কুসংস্কারে কুঠারাঘাত-৩ : কালকেউটের ছোবল

লেখাটা ভালো লেগেছে। নানা রকম সাপের কথা জানতে পারলাম।

ফাহিমা দিলশাদ

চমৎকার হয়েছে এই পর্বটা

আচ্ছা, শুনেছি সাপের প্রতোষেধক ব্যবহারের আগে নাকি জানা দরকার কোন ধরণের সাপে কামড়েছে, সেই অনুযায়ী ওষুধ দেয়া হয়। এটা কি সঠিক?

শুভেচ্ছা

কেঁউটে নয়, কালকেউটে।
কুঠারাঘাত করার সময় দয়া করে চন্দ্রবিন্দুগুলো খেয়াল করবেন।

চমৎকার লাগল.

অনেক কিছু জানলাম এবং পড়ে ভাল লাগল| ধন্যবাদ!-মোঃ জাকির হোসেন

লেখা খুবই ভাল লেগেছে। কিন্তু
(১) বানান-এর জন্য ভালোরকম যত্ন নেওয়া দরকার
(২) এটি কিভাবে হয়েছে জানি না, প্রথম দু'টি অনুচ্ছেদ দু'বার এসেছে। অনুচ্ছেদ দু'টির মাঝে কোন ফাঁকও নেই।

খুবই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলাম। এই সব তথ্য আমাদের গ্রাম-গঞ্জের মানুষের জন্য খুবই দরকার। আশা করি এই ধরণের উপযুগী তথ্য আরও পাব।
-এ এস এম আশিকুর রহমান অমিত।

বিজ্ঞান এবং জীববিজ্ঞান এইদুটো ট্যাগ না থাকলে হয়তো লেখাটাকে এড়িয়ে যাওয়া যেত। এইরকম অসংখ্য লেখা চোখে পড়ে, এড়িয়ে যেতে হয়। আমার মনে হচ্ছে এই লেখাটিতে দেয়া অনেকগুলো "বৈজ্ঞানিক তথ্য' আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত। এক এক করে আসছি।

আপনি বলছেন,

অথচ কমবেশি ২৫ ভাগ সাপের বিষ আছে। বাকিদের আত্মরক্ষার ব্যবস্থা কীসে? আপনি বলেছেন প্রকৃতি তার সন্তানদের ভেতর আত্মরক্ষার ব্যবস্থা করে দেয়। প্রকৃতি যে চিন্তাশীল সেইটা আপনাকে কে বলল? লাখে হাজারে প্রজাতি যে টিকতে না পেরে ধ্বংস হয়ে যায়/গেছে তাদের ব্যপারে প্রকৃতির মতামত কী?

আপনার তো বুদ্ধি আছে। আপনাকে এক বালতি সাপের বিষ দিয়ে দিলে প্রাণিরাজ্যে ছড়ি ঘোরাতে পারবেন?

বুদ্ধিমত্তা কী? স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারলে একটা প্রাণি বুদ্ধিমান?

কোথায় পেয়েছেন এই তথ্য?
সাপ বাতাসের রাসায়নিক উপাদান যাচাই করে শত্রু/শিকার চিনতে পারে। ওইটাই সাপের ঘ্রাণশক্তি। সাপের দৃষ্টিশক্তি দূর্বল। কিন্তু অনেক প্রজাতি থার্মাল রেডিয়েশনও সনাক্ত করতে পারে।

জিম করবেট একজন বিজ্ঞানী এই কথা আপনাকে কে বলল? বনবিজ্ঞানী ছিলেন নাকি উনি? কোথায় গবেষনা করতেন?

এই তথ্যের সূত্র দেন। আলোকিত হই।

এইসব আইডিয়ারও সূত্র দেন। আলোকিত হয়ে মরি।
সাপের দৌড়ের সর্বোচ্চ গতি কীরকম হতে পারে জানতে চেষ্টা করে দেখেছেন? মানুষ প্রয়োজনে কম দূরত্ব কত বেড়ে দৌড়তে পারে সেটা ভেবে দেখেছেন? (বইলেন না বাংলাদেশে ব্লাক মামবা থই থই করতেছে!)

কাহিল হয়ে গেলাম। বিজ্ঞান বিষয়ক আপনার সব লেখায় কি আপনি আপনার "ধারনা'-কে শুদ্ধ বৈজ্ঞানিক তথ্য হিসেবে উপস্থাপন করেন?

যেকোন তথ্যভিত্তিক লেখাতে তথ্যসূত্র উপস্থাপন জরুরি। বিশেষ করে বিজ্ঞান বিষয়ক লেখাগুলোতে এর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি কারন পাঠক স্বাভাবিকভাবেই লেখাতে প্রাপ্ত তথ্যগুলো নিয়ে যাচাই-বাছাই করতে চাইবে। আপনার এই লেখাটিতে একটিও তথ্যসূত্র নেই, আপনার উপস্থাপিত তথ্যগুলো আপনি কোথায় দেখেছেন/পড়েছেন জানার আগ্রহ রইল।

অনেক ভ্রান্তি হয়তো আছে। কিন্তু তারপরও এটা চমৎকার একটা লেখা।
অনেক নতুন কিছু পেলাম।

ভালো থাকবেন রনি।
আপনার জন্য শুভকামনা।

-------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

এটা কিন্তু একেবারেই ভ্রান্ত ধারনা। প্রকৃতি কোন সন্তানকেই আত্মরক্ষার ব্যবস্থা করে দেয় না। কোন নির্দিষ্ট প্রাকৃতিক পরিবেশে আত্মরক্ষার উপযোগী বৈশিষ্ট্যগুলো যে প্রজাতির মধ্যে প্রকাশিত হয় সে প্রজাতিটি প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়। এটি সম্পূর্ণরূপে বহিঃশক্তির প্রভাবমুক্ত! অভিযোজিত হবার ক্ষমতা না থাকলে প্রজাতিটি বিলুপ্ত হয়ে যায়।

আচ্ছা করবেটের কোন লেখায় এটা পড়েছেন? বহু বছর আগে পড়েছি করবেট, ভুলে গেছি।

আপনার লেখার শুরুটা ভুল তথ্যে ভরা। বিজ্ঞান নিয়ে লেখতে হলে আরেকটু সচেতন হতে হয়। আপনি অসংখ্য ব্যক্তি মতামত কিংবা বিশ্বাসকে ধ্রুব বলে দিয়েছেন। যেমন

বোকা প্রাণী কি করে বুঝলেন? প্রাণীর বুদ্ধিমত্তা মাপলেন কেমন করে?

আবার বলছেন

প্রকৃতি কার সংখ্যা অজস্র হবে আর কার কম হবে সেটা নিরীহ আর হিংস্রতার উপর নির্ভর করে কি?

প্রকৃতি যদি রক্ষাকর্তা হতো তাহলে ভাই ওই জগতেও সৃষ্টিকর্তার গুনকীর্তনে ভরে যেত, ওরাও মানুষের মতো প্রার্থনালয় গড়ে তুলতো আর নাস্তিক প্রাণীদের খতম করার মিশনে নামতো।

প্রাণী রাজ্যে কি বিষ দিয়ে ছড়ি ঘোরানো যায়?

প্রথম দিকে এইসকল তথ্য গুরুত্বপূর্ণ লেখাকে অনেকটা ম্লান করে দিয়েছে। আশা করি ভবিষ্যতে এই বিষয়গুলোতে আরেকটু দৃষ্টি দিবেন। শুভকামনা

মাসুদ সজীব

সাপ ভালো লাগে, কিন্তু লেখাটা পড়তেই পারলাম না

দেরী করে এলাম দেখি !! লেখাটাই তো নেই!!

প্রয়োজনীয় সংশোধনী সমেত লেখাটা কি রাখা যেত না?

দেরিতে আসার জন্য লেখাটা আমিও মিস করলাম।

তবে রণি, কাজটা ঠিক করলেন না আপনি। এবারেরর একুশে বইমেলাতে আপনার সাথে অণুসহ পরিচয় হয়েছিলো। ব্যক্তি হিসেবে নিঃসন্দেহে আপনাকে চমৎকার মানুষ মনে হয়েছে। কিন্তু তার ছায়াটা কলম বা কীবোর্ডের আগায়ও থাকা স্বাভাবিক ছিলো। আমার জানা মতে সচলের সদস্যা প্রায় সবাই-ই নিজ নিজ ক্ষেত্রে সেরা সেরা লোক। আর তাদের কৌতুহল ও জানার পরিধি এতো ব্যাপক যে আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের কাছ থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বহু কিছু পেয়ে সমৃদ্ধ হই। এবং যেখানেই আমাদের অস্পষ্টতা বোধ হয় সেখানেই প্রশ্ন করে অভ্যস্ত সবাই। আর একজন মুক্তচিন্তক নিরীশ্বরবাদী মানুষের ক্ষেত্রে তো এই অভ্যাসটা লালন করাই আবশ্যক। সেক্ষেত্রে আপনি নিজে যা করে থাকেন, সেখানে অন্যের কাছ থেকে এই প্রশ্নমুখীনতা পেলে অসহিষ্ণুতা দেখানোটা কি স্ববিরোধী হয়ে যায় না ? আপনি যদি এখানে অন্যদেরকে শুরুতেই প্রতিপক্ষ ভেবে বসেন তাইলে বড় একটা ভুল করে ফেললেন।

সচলে কিছু লিখে জানানো মানে কেবল জানানোই নয়, একইসাথে নিজে জানা এবং নিজের জানাটাকে যাচাই করার একটা চমৎকার ক্ষেত্রও। এটা খেয়াল রেখে নিয়মিত লিখে যাবেন এটাই আশা করবো। যেখানে কেউ প্রশ্ন করে না সেটা জীবনমৃতদের জায়গা। সচল কিন্তু একইসাথে অভিজ্ঞ ও জিজ্ঞাসুদের চারণভূমি। একজন মুক্তচিন্তকের জন্য এমন চমৎকার প্ল্যাটফরম আর ক'টা আছে বলেন ! আমরা সবাই সবকিছু জানবো এমন কথা নেই। কিন্তু জিজ্ঞাসু হওয়ার চমৎকার আবহটা কিন্তু এখানে পরিপূর্ণভাবে বিদ্যমান। আমার তো ধারণা আপনার জন্য সচল একটা চমৎকার ক্ষেত্র হবার কথা ছিলো। আশা করবো নিজেকে পুনর্বার পর্যালোচনা করবেন। ভালো থাকবেন, শুভকামনা।