প্রতিক্রিয়া- অতিমূল্যায়নের সমস্যা ০১

রাসেল এর ছবি
লিখেছেন রাসেল (তারিখ: সোম, ১০/০৩/২০০৮ - ৫:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

autoঅবমুল্যায়ন যেমন ভয়ংকর হতাশার জন্ম দেয় তেমনভাবেই অতিমূল্যায়ন ভয়াবহ উন্নাসিকতার জন্ম দিতে পারে- বাংলাদেশের প্রধান ব্যধী মূল্যায়ন মাত্রার অনুপস্থিতি- যথাযোগ্য মূল্যায়নের মানসিকতা কিংবা চর্চা এখনো নেই স্পষ্ট ভাবে- আবেগের আতিশয্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের অতিমূল্যায়নে মনে হয় এই বুঝি দামাল টাইগারেরা ক্যাঙারু বধ করবে নিয়মিত ভাবে- তবে কার্ডিফ ফিরে আসে না।

উতপল শুভ্র এবং প্রথম আলোর অনুগত সাংবাদিকেরা হয়তো ধরেই নিয়েছে মাত্রাবিহীন প্রশংসাই অনুপ্রেরণার উতস, তাই তামিম ইকবাল কিংবা শাহরিয়ার নাফিসে মতো নিম্নমানের খেলোয়ারদের নিয়মিত প্রশংসা গাঁথা রচিত হয়- নাফিস ইকবালের সাক্ষাতকার ছাপানো হয়- অথচ পরিশ্রমী ক্রিকেটারদের কোনো মূল্যায়ন নেই-একদিনের আতশবাজীর চোখধাঁধানি দীর্ঘদিন অন্ধ রাখে না কাউওকেই- উল্লেখযোগ্য ব্যাতিক্রম প্রথম আলোর অনুগত সাংবাদিককূল- তাদের অন্ধত্ব ঘুঁচে না- একজন মাঠে গিয়ে বেদিশা- তার হাত- পা- চোখের ভেতরে করূণ সমন্বয়হীনতা- এরপরেও ছাগলের বাচচা সাংবাদিক শানাফিস আর তাইকবালকে বলছে আজ কেমন খেওলবেন- সে রকম ঝিলিক কি দেখা যাবে?
যাকে পাছায় লাথি দিয়ে বের করে দেওয়া দরকার তার জন্য প্রশংসা গাঁথা লিখে দলে তার অপরিহার্যতা প্রমাণের জঘন্য প্রয়াস-লজ্জাজনক ছাপোষা মানসিকতা-

বস্তুত অতিমূল্যায়নের সমস্যা এখানেই- ভারতের বিরুদ্ধে ৫৭ এর পরে গতকাল ৮২ এই হলো তামিমের ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য ঘটনা- তবে ধারাবাহিকতা নেই- নেই সে রকম ডেডিকেশন দলের জন্য খেলবার মানসিকতা নেই- তবে এই ১০ বলের খেলোয়ার তামিম কি সেই ২ ইনিংসের পূঁজি দিয়ে দীর্ঘ দিন দলে টিকে থাকবে- মানলাম তার মতো চমক প্রয়োজন আছে তবে দেশের ফ্ল্যাট উইকেটের সাথে বাইরের উইকেটের তফাত অনেক- দেশের পিচগুলো তৈরি করাই হয়েছে ব্যাটসম্যান্দের জন্য- সেখানে বোলারদের কিছুই করার থাকে না- শাহরিয়ার নাফিসের করুণত্ব আরও বেশী- তার পা জায়গা মতো যায় না- তার ব্যাট চলে না সময় মতো- তার অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে চার্জ করবার নেশা- হঠাত উঠে আসা বলে সে একেবারে নিশ্চিত ভাবে উইকেট দিয়ে আসবে-

তবে বাংলাদেশ দলের টিম ঘোষণার সময়ে এসব দুর্বলতা বিবেচিত হয় না- আমার এমন হাউই বাজীর প্রয়োজন নেই- বরং আমি চাই টিমটিমে মোমবাতি জ্বলুক- গোল্লা যেমনই হোক- সামান্য আউট সুইং্যের বলে তার আউট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও সে অনেক বেশী নিশ্চিত ভঙ্গিতে ব্যাট করে- অন্তত টিকে থাকবার একটা প্রচেষ্টা থাকে তার ভেতরে- উইকেটের একপ্রান্ত আগলে পড়ে থাকুক গোল্লা- সে নিজের সীমাবদ্ধতা বুঝে- বড় ব্যাটসম্যান এমন কেউ না যে প্রচুর শট খেলতে পারে উইকেটের চারপাশে বরং এমন একজন যে নিজের দুর্বলতা গুলো আড়াল করে টিকে থাকতে পারে- যত বেশী সময় টিকে থাকবে ততবেশী উইকেটের সাথে পরিচিত হতে পারবে আর একটা নিয়মিত জুটি গড়ে তুলতে পারবে-

আমার ধুমধারাক্কা ৪, ৬ প্রয়োজন নেই, সিঙ্গেলসের উপরে খেলবে- নিয়মিত ৩ থেকে ৪টা এক রান বের করে নিতে পারবে উচুতে শট না খেলেই- সেফ শটের ব্যাটসম্যার প্রয়োজন আমার- তবে বাংলাদেশের খেলোয়ারদের প্রধান সমস্যা এরা সবাই ইন ফিল্ডকে ফাঁকি দিয়ে মাঠের বাইরে বল ফেলতে চায়-

দুঃখজনক হলো বাংলাদেশের অধিকাংশ ক্রীড়া সাংবাদিক কখনোই মাঠে নেমে ক্রিকেট খেলে নি- তারা টিভি বিশেষজ্ঞ- বয়কট, গ্রেগ যা বললো সেটাকেই আসলে বিবেচনা বুঝে নেয়- নিরাপদ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে এটা শট হলো না, এটা চমতকার একটা ড্রাইভ ছিলো বলে দেওয়া যায়- তবে মাঠে খেলার কাজটা করতে হয় ব্যাটসম্যানকেই আর সেখানে একটা মাত্র ভুল সেটাই সব মাটি করে দেয়-
চার ছয় দেখতে আমার খারাপ লাগে না- তবে ব্রডম্যান সারা জীবনে মাত্র ৬টা ছয় মেরেছেন- তবে তার পরিচিতি ছিলো মারকুটে ব্যাটসম্যান- উপরে না তুলেও বিধ্বংসী ব্যাটিং করা যায়- যত বেশী বল উপরে উঠবে ততবেশী আউট হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে- সোজা ব্যাটে লং অন লং অফে খেলে- একটু সময় নিয়ে কাভার ড্রাইভ এই করলে আসলে তেমন ভাবে আউট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় না- তবে বাংলাদেশের খেলোয়ারেরা এটা বুঝবে না কোন ভাবেই- তাদের স্কয়ার ওফ দ্যা উইকেটে খেলতে হবে- তাদের পূল করতে হবে- তার ক্রস ব্যাটে খেলবে- তামিমের একটা মাত্র স্কোরিং শট- যদি না সেটা ব্যাটের কোনায় লেগে অন্য কোথাও যায়- ডাউন দ্যা উইকেটে এসে ক্রস খেলে মিড উইকেটের উপর দিয়ে তুলে মারা- এ কাজে আউট হওয়ার সম্ভাবনা প্রতি ৫ বলে একবার- এবং তাই হচ্ছে নিয়মিত ভাবে- ঝুঁকিবিহীন মাটি কামড়ানো শট দেখবো না আমরা?

অনুগত সাংবাদিকেরা বলবে এটাই উপভোগ্য ক্রিকেট- আমার কাছে অনেক চার ছয়ের দিনের শেষে পরাজয়ের তুলনায় নিরানন্দ ক্রিকেট খেলে দিনের শেষে জয়টা উপভোগ্য মনে হয়- লড়াই করে টিকে থাকতে হবে- ভুল করা যাবে না- দেশের জন্য খেলার বড় এই আনন্দ, নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করবার আনন্দটা বুঝে খেলে এমন খেলোয়ার দলে কম- তার নিজেদের জন্য খেলছে এটাই পরাজয়ের ধারাবাহিক রেকর্ড তৈরির জন্য যথেষ্ট-

অবমুল্যায়নের কোপটা পড়ে পরিশ্রমী ক্রিকেটারদের উপরে- তারা মাঠে গিয়ে উইকেটে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে- হৈহুল্লোর বিহীন কঠোর নির্বিকার খেলবে- বিন্দু বিন্দু করে ইনিংস নির্মাণ করা ব্যাটসম্যানগুলো চিহ্নিত হয় অনুপভোগ্য হিসেবে- আমার উপভোগ্য ক্রিকেট চাই না- দিন শেষে স্কোরবর্ডে রান চাই যেনো জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়- আফতাব- সাকিব- জুনায়েদ নাদিফ আর নাজিমুদ্দিন- এর সাথে গোল্লা- এই হলো আমার বাংলাদেশ দলের প্রথম ছয় জন ব্যাটসম্যান- এদের সবাই যে উপভোগ্য ক্রিকেট খেলবে তা নয়- আশরাফুলের মতো ব্যাটসম্যানকেও আমার প্রয়োজন নেই-
উদ্বোধনী জুটিতে নাজিমুদ্দিন আর গোল্লা- এর পরে জুনায়েদ- সাকিব- আফতাব- নাদিফ-

উইকেটের পেছনে মুশফিকুরকে রাখতে চাইছি- সে সোজা ব্যাটে খেলে তবে একটাই প্রধান সমস্যা- নিজের অফ স্ট্যাম্প এখনও চিনে না সে-
বোলিং্যে মাহামুদুল্লাহ- রাসেল- সাজেদুল- শাহাদাত- মাশরাফিকে রাখব কি রাখবো না- তবে প্রথম ১৩ জনের ভেতরে রাজ্জাক আর মাশরাফিকে রাখলেও আমার ওয়ান ডে টিমে এর বাইরে জায়গা পারে গোলাম- আর নতুন একজন ব্যাটসম্যান আছে রাজশাহী দলে সে-
সাধারন মানের খেলোয়ারদের ভেতরে দীর্ঘ মেয়াদে আমি রাখতে চাই- তাপস বৈশ্য আর রাজিনকে-
তবে দলে রাখতে হবে আমি অবশ্যই নতুনদের ভেতরে মাহামুদুল্লাহ আর নাদিফকে রাখতাম- আমার মনে হয় না তামিম ইকবাল কিংবা নাফিস ইকবালের জাতীয় দলকে দেওয়ার মতো কিছু আছে তবে তারা চাইলে এখনও এই নিস্প্রান উইকেটে ঘরোয়া লীগের দলগুলোকে অনেক কিছুই দিতে পারে-
টেস্ট দলে হয়তো এখনই আমি মাহামুদুল্লাহকে দেখতে চাই না- দেখতে চাই না নাদিফকে- তবে আমার মনে হয় তাদের আরও বেশী বাইরে পাঠিয়ে দীর্ঘ মেয়াদের খেলায় মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া প্রয়োজন- তারাই হয়তো একদিন দেশের জন্য খেলবে- তাদের হাতেই ক্রিকেটের ভবিষ্যত পতাকা- আশারাফুল কিংবা তামিম কিংবা শাহরিয়ার নাফিসের আসলে তেমন কিছু নেই-


মন্তব্য

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

শুরুটা চমৎকার হয়েও শেষের দিকে আমার মনে হয় ভুল যায়গায় ফোকাস করা হয়েছে। আসলে এই ভুল ফোকাসের জন্যই দলে চেয়ার বদল চলে, খেলোয়াড়দের পারমুটেশন-কম্বিনেশন চলে; কিন্তু ফলাফল একই থেকে যায়।

আমার মতে, বাংলাদেশ দলের সমস্যা এর খেলোয়াড়েরা না; বরং তাদের প্রফেশনালিজমের অভাব। সামর্থ্য থাকাই সবকিছু নয়; বরং সামর্থ্যের সঠিক ব্যবহারের অভাবই আমাদের দুর্গতির কারণ। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলোয়াড়দেরকে প্রফেশনালিজম শিক্ষা দেয় বলে মনে হয় না। এই অপরিণত ক্রিকেটাররা 'চমক' দেখিয়ে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পায়। যে শট খেলে দেশের বিলো পার বোলারদেরকে বেধড়ক পেটানো যায়, সেই একই শট পরিস্থিতি হিসেব করে না খেলে আন্তর্জাতিক মানের বোলারদের হাতে কুপোকাত হতে হয়।

এ পরিস্থিতি উত্তোরণের জন্য খেলোয়াড়দেরকে আসলে তাদের খেলা মূল্যায়ন করার মত ম্যাচুরিটি অর্জন করতে হয়। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক না হওয়ায় কঠোর পরিস্থিতি মোকাবেলার মত ম্যাচুরিটি ক্রিকেটারদের থাকে না। অতএব, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গিয়ে এই দায়িত্বটা নেয়া উচিত কোচ এবং ম্যানজেমেন্টের। রেকলেস প্রশংসার কাজটা সাংবাদিকরা করতে পারে; কারণ, তারা নিজেরাই খেলাটা বুঝে না। কিন্তু কোচ-ম্যানেজমেন্টে থাকা লোকদের সে জোয়ারে গা ভাসিয়ে দিলে চলে না। অন্যডের অন্যদিনের খেলা বাদই দিলাম, এমনকি সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলা ম্যাচজয়ী ইনিংসের পরেও আশরাফুলের দরকার ছিলো একটি প্রপার ধোলাই। কারণ, সে যেসব শট খেলেছিলো, তাতে যেকোনো সময়ই আউট হতে পারতো। কারো সৌভাগ্যের জন্য তার ভুলগুলোকে বিস্মৃত হওয়া প্রফেশনাল ওয়ার্লডে চলে না। কারণ, ক্রিকেটে প্রতিদিনই ভাগ্যের সহযোগিতা পাওয়ার গ্যারান্টি নেই।

যাহোক, খেলোয়াড়দের পারমুটেশন-কম্বিনেশন যে কোনো সমাধান না, তা আমার বলার অপেক্ষা রাখে না। এজন্যই গোল্লা-নাজিম-নাদিফ-আফতাবে গড়া দল কোনো সমাধান নয়। দলের ওভারঅল প্রফেশনালিজম বাড়াতে পারলে খেলোয়াড়দের মধ্যে অটোমেটিক্যালি প্রফেশনালিজম চলে আসবে। অতএব, খেলোয়াড় পছন্দের সময়, গোল্লার মত একেবারেই সীমাবদ্ধ কোয়ালিটির খেলোয়াড়ের চেয়ে আশরাফুল-আফতাবেরা হাজারগুণে ভালো। (তামিমের অ্যাবিলিটি নিয়ে আমারো সন্দেহ আছে।) যেটা দরকার, তা হলো, তাদের এই কোয়ালিটিকে অ্যাপলাই করার মত পরিবেশ গড়ে তোলা। ফিফটি হাঁকানো ইনিংসের পরেও তাই আশরাফুল-তামিমদেরকে তাদের ভুলগুলো বলে দিয়ে প্লাস সেগুলো সমাধানের উপায়ও বাতলে দিয়ে নির্দেশ দেয়া উচিত, একই আকাম আরেকবার করলেই দল থেকে লাথি মারা হবে।

দলের উন্নয়নের জন্য এন্ড রেজাল্টের চেয়ে সমগ্র খেলার প্লাস মাইনাস হিসেব করতে পারলে দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনেরা দুইজন কি ইংরেজী তিনশত সিনেমাটা দেখছেন?

লড়াই করাটা জানতে হয় সেই গোড়া থেকেই। বাঁশ কাঁচা থাকতে। পেকে যাওয়া বাঁশ পোক্ত হলেও ইচ্ছেমতো শেইপ দেওয়া যায় না। পুরানো, একই শেইপ দিয়ে আর কতোদিন-কতোকাল যেখানে প্রতিনিয়ত ঘটছে নতুনের পরিবর্তন চারপাশে।

নির্মান স্কুল ক্রিকেট বলে একটা জিনিষ চালু ছিলো (এখন আছে কি না জানি না)। বুড়া ধারীদের জন্য বিশ্ববরেণ্য কোচ না এনে বরং স্কুল পর্যায়ে যারা খেলে তাদেরকে ক্রিকেটটা বুঝে, ভালোবাসে, হিসাব গুলো জানে এবং সর্বোপরি গরু পিটিয়ে মানুষ বানানোর আধাখানেক অতীত রেকর্ড আছে, এমন কাউকে নিয়োগ করুন। যে পয়সা বুইড়া (এবং কুইড়া) ফুটওয়ার্কহীন জাতীয় দলের খেলোয়ারদের পিছনে ব্যয়িত হয়ে ফলাফল শূন্য হয়ে আনে, সেই পয়সাতেই এই বাংলাদেশেই তৈরী হতে পারে ন্যুনপক্ষে স্টিভ টিকলোরা।

ফাদার পিশোতো বলতেন, বুড়াদের নিয়ে আমি কী করবো। আমার দরকার হলে কিন্ডার গার্টেন খুলবো, তাও নটরডেমে ডিগ্রী-মাস্টার্স লেভেলে অগুণতি শিক্ষার্থী নেবো না! জাতীয় দলের পেছনে তো অনেকেই অনেক ভাবো খাটলো। ঘুরে ফিরে সেই একই বৃত্ত। একজন প্লেয়ারও আমরা এতোগুলো দিনেও পাইনি যার পায়ে একটু প্রাণ আছে, যার মাথায় একটু ক্রিকেট আছে, যার হৃদয়ে প্যাশন আছে। পেয়েছি একগাদা খোদাবক্সীয় অপদার্থ। মাঠের বাইরে থেকে ইডিওডিক কথাবার্তা বলে ওই খোদাবক্সরা, আর ভেতরে থেকে অশ্লীলতম ক্রিকেট খেলে জার্সীপরা খোদাবক্সরা!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

গুড পয়েন্ট।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুমন চৌধুরী এর ছবি

গোধুলির কমেন্টে (বিপ্লব)



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

সুমন চৌধুরী এর ছবি

বলাই সঠিক। মাঝে মাঝে দুই একটা খেলায় জিতা একেকজন আত্মঘাতী আত্মতৃপ্তিতে ভোগে। এতে বোঝা যায় খেলাটারে তারা এখনো ছেলেখেলাই ভাবে। এইটা যে একটা ক্যারিয়ারের ব্যাপার একটা লংরান লাইফ প্ল্যানিঙের ব্যাপার সেই মানসীকতা খেলোয়ারদের মধ্যে এখনো নাই। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর থিকা ক্রিকেট অবকাঠামোর অনেকখানি সংস্কার হইছে ঠিক, কিন্তু সেইটা হয়তো যথেষ্ট না। আরো বিকেন্দ্রীভবন, বাংলাদেশের আরো গভীর পর্যন্ত ক্রিকেটের (সনাতন ক্রিকেটের অবশ্যই, কারণ সনাতন জানলে পরে এক্সপেরিমেন্টাল খেলায় দুইএকদিন ঢুশঢাশ করা যায়। কিন্তু ঢুশঢাশরে নিয়ম বানাইয়া প্রচার করলে বিশ্বক্রিকেটের তলানিতেই থাকতে হইবো সারাজীবন) কাঠামোগত বিস্তৃতি জরুরি। ক্রিকেট খেলার ব্যায় কমিয়ে আনার বিষয়টা সরাসরি বিসিবিকে দেখতে হবে। নইলে ক্রিকেটের সামাজিকরণ ঠেকে থাকবে তুলনামূলকভাবে কম শারিরিক দক্ষতার শ্রেণীতে। হোম ক্রিকেট থেকে যাতে প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড় তার সরঞ্জাম আর যাতায়াত খরচের পাশে অন্তত ডালভাতটা জোগাড় করতে পারে তার সুলুকও জরুরি।



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

বাইন্ধা বাইরে পাঠায় দেন... ছয় মাস মিনিমাম ওয়েজে চাইনিজ দোকানে খাটাই... ১২ ঘন্টার কামলা মাইরা আধা প্লেট ভাত জুটলে বুঝবো ক্যারিয়ার কারে কয়, আর প্রোফেশনালিজম বানান কী... বলদের দল সব...

সুমন চৌধুরী এর ছবি

কমেন্টে (বিপ্লব)



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

ফারুক হাসান এর ছবি

আমি খালি একটা পয়েন্ট বলি-
আশরাফুলের ইদানিং সাক্ষাতকার দেয়ার যে বহর দেখতেছি - তাতে মনে হইতেছে সে নিজেই চীফ সিলেক্টর। আরে বলদা, তোর কাম হইল ৩০ ওভার ব্যাট করা, সেই কাম কর্ গিয়া।
সাউথ আফ্রিকার সাথে কোন মাইন্ডসেট নিয়া খেললে একটা ক্যাপ্টেন গোহারা হারার পর বলে যে এর চাইতে বেশি ভালো সম্ভব না, এই জিনিসই আমার মাথায় ধরতেছেনা।
আজকে ক্রিকইনফোতে দেখলাম বলদায় আরেক বলদ মাশরাফিরে ক্যান দলে রাখা হইতেছে না সেইটা ব্যাখ্যা করতেছে। আরে মুর্খ, তুই ক্যান দলে থাকবি সেই কারণ আগে দর্শা।
ব্যাটা সাক্ষাতকার না দিয়া নেটে গিয়া ব্যাটিং প্র্যাকটিস কর।
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ওর মনে হয় সামনে ইংলিশ পরীক্ষা, জিবলার জড়তা কাটাইতাছে...দেঁতো হাসি



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

ফারুক হাসান এর ছবি

দেঁতো হাসি
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

নাদিফ চৌধুরীরে একটা সুযোগ আরো আগেই দেওয়া উচিত ছিল ,,,, গোল্লার উপরও অবিচার হইছে ,,, বাংলাদেশ দলে টেস্ট ব্যাটিংয়ের মেজাজ শুদুঃ গোল্লারই দেখলাম ,,, আরেকটা ছেলে, রাজিন, খুব পরিশ্রম করে ,,,সবসময় না হইলেও মাঝে মাঝে যেভাবে ক্রিজ আঁকড়াইয়া পইড়া থাকে, তাতে মনে হয় রেগুলার সুযোগ পাইলে রাজিনও টিকে থাকার মতো ব্যাটসম্যান হইত ,,, তামিমরে টেস্ট দলে নেওয়ার কোন কারণ দেখিনা ,,,,চাচার জোর মনে হয়
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।