সৌদিআরবে শিরচ্ছেদ - কিছু অভিজ্ঞতা-১

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি
লিখেছেন খন্দকার আলমগীর হোসেন [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৪/১০/২০১১ - ১:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নিদেনপক্ষে নিজের কথা বলিতে পারি। সব জানিয়া শুনিয়াই সৌদিআরবে গমন করিয়াছিলাম। উড়াল দেবার পূর্ব রজনীতে মাথায় আদরের হাত বুলাইতে বুলাইতে বলিয়ছিলেন আমার জান্নাতবাসী আম্মাজান, কঠিন আইন কানুনের দেশ বাজান, সাবধানে থাকিবা। সৃষ্টিকর্তার পরে পূত্রের উপরও বড়ো বেশী ভরসা ছিলো মা জননীর আরেকখানি কারণে। খুন-খারাপী করিবে কি, চৌর্যবৃত্তি কি পরনারী গমনের জন্য যে বুকের পাটার প্রয়োজন, তাহারই বড়ো অভাব ছিলো মা-অন্তপ্রাণ ছেলেটির। উড়োজাহাজে আরোহণ করিয়াই জব-কন্ট্রাক্ট নামক পরম যতনে আগলাইয়া রাখা কাগজখানা আরো কয়েকবার আদ্যোপান্ত পড়িয়া শেষ করিলাম। উপলব্ধি করিতে পারিলাম, ওইদেশের মাটিতে পদস্পর্শ করা মাত্র সৌদি ‘কানুন’ প্রযোজ্য হইবে আমার উপর। অজানা আশংকায় সর্বাঙ্গ কেমন যেনো শিহরিয়া উঠিলো!

তাহার পর ইংরেজি বছর হিসাব করিলে বিংশ বর্ষ আর আরবি সালের গুনতিতে প্রায় একবিংশ বৎসর অতিক্রান্ত করিয়াছি দেশটাতে, ছুটিতে হইয়াছে সৌদির এপ্রান্ত হইতে ওপ্রান্ত। কোনদিন নিজেকে অরক্ষিত কি নিরাপত্তাহীন মনে হয়নি। আইন ভঙ্গ করার সাহস কি আগ্রহ না থাকাটাই ছিলো বড় শক্তি।

নতুন প্রবাস জীবনে আমার পুরানো অফিসটার অবস্থান ছিলো জেদ্দার একদম কেন্দ্রস্থলে। পাশেই একটা মসজিদ। ইন্দোনেশিয়ান ড্রাইভারটা বলিলো, জুমার নামাজটা এইখানে পড়িতে আসিলে কখনো সখনো ‘কাছাছ’ দেখিতে পাইবা। ‘কাছাছ’ কি জিজ্ঞেস করাতে ও নিজের একটা হাত গলায় পোঁছ দিয়া যাহা বুঝাইতে চাহিলো, নিমিষে হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিলাম, আম্মাজানের সতর্কবাণী ‘ইয়াদ’ হইয়া গেলো। তারপরও ভাবিলাম, একবার দেখিতে কিইবা ক্ষতি!

যাহার গর্দান যাইবে, সেও সকলের সহিত নামাজ সম্পন্ন করে। অতঃপর একটা নির্দিষ্ট জায়গায় উবু করিয়া বসানো হয় তাহাকে। 'জল্লাদ' আসিয়া কয়েকবার তাহার অবস্থানটাকে এদিক ওদিক করিয়া নিজের মত জুত করিয়া নেয়। যাহাতে এক কোপে শির স্কন্ধমুক্ত করিতে তাহাকে ব্যর্থতার গ্লানি সইতে না হয়! এই প্রক্রিয়া চলাকালে লোকটা পালাইতে চেষ্টা করে কিনা প্রশ্নটা উঠিতেই পারে। নাহ্, সে সুযোগ থাকেই না একদম। জানিয়াছি উচ্চমাত্রার ট্রান্কুলাইজার গ্রহন করাইয়া তাহাকে চিন্তাশক্তিরহিত করিয়া রাখা হয়। কান্নাকাটির প্রয়োজনও মনে হয় বোধ করে না সে।

চতুর্দিকে ঘিরিয়া থাকে আমজনতা। কোন গোপনীয়তার বালাই নেই সেখানে। মহিলা দর্শকের উপস্থিতি সংখ্যা দেখিয়া অবাক হইতেই হয়। যাহারা একটু খর্বাকৃতি, টুল বহন করিয়া আনে বাড়ি হইতে। যাহাতে দৃশ্যের কোন অংশ দেখা বঞ্চিত হইতে না হয়! মুহুর্মুহু আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিতে থাকে জনতা।

প্রায় চার ফুট লম্বা তরবারিখানি দিয়া এক কোপে কর্ম সম্পাদন করে ‘জল্লাদ’। পাশে থাকা এম্বুলেন্স ঝটপট এলাইয়া পড়া দেহ আর গড়াইয়া পড়া শির কুড়াইয়া লইয়া চম্পট দেয়। শুনিয়াছি, দেহের সাথে মুণ্ডু সেলাই করিয়া অতঃপর সমাহিত করা হয়।

আরেক শুক্রবারের বৈকালে বাসা হইতে শহরের কেন্দ্রস্থলে চক্কর দিতে যাইবো কি যাইবোনা ভাবিতেছিলাম। ইন্দোনেশিয়ানটা বলিলো শীঘ্র যাও ভ্রাতা, ওখানে অদ্য একজন কোরিয়ানকে ‘কাছাছ’ করিয়া রাস্তার উপর ঝুলাইয়া রাখিয়াছে।বিলম্বে বঞ্চিত হইবে, কেননা সন্ধ্যাকালে নামাইয়া ফেলিবে বিলক্ষণ।

১৯৮০ সালের সেই সময়টায় সারা সৌদিআরব জুড়িয়া বিশাল একেকটা কনস্ট্রাকশন চলিতেছিলো আর সেই সুবাদে কোরিয়ান কোম্পানীগুলোর রমারম উপস্হিতি।

চোখ কপালে তুলিয়া প্রশ্ন রাখিলাম। ঝুলাইলো কেনো? জ্ঞাত হইলাম কোরিয়ান লোকটি নাকি একজন পাকিস্তানী শ্রমিককে বধ করিয়া, ডিপ ফ্রিজে তাহার মাংস রাখিয়া, অবলীলাক্রমে নিজের রসনাতৃপ্ত করিয়া চলিয়াছিলো দিনের পর দিন। অবশেষে ধরা পড়িয়া মৃত্যুদন্ডের সহিত এই উপরি শাস্তি লাভ করিয়াছে। সেইদিনের পর আরো অনেকগুলি বৎসর পাড়ি দিয়াছি সৌদি আরবে। কোরিয়ানদের রাস্তার কুকুর তাড়া করিয়া ধরিয়া খাইতে দেখিয়াছি অহরহ সৌদির বিভিন্ন শহরে। কিন্তু দ্বিতীয় কোন কোরিয়ানকে ওই ডেলিকেসির দিকে আর হাত বাড়াইতে শুনি নাই।


মন্তব্য

ফেরদৌস আহমেদ এর ছবি

বুঝিতে পারিলাম না আপনি কী জায়েজ করিতে চাহিতেছেন? মৃত্যুদণ্ড প্রদাণের এই পদ্ধতিটি নৃশংস, তদুপরি জনসমক্ষে এমন একটি পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ সম্পন্ন করাটা একটা অসুস্থ, নিষ্ঠুর জাতির পক্ষেই কল্পনা করা সম্ভব। চোখের বদলে চোখ, হাতের বদলে হাত- এটা উর্বর মস্তিষ্ক সম্পন্ন বেদুঈন আরবীয়দের রীতি। অসুস্থ সৌদি সমাজে তারপরও অপরাধ কমেনি।

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

আমি শুধু যাহা দেখিয়াছি এবং শুনিয়াছি, তাহাই লিপিবদ্ধ করিয়াছি। স্রেফ জীবিকার্থে আরো দশলক্ষ বাংলাদেশীর একজন হিসেবে সৌদীআরব গমন এবং অবস্হান করিয়াছি। ওখানকার কোনটা জায়েজ কিংবা কোনটা নয় সেটা নিরূপণ আমার এখতিয়ারে ছিলো না। আমার জায়েজ ছিলো কেবল পরিবারের জন্য আয় আর দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

কর্ণজয় এর ছবি

আপনার পোস্টটিতে পড়ে শিরোচ্ছেদ প্রথা এবং তার কার্যকরী প্রথা নিয়ে বাস্তবতার বর্ণনা উঠে এসেছে। আপনার শেষ বাক্যের সূত্র ধরে আপনার কাছে জিজ্ঞাস্য -
১. নরমাংস গ্রহণের অভিযোগে একজন কোরিয়ানের শিরোচ্ছেদ এবং তার মৃতদেহ প্রদর্শনের পর আপনি আর কোন কোরিয়ানকে ঐ ভয়ানক অপরাধে লিপ্ত হতে দেখেন নি। এটা কি আপনি শিরোচ্ছেদেও কারণে ঘটেছে বলে মনে করেন?
২. আর যদি শিরোচ্ছেদের কারণে ঐ অপরাধ আর না ঘটে থাকে তবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেখানে কোন শিরোচ্ছেদ প্রথা নেই- এমনকি আমাদেও মত দেশে যেখানে অপরাধ করলে শাস্তি পাওয়ার ভয়টাও কম সেখানে যে অসংখ্য কোরিয়ান কাজ করেন তাদেও কয়জনকে নরমাংস ভক্ষন করতে দেখেছেন?
৩. যদি না দেখে থাকেন- তবে এটি একটি বিকৃত কোরিয়ান (আসলে মানুষ) এর বৃত্তান্ত যার ব্যতিক্রমমাত্র। ব্যতিক্রমই যদি হয় তাহলে এই বাক্য দিয়ে আপনি কোন যুক্তিতে শিরোচ্ছেদ প্রথার ফলাফল হিসেবে দেখছেন?
৪. সৌদি আরবে যদি শিরোচ্ছেদ প্রথা প্রচলিত থাকে অনেকদিন ধরে- এবং এই শিরোচ্ছেদপ্রথা যদি অপরাধ কমাতে সাহায্য করে তবে সৌদি আরবে নতুন কওে অপরাধ সংগঠিত হয় কি করে?
৫. যদি ধরে নেই সৌদি আরবে যে নতুন এসেছে, শিরোচ্ছেদ প্রথার মর্মার্থ অনুধাবন করে নি- তাহলে সৌদি আরবের যে নাগরিক তারতো এই প্রথার ভয়াবহতা জানার কথা। সে কেন হত্যা কিংবা এই ধরণের অপরাধ করে?
৬. আপনি শিরোচ্ছেদ দেখেছেন। এর ফলে চিন্তার জায়গা থেকে একজন মানুষকে হত্যা করা সম্পর্কে (কেন করছি সেটা নয়) আপনার জড়িত হওয়ার ব্যাপারে মানসিক ভীতি কি আগের চেয়ে কমে গেছে?
৭. যদি কমে গিয়ে থাকে তাহলে যে কোন পরিস্থিতিতে আপনার মানুষকে হত্যাপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সম্ভাবনা কি বৃদ্ধি পাবে না?

সাফি এর ছবি

লেখা পড়ে প্রথমেই মনে হল - হুহু বাবা সৌদি শাস্তির এমনই প্রকোপ যে, করিয়ানরা পর্যন্ত মানুষ খাওয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিলো। পোস্টের বক্তব্য কি এই যে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিলো বলেই অন্য কোরিয়ানরা আর কারো মাংস খাওয়ায় আগ্রহ বোধ করেনাই? যদি তাই হয়, তাহলে হাত কাটার অনেক ঘটনার পরেও কেন ওখানে চুরি হয়? আর তাছাড়া কোরিয়ানরা কি জাতিগতভাবে নরখাদক?

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

ঘটনাক্রমে আমার সৌদি অবস্থানকালের প্রাথমিক দিনগুলোতে ওই কোরিয়ান ব্যক্তি প্রাণদণ্ডপ্রাপ্ত হয় এবং এর পেছনের কাহিনীটা আমার হৃদয়ে প্রচন্ডভাবে প্রভাব ফেলে। তাই সেটা এই পোস্টে এসেছে। আপনার খারাপ লেগে থাকলে আমি দুঃখিত। এটা হতে পারতো সৌদী খেয়েছে বাংলাদেশীর মাংস, কিংবা পাকিস্তানি পাকিস্তানির। কানাডার আইনে হলে নির্ঘাত সে মানসিক অসুস্হতার কারণে ছাড়া পেয়ে যেতো!

তবে আপনি নিশ্চয়ই এটা অস্বীকার করবেন না, কোরিয়ানদের বিভিন্ন ডেলিকেসির প্রতি একটা ঝোঁক রয়েছে। আমাদের হাজার হাজার বাংলাদেশী কোরিয়ান কন্স্ট্রাকশন কোম্পানীগুলোতে কাজ করতো। মরুভূমির বুকে শত শত মাইল রাস্তা বানিয়েছে ওরা। ওদের অভিজ্ঞতায় চলার পথে মরুভূমির কোন জানোয়ারে্রই নিস্তার ছিলো কোরিয়ানদের কাছে।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

ঘটনাক্রমে আমার সৌদি অবস্থানকালের প্রাথমিক দিনগুলোতে ওই কোরিয়ান ব্যক্তি প্রাণদণ্ডপ্রাপ্ত হয় এবং এর পেছনের কাহিনীটা আমার হৃদয়ে প্রচন্ডভাবে প্রভাব ফেলে। তাই সেটা এই পোস্টে এসেছে। আপনার খারাপ লেগে থাকলে আমি দুঃখিত। এটা হতে পারতো সৌদী খেয়েছে বাংলাদেশীর মাংস, কিংবা এক পাকিস্তানি অন্য পাকিস্তানির। কানাডার আইনে বিচার হলে নির্ঘাত সে মানসিক অসুস্হতার কারণে ছাড়া পেয়ে যেতো!

আপনার প্রশ্ন অনেকগুলো। সময় নিয়ে জবাব দিতে হয়।

তাছাড়া আমার কোন ধারণা কি বিশ্বাস এস্টাব্লিশ করার জন্যে এ লেখা ছিল না। আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সেই পরিস্হিতির সৃষ্টি করতেও চাই না। যা দেখেছি এবং শুনেছি, অকপটভাবে লিখে গেছি। মন্তব্যের ভার পাঠকের উপর।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

নাই

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

ধন্যবাদ।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

 তাপস শর্মা  এর ছবি

অ্যাঁ অ্যাঁ অ্যাঁ

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

পড়েছেন বলে ধন্যবাদ।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

তাপস শর্মা  এর ছবি

আরে না মিয়া, আমার মাথামুথা আউলাইয়া গেছে । আর আপ্নে ধইন্যা বিলাইতেছেন অ্যাঁ

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

আচ্ছা ধইনা ফিরায়ে নিলাম। পানি খাওনের ইমো যে পাইতে আছি না।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

লেখার টোনটা একদমই, একদমই ভাল লাগেনি। শেষ পর্যন্ত আপনি তো অনেক কথা-বার্তার পরে জনসম্মুখে নরহত্যার পক্ষেই রায় দিতে চেয়েছেন। একটা ব্যতিক্রমী ঘটনাকে উদাহরণ হিসেবে টেনেছেন। কিন্তু সারা পৃতিবীতেই তো কোরিয়ানরা ছড়িয়ে আছে, যেখানে জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড নেই, এমনকি মৃত্যুদণ্ডেরও বিধান নেই। আপনি কি দাবী করছেন, কোরিয়ানরা সেসব দেশে রাস্তা থেকে মানুষ ধরে এনে ফ্রীজে রেখে রসনা বিলাস করে?

আর আপনার লেখার টোনে মনে হয়নি এই মৃত্যুদণ্ডগুলো আপনাকে তেমন ভাবিয়েছে। নাহলে একজন পরিচিত লোকের সাথে এরকম কথোপকথন কিভাবে হয়?

বিলম্বে বঞ্চিত হইবে

এটা কি এত আগ্রহ নিয়ে দেখাত মত জিনিস??

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

বিলম্বে বঞ্চিত হইবে

আমার তিরিশ বছর আগের ডায়েরী থেকে কোট করেছি হুবহু। টোন ডাউন করার চেষ্টামাত্র করিনি। আমার কাজ শুধু বিবরণ লিখে যাওয়া, আবেগবর্জিত ভাবে। মন্তব্য করবেন পাঠক। হতে পারে সে ইন্দোনেশীয়ান স্বস্তির আনন্দ প্রকাশ করেছিলো একজন মানুষখেকোকে সাজা পেতে দেখে। হতে কি পারে না?

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

অপরাধী শাস্তি পেতে দেখলে স্বস্তি পেতে পারে। কিন্তু শাস্তি দৃশ্য, বিশেষ করে মানব শিরোচ্ছেদ যে প্রচন্ড আগ্রহ নিয়ে দেখে, না দেখলে যার কিছু 'মিস' হয়ে যায়, তাকে সুস্থ্য মানুষ বলতে ইচ্ছা হয় না।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

পাঠক এর ছবি

ফাসি যে খুব একটা মানবিক শাস্তি তাও তো না, লিথাল গ্যাস বা ইনজেকশন ও না। তাতে আমাদের দেশে বা আমেরিকায় ম্যানস্লটার বা এইধরনের অপরাধ কমেছে বলে মনে হয় না।

একটা দেশের আইন তাদের নিজেদের ব্যাপার। যদি ভালো না লাগে, যাইয়েন না। তারা বলে রেখেছে যদি তুমি ক খ বা গ অপরাধ করো, তাহলে তোমার অমুক শাস্তি হবে। তার পর কেউ সেই অপরাধ করে ঐ শাস্তি পাবার পর ঐ শাষ্তি কতটা খারাপ, বা ঐ দেশের আইন কতটা খারাপ এইটা নিয়ে আলোচনা করা হাস্যকর। বরং যুক্তরাজ্যের কেউ শাস্তি টা কেনো পেলো না, তাদের দেশের হাইকমিশনার কি করতে পেরেছিলো যেটা আমাদের দেশের জন পারে নি, এইসব নিয়ে আলোচনা করা ভালো।

সৌদির দোষ দেখি না, তারা জানিয়েই রেখেছে কি হবে না হবে। দোষ আমাদের সরকারের, সেটার সমালোচনাই ভালো।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

সৌদির দোষ দেখেন না ভালো কথা। কিন্তু সেটা নিয়ে তেল চুপচুপে লেখা না দিলেই কি ভাল না? সেটাকে ইনিয়ে বিনিয়ে জাস্টিফাইড না করলেই কি নয়?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

guest এর ছবি

সবিনয়ে বলতে চাই, এটা সৌদি আরব এর পক্ষে তেল চুপচুপে লেখা বলে আমার মনে হচ্ছে না। একটা দেশ তার নিজস্ব জুডিশিয়াল সিস্টেম এ চলে। সে যেভাবে ভালো মনে করে সেভাবে দেশ চালাবে। সেই দেশ একটা ম্যানুয়াল মেনে কাজটা করে। এটা সৌদি আরবই হোক আর বাংলাদেশ বা আমেরিকাই হোক। ওই দেশে এ যারা থাকবে বা কাজ করবে, তাদেরকে সেই নিয়ম মেনে চলতে হবে - সেটা সৌদি বা যেই দেশই হোক। চায়নাতে ফায়ারিং স্কোয়াড এর মাধ্যমে আসামীকে মারা হয় - আমার কাছে সেটা কোন অংশে কম কষ্টকর বলে মনে হয় না। এই পুরো বিষয়টাতে সমালোচনার যোগ্যতা রাখে বাংলাদেশ সরকারের কার্যকলাপ, তাদের উদাসীনতার অংশটুকু। সৌদী আরবে যদি এই বাংলাদেশী লোকগুলোকে রসগোল্লা খাইয়ে খাইয়ে মারা হতো তাহলে কি এই বিষয়টা আলোচনার যোগ্যতা থাকতো না? কেবলমাত্র তাদেরকে বর্বর পদ্ধতিতে মারা হয়েছে বলে এটা নিয়ে এত কথা? আরেকটা প্রশ্ন হচ্ছে, একই দোষে অন্য কোন একটা দেশে সেই দেশের নিয়ম অনুযায়ী যদি এদেরকে দন্ড দেয়া হতো তাহলে কি এটা নিয়ে এত প্রশ্ন উঠতো?

-মেফিস্টো

guest এর ছবি

দুঃখিত, ক্লিয়ার করার জন্য বলে রাখি, যেই "পাঠকের" মন্তব্যের জবাবে আপনি "তেল চুপচুপে" বলেছেন আমার সেই মন্তব্যটাকে তেল চুপচুপে মনে হয় নাই। আমি মূল লেখার সপক্ষে বা বিপক্ষে কিছু বলছিনা।

-মেফিস্টো

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

মূল লেখার সপক্ষে বা বিপক্ষে কিছু না বললেও অংশগ্রহণের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

এই পুরো বিষয়টাতে সমালোচনার যোগ্যতা রাখে বাংলাদেশ সরকারের কার্যকলাপ, তাদের উদাসীনতার অংশটুকু।

আমার লেখাটার মূল উদ্দেশ্য সেটাই। আমি বিশ বছর সৌদিআরবে সসন্মানে অবস্হান করে এখন ভিন্নদেশে। ভুলতে পারছিনা সাত বাংলাদেশীর মৃত্যুদন্ডের কষ্ট। চাই সরকার শিখুক কিভাবে এধরণের পরস্হিতি কৃতিত্বের সাথে সামাল দিতে হয়। দন্ডাদেশ কার্যকর হতে চার বৎসর লেগেছে। এত লম্বা সময়ে কি করছিলো এমবেসী?

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

তারা বলে রেখেছে যদি তুমি ক খ বা গ অপরাধ করো, তাহলে তোমার অমুক শাস্তি হবে। তার পর কেউ সেই অপরাধ করে ঐ শাস্তি পাবার পর ঐ শাষ্তি কতটা খারাপ, বা ঐ দেশের আইন কতটা খারাপ এইটা নিয়ে আলোচনা করা হাস্যকর।

আপনি যথার্থই বলিয়াছেন। সৌদীআরবে দশ লক্ষাধিক বাংলাদেশী কর্মরত রহিয়াছেন। তাহাদের কাহারো এই শাস্তি লইয়া শির:পীড়া নাই। কারণ তাহারা এই শাস্তির অপরাধ করিতে ওইদেশে গমন করে নাই।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

একটা দেশের আইন তাদের নিজেদের ব্যাপার। যদি ভালো না লাগে, যাইয়েন না। তারা বলে রেখেছে যদি তুমি ক খ বা গ অপরাধ করো, তাহলে তোমার অমুক শাস্তি হবে। তার পর কেউ সেই অপরাধ করে ঐ শাস্তি পাবার পর ঐ শাষ্তি কতটা খারাপ, বা ঐ দেশের আইন কতটা খারাপ এইটা নিয়ে আলোচনা করা হাস্যকর।

আপনি যথার্থই বলিয়াছেন। সৌদীআরবে দশ লক্ষাধিক বাংলাদেশী কর্মরত রহিয়াছেন। তাহাদের কাহারো এই শাস্তি লইয়া শির:পীড়া নাই। কারণ তাহারা এই শাস্তির অপরাধ করিতে ওইদেশে গমন করে নাই।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

পাঠক এর ছবি

লেখা পড়ে ভাল লাগে নাই। অফ যা

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

পড়ার এবং মন্তব্য করার সময় দিয়েছেন বলে ধন্যবাদ। চলুক

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

মণিকা রশিদ এর ছবি

আপনার এই লেখাটি পড়ে স্তম্ভিত হয়ে গেলাম! প্রকাশ্যে মানুষ জবাই করার মতন বর্বর বিষয় যে মানুষকে বিনোদিত করতে পারে এটা বিস্ময়কর। এর মধ্যে আপনি সৌদিদের কোনো দোষ দেখেন না। বুঝলাম। সৌদি বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আপনার কি ধারণা সে বিষয়ে জানার আগ্রহ বোধ করছি।

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

আমি উপরে বলিয়াছি, যাহা শুধু দেখিয়াছি এবং শুনিয়াছি, তাহাই লিপিবদ্ধ করিয়াছি। নিজস্ব বক্তব্য রাখিবার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করি নাই। আমরা বাংলাদেশে বসিয়া যাহাকে বর্বর বিষয় বলিতেছি, সেইদেশে আমজনতা যে তাহা ভীড় করিয়া অবলোকন করে, এমনকি মহিলা দর্শকের উপস্হিতিও পরিলক্ষিত হয়, সেইটেই পাঠকদের জানানোর প্রয়োজন মনে করিয়াছি।

ইচ্ছাকৃতভাবে বিশেষ রীতিতে লেখাটার বেশ কয়েক জায়গায়, যেমন জল্লাদের প্রস্তুতিপর্বে, বিদ্রুপাত্বক বর্ণনা কি প্রক্রিয়াটার প্রতি আমার অনুভূতির খানিক আভাস মেলে না!

সৌদি বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে এই লেখারই কোন এক পর্বে বলিবার ইচ্ছা রাখিলাম।

মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

রাগিব এর ছবি

সৌদি আম জনতা একজন মানুষের নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে তামাশা হিসাবে দলবেঁধে দেখে, এতেই প্রমাণ হয় সৌদিরা কীরকম বর্বর আর পশুতূল্য। সেদেশে তাদের সংস্পর্শে আসলে সুস্থ বাংলাদেশীরাও কিছুটা ঐ পর্যায়ে পৌছে যায়, শিরচ্ছেদের সাফাই গাওয়া সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীদের কথাবার্তা দেখলে তাই বোঝা যায়। সৌদিদের মনের মানসিকতা সেই আইয়ামে জাহেলিয়াতের আমলেই রয়ে গেছে। নিচে সাইফ তাহসিনের পোস্ট করা ভিডিও দেখে বমি এসে গেলো, আর এই জিনিষ কি না সৌদিরা বিনোদন হিসাবে দেখে!! এহেন সৌদিদের কোনো পশুর সাথে তুলনা করলেও সেই পশুটির অবমাননা হয়!!

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

দিহান এর ছবি

'সেদেশে তাদের সংস্পর্শে আসলে সুস্থ বাংলাদেশীরাও কিছুটা ঐ পর্যায়ে পৌছে যায়, শিরচ্ছেদের সাফাই গাওয়া সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীদের কথাবার্তা দেখলে তাই বোঝা যায়।'

সহমত। এইসব বাংলাদেশীদের কথাবার্তা হজম করে খুবই কষ্টকর।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

Ratpakhi এর ছবি

অনেকেই লেখাটার উলটো ব্যাখ্যা করে ঝগড়া করতে চাইছেন॥ লেখক তার লেখায় তার অবস্থান ধোয়াশা
করে ফেলেছেন তা ঠিক, কিন্তু পরে কিন্তু বারবার বল্ ছেন তার আসল উদ্দেশ্য ।

দিহান অবশ্যই ব্যক্তিগত আক্রমন করেছেন যা খুব স্পষ্ট। উনার লেখার সুত্র ধরেই বলছি ট্রাভেল আজেন্সি তে কাজ করার সময় দিহান যে বিবেচনা বোধের পরিচয় দিয়েছেন এক্টা মেয়ের বিপদের কারন হয়ে, সাথে সাথে
অন্যায় এর বিরুদ্ধে কিছুই না করে বেশ কিছুকাল পরে চাক্ রি ছেড়ে নিজেকে নির্ভার করেছেন। শাবাশ। আপ্নাদের মত মানুষ্ দের কথা হজম করতেও কম কষ্ট লাগে না কিন্তু ।

আমরা কি খুব বেশি আবেগ প্রবণ হয়ে বক্তব্য পরিষ্কার করার অবকাশ না দিয়েই লেখকের প্রতি খারাপ আচরন করছি না?

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

আমি পোস্টগুলো পড়ার সাথে সাথে মন্তব্যগুলোও যতন করে পড়ি। মন্তব্য ব্যক্তির আসল পরিচয় নিশ্চিত করে।
আপনাকে শুভেচ্ছা সংযত মন্তব্যের জন্য।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

এইসব বাংলাদেশীদের কথাবার্তা হজম করে খুবই কষ্টকর।

আপনি কোনসব বাংলাদেশী! পরিচয় দিয়ে ধন্য করুন আমাদেরকে।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

আপনার মন্তব্যটা কি একটু ব্যক্তিগত আক্রমণের পর্যায়ে চলে গেলো না?

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

রাগিব এর ছবি

আপনি কি সৌদি? কিংবা আমার মন্তব্যে কি লিখেছি যে খন্দকার আলমগীর হোসেন সাহেব এই শিরচ্ছেদের ঘটনায় বিনোদিত হয়েছেন বলে তিনিও পশুতূল্য? এই দুইটার কোনোটাই যদি বলে না থাকি, তাহলে কোন ব্যক্তিকে আক্রমণ করে বসলাম আবার?

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

সৌদিরা কীরকম বর্বর আর পশুতূল্য। সেদেশে তাদের সংস্পর্শে আসলে সুস্থ বাংলাদেশীরাও কিছুটা ঐ পর্যায়ে পৌছে যায়

উপরের মন্তব্য দেখে পরিষ্কার বোঝা যায়, আমাকে নাম ধরে আক্রমণ না করলেও ব্যক্তিসমষ্টিকে, সৌদিআরবে বসবাসরত দশ লক্ষাধিক বাংলাদেশীর অনুভূতিকে, আহত করার চেষ্টা আপনি অবশ্যই করেছেন। একজন সিনিয়র সচলের কাছ থেকে একটু বেশী সহনশীলতা সবাই আশা করতেই পারে। যাতে নতুনরা শেখে, আস্কারা না পেয়ে যায়।

প্রবল পরাক্রমশালী আম্রিকার (আমেরিকা নয়) দুতাবাসের ভাষা দেখুন কত সহনশীল ও সমঝদার।

Persons violating Saudi Arabian laws, even unknowingly, may be expelled, arrested, imprisoned, or even executed.

The penalty for drug trafficking in Saudi Arabia is death. Saudi officials make no exceptions. The U.S. Embassy and Consulates General have no standing in Saudi courts to obtain leniency for a U.S. citizen convicted of alcohol or drug offenses.

The Saudi Embassy in Washington advises women traveling to Saudi Arabia to dress in a conservative fashion in public, wearing ankle-length dresses with long sleeves and not pants.

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

রাগিব এর ছবি

উপরের মন্তব্য দেখে পরিষ্কার বোঝা যায়, আমাকে নাম ধরে আক্রমণ না করলেও ব্যক্তিসমষ্টিকে, সৌদিআরবে বসবাসরত দশ লক্ষাধিক বাংলাদেশীর অনুভূতিকে, আহত করার চেষ্টা আপনি অবশ্যই করেছেন। একজন সিনিয়র সচলের কাছ থেকে একটু বেশী সহনশীলতা সবাই আশা করতেই পারে। যাতে নতুনরা শেখে, আস্কারা না পেয়ে যায়।

কুতর্ক শুরু করেছেন এই মন্তব্যে আপনি। প্রথমে ধরলেন আপনাকে বলা হচ্ছে, তারপরে সেটা বানিয়ে দিলেন ১০ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশীর সবাইকে বলা হচ্ছে। এমন কুতর্ক না করে আমার মন্তব্য ও আপনার পোস্ট আবার পড়ে দেখুন।

খোলাসা করে বলতে গেলে, আমোদ ফুর্তির জন্য, সোজা বাংলায় "তামাশা দেখা"র জন্য কেউ সপ্তাহে সপ্তাহে শিরোচ্ছেদ দেখতে গেলে, টুল টেবিল নিয়ে গেলে তাকে মানসিক ভাবে অসুস্থ্য এবং বর্বর সৌদি মানসিকতার প্রভাবে প্রভাবিত বলে অভিহিত করা ছাড়া আর কিছু বলার অবকাশ নাই। সেটা যদি আপনি করে থাকেন, তবে আপনার ক্ষেত্রে এই বিশেষণগুলা প্রযোজ্য। সেটা যদি ১০০ জন, ১ হাজার জন বাংলাদেশী করে থাকে, সেই ১০০ জন বা ১ হাজার জন বাংলাদেশীর ক্ষেত্রে এই বিশেষণগুলা প্রযোজ্য। তবে নানা ফোরামে সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনেকের কথা পড়ে মনে হয়নি তারা সবাই উল্লাসের সাথে মানুষের শিরোচ্ছেদ উপভোগ করতে টুল-টেবিল নিয়ে প্রতি সপ্তাহে রওনা হয়। কাজেই সমষ্টিগতভাবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রে এই রকম কিছু আমি বলিনি, বলার প্রশ্নই আসে না। আপনি নিজে সৌদি আরবে প্রবাসী ১০ লাখ বাঙালির প্রতিনিধিত্ব করেননা, সেটা বোঝাটা খুব কঠিন না। (ঠিক যেমন আমিও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতিনিধিত্ব করি না, কিংবা "সিনিয়র সচল"দেরটাও না)।

প্রবল পরাক্রমশালী আম্রিকার (আমেরিকা নয়) দুতাবাসের ভাষা দেখুন কত সহনশীল ও সমঝদার।

নিষ্ঠুর বর্বরদের দেশে গেলে সাধু সাবধান হয়ে চলতে হবে, নিজ দেশের নাগরিকদের সেটা মনে করিয়ে দেয়াতে সমস্যা কোথায় আম্রিকার? আমার তো মনে হয় বাংলাদেশের পাসপোর্টে ছেপে দেয়া দরকার এই টাইপের সতর্কবাণী। তাতে করে এরকম ভয়াবহ দেশে যাবার আগে মানুষ দুবার ভেবে দেখবে।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

কুতর্কে নেমেছেন আপনিও। শুধু আপনার হ্যাঁ তে হ্যাঁ মিলাইনি বলে। আম্রিকায় বসে একজন অসৌদির স্মৃতিনির্ভর কয়েকলাইন লেখা পড়ে একটা সমগ্র জাতিকে নিষ্ঠুর বর্বর আখ্যা দেয়া কতটুকু সংগত? আর আম্রিকাকে বলছেন সাধু! আপনার অবস্হান কি তাই?

আমার তো মনে হয় বাংলাদেশের পাসপোর্টে ছেপে দেয়া দরকার এই টাইপের সতর্কবাণী। তাতে করে এরকম ভয়াবহ দেশে যাবার আগে মানুষ দুবার ভেবে দেখবে।

দশ লক্ষ বাংলাদেশী তো পগার পার। ক'জনকে ঠেকাবেন? খোদ আম্রিকানরাই যাচ্ছে পদে পদে সতর্কবাণী সত্বেও।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

রাগিব এর ছবি

সৌদিদের বর্বরতা বোঝার জন্য আপনার লেখা পড়া লাগেনা, নানা জায়গায় এন্তার ভিডিও, রিপোর্ট ইত্যাদি আগে থেকেই ছড়িয়ে আছে হাসি

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আপনার পোস্ট পইড়া মনে হইল, পরের বার পপকর্ণ রেডি কইরা রাখতে হইবে, আপনার সাথে মুন্ডুপাত দেখতে যাবার জন্যে, অনেক বিনোদন পাইছেন। পোস্টে একতারা দাগাইলাম! আর মণিকা রশিদের সাথে তাল মিলায়া প্রশ্ন রাইখা গেলাম, ওদের বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনার মতামত কি? নাকি দেহ শিহরণের চোটে সেইটা চিন্তা করার সময় পান নাই?


এই জিনিস মানুষ আগ্রহ নিয়া দেখে কেমনে?

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

তারা দিতে মনে ছিল না। আমিও একতারা দিলাম।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

তারা দিতে ফিরে এসেছেন! ঔদার্যের জন্য ধন্যবাদ নিন ত্রিমাত্রিক কবি।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

সাইফ তাহসিনকে বলছি

একান্তে কইঃ
প্রেমের লেখা পোস্ট কইরা আর আপ্নেগরে বোর করতে চাচ্ছিলাম না। এক সচল এবং আরেক হাচাল তো কইয়াই ফালাইছে, এক প্রেমরে আর কতো কচলাইবেন! তাই ঠিক কইরা হালাইছি, হিংসা নিয়া লিখুম।

এইবার সিরিয়াসঃ
কয়েকদিন আগে এক ভাই সাত বাংলাদেশের শিরচ্ছেদের খবর দিয়েছেন। দেখলাম হাজারোবার দেখা হয়েছে পোস্টটা এবং পাঠকদের ক্রুদ্ধ থেকে ক্রুদ্ধতর মন্তব্য। আমি এই ক্রোধটাকে সঠিকপথে মোটিভেট করতে চাই।
এই লেখাটি সেই লক্ষ্যে প্রথম প্রয়াস।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

আমি এই ক্রোধটাকে সঠিকপথে মোটিভেট করতে চাই।

অ্যাঁ

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

কালো কাক এর ছবি

আমার তো লেখাটা পড়েই বমি পেলো। এইরকম একটা বিষয়ে এভাবে লেখা কি কোন সুস্থ্য মানুষের পক্ষে সম্ভব ?
আর শেষ প্যারা পড়ে মনে হচ্ছে কোরিয়ানরা সবসময় মানুষই খায়, কেবল ঐ ঘটনার পর সৌদিতে তারা মানুষের বদলে কুকুর খাচ্ছে !

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

যা দেখেছি, লিখেছি। না লিখলে জানতেন কি করে? এই দুনিয়াতে বমি পাওয়ার জিনিস আরো কত কি রয়েছে! সাবধানে থাকবেন কালো কাক।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

পাঠক এর ছবি

ঠিক যে ভাবে ভিডিও টি আমরা সবাই দেখলাম এ ভাবেই সবাই দেখে । কেউ তো জোর করছে না! আপনার যদি শাসতি হ্‌য , আপনি কোন ভাবে কারযকর করতে চাইবেন? আমিএটাই prefer করবো।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আপনার কী ধারণা রাস্তার মধ্যে গলা কেটে ঝুলিয়ে রাখার কেরামতিতে আর কোনো কোরিয়ান মানুষ কেটে খাচ্ছে না? আর ওরকম ভাবে ওই (মানসিকভাবে অসুস্থ) লোকটাকে না মারলে সব কোরিয়ান মানুষ কেটে কেটে খাওয়া শুরু করত?!

লেখাটা বেশ একটা উতসবের আমেজে লিখলেন মনে হল। মানুষের যে সভ্য হতে এখনো লাখখানেক বছর লাগবে তাতে কোনো সন্দেহ রইল না আর!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

পাঠক এর ছবি

তথাকথিত 'হিউম্যানিষ্ট' দের একটা সমস্যা .... যতক্ষন পর্যন্ত নিজের কোনো সমস্যা না হচ্ছে ততক্ষন তাদের 'হিউম্যানিজম' শক্ত থাকে।

মৃত লোকটা যদি ইজিপশিয়ান না হয়ে আপনার বাবা হতো, বা ভাই হতো, তাহলে হয়ত অনেকেরই মানবিকতাবোধ কিছুটা লাঘব হয়ে স্বাধীন আইনের প্রতি কিছুটা শ্রদ্ধা আসতো। সেটা চীনের ফায়ারিং স্কোয়াডই হোক, আর সৌদিরই কাছাছই হোক।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

সচলের তথাকথিত 'পাঠক'দের একটা সমস্যা, এরা কখনো স্বনামে মন্তব্য করে না।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

বেনামে কি স্বনামে, মন্তব্য মন্তব্যকারীর স্বরূপ প্রকাশ করবেই।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

খাঁটি মানুষ এর ছবি

একবার দেখিতে কিই বা ক্ষতি

আপনার লেখার ধরণটাই বলে দেয় এই এক কোপে গর্দান নেওয়ার দৃশ্যটা আপনি যে শুধু তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগই করেছেন তা নয় এরকম একটি বর্বর, বিকৃত রীতি আপনাকে প্রবাস জীবনে বেশ বিনোদন যোগাত। আপনি পরিস্কারভাবে কোরিয়ান লোকটির ঘটনাটি টেনে এনে এহেন শাস্তির প্রতি আপনার একাত্ম ঘোষণা করেছেন। করতেই পারেন। তবে ঐ ঘটনাটির রেফারেন্স উল্লেখ করলে বিষয়টির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যেত। কল্লা কাটা দেখিতে যার কোন ক্ষতি হয়না, সে কল্লা কাটিতেও ইতঃস্তুত বোধ করবে বলে মনে হয়না।

পৃথ্বী এর ছবি

এক কোরিয়ানের মানুষ খাওয়াটা বেশি বর্বর নাকি এক গাদা মানুষের সপরিবারে আরেকজন মানুষের মুন্ডুকর্তন দেখতে যাওয়াটা বেশি বর্বর, বুঝতে পারছি না।

পাঠক এর ছবি

কোরিয়ায় কি মানুষ মেরে মাংস ফ্রিজে রেখে খাওয়ার রীতি প্রচলিত? এই লোকটি একটি অসুস্থ মানুষ, মানসিক রোগি।এর তো চিকিৎসা প্রয়োজন ছিল, আর করা হল শিরচ্ছেদ!!!! হায়রে বিচার!!!!!!!!

দ্যা রিডার এর ছবি

লেখা বিষয়ে লেখক তার অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন এরই মধ্যে । তিনি যদি শিরচ্ছেদ এর পক্ষে এমনটা মনে হয়নি ... লেখাটি শুধু মাত্র একটি অমানবিক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হবার অভিজ্ঞতা বর্ণন বলেই মনে হয়েছে আমার কাছে । যদি তাই হয়ে থাকে , সেটাই ভাল । এধরণের অমানবিক ভাবে শাস্তি প্রদান কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয় ।

অজ্ঞ পাঠক এর ছবি

আমার অজ্ঞতার জন্য ক্ষমা চেয়ে একটা সিরিয়াস প্রশ্নঃ

আমাকে কি কেউ বলবেন, কেন (কোন মানদন্ডে) প্রকাশ্যে শিরোচ্ছেদ কে আপনি/আপনারা বর্বর বলছেন? এখানে কারণ কি প্রকাশ্য নাকি শিরোচ্ছেদ? নাকি অন্যকিছু?

রাগিব এর ছবি

মৃত্যুদণ্ড নিজেই একটা জঘন্য ব্যাপার, তবে সে বিতর্কে না গিয়েও আপনার প্রশ্নের জবাব খুব সহজেই দেয়া যায়,

"প্রকাশ্যে"

"আম জনতার বিনোদন"

যে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত, তার জন্য ফাঁসী বা শিরোচ্ছেদে ফারাক কম, কিন্তু সেটা প্রকাশ্যে উৎসব করে দেয়াটা বর্বর দেশের পরিচায়ক। একইভাবে যদি কোনো দেশে ফাঁসী দেয়া হতো প্রকাশ্যে, আম জনতার বিনোদনের জন্য, সেটাও হতো একই রকমের বর্বর। নানা দেশে এক সময় এরকম প্রকাশ্যে ফাঁসী দেয়ার চল থাকলেও সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে সেটা বন্ধ হয়েছে। এখন কেবল চীন, ইরান, আর আরবেই সম্ভবত এরকম প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। আর এই পোস্টের লেখকের কথা অনুসারে এই ভয়াবহ ঘটনাগুলো হলো সৌদিদের জন্য সাপ্তাহিক আমোদ-ফুর্তির ব্যাপার। সেটাই বর্বরতা।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

আর এই পোস্টের লেখকের কথা অনুসারে এই ভয়াবহ ঘটনাগুলো হলো সৌদিদের জন্য সাপ্তাহিক আমোদ-ফুর্তির ব্যাপার।

'লেখকের কথা অনুসারে' বললেন যে! আমোদ-ফুর্তির ব্যাপার কখন বললাম? আপনি আমার লেখার অপব্যাখ্যা দিচ্ছেন, এবং অন্যদের কাছে সেটা বিক্রি করার চেষ্টা করছেন।

আবারো বলছি, একজন সিনিয়র সচলের কাছে এধরনের 'ডিস্টোরশন' অনাকাংখিত ছিলো।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ইন্দোনেশিয়ান ড্রাইভারটা বলিলো, জুমার নামাজটা এইখানে পড়িতে আসিলে কখনো সখনো ‘কাছাছ’ দেখিতে পাইবা। ‘কাছাছ’ কি জিজ্ঞেস করাতে ও নিজের একটা হাত গলায় পোঁছ দিয়া যাহা বুঝাইতে চাহিলো, নিমিষে হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিলাম, আম্মাজানের সতর্কবাণী ‘ইয়াদ’ হইয়া গেলো। তারপরও ভাবিলাম, একবার দেখিতে কিইবা ক্ষতি!

চতুর্দিকে ঘিরিয়া থাকে আমজনতা। কোন গোপনীয়তার বালাই নেই সেখানে। মহিলা দর্শকের উপস্থিতি সংখ্যা দেখিয়া অবাক হইতেই হয়। যাহারা একটু খর্বাকৃতি, টুল বহন করিয়া আনে বাড়ি হইতে। যাহাতে দৃশ্যের কোন অংশ দেখা বঞ্চিত হইতে না হয়! মুহুর্মুহু আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিতে থাকে জনতা।

ইন্দোনেশিয়ানটা বলিলো শীঘ্র যাও ভ্রাতা, ওখানে অদ্য একজন কোরিয়ানকে ‘কাছাছ’ করিয়া রাস্তার উপর ঝুলাইয়া রাখিয়াছে।বিলম্বে বঞ্চিত হইবে, কেননা সন্ধ্যাকালে নামাইয়া ফেলিবে বিলক্ষণ।

-এই কথাগুলো সবতো লেখকেরই বলা নাকি? এই প্রত্যেকটা বাক্য থেকে কি প্রমাণিত হয় না যে, এই ভয়াবহ ঘটনাগুলো হলো সৌদিদের জন্য সাপ্তাহিক আমোদ-ফুর্তির ব্যাপার? এবং সেটা তো লেখকের কথা অনুসারেই। রাগীব ভাই কিভাবে আপনার কথার অপব্যখ্যা করলেন?? এগুলো তো আপনারই কথা নাকি?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অচেনা আগুন্তুক এর ছবি

লেখা পরে কিঞ্চিত হতাশ বৈকি। আমরা অনেক সময় একটা ভুল আড়াল করতে গিয়ে আরও এক গাদা ভুল করে ফেলি। তবে লেখক তাঁর মতামত প্রকাশ করেন নি বললেও তাঁর লেখায় কিছুটা হলেও সেই মতামতের একটা আভাস পাওয়া গেছে।

মনিকা আপু, ত্রিমাত্রিক কবি আর রাগিব ভাই এর সাথে সম্পূর্ণ রূপে একমত।

অচেনা আগুন্তুক
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------
"আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে"

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

এই প্রত্যেকটা বাক্য থেকে কি প্রমাণিত হয় না যে, এই ভয়াবহ ঘটনাগুলো হলো সৌদিদের জন্য সাপ্তাহিক আমোদ-ফুর্তির ব্যাপার?

আমার পোস্টটা ছিল স্মৃতিনির্ভর বর্ণনা। আপনি যেভাবে তা থেকে 'সৌদিদের সাপ্তাহিক আমোদ-ফুর্তি'র উপকরণ আবিষ্কার করে ফেলেছেন, মন্তব্যটা হয়ে গেছে 'কল্পনা নির্ভর।'

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

রাগিব এর ছবি

'লেখকের কথা অনুসারে' বললেন যে! আমোদ-ফুর্তির ব্যাপার কখন বললাম? আপনি আমার লেখার অপব্যাখ্যা দিচ্ছেন, এবং অন্যদের কাছে সেটা বিক্রি করার চেষ্টা করছেন।

সে কী! আপনিই না বললেন, সৌদি আম জনতার ঢল নামে শিরোচ্ছেদ দেখতে, মহিলারাও হাজির থাকে, উচ্চতা কম যাদের তারা টুল-টেবিল নিয়ে হাজির হয় দেখার জন্য? আপনার লেখার অপব্যাখ্যা কই দিলাম, আমি তো আর সৌদি আরবে যাইনি, আপনি যা লিখেছেন, তাই ভরসা। আর সেটা অনুসারেই তো মন্তব্য করলাম। নাকি আপনার ধারণা এই ব্যাপারগুলা (আপনি নিজে যা উল্লেখ করেছেন, উপরে ত্রিমাত্রিক কবি উদ্ধৃতি দিয়েছে) "আমোদ ফুর্তির" উদাহরণ না?

ডিস্টর্শন করে থাকলে সেটা আপনিই করছেন, নিজে এক কথা লিখে পিছলে যাবার অপচেষ্টা করছেন এখানে। নিজের লেখাটা আরেকবার পড়ে দেখতে পারেন।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

আম জনতার 'ঢল' আপনিই নামিয়েছেন আর 'আমোদ ফুর্তি' শব্দটা আপনারই আমদানী। আমার স্মৃতিনির্ভর লেখাটা মূলত বর্ণনাত্বক এবং ব্যাঙ্গাত্বকও বটে। কিন্তু কোনক্রমেই আমি জনতা 'আমোদ ফুর্তি' করছে বলিনি। ত্রিমাত্রিক কবি আপনাকে সাপোর্ট দিলেই সেটা আমার দৃষ্টিভংগী প্রমাণিত হয়ে যাবে নাকি!

বাংলাদেশে কারণে অকারণে ঘটনায় দুর্ঘটনায় আম জনতার ভীড় জমে যায়। পিটিয়ে লোক মারলে কিংবা ক্রসফায়ারে কেউ মরে পড়ে থাকলেও দেখতে আসা লোকের অভাব হয় না। আপনার ধারণায় তারাও কি 'আমোদ ফুর্তি' করে নাকি!

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

রাগিব এর ছবি

বাংলাদেশে কারণে অকারণে ঘটনায় দুর্ঘটনায় আম জনতার ভীড় জমে যায়। পিটিয়ে লোক মারলে কিংবা ক্রসফায়ারে কেউ মরে পড়ে থাকলেও দেখতে আসা লোকের অভাব হয় না। আপনার ধারণায় তারাও কি 'আমোদ ফুর্তি' করে নাকি!

বাংলাদেশে অন্তত "চেয়ার" নিয়ে কেউ ঘটনা-দুর্ঘটনা দেখতে আসে না। আপনার নিজের কথা থেকেই যা প্রকাশ পাচ্ছে, তা থেকে পিছলে যাবার চেষ্টা না করাই বোধহয় ভালো হাসি

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

আমার তো মনে হচ্ছে পিছলে যাচ্ছেন আপনিই। এখন ডিসকর্ডের কারণ গিয়ে ঠেকেছে চেয়ারে। যেন চেয়ার থাকলেই 'আমোদ ফুর্তি' হয়। মজার ব্যাপার কি জানেন, 'চেয়ার' শব্দটাই আমার লেখায় ছিলো না। দেঁতো হাসি

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

অজ্ঞ পাঠক এর ছবি

রাগিব ভাই, ব্যাখ্যার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

আলামিন এর ছবি

শিরচ্ছেদ না দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেললে মানবতাবাদীদের কি প্রতিক্রিয়া হত সেটা জানতে পারলে ভালো হত। যতদূর জানি লোকটিকে পিটিয়েই মেরে ফেলা হয়েছিলো। কিন্তু একজনের মৃত্যুতে আট জনের দণ্ডাদেশ কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায়না যদি না তারা প্রত্যেকেই হত্যাকাণ্ডে সক্রিয় অংশ নেয়।

একটা কথা মনে রাখতে হবে, শাস্তির আসল উদ্দেশ্য অপরাধিকে সাজা দেয়া নয় বরং অপরাধ দমন। প্রকাশ্যে শাস্তির বিধান সে কারনে এসেছে। আপনি যদি একজনকে প্রকাশ্যে শাস্তি দিয়ে আরও দশটা জীবনকে বাঁচাতে পারেন তাহলে ইথিক্স কি অনুমোদন দেয়না?

নব্য পাঠক এর ছবি

পোস্ট এবং মন্তব্যগুলো পড়ে মনে হলঃ

১। কেউ কেউ আছেন "যস্মিন দেশে যদাচার" রীতির পক্ষে। সৌদিরা কোপ দিয়ে কল্লা নামায় ফেলে, সেটাও আবার জনসমক্ষে, এটা তাদের দেশের বিধান। এটা "ভাল-খারাপ" কিনা তা নিয়ে তারা বাছবিচার করেন না, "যদি ভাল্লাগেনা যাইয়েন না অই দেশে", "শাস্তি তো জানেই, তারপরেও কেন অপরাধ করবে, করে ঠিক শাস্তিই পেয়েছে" এই টাইপ মানসিকতা।
২। কেউ বলছেন শাস্তি প্রদান রীতির যথার্থতা নিয়ে। সৌদি রীতি যে পাশবিক এবং বর্বর, তা নিয়ে অন্ততপক্ষে আমার সন্দেহ নেই। এরকম পাশবিক রীতি মধ্যযুগে ইয়োরোপেও ছিলো (গিলোটিন)। আবার তথাকথিত আধুনিক সভ্যদেশ (পশ্চিমা দেশ) এ গুলি করে মানুষ মেরে ফেলে মানসিক রোগী দেখিয়ে ছাড়াও পাওয়া যায়।

তবে যারা এই পাশবিক প্রক্রিয়া দেখে বিন্দুমাত্র বিচলিত হন না, তাদের মানসিক সুস্থতা কামনা করি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।