আমার বন্ধু রাশেদ!

শব্দ পথিক এর ছবি
লিখেছেন শব্দ পথিক [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৯/১২/২০১৩ - ২:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ক্লাসে ফার্স্ট হয়েও কখনো ফার্স্ট হবার মর্যাদা উপভোগ করতে পারিনি, নতুন বছরের শুরুতে নতুন ক্লাসের রোলকলে নিজের নাম শুনার জন্য ক্লাসের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। বাবার সরকারী চাকুরীর সুবাদে বাংলাদেশের অনেক জায়গাতে থাকা হয়েছে, বছর বছর স্কুলও পাল্টে যেতো। তখন ক্লাস ফোরে পড়ি, উত্তরবঙ্গের কোন এক জেলায় থাকি। প্রতিদিন নিয়ম করে স্কুলে যেতাম, স্কুলের পাঠ শেষে ছয় বা আট ওভারের ক্রিকেট ম্যাচ খেলে বাসায় ফিরতাম। তখন ক্লাস ফোরের মাঝামাঝি সময়, একদিন একটা বিষয় মাথায় আসলো। ভেবে দেখলাম, গত পাঁচ-ছয়মাসে সকল সহপাঠীকেই খেলায় পেয়েছি শুধু একজন ছাড়া। গল্পের খাতিরে ধরে নিলাম বন্ধুটির নাম রাশেদ, আমার বন্ধু রাশেদ।

এরপর একদিন টিফিনের সময়ে রাশেদকে জিজ্ঞেস করলাম, ''তুই ক্লাস শেষে একদিনও ক্রিকেট খেলায় থাকিস না কেনো?''-রাশেদ কোন উত্তর না দিয়ে গোমড়া মুখ করে উঠে গেলো। আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না, প্রতিদিনের মতো সেদিনও ক্রিকেট খেলে বাসায় ফিরবো এমন সময় আরেক বন্ধু শাহীন বললো, ''রাশেদ খেলতে পারেনা কারণ ক্লাস শেষ হবার আধা ঘন্টা পর থেকেই ওর কাজ শুরু হয়''-আমি অবাক হলাম। আমারই সহপাঠী যার বয়স কিনা নয়-দশ হবে, সে স্কুলের ক্লাস শেষে কাজ করতে যায়। যা শুনলাম তার সারমর্ম হলো, রাশেদ খুবই দরিদ্র পরিবারের সন্তান, অনেকগুলো ভাই-বোন, তার বাবা-মায়ের পক্ষে সকলের খরচ চালানো অসম্ভব। আর রাশেদ কিছুতেই পড়াশুনা ছাড়তে চায় না, তাই সে প্রতিদিন ক্লাস শেষে ইটের ভাটায় কাজ করতে যায়। ইটের ভাটা থেকে মাথায় করে ট্রাকে ইট তুলে দেয়া তার কাজ, ১০০ ইট তুলে দিলে ৩ বা ৪ টাকা পায় সে। আমার কচি মনটা সেদিন ব্যাথায় জর্জরিত হয়েছিল, মনে আছে সেদিন আমার চোখের কোণে জল এসেছিল।

এরপর যথারীতি বাবার বদলিসূত্রে নতুন শহরে চলে আসি। দিন যায়, বছর যায়, মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া শুরু করলাম। বুয়েটে পড়ি তখন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বন্ধু ছিল, তাদের সাথে আড্ডা দিতে যেতাম কার্জন হলে। সেখানেই কাকতালীয়ভাবে ১১ বছর পর আবার দেখা রাশেদের সাথে, ততোদিনে রাশেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্বিত ছাত্র। যেকোন রকম ভাল কাজে ডাকলেই রাশেদকে পেতাম, রক্ত দেয়ার জন্য ডাকলে সে টিউশনি রেখে পর্যন্ত ছুটে আসতো। রাশেদের মতো বন্ধু পাওয়াকে আমি নিজের জীবনের অন্যতম একটা বড় অর্জন বলেই মনে করি। ব্যাচেলর শেষ করার পর আমি দেশের বাইরে চলে আসি, রাশেদও ঢাবিতে সাফল্যের সাথে মাস্টার্স শেষ করে দেশের বাইরে আসে পিএইচডি করতে।

দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, এমনি সময় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল কাদের মোল্লার (কসাই কাদের) বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষিত হয়, কসাই কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। অভিযোগ প্রমানিত হবার পরেও ফাঁসির রায় কেনো দেয়া হলোনা এর প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে তরুণ প্রজন্ম, প্রতিষ্ঠিত হয় প্রজন্ম চত্ত্বর। শাহবাগের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা দেশপ্রেমিক ছাত্র-ছাত্রীরা আয়োজন করে প্রতিবাদ সমাবেশের, ব্যানার-ফেস্টুন প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, আয়োজন করা হয় আলোকচিত্র প্রদর্শনীর।

রাশেদ যে ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করে, তাতে আরো তিনজন বাংলাদেশী পিএইচডি স্টুডেন্ট আছে যার একজন রাশেদের সরাসরি শিক্ষক ছিলো। বাংলাদেশী বেশ কয়েকজন আন্ডারগ্রেড স্টুডেন্ট আছে ওই ইউনিভার্সিটিতে। পিএইচডি স্টুডেন্ট তিনজনই শিবির এবং শিবির সহনশীল হার্ডকোর বিএনপি হওয়ায় রাশেদের ইউনিভার্সিটিতে শাহবাগ প্রজন্ম চত্ত্বরের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে কোন প্রোগ্রাম আয়োজনের পরিকল্পনা হচ্ছিল না, এ অবস্থায় আন্ডারগ্রেড স্টুডেন্টদের নিয়ে রাশেদই আয়োজন করে ফেললো মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র প্রদর্শনীর। আরো ছিলো ব্যানার-ফেস্টুন প্রদর্শন এবং বিদেশী স্টুডেন্টদের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানানো। এ প্রোগ্রামের প্রস্তুতি নেয়ার সময় দুই দফা রাশেদকে হুমকি-ধামকি শুনতে হয়েছে অন্য তিনজন পিএইচডি স্টুডেন্ট এর কাছ থেকে। তারপরও রাশেদ থেমে থাকেনি, থেমে থাকেনি আন্ডারগ্রেড স্টুডেন্টরা। সফলভাবে প্রোগ্রাম শেষ করার পর জুম্মাবারে জুম্মার নামাজ পড়তে মসজিদে গিয়েছিল রাশেদ। জুম্মার নামাজ শেষে স্থানীয় মুসলমান কমিউনিটির সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগে রাশেদকে কটুকথা শুনানো হয়। তারপর বাড়ি ফিরে রাশেদ ফোন দেয় আমাকে, আমি বললাম পুলিশের কাছে অভিযোগ করা যায় কিনা। কিন্তু রাশেদ তা করতে চায়নি কারণ এতে বাংলাদেশী পিএইচডি স্টুডেন্টদের ক্ষতি হবে যাদের একজন কিনা রাশেদের সরাসরি শিক্ষক। দু:খে সেদিন রাশেদের গলা ভারী ছিল, কান্না শুনতে পাচ্ছিলাম স্পষ্ট।

কসাই কাদেরের ফাঁসি হয়ে যাবার ঠিক পরপরই আমি রাশেদকে ফোন দেই, রাশেদের কথা শুনে তাকে বেশ খুশি খুশি মনে হলো। কথায় কথায় এদিনও রাশেদ কেঁদে দিল, ছেলেটা বড্ড ইমোশনাল। তবে এবারের কান্নায় কোন দু:খ ছিলোনা, সফল হবার অভিব্যক্তি ছিল, ছিল বাংলাদেশের প্রতি ভালবাসা, অনেক ভালবাসা।

-------------------------
শব্দ পথিক
ডিসেম্বর ১৮, ২০১৩


মন্তব্য

এক লহমা এর ছবি

গল্পটা পড়তে পড়তে প্রায় দম আটকে বসেছিলাম। প্রথমে চিন্তা ছিল রশেদ-এর মগজ ধোলাই হ‌য়ে যাবে। তার পরে আশঙ্কা হল রাশেদের ক্ষতি হয়ে যাবে। আপ্নেরা গল্প লিখিয়েরা সব পারেন! খুব ভাল লাগল যে ভাবে শেষ হল এ গল্প।
পথিক আপনি পথ হারান নাই হাসি
পরের গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

এক লহমা, অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। এটা অবশ্য গল্প না, জীবন থেকে নেয়া। আশা করি, তাড়াতাড়ি কল্পনার জগৎ থেকে একটা গল্প নামিয়ে ফেলবো।

শব্দ পথিক

এক লহমা এর ছবি

বা:, তার মানে রাশেদ পথ হারান নি। আরো ভাল লাগল এখন।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

রাশেদের (যদিও এটা ছদ্মনাম) মতো ছেলেরা পথ হারাবেনা। হাসি

শব্দ পথিক

এক লহমা এর ছবি

চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

শব্দ পথিক

চরম উদাস এর ছবি

হাসি , বাহ। স্যালুট আপনার দারুণ বন্ধুটিকে।

অতিথি লেখক এর ছবি

বন্ধুটি একজন সত্যিকারের ভাল মানুষ, পড়াশুনা শেষে দেশে ফিরে যেতে চায় শিক্ষক হতে। আমি বললাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা জাহাঙ্গীরনগরেতো ঢুকা কঠিন হবে। সে বলে, ঢাকায় থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই, পটুয়াখালী বা দিনাজপুর চলে যাবে সে।

শব্দ পথিক

অতিথি লেখক এর ছবি

আবেগে কান্দাইলছি

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

এ ধরনের মন্তব্য সচলে আশা করি না।

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

অমি_বন্যা এর ছবি

রাশেদের মত ছেলেরা আছে বলেই আজও আমাদের স্বপ্ন আছে, আছে অনেক কিছু পাবার অধিকার।

লেখা ছুঁয়ে গেছে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

রাশেদ ওদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেনি, তবে ওরা কিন্তু নূন্যতম সুযোগ পেলেই রাশেদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করে ওর জীবনটা তামা তামা করে দেবে। ১৯৭১-৭২ সালে যে সব কুলাঙ্গারের প্রতি নমনীয়তা প্রদর্শন করা হয়েছিল, আজ তারা অজগর হয়েছে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

হক কথা। কোনো মাফ নাই। ক্ষমা যেথা ক্ষীণ দুর্বলতা। এটা বর্তমান সময়ে ভীষণ প্রযোজ্য।

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

ভালো লাগল রাশেদের কথা শুনে। খুব কম দেশেই এমন ঘটনা আছে যে, একটা ছেলে ইঁটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে তারপর একজন ডক্টরেট হয়েছে। এমন মানুষের কথা শুনলেই তো বুকটা ভরে যায়!
আপনার ঝরঝরে লেখার ভঙ্গি ভালো লাগল!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

অতিথি লেখক এর ছবি

পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ আমি দিয়েছিলাম, কিন্তু সে রাজি হয়নি। ছাত্রদের এসব ব্যাপারে অনেক কিছুই খেয়াল রাখতে হয় সম্ভবত। আমার বন্ধু এবং তার সরাসরি শিক্ষক একই প্রফেসরের অধীনে পিএইচডি করে, এটাও একটা কারণ।

শব্দ পথিক

বাউলিয়ানা এর ছবি

যে যেখানে যেভাবে আছি, দেশের জন্য কিছুনা কিছু করি।
এটাই এই দেশের মানুষের সবচেয়ে বড় দেশপ্রেম বলে মনে করি।

সৃষ্টিছাড়া  এর ছবি

চলুক

মেঘলা মানুষ এর ছবি

রাশেদ'রা আছে দেখেই বাংলাদেশের বাইরেও একটা অবস্থান আছে বাংলাদেশের। তা না হলে দেশের বাইরে রিকনসিলিয়েশন হয়ে যেত পাকি ভাইদের সাথে।

লেখায় তারা, লেখককে শুভেচ্ছা হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

শব্দ পথিক

অতিথি লেখক এর ছবি

আসল রাশেদের পোড়খাওয়া সংগ্রামী জীবন আমাদের সমাজের জন্য একটি উদাহরণ এবং শিক্ষা।তার নাম দিয়ে লিখলে সমস্যাটা কোথায় বুঝলাম না অবশ্য উনি যদি না চান তাহলে আলাদা বিষয় ।
ওনাকে শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা ।
শাকিল অরিত

পাণ্ডবদার সাথে শতভাগ সহমত । কোন ছাড় দেয়া যাবে না ।

অতিথি লেখক এর ছবি

নাম নিয়ে লেখার অনুমতি পাইনি, আমার বন্ধুটি তার চারপাশের ছোট বৃত্তের বাইরে নিজেকে বের করতে আগ্রহী নয়।

শব্দ পথিক

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রবাসে গিয়ে কজন দেশকে মনে রাখে! আপনার এই বন্ধুর কথা জেনে খুব ভাল লাগছে। চলুক

শুভকামনা

গান্ধর্বী

দীনহিন এর ছবি

আপনার বন্ধু রাশেদকে আমার স্যালুট!!
সাম্প্রতিক রাজাকারবধ আন্দোলনে আমরা অবিশ্বাস্য সব তরুন নেতা পেয়েছি, দেশপ্রেম, নৈতিকতা, আর প্রত্যয়ে যারা পুরনোদের সহজেই পিছে ফেলতে পারে ; রাশেদ ভাইও সেরকম একজন নেতা, আমার কাছে অন্তত।

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

অতিথি লেখক এর ছবি

চারিদিকে ছাগুপালের স্রোতে রাশেদের মতো মানুষগুলোই আশার আলো। জেগে উঠুক রাশেদরা এমন আলোকিত হয়ে, তবেই এ যুদ্ধে আমাদের জয় হবে। জয় বাংলা।

মাসুদ সজীব

অতিথি লেখক এর ছবি

জয় বাংলা।

শব্দ পথিক

নীল রোদ্দুর এর ছবি

আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে জামাত বিরোধিতার কারণে আমাকে পুরোপুরি একঘরে থাকতে হয়েছে। ৫০ (পরিবারের সদস্য মিলিয়ে) জন বাঙ্গালী যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ৭-৮ জন বাঙ্গালী আমার সাথে কথা বলত, আমার বাসায় আসত। বাকি ৪০ জন যে জামাত করে তা নয়, এদের মধ্যে ৮-১০ জন জামাত সমর্থক, যারা বাকিদের কাছে আমার চিন্তাধারাকে ইসলাম বিদ্বেষী হিসেবে প্রচার করেছিল। বাংলাদেশে থাকতে বাঙ্গালীদের যে রূপ দেখিনি, বিদেশে এসে তাই দেখেছি।

জামাতীরা জানে না, চেতনার শক্তি কতটা হতে পারে। ওরা যতই নিন্দনীয় ভাবে আমাদের আক্রমণ করুক, আমরা প্রতিরোধ করে যাবো। রাশেদ ভাইকে শ্রদ্ধা জানাই।

-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়

অতিথি লেখক এর ছবি

দেশে থাকতে কখনো ধর্ম নিয়ে কেউ আমাকে প্রশ্ন করেনি, কিন্তু দেশের বাইরে আসার পর থেকে নিয়মিত শুনতে হচ্ছে আমি রিলিজিয়াস নাকি সেক্যুলার নাকি নাস্তিক নাকি অজ্ঞেয়বাদী?
দুদিন আগেও শুনলাম এমন প্রশ্ন।

জামাতীরা জানে না, চেতনার শক্তি কতটা হতে পারে। ওরা যতই নিন্দনীয় ভাবে আমাদের আক্রমণ করুক, আমরা প্রতিরোধ করে যাবো।

চলুক

শব্দ পথিক

tokkhok এর ছবি

আপনার বন্ধুর জন্য শুভ কামনা!!

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

চলুক

____________________________

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।