হলিউডাইজেশন ওফ লিবারেশন ওয়ার

রাসেল এর ছবি
লিখেছেন রাসেল (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/০৩/২০০৮ - ৬:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম যখন ঢাকায় আসলাম তখন রাস্তা চেনাটা বিশাল দুর্ভাবনার বিষয় হলো। এত গলি, এত দোকান, একই রকম লাগে সব। মফস্বলের চোখে গোলকধাঁধার মতো লাগে।
প্রয়োজনে মানুষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে ফেলে, আমিও রাস্তা মনে রাখবার একটা সহজ পদ্ধতি তৈরি করলাম। বিভিন্ন রাস্তার বাসাগুলো মনে রাখতাম। এখানে এই বাসার পাশে এই বাসা, এরপরে একটু সামনে গেলে রাস্তাটা সামান্য বেঁকেছে, সেখান দিয়ে সামনে যাওয়া যাবে না, বরং ওখানেই একটা মুদির দোকান, সেই দোকানের পাশের গ্রীলের গেট।

স্থানিক এইসব দিকচিহ্ন উপকারি ছিলো, অন্তত ১৯৯০ এর ঢাকায়, যেখানে এত উঁচু উঁচু বাসার জঙ্গল তৈরি হয় নি। মোটামুটি ৫ তলা বাসা দেখলে মনে হতো এত বাড় বাসা, এত উঁচু!!!! তখনই জনতা ব্যাংক টাওয়ার দেখলাম মতিঝিলে, হায়রে হায়, এইটা তো আসমান ছ্যান্দা করে ফেলবে। ঐ উপর থেকে যদি কেউ মুতে তাইলে কি ঐ মুত মাটিতে পড়বে? পড়তে কত সময় লাগবে, সে সময় বাতাসের গতি, নানাবিধ হিসেব মিলিয়েও মনে হয় না হিসেবটা ঠিক আছে। আশা ছিলো একদিন গিয়ে হাতে কলমে দেখবো। সেই আশার গুড়ে বালি ঢেলে উঠে গেলো সেনাকল্যান ভবন।
তবে পুরোনো ঢাকা ছিলো পুরোনো ঢাকার মতোই। দোতালা বড় জোর ৩ তলা বাসা, সামনে উঠান, ফাঁকা মাঠ- সরু রাস্তায় রিকশা আর টেম্পুর ভীড়। তবে জীবন যাপনে আনন্দ ছিলো।
পুরানা পল্টন, মালিবাগ চৌধুরি পাড়া, কালী মন্দির, ওয়ারী, সব জায়গায় তখন সবচেয়ে উঁচু ভবন বলতে সেই ৫ তলা।

সে বড় সুখের সময় ছিলো, সে বড় আনন্দের সময়। রিকশা চেপে সমস্ত শহরে যাওয়া যেতো, পরবিবেশবান্ধব না হলেও বেবিট্যাক্সি পাওয়া যেতো সহজেই। এমন কি ইউনিভার্সিটি থেকে মিরপুর পল্লবীতে যাওয়া যেতো ৩৫ টাকায়। তখন দোয়েল চত্তর থেকে মিরপুর ২এর রিকশা ভাড়া ২৫ টাকা। মোহাম্মদপুর থেকে নিউমার্কেট ১২ টাকা। এমন আনন্দের দিন বেশী দিন থাকলো না।
বন্ধুদের বাসায় যাওয়ার সময় যেসব মাইল ফলক ছিলো রাস্তায় সেসব মাইলফলক ভেঙে একে একে এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স উঠতে শুরু করলো। এই এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের পরে সেই এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স- মাঝে এটকা ফাঁকা জমি, এর পরের গলিতে-
নাহ এখন ৬ মাস কোনো বন্ধুর বাসা না গেলে পুনরায় যেতে ভয় করে। অন্তত শেষ বার যাওয়ার সময় যে দোকানটাকে চিহ্ন রেখে এসেছিলাম, হঠাৎ দেখি সেখানে আর কোনো দোকান নেই, হয়তো মুখ ভ্যাঙাচ্ছে কোনো এপার্টমেন্ট, কিংবা বুটিকের দোকান। আগ যে দোকানে বসে গরুর চাপ আর পরোটা খেলাম, পরে গিয়ে দেখি সেখানে বাংলা খাবার দোকান, কিংবা আবারও রেক্স কিংবা বুটিকের দোকান।

বাঙালী হঠাৎ করেই লক্ষ্য করেছে সম্ভবত তাদের লজ্জার সীমা নেই- এত দিন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ রাখা- নানাবিধ টালবাহানা, প্রকাশ্যে হত্যা করা খুনীকে নিশর্ত মুক্তিদান। কিংবা আমাদের রাষ্ট্রক্ষমতায় মৌলবাদী দলের আরোহন, যেকোনো কারণেই হতে পারে। আমাদের সবার লজ্জা বেড়েছে। আমরা শত শত হাত কাপড়ে সেই লজ্জা ঢাকছি। দলগত ভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার কারণে মহিলা জামাতিরা নিজেদের বোরখার আড়ালে রাখেন, কিংবা অন্য কারণটা হতে পারে হুজুরদের ঈমান টনটনে।
তবে যাই হোক না কেনো এই নতুন দোকান, নতুন মাকানের ভীড়ে আমি হারিয়ে ফেলি বন্ধুর বাসা, অবশেষে মুঠোফোনে বন্ধুকে ডাকি, হাত ধরে মোরে নিয়ে চলে সখা, আমিতো পথ চিনিনে চিনিনে চিনিনে।
তবে সবচেয়ে খারাপ লাগলো একদিন নিজের বাসার রাস্তাই হারিয়ে ফেল্লাম, অনেক দিন পরে ফিরলাম নিজের শহরে- অনেক রাতে ফিরছি, রিকশাওয়ালাকে বল্লাম যাও বামে- ঢুকবার পরে চারপাশের স্থানিক দিকচিহ্ন খুঁজি। নাহ এত টাকা কারো হয় নি, এই কয়েক বছর আগে যে এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সটা উঠলো সেটা ভেঙে নতুন , নাহ এইখানে তো এই গাছ থাকবার কথা না, নাহ এই রাস্তার শেষ বাসাটা আমার কিন্তু মোড় ঘুরতেই দেখা গেলো কানা গলি, শালার নিজের বাসার রাস্তা ভুল করে কেউ। ভাই আবার বের হয়ে একটু সামনে যাও।
এই বিড়ম্বনার সাথে যুক্ত হয়েছে বাসার চারপাশে বহুতল ভবন নির্মানের যন্ত্রনা, সকাল নেই বিকাল নেই ঢং ঢং ঢং ঢং, চলছে- বাসা ভাঙা হচ্ছে- ঘটাং ঘটাং ঘটাং ঘটাং ,ছাদ ঢালাই আর ভিত্তি নির্মান, ক্যাচ ক্যাঁচ ক্যাআআআআআঁঁঁচ
নাহ মোজাইক কাটছে যন্ত্রে, আমার ঘরে থাকা হলো দায়।

যেভাবেই হোক চারপাশের উঁচু দালান আমার রোদের খোরাক, আমার হাওয়ার খোরাক কমিয়ে দিচ্ছে, হয়তো আমার ঘরের মানুষেরা শীঘ্রই অসূর্য্যস্পর্শ্বা হয়ে যাবে। তারা পর্দানশীন এ কারণে না বরং রৌদ্র ঢুকতে পারছে না বলেই চামড়ায় রোদ লাগাতে পারবে না।

নতুন ভবন উঠছে, বস্তুত বাসা ভাঙার কাজ চলছে কদিন ধরে- অনেক মানুষ টিনের চালা করে বসবাস করছে- তার পাশেই ৮ তলা এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স, সেখানের বারান্দায় মেয়েরা আসে- কখনও ঘরের মেয়ে কখনও গেরোস্থালী শ্রমিক, আমাদের ঘর ভাঙানি শ্রমিকেরা ঘর বাঁধতে চায়, তাই উদ্দেশ্যমূলক তাকানো, উদ্দেশ্যমূলক হাসাহাসি, উদ্দেশ্যমূলক গান- এবং নতুন শুরু হয়েছে উদ্দেশ্যমূলক চিত্রাঙ্কন।

প্রেমিক মনের আঁকুতি বুঝাতে ছবিগুলো আঁকা হয়েছে, তবে দেখে আমার পিলে চমকে যায়। হঠাৎ মনে হয় শিশিরের বর্তমানের সুরারিয়েল ছবি চোখের সামনে চলে এসেছে, প্রেমিকার চোখের দিকে তাকিয়ে মনে হয় জি হরর শো দেখছি-
তার পাশেই মোবাইল নাম্বার লেখা, লেখা তোমার নাম নদি আমার নাম সাগর- তোমার জন্ন-
চিত্রকরকে দেখলাম, একটু বাঁকা হয়ে তাকিয়ে আছে কোনো অজানা বারান্দার দিকে। আমারও জানতে ইচ্ছা করে কার চেহারা এঁকেছে প্রেমিকপুরুষ।
আর কাজের সুবাদেই ২৫ শে মার্চ উপলক্ষে কিশোরকিশোরিদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় মনোনীত ছবিগুলো দেখলাম।
অনেক ধরণের ছবিতে মুক্তিযুদ্ধকে ধরবার চেষ্টা। রায়ের বাজার বধ্যভুমির ছবিটা দেখে মনে হলো ভয়ংকর ছবি এঁকেছে। এরপাশে গেরিলা যুদ্ধের ছবি, কেউ বন্ধুক হাতে ধানক্ষেতে শুয়ে আছে- পাকিস্তানী বেকুবেরা মাথা উচিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নিশানা হয়েছে- গুলিতে রক্ত ঝড়ছে তাদের শরীর বেয়ে, মা কোলে নিয়ে বসে আছে তার সন্তানকে, সন্তানের হাতে রাইফেল, ছেড়া স্যান্ডো গেঞ্জী পড়ে বুকে লাল রক্ত নিয়ে শুয়ে আছে-
আমাদের একাত্তরের চিহ্নগুলো কি এমন ছিলো? এটা কি আমাদের নির্মাণ? যুদ্ধক্ষেত্রে মায়ের কোলে রক্তাত্ব যুবকের রোমান্টিক ধারণাটা আমাদের নির্মাণ। নির্মাণে আমাদের ভালো লাগে এটা ভাবতে , আমাদের সন্তানেরা যখন স্বাধীন স্বদেশের জন্য লড়াই করেছে তখনও তাদের বুকের ভেতরে মা আর মাতৃভুমি ছবি ছিলো।

ছবি দেখি, স্যারেন্ডারের ছবিটাকে জ্যান্ত মনে হয়। যেই করুক না কেনো কাজটা চমৎকার হয়েছে- অবশেষে বিজয়ের ছবিগুলো দেখি,

উমম এটা কি? হলিউডে যদি কখনও কেউ মুক্তিযুদ্ধের ছবি বানায় তার শেষ দৃশ্য হবে এমন।
এক হাতে বন্দুক নিয়ে মাথায় রক্তাত্ব ব্যান্ডেজ বাধা মুক্তিযোদ্ধা অন্য হাতে বাংলাদেশের পতাকা ধরে আছে- তার গলায় ঝুলছে সুন্দরী এক রমনী। হতে পারে প্রেমিকা হতে পারে অন্য কেউ- তবে অন্তরঙ্গতার মাত্রা দেখে মনে হয় সম্পর্কটা নেহায়েত পারিবারিক না।

আমাদের বিজয় আসুক, আমাদের খেতে না পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কাধে ঝুলবার মতো সুন্দরী মেয়েরা আসুক।

আমি মুগ্ধ চোখে হলিউডাইজেশন ওফ ১৯৭১এর দিকে তাকিয়ে থাকি। আঁকতে শেখা কিংবা না শেখার প্রভেদ অনেক। এই হাজার টাকায় ছবি আঁকতে শেখা ছেলদের এই হলিউডাইজেশন অফ ১৯৭১ দেখে মনে হয় ওরা কেউই আসলে তেমন ভাবে সংলগ্ন না আমাদের সাথে।

কি আর হবে ভেবে আমার কি বাল।


মন্তব্য

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

শেষ বাক্যটায় মনে প্রচন্ড আঘাত পেলাম।
সত্য এভাবে উচ্চারণ করতে হয় না যে! দিন দিন ভোঁতা হওয়া অনুভূতিতে এমন করে আঁচড় কাটতে হয় নাকি!

স্বাধীনতা, পান্তাভাত! আহ! ফ্যান্টাস্টিক! ড্যুড!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- প্রথমত বলিঃ সেনাকল্যান ভবন থেকে নীচে মুততে না পারলেও ছাদের ওপর ঠিকই মুতেছি।

আর দ্বিতীয়তঃ যে জেনারেশন পনেরো দিনের প্যাকেজ প্রোগ্রামে আঁকা শিখছে তারা এখনকার ডিজুস জেনারেশন। কথা বার্তায় খিচুড়ি ভাষা যারা বলে তারা আঁকবেও ওরকমই খিচুড়ি, এতে আশ্চর্য হওয়ার কী আছে!

সমাধানঃ ১) সিকিউরিটির আরেকটু ধ্যান দেয়া দরকার কে, কী করলো- ঐদিকে।
২) এই জেনারেশনের বাপ-মাকে লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে একজনকে দিয়ে আরেকজনের কান ধরিয়ে তারপর ওঠবস করানো শেষ করে পরে থ্রী-স্টুজেস স্টাইলে টুংটাং ঠুয়া দেওয়া উচিৎ।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সুমন চৌধুরী এর ছবি

তাতেও সমস্যা নাই। অন্তত আমরা জিতছি এই কথা বাইচা থাকে।
কার লগে জিতছি এইটা সামনে আনা লাগবো। কে আনবো কেমনে আনবো জানিনা। কামে যাই.....মন খারাপ



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

রাসেল এর ছবি

এই কথাতেই ধন্দে পড়লাম, আমরা জিতছি, কেমনে জিতলাম কার লগে জিতলাম কতটুকু জিতলাম- এইটা একটা অমীমাংসিত প্রশ্ন, একটা কথা বলা যায় আমরা পাকিস্তানি সেনাবাহিনী হাটাইছিলাম লড়াই কইরা কিন্তু আমাদের নিজেদের ভেতর থেকে পাকিস্তানের ভুত হঠাইতে পারি নাই।
এইটাই নির্মম কৌতুক, আমাদের স্বাধীনতার পরেই আমাদের ভেতরে উগ্র ঐসলামিকতা বাড়ছে বেশী, অন্তত একটা সেকুল্যার রাজনৈতিক নেতৃত্ব থাকবার পরেও ক্যামনে ক্যামনে ক্ষমতা কেন্দ্রীভুত হইছিলো কট্টর ডানপন্থীগো ঘরে।

একটা বিষয় খেয়াল কইরা দেখবা পৃথিবীতে মানুষ ৩ ধাঁচের, এক ধাঁচ ধার্মিক তয় ভালো মানুষ, এক দল ধর্ম মানে না তয় কাউরেই গুতায় না, আর অন্য একটা দল যেইটার পরিমাণ মোটামুটি- এদের মাথায় কিছুই থাকে না- বরং এগোরে উলানোর লাইগ্যা একদল মানুষ থাকে যারা ধর্মভিত্তিক উস্কানি দেয় আর মানুষের ভেতরে ধর্মীয় বিচ্ছেদ বাড়ায়, এই ধর্মবোধের সুরসুরি যাগোর থাকে তাগোরটা ফুলায়া ফাপাইয়া অনেকগুন কইরা ফেলায়, যেমন ধরো বেঙ্গল হালাল মিট- খাইবো তো গরু কিন্তু বিদেশে হালাল উপায়ে গরু জবাই করে না- এইখানে মনে হয় গরুরে কোরান তেলাওয়াত কইরা জবাই করে- সেই বেহশতি গরু খাইতে হইবো, প্যাকেটে প্যাকেটে মাংস যাইতেছে, হালাল মিট-
এইটাযে ব্যবসা কইরা খাওনের জিনিষ- এইটা বাহির কইরা এইটারে নান রকম বিজ্ঞাপন দিয়া প্রচার কইরা মানুষের ভেতরের ধর্মটারে উস্কানি দিয়ে পয়সা কামানোটা ব্যবসায়িক কৌশল হইতে পারে- জানি না তুমি দেখছো কি না, গঙ্গা সাবান কইয়া একটা সাবানে বিজ্ঞাপন আছিলো গোবিন্দের করা- গঙ্গা জলে তৈরি সাবান- তখন বিজেপি ছিলো ক্ষমতায়-

-------------------------------------------------------
বাংলায় হাগি, মুতি, বাঁচি

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

তারেক এর ছবি

সত্যের নির্জলা পরিবেশন। আমার জেনারেশনেই নিজেরে আনফিট লাগে... এই ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে টিকা থাকার চেষ্টা চালাই যতদূর সম্ভব। তবু মাঝে মাঝে নিজের কাছেই হিপোক্রেসি ধরা পড়ে যায়... মুখ ঢাকার লজ্জা ও তো আমার নাই।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

দ্রোহী এর ছবি

এক হাতে বন্দুক নিয়ে মাথায় রক্তাত্ব ব্যান্ডেজ বাধা মুক্তিযোদ্ধা অন্য হাতে বাংলাদেশের পতাকা ধরে আছে- তার গলায় ঝুলছে সুন্দরী এক রমনী।

কি বিচিত্র এই দেশ!!!


কি মাঝি? ডরাইলা?

সুজন চৌধুরী এর ছবি

মজা পাইলাম পইড়া।
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বাড়বে নগরে বাড়ি কমবে আকাশ
যাদুঘরে ঠাঁই পাবে ঘুড়ির বাতাস...

শুনেছি বিদেশে নাকি রিভার ভিউ- লেকভিউর সাথে সাথে এখন স্কাইভিউ নামেও কিছু এ্যাপার্টমেন্টকে চিহ্নিত করা হয়
যেগুলো থেকে আকাশ দেখা যায়; সেগুলোর আবার ভাড়া তুলনামূলক বেশি

প্রথম যেদিন কথাটা শুনেছিলাম সেদিন অনেক্ষণ হেসেছিলাম
কিন্তু এই ঢাকার বস্তিতে আমি অন্তত তিনটা বাসায় থেকেছি যেখানে ঘড়ি না দেখে অনুমানই করা যেতো না সেটা দিন নাকি রাত...

০২

কি আর হবে ভেবে আমার কি বাল।

'একাত্তর = সেভেনটিওয়ান
মুক্তিযোদ্ধা= ফ্রিডম ফাইটার
বিজয় দিবস= ভিক্টরি ডে
স্বাধীনতা দিবস= ইনডিপেন্ডেন্স ডে
একুশে ফেব্রুয়ারি= লেঙ্গুয়েজ ডে'

এগুলো শোনেননি?
আর দেখেন না এই শব্দগুলোর ব্যবহার প্রতিদিন কী হারে বেড়ে যাচ্ছে
তাহলে হঠাৎ করে ক্ষেপে গেলেন কেন?
মুক্তিযোদ্ধাকে যে রাম্বো বানায়নি সেই তো আমাদের কপাল

সুজন চৌধুরী এর ছবি

আংকেল স্যামগো দরকার পড়লেই রাম্বো বানাইবো।
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......

অমিত আহমেদ এর ছবি

সুন্দর পোস্ট।

আসলে বাচ্চাদের ছবিতে একটু কল্পনার মিশেল তো থাকবেই। একজন শিশুর হিরো যদি হয় rambo আর সে যদি মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যেই সেই হিরোকে খুঁজে পায় তবে হতাশ হবার কি আছে। ভারতীয় চিত্রনায়ক কিংবা পাকিস্তানী ক্রিকেটারকে সে স্থানে না বসালেই হলো। তবে ওদের দৌড় সেই কল্পনা পর্যন্ত গিয়েই থেমে যাচ্ছে সেটাই সমস্যার কথা। ওদেরকে উপযুক্ত শিক্ষা আমরা দিতে পারছি না। কিভাবে দেবো সেটাও মাথায় ঢুকে না। বাবা-মা নিজেদেরকে নিয়ে ব্যস্ত, স্কুলে পড়ায় রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা, "আউট" বই পড়ার আগ্রহটাও সবার মরে গেছে। কেমনে কি হবে? তবে বাবা-মা চাইলে যে সব সম্ভব এটা আমি বিশ্বাস করি।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।