কাশিপুরের জঙ্গলে ভাষার লড়াই

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৪/০১/২০১৩ - ২:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘ঘটনাটা কাশিপুরের জঙ্গলের। কাশিপুর চিনলি না! আঃ মরণ। আকাট মুর্খদের নিয়ে হয়েছে যত জ্বালা।’ ভাষা-আন্দোলনের গল্প শোনাতে গিয়ে কাশিপুরের জঙ্গলের গল্প ধরেছেন কানাইলাল পণ্ডিত। সেখানেও নাকি একটা ভাষা আন্দোলন হয়েছিল। কানাইবাবু কাশিপুরের লোক কিনা, তাই গল্পটা তিনি জানেন।
‘শোন রে হতভাগার দল।’ কানাই বাবু তাচ্ছিল্যভরেই গল্পটা শুরু করলেন। ‘কাশিপুর হলো সেই কাশিপুর। কোন কাশিপুর? আরে যেখানে শরৎবাবুর এক মামার বাড়ি সেখানে। কী বললি, শরৎবাবুকেও চিনলি না? আরে অকর্মার ঢেকিরা! শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বুঝলি। এবার ঠিক চিনেছিস তো? ভাগ্যি তোদের, নইলে ঘাড় মটকে দিতাম। ওই কাশিপুর আবার গফুরেরও কাশিপুর। মহেশ গল্প পড়িস নি? কাশিপুরে মহেশ আর আমিনাকে নিয়ে ছিল গফুরের সংসার। ঢাকা থেকে সুন্দরবন কিংবা চিত্রা এক্সপ্রেসে চড়ে সোজা চলে যাও দর্শনা। সেখান থেকে বাসে জীববন্নগর। তারপর রিক্সা-ভ্যানে চড়ে চলে যাও কাশিপুর। বুঝেছিস রে হতচ্ছাড়ার দল?’
কানাইবাবু ছাত্রদের গল্প শোনাতে থাকুন, এই ফাঁকে আমরা ঘুরে আসি কাশিপুরের জঙ্গলে।
কাশিপুর জঙ্গলে রাজা হলো রগচটা বাজপাখিটা। প্রকাণ্ড একটা শেওড়াগাছে তার রাজপ্রাসাদ। আগে অবশ্য এই বনে রাজা-মন্ত্রী বলে কিছুই ছিল না। দুষ্টু বাজপাখিটা ষড়যন্ত্র করে রাজা সেজে বসে আছে। অবশ্য তার পাইক-বরকন্দাজও কম নয়। হাজার খানেক কাল-কেউটে সাপ পুষে রেখেছে চতুর বাজটা। এরা তার পুলিশ বাহিনী। দাঙ্গাবাজ স্বভাবের ফিঙেরদল তার সেনাবাহিনি। এছাড়া এক শিয়াল পণ্ডিতকে উৎকোচ দিয়ে দলবলসহ তাকে পুষে রেখেছে উপদেষ্টা হিসাবে। শিয়ালের দল ছাড়াও আছে একদল বনবিড়াল। কেউটেদের যাতে অসুবিধে না হয় তাই গুইসাপ কিংবা বেজিদের বনের ধারে ঘেঁষতে দেয় না রাজা বাজপাখি।

‘ঘটনাটা কাশিপুরের জঙ্গলের। কাশিপুর চিনলি না! আঃ মরণ। আকাট মুর্খদের নিয়ে হয়েছে যত জ্বালা।’ ভাষা-আন্দোলনের গল্প শোনাতে গিয়ে কাশিপুরের জঙ্গলের গল্প ধরেছেন কানাইলাল পণ্ডিত। সেখানেও নাকি একটা ভাষা আন্দোলন হয়েছিল। কানাইবাবু কাশিপুরের লোক কিনা, তাই গল্পটা তিনি জানেন।
‘শোন রে হতভাগার দল।’ কানাই বাবু তাচ্ছিল্যভরেই গল্পটা শুরু করলেন। ‘কাশিপুর হলো সেই কাশিপুর। কোন কাশিপুর? আরে যেখানে শরৎবাবুর এক মামার বাড়ি সেখানে। কী বললি, শরৎবাবুকেও চিনলি না? আরে অকর্মার ঢেকিরা! শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বুঝলি। এবার ঠিক চিনেছিস তো? ভাগ্যি তোদের, নইলে ঘাড় মটকে দিতাম। ওই কাশিপুর আবার গফুরেরও কাশিপুর। মহেশ গল্প পড়িস নি? কাশিপুরে মহেশ আর আমিনাকে নিয়ে ছিল গফুরের সংসার। ঢাকা থেকে সুন্দরবন কিংবা চিত্রা এক্সপ্রেসে চড়ে সোজা চলে যাও দর্শনা। সেখান থেকে বাসে জীববন্নগর। তারপর রিক্সা-ভ্যানে চড়ে চলে যাও কাশিপুর। বুঝেছিস রে হতচ্ছাড়ার দল?’
কানাইবাবু ছাত্রদের গল্প শোনাতে থাকুন, এই ফাঁকে আমরা ঘুরে আসি কাশিপুরের জঙ্গলে।
কাশিপুর জঙ্গলে রাজা হলো রগচটা বাজপাখিটা। প্রকাণ্ড একটা শেওড়াগাছে তার রাজপ্রাসাদ। আগে অবশ্য এই বনে রাজা-মন্ত্রী বলে কিছুই ছিল না। দুষ্টু বাজপাখিটা ষড়যন্ত্র করে রাজা সেজে বসে আছে। অবশ্য তার পাইক-বরকন্দাজও কম নয়। হাজার খানেক কাল-কেউটে সাপ পুষে রেখেছে চতুর বাজটা। এরা তার পুলিশ বাহিনী। দাঙ্গাবাজ স্বভাবের ফিঙেরদল তার সেনাবাহিনি। এছাড়া এক শিয়াল পণ্ডিতকে উৎকোচ দিয়ে দলবলসহ তাকে পুষে রেখেছে উপদেষ্টা হিসাবে। শিয়ালের দল ছাড়াও আছে একদল বনবিড়াল। কেউটেদের যাতে অসুবিধে না হয় তাই গুইসাপ কিংবা বেজিদের বনের ধারে ঘেঁষতে দেয় না রাজা বাজপাখি।
সভাগায়ক আছে রাজা মশায়ের। দশটা বুলবুলি, পাঁচটা কোকিল। কিন্তু জঙ্গলের সেরা গায়ককে সে দরবারে আটকাতে পারে নি। ছোট্ট একটা দোয়েল। নাম তার তিতলি। তিতলির ভারি সুন্দর গানের গলা। ওর কাছে আপন-পর, ধনী-গরীব নেই। সবাইকেই সে গান শুনিয়ে বেড়ায়। যেমন, ইঁদুর, বাদুড়, কাক, কুকুর, পেঁচা- সবাইকে। ইদনিং আবার কাকের ছানাদের গান শেখানোর দায়িত্বও নিয়েছে সে।
রাজসভার কোকিলদের মধ্যে যে সেরা গায়ক তার নাম সুকণ্ঠ। সে তিতলিকে হিংসে করে। সে চায় না রাজা তাকে সভাগায়ক করুক। বরং তিতলিকে কী করে জঙ্গলছাড়া করা যায় কিংবা মেরে ফেলা যায় সেই মতলব আঁটে। একদিন সে বনবিড়ালদের ডেকে বলে, ‘ওহে বোকা বনড়িালের দল, তোমাদের কি রাজা মশায় পায়ের ওপর পা তুলে ঘুমানোর জন্য পুষে রেখেছেন?’
রেগে টং হয়ে যায় বনবিড়ালদের সর্দার। অন্য কোকিল হলে এতক্ষণ ‘তবে রে’ বলে নখর বাড়িয়ে ওর মুণ্ডুটা ছিঁড়ে ফেলত। কিন্তু রাজার সভাগায়ক বলে কথা! ওর কিছু হলে তার গর্দান আস্ত থাকবে না। তাই মুখে জোর করে হাসি ফুটিয়ে বলল, ‘তা ভাই সুকণ্ঠ, আমাদের ভুলটা কোথায় হলো, বলো দেখি?’
‘বলি তিতলি না ফিতলি কী যেন নাম ওই দোয়েলটার, ওকে তোমরা খেয়ে না ফেলে পুষে রেখেছ কেন? দেখো, একদিন ও এই জঙ্গলের সর্বনাশ করবে।’
বনবিড়ালের সর্দার সাফ বলে দিল, ‘আমাকে ভাই ও লোভ দেখাতে এসো না। তিতলি পাখিটা আসলেই ভালো। যেমন মিষ্টি ওর গান, তেমনি অমাইক ওর আচরণ। ওকে খেতে যাবে এমন পাষণ্ড এই জঙ্গলে কে আছে? তোমার বুঝি ভয় হয়, রাজামশায় ওকে প্রধান সভাগায়ক করে নেয় কিনা।’
আসল জায়গায় ঘা পড়েছে বলে সুকণ্ঠ আর সেখানে দাঁড়াল না। কাজের ছুঁতোয় সরে পড়ে সারা জঙ্গলে একবার চক্কর দিল। সজারুর কাছে গেল, খরগোশের কাছে গেল, পেঁচার কাছে গেল, ছুঁচোর কাছে গেল এমনকী কেউটে আর শিয়ালের কাছে যেতেও বাদ রাখল না। কিন্তু কেউ সুকণ্ঠের পক্ষ না নিল না। সবাই তিতলিকে ভালোবাসে। সুকণ্ঠের হিংসা গেল আরো বেড়ে ।
কাক আর পেঁচারা ঝামেলায় পড়েছে। সুকণ্ঠই যত নষ্টের মুল। সবাই তিতলিকে ভালোবাসে। বিশেষ করে কাক, পেঁচা, ছুঁচো আর বুনো কুকুরের দল। সুকণ্ঠ দেখল তিতলিকে ঘায়েল করতে হলে এদেরকে আগে বন থেকে তাড়াতে হবে। তো সে গিয়ে রাজার কান ভাঙাতে শুরু করল, ‘রাজামশায়, কেমন অন্যায় কথা বলুন তো। ওই তিতলিটার কথা বলছিলাম আর কি। আপনি তাকে কত সাধলেন, সে সভাগায়ক হলো না। অথচ সে কিনা গান শোনায় যত্তসব ছোটজাতদের আসরে। মনে হয় গভীর কোনো ষড়যন্ত্র মহারাজ।’
‘ষড়যন্ত্র! কীসের ষড়যন্ত্র?’ দাম্ভিক গলায় বলল রাজা বাজপাখি।
সুকণ্ঠ কোকিল রাজার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলল, ‘আপনাকে গদিছাড়া করতে চায় মহারাজ। এই দেখুন না, নোংরা কাকগুলো রোজ সকালে উঠে চিৎকার করে আপনার ঘুমের বারোটা বাজায় না? আর ধরুন, বুনো কুকুরগুলোর কথা। সারারাত হাউ হাউ করে আপনাকে ঘুমুতে দেয়? সেই সাথে আছে পাজি পেঁচা আর ছুঁচোর যন্ত্রণা। আপনার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটিয়ে, তারপর আপনাকে অসুখে ফেলে তিলে তিলে মারবার ষড়যন্ত্র মহারাজ!’
‘অ্যাঁ, বলো কী সভাগায়ক! একথা তো আগে ভাবি নি। তাহলে তো একবার সভাপণ্ডিতের সাথে পরামর্শ করতে হয়। প্রহরি শিয়াল পণ্ডিতকে খবর দাও।’
শিয়ালেরও সন্দেহটা মনে ধরল। আর তাছাড়া বুনোকুকুরগুলো বেশি সুবিধের নয়। সভাপণ্ডিত জেনেও তাকে দেখলে ঘেউ ঘেউ করে তেড়ে আসে। ধরতে অবশ্য পারে না কখনো। যদি পারত তবে কী হতো? গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে শিয়ালের। এই সুযোগ রাজামশায়কে দিয়ে যদি বন থেকে ওদের দূর করা যয়...’
রাজার আদেশ, এখন থেকে কাক, পেঁচা, ছুঁচো আর বুনো কুকুরের দল- কেউই টুঁ শব্দটি করতে পারবে না! কারও যদি এ আদেশ পছন্দ না হয়, সে যেন বন ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু কেউ যদি আদেশ অমান্য করে ডাকাডাকি করে তবে তাদের গর্দান যাবে। আর তিতলির ওপরও আদেশ জারি হলো, সে যদি রাজ সভায় গান না-ই গাইতে পারে তো আর কোথাও গাইতে পারবে না।
কিন্তু কাউকে মুখ বুঁজে থাকতে বললেই তো সে থাকতে পারে না। কাক, পেঁচা, কুকুর, ছুঁচোদের সর্দার তিতলিকে নিয়ে গোপনে বৈঠকে বসল। সিদ্ধান্ত হলো আগামী পুর্ণিমার রাতে সবাই এক সাথে যে যার ভাষায় গেয়ে উঠবে।
কিন্তু চোরা কোকিলটার একথা জানতে বাকি থাকল না। সে রাজাকে শুনিয়ে এলো খবরটা। বলা হলো, কাক, পেঁচা, কুকুর আর ছুঁচোদের নিয়ে তিতলি এবার গভীর ষড়যন্ত্র করেছে। পুর্ণিমা রাতে নাকি তারা বিদ্রোহ করবে। দাঙ্গা বাধিয়ে রাজাকে সরিয়ে দেবে গদি থেকে। তারপর তিতলি নিজেই বনের রাজা হয়ে বসবে।
বাজপাখি শুনে তো আগুন! সে তখনই বনবিড়ালদের হুকুম দিল তিতলিকে ধরে আনার জন্য। কিন্তু তিতলি তখন বনে ছিল না। জঙ্গল থেকে বিতাড়িত বেজি আর গুইসাপের সর্দারের আমন্ত্রণে তাদের ছেলেমেয়েদের গান শোনাতে গিয়েছিল চিতলমারির মাঠে।
পুর্ণিমার দিন সন্ধ্যায় তিতলি ফিরে এলো জঙ্গলে। এসে শুনল রাজার পাইক-পেয়াদারা তাকে খুঁজছে। পেলেই হত্যা করবে। তিতলি ব্যাপারটা আগেই অন্দাজ কররেছিল। বেজি আর গুইসাপদের সাথে এ বিষয়ে আলোচনাও করেছে। তারাও আন্দোলনে যোগ দিতে চায়। ফিরে পেতে চায় তাদের পৈত্রিক আবাসভূমি। তাই বেজি আর গুইসাপদের একটা বিরাট বহর তিতলির পিছু পিছু এসে জঙ্গলের ধারে একট জঙলা মতো জায়গায় লুকিয়ে আছে।
রাত বারোটা। কাশিপুরের জঙ্গল তখন সুনসান নিরাবতা। পুর্ণিমার ভরা চাঁদের রুপালি জোসনা গাছগাছালির ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে ঢুকে মায়াবী এক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। ঠিক তখনই নিরবতা খান খান করে হাউ-উ-উ করে একযোগে ডেকে উঠল বুনোকুকুরগুলো। তাদের সাথে সাথে সুর মেলাল পেঁচা, কাক আর ছুঁচোর দল। আর তিতলি একটা শিকল ভাঙার গান গাইতে গাইতে তাদের আগে আগে চলল বাজপাখির আস্তানার দিকে। কিন্তু বেশিদূর এগুতে পারল না। কেউটে, বনবিড়াল, ফিঙে আর শিয়ালের দল এসে ঝাঁপিয়ে পড়ল তাদের ওপর। বনবিড়াল আর শিয়ালদের নিয়ে বেশি ভয় ছিল না। তাদের মোকাবেলা করার জন্য এক কুকুরের দলই যথেষ্ঠ। ফিঙেদের মোকাবেলা করার মতো শক্তি ছিল কাক আর পেঁচার দলের। কিন্তু কেউটের বিষতদাঁতের সামনে ব্যর্থ তাদের সব প্রতিরোধ। কাক, কুকুর, পেঁচা আর ছুঁচোর দল অকাতরে মারা পড়ল।
এভাবে আর কিছুক্ষণ চলতে থাকলে পুরো দলটোই শেষ হয়ে যেত। কিন্তু সময়মতো বেজি আর গুইসাপের দল এসে পড়ায় পাল্টে গেল লড়াইয়ের হিসাব। বেজি আর গুইসাপের কথা বাজপাখি বা তার সৈন্যরা কেউ ভাবেনি। তাই অতর্কিত আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পিছু হটতে শুরু করল কেউটেরা। অর্ধেকেরও বেশি মারা পড়ল। আর সেই সুযোগে কুকুরের পাল ঝাঁপিয়ে পড়ল শিয়াল আর বনবিড়ালদের ওপর। তারপর লড়াই শেষ হতে সময় লাগল না। বাজপাখি আর তার পাইক পেয়াদাদের উৎখাত করে প্রাসাদ দখল করে নিল বিদ্রোহীরা। ভেঙে গুড়িয়ে দিল রাজার সিংহাসন। মুক্ত স্বাধীন হলো কাশিপুরের জঙ্গল।
ধ্বংসস্তূপের ভেতর দাঁড়িয়ে বিজয়ীরা যখন গানে-আনন্দে মেতে উৎসব করতে যাবে তখন তাদের খেয়াল হলো, প্রিয় পাখি তিতলিকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ বলতে পারল না তার হদিস। অবশেষে মৃত পশু-পাখিদের স্তূপের ভেতরে পাওয়া গেল তিতলির রক্তভেজা দেহ। প্রথমে শোকে মুষড়ে পড়ল হতবাক প্রাণীরা। তারপর শোক ভুলে সবাই কী যেন একটা গানে সুর মেলাল।
‘আমি জানি ওদের গানের অর্থ।’ ধরা গলায় বললেন কানাইলাল পণ্ডিত। ‘আজও ফাল্গুনের আট তারিখে কাশিপুরের জঙ্গলের পাশ দিয়ে গেলে সেই গান শোনা যায়। গানটার মানে হলো-- আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভূলিতে পারি...’


মন্তব্য

মামুন এর ছবি

কন কি কাশিপুর এতটা বাড়ির কাছে ?সত্যি নাকি ওই কাশিপুরই সেই মহেশ আমিনা আর গফুরের কাশিপুর?

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

হ‌‌্যাঁ ভাই, শরৎবাবুর মামাবাড়িটাও আজও আছে।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

মাজহার এর ছবি

খুব ভাল লাগল।

দুঃখজনকভাবে তুলনামূলক নতুন এবং অতিথি লেখকদের লেখায় মন্তব্য খুব কম দেখে কষ্ট লাগে।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
আমার মনে হয় না মন্তব্যের ক্ষেত্রে শুধু জনপ্রিয়তা কাজ করে। জনপ্রিয়তা তো অবশ্যই, এছাড়াও প্রসঙ্গ, কাল এবং বিষয়বস্তুও প্রভাব ফেলে মনব্য-সংখ্যার ওপর।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

মাজহার সাহেব আপনার দুঃখ সামান্য ঘুচানোর চেষ্টা করলাম।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আপনার এই 'রচনাটা' কিচ্ছু হইছে বইলা মনে হইল না। ভাষা আন্দোলন নিয়া স্থুলতা আরো বেশি বিশ্রি লাগল।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

আইলসা এর ছবি

হুমম। একমত।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভালো লাগেনি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ফাহিম হাসান এর ছবি

রূপকটা জমে নাই

অচেনা আগন্তুক এর ছবি

ভালো লাগলোনা।

ভাষা আন্দোলনের মত এমন "পূজনিয়" ঘটনা নিয়ে এরকম রম্যরচনা গোছের স্থুল কাব্য কখনই কাম্য নয়। মোডারেটর কাছ থেকে আরেকটু দায়িত্বশীল "ফিল্টারিং" আশা করি।

অচেনা আগন্তুক

নিলয় নন্দী এর ছবি

রনি, আরো ভাবনাচিন্তার অবকাশ আছে।
সচলের পাঠকরা যথেষ্ট সচেতন।
তাঁদের কথাও মাথায় রাখতে হবে।
ম্যাঁও

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।