নিমন্ত্রণ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি
লিখেছেন প্রকৃতিপ্রেমিক (তারিখ: মঙ্গল, ১৯/০৫/২০০৯ - ১০:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হাসান মোরশেদ ভাইয়ের ব্যক্তিগত পোষাক পড়ে এই কবিতার কথা মনে পড়লো। লেখা হয়েছিল ১২ মার্চ ১৯৯৮, পাবলিক লাইব্রেরীতে। লেখক বা কবি আসলে যে কী বলতে চান, কবিতা পড়ে তা বোঝার সাধ্য কার? দেখি কে কী ভাবছেন? হাসি

(গদ্য)

সে বলেছিল সন্ধ্যায় আসবে।
নীল আকাশ লাল হলো
দিগন্তে ধোঁয়া ছড়িয়ে নামলো সন্ধ্যা;
সে এলোনা।

(ছন্দ)

পুব আকাশে উঠল রূপা চাঁদ
হিমেল ছোঁয়ায় জাগলো শরীর
ভাঙলো খুশীর বাঁধ।

হাপুস হুপুস লুটোপুটি
জোৎস্না খেলো শরীর দুটি।

সাঙ্গ হলে এই নিরালায় মধ্য রাতের ভোজ
সে আসত, ফিরেও যেতো, এমনি করে রোজ।


মন্তব্য

কীর্তিনাশা এর ছবি

কবিতা দুটো কি আমাদের পিপিদার লেখা ?

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হাসি জ্বী, আমারই লেখা। তবে কবিতা একটাই, দুই ভাগে দিয়েছিলাম মাত্র। নম্বর তুলে দিলাম যাতে আর কেউ ভুল না বোঝে চোখ টিপি

কীর্তিনাশা এর ছবি

আররি ! আমাদের পিপিদা'র আরেক পরিচয় পাওয়া গেল তবে হাসি

লেখক বা কবি আসলে যে কী বলতে চান, কবিতা পড়ে তা বোঝার সাধ্য কার? দেখি কে কী ভাবছেন?

কবিতা পড়ে লেখক/কবি কী বলতে চান তা ভেবে আমার কাজ নেই। আমি কী বুঝলাম এইটাই আসল কথা। সকল কবিতার ক্ষেত্রে আমার এরকমই মনোভাব। আপনার কবিতাটা (আমার কাছে দুটোই মনে হচ্ছে) আমার মনে ব্যাপক রোমান্টিক ভাবের সৃষ্টি করেছে। এবং আমি দারুণ উপভোগ করেছি। হাসি

পরিশেষে বলি - পিপিদা আপনার নিয়মিত কবিতা লেখা উচিৎ। এমন প্রতিভা বৃথা যেতে দেয়া ঠিক না। ঠাট্টা নয় সত্যি বলছি । হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ভুতুম এর ছবি

আপ্নে দেখি দুষ্টু কথাবার্তা লেখেন। হাসি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

লইজ্জা লাগে

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

চলুক

হাসান মোরশেদ এর ছবি

প্রতীক্ষাতে প্রতীক্ষাতে
সূর্য ডোবে রক্তপাতে
সব নিভিয়ে একলা আকাশ নিজের শূন্য বিছানাতে।
একান্তে যার হাসির কথা হাসেনি।

-
বলেন তো কার কবিতা?

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

লজ্জা দেন কেন ভাই
কবিতা নিয়ে বেশি পড়াশুনা নাই।
দেঁতো হাসি

হাসান মোরশেদ এর ছবি

কবিতা নিয়ে পড়াশুনার কি দরকার? কবিতা পড়া হলেই হলো।
আমি নিশ্চিত এই লোকের কবিতা পড়ছেন আপনি, পূর্নেন্দু পত্রী
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

রণদীপম বসু এর ছবি

গল্পটা এখনো শেষ হয়নি।
পাহাড়টা আগেই বলেছি ভালোবাসতো মেঘকে,
আর মেঘ কিভাবে শুকনো খটখটে পাহাড়টাকে
বানিয়ে তুলেছিল ছাব্বিশ বছরের ছোকরা,
সে তো আগেই শুনেছো !

সেদিন ছিলো পাহাড়টার জন্মদিন।
পাহাড় মেঘকে বললো, আজ তুমি লাল শাড়ি পড়ে আসবে;
মেঘ পাহাড়কে বললে- আজ তোমাকে স্নান করিয়ে দেবো চন্দন জলে।
ভালোবাসলেই নারীরা হয়ে যায় নরোম নদী, পুরুষেরা জ্বলন্ত কাঠ !
সেইভাবে মেঘ ছিলো পাহাড়ের আলিঙ্গনের আগুনে,
পাহাড় ছিলো মেঘের ঢেউ জলে।............

বলেন তো এইটা কার ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

আলাভোলা [অতিথি] এর ছবি

হঠাৎ,
আকাশ জুড়ে বেজে উঠলো ঝড়ের জগঝম্প
ঝাঁকড়া চুল উড়িয়ে ছিনতাই এর ভঙ্গিতে ছুটে এল
এক ঝাঁক হাওয়া
মেঘের আঁচলে টান মেরে বললে
-- ওঠ্‌ ছুঁড়ি! তোর বিয়ে ।

এখনো শেষ হয়নি গল্পটা।
বজ্রের সঙ্গে মেঘের বিয়েটা হয়ে গেলো ঠিকই
কিন্তু পাহাড়কে সে কোনোদিন ভুলতে পারলনা।
বিশ্বাস না হয় তো চিরে দেখতে পারো
পাহাড়টার হাড়-পাঁজর,
ভিতরে থৈথৈ করছে
শত ঝর্ণার জল।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

পূর্ণ ইন্দু পত্রী হাসি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অতিথি লেখক [অতিথি] এর ছবি

কবি হৃদয় উথলানো ভালবাসার কথা বলতে চান এবং বলেছেন, আমরা পাঠকেরা তা স্পষ্ট বুঝতে পারছি, কিন্তু সমস্যা হলো কবি কার প্রতি এমন ভালবাসা দেখাচ্ছেন সেটা জানা গেলে বিষয়টি বোঝা আরো সহজ হতো।

(তবে যদি এতে করে পারিবারিক বিরোধ বাড়ে তবে না হয় পাঠক নীরবই থাকল, আর কবি তো এমনি নীরব।)

সালাহউদদীন তপু

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কবিতা অতো বুঝি না। তবে ভালো লাগলে বুঝি যে ভালো লাগল। পিপিদা'র কোবতে পড়ে খুব ভালো লাগল। বিশেষ করে-

হাপুস হুপুস লুটোপুটি
জোৎস্না খেলো শরীর দুটি।
লাইন দুইটা তো ফাটাফাটি!

নিয়মিত কোবতে লেখা উচিত আপনার হাসি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

প্রহরী আমার কথা কপি-পেস্ট কইরা কইয়া দিছে। ইয়ে, মানে...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতিথি লেখক এর ছবি

বিষন্নতা, উদাসীনতা আর অদ্ভূত ভাললাগা -
আমার মনে হল কবিতাটিতে এই তিনটি অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে।
ভাল লাগলো।
জুয়েইরিযাহ মউ হাসি

রানা মেহের এর ছবি

হাপুস হুপুস লুটোপুটি
জোৎস্না খেলো শরীর দুটি।
লাইন দুইটা তো ফাটাফাটি!

অপ্রও কবিতা লিখে ফেললো দেঁতো হাসি

প্রপ্রে - আপনার কবিতাও ভালো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা। এভাবে তো খেয়াল করিনি।

প্রপ্রে - আপনার কবিতাও ভালো
তার মানে আমার কবিতাটা বেশি ভালু, আর পিপিদা'র কবিতাটা ভালু? চোখ টিপি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হো হো হো

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

বেশ বেশ!!

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আহারে! আমাদের পিপিদা একদা প্রেমে ছ্যাঁকা খেয়েছিল! চোখ টিপি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

জ্বী না, সঠিক নহে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।