বাংলাদেশ: আশায় নতুন জীবনের বসতি - ৫

শিক্ষানবিস এর ছবি
লিখেছেন শিক্ষানবিস (তারিখ: বিষ্যুদ, ০১/০১/২০০৯ - ১০:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ব্রিটিশ শাসনামলে হিন্দুরা অপেক্ষাকৃত বেশি সুবিধা পেয়েছিল

অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ব্রিটিশরা এদেশে এসেছিল। তখন থেকেই তাদের দুই শত বছরের শোষণের সূচনা ঘটে। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিজস্ব সেনা ও নৌ বাহিনী ছিল। সামরিক বাহিনীর সহায়তায় তাদের শোষণের মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এই শোষণ সম্পর্কে অষ্টাদশ শতকের ইংরেজ লেখক হোরাস ওয়ালপোল লিখেছেন,
"স্পেনীয়রা পেরুতে যা করেছিল এখানে আমরা তার চেয়েও বেশী করেছি। হত্যা, রাজাদের সিহাসনচ্যুত করা, লুণ্ঠন, জবরদখল- কোনকিছুই আমরা বাকি রাখিনি। বাংলার যে দুর্ভিক্ষে ৩০ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিল তা সম্বন্ধে যারা জানেন তাদের কেউ বোধকরি আমার এই কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করবেন না। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারীদের একপেশে আইনই কিন্তু সেই দুর্ভিক্ষের কারণ হিসেবে কাজ করেছিল।"

ব্রিটিশ শাসনামলে হিন্দুরা ছিল সরকারী ব্যবস্থাপক ও খাজনা আদায়কারী, মুসলিমদের পেশা ছিল অপেক্ষাকৃত নিম্ন মানের। ১৯৪৭ সালে যখন ভারত স্বাধীন হয় তখন স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল যে, দুই জাতির মধ্যে ঐক্যের কোন সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ এই পুরো অঞ্চল নিয়ে একটিমাত্র রাষ্ট্র গঠন করার কোন উপায় ছিল না। তাই ১৫ই আগস্ট ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি পৃথক রাষ্ট্রের জন্ম হয়। জনসংখ্যার দিক দিয়ে ভারত ছিল পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র আর পাকিস্তানের অবস্থান ছিল ৬ নম্বরে।

দুটি আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে হিন্দু ও মুসলিমদের আলাদা করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু মুসলিমরা এমন দুটি অঞ্চলে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল, যে দুটির মধ্যে দূরত্ব ১,০০০ মাইলেরও বেশী। অগত্যা বিশাল দূরত্বে অবস্থিত এই দুই অঞ্চল নিয়েই পাকিস্তান গঠিত হয়। কিন্তু পাকিস্তানের এই দুই অংশের মধ্যে দূরত্ব ছাড়াও অন্য পার্থক্য ছিল।

দুই অঞ্চলের মানুষের ভাষা ছিল আলাদা। পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীরা ছিল অপেক্ষাকৃত লম্বা ও ফর্সা, পাঞ্জাবীরা যেমন হয়ে থাকে আর কি। তাদের অত্যন্ত কেতাদুরস্ত ভাবটা প্রকাশ পেত হাতের লাঠি ও হাঁটার ভঙ্গিতে; অনেকটা ইংল্যান্ডের স্যান্ডহার্স্ট শহরের অধিবাসীদের মত।

আবেগপ্রবণ বাঙালিরা তাদের মাতৃভাষাকে জীবন দিয়ে ভালবাসতো। তারা নিজেদের মাতৃভূমিকে বলত "সোনার বাংলা"। এই নদীমাতৃক দেশের দিগন্তবিস্তৃত ধান ক্ষেত মুগ্ধ করত তাদের, বর্ষণমুখর দিনে চামেলির সুবাস পরিশুদ্ধ করত তাদের আত্মাকে।

আয়তনে পশ্চিম পাকিস্তান বড় হলেও দেশের অধিকাংশ মানুষ বাস করত পূর্ব পাকিস্তানে। ১৯৪৮ সাল থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষ উর্দুকে সমগ্র পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে। অথচ এই বিভক্ত রাষ্ট্রের শতকরা পাঁচ ভাগেরও কম মানুষ উর্দুতে কথা বলত।

auto

ভোরবেলায় গানের পাখি: নোবেল বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান গেয়ে নতুন বাংলা বছরকে বরণ করে নিচ্ছে এক ছাত্রী। এবার ১৫ই এপ্রিল বর্ষবরণ পালিত হচ্ছে।

মুক্তির আশায় কারাগারে দিনযাপন

বাঙালিদের মধ্যে যারা পশ্চিম পাকিস্তানীদের এই প্রচেষ্টার বিরোধিতা করেছিল তাদের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমান অন্যতম। বিদ্রোহের কারণে তাকে মোট ১৩ বছর বিভিন্ন কারাগারে বন্দী থাকতে হয়েছিল। ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। ফিরে এসে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের এক সমাবেশে তিনি বলেছিলেন,
"আমার সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে... আমার সোনার বাংলা আজ স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ... কারাগার কক্ষে প্রতিটি সেকেন্ড আমি মৃত্যুর প্রহর গুনতাম... আমি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু আমার মধ্যে এ নিয়ে বিন্দুমাত্র সংশয় ছিল না যে, বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি পাবে।"

যত দিন যেতে থাকে পশ্চিম পাকিস্তানীদের শাসন ততই নিষ্ঠুর ও অসহনীয় হয়ে উঠে। রাজধানী থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট, সামরিক বাহিনীগুলোর সদর দপ্তর- সবই ছিল পশ্চিম অংশে।

সবচেয়ে বড় কথা, পূর্ব অংশের ভৌগলিক ও প্রাকৃতিক দুর্যোগেও পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকেরা সাড়া দেয়নি। উদাহরণ হিসেবে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ের কথা বলা যায়। ১৯৭০ এর নভেম্বরে বৃহস্পতিবারের এক রাতে এদেশে ভয়াবহ সাইক্লোন এবং উপকূলীয় ঝড় আঘাত হানে। একে আধুনিক যুগের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। ঘূর্ণিঝড়ে ৬০০,০০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। এর আগে বাংলার এই অঞ্চলে এমন প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় খুব কমই দেখা গেছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের কারণ ও প্রভাব সম্পর্কে অনেক কিছুই স্পষ্ট করে বলা যায় না, বোঝা যায় না অনেক কিছুই। কিন্তু এই ঘূর্ণিঝড় যে স্বাধীনতার এক বিরাট চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই। এই দুর্যোগের সময় পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকদের কোন ভাবান্তর না দেখেই বাঙালিরা বিদ্রোহে ফেটে পড়েছিল।

auto

নিরাশ্রয় আবাদভূমিতে আশ্রয় জোগায় ঢাকা: মৌসুমী বন্যার পানিতে আবাদভূমি ডুবে গেলেও ঢাকা তার সুউচ্চ দালানগুলোকে রক্ষা করে। বন্যার পানির স্তর তার নাগাল পায় না। প্রতি তিন মাসে এদেশের জনসংখ্যা প্রায় ৫ লক্ষ করে বাড়ছে। এই বর্ধিষ্ণু মানুষের প্রধান চাহিদাই চাষের জমি।

জনগণের অতিবিশ্বাসই মুজিবের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়

শেখ মুজিব রাগান্বিত স্বরেই তার অফিসে আমাকে এ কথাগুলো বলেছিলেন, "সবাই আমাদের ব্যবহার করে অর্থ কামিয়ে নিয়েছে- ব্রিটিশ, পশ্চিম পাকিস্তানী সবাই।" তিনি আরও বলেছিলেন, "তারা আমাদেরকে উপনিবেশ হিসেবে বিবেচনা করেছে এবং বাজার হিসেবে ব্যবহার করেছে। তারা আমাদেরকে শোষণ করেছে, ব্রিটিশরা ২০০ বছর আর পশ্চিম পাকিস্তানীরা ২৪ বছর, কিন্তু দমিয়ে রাখতে পারেনি। আমরা ভুগেছি- আমার দেশের সবাই কষ্ট ভোগ করেছে- কিন্তু আমরা এখন মুক্ত, এবং আমি তোমাকে বলছি যে, বাংলাদেশের একটি ভবিষ্যৎ আছে। আমরা সবকিছু কাটিয়ে উঠব।"

প্রধানমন্ত্রী কাপে চা ঢাললেন, জুতো জোড়া খুলে বসলেন। সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত আসছে, তিনি স্বীকার করেছিলেন যে, নিত্যদিনের ব্যস্ততায় তার জীবন "কারাগারের থেকেও কঠিন" হয়ে পড়েছে। এরপর আমি ময়মনসিংহের সভায় যোগ দিয়েছিলাম কি-না জিজ্ঞেস করলেন; জানতে চাইলেন, তার উপর জনগণের অবিচল আস্থা লক্ষ্য করেছি কি-না। যখন বললাম, লক্ষ্য করেছি, তখন তিনি প্রত্যুত্তরে বললেন, "তাহলে তো তুমি জানই, কাজ চালিয়ে যাওয়াটা আমার জন্য কত জরুরী।"

সফল সামরিক অভ্যুত্থানের পর ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানে জরুরী আইন জারি করা হয়েছিল। পরবর্তী ১২ বছরের নির্বাচনগুলো ছিল অত্যন্ত সীমাবদ্ধ। অবশেষে ১৯৭০ সালে যখন সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তখন পাকিস্তানের পূর্ব ও পশ্চিম অংশের জনগণ জাতীয় পরিষদের ৩১৩ টি আসনের মধ্যে ১৬৭ টি-ই আওয়ামী লীগের হাতে তুলে দেয়। আওয়ামী লীগ নিশ্চিত বিজয় অর্জন করে। সেই আওয়ামী লীগের প্রধান অবশ্যই শেখ মুজিবুর রহমান।

এহেন অবস্থায় সামরিক সরকার আসন্ন জাতীয় পরিষদ অধিবেশন পিছিয়ে দেয়। পূর্ব পাকিস্তানে দাঙ্গা হয়। মুজিব জনগণকে বলেন, "প্রত্যেক ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল।" ১৮ দিন পর ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পশ্চিম পাকিস্তানী সেনাবাহিনী আক্রমণ চালায়। পরবর্তী নয় মাস বাংলাদেশে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলে।

"আমরাই প্রথম পাকিস্তানী সেনা ট্যাংক থেকে গোলাটি ছিনিয়ে নিয়েছিলাম"- "দ্য পিপ্‌ল" এর সম্পাদক আবিদুর রহমান আমাকে বললেন। উল্লেখ্য এটি ঢাকা থেকে প্রকাশিত তিনটি দৈনিক পত্রিকার একটি। তিনি আরও বললেন, "এটা সেই প্রথম রাত অর্থাৎ ২৫শে মার্চের ঘটনা। তারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কোন সংবাদ ছাপতে নিষেধ করেছিল, আমরা তা অমান্য করেছিলাম।" তিনি তার পত্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত অফিস সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেননি। পাথরের টুকরোগুলো দিনের পর দিন সেভাবেই পড়ে ছিল। কর্কশ আর ভীতিকর শব্দের কাছে যখন মোরগের ডাকও ক্ষীণ মনে হচ্ছিল তখনও অফিসটিতে কোন পরিবর্তন আসেনি।

দেশের প্রতিটি অঞ্চল থেকে মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে চলে যাচ্ছিল। সব মিলিয়ে ভারতে বাংলাদেশী শরণার্থীর সংখ্যা দাড়ায় ১ কোটিতে। আর বাংলাদেশের ভিতর আরও ১ কোটি বাঙালি নিজ বাসভূমি ছেড়ে অন্য কোথাও পাড়ি জমাতে বাধ্য হয়।

এর সাথে আরও একটি আন্দোলন চলছিল: হাজার হাজার তরুণ গোপন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভিড় করেছিল। সেখানে বাঙালিত্বের নম্রতা ঝেড়ে ফেলে তারা মারণাস্ত্র ও বিস্ফোরক ব্যবহার করতে শিখেছিল। শত্রুর হাত থেকে স্বদেশকে মুক্ত করতে তাদের খুব বেশী সময় লাগেনি। অনেকে তাদেরকে "নাইট্‌স অফ দ লং নাইফ" তথা নিমেষে শত্রুনিধনের বিশেষজ্ঞ হিসেবে আখ্যায়িত করতে পারেন।

auto

বোনের কোলে ভাই: গ্রামের এই ছোট্ট মেয়েটি তার ছোট ছোট ভাই-বোনের দেখাশোনা করে, কারণ তার মা রান্না ও সেলাইয়ের কাজে ব্যস্ত থাকে। তার গলায় একটি তাবিজ ঝুলছে যাতে কোরানের আয়াত খচিত আছে। অনেকে রোগশোক থেকে বাঁচার জন্য তাবিজ ব্যবহার করে। বিয়ের পর এই মেয়েটি যদি বিধবা হয় বা তালাকের কারণে বাপের বাড়ি ফিরে আসে তখন ভাইয়েরাই তার দেখাশোনা করবে।

[চলবে...]

১ম পর্ব | ২য় পর্ব | ৩য় পর্ব | ৪র্থ পর্ব


মন্তব্য

দ্রোহী এর ছবি

অনেকদিন গ্যাপ দিয়ে আবার পড়তে শুরু করলাম।


গরীবের আবার সিগনেচার!!!

শিক্ষানবিস এর ছবি

গ্যাপের সব দোষ নির্বাচনের উপর চাপিয়ে দিচ্ছি।
আর বিলম্ব করব না...

আবির আনোয়ার এর ছবি

অনেকে তাদেরকে "নাইট্‌স অফ দ লং নাইফ" তথা নিমেষে শত্রুনিধনের বিশেষজ্ঞ হিসেবে আখ্যায়িত করতে পারেন।

বরাবরের মতই চমৎকার লাগলো।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

সাগ্রহে পড়ি, মুগ্ধ হই এবং অপেক্ষায় থাকি পরবর্তী পর্বের।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

বিপ্রতীপ এর ছবি

চলুক...চলুক
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...

হাসান মোরশেদ এর ছবি

" বাংলাদেশের একটি ভবিষ্যৎ আছে। আমরা সবকিছু কাটিয়ে উঠব।"

চলুক

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

শিক্ষানবিস, দূর্দান্ত একটি কাজ হচ্ছে।
আরো মুগ্ধ হচ্ছি, আপনার অনুবাদের ক্ষমতা দেখে। কী সাবলীল!

স্পর্শ এর ছবি

শুধু একটা কথাই বলে রাখি। আমি তোমার লেখার নিয়মিত পাঠক। হাসি
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অমিতাভ অধিকারী [অতিথি] এর ছবি

আবার কিস্তিটি আরম্ভ করায় অশেষ ধন্যবাদ । আপনার লেখার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম বেশ কয়েকদিন ।

ফারুক হাসান এর ছবি

দুর্দান্ত।
-----------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী,
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।