মতি নন্দীর মানুষেরা

সুহান রিজওয়ান এর ছবি
লিখেছেন সুহান রিজওয়ান (তারিখ: শনি, ০১/০৬/২০১৩ - ১১:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মতি নন্দীর সাথে আমার পরিচয় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র- বিসাকে’র মাধ্যমে। তখন ইটিভির যুগ, ডাব্লু ডাব্লু এফের যুফ। ছয়টা টু সাতটা। রক, স্টিভ অস্টিন আর কার্ট এঙ্গেলের ধুন্ধুমার নাটক। ওই সময়টা তাই টিভির সামনে নড়বোই না। আবার আলো আমার আলো ওগোর গান গেয়ে বাস আজিমপুর সেন্টার মাঠের পাশে দাঁড়ায় সাড়ে সাতটা পর্যন্ত। স্টিভ অস্টিন পর্ব শেষ করেই তাই ছুট। ছুটতে ছুটতেই সে যাদুভর্তি বাসে গিয়ে উঠতাম। আধঘন্টা ধরে ভাবতাম কোন বইটা নিবো। অবশেষে সাতদিনের জন্যে একটা বই নিতাম। বাহুল্য মনে হতো সাতদিন। সাধারণতঃ দুইদিনেই ধার নেয়া বইটা পড়া হয়ে যেতো।

তেমন এক সন্ধ্যায়, ইস্যু করেছিলাম মতি নন্দীর স্ট্রাইকার।

সে এক যাদু। ছোট সাইজের বই। কিশোর উপন্যাস। প্রসুন নামের এক স্ট্রাইকারের গল্প, সে-ই প্রসূন যার ফুটবলার বাবা ডুবিয়েছিলো যুগের যাত্রী ক্লাবের টাইটেল স্বপ্ন। ফাইনালের আগে পায়ের ব্যাথায় মাঠে নামতে চায় নি বাবা, ক্লাব জোর করে নামালো। আর ইনজুরড পা নিয়ে আধ হাত দূর থেকে বারের বাইরে বল উড়িয়ে দিলো। সেই বাবার ছেলে প্রসূন। সেই প্রসূন খেয়ে না খেয়ে খোয়াবনামায় পেলের ক্লাব সান্তোসে খেলতে চায়। একসময় ময়দানে হাতে-খড়ি হয়। একসময় যুগের যাত্রী ক্লাবে ঠাঁই। স্ট্রাইকারকে ভাংতে হয় অনেক দারিদ্র্যের ডিফেন্স, অপমানের বুটের চোরা লাথি, ময়দানের নোংরা রাজনীতির কঠিন ট্যাকল।

বইয়ের বাইরে পত্রিকার খেলার পাতা কিচ্ছুটি পড়তাম না আমি। মতি নন্দী একধাক্কায় আমার কাছে পালটে দিলেন মাঠের ঘাসের রং।

এরপর মতি নন্দীর সাক্ষাৎ পেয়েছি আনন্দমেলায়। প্রতি পূজাবার্ষিকীতে একটা করে উপন্যাস থাকতোই তার। অতি অবশ্যি, খেলা নিয়ে। ওটাই পড়তাম আগে। বাংলা সাহিত্যে প্রিয় নারী চরিত্র বলতে আমার কাছে অনেকটাই তাই কলাবতীকে বোঝায়। কলাবতী সিংহকে নিয়ে মতি নন্দী অনেকগুলো লেখাই লিখেছেন। আটঘরার (না বকদিঘি ?? এই নাম দুটা সবসময় পাঁচালো ছিল) সিঙ্ঘি আর বকদিঘির মুখুজ্যে বাড়ির রেষারেষি পড়ে দারুণ মজা পেতাম। সেই সিঙ্ঘি বাড়ির মেয়ে কালু, বাংলার মেয়ে টিমের উইকেট কিপার। কালুও চায় ক্রীড়া সাংবাদিকতায় নামবে। সে নামে। উৎপল শুভ্র, মোস্তফা মামুনদের লেখা পরে যে পেশাকে মনে হতো শুধু ক্যারিবিয়ান ট্যুর আর লারাদের সাক্ষাৎকার নেয়া- মতি নদীর উপন্যাসে সেটা পালটে গেলো। খেলার পেছনের খেলা বুটের কাদার চেয়ে কম নোংরা নয়।

যুতসই একটা প্লট খুঁজে তার মাঝে খেলাধূলার স্পিরিট নিয়ে আসায় মতি নন্দী তুলনাহীন। সাধন গুন্ডার অত্যাচারে তিষ্ঠ যখন এলাকার লোকে, চায়ের দোকানে কাজ করা শিবা তখন একটি ঘুঁষিতে পালটে নেয় নিজের জীবনের ট্র্যাক। শিবা ফিরবে বেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন বক্সার হয়ে। কিংবা কলকাতার বস্তির কনকচাঁপা। জাতীয় সাঁতারে ‘ফাইট!! কোনি, ফাইট!!’ চীৎকারে মুহুর্তেই হয়তো কনকচাঁপা গড়বে রেকর্ড। কিংবা স্টপার। কমল গুপ্ত যেন জীবনের কাছে চিরকাল ঘা খেয়ে যাওয়া মধ্যবিত্ত- গুরুর আদেশে যে সবসময় চায় ব্যালেন্স করে চলতে। কখনো কখনো হয়তো জেতেও, যখন চিরকালের ময়দানের পলিটিক্সের জবাবে চিরশত্রু যুগের যাত্রীর টাইটেল স্বপ্ন থামায় পেনাল্টি বক্সের অশ্বথ হয়ে।

মানুষের জীবনই সবসময় মতি নন্দীর মূল কাঠামো। যেমন জীবন অনন্ত উপন্যাসটা। দুই বন্ধুর গল্প। দুর্দান্ত প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান জীবন, টেস্ট দলে ঢোঁকার দরজায় দাঁড়িয়ে দুর্ঘটনায় হারায় হাত। তবে তার হয়ে টেস্ট খেলার স্বপ্ন পুরায় তারই বন্ধু অনন্ত, পেসার। শেষ বিশ পাতার কী যে দুরন্ত সাসপেন্স !! আম্র নিজের সবচেয়ে পছন্দের উপন্যাস নারান। খবরের কাগজের হকার নারানের হিরো এমিল জ্যাটোপেক। দূরপাল্লার দৌড়বিদ। জ্যাটোপেকের মতোই পরিশ্রমে অক্লান্ত নারান। সেই জ্যাটোপেকের সাথে সাক্ষাৎ হয়নি নারানের। কিন্তু নারান হারেনি জীবনের রেসে।

মতি নন্দীকে দারুণ একটা কথা বলেছিলো বন্ধু রিফাত। খবরের কাগজের ভেতরের পাতায় খুব ছোট্ট করে তিন লাইনে কিছু খবর থাকে। অবিরাম বাহাত্তর ঘন্টা সাইকেল চালনা বা বাষট্টি বছর বয়েসে ম্যারাথন শেষ করা। এই তিন লাইনের মানুষগুলোর জীবনের গল্প মতি নন্দীর গল্পের কঙ্কাল। একটা চাকরির জন্যে তাই তুলসী নামের মেয়েটা জিতে যায় ট্রায়াথালন, টেনিসের জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন মিনুর ট্রফির জন্যে তাই মধ্যবিত্ত বাবা-মাকে লড়তে হবে পুরো মহকুমার সাথে।

মতি নন্দীর ফিরিস্তি টানলে শেষ করাই হবে না আমার। বরং শেষ করবো দুইজন প্রিয় মানুষের কথা লিখে। এই আন্তর্জালেই দুজনের সাথে পরিচয়। সে পরিচয় ঘনিষ্ঠতা পর্যন্ত গেছে বোধহয়।

একজন হিল্লোল দত্ত। স্যার না দাদা, কখন কী ডাকি তাকে ঠিক নেই। বইপড়ুয়া এই মানুষটি হারিয়েছেন খুব কাছের কাউকে। আমি ফোন করিনি তাকে। কোন আনুষ্ঠানিক শোকবার্তাও লিখিনি কোথাও। কী বলবো, বুঝে উঠতে পারিনি আসলে। জানি, আমি বা আমরা, হিল্লোলদার কাছে শেষ পর্যন্ত রিং-এর বাইরের এংলো ট্রেনার গোমেজ হয়েই থাকবো। দরদর করে বক্সার শিবার চোখের ওপরের কাটা থেকে যখন রক্ত ঝরে, তখন হয়তো ‘ফাইট কোনি, ফাইট’ শব্দরা আসলেই খেলো শোনায়। জীবনের ডি-বক্সে আমরা শোভাবাজার পেনাল্টি এরিয়ার কমল গুপ্তের মতোই একলা দাদা। ব্যালান্স- সব ব্যালান্স করে চলতে হয়। স্ট্রাইকার অনুপমকে আটকাতে হবে কমল গুপ্তকেই।

দ্বিতীয় মানুষটা সিমন ভাই। বিশালদেহী মানুষটা বাসের তলায় পড়ে এখন শুয়ে আছেন স্কোয়ারে। দুর্বল ডিফেন্স দিয়ে ক্রমাগত ভেতরে ঢুঁকছে নানা রকম দুঃসংবাদ। আপনি আর আমি একইদিন সচল হয়েছিলাম, মনে আছে সিমন ভাই ?? মনে পরে আপনার চেয়ার ভাঙ্গা, গোল কেক আর লেইম জোকগুলোর গল্প ?? ... আমি জানি আপনাকে কিছু বলার ধৃষ্টতা আমার সাজে না সিমন ভাই। প্রথম দুই দিন আপনাকে দেখতে যাওয়া ছাড়া আর কিছুতেই আমি আপনার ডিফেন্সে দাঁড়াতে পারি না। ডাগআউটের বাইরে থেকে তাই শুধু নিস্ফল চীৎকার করি- ফাইট সিমন ভাই, ফাইট !! ঘাতক বাসটাকে টাইটেল সেলিব্রেশন করতে কিছুতেই দেয়া যাবে না। জ্যাটোপেককে দেখবার লোভে নারান যদি ম্যারাথন শেষ করতে পারে-আপনার তান্তা বুড়িকে আবার কোলে নিতে আপনি এই সামান্য ক্রস আটকাতে পারবেন না ?? ...

পারতেই হবে সিমন ভাই। জীবনের কাছে হারা চলবে না।

যতদিন জীবনের সাথে মানুষ লড়বে, মতি নন্দীর আয়ূও ততদিন।


মন্তব্য

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

মতি নন্দী আমারো খুব প্রিয় লেখক। খুব ছোটবেলায় আকাশবাণী থেকে স্ট্রাইকার অবলম্বনে একটা নাটক শুনিয়েছিল, খুব ভালো লেগেছিল। কিশোর বয়সে এসে পড়েছিলাম উপন্যাসটা - আবারও সেই শৈশবের মুগ্ধতা। এখনও আনন্দমেলার পূজোবার্ষিকীতে শীর্ষেন্দুর অদ্ভুতূড়ের পরেই মতী নন্দীর লেখাটা পড়ি। মুগ্ধতা ছড়িয়ে যায়। শচীন টেন্ডুলকারকে নিয়ে লেখাটা (সম্ভবত কিশোর ভারতীতে প্রকাশিত) পড়ে তো আবেগ ধরে রাখতে পারিনি - যেমন পারিনি জীবন অনন্ত পড়ে। আবার মিলেনিয়াম ক্রিকেট ম্যাচে ঝাল আচার খেয়ে ছক্কা হাঁকানোর কথা পড়ে অনেক্ষণ ধরে এক একাই হেসেছি।

তবে মতি নন্দীর উপন্যাসে লড়াকু মানুষের সবসময় জয় হয়। আশায় বুক বেঁধে আছি - আমাদের লড়াকু মানুষটাও জীবনের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে আবার ফিরে আসবে আমাদের মাঝে - সিমনকে ফিরে আসতেই হবে।

অমিতাভ এর ছবি

সিমন ভাইকে পারতেই হবে।

আরেকটি অসাধারন লেখা। ধন্যবাদ সুহান ভাই। শ্রদ্ধা

খেয়া'দি এর ছবি

হঠাৎ আশরাফুলদের কীর্তির কথা মনে পড়ে গেল কেন জানি। আমার বুকটা দুমড়েমুচড়ে আছে। মতি নন্দীর কোনি উপন্যাসটা সম্ভবত ১৯৭৮ সালের আনন্দমেলাতে বেরিয়েছিল। উফ কি এক উত্তেজনা! ফাইট কোনি ফাইট! এই মন্তরটার মানে বুঝতে অনেক সময় লেগেছিল। কেন এমন হয়? কেন কেউ ফাইট করতে চায় না আজকাল? কেন সবাই না চাইতেই পেতে চায়?

আজিজে আজকে প্যাপিরাসে সজল খালেদ অনূদিত বই দেখে কান্না পেয়ে গেল।

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

ফাইট সিমন, ফাইট। জীবনের কাছে হারা চলবে না।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুন লেখা!!
চলুক
সিমন ভাই পারবেন অবশ্যই।

************
সুবোধ অবোধ
*************
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ইয়েস ! ফাইট সিমন, ফাইট।

তারেক অণু এর ছবি

চলুক গুল্লি

ফাইট সিমন, ফাইট।

একলহমা এর ছবি

'যতদিন জীবনের সাথে মানুষ লড়বে, মতি নন্দীর আয়ূও ততদিন।'
ফাইট সিমন, ফাইট।
আমার প্রিয় লেখককে নিয়ে খুব সুন্দর একটি লেখা। ভাল লাগল, খুব ভালো লাগল।

স্পর্শ এর ছবি

আনন্দমেলা পড়া হতো প্রতি বছরই। খেলা নিয়ে কিছু গল্প পড়েছিলাম বলে ভাসাভাসা মনে পড়ছে। মতি নন্দীর লেখা পড়া হয়ে থাকবে। লেখাটা ভালো লাগলো।

ফেসবুকে নেই বলে কারো কোনো খবর জানিনা। হিল্লোল দার খবরটা জেনে খারাপ লাগছে। সিমন ভাইয়ের ব্যাপারটা আমি মেনে নিতে পারছি না। সে দ্রুত সেরে উঠুক। আমাদের পৃথিবীটা ওলট-পালট হয়ে যাচ্ছে। শক্ত করে এর রাশ টেনে ধরা দরকার।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

আব্দুল্লাহ এ.এম এর ছবি

চলুক

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

যাদের লেখার জন্য প্রতিবছর আনন্দমেলার উপরে ঝাপিয়ে পড়তাম মতি নন্দী তাদের মাঝে এক নম্বর! আমার প্রথম পড়া তুলসী, তখন আমি পড়ি মনে হয় ক্লাস ফোর বা ফাইভে। কী ভীষণ ভালো লেগেছিলো! পরে চাচার বাসা ঘেটে চাচাতো ভাই আমাকে সবগুলো আনন্দ মেলা খুঁজে দিয়েছিলো যেন আমি এই গল্পগুলো পড়তে পারি। লড়াকু মানুষের হার হয়না কখনও, এই কথাটা মাথায় গেঁথে দিয়েছে এই একজন, মতি নন্দী! সমরেশদার সাথে একদিন দেখা হয়েছিলো, আড্ডা মারার সৌভাগ্যও হয়েছিলো ঘন্টাখানেকের মতো, সেদিন উনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, মনে হয় আমি উনার অটোগ্রাফ নিচ্ছিনা দেখে, যে আমি যদি অটোগ্রাফ নিতে না চাই তবে মতি নন্দীর সাথে দেখা করতে চাই কেন এতো, হেসেছিলাম তখন। মতি নন্দীর অটোগ্রাফ দিয়ে কি হবে? আমি শুধু উনাকে জানাতে চাই যে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হবে এই সাহসটা অনেক খানি পেয়েছি উনার লেখা থেকে! আই উইশ, আমি উনাকে যদি বলতে পারতাম!

আর সিমনের জন্য একটাই কথা, ফাইট, সিমন, ফাইট!

আর সুহান, ভাই তুমি একেবারে মনের কথাগুলো কিভাবে লিখো? কিভাবে পারো?

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

স্যাম এর ছবি

অসাধারণ!

রাত-প্রহরী এর ছবি

মতী নন্দীর লেখা নিয়ে অসাধারণ লেখা লিখেছেন সুহান। ধন্যবাদ।
আর, এতোগুলো মানুষের শুভকামনার বাধাকে পাশ কাটিয়ে সিমন জীবনের শেষ গোল পোষ্টে বল মেরে দেবে?
আবার তান্তাবুড়ী সেই গোলপোষ্টের সামনে পৃথিবীর সেরা গোলকীপার হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আমার মনে হয়না অতবড় ষ্ট্রাইকার সিমন।

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

অসাধারণ!

Abu Subha এর ছবি

সিটিয়াস - অল্টিয়াস - ফরটিয়াস
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নজমুল আলবাব এর ছবি

মনটারে কাদামাটি বানিয়ে দিলে সুহান।

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মতি নন্দী পড়িনি। কিন্তু কোথা থেকে কোথায় নিয়ে গেলে! দক্ষ খেলোয়াড়ের মতোই। এত এত মানুষের আন্তরিক ভালোবাসা তো আর মিথ্যা হয়ে যেতে পারে না। আজকে যাদের জন্য আমরা কষ্ট পাচ্ছি, তারা ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবে। এই বিশ্বাসটুকু রাখি শুধু।

খুব ভালো লাগল লেখাটা।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

এই লেখাটা এই নিয়ে বেশ কয়েকবার পড়লাম। মনটা খুব ছুঁয়ে দিলে সুহান। ফাইট করে সিমন ফিরবেই ফিরবে।

বাপ্পীহায়াত এর ছবি

চলুক - অসাধারণ লাগল সুহান ভাই

হিল্লোল'দা আর সিমন - দুইজনই ঘুরে দাঁড়াবেন নিশ্চয়ই

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

খুব খুব ভালো লাগল। চলুক

নির্ঝর অলয় এর ছবি

মতি নন্দী পড়তেই হবে! মতিকণ্ঠের দোহাই!
চলুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।