ওয়ান্ডারলাস্ট

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি
লিখেছেন সুবিনয় মুস্তফী (তারিখ: সোম, ০৩/১২/২০০৭ - ৮:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

auto
কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে থাকতে আমি সমারসেট মম সাহেবের লেখার খপ্পরে পইরা যাই। বয়স তখন ১৬ বা ১৭ হইবো। সেবার বই, কিশোর ক্লাসিক, তিন গোয়েন্দা, ব্রিটিশ কাউন্সিলের পোলাপানের সেকশনের বই - ইত্যাদির গন্ডি পার হইয়া তখন সবে বড়গো গল্প-উপন্যাস পড়া শুরু করছি। আমগো মা-খালাগো ভাষায় যাবতীয় 'আউট বই'।

দুপুরে কলেজের ক্লাস শেষ কইরা চইলা যাইতাম রমনার দিকে - ধুলা খাইতে চাইলে শাহবাগ পাবলিক লাইব্রেরী, আর এসি খাইতে চাইলে ব্রিটিশ কাউন্সিল। বিকালের দিকে গরম কমলে নীলক্ষেত আর পল্টনের পুরান বইয়ের আখড়ায়। পল্টনের ফুটপাথের বইয়ের সুরত খারাপ আছিলো (মলাট থাকতো না প্রায়ই) কিন্তু সেইগুলা দামে কম। অন্যদিকে নীলক্ষেতে ভ্যারাইটি বেশী, কিন্তু দামও এই ফকিরের নাগালের বাইরে। কত কায়দা কইরা যে টাকা বাইর করতে হইতো সেই সময়, এখন চিন্তা কইরা হাসি পায়। বাপের পকেট থেকা টাকা মারতাম, মায়ের চাবির ছরা চুরি কইরা আলমারি হাতড়াইতাম, বাপ-মার বেডরুমের তোষক উল্টাইয়া দেখতাম কোন খুঁচরা পাঁচ-দশ টাকার নোট ফালায় রাখছে কিনা। নিজের বাস-টেম্পো ভাড়া তো আছেই। এমুনকি ঘরের নিউজপেপার আর বাড়ি বানানোর পরে বাড়তি যে রড পইরা আছিলো বাড়ির পিছনে, তাও বেঁচছিলাম দুই-একবার। কত কসরত - আর একটা মাত্র বই কেনার লেগা!

*

এরই মইধ্যে একদিন পল্টন থেকা কিনা আনলাম সমারসেট মমের একটা বই। বাপের কাছে এই বুড়ার দুই-একটা বইয়ের কপি আছিলো, কিন্তু ছিড়া-ভিড়া গেছে, পেজ় মিসিং, পড়ার উপায় নাই। কিন্তু বুড়ার নাম শুনছি অনেক, ট্রাই কইরা দেখার অনেক আগ্রহ। সেই প্রথম বইটা পইড়া আদৌ কিছু বুঝছিলাম কিনা কইতে পারুম না, কিন্তু মম-এর যে লেখার ভঙ্গি, তার প্রেমে পুরা মইজা গেছিলাম। এমন গদ্য আগে কখনো পড়ি নাই - এত সহজ সাবলীল, মুখে মাখন গইলা যাওয়ার মতন, পাতার পর পাতা দৌড়াইয়া পার হইয়া যায়। কিন্তু সেই সহজ গদ্যের ভিতরেই শুইয়া আছে এমন শুকনা এক রসবোধ, এমন সিনিকাল এক দৃষ্টিভঙ্গি - যেন দুনিয়ার সমস্ত কিছুই লেখকের দেখা হইয়া গেছে। নারী-পুরুষের সমস্ত রঙ্গ, মানুষ নামের জীবটার সমস্ত স্বপ্ন আর স্বপ্নভঙ্গ, জীবন খেলার সমস্ত বাঁক আর মোড়।

auto
আরো অনেক পরে মমের নিজের লেখা জীবনী পইড়া ভদ্রলোক সম্পর্কে আরো জানছিলাম। মম বাইসেক্সুয়াল আছিলো। ডাক্তারিশাস্ত্র বাদ দিয়া লেখালেখির জগতে গা ভাসায় দিছিলো। যদিও তার আমলের (আইজ থেকা প্রায় ৮০-৯০ বছর আগের কথা) সেই সময়ের সবচেয়ে বহুলবিক্রিত লেখকগো মইধ্যে ওনার নাম আছিলো, তবুও সাহিত্য এস্টাব্লিশমেন্ট তারে সবসময়ই একটু সন্দেহের চোখে দেখতো। মমের নিজের ধারণা আছিলো যে এইটার পিছনে তার বিরাট জনপ্রিয়তা আর তার অতি-সাবলীল লেখনীভঙ্গিই বেশী দায়ী। গুরুগম্ভীর সমালোচকরা হয়তো তারে কিছুটা খেলো গণ্য করতো। অনেকটা আইজকার দিনে হুমায়ুন আহমেদের মতন অবস্থা কওয়া যায়। হিউজ তার বই বিক্রি, পানির মতন তরল তার লেখা, কিন্তু ক্রিটিকের তরফ থেকা হালকা উপন্যাস লেখার যেই অভিযোগ, সেইটা থেকা কখনোই মুক্তি পাইলো না। শেষ বয়সে অনেকটা আক্ষেপ কইরাই মম স্বীকার করছিলো যে ইতিহাসের খাতায় লেখক হিসাবে তার পজিশন হইবো - a first-rate writer of the second rank। দ্বিতীয় সারির লেখকগো এক্কেরে প্রথম কাতারে।

*

কিন্তু ১৭ বছর বয়সে কি আর ঐ সব বুঝি। আমার কাছে অসম্ভব সম্মোহনী লাগতো মমের লেখা। বেশী কইরা মনে পড়ে একটা বইয়ের কথা। ১৯১৯ সালে প্রথম ছাপা The Moon and Sixpence। সাহিত্য বিশেষজ্ঞরা কয় যে চিত্রকর গোগাঁ-র জীবন অবলম্বনে মম এই গল্পটা লেখছিলো। যারা গোগাঁর জীবন সম্পর্কে অবগত, তারা জানবেন যে ভ্যান গখের বন্ধু এই শিল্পী মাঝবয়সে আইসা প্যারিসের শিল্পজগত থেকা স্বেচ্ছায় বাইর হইয়া গেলো। সুদূর প্রশান্ত মহাসাগরের তাহিতি দ্বীপে গিয়া বসবাস আর আকাঁআকি শুরু করলো। উদ্দেশ্য আছিলো সভ্যতার মেকী খোলস খুইলা ফালানো, প্রকৃতি আর প্রকৃতির কাছাকাছি যারা থাকে সেই আদিবাসী মানুষগো তার শিল্পের বিষয়বস্তু কইরা তোলা।

autoদ্য মুন এন্ড সিক্সপেন্স বইয়ে মমের প্রধান চরিত্র চার্লস স্ট্রিকল্যান্ড আছিলো লন্ডনের এক সফল স্টকব্রোকার। কিন্তু হঠাৎ একদিন বৌ-বাচ্চা ফালাইয়া সে গায়েব হইয়া যায়। খোঁজ নিয়া জানা যায় যে কি এক অজানা অপ্রতিরোধ্য প্রেরণার বশবর্তী হইয়া সে প্যারিস গেছে গিয়া - উদ্দেশ্য শিল্পী হওয়া। সেইখান থেকা প্রশান্ত মহাসাগরে পাড়ি। গল্পটা প্রচন্ড টানছিলো আমারে, বিশেষ কইরা বিশাল সাগরের বুকে সেই ছোট্ট দ্বীপের বিবরণ পইড়া মোহিত হইছিলাম।

আরো পরে মমের ছোটগল্প পড়ছিলাম। উপন্যাস বাদ দিয়াও ছোটগল্পের সফল কারিগর হিসাবে তার যে সুনাম আছিলো, তার অনেকখানিই তৈরী হইছিলো সিঙ্গাপুর, মালয় দ্বীপপুঞ্জ (আইজকার মালয়শিয়া) সহ সমগ্র দূরপ্রাচ্যে তার ঘুরাঘুরির অভিজ্ঞতা আর পর্যবেক্ষণ থেকা। দূরপ্রাচ্যের দেশগুলাতে পূর্ব আর পশ্চিমের যে মোলাকাত বা মোকাবেলা হইছিলো, তার সবচেয়ে স্বার্থক রূপকার হিসাবে কয়েকজন লেখকের নাম সবসময়ই আলোচনায় চইলা আসে - মম, কনরাড আর গ্রাহাম গ্রীন এগো সর্বাগ্রে। প্রথম দুইজন কিছুটা সমসাময়িক, গ্রীন তাগো পঞ্চাশ বছর পরে। উপনিবেশবাদের প্রভাব, শ্বেতাঙ্গ আর পীতাঙ্গের যে সম্পর্ক - দ্বন্দ্ব-সংঘাত, কোন কোন ক্ষেত্রে বোঝাপড়া - এইসব বিষয় এগো লেখায় বারবার উইঠা আসে। অচেনা দূরদেশে গিয়া যুগ যুগ থাকার পরে অনেক ইউরোপীয় সেটলারগো মইধ্যে যে নীরব উন্মাদনার সৃষ্টি হইতো, সেইটা মম তার ছোটগল্পগুলাতে প্রায়ই তুইলা ধরতো।

*

মমের সাহিত্যিক হিসাবে গুরুত্ব যদিও বিতর্কিত, জোসেফ কনরাডের পজিশন নিয়া কোন সন্দেহের অবকাশ নাই। লেখালেখির দিক দিয়া মমের সমসাময়িক - বয়সে যদিও সিনিয়র। পশ্চিমে আধুনিকতাবাদী সাহিত্য ধারার একদম প্রথমদিকের লেখক - গল্পের সেটিং সব স্টিভেনসনের সমুদ্রের এডভেঞ্চার উপন্যাসের মতন হইলেও বিষয়বস্তু তার পুরা উল্টা।

autoখুবই ব্যাতিক্রমী কনরাডের জীবনকাহিনী। জন্ম ইউক্রেনে, মাতৃভাষা পোলীয়, পেশায় নাবিক আছিলো। মম লেখতে আরম্ভ করে পোলাপান বয়সে, আর ঐদিকে কনরাড যখন তার প্রথম বই ছাপাখানা থেকা বাইর হইতে দেখলো, তখন তার বয়স প্রায় চল্লিশ। তাজ্জবের বিষয় হইলো যে ২০-২৫ বছর বয়সের আগ পর্যন্ত কনরাড দুইদন্ড ইংরেজীও জানতো না। অথচ সেই লোকই এক সময় গিয়া ইংরেজী সাহিত্যের সবচেয়ে সম্মানিত লেখকগো কাতারে গিয়া স্থান পাইলো। গল্পের নাটকীয়তা আর চরিত্রের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ ছাড়াও তার গদ্যশৈলী অসাধারণ। সত্তরের দশকের সুবিখ্যাত চলচ্চিত্র Apocalypse Now - কোপোলা নির্মিত, ব্রান্ডো অভিনীত - সেইটার লগে কনরাডের একটা যোগাযোগ আছে। ফিল্মের আপাত পটভূমি ভিয়েতনাম যুদ্ধ। কিন্তু পরিচালক কোপোলা গল্পের পুরা আইডিয়াটাই নিছিলো কনরাডের কালজয়ী উপন্যাস হার্ট অফ ডার্কনেস থেকা। ঔপনিবেশিক আমলে আফ্রিকার কংগোতে রাবার চাষের নামে বেলজিয়ামের শ্বেতাংগ শোষকরা নিরীহ কালা মানুষের উপরে যেই বীভৎস অত্যাচার চালাইছিলো, কনরাডের হার্ট অফ ডার্কনেস তার প্রামাণ্য দলিল হিসাবে রইয়া গেছে।

*

সিঙ্গাপুরে যেইদিন হাঁটতে বাইর হইছিলাম, সেইদিন ফে'র পাশাপাশি মমের কথাও মনে হইছিলো অনেক। বিশেষ কইরা শহরের পুরানা এলাকাগুলা - যেইখানে সভ্যতার স্টিল আর কাঁচের গগনচুম্বী টাওয়ারগুলা নাগাল পায় নাই, ছোট রাস্তা-ঘাটের পাশে পুরানা বাড়িঘরে তখনো সাধারণ মানুষের বসবাস - সেই সব জায়গা দিয়া হাইটা যাওয়ার সময়ে মনে হইছিলো - আইজ থেকা একশো বছর আগে আমার প্রিয় লেখকেরা এই রাস্তা দিয়াই হয়তো হাইটা গেছে। এই বন্দরে ভিড়তো ওলন্দাজ নাবিক, এই দালানে থাকতো শ্বেতাঙ্গ ঔপনিবেশিক সেটলার। এই ছোট ঘরে বাস করতো মালয় কেরানী, এই বাজারে টং ঠেলতো চীনা কুলি। চোখ বন্ধ করলে কি চইলা যাওয়া সম্ভব না সেই অতীতে? টাইম ট্রাভেলের ক্ষমতা কি দিবো না উপরওয়ালায়?

যখনই এই শব্দের যাদুকরগো লেখা কোন বই পড়ি, তখনই মনের ভিতর একটা প্রচন্ড অস্থিরতা চাড়া দিয়া উঠে। মনে হয় টান দিয়া ফালায় দেই এই বালের কম্পিউটার, এইসব ওয়ার্ড আর এক্সেল। দৌড়াইয়া যাই গিয়া সবচেয়ে কাছের বন্দরে, জাহাজের একটা টিকেট কিনা যাইগা বিশাল সমুদ্রে, ক্যাপ্টেন কুকের মতন যাইগা দক্ষিণ সমুদ্র ভেদ কইরা এন্টার্কটিকের বরফের প্রাচীরের সামনে, কিম্বা লাতিন আমেরিকার অন্য পারে গিয়া ভিড় করি - আন্তোফাগাস্তা বা তেগুচিগাল্পা বা মন্তেভিদেও - এই রকম বিচিত্র নামের শহরের বিচিত্র মানুষের লগে গিয়া সাক্ষাৎ করি, পৃথিবীর এই অপরিমেয় বৈচিত্র্য গায়ে মাইখা তবেই জানি মরি। অন্তরে হুহু করে, দুনিয়া দেখার ব্যাকুলতায় কাতর হয় মন - এই দিকে সময় যায় গিয়া, ঘড়ির কাঁটা ঘুরে নির্মম টিক-টক-টিক-টক গতিতে, মনে কয় বারেবারে এখনই সময়, এখনই যৌবন, একটাই তো মানুষের জীবন!

*

সকালে অফিসে আসার সময়ে গ্যাভিন ইয়াং-এর লেখা কনরাডের উপরে একটা বই নিয়া বাইর হইছিলাম - ট্রেনে পড়ুম বইলা। কয়েক বছর আগে দূরপ্রাচ্যে কনরাডের পুরানা হদিশ খুঁইজা বেরাইছিলো ইয়াং। সিঙ্গাপুর নিয়া গত কয়দিন চিন্তা-ভাবনা বা লেখার কারনেই হয়তো শেলফ থেকা বইটা কেমনে কেমনে জানি হাতে চইলা আইলো। বইয়ের ভিতরে দেখলাম - দৈবই হইবো - আইজকা ৩রা ডিসেম্বর কনরাডের জন্মদিন। ২০০৭ সালে এই মহান লেখকের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী। মম, কনরাড, ভার্ন, স্টিভেনসন সহ আর যতসব প্রিয় লেখকেরা নাখালপাড়ার এই পোলারে বইয়ের মলাটের ভিতরে কইরা দুনিয়া ঘুরাইছিলো, চোখ ফুটাইছিলো - তাগো ঋণ কোনদিনই শোধ হইবো না।

*

"I remember my youth and the feeling that will never come back any more - the feeling that I could last for ever, outlast the sea, the earth, and all men; the deceitful feeling that lures us on to joys, to perils, to love, to vain effort - to death; the triumphant conviction of strength, the heat of life in the handful of dust, the glow in the heart that with every year grows dim, grows cold, grows small, and expires - and expires, too soon - too soon before life itself."
- Joseph Conrad, Youth (1902)

** ওয়ান্ডারলাস্ট (wanderlust) - ভ্রমণের প্রবল ইচ্ছা, ভ্রমণ ব্যাধি।


মন্তব্য

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

মম দিয়ে শুরু কনরাড দিয়ে শেষ লেখাটা দারুণ লাগলো।
মমের একটা গল্প মনে হয় আমাদের পাঠ্য ছিলো। আর মধুমিতায় মনে হয় অফ হিউম্যান বন্ডেজ সিনেমাটা দেখাতো। কত বই, কত লেখা, অতো পড়ার সময় কই।
তবে কনরাডের লেখা পড়তে হবে। তবে তার চেয়েও বেশি জানতে ইচ্ছা করে কীভাবে এত দ্রুত সাহিত্য লেখার মতো ইংরেজি তিনি শিখলেন। জীবনীতে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু আছে নাকি?

-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

ধন্যবাদ। কনরাডের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ জীবনী লিখেছেন জোসেলিন বেইন্স। সেই বইয়ের Amazon UK লিঙ্ক দিয়ে দিলাম।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

নিঝুম এর ছবি

এক টানা পড়ে গেলাম।চমতকার ।খুব ভালো লাগ্লো।
---------------------------------------------------------
ঘুম মানেও একধরনের বেঁচে থাকা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

কনফুসিয়াস এর ছবি

মমের গল্প, দ্য লাঞ্চিয়ন ছিলো আমাদের পাঠ্য। আমিও ঐরকম সরল ইংরেজীতে অসাধারণ হিউমার পড়ে ওনার ভক্ত হয়ে গেছিলাম।
মজার কথা হইলো, ঐদিন এখানকার পুরাতন বইয়ের দোকানে গিয়ে একগাদা বই কিনে আনলাম। তার মধ্যে একটা হইলো, ওয়ার্ল্ডস বেস্ট মিস্টিরিয়াস স্টোরিজ, খুইলা দেখি প্রথম গল্পটাই মমের! আমি পুরা পাংখা!
আপনার লেখাটা খুব ভালো লাগলো। আর আমার সাথে টাইমিং মিলে যাওয়ায় আরো ভালো লাগছে!
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

আহারে অনেক পুরানা স্মৃতি মনে করায় দিলেন! আমার খালাগো ইন্টার টেক্সট বইয়ে গল্পটা আছিলো। লেখক এক খাদক বেটিরে নিয়া লাঞ্চ খাইতে গেলো ফইয়ো'জ রেস্তোরায়। (তখন কইতাম ফয়োট্‌স...) ঐ গল্প পইড়াই প্রথম asparagus শব্দটা শিখছিলাম। বড় হইয়া যেই দিন প্রথম এস্পারাগাস মুখে দিছিলাম, একদমই বুইঝা পাই নাই কি এত মাহাত্ম্য আছিলো এর মইধ্যে! পুরা গল্পটার একটা লিঙ্ক পাঠাইলাম। সাকি'রো একটা মজার গল্প আছিলো - মিসেস প্যাকেলটাইডের বাঘ শিকার নিয়া। আর জিম-ডেলার কথা তো বাদই দিলাম...
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

আরশাদ রহমান এর ছবি

পড়লাম। দারুণ লাগলো!

শেখ জলিল এর ছবি

এই দিকে সময় যায় গিয়া, ঘড়ির কাঁটা ঘুরে নির্মম টিক-টক-টিক-টক গতিতে, মনে কয় বারেবারে এখনই সময়, এখনই যৌবন, একটাই তো মানুষের জীবন!

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

অমিত এর ছবি

ঠিক এই নাম দিয়া একখান সিরিজ লেখা শুরু করব বলে ঠিক করসিলাম। এখন নতুন নাম খুঁজতে হইব ?
লেখা জটিল।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

আরে ধুর মিয়া, নতুন নাম খুঁজবেন কিল্লেগা?! নামের তো কপিরাইট নাই দেঁতো হাসি আপনের সিরিজ শুরু কইরা দেন, অপেক্ষায় থাকলাম।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

দৃশা এর ছবি

I remember my youth and the feeling that will never come back any more - the feeling that I could last for ever, outlast the sea, the earth, and all men; the deceitful feeling that lures us on to joys, to perils, to love, to vain effort - to death; the triumphant conviction of strength, the heat of life in the handful of dust, the glow in the heart that with every year grows dim, grows cold, grows small, and expires - and expires, too soon - too soon before life itself."

পড়তে ভালা লাগল ...বুঝি নাই হেইডা আলাদা ব্যাপার...ফিক ফিক।
না বস আসলেই অমিতের ভাষায় জটিল হইছে...আমার ভাষায় ফ্যান্টাবুলাস হইছে।

দৃশা

হিমু এর ছবি

বহুদিন আগে রহস্যপত্রিকায় পড়েছিলাম এক অনুবাদ গল্প, কাজী আনোয়ার হোসেনের করা, "জালিয়াত"। এক হতচ্ছাড়া বখা, সমারসেট মম আর পল গগাঁর আঁকা ছবি, এ তিনকে জড়িয়ে। গোটা গল্পে বিভিন্ন বাস্তব তথ্য দিয়ে কাহিনীকে পোক্ত করা হয়েছে বারবার। পেট ফাটিয়ে হেসেছিলাম পড়ে। মূল গল্পটা কার লেখা ছিলো মনে নেই। এই লেখাটা পড়ে সেই গল্পটার কথা মনে পড়ে গেলো।


হাঁটুপানির জলদস্যু

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

সেইরকম! বরাবরের মতোই।
নিয়মিত লেখা চাই। আব্দার নয়, দাবি।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।