ও চাঁদ চোখের জলে বইরশাইলে : নিউ ইয়র্কের বইমেলায়

কুলদা রায় এর ছবি
লিখেছেন কুলদা রায় [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০৬/২০১১ - ১২:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
জমিদার দর্শনে গিয়েছিলাম। তিনি কীর্তিপাশার কীর্তিমান জমিদার। মাথায় ধরাচূড়া নাই। চুলগুলো কাশফুল। ভেবেছিলাম—তাঁর চোখে থাকবে রাগ। ও মা, রাগ কোথায়—পুরা বেহাগ। একটু দাঁড়ালেন উঠে। গলাটা একটু কাঁপলও। বয়েস হয়েছে পঁচাশি। বললেন, এ বয়সে নিজেকে বাঙাল বলতেই ভালবাসি। আমরা শুনে হাসি। তিনি আমার বাঙাল জমিদার—তপন রায়চৌধুরী।

আমি তখন তাঁর রোমন্থন অথবা ভীমরতিপ্রাপ্তর পরচরিতর্চা পড়ে আকুল। এই যে কীর্তিপাশ গ্রামটি, পূর্ব জলাবাড়ির ভেতর দিয়ে চুলের ফিতার মত চলে যাওয়া ভিমরুলি খালটির পাড়ে পাড়ে হাঁটছি। আমার বগলে তাঁর বাঙালনামা। নিজে পড়ি। আর ভাবি, চন্দ্রদ্বীপের এ মহাফেজখানা একা পড়ে তো সুখ নেই। —কাকে পড়াই? কাউকে না পেয়ে এই জ্যামাইকার কুইনসের ক্যাপটেন টিলির পার্কে শুয়ে শুয়েই বই দুটো পড়ি। নিজেকে শোনাই। গাছগুলোকে শোনাই। পার্কের মাঝখানে ছোট্ট একটা পুকুর আছে। পুকুরে ছোট ছোট মাছও আছে। আর পাড়ে পাড়ে কাঠবেড়ালী। আমি পুকুরটাকে পড়ে বাঙালনামা শোনাই। মাছগুলো জলের উপরে উঠে এসে শোনে। আর কাঠবেড়ালী লেজ উঁচিয়ে আমার পাশে এসে বসেছে। কান খাড়া করে থাকে। ওদের সঙ্গে পড়ি আর ভাবি—আমিতো এই জমিদারেরই জামাই। তাঁদের মেয়েটির সঙ্গে এই বইদুটোই আমার জীবনের একমাত্র কামাই। আর বই দুটোর মতো আমার ছোটো দুটো মেয়ে। 'বলতো মেয়েরা, তোমাদের বাড়ি কোথায়'—এই প্রশ্নটি ওদের বললে ঝটপট ছোটো মেয়েটি বড়টির আগে বলে ফেলে, বইরশাইল। মোগো বাড়ি বইরশাইল, তাই না দিদি। শুনে দিদি মাথা নাড়ে।
--কেনগো, তোমাগো বাড়ি বইরশাইল। গোপালগঞ্জো না?
--হেইডা বাবার বাড়ি হৈতে পারে। মোগো বাড়ি বইরশাইল। মোর মায়ের বাড়ি বইরশাইল। চাঁদকাডি। মোগো দুবইন হইছি এই বইরশাইলে।মোগো বইরশাইলে জমিনদার আছে। গোপালগঞ্জে নাই।

সুতরাং এই আমার বইরশাইলের জমিদার দর্শনে পূণ্যলাভ। স্থান জ্যাকসন হাইটস। গার্ডেন স্কুল। আমার সত্যি সত্যি কিছু পূণ্য লাভ হয়।

২.
নিউ ইয়র্কে কেউ আমাকে চেনেন না। আমিও কাউকে চিনি না। চেনাচিনির মধ্যেই আমি নেই। কী দরকার চিনে? মঞ্জুভাই বলেছিলেন, বইমেলায় বই ওঠে। আমার লোভ ছিল, বরিশালের যোগেন মণ্ডল বইটি কিনব। গার্ডেন স্কুলের প্লেগ্রাউন্ডে কয়েকটি টেবিলে সাজানো আছে বইগুলো। অধিকাংশই মুক্তধারার। পেছনে টানানো পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নামের ব্যানার। এই প্রতিষ্ঠানগুলো গেলবার এসেছিল। এবার আসেনি। তাদের ব্যানারগুলো এসেছে। মুক্তধারাকে ভালবেসেছে। আমাদেরকে দেখে খিলখিল করে হেসেছে। আমি হাসতে পারছি না। দেবেশ রায়ের যোগেন মণ্ডল বইটা কোনো টেবিলেই নেই। মন খারাপ হওয়ার আগেই এক ঝাকড়া চুলের বাবরি দোলানো কবি তার গিন্নির কবিতার বই 'একটি বিড়াল ও আমার দুঃখ'চালান করে দিলেন আমার হাতে। ঝাকড়া চুল বইটির গুণপনা বলছেন। বলতে বলতে দশ ডলারের ভাংটি খুঁজছেন। খুঁজছে খুঁজতে বলছেন, কী মুশকিল—ভাংটি না দিলেই কি হয় না। তার কবি বউটি একটু লাল হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তার পাশে একটি বিড়াল। বিড়ালের চোখে কবি বউটির দুঃখ। আমি বলি, ওহে বিল্লি, কান্দিও না বাপো। সুখে থাক। বই বেঁচো। শুধু আমার বরিশালের যোগেন মণ্ডল কেনা হল না। এই দুঃখে বইমেলায় একটা বিড়াল সত্যি সত্যি মিউ মিউ করছে। করুক।

৩.
এর মধ্যে সেজান মাহমুদ আমাকে দেখে বলছেন, আপনি কুলদা না? আমি হেসে ফেলি। এই ডাক্তার কাম লেখক-আমাকে চেনার চেষ্টা করছেন। করুন। তিনি বলেন, ঠিক ধরেছি। আপনি কুলদা। আমি বলি, হতেও পারি। আবার নাও হতে পারি। সেজান মাহমুদ বেশ লম্বাচওড়া মানুষ। কায়দা করে তার চুল কাটা ডিক্যাপ্রিওর মতো। আমি চুলগুলোকে দেখে সরে যেতে যেতে এক বাবাপাগল বৃদ্ধপুত্রের পাল্লায় পড়ি। তিনি আমাকে আলাভোলা দেখে বুঝতে পেরেছেন, একে দিয়ে হবে। হায়াত মামুদের বাংলা লেখার নিয়ম কানুন বইটি দেখিয়ে বলছেন, জানো খোকা, এই বইটি পড়লে বাংলা লেখার নিয়ম কানুন শিখতে পারবে। বইটি হাতে নিয়ে বললাম, তাহলে কিনি।
তিনি হা হা করতে করতে বললেন, নাহে খোকা। ওটা কিনে বাংলা লেখার নিয়ম শিখতে পারবে, বাট!
--কী বাট?
--বাট, বাংলা লিখতে পারবে না।
--তাইলে?
--তাহলে আমার বাবার বইটি তোমাকে কিনতে হবে।
তিনি একটি বই টেবিল থেকে আমার হাতে তুলে দিলেন। ওনার বাপের নাম লেখা আছে বইটির তলায়—সুধাংশুকুমার গুপ্ত। বইটির নাম বিশ্বসাহিত্যের সেরা গল্প। বললাম, এই বইটি কি উনিই লিখেছেন।
--হ্যা হ্যা, উনিই লিখেছেন। উনি ছাড়া আর কে লিখতে পারবে এই ধরাধামে বিশ্বসাহিত্যের সেরা গল্পগুলো।

উল্টে পাল্টে দেখি হেক্টর হিউ মোনরো সাকি থেকে শুরু করে লুইজি পিরানদেল্লো, ভিসন্ত ব্লাসকো ইবানেৎস, উইলিয়াম সমারসেট মম, ক্যারেল চাপেক আছেন লেখক তালিকায়। আমার প্রিয় লেখক ইভান বুনিন এবং এডগার এলান পোর সেই গা ছমছমে জীবন্ত সমাধিও এখানে দিব্যি ছাপা করা আছে। আছেন চেকভ, মোপাসাঁ, পল দ্য মুসে। ওনার বাপের তালিকাটা বেশ লম্বা । হেসে বললেন, দেখবে, আমার পিতৃদেবই পৃথিবীতে একমাত্র লেখক, যিনি একবাক্যে অনেক কথা কয়ে গেছেন ঠিক ইংরেজদের মত করে। বাঙালদের মত ঘ্যানা প্যাচাল করে নয়। তিনি ডলার ভাংতিদিতে দিতে পারলেন না। পারার কথাও নয়। তাকে প্লেন ধরতে হবে। ছুটে গেলেন এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে। তার আগে আরেকজনকে দেখে তাকে থমকে দাঁড়াতে হল। আজ বিশ্ব বাবা দিবস। বাবা দিবসে বাবার কীর্তি বগলদাবা করে ছুটলে ভাল দেখায় না। কীর্তি বিলোলে বাবা খুশি হবেন স্বর্গ থেকে। তিনি থেমে গেছেন। থেমে গেছেন বলে তাঁর প্লেন তাঁকে ছেড়ে চলে গেছে। আর আমার বরিশালের যোগেন মণ্ডলের খবর নাই। এই দুঃখে মুক্তধারার বিশ্বজিৎ সাহাকে ব্রহ্মশাপ দেওয়ার বাসনা জাগল। তিনি বুঝতে পেরে কি না পেরে চেয়ার এগিয়ে দিলেন। বললেন, বসেন। এটা লেখক কুঞ্জ। লেখক নাই। ফাঁকা। আমি লেখক নই। তবু বসতে হল। না হলে লেখককুঞ্জ শূণ্য থেকে যাবে। প্রকৃত লেখকের শূণ্যস্থান পূরণের খেলায় আমাকে মাঝে মাঝে নামতে হয়। আজও এইখানে তাই। এর মধ্যে একজন কবি এসে বসেছেন। তিনি কবি ফকির ইলিয়াস। উনি শাহ আব্দুল করিমের গান গেয়ে শোনালেন। ফকির ইলিয়াস নামটি ঠিক হয়নি। ওটা আমীর ইলিয়াস রাখলে ভাল হত। পরামর্শটা তাকে দিতে হবে। তিনি ভাটি এলাকার বাউল গানের আমীর। মোটেই গরীব গুর্বো যে সে ফকির নন।

ততক্ষণে বিকেল পড়ে আসছে। বেশ ভিড় জমে গেছে প্লেগ্রাউন্ডে। ঝালমুড়ির কয়েকটা দোকানও এসেছে। আর কিছু কাপড় চোপড়। আমার বড় মেয়েটা ছুটোছুটো করছে গয়নার দোকানে। ছোটো মেয়েটি ঝালমুড়ি খেতে খেতে বলছে, হ্যাগো বাবা, আমাগো দ্যাশের বইমেলার টেস্ট তো সুইট। মেয়েদের বলি, বইমেলার ঝালমুড়ি সুইট না হয়ে যায় কোথায় মা।

৪.
সুমুর মা বসেছিলেন আমার সামনে চেয়ারে। এক বয়স্ক মহিলা কবির সঙ্গে কথা বলছেন। সুমুকে চিনি না। সুমুর মাকেও নয়। এই অচেনা সুমুর মা বলে উঠলেন, গান বাজছে কোথায়?
--কী গান?
--গান তো গান। গানের আবার কী আর ফি?
--অ, বুঝছি, ইলিয়াস ফকিরের গান।
--না, লালন ফকিরের গান। ওনার মা ওনাকে মারতেছে। আর উনি কাঁদতে কাঁদতে বলছেন, আর আমায় মারিসনে মা। মা তোর চরণ ধরি, ননী চুরি আর করব না। খুব টাচি গান। শুনলে কান্না পায়।
কান্না পাওয়ার আগে সুমুকে বললেন, দেখতো-- কোথায় বাজে গানটা।
সুমু বসেছেন আমার পেছনেই। তিনি খুব ক্লান্ত। তার এক বান্ধবীকে বলছেন, একটু আগে স্বরচিত কবিতাপাঠের আসর থেকে এসেছেন। বান্ধবীটি তাকে জিজ্ঞস করছেন, কবিরা এসেছিল?
--এসেছিল মানে, এসেছিল একান্নজন।
--সর্বনাশ। এই নিউ ইয়র্কেও একান্ন জন কবি!
--আরও বাঁইশজন দাঁড়িয়েছিলেন। আয়োজকরা নাচের সময় চলে যাচ্ছে দেখে স্বরচিত কবিতা পাঠ বন্ধ করে দিয়েছেন।
--সে কি? দুঃখ পাননি কবিগণ?
--খুব দুঃখ পেয়েছেন বাইশজন কবি।
এই দুঃখ পেয়ে কিছু কবি চুপ করে দাঁড়িয়েছিলেন স্টেজের সামনে। তারপর বাইরে ঘাসের উপর হেঁটেছেন কেউ কেউ। আর কেউ কেউ চলে গেছেন বাটারি পার্কে--হাডসন নদীর পারে। তাদের দুঃখ সইবার জোর একটু কম। ওখানে বসে আজ রাতে পৃথিবীর দুঃখিততম কবিতাটি লিখবেন।

সুমু মায়ের কথা শুনে আমাকে দেখিয়ে দিলেন। বললেন, এই রোগা পটকা লোকটা গাইতেছেন।
বুড়ো কবি আর সুমুর মা আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন। বললেন, আপনি গান করেন?
আমি মাথা নাড়ি। আমি গান করি না। আমার বাবাও গান করত না। আমার ঠাকুরদা কিছু কিছু গান করতেন। গান করে তিনি ইংরেজদের জেলের ভাতও খেতে গিয়েছিলেন। তার স্বাদ মন্দ নয়—একটা ডাইরীতে লিখে গেছেন। এখনো আমি ডাইরীটা মাঝে মাঝে পড়ি। পড়ে বুঝতে পারি--নো গান। নো জেলের ভাত।
--কিন্তু আপনার কাছ থেকেই তো গানটি হচ্ছে?
--হতে পারে। আবার নাও হতে পারে।
সুমু আমার পকেটটা দেখিয়ে দিলেন। গানটা আমার প্যান্টের পকেট থেকেই গানটি আসছে। গাচ্ছে প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। সত্যি সত্যি খুব ভাল গলা। এত ভাল গলা আমার হলে মনে কোনো খেদ থাকত না। কিন্তু প্রতিদিন এ জীবনে বহু খেদ জমা হয়ে যাচ্ছে।

পকেটে আমার সেল ফোনে প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায় লালন ফকিরের গানটি গাচ্ছেন। সেলফোনটি নিজে নিজে গেয়ে উঠেছেন। সুমুর মা খুব খুশি। বললেন, ভলিউমটা একটু বাড়িয়ে দিন। মেলার হাটবাজারের কচকচানি থেমে যাক। সবাই শুনুক—গান না, লালন ফকিরের কান্না।
আমার সেলফোনের ভলিউমটা অইটুকুই। নিজের শোনাটা হয়। পাশেপাশের কানগুলোতে সুড়সুড়ি দেয় বটে। মর্মে পশিতে পারে না পুরোপুরি। সুমুর মা বেজার হয়েছেন। বেজার হয়ে উঠে গেলেন। আমি একা বসে আছি। আমার কষ্ট লাগছে। বরিশালের যোগেন মণ্ডল বইটা কিনতে পারছি না। বাসনা অপূর্ণ থেকে যাচ্ছে।

৫.
রাত যখন দশটা পেরোচ্ছে তখন বইরশাইলের মণিকা গান ধরেছে। কবি মণিকা রশিদ। এসেছে টরেন্টো থেকে। আজকে বইমেলার বিশিষ্ট শিল্পী। মণিকার মেয়েটি ওর বাবার কোলে বসে বলছে, মাম্মি। মাম্মি।

মণিকা ততক্ষণে সি সার্পে ধরেছে, ও চাঁদ, তোমার চোখের জলের লাগল জোয়ার দুঃখের পারাবারে। মণিকার বাড়ির নদীটিতে প্রতিদিন জোয়ার ভাটা ঘটে। পাড়ে ছৈলা গাছে ছায়া ঘনায়। মণিকার বাড়ি বরগুণার পাথরঘাটা। মণিকা গাইছে-- হল কানায় কানায় কানাকানি এই পারে ওই পারে। আমার পাশে বসে আছে একজন বুড়ো লোক। শফি চৌধুরী। আর তার স্ত্রী। তিনি স্ত্রীকে বলছেন, দেখো, কণিকা। কণিকা গাইছেন। কণিকা নয়, মণিকা গাইছে, আমার তরী ছিল চেনার কূলে, বাঁধন যে তার গেল খুলে; তারে হাওয়ায় হাওয়ায় নিয়ে গেল কোন অচেনার ধারে।। বুড়োবুড়ি মণিকার সঙ্গে গলা মেলাচ্ছেন। আমাকে দেখতে পেয়ে বলছেন, আপনিও ধরেন। আমিও ধরেছি, পথিক সবাই পেরিয়ে গেল ঘাটের কিনারাতে, আমি সে কোন আকুল আলোয় দিশাহারা রাতে। পাশে একদল ছেলেমেয়েও গাইছে, সেই পথ-হারানোর অধীর টানে অকূলে পথ আপনি টানে,/ দিক ভোলাবার পাগল আমার হাসে অন্ধকারে।

মণিকা সত্যি সত্যি তার সুরে সুরে হল ভর্তি সবাইকে পাগল করে দিল। পাগল হতে হতে সবাই আধো আলো আধো অন্ধকারে হৃদ কমলে হাসছে। হাসতে হাসতে সবাই এক পারাবার দুঃখ নিয়ে কাঁদছে। কান্নাছাড়া আর আছে কি এই জীবনে? কাঁদতে কাঁদতে মনে হল, মণিকা, তোমার কবিতা লেখার দরকার নেই। গান করো। গানই তোমার আসল জায়গা।

৬.
এই রকম এক পারাবার কান্না কাঁদতে কাঁদতে যখন বাইরে বের হয়ে এসেছি, তখন সারি বেঁধে মানুষজনও বেরিয়ে আসছে। আজ মধ্যরাতে সবাই মণিকা তাড়িত। এক বুড়ো ঠাকুরমা তার নাতনীর হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। আর গুন গুণ করছে, আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি। নাতনী বুড়ির কানের কাছে মুখটি নিয়ে শুধাল, গ্রামা, ইস দিস ইয়োরস ন্যাশনাল এনথেম?
--এনথেম টেমথেম কী কয় বুঝবার পারি না। এইডা আমগো পরাণের গান। পরাণ ভইরা শোন।

বাঙাল বুড়ি ঠাকুরমা পরাণ ভরে গানটি গাইছেন। আর এ গান থেকেই আমাদের বাঙাল বাংলাটি সোনার হয়ে যাচ্ছে।

* নিউ ইয়র্ক. ২০ জুন, ২০১১।
-------------------
শুনুন : চোখের জলের লাগল জোয়ার : কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় : http://www.youtube.com/watch?v=-SU0zWfJS_M


মন্তব্য

কৌস্তুভ এর ছবি

চলুক

ভাইবলাম মোগো বশ্যালের কিছু গল্প কইবেন। কইলেন্না। মন খারাপ

--সর্বনাশ। এই নিউ ইয়র্কেও একান্ন জন কবি!
--আরও বাঁইশজন দাঁড়িয়েছিলেন। আয়োজকরা নাচের সময় চলে যাচ্ছে দেখে স্বরচিত কবিতা পাঠ বন্ধ করে দিয়েছেন।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

উজানগাঁ এর ছবি

এত চমৎকার গদ্য ! ইস্ এরকম লেখার ক্ষমতা যদি থাকতো !

মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়ে গেলাম পুরো লেখাটা।

সৈয়দ আফসার এর ছবি

ভালো লাগল।
ধন্যবাদ।

__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মনিকাদি যে কবে দেশে আসবে আর কবে গান শুনে আপ্লুত হবো... অপেক্ষায় আছি

লেখায় দারুণ জাঝা

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

চলুক

নজমুল আলবাব এর ছবি

আহা, যোগেন মণ্ডলটা আর কেনাই হলো না। ইশ্

কি টান টান গদ্যরে বাবা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।