বিষ্ণুপদের বিড়াল

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৭/০৬/২০১২ - ৮:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিজ্ঞানী বিষ্ণুপদ বাঁড়ুজ্জের সাথে পরিচয় আমার বিশ বছর আগে। ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে। আমি তখন ছাত্র। তিনি কেবল জয়েন করেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিম্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন 'বিগব্যাং ও মহাবিশ্বের' প্রসারণ বিষয়ক এক সেমিনারে বক্তব্য দিতে। সেমিনারের আয়োজক আমরা, অর্থাৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ। তাঁর বক্তব্য আমার মনে এতোটাই দাগ কাটল, সেমিনার শেষে তাঁর সাথে একান্ত আলাপ করলাম। তিনিও আমাকে পছন্দ করলেন মনে হলো। নিজের ঠিকানা আর বাসার টেলিফোন নম্বর দিলেন।
এরপর থেকে তার সাথে আমার নিয়মিত যোগাযোগ। কখন কী করছি। তিনি কী করছেন, কোথাও কোনো বিষয়ে হয়তো আটকে গেছি- তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে আলাপ চলত। মাঝে মাঝে ঢাকায় বা অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈজ্ঞানিক সেমিনারে আমার যেমন ডাক পড়ে, তিনিও আসেন অতিথি হয়ে। এভাবেই তার সাথে আমার দৃঢ় একটা বন্ধন তৈরি হয়।
আজ যখন বিষ্ণুপদ বাবুর ফোন পেলাম, তখন আর আগের মতো হতে উচ্ছ্বসিত পারলাম না। খারাপ কিছু ঘটার আশঙ্কায় তটস্থ মন। কারণ কলটা রিসিভ করে ওপাশে তার স্বভাববিরুদ্ধ ভীত কণ্ঠস্বর শুনলাম, 'জামিল আমি বড্ড বিপদে পড়েছি ভাই। তুমি যদি কাল একবার আসতে পারো তো আমার খুবই উপকার হয়। তুমি জানোই তো সারা জীবন বিজ্ঞানের পেছনে কম পরিশ্রম করিনি। এতোদিন হয়তো সাফল্য ধরা দেয়নি। তবে আমার বিশ্বাস ছিল একদিন সফল হবই। সত্যি বলতে, গত সপ্তাহে আমি চূড়ান্ত সফলতার মুখও দেখেছি। এই ক’দিন আরেকবার পর্যবেক্ষণ করে সেগুলো গুছিয়ে এনেছি প্রায়। কিন্তু কোনো এক কুচক্রি মহল আমার পেছন লেগেছে। সারাজীবনের আবিষ্কার হাতিয়ে নিতে চায়। এখন প্রাণ বাঁচনোই দায় হয়ে গেছে। জামিল, বয়স আমার সত্তর পেরিয়ে গেছে। আরও বহুবছর বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখি না। তুমি যদি একবার আসতে, আবিষ্কারগুলো তোমার হাতে তুলে দিতে পারলে আমার মরতেও আপত্তি ছিল না।'
এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে গেলেন কিষ্ণুপদ বাবু। তারপর আমি কথা বলার সুযোগ পেলাম, 'কী করতে চান এগুলো?'
'অপাত্রে পড়লে আবিষ্কারের বারোটা বেজে যাবে,' আতঙ্কিত গলায় বললেন বিষ্ণুবাবু। 'কাউকে বিশ্বাস করতে পারছি না। কোনো জার্নালে পাঠাব সে ভরসাও করতে পারছি না। পৌঁছানোর সাথে সাথে ওটা সাথে গায়েব হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছি। আবার তোমাকে ই-মেইল করব সে উপায়ও নেই। কালাপ্রিটরা আমার ওয়েবসাইট, ই-মেইল- সব হ্যাক করেছে। নতুন কোনো একাউন্ট খোলার সাথে হ্যাকিং হয়ে যাচ্ছে। তাই ভাবছি ...'
বিড়ালের মিঁউমিঁউ ডাক কানে এলে মোবাইলের ও প্রান্ত থেকে। আমার সাথে কথা বলতে বলতেই বিষ্ণবাবু বিড়ালকে বললেব, 'পিকু থাম, টেবিলের ফাইলগুলো ওলট-পালট হয়ে যাবে তো!'
পিকু নামের বিড়ালটা শান্ত হলো বোধহয়। কারণ বাঁড়ুজ্জে মশায় আবার আমার দিকে মনোনিবেশ করলেন। 'হ্যাঁ যা বলছিলাম, ভাবছি আবিষ্কারগুলো তোমার হাতেই তুলে দিই। কী বলো?'
'আপনার আবিষ্কার গ্রহণ করতে আমার আপত্তি নেই।' বললাম আমি। 'কিন্তু আপনি নিজের নিরাপত্তা নিয়ে এতো উদ্বিগ্ন কেন? ধরেই নিয়েছেন আপনি মরতে চলেছেন। একবার পুলিশ-কিংবা র‌ইয়াবের সাথে যোগাযোগ করতে পারতেন।'
'র‌্যাব-পুলিশ! ওরা দেবে আমার নিরাপত্তা! ছোঃ!' ক্ষোভ ঝরে পড়ল তাঁর কণ্ঠ থেকে। 'ওদের দিয়ে কিচ্ছু হবে না। তুমি কালই চলো এসো ভাই। আবিষ্কারগুলোর একটা হিল্লে হোক।'
'অবশ্যই আসব।' আশ্বাস দিলাম তাঁকে।
'আমার জীবন সংকটাপন্ন, কখন কী হয়ে যায় বলা যায় না। তাই আগেই বলে রাখি সব আবিষ্কার আমি একটামাত্র ফাইলে বন্দি করে ফেলেছি। ফাইলটা এই মুহূর্তে আমার ঠাকুর্দার আমলের পুরনো কাঁঠাল কাঠের টেবিলটার ওপরে রাখা আছে... মিঁউ মিঁউ।'
বিষ্ণুপদ বাবু বাক্যটা শেষ করতে পারেন নি। আবারো ডেকে উঠল বিড়ালটা। সাথে সাথে 'ফটাশ' করে একটা কান ফাটানো শব্দা হলো। তাতে কেঁপে উঠল আমার বুকটা। এই শব্দ আমি চিনি- রিবলভারের। তবে কি বিষ্ণুবাবুকে... না আর ভাবতে পারছি না।
ঘড়িতে চোখ রেখে দেখি বিকাল তিনটা। এখনি বেরোতে হবে। বাসে বা ট্রেনে গেলে জাফলং পৌঁছাতে পৌঁছাতে ছত্রিশ ঘন্টা পেরিয়ে যাবে। হিসাব করে দেখলাম দর্শনা থেকে বাসে যশোর পৌঁছতে সময় লাগবে দেড় ঘন্টা। ঢাকার লাস্ট ফ্লাইট সন্ধে সাতটায়। আমার গোছানো এবং দর্শনায় পৌঁছতে যদি আধাঘন্টা লাগে তবু ছ'টার মধ্যে পৌঁছে যাব যশোর। বাংলাদেশ বিমানের যশোর অফিসে ফোন করে ভাগ্যক্রমে একটা টিকিটও বুকিং দিতে পারলাম।
ঢাকায় পৌঁছলাম সাতটা পঁয়তাল্লিশে। ঢাকা বিমাবন্দর থেকে সিলেটের শেষ ফ্লাইট ন'টায়। কিন্তু টিকিট মিলল না। অগত্যা বাস সার্ভিসেই ভরসা করতে হলো।

দুই
পাহাড়ের চূড়ার ওপর যখন সূর্য মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শুরু করেছে আমি ততক্ষণে পৌঁছে গেছি সিলেটে। একটুও দেরি না করে একটা ট্যাক্সি ভাড়া করে সোজা জাফলং। পিনাই নদীর পাথরঘাট। বড় বড় ড্রেজিং মেশিন আর পাম্পের সাহায্যে পাথর সংগ্রহ করছে ঠিকাদাররা। কিছু গরীব পাথর ব্যবসায়ীদের দেখলাম ছোট্ট নৌকায় করে অদ্ভুত উপায়ে পাথর সংগ্রহ করছে। একটা বালতিতে দড়ি বেঁধে সেটা খেপলা জালের মতো ছুঁড়ে মারছে নদীর পানিতে। তারপর টুকরো টুকরো পাথর বোঝাই বালতি তুলে আনছে নৌকায়। এভাবে নৌকায় পাথর ভরে সীমান্তে কর্তব্যরত বিডিআরের জওয়ানদের হাতে টাকা গুঁজে নৌকা নিয়ে চলে যাচ্ছে তারা। আসছে এমন আরেকটা নৌকা।
যাইহোক, আমি একটা ট্রলারে উঠে পার হলাম পিনাই নদী। ওপারে বালুচর পেরিয়ে খাড়া উঠে গেলাম খাসিয়া পুঞ্জিতে। চারপাশে পান আর কমলার বাগান। এক পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নদী। ওপারে আসামের আকাশ ছোঁয়া পাহাড়গুলো কালো মেঘের মতো আড়াল করে রেখেছে পুবের আকাশ।
এক ঘন্টা হাঁটার পর মিলল বিষ্ণুপদ বাঁড়ুজ্জের বাড়ি। একেবারে নির্জন টীলার উপত্যাকায় ছোট্ট ছিমছাম বাড়িটা। আধা কিলোমিটারের মধ্যে কোনো জনবসতি নেই। আকাশমনি আর নানারকম গাছে ভরা পাহাড়ি জঙ্গল। লোকবসতি না থাকায় একেবারে সুনসান বিষ্ণুবাবুর বাড়িটা। শুধু দু-চারজন পুলিশ আছে ডিউটিতে। আমাকে ঢুকতে দেখেই এগিয়ে এলো একজন, 'আরে জামিল ভাই, আপনি!'
আমিও অবাক হলাম। পুলিশ কর্তাটি আমাদের এলাকারই ছেলে। সাইদ মামুন।
'অবাক হচ্ছেন?' আমি এখন গোয়াইন ঘাট থানার সাব ইনস্পেক্টর। তা আপনি কী মনে করে?'
'গতরাতে বিষ্ণুবাবু আমাকে ফোন দিয়েছিলেন,' জবাবে বললাম আমি। 'কারা যেন তাঁর গুরুত্বপূর্ণ কিছু আবিষ্কার হাতিয়ে নিতে চায়। ফোনে কথা বলতে বলতেই গুলির শব্দ পেলাম...। সকালে সিলেটে এসে শুনি তিনি নিহত হয়েছেন। তা লাশ কোথায়?'
'ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছি।' বলল সাঈদ মামুন। 'রাতে তাহলে আপনার সাথেই লাস্ট কথা বলেছিলেন। ফোনটা বন্ধ দেখে ভাবছিলাম অপারেটরের সাহায্য নিয়ে মালিকের ঠিকানা জোগাড় করব। ভালোই হলো আপনি এসে পড়েছেন। কিন্তু কিছু মনে করবেন না, আপনাকে একটা জবানবন্দী দিতে হবে।'
'জবানবন্দীতে আমার আপত্তি নেই। তা ঘরে কিছু পেলে? এই ফাইল টাইল আর কি।' 'নাহ! কিছুই নেই। খুনি সব নিয়ে ভেগেছে। থাকার মধ্যে আছে শুধু নিত্য ব্যবহার্য কিছু জিনিসপত্র। কছ এক বোঝা ফাইল পত্র পেয়েছি। '
'আমি কি একাবর ঘরটা দেখতে পারি?'
'নিশ্চয়! যান, দেখুনগে।'
ঘরে ঢুকলাম। এককোণে একটা পুরোনোকেলে টেবিল পড়ে আছে। ধূলোর আস্তরে ঢাকা। মাঝে কিছুটা জায়গা পরিষ্কার। তারমানে এখানেই ছিল ফাইলটা। কিন্তু কেন জানি মনে হলো, বিষ্ণুপদ বাবু এতো গুরুত্বপূর্ণ ফাইল এতো সদরে রাখার মতো বোকা নন। ফাইল কাগজেরই হতে হবে তা কে বলেছে? সিডি বা অন্যকিছুও হতে পারে। ঘুরোফিরে উপর নিচ, ড্রয়ারসহ গোটা টেবিলটা তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম। কোথাও কিছু নেই। টেবিলটার নিচে ঢুকে তাকালাম ওপর দিকে। দু'পাশ থেকে দুটো কাঠের পাটাতন জুড়ে টেবিলটা তৈরি। পাটাতনের দুটোর মাঝখানে আঠা দিয়ে জোড়া লাগানো। এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। আমাদের সব আসবাবেই এমন থাকে। কিন্তু জোড়ার একটা জায়গা দেখে আমার খটকা লাগল। ইঞ্চিখানে জায়গা। কেমন যেন নতুন নতুন ভাব। খুঁজেপেতে একটা দাঁত খোঁচড়ানো ধাতব কাঠি পেলাম সেই ঘরে। নতুনমতো জায়গাটার আঠা কাঠি দিয়ে খোঁচাতেই খানিকটা সরে গেল। দৃশমান হলো কালো রঙের একটা বস্তু। উত্তেজনা ভর করেছে আমার দেহমনে। দ্রুত বেশ খানিকটা আঠা সরিয়ে ফেলতেই চারকোনা একটা প্লাস্টিকের চিপ মেঝের ওপর পড়ল। হাতে তুলে নিলাম চিপটা। মোবাইল ফোনের মাইক্রোএসডি মেমোরি কার্ড। উত্তেজনা চরমে পৌঁছালো।
কার্ডটা পকেটে ঢুকিয়ে বেরোতে যাব এমন সময় খাটের নিচ থেকে মিঁউমিঁউ শব্দ ভেসে এলো। উঁকি মেরে দেখি বিষ্ণুবাবুর বিড়লটা গুটিসুটি মেরে এককোণে অসহায়ের মতো বসে আছে। একটু প্রশয়ের ভঙ্গিতে ডাকতেই বেরিয়ে এলো।
সদ্য মানিবহারা বিড়ালটার ওপর মায়া হলো। ওকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে এলাম ঘর থেকে। ইনস্পেক্টর সাইদ মামুনকে দেখলাম না আশেপাশে। এক কনস্টবলকে জিজ্ঞেস করতেই বলল, 'মেজবাবু তো থানায় চলে গেছেন। আপনি বসুন এখুনি গাড়ি এসে আপনাকে নিয়ে যাবে।'

থানায় ঢুকতেই সাঈদ মামুন বলে উঠল, 'আসুন আসুন জামিল ভাই, কিছু পেলেন?'
'না...' কথা শুরুই করতে পারলাম না। বিড়ালটা অস্থির হয়ে উঠেছে। গরগর করে ফুলছে। মাথায় হাত বুলিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করলাম। কাজ হলো না। ফিরে এলাম আগের কথায়। মেমোরি কার্ডের কথা চেপে গিয়ে বললাম, 'এই বিড়ালটা ছাড়া তেমন কিছুই পাইনি। একে আমি নিয়ে যেতে চাই। তোমার আপত্তি নেই তো।'
'না-না আপত্তি কীসের? আপনি নিয়ে গেলে বেচারার বরং একটা হিল্লে হয়।'
'ধন্যবাদ। তোমরা যে ফাইলটা পেয়েছ, ওটাতে কী আছে বুঝতে পেরেছ?'

'ওসব বিজ্ঞানের বড় বড় কারবার কী আমরা বুঝি! তদন্ত শেষে ওটা পরীক্ষা করার জন্য আপনার ডাক পড়তে পারে।'
'সমস্যা নেই। আমাজে এফজলেই পাবে। এখন বলো, জবানবন্দী হিসাবে কী জানতে চাও?'

তিন
মেমোরি কার্ডটা কম্পিউটারে লাগিয়ে অনেক কিছুই পেলাম। তবে সেসব পুরোনো। যতদূর জানি সম্প্রতি বিষ্ণুবাবু এন্টি কোলেস্টোরল ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করেছেন। আগে থেকে এই-ভ্যাক্সিন নিলে কেউ হার্ট অ্যাটাকে মরবে না। ক্যান্সারের কার্যকরী একটা চিকিৎসা পদ্ধতির আবিষ্কারও তিনি প্রায় গুছিয়ে এনেছিলেন। চলছিল এইচআইভি প্রতিষেধক আবিষ্কারেরও কাজ। তাহলে সেসব গেল কোথায়? পুলিশের হাতে যে ফাইলগুলো পড়েছে তাতে নেই তো? এত কাঁচা কাজ বিষ্ণুবাবু করবেন বলে আমার বিশ্বাস হয় না। তবে কী আততায়ী নিয়ে গেল? সেটার সম্ভাবনাই বেশি। তাহলে আমার আর করার কিছুই নেই। বাংলাদের পুলিশ যে আততীয়কে খুঁজে বের করবে, এতটুকু আস্থা তারা অর্জন করতে পারেনি। অতএব বিষ্ণুপদের ফাইলের কথা ভুলে নিজের কাজে মন দিলাম। বিষ্ণুপদের স্মৃতি হয়ে রইল শুধু তার পিকু নামের বিড়ালটা।

চার
এক বছর পেরিয়ে গেছে। ভুলেই গিয়েছিলাম বিষ্ণুবাবুর ফাইলের কথা। ব্যস্ত ছিলাম আমার নতুন আবিষ্কার নিয়ে। পাঁচমাসের খাটুনির পর দাঁড়িয়ে গেছে আমার নতুন যন্ত্রটা। যন্ত্রটার নাম দিয়েছি দিব্যদৃষ্টি। এ ধরনের নাম কেন সেকথায় পরে আসছি। তার আগে বলে নিই ভীম আর পিকুর কথা। সাধারণত আমাদের দেশের কুকুর-বিড়ালের সম্পর্ক অনেকটা সাপ-বেজির মতো। কিন্তু এ দুটিতে বেশ ভাব হয়ে গেছে।
দিব্যদৃষ্টি যন্ত্রটা অনেকটা কম্পিউটারের হেডফোনের মতো। যন্ত্রটা মাথায় লাগিয়ে পরীক্ষা দেখলাম। চমৎকার কাজ করছে। আরো ভালো করে যাচাই করার জন্য ডাকলাম জগমোহনকে। জগমোহন ল্যাবরেটরিতে ঢুকে বলল, 'কিছু বলবেন সাহেব?'
'আচ্ছা জগমোহন,' বললাম আমি। 'তোমার মা-বাবার কথা মনে পড়ে?'
'খুব পড়ে! পড়বে না কেন?'
'তোমার মা-বাবাকে দেখতে চাও?'
'কী বলছেন সাহেব? আমার মা-বাবা তো সগগে গেছেন কোনকালে!'
'আহাঃ দেখই না!' বলে দিব্যদৃষ্টি ওর মাথায় লাগিয়ে কম্পিউটারের সাথে প্লাগইন করে দিলাম। কম্পিউটারের পর্দায় ওর মা-বাবার ভিডিও ফুটেজ দেখে হাউমাউ করে কেঁদে উঠল। এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে জানলে ওর মাথায় দিব্যদৃষ্টি পারতাম না।
কোনোরকম পরিস্থিতি সামাল দিয়ে থিতু হয়ে বসেছি, তখনই পিকুর মিঁউ মিঁউ ডাক কানে এলো। একটা মজার বুদ্ধি উদয় হলো মস্তিষ্কে। ওকে দিয়ে দিব্যদৃষ্টি পরীক্ষা করালে কেমন হয়? তখনই বিদ্যুৎচমকের মতো মনে পড়ে গেল বিড়ালটার কথা কেন আগে মনে পড়ল না। বিষ্ণুপদ বাঁড়ুজ্জে যখন খুন হন, তখন বিড়ালটা তার পাশেই ছিল। ফোনে একবার ওর মিঁউ মিঁউ ডাকও শুনেছিলেন। তাহলে কী দাঁড়াচ্ছে? আমি বিষ্ণুবাবুর ফাইলটা কি পেয়ে গেলাম? অন্তত তাই মনে হচ্ছে। বিষ্ণুবাবু যখন খুন হন তিনি টেবিলের সাথে যে চেয়ারটা ছিল সেটাইতে বসেই আমার সাথে কথা বলেছিলেন। বিড়ালটাও তখন টেবিলের ওপর বসে ছিল। তিনি একটা কথা মনে রাখেতে বলেছিলেন- ফাইলটা তার টেবিলেই রয়েছে। টেবিলে একটা ফাইল ছিল ঠিক, সেই এখন পুলিশের জিম্মায় আছে। সেটাতে বিষ্ণুবাবুর নতুন ফমূর্লা থাকবে না বলেই আমার বিশ্বাস। বাকি যেটা, সেই মেমোরি কার্ডেও নেই। তাই আমি ফমূর্লার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু আরেকটা সম্ভাবনার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। জীবন্ত ফাইলের কথা। অথচ এই বিষয়টা নিয়ে আমি যেমন গবেষণা করছিলাম করছিলেন বিষ্ণুবাবুও। আমার অনুমান যে ঠিক তার প্রমাণ পেলাম দিব্যদৃষ্টি ব্যবহার করে।

পাঁচ
ঢাকার পুলিশ হেডকোয়ার্টারের হলরুমে বসে আছি। শুধু আমি নই, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ শ'খানেক পুলিশ সদস্যও আছেন। আছেন পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল। সাইদ মামুনও আছে। কিন্তু ও জানে না কেন ওকে ডাকা হয়েছে।
একটা বিশাল স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যোগাড় করা হয়েছে একটা প্রজেক্টর আর ডিভিডি প্লেয়ার।
সব আয়োজন শেষ হলে আমি ডিভিডি প্লেয়ার চালিয়ে দিলাম। বিশাল পর্দাটা আলোকিত হয়ে উঠল। তারপর শুরু হলো সিনেমা। সিনেমাই বললাম- ইচ্ছে করে। অভিনেতা বিষ্ণুপদ বাবু। চেয়ারে বসে ফোনে কথা বলছেন। কার সাথে তা মনে হয় ব্যাখা করার প্রয়োজন নেই। তার কণ্ঠস্বর শোনা গেল, 'হ্যাঁলো জামিল কেমন আছো... মনে রেখো ফাইলটা এই টেবিলেই আছে... মিঁউ মিউঁ... ফটাশ।'
টেবিলের সবটুকু অংশ দেখা যাচ্ছে না। ক্যামেরার পেছনে চোখ ঘুরে গেছে দরজার দিকে। পর্দায় ভেসে উঠেছে দেয়ালে দাঁড়ানো আততায়ীর ছবি। আততায়ীর ছবিটাও স্পষ্ট হলো। বেশ ভালোভাবেই তাকে চেনা যাচ্ছে। এসআই সাইদ মামুন! আততায়ী ক্রমশ এগিয়ে আসছে টেবিলের দিকে। হাতে দস্তানা পরা সাইদ মামুন নিজেকে আড়াল করার চেষ্টাই করেনি।
আরো এগিয়ে আসতেই নড়েচড়ে উঠল পর্দার ছবি। ছবি তোলার সময় ক্যামেরা নড়ে গেলে যেমন ছবি হয় আর কি। ছবি দুলতে দুলতে স্থির হলো এক সময়। ততক্ষণ আততায়ী আর বিষ্ণুপদের ছবি অনেক দূরে সরে গেছে। আততায়ীকে আর সামনে থেকে দেখা যাচ্ছে না। পেছন দিকটা দেখাচ্ছে। সাঈদ মামুন বিষ্ণুবাবুর নিথর মাথাটা নেড়েচেড়ে নিশ্চিত হলো ধড়ে প্রাণ আছে কিনা। তারপর টেবিল থেকে ফাইলটা নিয়ে হ্যান্ডব্যাগে ভরে দ্রুত বেরিয়ে গেল দরজা দিয়ে। ক্যামেরার চোখও সেই সাথে ঘুরেছে তাকে লক্ষ্য করে। তারপর সে এক সময় পর্দার আড়ালে চলে গেল।
তারপর আবার সেই মিঁউ মিঁউ ডাক। তবে আরো করুণ স্বরে। আবার কেঁপে উঠল পর্দার ছবি। তারপর ক্লোজ হতে শুরু করল বিষ্ণুবাবুর মৃত অবয়বটা এক সময় এতো কাছে চলে এলো যে মুখটা আর মুখ বলে মনে হচ্ছে না। ঘষা কাচের মতো ঘোলা হয়ে গেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে একজন পুলিশ গিয়ে হাতকড়া লাগিয়ে দিল সাইদ মামুনের হাতে। ইন্সপেক্টর জেনারেল বলে উঠলেন, 'ব্যাপারটা কী বলুন। তবে কি বিষ্ণুবাবুর ঘরের সব সিসি ক্যামেরা নষ্ট হয়নি, একটা গোপন ক্যামেরা চালু ছিল?'
আমি বললাম, 'অত কাঁচা কাজের লোক সাইদ মামুন নয়। সে পাকা ব্যবস্থা করেই বিষ্ণুবাবুকে মারতে গিয়েছিল। তাছাড়া সিসি ক্যামেরা হলে ছবি এলোমেলোভাবে নড়ত না। নড়লে একটা নিদিষ্ট দিকে বারবার নড়ত না। এভাবে কেঁপে কেঁপে উঠত না।'
'তাহলে?' স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জিজ্ঞাসু দৃষ্টি।
পায়ের কাছে পিকু বসে ছিল। ওকে কোলে তুলে নিয়ে বললাম, 'এই আমাদের চলন্ত ক্যামেরা।'
'চোখ কপালে উঠে গেছে সবার। আইজি মশাই আমতা আমতা করে বললেন, 'মা... মা... মানে কী ভাবে সম্ভব?'
'খুব সম্ভব।' জবাবে বললাম আমি। 'মানুষের চোখের ওপর ভিত্তি করেই আধুনিক ক্যামেরা তৈরি। তাই বলা যায় প্রত্যেকটা চোখ চোখ এক একটা শক্তিশালী ক্যামেরা। চোখের পেছন যে মগজ থাকে তার তথ্য ধারণ ক্ষমতা হাজার হাজার কম্পিউটারের চেয়েও বেশি। বিড়ালের মস্তিষ্ক মানুষের সমান হলেও তার ধারণ ক্ষমতা একেবারে কম নয়। তবে বিড়ালের ক্যামেরা অর্থাৎ চোখের দৃষ্টিশক্তি মানুষের চেয়ে বেশি। যে ছবি আপনারা এতক্ষণ দেখলেন আধুনিক কোনো ক্যামেরার ছবিই এত স্পষ্ট আর ঝকঝকে হবে না।'
'কিন্তু আমরা ব্যাপারটা কিন্তু এখনো বুঝে উঠতে পারিনি।' বললেন আইজি।
'মগজের মেমরি হলো তার স্মৃতি কোষ?' ব্যাখা করতে শুরু করলাম। 'মানুষের কথাই ধরুন। মানুষ যা দেখে, যা শোনে সব তার মস্তিস্কের স্মৃতি কোষে জমা থাকে। মানুষ ভুলে গেলেও স্মৃতি কোষ থেকে তা মোছে না। আমি আর বিষ্ণুবাবু একদিন এ বিষয়ে আলাপ করতে করতে একমত হয়েছিলাম স্মৃতি কোষ বিশ্লেষণ করতে পারে এমন একটা যন্ত্র আবিষ্কারের চেষ্টা করব। পাঁচ বছর যাবৎ অন্য কাজের ফাঁকে ফাঁকে সে গবেষণাও করছিলাম। এতোদিনে সাফল্যের মুখ দেখেছি।' বলে আমার ব্যাগ থেকে দিবদৃষ্টিটা বের করলাম। 'এই যে এটা। এটা মানুষের স্মৃতিকোষ বিশ্লেষণ করে অতীত হয়ে যাওয়া সব ঘটনা সেখান থেকে তুলে আনতে পারে। আমিও বিড়ালের মগজ থেকে এই ছবিটা তুলে এনেছি।' বলে আইজি আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মাথায় পর্যায়ক্রমে লাগিয়ে দিব্যদৃষ্টির কার্যকারীতার প্রমাণ দিলাম।
'কিন্তু ফাইলগুলো গেলো কোথায়?' আইজির প্রশ্ন।
'সেটাও এই বিড়ালের মগজে ঢুকিয়েছেন বিষ্ণুপদ বাবু। কাজটা খুবই কঠিন। কারণ কম্পিউটারের মতো বাইরে থেকে সপট ফাইল ঢোকানোর মতো কোনো ইউএসবি বা ব্লুটুথ পোর্ট মগজের নেই। তাই আমার ধারণা ছোট্ট বাচ্চাকে মা যেভাবে পড়ানোর চেষ্টা করেন, বিষ্ণুবাবু পিকুকে ঠিক সেভাবেই পড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বিড়ালকে কি আর লেখাপড়া শেখানো যায়! তবে বিষ্ণুবাবুর মনোযোগী বিড়াল পড়ার চেষ্টা করতে গিয়ে পড়তে না পারলেও পুরো ফাইলটাতে নজর বুলিয়েছে। আর তাতেই সেগুলো সেভ হয়ে গেছে ওর স্মৃতিকোষে। দিব্যদৃষ্টি দিয়ে মগজ ঘেঁটে সে ফাইল আমি উদ্ধার ও করেছি।'
'কী আছে ওই ফাইলে?' বললেন মন্ত্রী
'ফর্মূলা তো আছেই, আছে আমার দিব্যদৃষ্টির মতো ব্রেন বিশ্লেষক ডায়াগ্রামও আছে। তবে সেটার সাথে দিব্যদৃষ্টির কোনো মিল নেই।'


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

দ্রুত শেষ করার তাড়া ছিল কি? আরও একটু গোছানো হতে পারত।
সবচেয়ে বেশি ভালো লাগল দেশী ফ্লেভার।

আরও লেখা আশা করছি।

--সাদাচোখ
sad_1971এটymailডটcom

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

তাড়া ছিল না, তবে গল্প বড় হলে যে কী বিড়ম্বনা- ভিনগ্রহের পাণ্ডুলিপি-তে সে অভিজ্ঞতা আমার হজম করতে হয়েছে। বিদেশি প্রেক্ষপটে সায়েন্স ফিকশন পড়তে পড়তে আমার নিজের স্বাদ পরিবর্তন করার প্রয়োজনিয়তা থেকে এই প্রয়াশ---

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

ইশতিয়াক এর ছবি

ভালো কিন্তু প্রচলিত প্লট। যে লোক বিগব্যাং নিয়ে গবেষনা করেন, পদার্থবিজ্ঞান যার প্রধান আকর্ষন, সে কিভাবে আবার বায়োমেডিকেল এর জিনিসগুলো আবিষ্কার আর তা নিয়ে গবেষবা করেন তা ক্লিয়ার হল না।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

বহির্বিশ্বে বহুমুখি প্রতিভার অভাব ছিল না কখনো। অভাব ছিল আমদের দেশে। সেই অভাব ঘোঁচাতেই বিষ্ণুপদ আর জামিলের আবির্ভাব।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

তাপস শর্মা এর ছবি

পড়লাম! গল্পটা মনে হয় আরও ভালো হতে পারত। অনেক জায়গায় খটকা লেগেছে। যদিও সায়েন্স ফিকশান লিখেছেন ট্যাগে, তবুও বলছি এতকিছু একসাথে আছে যে গল্পের বহু জায়গাতেই খেই হারিয়ে যায়।

তবুও আপনার চেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

হয়ত তাই, তবু আমার করিবার কিছু নাই

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

মরুদ্যান এর ছবি

ভালই লাগল। এক টানে পড়ে ফেললাম।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
আশা করি, ভবিষত্যেও আপনাদের পাশে পাব

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অরুণাচল এর ছবি

খুব ভালো লাগল। তবে আরও একটু সম্পাদনা হলে আরও চমৎকার স্বাদের হতো।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

হত

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

স্পর্শ এর ছবি

আমার এই ঘরণার সাইন্সফিকশনগুলো দারুণ লাগে! এই গল্পটা বেশ জমজমাট। দারুণ গ্রাফিক নোভেল হতে পারে।

পূর্ণাঙ্গ কিশোর উপন্যাস লেখায় হাত দিতে পারেন! হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যবাদ, আপনার পরামর্শ মনে ধরল। হয়ত ভবিষ্যতে এটা উপন্যাসে রূপান্তরিত হবে

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

shafaet এর ছবি

চলুক

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অচল এর ছবি

ভাল্লাগছে, চলুক তবে আর একটু smooth editing প্রয়োজনবোধ করছি গল্পটা পরার সময়।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
আরেকবার অবশ্যই এডিটিং হবে।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

আরেকটু গোছানো এবং বিস্তারিত হলে ভালো হত এটা ঠিক।
কিন্তু যেটা লিখেছেন সেটাও খুব ভাল।

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

সাফি এর ছবি

ভাল লেগেছে।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

গল্পের কন্সেপ্টটা চমৎকার লেগেছে। সেই তুলনায় ততটা জমেনি। আরেকটু যত্ন করে এডিট করলে দারুন একটা গল্প দাঁড়াবে।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

সহমত পোষণ করছি

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।