কোহিনুরের যমজ (৩)

শঙ্কর এর ছবি
লিখেছেন শঙ্কর [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৪/১১/২০১২ - ৯:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কোহিনুরের যমজ (১)
কোহিনুরের যমজ (২)

দিয়ার কথা

ভোরবেলা কানের কাছে চড়াই আর শালিক কিচিরমিচির শুরু করলে কি আর ঘুমিয়ে থাকা যায়? মাকে বলতে হবে এলার্ম ঘড়িটার আওয়াজ বদলে যেন পাখির আওয়াজ করে দেয়, তাহলে আমার নিশ্চয়ই ঘুম ভেঙে যাবে। জানালার দিকে তাকিয়ে দেখি, একটু একটু আলো ফুটে উঠেছে। পাশে পদিপিসি ঘুমোচ্ছে। আমি পা টিপে টিপে বেরোলাম, এ পাশের ঘরে গুপীদা আর পানুদা শুয়ে, ও পাশের বড়ঘরে টেনিদা আর তার তিন স্যাঙাত। আমি জুতো পায়ে গলিয়ে দরজা খুলে দে দৌড় দে দৌড়। ইশশ, কি সুন্দর সকাল। এমন সময় কি শুয়ে শুয়ে ঘুমোতে আছে? সকালে তো ঘুমোতে হয় যেদিন স্কুল থাকে আর হোম ওয়ার্ক শেষ হয় নি। আমি ঝোপের পাশ দিয়ে, গাছের তলা দিয়ে নাচতে নাচতে লাফাতে লাফাতে মনে মনে গাইতে লাগলাম, “কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা।”

কারা যেন ছুটতে ছুটতে এদিকেই আসছে। আমি ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে পড়লাম। দেখি, গুপীদা, পানুদার বয়সী দুটো ছেলে বেশ টি-শার্ট, শর্টস আর কেডস পরে ছুটতে ছুটতে আসছে। কাছে আসতে শুনতে পেলাম এক জন আরেকজনকে বলছে, “এদিকে একটা বাচ্চা মেয়ে দেখলাম যেন রে তপেশ।”
- কৈ, আমি তো খেয়াল করিনি। পাড়ার কোন বাচ্চা হবেরে সন্তু।

অতো সোজা নাকি। আমি লুকিয়ে পড়লে, ট্যাঁপা, পল্টু, টুম্পাদি, কেউ খুঁজেই পায়না। ছেলেদুটো দৌড়তে দৌড়তে ওদিকে চলে গেল। আমিও আমার মত এগিয়ে চললাম। আরেকটু এগিয়ে পুকুরপাড়ে দেখি একটা টাকমাথা লোক হাসি হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে । লোকটার সামনে একটা প্রজাপতি উড়ছিল। লোকটা হঠাত ডান হাতটা মুঠো করে সামনে তুলে কবিতা বলতে লাগলো,

“হে প্রজাপতি,
বড় অস্থির তোমার মতি,
তুমি শুধু উড়েই বেড়াও
কভু নাহি দাও যতি।”

হঠাত আমায় দেখে হেসে হেসে বললো, “সারদাচরণ হাইস্কুলের বৈকুণ্ঠ স্যারের কবিতা, এখনও মনে আছে।খুকু তুমি কবিতা বলতে পার?”

আমি এখনও খুকু নাকি? আমি রাগ করে কোন কথা না বলে চলে এলাম।

আরেকটু এগোলে একটা বড় বাড়ি। সামনে লেখা আছে, “সরকারী অতিথিশালা”। কি সুন্দর বাগান। আমি বাড়িটার ভেতরে ঢুকে পড়লাম। কি সুন্দর সব সাদা, লাল হলুদ ফুলের বাগান। দূরে দুজন লোক মুখোমুখি চেয়ারে বসে আছেন। তাদের মাঝে একটা ছোট টেবিল। আমি ঝোপের আড়ালে অনেকটা এগিয়ে গিয়ে দেখি, ওরা দাবা খেলছেন। একজন লম্বা খুব সুন্দর দেখতে লোক, অনেকটা আমার ছোটকাকার বয়সী। সে একটা গুটি এগিয়ে দিয়ে বললো, “নৌকো সামলান কাকাবাবু।”

কাকাবাবু আমার বাবার থেকেও বড়। পায়ে বোধহয় কিছু গণ্ডগোল আছে। পাশের ক্রাচদুটোতে হাত বোলাতে বোলাতে বললেন, “ডায়লগটা ঠিক হলনা ফেলুবাবু। তোমার বলা উচিত ছিল, ‘ত্বরায় তরণী কর পার’। গল্পটা জান তো?”

“কই না তো। কিন্তু গল্পটা কি আমি একাই শুনবো, নাকি যে লাল-হলুদ পরীটা প্রজাপতির মত গাছের আড়ালে লুকিয়ে আছে, সেও শুনবে?”, বলে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, “এদিকে এস মিষ্টি মেয়ে।”

এমন সুন্দর করে ডাকলে কি না এসে পারা যায়। আমি এগিয়ে এসে বললাম, "তুমি আমাকে দেখলে কি করে? আমি লুকিয়ে পড়লে তো ট্যাঁপা, পল্টু, টুম্পাদি কেউ দেখতে পায়না। একটু আগে সন্তু আর তপেশ বলে দুজন ছুটে গেল, তারাও দেখতে পায়নি।”

“গাছের আড়ালে লুকোতে গেলে লাল-হলুদ রঙের ফ্রক পরতে নেই”, ফেলুদা বলে উঠলো।
"আর ফেলুদার সামনে কিছু লুকনো যায়না", কাকাবাবু বললেন আর দুজনেই হেসে উঠলেন।
"কিন্তু গল্পটার কি হল?", আমি বললাম।
"হ্যাঁ হ্যাঁ গল্পটা", কাকাবাবু বলতে লাগলেন, “এককালে আমাদের দেশের রাজাদের মধ্যে দাবাখেলার খুব চল ছিল"।
"দাবা না পাশা, দুর্যোধন যুধিষ্ঠিরের সঙ্গে খেলেছিলেন", আমি বললাম। ঠাকমার কাছে শুনেছি।
- হ্যাঁ সে তো মহাভারতের সময়, আমি তার অনেক পরের কথা বলছি।
- ঐ অশোকার সময়।
- হ্যাঁ ঠিক বলেছ। বেচারী অশোক যদি জানতেন যে তাঁকে একদিন আশোকা হয়ে বুডঢাঢর্মা প্রচার করতে হবে, তাহলে বোধ হয় ঐ ধবলগিরিতেই আত্মবিসর্জন দিয়ে দিতেন। যাই হোক, রাজাদের দেখাদেখি, তাঁদের পারিষদবর্গ এমন কি দারোয়ানরাও দাবা খেলায় চৌখস হয়ে উঠেছিল। একবার দুই রাজায় দাবা খেলা হচ্ছে। দারোয়ান দেখলো রাজামশাই ভুল দান দিতে চলেছেন। এই দান দিলে সাত দান পরে রাজামশাইয়ের নৌকোটি বিদেশী রাজার কোঁচরস্থ হয়ে যাবে। কিন্তু দুই রাজার লড়াইয়ে সে তো কিছু বলতে পারে না। তাই সে গান গাইতে লাগলো, “ত্বরায় তরণী কর পার।”
“আপনি আমাকে দিয়ে দারোয়ানের গান গাওয়াবেন কাকাবাবু”, ফেলুদা দুঃখ দুঃখ মুখে করে বলল।
- আরে তাতে কি আছে। দারোয়ানরা বেশ ভালোই গান গায়। ওই কবিতাটা পড়োনি? দারোয়ান গায় গান, শোন ওই রামা হৈ।
- দারোয়ান গান গায় কিনা জানিনা, কিন্তু রামা সত্যি সত্যি একদম হৈ হৈ করে এসে গেছে।

বলতে বলতেই দেখি একটা লোক ফতুয়া আর মালকোঁচা মারা ধুতি পরে, কাঁধে একটা গামছা, হাতে একটা ট্রেতে করে খাবার সাজিয়ে আনছে।
“তাহলে তুমিও আমাদের সঙ্গে খেয়ে নাও পরিরাণী”, ফেলুদা বললো। ঈশশ, বললেই খেতে নেই, লোকে হ্যাংলা বলবে। মা বলে দিয়েছে। আমি মাথা নেড়ে না বললাম।
- কেন?
- পদিপিসি জলখাবার নিয়ে বসে আছে। আমি এখন যাই।
- তাও তো বটে, তুমি দেরী করলে পিসিমা চিন্তা করবেন। তুমি বরং এগুলো নিয়ে বাড়ি ফিরে যাও। যেতে যেতে ইচ্ছে হলে দু-একটা মুখে ফেলে দিও। বল্র কাকাবাবু আমার হাতে এই এত্তোগুলো কাজুবাদাম দিয়ে দিলেন। আমিও ঘাড় নেড়ে বাড়ি ফেরার দিকে রওনা দিলাম।
“আবার এস কিন্তু”, ফেলুদা বললো।
“আসবো, আসবো” বলতে বলতে আমি এক দৌড়।

ফেরার পথে দেখি সেই টাকমাথা লোকটা হাসি হাসি মুখে মাথা উঁচু করে কুইক মার্চ করতে করতে আসছে। আমাদের স্কুলে একবার একটা প্লে হয়েছিল। দৃপ্তনীল আলেকজেণ্ডার সেজে এই রকম করে গটমট করে স্টেজে ঢুকতে গিয়ে একটা চায়ের ভাঁড়ে পা উলটে ধাঁই ধপ্পাস। তারপর ভ্যাঁ করে কেঁদে দিয়েছিল। বেশ হয়েছিল। তার আগেরদিন ক্লাসে আমাকে যেমন মুখ ভেংচেছিল, উচিত শিক্ষা হয়েছে। লোকটাকে দেখেই আমার সেই ঘটনাটা মনে পড়ে গেল আর আমি হেসে ফেললাম। লোকটা আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করলো, “তুমি কোথায় গিয়েছিলে?”

আমি সরকারী অতিথিশালাটার দিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখালাম।

- ও ঐ বাড়ীটা। ফেলুদা আর কাকাবাবুর সাথে আলাপ হয়েছে?
আমি ঘাড় নাড়লাম।
- ওরা এখন কি করছেন?
- ব্রেকফাস্ট করছেন।
- তুমি জান কি খাচ্ছেন? লোকটা হঠাত মুখটা মজার করে বললো।

আমি ডাইনে বাঁইয়ে ঘাড় নাড়লাম, জানি না।
- ওঁরা এখন অকারণে ম্যাকারনি আর খাস্তা খাস্তা পাস্তা দিয়ে নাস্তা করবেন। দুপুরবেলা কি খাবেন জানো? কাতলা মাছের পাতলা ঝোল। তুমি আসবে দুপুরবেলা?

আমি ডাইনে বাঁয়ে ঘাড় নাড়তে নাড়তে বাড়ির দিকে দৌড়লাম। বেলা হয়ে গেছে। পদিপিসি, গুপীদা, পানুদা – ওরা নিশ্চয়ই আমার জন্য চিন্তা করছে।

প্যালার কথা

দালানে সবাই পাত পেড়ে বসেছি। লুচির থালাটা নিয়ে মানদা মাসী এগিয়ে আসছে। আহা কি সুন্দর সুন্দর সাদা সাদা গোল গোল লুচি। আমার নাকে গন্ধ আসা মাত্রই মনে হল কতকাল আমি লুচি খাইনি। পাশের আসনে বসে ক্যাবলা আবৃত্তি করতে লাগলো, “অখণ্ড মণ্ডলাকারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম... আরে আরে আরে টেনিদা”

টেনিদা ইতিমধ্যে এক থাবা মেরে গোটা লুচির থালাটাই হাইজ্যাক করে নিয়েছে। ওপাশ থেকে পদিপিসি বললেন, “কিচ্ছু ভেবনা টেনি, আজ মানদা আড়াই সের ময়দা মেখেছে, দু-পোয়া ওদের জন্য, বাকি পুরো দু-সের তোমার জন্য।“

টেনিদা লম্বা হাত বাড়িয়ে পদিপিসিকে একটা প্রণাম করে দিল।
”থাক থাক হয়েছে হয়েছে, খেতে বসে কাউকে প্রণাম করতে নেই। সেদিন কি আর আছেরে, নাহলে তোদের দুবেলা পোলাও মাংস পায়েস খাওয়া ঠেকায় কে? যদি একবার পেতাম সেই নওলাখা হার, তবে আমাদের কি আর এ দুর্দশা হয়”, পিসি সেই হারের শোকে এতদিন বাদে আবার ডুকরে কেঁদে উঠলেন।
“রাখ তো দিদি তোমার ঐ হার। কবে থেকে তার গল্প শুনছি। সে তো সেই আকবর বাদশার সময়কার গল্প। এতোদিনে সে হার মরে ভুত হয়ে গেছে।”
- তুই কি রে মানদা। হার মরে ভূত হয় নাকি?
- হার মরে ভূত না হলেও হার মরে চুড়ি হয়েছে।
- সেই চুরির গল্পই তো করছি রে। সম্রাট শাজাহানের নাম শুনেছিস তো। কতো কিছু তিনি বানিয়েছেন - তাজমহল, ময়ূর-সিঙ্ঘাসন, কোহিনূর। সেই কোহিনুর চমকাত সম্রাটের মাথার তাজে। তো একবার হয়েছে কি, দিল্লীতে একবার এক জহুরীর কাছে একটা হীরে এসে হাজির হল, যেটা সাইজে কোহিনুরের মতনই বড়। সে তো প্রথমে ভাবলো, সম্রাটের কাছে হীরেটা বেচে দেবে। তারপর ভাবলো, যে সম্রাট তাজমহলের মিস্ত্রীদের হাত কেটে দিয়েছেন, যাতে তারা আরেকটা তাজমহল বানাতে না পারে, তিনিতো এই হীরেটাকেও নষ্ট করে ফেলতে পারেন, তাঁর সাধের কোহিনূরকে মর্‍্যাদা দেওয়ার জন্য। বেচারী
হীরে তখন একলব্যের মত সাইজে ছোট হয়ে যাবে। আর এখবর যাতে পাঁচ কান না হয়, তাই জহুরীবাবুও মুন্ডহীন হয়ে হুরীদের দেশে পৌঁছে যাবেন। কাজেই জান এবং হীরে বাঁচাতে জহুরীবাবু ঠিক করলেন সোজা দাক্ষিণাত্যে চলে যাবেন। ওখানে তখনো পুরোটা সম্রাটের করায়ত্ত হয়নি। দিল্লী থেকে কানপুর হয়ে মগধে এসে জহুরীর সন্দেহ হল তার পেছনে লোক লেগেছে। প্রাণ বাঁচানোর জন্য সে বাংলার দিকে বাঁক নিল। বঙ্গদেশ সম্রাটকে কর দিলেও তখনও দক্ষিণবঙ্গে বারো ভুঁইয়াদের কিছু বংশধর নিজেদের অস্তিত্ব টুকটাক বজায় রেখেছিলেন। তাদের কারোর কাছেই যাবার ইচ্ছে ছিল বোধ হয়। কে জানে। কিন্তু তিনি এক রাত এই বাড়ীতেই ছিলেন। আমাদের এক পূর্বপুরুষ তাকে কয়েকদিন এখানে আশ্রয় দিয়েছিলেন। একদিন সকালবেলা এই দোতলার ঘরে এই জানালাটার ধারে বসে সেই জহুরী যখন আমার পুর্বপুরুষকে ওই হারটা দেখাচ্ছিলেন, তখনই জানালা দিয়ে একটা তীর এসে তাঁর বুকে বিঁধে যায়। আমার পুর্বপুরুষ ‘কে রে?’ বলে এক হাঁক দিয়ে জানালার দিকে ছুটে গেলেন, মেঝেতে তখন জহুরী ছটফট করছেন। বাইরের রাস্তা দিয়ে একটা লোক ঘোড়ায় চড়ে ছুট্টে পালিয়ে গেল। আমার পুর্বপুরুষ পিছন ফিরে দেখেন জহুরী মেঝেতে মরে পড়ে আছেন আর টেবিলের ওপর সেই হীরের হারটা নেই। সেই যে হার হারিয়ে গেল, আর কেউ পেল না। সেই জহুরীর আত্মা নাকি তারপরে বহুবছর এবাড়ীর এঘরে সেঘরে রাতের বেলায় হার খুঁজে বেড়াত। একদিন রাতে আমার মায়ের মুখোমুখি হবার পর সে বেচারী এমন ভির্মি খেয়েছিল যে তারপর আর তাকে এ গাঁয়ের ত্রিসীমানায় দেখা যায়নি। মোটামুটি এই হল হীরের গল্প।

হারানো হীরের হারের গল্প শুনে আমরা যে যার মত নীচে নেমে এসেছি। ঘরে ঢুকেই টেনিদা হাঁক পাড়ল, “ক্যাবলা, এই হার আমাদেরই উদ্ধার করতে হবে। পটলডাঙ্গার ইজ্জত।”
“তাহলে তো কোদাল শাবলের খোঁজ করতে হয় গো টেনিদা”, হাবুলের মন্তব্য।
- কেন শাবল কোদাল কেন?
- গুপ্তধন উদ্ধার করতে হবে না। গুপ্তধন তো মাটির তলায়ই থাকে শুনেছি। তাই শাবল কোদাল।
- তুই থামবি হাবুল, ক্যাবলার বকুনি, “আমি শুধু ভাবছি হারটা নিল কে? ঘরেতো মাত্র দুজন ছিল। একজন মাটিতে কাতরাচ্ছে, আরেকজন জানালার ধারে দাঁড়িয়ে ঘোড়সোয়ার দেখছে। যদি ধরেও নিই, জ্জহুরী মরার সময় হার টেবিল থেকে নিজের কাছে নিয়ে নিয়েছিল, কিন্তু তার দেহ নিশ্চয়ই তল্লাসী করা হয়েছিল। আর অন্যজনতো সারা জীবন কেঁদেই গেলেন হারের শোকে। একটা সম্ভাবনা আছে, যদি সেই মুহুর্তে কেউ ঘরে ঢুকে হারটা সরিয়ে ফেলে, সেক্ষেত্রে কোথায় খুজবো গুপ্তধন?

আমার এতসব তত্ত্বকথার কচকচি ভালো লাগলো না। আমি হাঁটতে হাঁটতে চললাম পদ্মসায়রের দিকে। গুপী-পানুও ওদিকেই গেছেমাছ ধরতে। যদি কয়েকটা পুঁটি মাছও ধরতে পারে, তাইবা মন্দ কি? “রোহিতাদপি রুচিকা, পুণ্টিকা সদভর্জিতাঃ”।

শঙ্করের কথাঃ প্রথম লেখা অনেকটা প্রথম প্রেমের মত। সব সময় ওটার দিকে মন পড়ে থাকে। ওকে কিছুতেই আমার ব্লগে আনতে পারছি না। এবার লিঙ্ক দিয়ে দিলাম – সরকারী অতিথিশালা


মন্তব্য

guest writer এর ছবি

চলুক চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

ফেলুদা আর কাকাবাবুও চলে আসলেন, প্রফেসর শঙ্কু আর ঘনাদাও আসবে নাকি ?? দেঁতো হাসি

লেখা লেখা -গুড়- হয়েছে

--বেচারাথেরিয়াম

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার লাগলো। থামবে নাতো?
স্বয়ম

আয়নামতি এর ছবি

খুব ভালো লাগছে। সময় করে আপনার প্রথম লেখাটা পড়ে ফেলবো।

অতিথি লেখক এর ছবি

#খুব ভালো লিখেছেন, অভিনন্দন আপনাকে উত্তম জাঝা!

আশরাফুল কবীর

তাপস শর্মা এর ছবি

জমে গেছে ......

টানা শেষ করবেন দাদা। থামবেন না। আর কম্পু যখন ঠিক হয়ে গেছে তাইলে আর চিন্তা নাই মনে হয় হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।