শিক্ষানবিস এর ব্লগ

খৈয়ামি রুবাই: ১. সুরার গ্রাস

শিক্ষানবিস এর ছবি
লিখেছেন শিক্ষানবিস (তারিখ: বুধ, ১১/০৭/২০১৮ - ১২:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অন্ধের হঠাৎ দেখার সাধ হলো—এক বাক্য ফার্সি না জেনেও অনুবাদ করতে বসে গেলাম খৈয়ামি রুবাই। ‘খৈয়ামের’ রুবাই না, ‘খৈয়ামি’ রুবাই। স্বামী গোবিন্দ তীর্থ ১০৬৯টি খৈয়ামি (বা ওমরীয়) রুবাই মূল ফার্সি থেকে প্রথমে মারাঠি (‘গুরু করুণামৃত’) এবং পরে ইংরেজিতে (‘দ্য নেক্টার অফ গ্রেইস’) অনুবাদ করেছিলেন। কিন্তু এর মধ্যে স্বয়ং ওমর খৈয়ামের লেখা রুবাই ৭২ টা


তিন দার্শনিক কবি: লুক্রেতিউস, ২

শিক্ষানবিস এর ছবি
লিখেছেন শিক্ষানবিস (তারিখ: রবি, ১০/০৬/২০১৮ - ১২:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘বিশ্বপ্রকৃতি’ লিখতে গিয়ে এপিকুরোসের বিশ্বদর্শনের বিশালতা লুক্রেতিউসকে অভিভূত, বিহ্বলিত করেছিল। গ্রিক ভাষায় শোনা সূক্ষ্ণ সূক্ষ্ণ আবিষ্কার তাকে সুললিত, কিন্তু বেয়াড়া লাতিন ভাষায় প্রথম বারের মতো ফুটিয়ে তুলতে হয়েছে। তার কাজ ছিল কুসংস্কার দূর করা, বিরোধীদের যুক্তি খণ্ডন করা, বিজ্ঞান ও প্রজ্ঞার একটা নিশ্চিত ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত করা, এবং মানুষকে নিষ্ঠুরতা ও নির্বুদ্ধিতা বিসর্জন দিয়ে সরলতা ও শান্তির


আত্মগীতি [১–১৩]

শিক্ষানবিস এর ছবি
লিখেছেন শিক্ষানবিস (তারিখ: বুধ, ০৬/০৬/২০১৮ - ২:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জর্জ সান্টায়ানার অনুবাদের পরের কিস্তিটা এখনো শেষ করে উঠতে পারিনি। এই ফাঁকে আগে করা হুইটম্যানের ‘সং অফ মাইসেল্ফ’-এর একটা অনুবাদ দিচ্ছি। প্রথম ১১টা সেকশন আমার সাইটে রেখেছিলাম, এখানে আরো ২টা যোগ করে মোট ১৩টা সেকশন প্রকাশ করলাম। সৈয়দ আলী আহসান এটা অনুবাদ করেছিলেন, কিন্তু আমার এখনো পড়ার সুযোগ হয়নি। আমি অনুবাদটা করছি


তিন দার্শনিক কবি: লুক্রেতিউস, ১

শিক্ষানবিস এর ছবি
লিখেছেন শিক্ষানবিস (তারিখ: বুধ, ১৬/০৫/২০১৮ - ৭:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লুক্রেতিউসের ‘দে রেরুম নাতুরা’ (‘বিশ্বপ্রকৃতি’) লেখার কারণ আমরা যত ভালো জানি, ততটা পরিষ্কার ভাবে অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ কবিতার পূর্বসূত্র জানি বলে মনে হয় না। অবশ্য ‘বিশ্বপ্রকৃতি’র কারণ ব্যক্তি লুক্রেতিউস না; যদি হতেন, আমাদের খবরই ছিল, কেননা ব্যক্তি লুক্রেতিউস সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানা যায় না। সন্ত জেরোম (৩৪৭–৪২০) রোমান ইতিহাসবিদ সুয়েতোনিউসের (৬৯–১২২) উপর নির্ভর করে একটা ইতিহাসপঞ্জি লিখেছিলেন


তিন দার্শনিক কবি: ভূমিকা

শিক্ষানবিস এর ছবি
লিখেছেন শিক্ষানবিস (তারিখ: রবি, ২২/০৪/২০১৮ - ১১:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মহৎ সাহিত্য আমাদেরকে যা হতে সাহায্য করে তার মধ্যেই তার সার্থকতা নিহিত। নিছক সাহিত্যের খাতিরে, শুধু লেখকদের কলাকুশলের প্রমাণপত্র হিসেবে, তারা এত মূল্যবান হতো না, আর সেক্ষেত্রে তারা আমাদের হাতে এসে না পৌঁছালেও সত্য বা মহত্ত্বের বড়ো কোনো ক্ষতি হতো না। তাদের অতীত মূল্য বা মর্যাদায় আমরা কিছুই যোগ করতে পারি না। বরং শুধু তারাই আমাদের মনের বর্তমান মূল্য ও মর্যাদায় কিছু জিনিস যোগ করতে পারে, অবশ্যই যদি ত


ঈশ্বরের ভাঁড়

শিক্ষানবিস এর ছবি
লিখেছেন শিক্ষানবিস (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৪/০৮/২০১৬ - ৮:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাৎস্যায়নের 'কামসূত্র' আসলে একটা সাত অঙ্কের নাটক। নাটকের প্রধান চরিত্র 'নায়ক' এবং 'নায়িকা'। নায়কের আবার তিন সহচর: 'পীঠমর্দ' (লম্পট), 'বিট' (চ্যালা), ও 'বিদূষক' (ভাঁড়)। বাৎস্যায়ন এক্ষেত্রে বেশ গতানুগতিক; সংস্কৃত প্রায় নাটকেই এই পাঁচটি চরিত্র পাওয়া যেত। এবং আমাদের যুগের নাটক-সিনেমাতেও এদেরকে দেখা যায়। কিন্তু প্রাচীন যুগের তুলনায় আমাদের যুগে ভাঁড়দের ভাবমূর্তি অনেক খারাপ। এমনকি মধ্যযুগেও ভাঁড়ামোর ছি


বাংলার দ্বিতীয় রেনেসাঁস ১

শিক্ষানবিস এর ছবি
লিখেছেন শিক্ষানবিস (তারিখ: শুক্র, ০৮/০৭/২০১৬ - ২:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পুরো উনিশ শতক এবং বিশ শতকের প্রথমার্ধে বাংলার শিক্ষিতমহলে যা ঘটেছে তাকে "রেনেসাঁস" বলা যায় কি-না, এবং তার সাথে চতুর্দশ শতকের "ইতালীয় রেনেসাঁসের" তুলনা করা যায় কি-না সে নিয়ে বিতর্ক আছে। আর সব বিতর্কের মতো এই বিতর্কেরও দুটো চরম-পক্ষ রয়েছে: এক পক্ষ একে রেনেসাঁস বলে মানেনই না, আর অন্য পক্ষ একে একেবারে ইতালীয় রেনেসাঁসের কাতারে ফেলেন। শক্তিসাধন মুখোপাধ্যায় এ নিয়ে একটা থিসিস লিখে কলকাতা বিশ্ববিদ্


হাফিজ

শিক্ষানবিস এর ছবি
লিখেছেন শিক্ষানবিস (তারিখ: রবি, ০৩/০৭/২০১৬ - ৫:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইরানের বাইরে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইরানি কবি রুমি হলেও ইরানের ভিতরে হাফিজের তুল্য জনপ্রিয় আর কোনো কবি নেই। দূরপাশ্চাত্য থেকে শুরু করে এই প্রাচ্য পর্যন্ত সবখানে তার প্রভাব প্রকট। বাংলায় নজরুল হাফিজ অনুবাদ করেছেন। রবীন্দ্রনাথ পারস্য ভ্রমণকালে হাফিজের সমাধিতে গিয়ে ভেবেছেন "কত-শত বৎসর পরে জীবনমৃত্যুর ব্যবধান পেরিয়ে এই কবরের পাশে এমন একজন মুসাফির এসেছে যে মানুষ হাফেজের চিরকালের জানা লোক।" ইউরোপের মহাকবি


ঈশ্বরের ইতিহাস ১

শিক্ষানবিস এর ছবি
লিখেছেন শিক্ষানবিস (তারিখ: শনি, ২৩/০৪/২০১৬ - ২:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই লেখার মূল উদ্দেশ্য 'ঈশ্বর' নামক ধারণাটির ইতিহাস বর্ণনা। ঈশ্বর বাস্তবে থাকুক বা না-ই থাকুক মানুষের ধারণায় আছে—এই ধারণার ইতিহাসই বলব। বাস্তবে ঈশ্বর আছেন কি-না সেই আলোচনাও ধারণার ইতিহাসের মধ্যেই প্রোথিত, কারণ ঈশ্বর এসে কাউকে বলে যাননি যে তিনি আছেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বেশেষে সবাই নিজেদের স্মৃতি, যুক্তি বা কল্পনা দিয়ে ঈশ্বর আছেন কি-না তা বুঝার চেষ্টা করেছে। অবতীর্ণ বাণীও আক্ষরিক অর্থে অবতীর্ণ নয়, বরং উৎসারিত। স্মৃতি, যুক্তি, ও কল্পনার মধ্যে প্রথমে যুক্তি নিয়ে কথা বলব। বিজ্ঞান যুক্তির (রিজন) অন্তর্ভুক্ত, আর দর্শন মানবিক বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। দার্শনিকরা কিভাবে যুগে যুগে ঈশ্বরের ধারণাটি সূত্রায়িত ও পুনঃসূত্রায়িত করেছেন তা-ই প্রথমে আলোচনা করব। ফোকাস থাকবে মূলত পাশ্চাত্য দর্শনের উপর, তবে ভবিষ্যতে ভারতীয়, চৈনিক, ও ইসলামি বিশ্বে দর্শনের কিছু জিনিসও যুক্ত হবে।


মহাবিশ্বের ঊষালগ্ন

শিক্ষানবিস এর ছবি
লিখেছেন শিক্ষানবিস (তারিখ: শুক্র, ২০/০২/২০১৫ - ৭:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"তিমির কাঁপিবে গভীর আলোর রবে"
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আজ থেকে প্রায় ১৩৭৪.৯ কোটি বছর আগে, মহাবিস্ফোরণের (big bang) মাত্র ৪ লক্ষ বছর পরে মহাবিশ্বের সব বাতি প্রায় ধপ করেই নিভে গিয়েছিল। এর আগে মহাবিশ্ব ছিল একটা ভয়ানক গরম, ফুটন্ত, ছুটন্ত প্লাজমা—প্রোটন, নিউট্রন আর ইলেকট্রনের এক চঞ্চল, ঘন মেঘ। সেইখানে কেউ থাকলে চারিদিকে দেখত শুধু ধোঁয়াশা আর ধোঁয়াশা, তবে একইসাথে সেটা হতো অন্ধ করে দেয়ার মতো উজ্জ্বল।