লোচনদাস কারিগরের খেরোখাতা : গামলা নহে, একখানা আমলানামা

কুলদা রায় এর ছবি
লিখেছেন কুলদা রায় [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৮/০৬/২০১০ - ৮:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লোচনদাস কারিগর আমার খালেস দোস্ত। তার একখানা খেরোখাতা দেখার সুযোগ হয়েছে। নানাবিধ বিষয়ে তার নিজস্ব রচনা আছে। একটি তুলে দিলাম। ইহা রস রচনা নয়---কষ রচনা জাতীয়। পড়ে দেখতে পারেন। আমেন।

autoটককথা--
যারা টক শো করে তাদের দেখছি রমরমা অবস্থা। তাদের রমের অভাব নেই। ( অন্য উচ্চারণ রাম)। লাল, নীল, গোলাপী, হলুদ—রঙ-রসে টৈটম্বুর। আর একজন নয়—একাধিক রমাদের লাল দোপাট্টা মল মল। এই জ্যোৎস্না ভেজা চলে যেও না। জ্যোৎস্না ভেজা রাতে কে যেতে চায় গো বাপোধন? রজনী এখনো বাকী। গেলে কি উপায় আছে মনু?

হককথা--
ঘরে তার পুরনো বউ। হাড়মুড় বেরাম। নড়ে না। চড়ে না। আ-উ ছাড়া কথা নেই। এই অবস্থায় হুজুর আমার ল্যাজ নাড়ে আর খেজুর খায়। ঘর সামলায় কি করে? আর টিভি সামলায় কি করে? টকগুলো মিঠা হইবে কিবা প্রকারে? রমা কি রুমানা বিনা টকশোগুলো তিতা হইয়া যাইতাছে। এর জন্য দরকার বাড়ির নাম উম্মে কুলসুম মঞ্জিল পাল্টে রং মহল বানানো। রঙ ছাড়া—ঢং ছাড়া কথা নেই। কথা ছাড়া আর কি আছে এই দুনিয়ায়। আদিতে বাক্য ছিল। টকশো ছিল তারও নিশ্চয়ই।

যককথা--
এই গল্পটি মুসার। মোহাম্মদ মুসা। সচিব টচিব হবেন। ওএসডি। এখন নিয়মিত টিভির টকশোর টকম্যান। জাতিরে উদ্দেশ্যে টক টক করে টককথা ঝেড়ে থাকেন। পুলিশ তার বাসা থেকে ৪ জন অল্প তরুণীকে আটক করেছে। তাদের বয়স ১৮-২৫ এর মধ্যে। তাদের আনা হয়েছে যশোর, ঝিনাইদহ, নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জ থেকে। আরেকজন চল্লিশোর্ধ মহিলাকে আটক করা হয় নাই। তার নাম ফাতিমা। এই ফাতিমাকে আনা হয় পক্ষাঘাতগ্রস্থ স্ত্রীর পরিচর্যার জন্য। কিন্তু স্ত্রীর অসুস্থ বলে এই পাঁচ রমনীর পরিচর্যা মুসাই নিয়েছেন। নিয়ে তরতাজা হয়ে টিভির টকশোতে আসেন। চারটি মেয়েই তার বিরুদ্ধে নিয়মিত ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে। পুলিশ তাকে ধরেনি। তিনি সচিব মার্কা লোক। সুতরাং তাকে ধরতে হলে পারমিশন লাগবে। ওগো পারমিশন তুমি আসিবা? মুসা কিসনোকে কবে ধরিবা? দুষ্টু লোকজন বলছেন, তিনি ক্ষমতাসীনদের আঁচলের তলায় থাকেন। অবসরে গেলেও কায়দা করে দুবছর চাকরী বাড়িয়েছেন। সুতরাং পারমিশন—তোমার খবর আছে?

প্রশ্ন হল, এই সচিব টচিব পর্যয়ের লোক মুসা কি করে এই রঙ মহল তৈরীর খরচ কোথায় পেলেন? আর সাহসই বা কোত্থেকে এল সরকারী বাসায় দিনের পর দিন মেয়েদের নিয়ে ফুর্তিটুর্তি করার? এবং একই সঙ্গে টিভির টকশোতে অংশগ্রহণ করে জাতিকে নহিসত করার জোর পেল কিভাবে? কত টাকা একজন সচিব বেতন পান? একজন সচিব কি করে একজন অসুস্থ স্ত্রী, একজন পার্মানেন্ট সেবিকা, আর চার চারজন মেয়েকে রসে বশে পোষার ক্ষমতা রাখেন? এদের বাপ দাদা কি ব্যাংক ট্যাংক রেখে গেছেন? অথবা ফ্রি ক্রেডিট কার্ড?

ধ্বককথা--
এই আমলা গামলা লোকদের নীচতলার একজন অফিসারের সঙ্গে এই অধমের কিঞ্চিত পরিচয় হয়েছিল। প্রতিদিন তিনি সন্ধ্যা নদীতে স্পীডবোট নিয়ে হাওয়া খেয়ে বেড়াতেন। স্বরূপকাঠির ইউএনও তিনি। পুরো জমিদার। সাতক্ষীরায় একটি ব্যাংকের কেরানী ছিলেন তিনি। পরে ভাগ্যগুণে প্রশাসনের আমলা। তার স্ত্রী হিসাবে যিনি তার সঙ্গে ছিলেন—পরে শুনেছি, তিনি তার চার নম্বর স্ত্রী। বাকী তিনজনের একজন থাকেন ঢাকায়। একজন খুলনায়। বড়জন সাতক্ষীরায়—তার কেনা ব্যক্তিগত জমিদারিতে। একবার খুলনায় রয়েল হোটেলে নাস্তা করছি। পাশের কেবিনে ওমর ফারুকের সঙ্গে আকস্মিকভাবে দেখা। সঙ্গে একজন উদ্ভিন্ন তরণীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন। তার বান্ধবী। বোঝেন। রাধা বিনা কিসনো আঁধার। তার নাম ছিল ওমর ফারুক। ইউএনও হওয়ার পরে কেতা করে চৌধুরী সংযোজন করে নিলেন। আমলা বলে কথা। কি করিলে কী হয়—তার চেয়ে আর কে ভাল জানে!

একদিন রাতে ডাকবাংলোরে দরোজায় টোকা পড়ল। কাঁচা ঘুম ভেঙে গেল। ইউএনও সাব অধের্য্য হয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। বললেন, দেরী কৈরেন না। সময় বহিয়া যায়।
চৌধুরী সাব চোখে সুরমা লাগিয়েছেন। গায়ে নকশাদার পাঞ্জাবী। সোনার বোতাম ঝিলিক দিচ্ছে। চোষ পাজামা। আর কোলাপুরী চটি। মুখে কস্তুরী সৌরভ। স্পিড বোট স্টার্ট দিয়ে বললেন, মাহফিলে যাচ্ছি।
--কি ফিল?
--মাহফিল। মেরে লাল দুপাট্টা মল মল। হাওয়ায় ওড়ানা উইড়া যাবে গো। আহ-ফিল।
সেদিন রাতে সারেংকাঠির নব নির্মিত সরকারি বিল্ডিংএ কি হয়েছিল সব বলা যাবে না। শুধু দেখেছিলাম, সেখানে আছেন এমপি সাব, দরোগা সাব, ইনজিনিয়ার সাব, চেয়ারম্যান সাব, পিআরও সাব। একজন সন্ত্রাসী কাম সর্বহারা নেতাকেও দেখেছিলাম ঢুলু ঢুলু চোখে গব্বর সিং স্টাইলে ধুয়া ধরছে—বেদের মেয়ে জোছনা আমায় কথা দিয়েছে। দারোগা সাব বেশিক্ষণ চুপ করে থাকতে পারেন নি। তিনিও নেমেছেন সহনৃত্যে। তিনি একজন সাবেক ছিঃনেমার নৃত্য পরিচালক। জোছনার কি ফাঁকি দেওয়ার উপায় আছে এই জিন্দা মাহফিলে? আহ-ফিলে? জোছনা গাহিতেছে। নাচিতেছে। হাহিতেছে। ক্যো করু সজনী, আয় না বালাম। চৌধুরী সাব একটু পান করে বলে উঠলেন, জীবনে কয়খান মাল দরকার, জানেন?
--কয়খান?
--তিনখান। সুরা, সাকি আর বই। এইগুলো ছাড়া কবি হওন যায় না। উমর খৈয়াম কা বাত। কেয়া বাত। উমর খৈয়াম পারস্যের মশহুর কবি। বলেন, মারহাবা।
চৌধুরী সাব তার বহুবিধ—নানাবিধ কঠিন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শায়ের লিখতেন। অতি উচ্চাঙ্গের কবিতা। সেসব শুনে আমার কবিতা লেখার বাতিক উবে গেল। বই না হয় জোগাড় করা যায় ফ্রি—কিন্তু, সুরা আর সাকি পামু কই?

শককথা--
ইউএনও চৌধুরী সাবের অফিস দোতলায়। চেয়ার থেকে মাথা ঘোরালেই জানালা দিয়ে একটি পুকুর দেখা যায়। পুকুরটির শান বাঁধানো ঘাট। পাড়ে কয়েকটি নারিকেল গাছ। একজন শ্যামাঙ্গী দীর্ঘাঙ্গী মহিলা সারা সকাল থেকে এই পুকুরে ডিউটি করছে। কখনো কখনো আড়মোড়া ভাঙছে। কখনো কালো কেশে মহাভৃঙ্গরাজ তেল মাখছে। কখনো কাঁচুলি খুলছে। কখনো জলে পা ডুবিয়ে বসে আছে। ইত্যাদি। সবই চৌধুরী সাবের ইশারায়। এই জানালা শো দেখে তিনি হুজুরের পাকদারবার শরীফে যাবেন। কিছু দোআ খায়ের করবেন। আর নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সংক্রান্ত একটি সভায় প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করবেন। ইনি পরবর্তীকালে সচিব মহোদয় হয়েছিলেন। এ ধরনের কারিশমা সচিব ঘরানা ছাড়া আর কার আছে বাংলাদেশে? অনেক দিন তার খবর জানি না। এতদিনে হয়তো তিনি মন্ত্রী হয়ে গেছেন। অথবা মন্ত্রীর বাপ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা। এরকম অভিজ্ঞ করিৎকর্মা উপদেষ্টা ছাড়া কি দেশ চলে?

সবই জনস্বার্থে করা হয় গো বেরাদর। মুসার আর কি দোষ। লুলা মুসা, পাহাড়ী মুনা রমরমা মুসা। সব দেখি এখন মুসাদেরই কায়কারবার। পোষা পাখি বলে--ও মুসা, তুই জাতির দুঃখ ঘোঁচা। কানু বিনা গীত নাই। ওহে, মুসা আমলা গামলা কিসনো কানহাইয়া—তোর তরে কদমতলে চাইয়া থাকি। তুই আবার কখন টক-শোতে আসিবি? টক নয়—মিষ্টি নয়। ঝাল ঝাড়িবি জাতির উদ্দেশ্যে? তোর বিহনে জাতি তো লেঞ্জা মাইরা যাচ্ছে।

লোককথা--
এই পর্যন্ত লোচনদাস কারিগরের খেরোখাতাটির বক্ষমান রচনাটি পাওয়া যায়। তার পরে আর নাই। তার পরেও আর বলা ঠিক নয়। কারণ শালিকা রাগ করতে পারে। তার হ্যাজবেন্ডও একজন বিশিষ্ট আমলা। পতির পূণ্যে অর্জিত সতীর পূণ্য পয়মাল করার অধিকার কারো নাই। শালিককে রাগিয়ে কে কবে টিকতে পেরেছে? আর লোচনদাস কারিগরতো নস্যি!

শেষ পৃষ্ঠায় লেখা--
মরি হায় রে হায়
কাঁচা ঝালে জিব্যা পোড়ে
কী করি উপায়…

খবরটির মূল লিংক-


মন্তব্য

সুরঞ্জনা এর ছবি

খবর নিয়ে কি বলবো ... দেখালো, দেখলাম।
লেখায় উত্তম জাঝা!
............................................................................................
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয়

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌হবুচন্দ্রের রাজত্বে বসবাস করছি মনে হচ্ছে! কোত্থেকে এসব চিড়িয়া সিভিল সার্ভিসে যোগ দেয়!!

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আরিফ জেবতিক এর ছবি

প্রিয় কুলদা রায়,
যতদূর জানি সচলের নীতিমালা অনুযায়ী অন্য কোথাও পূর্ব প্রকাশিত লেখা সচলায়তনের প্রথম পাতায় প্রকাশ করার কোনো সুযোগ নেই। এমনকি সচলে প্রকাশের একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সেটি অন্য কোথাও প্রকাশ করারও কোনো নিয়ম নেই।
এই নিয়মের ব্যাপারটি আপনাকে বিনয়ের সঙ্গে অবগত করিয়ে দিচ্ছি।
এই নীতিমালার ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু যেহেতু একটি কমিউনিটির নিয়ম সেই কমিউনিটির সব সদস্যের জন্যই সমভাবে প্রযোজ্য, তাই আপনার এই লেখাটির ব্যাপারে দ্বিতীয়বার সিদ্ধান্ত নেয়ার অবকাশ আছে।
এই সুপাঠ্য লেখাটি ইতিমধ্যেই ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে।

কুলদা রায় এর ছবি

ওকে, তুলে নিন লেখাটি। আমি দুঃখিত নিয়ম বুঝতে না পারার জন্য। কোন কোন কমিউনিটি ব্লগে দেখেছি ফেসবুকে প্রকাশিত লেখা অন্তত অন্য একটি ব্লগে প্রকাশ করা যায়। আপনাদের নিয়মকে আমি সম্মান জানাচ্ছি। আমি এ নিয়মের সঙ্গে আমি একাত্ম নই।
ভবিষ্যতে আমি আর কখনো সচলায়তনে লিখব না।

আরিফ, আপনি আমার প্রিয়জন। আমি ব্যক্তিগতভাবে কারো পরে অভিমান করছি না।

সহযোগিতার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ভবিষ্যতে আমি আর কখনো সচলায়তনে লিখব না।

আরে, আরে এটা কি কথা?

আপনি হয়তো জানতেননা, আরিফ জানিয়ে দিয়েছে কেবল।
তবু ফেসবুক বিষয়ক নিয়ম নিয়ে কোন সংশয় থাকলে সেটা নিশ্চয়ই কোন মডারেটর এখানে জানাবেন।
আমরা সাধারনতঃ এখানে পোষ্ট দিয়ে ফেসবুকে লিংক দিয়ে দেই। সচলায়তনের নিয়ম ও রক্ষা হয় আবার উভয় দিকের পাঠক ও লেখা পেয়ে যান।
দীর্ঘ তিক্ত-মধুর অভিজ্ঞতার দামে সচলায়তনে নিয়মগুলো তৈরী করতে হয়েছে। এর সাথেই সহজেই কিন্তু আত্নীকরন সম্ভব।

সচল থাকুন হাসি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

উহু, লেখা তুলে নেয়ার আমি কেউ নই। লেখা তুলে নেয়ার অধিকার ও সিদ্ধান্ত মডারেটরদের। নিয়মের ব্যাপারটি নিয়েও আমার পক্ষে নিশ্চিত করে কিছু বলার উপায় নেই, কারন এই মাত্র দেখলাম নীতিমালায় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট বিষয়ে কিছু বলা নেই।

সেখানে বলা আছে,

২. সচলায়তনে প্রকাশিত লেখাগুলি ৭২ ঘন্টার জন্যে অনন্য থাকতে হবে, এবং অন্য কোন কমিউনিটি ব্লগে, মুদ্রিত মাধ্যমে বা মুদ্রিত মাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে পূর্বপ্রকাশিত হতে পারবে না। বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিগত ব্লগে প্রকাশের ক্ষেত্রে এ নিয়মটি প্রযোজ্য নয়।

আমার ব্যক্তিগত ধারণা এই নিয়মে ফেসবুকের নোটকেও বুঝাবে, কারন ওখানেও কমিউনিটি ব্লগের মতোই মিথস্ক্রিয়া হয়।
তবে নিয়মটি ফেসবুকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে কি না এ নিয়ে হয়তো মডারেটরদের কাছে মেইলের মাধ্যমে জানা যেতে পারে। তাদের ব্যাখ্যাই বিষয়টিকে খোলাসা করতে পারে।

আপনি লিখেছেন,

কোন কোন কমিউনিটি ব্লগে দেখেছি ফেসবুকে প্রকাশিত লেখা অন্তত অন্য একটি ব্লগে প্রকাশ করা যায়।

এ ব্যাপারে আপনি সচলায়তনের মডারেটরদেরকে পদ্ধতিগত ভাবে প্রশ্ন করে নিশ্চিত হতে পারেন।

--
আপনাকে যতটুকু বুঝতে পারি, আমিও নিশ্চিত যে আপনি ব্যক্তিগত ভাবে বিষয়টিকে দেখছেন না। এটি একটি নিয়ম, এবং পৃথিবীর কোনো নিয়মের সঙ্গেই সবাই একমত হতে পারবে না। সুতরাং সচলায়তনের নীতিমালা নিয়ে আপনার যদি কোনো দ্বিমত থাকে, এবং সেই দ্বিমত যদি এমন পর্যায়ে থাকে যা আপনার লেখালেখির আনন্দকে ম্লান করে দেয়, সেক্ষেত্রে আপনার সিদ্ধান্তের বিষয়ে কিছু বলার নেই।
তবে বিষয়টি যদি অভিমানের হয়, তাহলে আমার বিনীত অনুরোধ বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করুন।ধন্যবাদ।

স্পর্শ এর ছবি

আমি এ নিয়মের সঙ্গে আমি একাত্ম নই।
ভবিষ্যতে আমি আর কখনো সচলায়তনে লিখব না।

মডুরা বললেনই যে ফেসবুক 'কমিউনিটি ব্লগ' হিসাবে ধরা হবে না। এবং আমার নিজেরও মত ধরা উচিৎ না। আমি নিজেই ফেসবুক ব্যবহার করিনা এখন। ওখানে পাবলিক 'নীড়পাতা' নেই।

এখন বলুন তো আপনি এখানে না লিখলে আমি লেখাগুলো পাবো কোথায়? মন খারাপ


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নীল-মডু এর ছবি

এই লেখাটি যেহেতু ব্যক্তিগত ফেইসবুক পেইজে প্রকাশিত, তাই সচলায়তনে প্রকাশে কোন বাঁধা নেই। এব্যাপারে নীতিমালা স্মর্তব্য:

সচলায়তনে প্রকাশিত লেখাগুলি ৭২ ঘন্টার জন্যে অনন্য থাকতে হবে, এবং অন্য কোন কমিউনিটি ব্লগে, মুদ্রিত মাধ্যমে বা মুদ্রিত মাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে পূর্বপ্রকাশিত হতে পারবে না। বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিগত ব্লগে প্রকাশের ক্ষেত্রে এ নিয়মটি প্রযোজ্য নয়।

ধন্যবাদ।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

বিষয়টি পরিস্কার করার জন্য ধন্যবাদ।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ফেসবুক নোট 'বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিগত ব্লগ' বলে বিবেচিত হবে কিনা সে বিষয়টি ভাবার সুযোগ আছে কিন্তু।
দ্বৈত ব্লগিং নিয়ে যখন নীতিমালা হয় তখনো ফেসবুক এতোটা ব্যবহৃত ছিলোনা।
দরকার হলে একটা জরিপ ও হতে পারে- ফেসবুক বিষয়ক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এটা ঠিক যে, ফেইসবুকে লেখা প্রকাশ করলে একটা গ্রুপের কাছে লেখা পৌছে। কিন্তু সেই গ্রুপটা কিরকম? সবাই আপনার বন্ধু, প্রায় বন্ধু বা বন্ধুর বন্ধু। একটা ব্রডার অডিয়েন্সের কাছে কিন্তু অপ্রকাশিত থেকে যাচ্ছে লেখাটা। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় ঠিক এ কারনেই ফেইসবুক কে কমিউনিটি ব্লগিং বলা যাচ্ছে না - যেহেতু কমিউনিটিটা ব্যক্তি কেন্দ্রিক, গোষ্ঠি কেন্দ্রিক নয়।

আমার ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে, সচলায়তনে বা কমিউনিটি ব্লগে লেখা প্রকাশকে যদি একটা এলাকার সাপ্তাহিক হিসেবে বিবেচনা করা যায়, তাহলে ফেইসবুকে লেখা প্রকাশকে অনেকটা দেয়ালিকার সাথে তুলনা করা চলতে পারে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

হাসান মোরশেদ এর ছবি

তুলনা যাই করো- সাবেক ফেসবুক নোটে যদি সচলায়তন ভরে যায়, ভালো দেখাবে?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

অবশ্য একটা এক্সেপশন হচ্ছে লেখা যদি পাবলিক হয়। একটা গুগল সার্চের খোঁচায় পুরো পৃথিবী তখন লেখাটা পাচ্ছে। বিষয়টা জটিল হয়ে গেল!

হুমম... চিন্তিত

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

হাসান মোরশেদ এর ছবি

দেঁতো হাসি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

দাড়ি কাইট্টা খালি মুছ রাখলে কি মুছা হৈতারমু?

অতিথি লেখক এর ছবি

দাদা... ছক্কা গুরু গুরু

_____________________
বর্ণ অনুচ্ছেদ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।