৩য় পর্ব :[/গাঢ়] ধর্মনিরপেক্ষতা ও রাষ্ট্রের খৎনা :ফালতু কাজে টাইম খরচ,শিশুর সাথে আলাপচারিতা

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: শনি, ২০/০১/২০০৭ - ৭:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

: রাষ্ট্র বিজ্ঞান তো মানুষের বিভিন্ন গবেষনা অভিজ্ঞতা ইত্যাদির আলোকে তৈরি হয়েছে.. এবং প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে। সেখানে রাষ্ট্র পরিচালনা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আছে। কিভাবে চালালে রাষ্ট্র যন্ত্রটি ভাল চলবে, মানুষজন ভাল থাকবে এসবই তো। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে তো এরকম কোন সংজ্ঞা নেই যা মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করা যাবে না বা অপরিবর্তনীয়। সে ক্ষেত্রে কোন মানুষ যদি আরো বেটার কোন রাষ্ট্র পরিচালনা ব্যাবস্খার সন্ধান পায় ও তা প্রচলন করতে চায়, সেটা কি রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ভাষায় অন্যায় বা অযৌক্তিক হবে?সে যদি ইসলামকে তার রাষ্ট্রের ব্যবসথা হিসেবে নিতে চায় তবে অসুবিধা কোথায় ?

:তোমার প্রশ্নের মাঝেই তোমার উত্তরের ছায়া আছে। প্রথম কথা হলো এটা ঠিক যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে। সুতরাং সময়ের সাথে সাথে একে নতুন পথ খুজে নিতে হবে। আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে ইন্টারনেটের প্রচলন ছিল না আমাদের দেশে ,এখন হয়েছে। সুতরাং ইন্টারনেটের বুদ্ধিবৃত্তিক সত্ব কী হবে এটি এখন রাষ্ট্র আইন করে দেবে,যেটা তিরিশ বছর আগে ভাবনাতেই ছিল না।
এভাবে নতুন নতুন সমস্যার নতুন নতুন সমাধান খুজতে হবে।

এবারে ধরা যাক তুমি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছ। তোমাকে গত মাসে যে ঔষধ দেয়া হয়েছে তাতে মাসভর তোমার কোন কাজ হয় নি। তুমি এই মাসে নতুন একটি ঔষধ শুরু করবে। এই মাস শেষ হওয়ার পরও তোমার রোগ সারলো না। এবার ডাক্তার তোমাকে আরেকটি নতুন ঔষধ দেবে,তাই তো ?তোমাকে নিশ্চয়ই পুরেনো মাসের প্রথম ঔষধটা খেতে উপদেশ দেবে না!

রাষ্ট্রকেও এভাবেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে তার সমস্যা নিয়ে ।রাষ্ট্র চালানোর ক্ষেত্রে যে পরীক্ষা নিরিক্ষা আগেই করা হয়েছে তাকে আবার নতুন করে সামনে নিয়ে আসার সুযোগ নেই। আরব উপমহাদেশে ইসলাম দিয়ে আর ইউরোপে চর্ােচর নিয়ন্ত্রনে খ্রিশ্চিয়ানইজম দিয়ে রাষ্ট্র চালানোর চেষ্টা করা হয়েছে। দুটোই ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যাবস্থা । এগুলো একসময় পরিতাজ্য হয়েছে। একই ভাবে সমাজতন্ত্র গত শতাব্দিতে ব্যর্থ হয়েছে,এই শতাব্দিতে সেই সমাজতন্ত্র নিয়েও রাষ্ট্র পরিচালনার থিওরি তাই দেয়া উচিত হবে না। এতো শতাব্দি পরে এগুলোকে সামনে নিয়ে আসা আর সেই পুরোনো ঔষধ সেবনের মাঝে কোন তফাৎ কি আছে?

কমনসেন্স বলে, যতোক্ষন একটা যন্ত্র কাজ করে যাবে ততোক্ষন তাকে খুলে সারানোর কিছু নেই্ । আপাতত: গনতন্ত্র কাজ করে যাচ্ছে,যদিও তার পুরোটাই হয়তো সঠিক হচ্ছে না।যখন এই যন্ত্রটি নষ্ট হবে তখন তাকে আরো ভালো কিছু দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে হবে,পুরোনো কিছু দিয়ে নয়।

সুতরাং তোমার ভাষায় যে 'বেটার ব্যবস্থা 'সেটি অবশ্যই সময়ের প্রয়োজনে মানুষ আবিষ্কার করে নেবে।তুমি যদি সেই 'বেটার ব্যবস্থা'র সন্ধান পেয়ে থাকো,অবশ্যই সেটিকে তুমি উপস্থাপন করতে পারো । কিন্তু যে ব্যবস্থা আগেই পরিক্ষিত হয়েছে,সেটিকে আবার নতুন করে খুজে বের করে 'বেটার ব্যবস্থা' তুমি বলতে পারো না।

চলবে...


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।