বনে বাদাড়ে সময় কাটানো / ৪

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি
লিখেছেন প্রকৃতিপ্রেমিক (তারিখ: সোম, ১১/০৮/২০১৪ - ২:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেকদিন বনে বাদাড়ে ঘুরাঘুরি হয়না। আমেরিকা এসেছি দুই বছর হয়। তার মধ্যে একবছর হয় রকি মাউন্টেনের দেশ কলোরাডোতে। লোকজন কেন যে পাহাড়ে ওঠে সেটা এখানে এসে কিছুটা হলেও বুঝতে পারছি। পাহাড়ের আছে চুম্বকের মতো আকর্কষণ যা যে কাউকেই টানবে। এই টান পাহাড়ের যত কাছে যাওয়া যায় ততই বাড়ে। কিন্তু পাহাড়ের চেয়ে বড় টান হল জীবিকার টান। আর সেই টানের কারণেই আজ অব্দি তেমন কোথাও যাওয়া হয়নি। যাওয়ার মধ্যে ডেনভার চিড়িয়াখানায় আর বার দুয়েক রকি মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্কে।

মিউজিয়ামের মতই এসব দেশের চিড়িয়াখানায় গেলে প্রথমেই তুলনায় চলে আসে বাংলাদেশের মিউজিয়াম এবং চিড়িয়াখানা। ভেবে খারাপ লাগে দেশে এত সম্পদ থাকা সত্বেও সেগুলোকে নিরাপদ/সুস্থ বিনোদন কিংবা শিক্ষাণীয় কাজে সেভাবে কাজে লাগানো যায়নি। এরা একটা লাল পান্ডাকে যেভাবে রাখে, কিংবা একটা কালো ভাল্লুককে যেভাবে দর্শকের সামনে উপস্থাপন করে সেটার সাথে বাংলাদেশের চিড়িয়াখানার তুলনা করলে শুধুই কষ্ট বাড়ে। আমাদের চিড়িয়াখানাগুলোতে এখনো যে সম্পদ রয়েছে সেগুলোর সুন্দর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই কর্তৃপক্ষ একদিকে যেমন সমাদৃত হতেন, অপরদিকে অর্থনৈতিকভাবেও এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাবলম্বী করতে পারতেন।

ধারণা করি, চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে খুলনা কিংবা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিশ্চয়ই পড়ানো হয়। সেসব নিয়ে আমাদের লেখালেখির প্রয়োজন রয়েছে।

আজ শুধু দশটি ছবি দিয়েই লেখা শেষ করবো। পরবর্তীতে দেয়ার মতো ছবি তুলতে পারলে এবং সময় করে উঠতে পারলে আবারো হয়তো লেখা হবে।

১। বাচ্চা ও মা ময়ূরী
Madonna and Child
ঐদিন তোলা সবগুলো ছবির মধ্যে এই ছবিটি দিনের সেরা ছবি বলে আমি মনে করি। ছবিটি খুবই সাধারণ আবার (আমার কাছে) খুবই অসাধারণ। মা ময়ূর তার একটিমাত্র বাচ্চার দিকে মাতৃদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এদের যখন দেখি তখন একটা প্রশ্নই মাথায় এসেছিল--এর অন্য বাচ্চারা কোথায়। সাধারণত মা ময়ূরকে একসাথে ৮-১০টি বাচ্চা নিয়ে ঘুরতে দেখা যায়। গতমাসে যখন আসি তখন সেরকম কয়েকটা ময়ূর পরিবার দেখেছিলাম। হয়তো এই একটিই বেঁচে গিয়েছে। বাকীগুলো কোথায় কে জানে।

উটের প্রদর্শণীর কাছে রেইলিং-এর ওপাশে আমার থেকে ১-২ গজ দূরত্বে এরা বসে ছিল। ছবিটির এ্যাংগেল-এর কারণেই ময়ুরীটির মাতৃরূপ ফুটে উঠেছে বলে মনে করি। দেখা মাত্রই চট করে নীচু হয়ে ময়ূরটির চোখের লেভেলে দুটি ছবি তুলতে পেরেছিলাম। হয়তো অযাচিত মনে করেই উড়াল দিয়ে দূরে সরে গিয়েছিল।

২। পোলার বেয়ার বা মেরু ভল্লুক (পিছনে ফিরে তাকাচ্ছে মেরু ভল্লুক)
Polar Bear Looking Back at Denver Zoo

ডেনভার চিড়িয়াখানার অন্যতম আকর্ষণ এই পোলার বেয়ার। নানা কারণেই একে ভালো লাগে। এর শুভ্র তুলতুলে শরীর দেখলেই মনে হয় জড়িয়ে ধরি। কয়েক সপ্তাহ আগেও দেখেছিলাম কিন্তু আজ আরো শুভ্র দেখাচ্ছে। স্বাস্থ্যও বেশ ভালো হয়েছে। দুলদূরে শরীর দেখেই তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। অলস ভঙ্গিতে এদিক ওদিক চলাফেরা করেই কাটে দিনের বেশীরভাগ সময়। মাঝে মাঝে চুপচাপ বসে থাকে। একবার বসলে আর ওঠার নাম করে না। গরম বেশী পড়লে নেমে আসে পানিতে।

Polar Bear Resting at Denver Zoo

Polar Bear at Denver Zoo

Polar bear resting at Denver Zoo

৩। ইংলিশ ল্যাভেন্ডার
IMG_3347
এটা মনে হয় ল্যাভেন্ডার। আমার ভুলও হতে পারে তবে কলোরাডোর প্রায় সর্বত্রই এদের দেখা যায়। বিশেষ করে সামারের শেষে জুলাই-অগাস্ট। হয়তো পরেও দেখা যায়। বাড়ির আশে আশে, রাস্তার ধারে নীলতে-বেগুনী এই ফুলের সমাহার। মৌমাছিরা সঙ্গত কারণেই এদের পিছু ছাড়ে না।

৪। মঙ্গোলিয়ান বুনো ঘোড়া
Mongolian Wild Horse at Denver Zoo
এদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীর একমাত্র বুনো ঘোড়ার প্রজাতি যা এখনো অবশিষ্ট আছে। বাকীগুলোকে গৃহস্হালির কাজে পোষ মানানো হয়েছে। এই প্রজাতিকে কখনোই পোষ মানানো হয়নি। মজার ব্যাপার হল এই ঘোড়া যখন গত বছর দেখেছিলাম তখন এদের পা এবং ঘাড়ের কেশর আরো বড় ছিল। সম্ভবত বছরের এই সময়ে ওরা কেশরগুলো হারায় এবং পরবর্তীতের নতুন কেশর গজায়।

৫। ওকাপি ও তার বাচ্চা
Okapi at Denver Zoo
আমার খুবই প্রিয় এই প্রাণী। দেখুন কী সুন্দর গাঢ় বাদামী গায়ের রঙ। সেই সাথে পায়ে কী অদ্ভুত কারুকাজ। মা এবং বাচ্চা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে খেয়ে যাচ্ছে অনবরত। একটি বারের জন্যও ওখান থেকে নড়েনি!

৬। চিতা
The Denver Cheetah!
এটাকে আমি বলি ডেনভার চিতা। এই ছবিটি হয়তো আগেও দেখে থাকবেন। কিন্তু আমার খুবই প্রিয় এই চিতা। বেচারার কাজই হলো এভাবে পোজ দেয়া। ঘাড় ঘুড়িয়ে সবার দিকে একবার করে তাকানো আর গড়াগড়ি খাওয়া। যতবারই যাই ততবারই একই রকমের একটা পোজের ছবি তোলার সুযোগ পাই। ভেরিয়েশন খুবই কম। দুটো আছে। কিন্তু বোঝার উপায় নেই কোনটা কে। হয়তো প্রাণিবিদরা ভালো বলতে পারবেন।

৭। গাছের মত বাড়ছে বয়স
Tree trunk at Denver Zoo
গাছটার বাকলগুলো দেখুন--কী সুন্দর বাড়ছে। কী অদ্ভুত এদের জীবন। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে জীবন পার করে দেয়! ভাবতেই মানুষ হয়ে জন্মাবার স্বার্থকতা খুঁজে পাই।

সবগুলো ছবিই আমার তোলা। ৬ডি ক্যামেরায় 70-200 F2.8 L IS II লেন্স দিয়ে তোলা। চিতার ছবিটি 300mm F4 L IS দিয়ে তোলা। ফ্লিকারে গেলে বিস্তারিত এক্সিফ দেখা যাবে। ছবিগুলো বিনা পয়সায় ব্যবহার করা যাবে তবে ব্যবহার করলে এই পোস্টের লিংক কিংবা ছবিগুলোর প্রকৃত লিংক (ফ্লিকারে) এবং ফটোগ্রাফারের নাম উল্লেখ করতে হবে।

সবাই ভালো থাকুন। সবাইকে বুনো ফুলের শুভেচ্ছা।
IMG_3354

শেষ।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

সবগুলো ছবিই দুর্দান্ত আর ময়ূরের ছবিটি ক্ল্যাসিক। পোলার বেয়ার কি সীমাহীন আদুরে, বিশেষ করে প্রথম তার দুই এবং তিন নং ছবি অসাধারণ।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

আপনার তোলা ছবি আর ঝরঝরে ছবির গল্প ভাপা (ভালো পাই)। এই কথা আগেও হয়তো কোন পোস্টে বলেছি। এই পোস্টের যে বিষয়টি সবচেয়ে ভালো লেগেছে সেটা হল, ছবির প্রাণি গুলোর সাথে আপনার পূর্ব পরিচিতিমূলক বাক্য গুলো।

পোস্টের ছবি গুলো ছাড়াও কল্পনার চোখে ঘোড়টির ঘাড়ে এক ঝাকড়া কেশর দেখতে পেলাম। ডেনভার চিতাটাকে তো মনে হল আপনার পোষমানা আদুরে বিড়াল।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনার মন্তব্য পড়ে দিনটাই ভালো হয়ে গেল। খুবই উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্য। ভবিষ্যতেও খেয়াল রাখবো ব্যাপারটা। এরকম ফীডব্যাক খুবই কাজের। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

পোলার বিয়ারের ছবি দেখে নিজের সাথে বেশ মিল পাচ্ছি। ওকাপি আগে দেখিনি কখনও, নামও শুনিনি, সেই হিসাবে একটু জ্ঞানার্জনও হল। আর ময়ূরের ছবিটা আসলেই সুন্দর।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ধন্যবাদ কবি!

মাসুদ সজীব এর ছবি

হাততালি হাততালি
সবগুলো ছবি আর তার সাথে পরিচিত পর্ব মিলে ছোট গল্পের মতো ভালোলাগার একটা পরশ দিয়ে গেল, ধন্যবাদ। পোলার বেয়ার কি একটা নিজের সাথে রেখে পোষ মানানো যায় না চিন্তিত

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হা হা তা নিশ্চয়ই যাবে না। এরা খুবই হিংস্র প্রাণী। তবে দেখে মনে হয় ধরে নিয়ে যাই। এত চমৎকার। এরা কিন্তু সাইজে বিশাল। ওজন প্রায় ৪০০-৬০০ কেজি! থাবার সাইজ দেখলে ভয় পেয়ে যাবেন!

অতিথি লেখক এর ছবি

ছবিগুলো সবই খুব সুন্দর তবে মা ময়ূরী আর তার বাচ্চাটার ছবি খুব বেশী সুন্দর। এমন মমতা মাখা দৃষ্টি আসলেই খুব বিরল। হাততালি

ফাহিমা দিলশাদ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

জ্বী। আমার প্রিয় ছবি ওটা। খুবই ভাগ্যবান ছিলাম বলেই ছবিটা তোলা গিয়েছে। এরকম ছবি তুলতে গেলে অনেক ধৈর্য আর সময় লাগে যেটা অনেক সময় সম্ভব হয় না।

হিমু এর ছবি

বহুদিন পর পিপিদার পোস্ট এলো। আরো ঘন ঘন আসুক।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হিমুর মন্তব্য আমার কাছে বিশাল ব্যাপার। অনেক ধন্যবাদ। দেয়ার মতো ছবি তোলা হলেই আবারো লিখব।

তাসনীম এর ছবি

অনেকদিন পরে আপনার পোস্ট পেয়ে খুব ভালো লাগলো। আরো ঘুরুন, ছবি তুলুন এবং ব্লগ লিখুন।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

তাসনীম ভাই, ভালো লাগলো মন্তব্য পেয়ে। চেষ্টা করবো আরো নিয়মিত হওয়ার। হয়তো সচলে লেখার লোভেই ছবি তোলা লাগবে হাসি

তিথীডোর এর ছবি

অনেকদিন পর লিখলেন! চলুক
আরো অনেক অনেক ছবি তুলুন আর পোস্ট দিন।

ল্যাভেন্ডারের একটা শট নেয়ার চেষ্টা করেছিলাম কিছুদিন আগে। অবভিয়াসলি ফোকাসড হয়নি। মন খারাপ

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মেলা ধন্যবাদ তিথীডোর। ল্যাভেন্ডারের ছবি তুলতে গিয়ে আর অনলাইনে ছবি দেখে বুঝলাম যত সহজ মনে হয় এই জিনিসের ছবি তোলা তত সহজ না। অনেকটা ফল কালারের ছবি তোলার মতো কঠিন। ল্যাভেন্ডারের ক্ষেতের ছবিই সুন্দর লাগে। হয়তো ম্যাক্রো করলে অন্যরকম লাগতে পারে।

আপনার ফোকাস তো ঠিকই আছে মনে হচ্ছে। যদিও ব্যাকলাইটের কারণে এরকম দেখাচ্ছে। আকাশটা কম রেখে তুলে দেখেন। আমি আরেকদিন ট্রাই করবো। এর ছবি তুলতে বেশ খানিকটা সময় দিতে হবে মনে হচ্ছে।

মুস্তাফিজ এর ছবি

পোলার বেয়ার এমনিতেই আইলসা, আর এইটা ফ্রি খাবার খাইতে খাইতে খাইতে আমাদের মতন হয়ে গেছে। হাসি

...........................
Every Picture Tells a Story

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

নজর দিতে চাইনা, কিন্ত দেখেননা পেটটা কোথায় নেমেছে হাসি
শীতের প্রস্ততি চলছে মনে হয়।

মুস্তাফিজ ভাই, আপনার সেইরকম ছবিগুলো কিন্তু সচলে দেয়া এখন সময়ের দাবী। আমি পোস্ট করে পথ করে দিলাম। এখন আপনি দেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার কাছে সবচেয়ে ভাল্লাগসে চিতার ছবিটা। সাথে ভালো লাগসে মেরুভল্লুকের চতুর্থ ছবিটা, দেখে মনে হইতেসে কারো বোকামি দেখে জ্ঞানী বুড়োদের মতো একটা হাসি দিতেসে। মেরুভল্লুকের দ্বিতীয় আর তৃতীয় ছবিগুলাতে অভিব্যক্তিও ভালো লাগসে ( "এ্যাঁ, এইডা কি দেখলাম" আর "ওহ, সারাদিন বিশাল খাটনি গেসে, একটু ঘুমাই এখন" যথাক্রমে )। ওকাপিছানার ছবিটায় তার মায়ের পরশ খোঁজা দেখে ভাল্লাগসে।

.....................

প্রশ্ন

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ধন্যবাদ, প্রশ্ন; আপনার অভিব্যক্তি জানা হলো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে চোখের আনন্দের জন্য।

আরেকটা কথা। লেখাটার শিরোনামটা পড়ে আমার মনে হইসিলো আসলেই বন-বাদাড়ের ছবি আছে ভেতরে।

.........

প্রশ্ন

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমারই ভুল। শুরুতেই একটা ডিসক্লেইমার দেয়া উচিত ছিল। প্রথম যখন এই সিরিজটা শুরু করি তখন ভাবনা ছিল বনেবাদাড়ে (প্রকৃত বা অপ্রকৃত যা-ই হোক) ঘুরে ঘুরে ছবি তুলব। এখন বনে ঘোরার সুযোগ নেই তাই চিড়িয়াখানার ছবিই দিলাম। ভালো থাকবেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকবেন।

.........

প্রশ্ন

এক লহমা এর ছবি

পিপিদা, ময়ূরদের ছবিটা দুরন্ত হয়েছে। চমৎকার 'অ্যাঙ্গেল' থেকে ধরা হয়েছে।
ল্যাভেন্ডারের ছবিটাও ভাল লেগেছে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তাহসিন রেজা এর ছবি

ময়ূর, ওকাপি আর পোলার বেয়ারের ছবি গুলো খুব ভালো লেগেছে। হাসি

জাহাঙ্গীরনগরে জুলজি ডিপার্টমেন্টে চিড়িয়াখানা সম্পর্কে অল্পবিস্তর পড়ানো হয়। তবে সে মনে হয় খুব উল্লেখযোগ্য কিছু নয়। চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাপনা কিংবা বোটানিক্যাল গার্ডেন এইসব বিষয়ে বাংলাদেশ এখনো খুব খুব পিছিয়ে আছে। মন খারাপ

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

জুওলজি ডিপার্টমেন্টে এটা নিয়ে বিস্তারিত পড়ানো উচিত। আমাদের দেশের মাননীয় স্পীকারেরা বিদেশে সফরে যায় জ্ঞান অর্জন করতে, এখন শিক্ষকরাও প্রায়ই বিদেশে যান। তাদের উচিত এগিয়ে আসা।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

ছবির কারিগরী ব্যাপারে আমি অজ্ঞ। ওসব না জানলেও চলবে। ছবি উপভোগ্য কিনা আমার কাছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। মেরু ভল্লুকের ছবিগুলো ছাড়া বাকি সবগুলো ছবিগুলোকে মমতাভারা বলে মনে হয়েছে। আবারো ধন্যবাদ।

এইসব চিড়িয়াখানার বাইরে একদিন সত্যি সত্যি বনে বাদারে চলে যান। তারপর সেখানকার একটা বাসিন্দাকে টার্গেট করে আলোকবন্দুক বাগিয়ে ধরুন। তারপর এককালে আমরা যেটাকে পিপি টাইপ পোস্ট বলতাম অমন পোস্ট করুন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। ওরকম লেখার জন্য যেরকম মন লাগে, সেরকম ভাব আনার জন্য যেরকম সময়/পরিবেশ লাগে তার কোনটিই অবশিষ্ট নেই। সময়ের সাথে সবকিছুই বদলে যাচ্ছে। তবে পাঠকের পালস বুঝতে পারলাম। যতটা পারা যায় চেষ্টা থাকবে হাসি

মরুদ্যান এর ছবি

১,৪,৬ দুর্দান্ত।

আপনার ৭০-২০০ লেন্সের কথা পড়ে নিজেরটার কথা মনে পড়ে গেল। শালার চোর! কার কাছে আছে এখন কে জানে! মন খারাপ(

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আহ্ কী বলেন! লেন্স চুরি যাওয়া খুবই কষ্টের ব্যাপার।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আপনার নিকের সাথে শতভাগ সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি সার্থক ছবিব্লগ। দারুণ লাগলো। হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ হাসি

শিশিরকণা এর ছবি

ময়ূরী আর বাচ্চার ছবিটা ফিরে ফিরে দেখছি।
মেরু ভাল্লুক এত ধবধবে কখনো দেখি নি, এদের কি গরম লাগে না মেরু অঞ্চল ছেড়ে এরকম গরম জায়গায় থাকতে? নাকি এয়ার কন্ডিশনে রাখে?
বুনো ফুলের ছবি খুব ভালো লাগলো।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এই প্রশ্নটা আমারো। এরা এখানকার পরিবেশেই থাকে। বেশী গরম লাগলে পানিতে নেমে ডুবে থাকতে দেখেছি। আর আবহাওয়ার কারণে এদের রং ক্রীমের মতো হয়ে যায়। লক্ষ্য করলে দেখবেন পেছনের দিকের রং সাদা নয়।

মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ম্যালা দিন পরে ভালো ছবি ব্লগ পড়লাম(দেখলামও)। চলুক

ঐ পোলার বিয়ারটাকে জড়ায়ে ধরতে গেলে কি কি সমস্যা হইতে পারে?

------------------------------
আশফাক(অধম)

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনি খুবই মজার মানুষ মনে হচ্ছে হাসি

ফারুক হাসান এর ছবি

বহুদিন পর আপনার লেখা পড়লাম মনে হয়। আগের মতই মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম। সময় পেলে ঘন ঘন লিখবেন আশা করি।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনিও তো দেখলাম অনেকদিন পর। আমি মাঝে মাঝে অবশ্য ঢুঁ মারি। লেখা হয়না সময়ের অভাবে। এখন মানুষের এক্সপেক্সটেশন বেড়ে গিয়েছে তাই হাবিজাবি দিয়ে কমাচ্ছি।

অন্যকেউ এর ছবি

ভাল্লুকটা অচাম। কাছাকাছি এলে জড়ায়ে টড়ায়ে না ধরে বরং উল্টা ঘুরে উসাইন বোল্ট দেবেন একটা। অকালে আপনার বোলগ থেকে জাতি অনাথ হৈতে চায় না।

অনেক করে বনেবাদাড়ে ঘুরে বেড়ান, আর বোলগ করেন। আপনার জন্য একটা চিয়ার্সসম্পন্ন 'ওয়াইনের গেলাস' ইমো।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হা হা, অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আচ্ছা পিপিদা, মেরু ভল্লুকরে কেউ ময়ূরী (বাংলা ছবির নাইকা) মনে করে উল্লুকের মতো গিয়া জড়ায়া, জাবড়ায়া ধরলে কি ভল্লুকে কামড় দিবে?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হে হে , এরা এত আবেগ টাবেগ বোঝে না। শুধু বোঝে খাবার আর শত্রু!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।