হাজারী কিন্তু ভারতে পরমানন্দে বসবাস করেছে। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের কুখ্যাত খুনী ওয়াজেদ ভারতে পালিয়ে গিয়ে ভারতের পাসপোর্ট হাসিল করে দক্ষিণ আফ্রিকায় পালিয়ে গিয়ে ভারতীয় অন্টারপ্রেনার হিসেবে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা খুলে বসেছে। ৮০-৯০ দশকের দক্ষিণাঞ্চলের মুর্তিমান ত্রাস তাপস ঘোস ওরফে তাপু শতকোটি টাকার সম্পদ বাগিয়ে নিয়ে ভারতীয় নাগরিক বনে গিয়ে বারাসাত এলাকায় ব্যবসা পেতে বসেছে। এরকম অনেক উদাহরণ দেওয়া যায়। এই তাপু বা ওয়াজেদরা কিন্তু চরিত্রে জঙ্গীদের থেকেও ভয়াবহ ছিলো। সুব্রত, ইমন সহ ঢাকার অনেক কুখ্যাত সন্ত্রাসীই কিন্তু ভারতে বসে বাংলাদেশে চাঁদাবাজী করেছে, খবরে প্রকাশ। কাজেই কোনও দেশকে দোষ না দেওয়াই ভালো।

বাংলাদেশের যা দুরাবস্থা তার জন্যে মোটামুটিভাবে বাংলাদেশ নিজেই দায়ী। ভারত কেবল এই দুরাবস্থার একটা ফ্যাকটর মাত্র। আমার দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, নেতাদের দূর্নীতিপরায়নতা, সমাজের সর্বস্তরে শৃঙ্খলার ঘাটতি, দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনার অভাব, সম্পদের সীমাবদ্ধতা তো অবশ্যই, এইসব নানা কারনেই বাংলাদেশ বিপর্যস্থ। কার দোষ বেশি আর কার কম, এই বিতর্কের কোনও শেষ নেই। যে যার পক্ষকে ডিফেন্ড করতে থাকবে। তাই সবথেকে ভালো হয় সমাধানের পথ নিয়ে দুই পক্ষেই আন্তরিক হয়ে এগিয়ে আসলে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

কৌস্তুভ এর ছবি

বেশ কিছু ইনফর্মেশন দিলেন। ধন্যবাদ।

সাই দ এর ছবি

আর একটা জিনিস যোগ করতে পারেন। শান্তিবাহিনীকে আশ্রয় দেয়া।
তবে শেষ কথাটা ঠিক বলেছেন ভারত শুধু একটি ফ্যাক্টর মাত্র।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ভারত কর্তৃক শান্তিবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতা একটা স্পেকুলেশন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সমীকরণ করলে কখোনো এই হিসেবটা মেলে আবার কখোনো বা মেলেনা। এই আশ্রয়-প্রশ্রয় বাণিজ্যের বিষয়টা কৌস্তুভের মন্তব্যের উত্তরে একটু দেখানোর চেষ্টা করেছি। কোনও দৃশ্যত রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার নজীর পাওয়া দুরুহ।

ব্যাক্তিগত পর্য্যায়ে শোনা কথার রেফারেন্স দিতে আমি একটু শংকিত বোধ করি পাছে কেউ রেফারেন্স চেয়ে বসে। তবে আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ একজন ভারতীয় বন্ধু, বর্তমানে জাতিসংঘে উচ্চপদে কর্মরত, একদা মাসিক মোটা বেতন ও ভাতায় বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের বিদ্রোহীদের সাথে পাহাড়ের গুহায়, ঝোপে-জঙ্গলে প্রায় তিন বছর কাটিয়েছে। সে ওই বিপ্লবীদের মোটিভেশন, লিডারশীপ, আত্মিক উন্নতি, ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞ্যানদান করতো। কিন্তু যখনই তাকে তার নিয়োগকর্তা কারা এই প্রশ্ন করেছি, সে সবসময়েই মুচকি হেঁসে উত্তরদানে বিরত থেকেছে। জোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা তার অত্যন্ত কাছের একজন বন্ধু।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

আশফাক আহমেদ এর ছবি

রাতঃদা,

# বাংলাদেশে উচ্চ কৃষিফলন মৌসুমে আলু-পেঁয়াজ-ডালের দাম কমিয়ে দিয়ে স্থানীয় কৃষকগোষ্ঠীকে পথে বসানো। তেমনইভাবে, কৃষি উৎপাদনে মন্দার সময়ে কৃষিপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে ভোক্তার নাভিশ্বাস তোলা।

# তুলো এবং সুতোর সেক্টরে ভারতের কৌশলের কারনে আজ এই শিল্পদুটোও ধ্বংসের মুখে। নির্ভরশীলতার কারনে ভারত এটা করতে পারছে। এই দুটো পণ্যের দামের ভারসম্য বজায় না থাকায় কখনও স্পিনিং মিলগুলো আবার কখনোবা টেক্সটাইল মিলগুলো ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। গত পরশু টেলিভিশনের সংবাদে এই বিষয়ে একটা প্রতিবেদন দেখছিলাম।

এই বিষয়গুলো হালকা হালকা জানি। বিস্তারিত রেফারেন্স বা লিঙ্ক দেয়া যায় কি?

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

প্রথমটা অনেক পুরোনো ইস্যু, বোধ হওয়া থেকেই দেখে আসছি। তাছাড়া আমাদের বসবাস সীমান্ত এলাকার বেশ কাছাকাছি এবং কর্মসূত্রে একসময় সীমান্ত এলাকায় ঘুরে বেড়াতে হতো। তখন বাস্তবে দেখেছি। ২০০৯ সালে রিলিফ বিতরণ করতে গিয়ে দেখি দেশি মসুরের ডাল ১১০ টাকা কেজি। পক্ষান্তরে, ইনডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ৮২ টাকা। মানের বিচারে হয়তো আমাদেরটাই ভালো; কিন্তু দাম? এর ফলে বাজারে ইনডিয়ান মসুর ডালের ব্যাপক বিক্রি হয়েছে এবং দেশি ডালটা সীমিত সংখ্যক মানুষ কিনেছে। সরকার যদি ইনডিয়ান ডালের অবাধ অনুপ্রবেশ রোধ করতে পারতো এবং প্রতিযোগিতামূলক করনির্ধারণ নীতি গ্রহণ করতো তবে মানুষ পরিমানে একটু কম খেলেও ভালো মানের দেশী মসুর ডালটাই কিনতো। এরকমটা পেয়াজ, রসুনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

সরকারী পর্য্যায়ের বাইরেও আবার কিছু গোষ্ঠী অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ২০০৮ সালে সাইক্লোন সিডরের পর দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রানের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা মেজর জেনারেল মতিন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী রাজা দেবাশীষ রায়ের সাথে একটা উচ্চ পর্য্যায়ের সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলাম। সেই মিটিঙে জেনারেল মতিন জানালেন যে ভারত সরকার স্বল্পমূল্যে এবং বিনাশুল্কে বাংলাদেশে চাল পাঠাবে সিডর উপদ্রুত এলাকার জন্যে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং কলকাতা চেম্বার অব কমার্সের আপত্তির কারণে সেই চাল আর আমাদের পাওয়া হয়নি।

তুলো আর সুতোর ইস্যুটা আগে থেকে অল্প-বিস্তর শুনেছিলাম। তবে গত পরশু একটা টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে এবিষয়ে কিছু আলোকপাত করলো দু'একজনের সাক্ষাতকার সহ। এখানে বিষয়টা হচ্ছে, বিশ্ববাজারে যখন সুতোর উচ্চমূল্য, ঠিক তখনই ভারত তুলো রপ্তানী বন্ধ করে দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম দামে নিম্নমানের সুতো রপ্তানী শুরু করে। এতে টেক্সটাইল মিলগুলো সাময়িকভাবে বাঁচলেও মরতে থাকে স্পিনিং সেক্টর। লক্ষ করে থাকবেন যে বাংলাদেশের টেক্সটাইল সেক্টর কোনওমতে চললেও স্পিনিং সেক্টর কিন্তু অলমোষ্ট ধ্বংস হয়ে গেছে। পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, গাজীপুরের অধিকাংশ স্পিনিং মিলগুলোই কিন্তু দেউলিয়া হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। আর যেগুলো এখনও টিকে আছে, বলা যায়না আর কতোদিন আয়ু আছে এগুলোর। এই চালু স্পিনিং মিলগুলোকে এখন টিকে থাকার জন্যে মজুতদারী মডালিটিতে ব্যবসা করতে হচ্ছে। যেমন, এরা তুলোর স্বল্পমূল্যকালীন সময়ে ব্যাপক আকারে সুতো উৎপাদন করে মজুত করে রেখে বিশ্ববাজারে সুতোর দাম যখন বাড়তির দিকে ঠিক তখনই এরা বাজারে এদের সুতো ছাড়ে। যদিও এরা এটা অস্বীকার করে থাকে।

স্পেসিফিক রেফারেন্স দিতে পারলাম না বলে ক্ষমাপ্রার্থী।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

দ্যা রিডার এর ছবি

চমৎকার ...। চলুক

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

থ্যাংকস আ লট দ্য রিডার।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

guest_writer এর ছবি

একটা কাজের কাজ অন্তত করেছেন। ব্লগারদের পক্ষ থেকে একটা মানপত্রতো দেওয়া হয়েছে। উনি বাংলাদেশকে কি দিয়ে যাবেন যানিনা। বাংলাদেশ থেকে যা আশা করছেন তার সবকিছু না পেলে হয়তো গোস্সা করবেন। সেক্ষেত্রে ব্লগারদের দিকটাটো সামলানো গেল। অন্তত আমরা(ব্লগাররা) বঞ্চিত হবনা, আশা করতে পারি।

'লুঙ্গি খুলে থাকবো মোরা কোরো পায়ুষ্কাম'। ভাল লেগেছে। তবে এটাইকি আমরা ডিজার্ভ করি।

মন্তব্য : প্রৌঢ়ভাবনা

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ প্রৌঢ়ভাবনা। আমরা অনেক কিছুই ডিজার্ভ করি কিন্তু পাইনা। পক্ষান্তরে, অনেক কিছুই পাই যা কখোনোই ডিজার্ভিং নয়। অপ্রাপ্তি থেকে হতাশার জন্ম আর হতাশা জন্ম দেয় ক্ষোভের। ক্ষুব্ধ মানুষ তাই অনেক কথাই বলে ফেলে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

নিত্যানন্দ রায় এর ছবি

যথার্থ লিখেছেন

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ নিত্যানন্দ রায়।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

নান্নু এর ছবি

মানপত্র দিয়ে কি লাভ হল রাতঃদা? আপনার কপালে তৈয়ম্মুম ছাড়া অজু করে নামাজ পড়ার উপায় দেখছিনা। এখন মমতা বুবুর দয়ার অপেক্ষার পালা শুরু হল। মরতে মরন সানাইদারের। আসলেই আমরা ভারতের সানাইদার হয়ে গিয়েছি।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

হুমমমমম ভাই। কি আর করা। দেখি কবে ওজু করে তিস্তা পারে নামাজ পড়া যায়। চিন্তিত

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

বদ্দার গুণের শেষ নাই................... হাসি


_____________________
Give Her Freedom!

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

লইজ্জা লাগে

ছোদ্দা খালি বেশি কথা কও। আর পারলাম না তোমারে নিয়ে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।