ক্রুসো নীপবনে

পলাশ দত্ত এর ছবি
লিখেছেন পলাশ দত্ত (তারিখ: মঙ্গল, ২৯/০৭/২০০৮ - ৮:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দ্বীপে বৃষ্টি পড়া শুরু হইছে। ওদিকে ক্রুসো
ঘরের ছাউনি দিছিলো গাছের বড়ো বড়ো পাতায়
সে-ঘরে সুযোগই নেই রবীন্দ্রনাথের বর্ষার গান
শোনার। যদিও বিদেশি নীপবন ছিলো খুব কাছে!

ক্রুসোর মা বাবার নাম-গন্ধ পৃথিবীর কারও স্মৃতিতে
নেই- তাও ভালো। আমাদের মতো জনমের বাঁধনে
আটকা পড়তে হয় নাই তার। মোবাইলে যায়নি কাটা
ক্রুসোর একাকীত্ব। সূয উঠলে আরও একটা নতুন

দিন সে পেতো নিজের। দ্বীপে আর কেউ না থাকায়
কথাও বলতে হতো না তাকে। শুধু আলো আর সে
শুধুই অন্ধকার আর সে আর শুধু আকাশ আর মাটি
ঘড়িও ছিলো না কোনও। না কোনও যাওয়া-আসা

কিন্তু ক্রুসোর দ্বীপে বৃষ্টি হতো। পাতা থেকে পানি
মাটিতে শোয়া শরীরে টপটপ। ভেঙে যেতো ক্রুসোর
ঘুম। পাহাড়ের চূড়া থেকে চূড়া, মাটির পিছল মেঝে
থেকে ঘাস- সব ধুয়ে ছেনে ক্রুসো জেনেছিলো বৃষ্টির
স্বভাব। তবু চেষ্টা করে নাই মেঘে দিতে খবর

আজ ঝরতেছে সেই বৃষ্টি। আর রবীন্দ্রনাথের গান-না-
শোনা ক্রুসো? নীপবনে। মরলেও ফিরবে না এবার

শহরের কৃপায় রবিনসন ক্রুসোর মেমোরি আজ খুব শার্প


মন্তব্য

শ্যাজা এর ছবি

দারুণ!


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

নিদারুণ!!!

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।