কোহিনুরের যমজ (২)

শঙ্কর এর ছবি
লিখেছেন শঙ্কর [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১২/১১/২০১২ - ৫:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কোহিনুরের যমজ (১)

গুপীর কথা

কলকাতার রাস্তা ছাড়ালেই চারিদিকটা কেমন যেন অন্যরকম হয়ে যায়। আকাশটা বেশ পরিষ্কার লাগে, হাওয়াটা বেশ ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগে। মনের জট ছেড়ে যায়, ভয়ডর কেটে যায়। কেমন যেন গলা খুলে গাইতে ইচ্ছে করে, ‘হারে রে রে রে রে, আমায় ছেড়ে দে রে দে রে’।যেই

অমনি গুপীটা ফ্যাক ফ্যাক করে হাসতে হাসতে বললো, ‘এখনোতো পুলিশে ধরেই নি। এর মধ্যেই ছেড়ে দে, ছেড়ে দে করে আর্তনাদ করছিস কেন?’ ইচ্ছে করছিল ওর ঠিক নাকের ওপর এমন একটা ঘুঁষি ঝাড়বো, কিন্তু গাড়ী চালাচ্ছে বলে আর কিছু করলাম না।

হু হু ঠাণ্ডা বাতাসে মাথাটা একটু একটু করে ঠাণ্ডা হচ্ছে আর আমি ভাবতে শুরু করেছি। পুলিশ কেন? তাও আবার বাড়ীতে। কাল রাতে তো আমি তেমন কিছু দোষ করিনি। শুধু ওই মেয়েটাকে দেখে রোখ চেপে গিয়েছিল। পুঁচকে মেয়ে, আমাকে টপকে যাবে ও? আমিও স্পীড তুললাম। দেখি ও - ও স্পীড বাড়াচ্ছে। দুজনা পাশাপাশি ছুটছি। হঠাত পাশ থেকে গুপীর চীতকার, “লালবাতি, লালবাতি। গাড়ী থামা।” কিন্তু তখন কি আর গাড়ী থমানো যায়? একে স্পীড উঠে গেছে, তায় রোখ চেপে গেছে। দিলাম লালবাতির মধ্যেইচালিয়ে। মেয়েটা ভয় পেয়ে দাঁড়িয়ে গেল। ভয় পাবেনা? মেয়েছেলে তো। ওগুলো অমনিতেই ভীতুর ডিম হয়। পুলিশটা বোধ হয় নম্বর লিখে নিয়েছিল। কিন্তু তার জন্য কি বাড়ীতে পুলিশ আসবে? নিশ্চয়ই অন্য কিছু ব্যাপার। পানুর সঙ্গে ব্যাপারটা আলোচনা করার দরকার।

সব কথা শুনে পানুও একমত। তাহলে বোধ হয় কালকের ব্যাপারে পুলিশ আসেনি। তাহলে পুলিশ এসেছিল কেন? অনেক ভেবে দুজনার মনে হল কাল রাতে মামা একবার মামীকে বলছিল বটে, মামার দোকান থেকে একটা পায়রার ডিমের মত বড় মুক্তো হারিয়ে গেছে। সেই জন্যুই বোধ হয় পুলিশ আসছে।

আমার হঠাত কেমন যেন ভীষণ হাসি পেতে লাগলো। আমি হাসতে হাসতে বললাম, “হ্যাঁ:, পুলিশ আসবে, আমাকে সার্চ করবে, আর পকেট থেকে এই এত্তবড়ো পায়রার ডিমের মতো একটা হী- হী- হী পানু এটা কী রে?”

আমার পকেট থেকে হাত বেরিয়ে এসেছে। আর সেই চিত করা হাতের মধ্যে এই এত্তোবড়ো পায়রার ডিমের মতো সাইজের মুক্তো। পানু মুক্তো দেখে এমন চমকে গেল যে ঘটাং ঘটাং শব্দ করতে করতে গাড়ীটা থেমে গেল। আমি তো ওকে ঘাবড়াতে দেখে এমন মজা পেলাম , “কীরে, এতেই এতো ঘাবড়ে গেলি, পদিপিসির সেই বর্মি বাক্সের নওলাখা হারের খোঁজ পেলে কি করবি?”

- গাধার মতো চিল্লাস না। সামনে তাকিয়ে দেখ।

আরিব্বাস। সামনেই একটা পুলিশের জিপ। চার-পাঁচটা লাঠিধারী পুলিশ আমাদের দিকেই এগিয়ে আসছে। ওরে বাবা, লালবাতি টপকালে কলকাতা থেকে পনেরো কিলোমিটার দূরেও পুলিশ তাড়া করে?

পানুর কথা

গুপীটার মতো গবেট আমি আর একটাও দেখিনি। গাড়ীর সামনে থেকে চার-পাঁচটা পুলিশ গম্ভীর মুখে আমাদের দিকে আসছে, আর উনি হাত চিত করে জগতসভায় কোহিনূর প্রদর্শন করছেন।

‘হাতটা পকেটে ঢোকা’, কড়া করে একটা ধমক দিলাম আর গুপীও থতমত খেয়ে হাতটা পকেটে ঢুকিয়ে দিল।

পুলিশ অফিসার হেলতে দুলতে এগিয়ে এলেন। সামনের জানালার পাশে এসে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলেন,”কোথা থেকে আসা হচ্ছে?”

- আজ্ঞে, কলকাতা থেকে।
- অ, নাম কি?

আমি জানি এসব ক্ষেত্রে সত্যি নাম বলতে নেই। তাই ডাকনামটা বললাম ‘পানু’।
- গাড়ী চালানোর লাইসেন্স আছে?
- হ্যাঁ।
- দেখি।

লাইসেন্স দেখে গম্ভীর হয়ে বললেন, “হুঁ।নাম বললেন পানু, এদিকে লাইসেন্সে নাম লেখা আছে কৌস্তভ গুপ্ত।ব্যাপারটা কি?”
- আজ্ঞে, ওটা আমার ডাক নাম (দেখেছ, কেমন ম্যানেজ করে দিলাম। আমি কি গুপীর মতো বোকা নাকি?)।
- একবার ডিকিটা খুলবেন?
- নিশ্চয়ই, কিন্তু ব্যাপার কি?
- সেটা ডিকি খুললেই বুঝতে পারবেন।

হুঁ:, ফাঁকা ডিকি দেখে কি বুঝবে? গুপীকে চাবিটা দিয়ে বললাম, “গুপী, ডিকিটা খুলে দেখা তো এনাকে।”

চাবি ঘুরিয়ে ডিকি খুলে পুলিশ অফিসারের দিকে তাকিয়ে গুপী বলল, “দেখুন খালি ডিকি।”

ওমা, ডিকির থেকে এক লাফ মেরে বেরিয়ে এলো দিয়া “তখন থেকে ধাক্কা মারছি, কেউ শুনছোই না। ঝাঁকানির চোটে আমার সারা গায়ে ব্যথা হয়ে গেল।”

পুলিশ অফিসার গম্ভীর হয়ে বললেন, “কিডন্যাপিং কেস। দফা নম্বর একশ বাহাত্তর। চলুন থানায়। “

- দিয়া!!! তুই এখানে কি করছিস?
- ও কি বলবে? আমি বলছি। পরিষ্কার কিডন্যাপিং-এর কেস।
- আরে না না, দিয়া আমার নিজের মামাতো বোন।
- মানে, নিজের মামাতো বোনকেই কিডন্যাপ করছিলেন? এরকম কেস অনেক শুনেছি। আমার এলাকায় এই প্রথম। চল থানায়।
- একীরে বাবা। নিজের মামাতো বোনকে কেউ চুরি করে, তাও আবার দিয়াকে? তাবড় তাবড় প্রফেশনাল ছেলেধরাকে ও একাই ঘোল খাইয়ে ছেড়ে দিতে পারে।

দিয়াই জবাব দিল, “আমাকে আবার কে চুরি করবে? গুপীদাদা, পানুদাদা? হেঃ। বলে বাবা একবার হাঁক দিলে দুজনাই প্যাণ্টে হি হি...”

কি ত্যাঁদড় মেয়ে দেখেছ? তবে ওর কথাতেই কাজ হল। পুলিশ অফিসার গম্ভীর হয়ে ওকে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমাকে ওরা চুরি করেনি বলছো? তাহলে তুমি ওখানে ঢুকেছিলে কেন?”

- কেন আবার? মায়ের পাখার বাড়ির হাত থেকে বাঁচতে।
- বুঝেছি। আপনারা যান। প্রমোশনটা এবারেও ফস্কে গেল।

আমরা আবার রওনা দিলাম। এবার পেছনের সিটে দিয়া কলকল করতে করতে চলল।

- গুপীদা, পানুদা আমরা কোথায় যাচ্ছি?

সত্যি তো? বেরিয়ে পরেছি তো, কিন্তু যাবো কোথায়? পানুর দিকে তাকালাম, ও একটা ছাগলের মতো মুখ করে সামনের দিকে তাকিয়ে তো তো করতে লাগলো। আমার হঠাত মনে পড়ে গেল, পানু কার একটা কথা বলছিল না? পদিপিসি। আমি চট করে বলে দিলাম , “পদিপিসির বাড়ি।”

‘পদিপিসির বাড়ি? সত্যি? কি মজা কি মজা। কদিন বেশ বই নিয়ে বসতে হবে না’, দিয়া আনন্দে লাফাতে লাগলো।

দিয়ার কথা

পদিপিসির নামটা বাবার মুখে অনেকবার শুনেছি। পদিপিসি নাকি ইউনিভার্সাল পিসি, বাবার পিসি, আবার আমাদেরও পিসি, অনেকটা চাঁদমামার মতো। তাঁর নাকি কতো বয়স কেউ জানেনা। বাবা ছোটবেলা থেকে তাকে একই রকম দেখে আসছেন।একবার ভোররাতে গোয়ালের গরুগুলো খুব চেঁচামেচি করছে দেখে পিসি ঘুমচোখে গোয়ালঘরে ঢুকেছেন। দেখেন সামনের গরুটা দড়ি ছিঁড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওটাকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিজের জায়গায় রেখে যেই দড়ি খুজতে গেছেন, অমনি সে ‘ঘ্যাঁও’ করে একটা ডাক ছেড়ে খোলা দরজা দিয়ে দেদ্দৌড়। আর পদিপিসি ভালো করে দরজা বন্ধ করে ঘরে এসে বকতে লাগলেন, “চাকর-বাকরগুলোও হয়েছে যত্তোসব। গোয়ালের দরজাটাও ঠিক করে বন্ধ করবে না। আরেকটু হলেই গরুগুলোকে বাঘে খেয়েছিল আর কি।” তারপর থেকে মুলতানী গরুটা দুধ দোয়ার সময় পা ছুঁড়লে রামভরোসা তার কানে কানে বলতো, “পদিপিসিকে ডাকবো নাকি?” পদিপিসির সুনাম আশেপাশের গ্রামগুলোতে এতোটাই ছড়িয়ে গিয়েছিল যে সেবার যখন বিশুডাকাত পাশের গ্রামের জমিদারবাবুর বাড়ীতে তীরের মাথায় চিঠি লিখে জানালো সে আসছে অমাবস্যায় ডাকাতি করতে আসবে, জমিদারবাবু সেই তীরটাই দরজার সামনে টাঙ্গিয়ে পাল্টা জবাব লিখে রাখলেন, “পদিপিসি আসছেন।” বলা বাহুল্য, বিশু আর দেখা দেয় নি।

আর সেই পদিপিসির বাড়ি জাচ্ছে গুপীদা-পানুদা? যারা বাবার একটা হাঁক শুনলেই প্যান্টে হি হি... নাঃ ব্যাপারটা কেমন কেমন ঠেকছে। ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।
- কখন ঠিক হল পদিপিদির বাড়ি যাওয়ার? সকাল বেলাতেও যখন দুজনে আড্ডা মারতে বেরোলে তখনও তো কিছু শুনিনি বাপু?
- এই তো এখুনি ঠিক হল।
- এখন বিকেলবেলা ঠিক হল পদিপিসির বাড়ি যাবে? তাহলে দুপুরবেলা যখন বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিলে তখন কোথায় যাওয়ার প্ল্যান ছিল শুনি?
- আরে না না। আমরা তো তখন থেকেই ওখানে যাবো বলে ভেবে রেখেছিলাম।
- দেখ গুপীদা পানুদা , আমাকে তেমন ছোট্টটি ভেবো না। এখন আমি ক্লাস ফোরে পড়ি। এইচ.সি.এফ, এল.সি,এম স-অ-অ-ব করতে পারি। সত্যি কথা যদি না বলেছ তাহলে এক্ষুনি কিন্তু কুরুক্ষেত্র বাধিয়ে দেবো বলছি।
- কি করবি তুই?
- কি আবার করবো। সামনের মোড়ে চীতকার করবো, “বাঁচাও, বাঁচাও আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। হাটুরে মার কাকে বলে জানো তো? একটাও মাটিতে পড়বে না।
- ওরে বাবা, গুপী বলেই দে ভাই।

কাল রাতের লালবাতির গল্পটা শুনলাম। - ছ্যা ছ্যা, একটা পুঁচকে মেয়েকে হারাতে গিয়ে তোমরা আইন ভেঙ্গেছ?

দিয়ার কথা

পদ্মসায়র পৌঁছতে পৌঁছতে সন্ধ্যে হয়ে এল। একে ওকে তাকে জিজ্ঞেস করতে করতে পানুদা একটা বাড়ির সামনে এসে গাড়ি দাঁর করাল। গাড়ির ইঞ্জিন চালু রেখেই গুপীদাকে বললো, “দেখতো এই বাড়িটাই কি না।”

গুপীদা এগিয়ে গিয়ে কড়া নাড়লো। ভেতর থেকে হাঁক শুনলাম, “কে ড়্যা?” ভয়ের চোটে গাড়ীর ইঞ্জিন একবার খক খক করে কেশেই বন্ধ হয়ে গেল। পানুদা ঘাড় নেড়ে বললো, “শিওর এটাই হবে।”

বাড়ির দরজা খুলে যিনি বেড়িয়ে এলেন তিনি কিছুতেই বাবার পদিপিসি হতে পারেন না। গুপীদা পানুদার মতো দুটো ষণ্ডাগুণ্ডাকে ঢুকতে দিতেন কি না জানি না, আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমরা কে?” আমি আমার নাম বললাম, বাবার নাম বললাম, তারপর জিজ্ঞেস করলাম, “তুমি কি পদিপিসি?” উনি মিষ্টি হেসে বললেন,”হ্যাঁ, তবে তোমার পদিপিসি। শঙ্করদার বোন প্রদীপ্তা। শঙ্করদা তোমার কাছে যার গল্প করেছেন, তিনি হলেন আমার মা, পদ্মরানী, সকলের পদিপিসি। চলো সবাই ভেতরে চলো। এই টেনি, মালপত্রগুলো তোল না।”

“যাই মাসী,” বলে কোণের ঘর থেকে গোটা চারেক ছেলে বেরিয়ে এল। সামনের জনাই বোধ হয় লীডার হবে। ছ'ফুটের ওপর লম্বা, খাড়া নাক। দ্বিতীয় জনা একটু গাঁট্টাগোট্টা চেহারার। দরজার কাছে এসে জিজ্ঞেস করলো ,”মালপত্রগুলান কই গো টেনিদা?’

তিন নম্বরটি বেশ ভালো ছেলে, ভালো ছেলে মার্কা দেখতে। নাকের ওপর চশমাটা তুলে বললো, “আগে গাড়ীর কাছে চল হাবুল।”

সবার পেছনে যে এল সে কি রোগা কি রোগা। আমার মায়ের পাল্লায় পড়লে মা রোজ সকালে ওকে তিন গ্লাস দুধ খাইয়ে তিন দিনে হেলদি বানিয়ে দিতেন। ওই টেনিদা না কে যেন, ওর দিকে তাকিয়ে বলল, “তোকে আর ওদিকে যেতে হবে না প্যালা। তুই আবার মাল নামাবি কি, তুই তো নিজেই একটা মাল। তুই বরং আজ রাতে শিঙ্গি মাছ দিয়ে কটা পটলের ঝোল খাবি, তাই গুণতে থাক।”
- বাজে কথা বললে ভালো হবে না বলছি টেনিদা।
- ম্যালা ফ্যাচ ফ্যাচ করিসনা প্যালা, নইলে এক চড়ে তোর কান কানস্কাটকায় পাঠিয়ে দেবো।
“কানস্কাটকা নয় টেনিদা, কামস্কাটকা”, চশমা পরা ছেলেটা বলল।
- ওই একই হল, টেনি মুখুজ্যের থাপ্পড় খেলে কামস্কাটকাকে কানস্কাটকাই শোনাবে। নে নে মালগুলো নামা।
- আমাদের কোন মাল নেই গো, এতোক্ষণে পানুদার গলা শোনা গেল।
- ও, তোমরাও বুঝি আমাদের মতো লোটা কম্বল করে সম্বল বেরিয়ে পড়েছো। জম্পেশ ব্যাপার তো, এক গণ্ডা ছিলাম, দেড় গণ্ডা হলাম। ডি লা গ্র্যাণ্ডি মেফিস্টোফিলিস।

ওমনি, বাকি তিনজন বলে উঠলো, “ইয়াক, ইয়াক।”

আমি বুঝলাম একটা মজার বাড়িতে ঢুকে পড়েছি।


মন্তব্য

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভালো লাগলো

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জুন এর ছবি

আহা! কতদিনপর টেনিদাকে দেখলুম। হাসি গতপর্বে গল্পটা বেশ সিরিয়াস টাইপ মনে হচ্ছিল। এইবার দেখি পুরাই ফ্যান্টাসী। তবে খারাপ লাগছে না এই টারনিংটাও। বোধহয় চরিত্রগুলো চিনি বলেই। চলুক। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

কীর্তিনাশা এর ছবি

চমৎকার লাগলো চলুক

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

তাপস শর্মা এর ছবি

দারুণ ......

তবে ২য় পর্ব দিতে এত্ত দেরি হল, এর পরেরটা তাড়াতাড়ি দিয়ে দিন, নইলে কাহিনী মাথা থেকে বের হয়ে যায় হাসি

শঙ্কর এর ছবি

আমার ল্যাপটপের মনিটর হঠাত সাদা হয়ে গেছিল গো দাদা। সেটা সারাতেই এতোদিন লাগলো।

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার গল্প চলুক

আসমা খান

মর্ম এর ছবি

আরে প্যালারামকে দেখা যাচ্ছে দেখি! চলুক চলুক, শিঙ্গি মাছের ঝোল গড়াক কিছু! পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

অতিথি লেখক এর ছবি

"ডি লা গ্র্যাণ্ডি মেফিস্টোফিলিস: ইয়াক ইয়াক!!!" হইছে
চলুক, এট্টু তাড়াতাড়ি ছাইড়েন দাদা পরেরটা,

--বেচারাথে্রিয়াম

কালো কাক  এর ছবি

মজার তো !

তারেক অণু এর ছবি
আয়নামতি এর ছবি

ভয় পাবেনা? মেয়েছেলে তো। ওগুলো অমনিতেই ভীতুর ডিম হয়।

এই ভুলটা ভাঙতে গুপীদা, পানুদাকে
আহ্বান জানাচ্ছি, চলে আসুন পরীক্ষা হয়ে যাবে রেগে টং

কৌস্তভ

নামটা দেখেই মনে মনে আচ্ছা মত পিটা খাওয়া দেখবো ভেবেছিলাম। সে গুড়ে বালি মন খারাপ
লেখাটা খুব ভালো লাগলো!

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লেগেছে শঙ্কর দা চলুক

অমি_বন্যা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।