শিকড় (পর্ব ১)

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি
লিখেছেন রাতঃস্মরণীয় [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১১/০২/২০১১ - ২:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

roots

১৭৫০ খ্রীষ্টসালের বসন্তের শুরুর একটা দিন। গ্রামটা পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার উপকূল থেকে আরও চার দিনের উজানে, নাম জাফুরে। এমন একটা দিনে মা বিন্তা কিন্তে আর বাবা ওমোরোর ঘর আলো করে একটা শিশু ভূমিষ্ঠ হলো। ঠিক মায়ের মতোই কুচকুচে কালো, বলিষ্ঠ তরুনী মা বিন্তার জরায়ু থেকে তারই রক্তে মাখা শিশুটা ঠিক যেনো এক ঝটকায় পিছলে বেরিয়ে আসলো। গলার রগ ছেঁড়া চিৎকারে কেঁদে উঠে সে দুনিয়াকে জানান দিলো ওর আগমনবার্তা। দুই ধাই, নিও বোতো বুড়ি আর বাচ্চার দাদি ইয়াইসা উৎসুক চোখে যেইনা দেখলো যে ওটা একটা ছেলেশিশু, আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে দুজনেই হেসে উঠলো। পূর্বপুরুষদের বিশ্বাস মতে সংসারের প্রথম শিশু ছেলে হলে সে শুধু তার মা-বাবার জন্যেই না, গোটা পরিবারের জন্যে আল্লাহর অসীম করুনা বয়ে আনে এবং এই শিশুর কারণে কিন্তের নাম আভিজাত্যের সারিতে স্থান পাবে।

ভোরের প্রথম মোরগটা বাগ্‌ দেওয়ারও ঘন্টাখানেক আগে, নিও বোতোর সাথে দাদী ইয়াইসা গল্প করছিলো তখন, “বোম্প-আ-বোম্প-আ-বোম্প”, আস্পষ্ট কিন্তু ছন্দোবদ্ধ কাঠের মাড়াইকলের শব্দ শিশুটা প্রথম শুনতে পায়। গ্রামের নারীরা তখন সকালের নাস্তার জন্যে শস্যদানা গুঁড়ো করায় ব্যাস্ত, সকালের নাস্তা বানাতে হবে তাদের। তিন পাথরের উপর মাটির হাঁড়ি বসিয়ে রান্না হবে।

ধুলোময় গ্রামের গোল গোল মাটির ঘরগুলোর উপর দিয়ে শক্ত কিন্তু স্বস্তিদায়ক চিকন নীল ধোঁয়ার কুন্ডলিগুলো আস্তে আস্তে উপরের দিকে চলে যেতে থাকে। ভেসে আসে গ্রামের ইমাম কাজালি দিম্বার নাকি সুরে ফজরের নামাজের আজান। তাড়াহুড়ো করে বেত-কঞ্চির খাটিয়া থেকে নেমে গ্রামের পুরুষগুলো ওদের খসখসে কাপড়ের আলখেল্লা গায়ে চাপিয়ে ত্রস্তপায়ে নামাজঘরের দিকে যায়। আল্লাহু আকবার! আশহাদুআল্লাইলাহা ইল্লাল্লাহ .............., কাজালি দিম্বার পিছনে সারিবেঁধে সবাই প্রার্থনায় সামিল হয়। এরপরই ব্যাটাগুলো বাড়িতে ফেরে নাস্তা করার জন্যে। তখনই ওমোরো উদ্ভাসিত পুলকে ধেয়ে যায় ওই মুসল্লিদের দিকে, ওদের বলতে যে সে সদ্য পিতা হয়েছে, ছেলের বাপ। ওমোরোকে অভিনন্দন জানিয়ে সবাই সমস্বরে শুভকামনা প্রতিধ্বনিত করতে থাকলো।

প্রত্যেকটা ব্যাটাছেলে ঘরে ফিরে স্ত্রীর হাত থেকে একপাত্র খাবার নিলো। এরপর বউগুলো রান্নাঘরে ফিরে গিয়ে বাচ্চাগুলোকে খাইয়ে তারপর সবশেষে নিজেরা দু’টো খেলো। খাওয়া শেষে ছেলেগুলো নেংটি পরে নিড়ানিটা হাতে নিয়ে চললো ক্ষেতের দিকে, গ্রামের কামার কাঠের উপর লোহা পিটিয়ে বসিয়ে দিয়ে ফলা বানিয়ে দেয় ওদের নিড়ানির। ওরা যায় জমিকে তৈরি করতে, ব্যাটাছেলের ফসল বাদাম, ডাল আর তুলোর চাষে। এই গরম কিন্তু রসালো তৃনভূমির দেশ গাম্বিয়ায় ধানচাষ হচ্ছে কেবলই মেয়েলোকের কৃষিকাজ।

প্রাচীন প্রথা অনুসারে, পরের সাতদিন ধরে ওমোরো নবজাতকের জন্যে একটা নাম ঠিক করায় নিদারুন ব্যাস্ত সময় কাটালো। নামটা হতে হবে ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ এবং সম্ভাবনাময়। ওদের মানদিনকাস গোত্রে বিশ্বাস আছে যে যার নামে নবজাতকের নামকরণ হয়, নবজাতক সেই ব্যাক্তির বা জিনিসের সাতটা বৈশিষ্ঠ নিয়ে বেড়ে উঠতে থাকে।

নবজাতকের নাম চিন্তা করতে করতে ওমোরো এই সাতটা দিন ধরে তার এবং বিন্তার পক্ষ থেকে জাফুরে গ্রামের প্রতিটা ঘরে ঘরে ঘুরতে থাকে জন্মের ৮ম দিনে নবজাতকের নামকরণ অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ দিতে। ওই দিনেই নবজাতক তার দাদা এবং বাবার মতো গোত্রের সদস্যপদ লাভ করবে।

অষ্টম দিনে, সকাল থেকেই গ্রামবাসীরা জড় হতে শুরু করলো বিন্তা আর ওমোরোর কুঠিরের সামনে। উভয় পরিবারের মেয়েরা মাথায় করে পাত্রভর্তি টক দুধ আর চালের গুড়ো আর মধু দিয়ে তৈরি মিষ্টি মঙ্কো পিঠা নিয়ে আসলো। গ্রামের ঢুলি কারামো সিল্লা হাজির হলো তার ঢোল নিয়ে। হাজির হলো নবজাতকের আগামীদিনের সম্ভাব্য শিক্ষকদ্বয় ইমাম কাজালি দিম্বা এবং গোত্রপতি ব্রিমা সেসে। আরো আসলো ওমোরোর দুই সহোদর জান্না এবং সালৌম, ওরা ঢুলির মাধ্যমে ভাতিজা হওয়ার খবর পেয়ে অনেক দুর থেকে এসেছে।

প্রথানিয়মে বিন্তা শক্ত করে বাচ্চাকে ধরে রাখলো আর বাচ্চার মাথা কামিয়ে দেওয়া হলো। আর অন্য নারীরা বাচ্চার সুগঠিত অবয়ব দেখে উল্লাসে ফেটে পড়লো। এরপর ঢুলির ঢোলে বাড়ি পড়তেই সবাই শান্ত হয়ে বসলো। ইমাম সংক্ষিপ্ত প্রার্থনা সারতেই সবাই ডান হাত দিয়ে পাত্র থেকে টক দুধ আর পিঠা নিতে শুরু করলো। খাবার পর্ব শেষে ইমাম বাচ্চার দীর্ঘায়ু কামনা করে প্রার্থনা শুরু করলো। বললো বাচ্চা যেনো পরিবার, গোত্র এবং গ্রামের জন্যে গৌরব বয়ে আনে, এবং সর্বোপরী যে নাম সে ধারণ করতে যাচ্ছে সেই নামের মর্যাদা রক্ষার জন্যে যেনো সে শক্তি এবং উদ্দীপনা লাভ করে।

ওমোরো সারিবদ্ধ গ্রামবাসীর সামনে উপস্থিত হলো। স্ত্রীর কোল থেকে বাচ্চাকে তুলে নিলো সবার সামনে বাচ্চাকে তুলে দেখালো। তারপর বাচ্চার কানে কানে ফিসফিস করে তিনবার তার জন্যে নির্ধারিত নামটা উচ্চারণ করলো। এটাই প্রথমবারের মতো বাচ্চার নাম উচ্চারণ করে বলা। অমোরোদের বিশ্বাসমতে যার নাম, সর্বপ্রথম তার নিজেরই জানা উচিত, তারই প্রথম জানা উচিত যে সে কে।

ঢাকে আবার বাড়ি পড়লো। এবার ওমোরো বিন্তার কানে কানে বললো সন্তানের নাম এবং বিন্তা আনন্দ আর গর্বের সাথে হেসে উঠলো। এবার ওমোরো গ্রামবাসীদের সামনে দাড়ানো গোত্রপতীর কানে কানে শিশুর নাম উচ্চারণ করলো।

“অমোরো আর বিন্তার প্রথম সন্তানের নাম কুন্তা”, গগণবিদারী চিৎকারে গোত্রপতি ব্রিমা সেসে জানিয়ে দিলো সবার উদ্দেশ্যে।

যদিও সবাই জানতো এটা নবজাতকের মৃত দাদার মধ্যনাম। তিনি ছিলেন কাইরাবা কুন্তা কিন্তে, যিনি পিতৃভূতি মৌরিতানিয়া ছেড়ে গাম্বিয়ায় এসেছিলেন, জাফুরের মানুষকে খাদ্যসংকট থেকে উদ্ধার করেছিলেন, দাদি ইয়াইসাকে বিয়ে করে সংসার পেতেছিলেন, এবং সন্মানের সাথে জাফুরার সেবা করে গিয়েছিলেন আমৃত্যু। তিনি জাফুরার মানুষের কাছে ছিলেন গ্রামের পবিত্র মানুষ।

এরপর গোত্রপতি শিশুর মৌরিতানিয়ান পূর্বপুরুষদের নাম একে একে আবৃত্তি করতে লাগলো যার মধ্যে দাদা কাইরাবা কুন্তের নাম ঘুরেফিরেই উচ্চারিত হচ্ছিলো। গত দুই’শ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইতিহাসে এই নামটা অনেকেরই ছিলো যারা ছিলেন মহান। এরপর আবার ঢুলির ঢাকের বাড়ির সাথে সাথে উপস্থিত সবাই এমন একটা বৈশিষ্ঠমন্ডিত আত্মীয়তার প্রতি সন্মান দেখিয়ে এবং প্রশংসা জ্ঞ্যাপন করে হর্ষোৎফুল্ল হয়ে পড়লো। কাইরাবা কুন্তের এই সন্মান যেনো ওদের সবার।

খোলা আকাশের চাঁদ আর তারার নিচে দাঁড়িয়ে অমোরো সাথে শুধু আট দিনের বাচ্চা। ওমোরো বাচ্চার নামকরণের অনুষ্ঠানের সমাপনী করলো। শক্ত বাহুতে ছোট্ট কুন্তাকে ধরে গ্রামের সীমানা ধরে হাঁটতে লাগলো। ছোট্ট কুন্তার মুখটাকে উপরের দিতে তুলে দিগন্ত দেখিয়ে অস্ফুট স্বরে বললো, “ফেন্দ কিলিং দোরাং লেহ ওয়ারাতা কা ইতেহ তী”। শোন্‌ বাবা, পৃথিবীতে কেবলমাত্র একটা জিনিসই আছে যা তোর থেকে বড়।

পাদটীকা

  • ১. uewb_05_img0319

    (আজ আফ্রো-আমেরিকান লেখক এ্যালেক্সান্ডার মারে পালমার হ্যালী (১৯২১-১৯৯২), সংক্ষেপে এ্যালেক্স হ্যালির মৃত্যুদিন, ১৯৯২ সালের এদিনে, ১০ ফেব্রুয়ারী তিনি মহাপ্রস্থান করেন। তার দু’টো অমর গ্রস্থ রুটস এবং ম্যালকম এক্সের আত্মজীবনী। ছোটবেলায় সাদাকালো টিভিতে অত্যুৎসাহ নিয়ে দেখা সেই রুটস আজও মন থেকে সরে যায়নি। আমার কাছে মনে হয় যারা রুটস দেখেননি বা পড়েননি, তারা আফ্রো-আমেরিকান জীবনযাত্রার বিবর্তনের একটা বড় অংশ মিস করেছেন। দাস প্রথাকে এত কাছ থেকে অন্য কোনও লেখায় দেখিয়েছে কিনা জানিনা। এমনি দিনে একটু অভিলাসী চিন্তা মাথায় আসলো রুটস থেকে সামান্য কিছু অনুবাদ করার। অন্ততঃ যারা রুটস দেখেননি বা পড়েননি, তাদের আগ্রহের জায়গায় রুটসকে একটুখানি হাজির করতে এই দুঃসাধ্য প্রয়াস। আপনাদের ইতিবাচক সাড়া পেলে আস্তে আস্তে অন্য পর্বগুলোতেও হাত দেবো। ব্লগে অনুবাদের যদি কোনও কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয় থাকে, দয়াকরে যারা জানেন, আমাকে একটু জানাবেন। সেক্ষেত্রে থেমে যাবো।)


মন্তব্য

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

ভালো লেগেছে ভাই।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ মানিকদা।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

ওমোরো নাকি, আমোরো ?

বেশ লাগছে। চালিয়ে যান.....

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ঠিক ধরেছেন রাজা ভাই। সবগুলোকেই 'ওমোরো' করে দিতে হবে। আপনাকে ধন্যবাদ।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

পুরোটা অনুবাদ করবেন?
আপনার ধৈর্য্যকে অভিবাদন হাসি

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

একটা একটা চ্যাপ্টার ধরে চেষ্টা করতে থাকি, দেখি কতদুরে যেতে পারি। অনেক সময়ের ব্যাপার অবশ্য। তবে একটা সুবিধা হল যে রুটসের চাপ্টারগুলো খুবই ছোট ছোট আর ইংরেজিটা অনেক সাবলীল। আপনাকে ধন্যবাদ হাসান ভাই।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আপনাকে ও ধন্যবাদ। রুটস অনুবাদের ক্ষেত্রে আইনগত কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়, এটি বেশ আগের। আমি তো সমকালীন অরুন্ধতী রায়ই করে ফেলেছি। যা হবার হবে পরে, আগে তো অনুবাদ হোক হাসি

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

উৎসাহ এবং প্রেরণা পাচ্ছি হাসান ভাই। হাসি

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

একটু একটু কইরা ছাড়লে পাঠকের সমস্যা হইতে পারে। মানে ট্র্যাক রাখতে আরকি।
তারপরো ব্রাভো, কিপিটাপ ...


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

থ্যাংকু অনিন্দ্য ভাই। কিন্তু অনেক বড় কইরা ছাড়লেও বিপদ হইতে পারে, আই মিন পাঠকের ধৈর্যচ্যুতি। তা'ও দেখি .............. ।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

রাতঃস্মরণীয় ভাই,
বিশাল কাজে হাত দিয়েছেন। এতে অবিচল ধৈর্য্য ও অসীম সাহস দরকার। তবে ঐ যে বলে না, 'শুরু করেছ মানে অর্ধেক শেষ করেছ'। তাই আপনাকে আগাম অভিনন্দিত করি। সেই সাথে কামনা করি শুভ সমাপ্তির, মধুরেণ হোক সেটি।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ রোমেল ভাই, অনুপ্রেরণা পাই। ধৈর্য এবং সাহস দুটোই আমার আছে ভাই কিন্তু মাঝে মাঝে সময়ের সাথে পেরে উঠিনা। তবুও দেখি কতোটা পথ পেরোতে পারি।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

বইখাতা এর ছবি

চলুক চলুক কত সালে টিভিতে রুটস দেখাতো? অস্পষ্টভাবে মনে পড়ে। অনুবাদ চলতে থাকুক। পড়তে ভাল লাগছে।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ বইখাতা আপু। ৮০'র দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ধারাবাহিকভাবে দেখাতো। বেশ কতগুলো পর্ব ছিলো।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রাগিব এর ছবি

দেশটার নাম কিন্তু গাম্বিয়া।

জাম্বিয়াও আরেকটা দেশ বটে, কিন্তু সেটা আফ্রিকার মধ্য-দক্ষিণে অবস্থিত।

রুটস সম্পর্কে অভিযোগ রয়েছে, এটা আসলে গল্প/কাল্পনিক। বাস্তব নয়। আর এর বেশ কিছু অংশ আরেকটি উপন্যাস থেকে সজ্ঞাত কিংবা অজ্ঞাতসারে নেয়া হয়েছে।

বিটিভিতে আশির দশকে রুটস দেখাতো মনে হয়। ৬/৭ পর্বের মিনিসিরিজ।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

তাসনীম এর ছবি

চলুক

চলুক অনুবাদ।

টিভি সিরিজটা দেখতাম নিয়মিত। অনেক দৃশ্য মনে দাগ কেটে আছে। তবে রুটসের সম্পর্কে অভিযোগ জানা ছিল না। গুগল করে একটু তুলে দিলাম। এই লিঙ্ক থেকে

Not all the attention accorded Roots was positive, however. In 1977 two published authors, Margaret Walker and Harold Courlander, alleged separately that Haley plagiarized their work in Roots. Charges brought by Walker were later dropped, but Haley admitted that he unknowingly lifted three paragraphs from Courlander's The African (1968). A settlement was reached whereby Haley paid Courlander $500,000. The same year other accusations arose, alleging that Haley had altered data to fit his objectives, fabricating ancestors and changing timelines or geographic details to make the story into the one he wanted to tell. These charges were never proven or resolved, but Haley's supporters maintain that the author never claimed Roots was a factual document, calling it instead a work of “faction,” fiction based on the facts of his ancestry, as he discovered them. Despite these controversies, the public image of Roots doesn't seem to have suffered. It is still widely read in schools, and many college and university history and literature programs consider it an essential part of their curriculum.

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

দৃশ্যগুলো আসলেই মনে দাগ কাটার মতো ছিলো। নিজের অজান্তে কতবার শিউরে উঠেছি, আজও মনে পড়ে। ধন্যবাদ তাসনীম ভাই।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ রাগিব ভাই। ধরিয়ে না দিলে ভূলটা থেকেই যেতো। অসাবধানে জাম্বিয়া লিখে ফেলেছি। অনেকদিন আগে একবার লুসাকায় ঘন্টা দুয়েকের জন্যে হাটাহাটি করেছিলাম। তবে গাম্বিয়া সম্পর্কে কিছু পড়াশুনা করতে হবে। আমি গাম্বিয়ার ফিমেল সেক্স ট্যুরিজম ছাড়া তেমন কিছুই জানিনা।

রুটস সম্পর্কে অভিযোগের বিষয়ে আমি একবারেই অজ্ঞ। তাসনীম ভাইয়ের কমেন্টে তথ্য দেখছি। আর বাস্তবতা তো সেই সময়ের অন্য লেখকেরাই সবথেকে ভালো বলতে পারবেন। ব্যাক্তিগতভাবে আমার কিন্তু ছবি এবং লেখা দুটোই ভালো লেগেছে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

বহুলশ্রুত 'রুটস্‌' আমার দেখা হয়নি। তাই আপনার অনুবাদ পড়বার আগ্রহে রইলাম।

পুরোটাই কি অনুবাদ করবেন ?? অনুবাদকৃত অংশটি যদি একটা অধ্যায় হয়, তবে এরকম মোট কতটি অধ্যায় রয়েছে ??

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ সুহান ভাই। পুরোটাই করার ইচ্ছে থেকে শুরু করলাম যদি আপনাদের ভালো লাগে। অনুবাদকৃত অংশটা খুবই ছোট একটা অধ্যায়। গোটা বইটাতে ১২০টা অধ্যায় রয়েছে। হয়তো এমন হতে পারে যে ২-৩ টা অধ্যায় একসাথে পোষ্ট করা যায়। তবে ওটাও দেখতে হবে যে প্রতিটা পোষ্ট আবার আকারে খুব বড়ো না হয়ে যায়।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

সেটাই। অনূর্ধ্ব পঞ্চাশ কি চল্লিশ পোস্ট হলে একত্রিত করে প্রিন্ট নিয়ে একটা বই হিসেবেই পড়তে পারবো হয়তো।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

এটা বেশ আইডিয়া বলেছেন সুহান ভাই। কিন্তু আমার সবথেকে বড় সমস্যটা হচ্ছে সময় বের করা। কাজের প্রচন্ড চাপের মধ্যে থাকি আর কাজ শেষে লিখতে ইচ্ছে করে না। তবুও দেখি, হাত যখন দিয়েছি।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লেগেছে ভাই।
---------------------------------------
Sad Stories

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। কিন্তু নাম কই? ঠিকাছে আপনি যদি আরিফিন মনসুর না হন তবে আপাততঃ আপনাকে দুঃখী ভাই বা দুঃখী আপা বলি। ভালো থাকবেন।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।