‘ভালোবাসা ভালো নয়’-- কথাটা আমার নয়, সমাজের। সমাজ যাই বলুক অর্ধেক জীবন পার করে হিসেব কষতে বসি ভালোবাসাটা শিখলাম কবে? আমার স্মৃতি বড়ই প্রখর। একেবারে দিন তারিখে হিসাব মেলাতে না পারলেও বয়স-বছরের হিসাব সে দাখিল করতে পারে। শৈশব কেটেছে ৮০-৯০ দশকে। বাংলা রোমান্টিক সিনেমার তখন রমমনা যুগ। ঠিক উত্তম-সূচিত্রার মতো প্রেমকাহিনি না হলেও তখন বড়লোকের মেয়ে ফকিরের ছেলে টাইপের সিনেমার রস গেলানো হচ্ছে ৮০ বছরের বুড়ো থেকে ৮ বছরের শিশুদের পর্যন্ত। সেই সাথে এও গেলানো হচ্ছে, প্রেম মানে পূত-পবিত্র সম্পর্ক--আদিম যৌনতা সেখানে কড়াকড়িভাবে অবাঞ্ছিত।
বুড়োদের কাছে কেমন ছিল জানি না, আমাদের কাছে সিনেমা মানে সিনেমাই। বাস্তবতার ছিটেফোঁটা সেখানে খোঁজার চেষ্টা করিনি। খুঁজব, সেই মগজ কোথায় তখন?
বাস্তব জীবনে ‘ভালোবাসা’ নামের শব্দটার সাথে পরিচয় সেই আট বছর বয়সেই। থ্রিতে পড়ি তখন। এক বন্ধু খুলে দিল ভালবাসা নামের মায়াজগতের দুয়ার। বলল, ‘জানিস, ওমুক না ওই মেয়েটার সাথে প্রেম করেছে!’ প্রেম মানেই যে ভালোবাসা, সেটাও বুঝেছি ও সিনেমার কল্যাণেই।
‘যাহ, তাই কি হয় নাকি!’ বন্ধুর কথার জবাবে বললাম আমি। ও সব তো সিনেমার লোকেরা করে, বাস্তবে কাউকে ওভাবে প্রেম করতে দেখিনি, তাছাড়া সিনেমার মানুষগুলোকে মানুষ মনে হতো না, কল্পলোকের ওপারের চরিত্র যেন একেকটা।
কিন্তু বন্ধু নাছোড়, আমাকে যে ওর বোঝাতেই হবে, আমাদের সমাজের মানুষগুলো সিনেমাওয়ালাদের মতো প্রেম করে।
‘কিন্তু কেন করে?’ আমার জিজ্ঞাসায় একটু হচকিয়ে যায় না সেই বন্ধু। আদিম প্রবৃৃত্তির উদাহরণ দিয়ে বলে, ‘সেক্স করার জন্য।’
সচল, অপরাধ নেবেন না, সেক্স বা যৌনতা শব্দদুটোর কোনটার সাথেই তখন আমাদের পরিচয় ছিল না। ‘সেক্স’ শব্দটার বদলে যে শব্দ ও উচ্চারণ করেছিল তা কহেতব্য নয়, কিন্তু আমরা সবাই জানি। এর বেশি বলার দরকার নেই আশা করি?
তো জবাবে আমি বললাম, ‘ওসব তো কুকুর ছাগালে করে, মানুষ কেন করবে?’
এই কথা বললাম কারণ, একেবারে জনসম্মুখে লাজ-লজ্জাকে ধুলোয় মিশিয়ে যত্রতত্র সেক্স করার সাহস এই দুই প্রাণীরই আছে। বাবা-মায়ের চোখ এড়িয়ে বহুবার ওদের কামলীলা দেখেছি।
বন্ধু তখন পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল, ‘কুকুর ছাগলে কেন করে?’
এত সোজা হিসাব, তাই চট করে জবাবটা দিয়ে দিলাম, ‘ওটা করে বলেই তো ওদের বাচ্চা-কাচ্চা হয়।’ এবার বন্ধু শয়তানী মার্কা হাসি দিয়ে বলল, মানুষের বাচ্চা-কাচ্চা তা হলে কীভাবে হয়?’
‘তাই তো!’ এ কথা তো ভাবিনি আগে।
এভাবেই আদিম প্রবৃত্তির সাথে প্রেম বা ভালোবাসার যোগসূত্রের প্রাথমিক পাঠটা নেয়া হলো। আর তখনই বোধহয় মস্তিষ্কে সক্রিয় হলো ডোপামিন নামের হরমনটা। দেখলাম এক অদ্ভুত অনুভূতি কাজ করতে শুরু করল দেহমনে। সত্যি প্রেমে পড়ে গেলাম। কোনো মেয়ের নয়, প্রেমে পড়লাম সেই ‘ওমুক’ বন্ধু যে ‘ওই মেয়েটার’ সাথে প্রেম করছে, ওদের ভালবাসার প্রেমে পড়ে গেলাম। তবে ভুলে গেলাম আদিম প্রবৃত্তির ব্যাপারটা।
এরপর ওদের ভালোবাসার গল্প ক্লাসের যে কোণেই চলত আমি ঠিক গিয়ে সেখানে হাজির হতাম। আসলে সিনেমায় দেখা পবিত্র প্রেমগুলোকে বাস্তবের সাথে মেলাতে চেষ্টা করতাম। সিনেমা দেখার পর যেমন একটা সুখস্মৃতি মনকে আচ্ছন্ন করে রাখত বেশ কয়েক ঘণ্টা, স্কুলে ওদের প্রেম সম্পর্কিত মুখরোচক কাহিনিগুলোও রাতে ঘুমানোর আগে মনকে আচ্ছন্ন করে তুলত। সিনেমার নায়কের জায়গায় বসতাম বন্ধুকে, নায়িকা ‘ওই মেয়েটি’। আজ এসব ভাবলে হাসি পাই, কী বোকাটাই না ছিলাম!
একদিন ঘঠল এক অঘটন। লজ্জায় মাটির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছে করল। হয়েছে কী, বন্ধুর প্রেমকাহিনি নিয়ে নতুন একটা খেলা শুরু হলো। ছোট কাগজে বন্ধুর নামটা লিখে তার পাশে লেখা হতো ওই মেয়েটির নাম। তারপর ধরিয়ে দেয়া হত বন্ধুর হাতে। আমার ওই বন্ধু অতিশয় ভদ্র ছেলে। বন্ধুদের উপদ্রবে বিরক্ত হলেও শিক্ষকের কাছে নালিশ করেনি কখনো। করবে কী, শিক্ষকের নিকট কী লজ্জার কথা বলা যায়! প্রতিবাদ করতেও তো গায়ের জোর লাগে, সেটা ওর ছিল নাকি!
আমিও একদিন যোগ দিলাম কাগজ লেখার খেলায়। কাগজ লিখে বন্ধুর হাতে দিই, ও বিরক্ত হয়ে সেটা ছিঁড়ে কুটি কুটি করে ফেলে। এভাবে কয়েকদিন চলল, আকুল নামে আমাদের বন্ধু ছিল (আজও আছে) ও অনেকদিন পর স্কুলে এসেছে। তাই প্রেমকাহিনি সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞাত ও। চরম উৎসাহে ওকে কাহিনিটি বললাম। আগ্রহ ভরে শুনল আকুল। তারপর শিখিয়ে দিলাম কীভাবে কাগজে ওদের নাম লিখতে হবে। আকুল লিখল, তারপর সেটা দিতে গেল প্রেমিক বন্ধুর কাছে। ওর হাতে পৌঁছাল না। অন্য বন্ধুরা ছিনিয়ে নিল। এই বন্ধুরাই আগের দিন কাগজ লিখে ছয়লাব করেছে। আজ এদের ভিন্ন চেহারা, জিজ্ঞেস করল, এই কাগজ কে লিখেছে? আকুল নিজেকে বাঁচাতে সম্পূর্ণ দোষটা আমার ঘাড়ে চাপাল। আমিও টুঁ শব্দটা করলাম না। দোষটা তো আমারই--আকুল লিখেছে ঠিকই, শিখিয়েছি তো আমি। পাশের ক্লাশে ক্লাস নিচ্ছিলেন বিশু স্যার। স্কুলের সেরা শিক্ষক, ছাত্রদের খুব ভালবাসেন। আবার বেয়াদবী করলে পিটিয়ে ছাতু বানাতেও ওস্তাদ। নালিশটা যখন তাঁর কাছে গেল, ভাবলাম আজ আর রেহায় নেই। বন্ধুরাও তাই ভেবেছিল। তবে ওরা মজা পাচ্ছিল। আমাদের স্কুল জীবনটা ছিল বড্ড নিষ্ঠুর--শিক্ষকরা গায়ে হাত তুললে বা বকাবকি করলে গোটা স্কুলের ছেলেমেয়েরা তামাশা দেখার জন্যে জড়ো হয়ে যেত। সে এক বিশাল বিনোদন!
বিশু স্যার আমাকে মারতে এলেন না। ডাকলেন তার ক্লাস রুমে। এ-তো আরও লজ্জা! বন্ধুদের সামনে মার খাওয়া আর সিনিয়র ভাই-বোনদের সামনে মার খাওয়ার ভেতর লজ্জার ফারাক আকাশ-পাতাল। আমি কাঁপতে-কাঁপতে স্যারের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। চোখ তুলে একাবার সামনের দিকে তাকালাম শুধু। গোটা ক্লাসের দেড়শ জোড়া চোখের দৃষ্টি আমার উপর। ওই সময়টাতে আমি বেঁচে ছিলাম কিনা আজও সন্দেহ হয়।
পাশের ক্লাস আর আমাদের ক্লাসের মাঝখানের দেয়ালে একটা দরজা ছিল। আমার সহপাঠীরা সব এসে ভিড় জমালো সেই দরজার মুখে। কিন্তু স্যার বেত নিয়ে তেড়ে গেলেন তাদের দিকে। শাসিয়ে এলেন, কেউ যদি উঁকি দেয়ার চেষ্টা করেন, পিঠের চামড়া তুলে লবণ মাখাবেন। তাই আর কেউ সাহস করেনি। আফসোস করেছিল বিশাল এক তামাশা দেখা থেকে বঞ্চিত হওয়ায়।
শুরু হলো বিচার। কিন্তু যে অগ্নিমূর্তি নিয়ে স্যার আমার বন্ধুদের তাড়িয়ে এলেন, এখন সেটা কোথায়? স্যার বোধহয় আঁচ করতে পেরেছিলেন। তাছাড়া ক্লাসের সবচেয়ে শান্ত ছেলে হিসেবে আমার সুনাম ছিল। স্যার আমার কানের কাছে মুখ নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘লাভলি কে?’ ওহ্ বলাই হয়নি ওই প্রেমিক মেয়েটির নাম লাভলি। লাভলি তখন ঠিক আমার সামনের বেঞ্চে বসে। অর্থাৎ সে আমাদের এক বছরের সিনিয়র ছিল। আমার কাঁপুনি তখনও বন্ধ হয়নি। স্যার প্রশ্ন করলেন, ‘এটা কি তুই লিখিছিলস?’
আমি বললাম, ‘হ্যাঁ।’ একবারও আকুলের নাম মুখে আনলাম না। স্যার আরও দুবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘লাভলি কে?’। আমি চুপ, টুঁ শব্দটিও করলাম না। স্যার মৃদু হেসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, সিটে গিয়ে বসগে যা।
মনে হলো হাজার টনি পাথর আমার ঘাড় থেকে নেমে গেল। নিজের ক্লাসের ঢোকার সাথে সাথে বন্ধুরা ছেঁকে ধরল, কয়টা বেত মারল, কয়টা চড় খেলি...ইত্যাদি। আমি বললাম, মারেনি, বকেওনি। কিন্তু প্রথমে বিশ্বাস করল না। তারপর বিশ্বাস করতে বাধ্য হলো এই যুক্তিতে, কেউ বেত বা চড়ের শব্দ শোনেনি।
এ ঘটনার পর কাগজ লেখা বন্ধ হলো, কিন্তু মুখরোচক গল্প বন্ধ হলো না। আমি এসবের মধ্যে নেই, শুধু মনে মনে, সুখ-কল্পনা করে যাই।
কথা হচ্ছে ওই বয়সে ওরা আদৌ কি ওরা প্রেম করেছিল? আমার ওই বন্ধুটাও শান্ত প্রকৃতির, তেমনি লাজুক। তাছাড়া ক্লাস থ্রির একটা ছেলে প্রেম করবে, একথা তখন ভাবলেও এখন পাত্তাই দিই না। আমার বন্ধুর বাবা ছিলেন হাইস্কুল শিক্ষক। তাঁর কাছে লাভলি পড়তে যেত। আমার ওই বন্ধুটি বাবার কাছে একই ব্যাচে পড়ত। ওই ব্যাচেরই কোনো দুষ্টু ছেলে স্কুলে ওদের কাল্পনিক প্রেমকাহিনির গল্প রটিয়ে দেয়।
লাভলি আমাদের গ্রামের মেয়ে ছিল না। ওর বাবা হেলথে চাকরি করতেন। তাঁর পোস্টিং ছিল আমাদের গ্রামের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ওই ঘটনার কিছুদিন পর লাভলি উধাও। পরে শুনলাম ওর বাবার বদলি হয়েছে। এদের প্রেমকাহিনি যেমন ছিল আমার ভালবাসা, লাভলির বিদায়ে সেই ভালবাসার সমাপ্তি ঘটল। কীসের যেন এক শূন্যতা ভর করল কচি মনে। রূপালি আগুন ঝরা রাতে কিংবা জোনাক জ্বলা অন্ধকারে একলা নিরালায় বুকের ভেতর হু হু করে শূন্যতার বাঁশি বাজত। যতটা না লাভলির জন্য তার বেশি ওদের কাল্পনিক প্রেমের কাল্পনিক বিচ্ছেদের কথা ভেবে। আজ আমার সেই বন্ধু বিয়ে করে সুখে সংসার করছে। সেই লাভলি কোথায় আছে জানি না। আজও তার কথা মনে হলে বুকের ভেতরে মোচড় দিয়ে ওঠে। যেখানেই থাক, সুখে থাক সে। এছাড়া কীই বা কামনা করতে পারি আমি?
মন্তব্য
ডোপামিন হবে নামটা।
আর আপ্নের গাছপালা ছাড়াও প্রেম ভালুবাসা আছে নাকি? আপ্নে তো সেই রোমান্টিক লোক দেখা যায়
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
ভালো হল, শুধরে দিলেন, আমারও সন্দেহ ছিল।
কন কী মিয়া! এতো কেবল শুরু, ভালুবাসার সাগর নিয়া হাজির হইতাছি, খারান, খালি বিলাইমু
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
ভালোবাসাকে ভালোবাস!! ওরেব্বাপস!! আপনি তো সেরাম রোমান্টিক মশাই!!!
____________________________
হ্যাঁ, ভাই, নিজের তো সাহস ছিল না, তাই অন্যের ভালোবসাকেই ভালোবেসে গেছি অনেকদিন। পরে অবশ্য নিজেরটা--বইঝা লন।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
পৌঢ়দা, সচলায়তনে আমার পদচারণা শুরুটা হয়েছিল সায়েন্স ফিকশন দিয়ে, বপে ছোটদের-বড়দের গল্পও লিখেছি, একটা উপন্যাস লিখছি। মোটকথা শুধু প্রকৃতি প্রেমিকের ভেতরে নিজেকে বেঁধে রাখতে চাইনি কখনও, যখন যেটা ভালো লেগেছে সেটাই করেছি। যে বিষয়টাকে আমি মন থেকে ভালোবাসি, সেই বিষয়গুলোও তুলে আনার চেষ্টা করেছি বার বার, তা যত ভিন্ন বিষয়বস্তুরই হোক। সবচেয়ে বড় কথা আমি বড়ই নস্টালজিক মানুষ, স্মৃতিচারণ করতে তাই ভালো লাগে।----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
আপনি একজন প্রকৃৃতিপ্রেমিক, এই পরিচয়টাই যথার্থ।
হ্যাঁ, তবে ব্যাক্তি প্রেমানুভূতি নিয়েও লিখতে পারেন বটে।
আমারও ছেলেবেলা কেটেছে সেই ৮০-৯০'এর দশকে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল কলোনিতে থাকতাম। ডিসেম্বর-জানুয়ারী ছিলো কলোনিতে প্রেমের হাই সিজন। প্রতি বছরেই এই সময় ৪/৫টা জুটি বাড়ি ছেড়ে পালাতো। আমরা তর্ক করতাম এ বছর কারা পালাবে, পরে কাদের ধরা খাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আমরা মোটামুটি সাহসী সবাই ক্লাস সিক্সের পর থেকেই নিজেদের প্রেমের ফাঁদে পড়তে দেখতাম। পার্থক্য এটুকুই, কেউ পালাতো, কারো হাঁটু কাঁপতো। স্কুলটাও আমাদের কলোনির মধ্যেই ছিলো বলে প্রেম ট্রেম যা হবার আমাদের নিজেদের মধ্যেই হতো।
কাঁপা হাঁটু সোজা হতে আমার নিজের লেগেছিলো তিন বছরেরও বেশি। তবে এসময়ের মধ্যে ক্লোনির প্রতিটা ছেলে মেয়েই জানতো আমার খবর। তবু ভাই হাঁটু কাঁপা থামেনি
----ইমরান ওয়াহিদ
আমার হাঁটু কাঁপা বন্ধ হয়েছে ঢাকায় আসার পর, কিন্তু ‘ডোপামিন’ নামের তরলটা মস্তিষ্ক থেকে উধাও হয়ে গেছে তদ্দিনে।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
স্মৃতিচারণ পড়তে আমি চাইনা, কারণ পড়তে গেলেই নিজের ফেলা আসা দিনগুলোর কথা মনে পড়ে। একটা শূন্যতা এসে ভর করে। এই যে বেঁচে আছি, বেঁচে ছিলাম অতীতে সব দাঁড়িয়ে যায় এক প্রশ্নের সামনে। কিন্তু না পড়ে পারি না, বরং স্মৃতিচারণগুলোই অনেক বেশি টানে। টাকা দিয়ে কষ্ট কেনার মতো ইচ্ছেকৃত দীর্ঘশ্বাসের স্রোতে ভাসার জন্যেই পড়তে হয়। আপনার লেখার সাথে সাথে নিজের ছেলেবেলাকেও দেখা হয়ে যাচ্ছে স্মৃতিতে। লেখা চলুক
মাুসদ সজীব
এমনই হয়, মাসুদ ভাই।
অতীত ঘেঁটে কষ্ট পাবো জানি, তবু অতীত ঘাঁটি। জীবননান্দ ঘেঁটেছিলেন, কষ্ট পেয়েছিলেন। আক্ষেপ ঝরেছিল তাঁর কণ্ঠ থেকে--
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
ভাল লাগল পড়তে। পরের পর্বে কি আপনার নিজেরটা? অপেক্ষায় রইলাম
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
নতুন মন্তব্য করুন