আমার শহরের একজন মানুষের একটি দিন : ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫

কুলদা রায় এর ছবি
লিখেছেন কুলদা রায় [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১৪/০৮/২০১০ - ১১:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই গল্পটি সত্যি। আমার মেঝ মামার গল্প। আবার তার গল্প নয়। অন্য আরেকজন মানুষের গল্প। ঠিক তারও গল্প নয়। একটি জাতির উন্মেষকালের ইতিহাস। লিখেছিলাম--গেল বছর।
আমার মামা নেই। সত্যাসত্যের ওপারে। আর অই মানুষটিও নেই হতে হতে জেগে উঠছেন। আর জনগোষ্ঠী? একটু পা চালিয়ে আসতে হবে রে ভাই। একটু পা চালিয়ে।
গল্পটি এই একটি দিনের জন্য হলেও প্রকাশের সুযোগ চাইছি। অন্যদিনগুলো আবার কাগজ চাপা পড়ুক না হয়।
কে হায় হৃদয় খুড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে------------------------

autoপরীকথা

আমার এক মাসি পরী হয়ে গেল। সেদিন আকাশে চাঁদ ছিল না। জ্যোৎস্নাও ছিল না। এক ফালি মেঘ শরবনের ফাঁক দিয়ে আকাশে উঠে গেল। টুক করে হালকা অন্ধকার ঘিরে এল। আর বুড়ো মানুষের মত ঝিমুতে লাগল।

মাসি একবার জামগাছের নিচ দিয়ে, পেয়ারাতলার ধার দিয়ে পলকা একটা অরবরই গাছের ডালে পা ঝুলিয়ে বসল। বলল, অ খোকা, আমারে দেখতি পারতিছিস?
আমি মাসিকে সত্যি সত্যি দেখতে পাচ্ছিলাম। একটা ডুরে শাড়ি পড়েছে। চুলে বেঁধেছে হালকা লাল রঙের ফিতে। বললাম, না তো মাসি। তুমি কুথায়?
-সত্যি তুই আমারে দেখতি পারতিছিস না!
-দেখতি পাইলি তো কব।
মিথ্যে বললাম। যদি বলি দেখতে পাচ্ছি, তাহলে মাসির মন খারাপ হয়ে যাবে। মাসির মন খারাপ হোক, আমি কক্খনো চাই না। হে ভগবান, মাসি আমার হাসি খুশি থাকুক।
-হুম। তাইলে ক’তো, আমি কুথায়?
-দেখতে পারতিছি না।
-হি হি হি। আমি কিন্তু এখন অরবরই গাছে নাই। এই আমি উইড়া যাইতাছি জাম গাছে। জাম খাইবি তুই?
মাসি কিন্তু অরবরই গাছেই আছে। জামগাছে যাবে কিভাবে! একট দূরে জামগাছটা সাধুবাবার জটা চুলের মতো ডালপালা ছড়িয়ে আছে।
-হি হি হি। কী মজা। নে, এই জামগুলা ধর। পাইছিস? কুড়ায় পাইছিস?
- হ মাসি। খুব টসটসে হৈছে। আরো দুইডা দ্যাও। মাইজা মামারে দেব।
- তোর দিতি হবে না। মাইজাদা ফিরলি আমিই দেবখন। এই দ্যাখ, আমি এখন পেয়ারা গাছের পাতার উপরে বইসা পড়ছি।
মাসি কিন্তু অরবরই গাছেই আছে। পা দুটো আরেকটু চঞ্চল হয়েছে মাত্র। বললাম, অ মাসি। তুমি এই গাছে গাছে যাইতাছ ক্যামনে?
-ক্যান, উইড়া উইড়া।
-তুমার ডানা আছে?
এইবার মাসি একটুকু চিন্তিত হয়ে পড়ল। ফোস করে দীর্ঘশ্বাস ফেলল। বলল, নাহ। এখনো অয় নাই। জোসছোনা উডুক। তখন গজাইবে।

এ সময় দাদুর পদশব্দ পাওয়া গেল। খড়ম খুলে পা ধুচ্ছেন। বিড়ালটা লেজ উচিয়ে চারিদিকে ঘুরছে।
তালগাছের নিচ থেকে একটা শিয়াল উঁকি ঝুঁকি মারল। দাদু অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে আলো খুঁজতে লাগল। কোথাও কোন আলো জ্বলে ওঠেনি। দাদুর স্কুল বন্ধ। তবু স্কুলে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে গান ধরল-

আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি।।

কয়েকটি ছেলেমেয়ে গুটি গুটি করে ছুটে এসেছে। গোল হয়ে বসেছে উঠোনে। ওরা অমৃত মধুর গলায় গলা মেলাচ্ছে-

ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,
মরি হায়, হায় রে-
ও মা অঘ্রাণে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধূর হাসি।।

মাসি অন্ধকারে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মেঘের মধ্যে কীঁ একটা খুঁজে চলেছে। কয়েকটি তারা উঠেছ। চাঁদ ওঠেনি। মাসি ফিস ফিস করে বলল, আমারে নিয়া যা। বাবা এক্খুনি ডাকপে।

দাদু ডাকল না। সন্ধ্যা সঙ্গীত শেষ হল। ঘরের কোনে একটি খোলা মাটির পিদিম জ্বেলে বড় মামা বসে আছে। মুড়ির কলসিটা খুঁজছে।
মাসি কিন্তু আমাকে না ধরেই ঠিক ঠিক ঘরের মধ্যে হেঁটে গেল। বড়ো মামাকে মুড়ি বের করে দিল। একদলা আখের গুড়ও দিল। মামা খেতে খেতে পৌষ সংক্রান্তির পিঠার কথা ভাবতে লাগল।

দিদিমা ভোর ভোর চাল কুটতে বসেছে। দাদু অনেক আগেই গাত্রোত্থান করে গাড়ু নিয়ে মাঠে গেছে। বড়ো মামা হা করে ঘুমোচ্ছে। দিদিমা ডাকল, রসো। অ, রসরঞ্জন।
মামা মুখ বন্ধ করে পাশ ফিরল মাত্র। পিঠের নিচে খড় বিছানো। উপরে হোগলার পাটি। মাসি বলল, আজ তোরে হলুদ দিয়া সিনান করাব।
এমন ঝামেলা হল- কারো ঘরে কাঁচা হলুদই পাওয়া গেল না। আনাজখোলায় মাটি খুঁড়ে দেখা গেল- হলুদগাছ পচে গেছে। ডালিম পাতা বেটে আমার সারা গায়ে মাখিয়ে দিল। বলল, তোর গা ডালিম ফুলের মত হৈবে। বললাম, মাসি তুমি মাকপা না?
-পরীদের মাখতি হয় না। মানুষদেরই মাখতি অয়রে বোকা। পরীরা ডালিম কুমারী।

সেদিন দুপুরেও মেজো মামার দেখা নাই। আজিমা ভাউতা শোলের মাথা দিয়ে ডাটা শাকের পাতা ভাজি করেছে। খুন্তি নাড়তে নাড়তে পথের দিকে বারবার তাকাচ্ছে।
বড়ো মামার কোন ভাবনা নেই। আজ তার মন খুব ভাল। পিঠা খেতে পারবে। কয়েকটা কাঁচা মরিচ তুলে আনল গাছ থেকে। শেষে দুটো ঝাল পিঠা খাবে।

বারখাদিয়ার মাঠের মাঝখানে বুড়ো বটগাছ। ঝুরি নেমেছে। একটা পাটখড়িতে একটা একটা করে পিঠা গেথেছে আজিমা। অনেকে খুব বড়ো বড়ো পিঠাখড়ি এনেছে। আমাদেরটা বেশ ছোট। বটগাছের নিচে হেলান দিয়ে রাখল। আর একটা ঝুরির গায়ে তেল সিঁদুর মেখে দিল।
বড়ো মাসিও এসেছে। আজিমাকে বলল, মা- কপিল আসে নাই?

আজিমা কিছু বলছে না। বিড় বিড় করে পিঠা বুড়িকে বিনতি করছে। সধবারা গেয়ে উঠল-

লক্ষ্মীদিঘা ধানের আগায় সাজাই দিলাম হুল,
এই না পউষে পিঠা খাইও না কৈরো মা ভুল।।
চইতরো মাসে আগুন জ্বলে প্যাটে বিষম জ্বালা
এইনা জ্বালার কুসুম তুইলা গইড়া দিলাম মালা।।
ওরে, রূপার মালা উইড়া যাওরে যাওরে দক্ষিণ দেশ
গোলা ভৈরা লক্ষ্মী দিও না করিও দ্বেষ।।
তোমার ধান তোমায় দিলাম গৈড়া চিতই পিঠা
তুমি খাইয়া তুষ্ঠ হৈলে আমরা পাইব মিঠা।।

মাঠের মাঝখানে একজন আধবুড়ো লোক বাক্স টকি দেখাচ্ছে। তার মাথায় খুব পুরনো একটা বাদুরে টুপি। বহুদিন ধোয়া হয়নি। জনা পাচেক ছেলে মেয়ে বাক্সের সামনে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। আর আধবুড়ো লোকটা ভাঙা ভাঙা গলায় সুর ধরেছে- আইসা গেল তাজমহল।
তাজমহলের সামনে পরিখা। জল টলমল করে। বাসন্তিবালা মাসিকে জিজ্ঞেস করল, তাজমহলটা কোন দ্যাশে রে?
মাসি কিছু বলল না। বুড়োটা তখন সম্রাট শাহজাহানকে দেখাচ্ছে। আর মমতাজ মহলের কিসসা ধরছে। মমতাজ মহলের পিঠে দুটো ডানা। উড়ে আসছে মেঘের উপর দিয়ে। নিচে পরিখাঅলা তাজমহল। ঝিলিক দিয়ে উঠছে। তাজমহল মমতাজের মরণঘর।

খুব ভিড় জমেছে চক্রক্রীড়ায়। ঘাসের উপরে পাটি বসিয়ে রাখা হয়েছে তিব্বত স্নো, মায়া পাউডার, মিস নূরজাহান লিপিস্টিক। চক্র ছুড়ে যার গায়ে গাথা যাবে সেটা তার। কে একজন স্টার সিগারেটের প্যাকেট জিতেছে। ভুর ভুর করে টানতে লাগল। খেলা জমে গেছে।

মাসির পছন্দ কাচের চুরি। বাসন্তি বাঁহাতে ছয়টি পরেছে। ঘুরয়ে ঘুরিয়ে দেখছে। মাসিকে বলল, নিবি নাকি?
-না। চুরি আমার ভাল লাগে না।
গোটা চার পাঁচজন লোক মাসির বাঁহাতটা শক্ত করে চেপে ধরল। বলল, আমাগো ভাল লাগে।

মেলার মধ্যে খুব হৈ চৈ লেগে গেল। যে যেভাবে পারল পালাতে লাগল। পিঠেখড়ি তছনছ হয়ে গেল। অন্ধকার নেমে এল। ওরা, বীরদর্পে মেলার মাঠ পেরিয়ে চলে গেল। যেতে বলল, বাঘ মার্কা জিন্দাবাদ। পাকিস্তান জিন্দাবাদ।

আমি বলছি, মাসি উড়াল দাও। উড়াল দ্যাও। উইড়া যাওগে।
মাসি কাঁদতে কাঁদতে বলছে, ডানা নাইরে। ডানা নাই। উড়াল দিমু ক্যামনে। আমার ডানা দুইডা আইন্যা দে।

অন্ধকারের কাছে বিনতি করছি, হে অন্ধকার- তুমি চান্দকে ডাইকা আনো। হে চান্দ- তুমি জোৎস্নাকে আসতি কও। তুমি মাসির পিডে ডানা গজাইয়া দ্যাও। হে পিঠা বুড়ি, তুমি মাসিকে ইবার সত্যিকারের পরী কৈরা দ্যাও। মাসিকে উড়াল করতি দ্যাও।

মেজো মামাকে পাওয়া গেল দেবাসুরের বিলে। হাঁটুজলের মধ্যে মামা একা একা ছুটাছুটি করছে। মুখে কোন কথা নেই। দাড়ি গজিয়ে গেছে। উদ্ভ্রান্ত চোখ। পথ হারিয়ে ফেলেছে।

ততদিনে কিছু লোকজন পোটলা পুঁটলি বেঁধে ফেলেছে। চোখ থেকে নিদ্রা উধাও। দাদু ভয়ে সিটিয়ে গেছে। ঘর থেকে বেরয় না। অর বরই গাছের গায়ে হেলান দিয়ে বসে আছে মেজো মামা। মাথাটা বুকের কাছে ঝুলে পড়েছে।
বাসন্তিবালার বাবা মামাকে বারবার জিজ্ঞেস করছে- অ কপিল, কতো- কি করি অখন?
মামা নির্বাক। দুপা ছড়িয়ে দিয়েছে। হাঁটুর চামড়া উঠে গেছে। মাছি ভন ভন করছে।
বাসন্তিবালার বাবা কাঁধ ঝাঁকিয়ে বলছে, অ কপিল- কি শুইন্যা আইলি ঢাকা থেইক্যা। আমাগো আবার দ্যাশ ছাইড়ে হৈব? আর কুনো উপায় নাই? অ কপিল, কথা করে বাপ।

তেতুলিয়ার কেশির মা খুব বড় গুণিন। কাঠ মালতি গাছের নিচে মেজো মামার মুখে হাত বুলিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। অনেক ঝাড় ফুঁক করেছে জীবনে। কখনো ব্যর্থ হয় নাই। বড়মামাকে কেশির মা বলল, অরে লৈয়া যা।
বড় মামা চিন্তিত হয়ে বরল, কপিলের কী অইবে?
- জানি না।

মধুমতির উপর দিয়ে খোলা নৌকায় বাসন্তিবালার বাবা মেজো মামাকে ধরে আছে। বড়ো আশায় বারবার বলছে, কথা ক। কথা ক, অ কপিল।

এই সময় একটি লঞ্চ দূর থেকে ভটভট করে আসতে দেখা গেল। দোতলার রেলিংএ কিছু লোকজন দাঁড়িয়ে আছে। একটা শালু কাপড়ে লেখা- জাগো বাঙালী জাগো। বড় মামা বিরক্ত হল। ঢেউ দুলিয়ে দিচ্ছে ছোট নৌকাটাকে। তাল সামলানো মুশকিল। ঢেউয়ের আড়াআড়ি নৌকাটা তুলে দিল। বলল, কাগু, কপিলরে ধইরা রাইখো ঠিক কৈরা।
হঠাৎ করে মেজো মামা লাফিয়ে উঠল। দাঁড়াল সোজাসুজি। মাথা খাড়া করে দুহাত ছড়িয়ে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে চেঁচিয়ে বলল, মুজিব ভাই...।

লঞ্চের বাইরে সাদা পাঞ্জাবী দীর্ঘদেহ চশমা পরা পাইপ হাতে কে একজন জলদ গম্ভীর স্বরে বলে উঠলেন- জয় বাংলা।

সেদিন সন্ধ্যার আগেই ঝকঝকে চাঁদ উঠল। ফুল ফুটল। জোৎস্না ভরে গেল চারিদিক।

মেজো মামা বাসন্তিবালার বাবা বড়ো মামা বুড়ো দাদু আজিমা - আমাদের সবার পিঠে সত্যি সত্যি এবার ডানা গজিয়ে গেল। এই ডানা বেশ মজবুত। ঝড়ের মধ্যে উড়াল দেওয়া যায়। হাসতে হাসতে ঢেউয়ের সমুদ্রও পাড়ি দেওয়া যায়। আর কোন ভয় নাই।


মন্তব্য

সাবিহ ওমর এর ছবি

আহ!

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদের সবার পিঠে সত্যি সত্যি এবার ডানা গজিয়ে গেল। এই ডানা বেশ মজবুত। ঝড়ের মধ্যে উড়াল দেওয়া যায়। হাসতে হাসতে ঢেউয়ের সমুদ্রও পাড়ি দেওয়া যায়। আর কোন ভয় নাই।

আহা! এমন যদি হতো!

জামাত চক্ররা এই গল্পটা বেশ রসিয়ে প্রচার করে যে শেখ মুজিব মরার পর মানুষ চোখের পানি ফেলে নাই। অথচ আমার মা বলেন- "শোকে, দুঃখে, ক্ষোভে মানুষ এতটাই হতভম্ব হয়ে পড়েছিল যে চোখের পানি ফেলতে ভুলে গিয়েছিল!"

অনেক ভালো লাগলো দাদা!

কাজী মামুন

কৌস্তুভ এর ছবি

আপনার লেখা এত মায়াবী হয় কি করে?

হাসান মোরশেদ এর ছবি

'ও মুজিবর, হে মুজিবর, মৃত্যু এসে ছুঁলো/ বইছে কেনো তবু তোমার দীর্ঘশ্বাসগুলো?'

লোকটা মানুষ ছিলো।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

খুব ভালো লাগলো।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

হে চান্দ- তুমি জোৎস্নাকে আসতি কও

___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

রানা মেহের এর ছবি

আপনার লেখা যতবার পড়ি ততবারই বলি, অদ্ভুত সুন্দর
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নৈষাদ এর ছবি

খুব ভাল লাগল।

সংসপ্তক এর ছবি

মায়া জাগানো লেখা। 'জয় বাংলা' টা যেন নিজের কানে শুনলাম।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

লালন এর ছবি

সময়ে সকলই সখা
অসময়ে কেউ দেয় না দেখা
যার পাপে সে ভোগে একা!
_____________________
এতদিন কোথায় ছিলেন... ! ? হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।