ঝটিকা সফর - বার্সেলোনা

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি
লিখেছেন সুবিনয় মুস্তফী (তারিখ: বুধ, ০২/০৯/২০০৯ - ৪:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাতু আমার নিকটতম বন্ধু। কলেজ জীবন থেকে চিনি, বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে খাতির। ভাবনা-চিন্তায়, ধ্যান-ধারণায় অনেক মিল। ঠিক দশ বছর আগে - ৯৯ সালের গ্রীষ্মকালের কথা - আমরা এক রাতে বেড়িয়ে পড়ি নেপালের উদ্দেশ্যে। সোবহানবাগ থেকে বাস ছেড়েছিল, পরের দিন লালমনিরহাট সীমান্ত, অতঃপর ভারতে প্রবেশ। তারপর আরেক বাস ধরে পাহাড় বেয়ে বেয়ে কাঠমুন্ডু শহর, পাক্কা দেড়দিন পরে। এক নাগারে দুই সপ্তাহ ধরে নেপালের এক মাথা থেকে আরেক মাথা চষে বেড়ানো -- সুখের এক ট্রিপ, ছোট্টকালের স্মৃতি।

এরপর অনেকদিন চলে গেল। ৯ বছর ধরে আমরা পৃথিবীর দুই কোণে। কিন্তু সেই নেপাল ভ্রমণের ভাবনা মাথা থেকে নামে না, গ্যাঁজানোর সময় পেলেই তাই আমরা প্ল্যান করি ভবিষ্যতে নিত্য নতুন সব ট্রিপের। কপালের ফেরে মাস কয়েক আগে মাতু চলে এলো আমার শহরে। ব্যাস, আর পায় কে। তারপর থেকে যদ্দিন দেখা হয়, তদ্দিনই কথা ওঠে - কোথাও যাই চল। এদেশেই এদিক ওদিক কিছু ঘুরে দেখলাম -- রোমানদের পুরাকীর্তি, শহরের বাইরে খামারবাড়ি, কিম্বা সাগরের পার

কিন্তু এইসব তো ফাও ট্রিপ। দুধের সাধ ঘোলে আর কি। মাসখানেক আগে মাতু তাই দুম করে কিনেই ফেললো সস্তা প্লেনের টিকেট। গন্তব্য স্পেনের বার্সেলোনা। আগস্টের শেষ উইকেন্ডে একটা বাড়তি ছুটির দিন আছে, তাই তিনদিন ঘরে বসে অপচয় না করে বরং একটা নতুন দেশ, একটা নতুন শহর দেখে আসা যায়।

যেই কথা সেই কাজ। ট্রিপের সমস্ত পরিকল্পনার দায়িত্ব পড়লো আমার ঘাড়ে। হাতে সময় শুধু তিনদিনই, তাই এর সর্বোচ্চ সদব্যবহার করতে চাইলে ঠাসা প্ল্যানিং-এর কোন বিকল্প নেই। নেট থেকে ভালো দেখে গাইডবই কিনে সেটা ধরে যাত্রার রুটিন বানাই আমি, আর মাতু মালিশ দেয় ওর নতুন কেনা দামী ক্যামেরায়। দিন গুনি অধীর আগ্রহে।

*

বার্সেলোনা-কে আমি মূলত জানতাম ১৯৯২ সালের অলিম্পিক নগরী হিসাবে। স্পেনের পূর্ব দিকে ভূমধ্য সাগরের তীর ঘেষে এই বন্দর নগরী, সে দেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহর, পর্যটকদের জন্যে দারুণ চুম্বক। আরো কয়েকটা পরিচয় আছে এর যেমন -
- এই বছরের চ্যাম্পিয়ন্স লীগ বিজয়ী ফুটবল দল এফ সি বার্সেলোনা'র শহর, যেখানে মেসি, এটো, থিয়েরি অঁরি খেলে থাকেন, আর রাইকার্ড, ইয়োহান ক্রুইফ এককালে কোচ ছিলেন।
- ১৯৩৬ সালে স্পেনের ফ্যাসিবাদী জেনারেল ফ্রাংকোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শহর। সেই গৃহযুদ্ধে প্রগতিশীল বামপন্থী গোষ্ঠী শেষমেষ হেরে গিয়েছিল, তবে বার্সেলোনার অলিতে-গলিতে যেই মরণ-লড়াই হয়েছিল, সেটাকে অমরত্ব দিয়ে গেছেন জর্জ অরওয়েল তার "হোমেজ টু ক্যাটালোনিয়া" গ্রন্থে। এই গৃহযুদ্ধকে ঘিরে হেমিংওয়ে লিখেছিলেন উপন্যাস, কালজয়ী ছবি তুলেছিলেন রবার্ট কাপা, আর প্রাণ দিয়েছিলেন কবি ও নাট্যকার ফেদারিকো গার্সিয়া লোরকা।
auto

*

বার্সেলোনার প্রতি আকর্ষণ তাই বহুমুখী! আমি সুযোগ পেলেই অনলাইনে মৃদু মন্দ স্প্যানিশ ভাষা চর্চা করি। 'ওলা।' 'বুয়েনোস দিয়াস।' 'গ্রাসিয়াস।' 'আদিওস।' 'মেনু দাও।' 'এর দাম কত?' ইত্যাদি ইত্যাদি। আস্তে আস্তে যাত্রার দিন চলে এলো। অফিস শেষে বাড়ি যাবার সময় থাকবে না, তাই সকালে লাগেজ নিয়েই অফিসে চলে গেলাম। পাঁচটা বাজে তো পড়িমরি করে দৌড়! সোজা গ্যাট্‌উইক এয়ারপোর্ট, রাতের ফ্লাইট। ইউরোপের চরম সস্তা এয়ারলাইন রায়ান-এয়ারের ফ্লাইট ধরবো আমরা।

প্লেনে উঠেই বুঝলাম যে কি রকম লক্কর-ঝক্কর। সীট নাম্বারের বালাই নেই - লোকাল বাস-টেম্পোর মত যে যেখানে বসতে পারে। প্রতিটা সীট মানুষে ঠাসা, একটাও খালি নেই। সবাই যাচ্ছে দক্ষিণে - ভূমধ্য সাগরের তীরে, সূর্যের হাতছানিতে। ঘন্টাখানেক দেরীতে প্লেন উঠলো আকাশে, এবং পাইলট মহাশয়ের হুটোপুটির খেলা শুরু হলো তারপরে। যখন নামার সময় হলো জিরোনা বিমানবন্দরে, বার্সেলোনা থেকে ৫০ মাইল উত্তরে, পাইলট মোটামুটি হ্যাঁচকা টানে ৩০,০০০ ফুট উচ্চতা থেকে বিমানটাকে সোজা মাটিতে নামিয়ে আনলো। কানের ব্যথায় যাত্রীরা সব গোঙ্গাচ্ছে, কেউ কুঁকড়ে আছে, কেউ দুই কান চেপে ধরে আছে, হঠাৎ উচ্চতার পরিবর্তনে মাথা কারোই ঠিক থাকে নাই।

*

কান ডলতে ডলতে সুস্থির হয়ে নামলাম। এই তাহলে স্পেন। জীবনে প্রথমবারের মত। রাত ১২টা বাজে - তারপরেও বেজায় গরম, ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তো হবেই। তাজ্জবের ব্যাপার যে বিন্দুমাত্র ভিসা চেক ছাড়াই আমরা এয়ারপোর্ট ছেড়ে বেরিয়ে এলাম। ইমিগ্রেশনে একটা কাক-পক্ষীও ছিল না। তো এখন বার্সেলোনা যাবো কিভাবে? ৫০ মাইল পথ পেরুনোর জন্যে রয়েছে বার্সেলোনা বাস, ফিরতি টিকেট একুশ ইউরো দিয়ে কিনে বাসে চড়লাম। হাইওয়েতে উঠে গেলো গাড়ি, রাতের আঁধার কেটে খালি রাস্তা দিয়ে চলে গেল সাইঁ-সাঁই করে। বাসের ভেতর ঘুটঘুটে অন্ধকার, আমার পেছনে এক ইংরেজ তরুন আর তার স্প্যানিশ বান্ধবী নানান পদের খুনসুটি করছে, আমি মাথা হেলান দিয়ে বাতি আর সাইনবোর্ড চলে যেতে দেখছি একের পর একের পর এক।

শহর চলে এলো। বার্সেলোনা নর্ড (Barcelona Nord) স্টেশনে বাস যখন আমাদের ফেলে দিলো, তখন রাত একটারও বেশী বাজে। তবে চিন্তা মাত। হোস্টেলে রুম বুকিং দেয়া আছে, ম্যাপ বলছে সেই হোস্টেল বাস স্টেশন থেকে খুব বেশি দূরে নয়।

লাগেজ নিয়ে হাঁটা শুরু করলাম। রাতের আঁধারে যা অল্প কিছু দেখলাম শহরের, বেশ চমৎকার - চওড়া রাস্তা, সুমসাম, সাজানো, পুরানো ধাঁচের সুন্দর সব দালান-কোঠা উঠে গেছে রাস্তার দুই ধারে। ফুটপাথও বিশাল, পাশাপাশি দুটা রিকশা চলে যেতে পারবে হেসে খেলে। হোটেলের রাস্তাটা খুঁজে পেলাম। 64 Ronda Sant Pere।

কিন্তু একি। ৬৪-র সামনে দাঁড়িয়ে দেখি কোন হোস্টেল নেই এখানে। চারতলা উঁচু দালানের গেট তালা মারা - রাত দেড়টা কি আর এমনি এমনি বাজে? পাশে মেইলবক্সে যা যা নাম দেখলাম, সবই মানুষের নাম, হোটেল ফোটেল কিছু নেই এইখানে। ফোন নাম্বার খুঁজে বের করে ফোন দিলাম। বাজ়ে কেউ ধরে না, বাজে কেউ ধরে না। আবার ফোন দিলাম। আবার বাজে কিন্তু কেউ ধরে না।

ফোনটা কেটে গেল।

আচ্ছা বিপদ! সামনে ধারে একটু এগোলাম, দেখা গেলো যে এরপরের দালান (৬২ নম্বরে) হোটেল একটা আছে বটে, তবে সেটার নাম ভিন্ন। আরো ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম - গেটের চিপায় ছোট্ট একটা কাগজের স্টিকার (চুইংগামের মোড়কের থেকেও ছোট সেই কাগজ) সেখানে আমাদের হোস্টেলের নাম লেখা আছে ক্ষুদ্রাক্ষরে। যাক, পাইসি তোরে! আমরা তুমুল উৎসাহে বেল বাজানো শুরু করলাম।

পুরান শহর, নিশুতি রাত। শূন্য নির্জন রাস্তা ঘাট। গাছের কালো পাতার ভেতর থেকে উঁকি দিচ্ছে হলদে বাতি। আর লাগেজ হাতে তিন দেশী ক্র্যাং ক্র্যাং করে বেল বাজিয়ে যাচ্ছে।

কে একজন বেলটা তুলেছিল অনেকক্ষণ পরে। দুর্বোধ্য স্প্যানিশে দুই লাইন বলে ফোনটা রেখে দিয়েছিল। এরপরে যখন বেল চাপি, তখন দেখি রিং-ও বাজে না আর! যাশ্‌শালা, এখন উপায়? রাতটা কি রাস্তায় কাটাতে হবে নাকি???

(চলবে)


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

অনেকদিন পরে আপনার লেখা পেলাম...
'চলবে' দেখে আশান্বিতও হলাম।

পরের পর্বের অপেক্ষায়... আরো ছবি সহ...
ধন্যবাদ।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

শুরু করসি শেষ করার নিয়্ত নিয়ে! ছবি পোস্ট করা নিয়ে একটু ধাঁধায় আছি। প্যারা ব্রেকের কোডটা জানা দরকার। আছেন নাকি কোন মডু?
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

অমিত এর ছবি

চলুক

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

আহ, বার্সেলোনা দেঁতো হাসি

ইউরোপ ট্যুর দেয়ার সুযোগ যদি কোনদিন পাই তবে সেটা শুরু করবো বার্সেলোনা দিয়ে ...

বার্সেলোনার প্রতি ভালোবাসার শুরু তাদের ফুটবল ক্লাবের মাধ্যমে; অনেক আগে যখন রোমারিও রোনালদো রিভালদোরা খেলতো সেই সময় ... তারপর শহরটা সম্পর্কে নেটে একটু ঘাঁটাঘাটি করে সেই ভালোবাসা আরও বেড়ে গেছে ... বার্সেলোনা, বা আরেকটু জেনারালাইজ করে বললে ক্যাটালুনিয়া হচ্ছে স্পেনের শিল্প-সাহিত্য-প্রগতিশীলতা-মুক্তবুদ্ধির চর্চার অগ্রদূত ... জেনারেল ফ্রাংকোর একনায়কত্বের প্রতিবাদ দিয়ে সেটার সূচনা ... এই কারণে ফ্রাংকো নাকি বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবকে দুই চোখে দেখতে পারতো না, বার্সেলোনাকে হারানোর জন্য ফ্রাংকো সবরকমের সাহায্য করতে থাকে মাদ্রিদ ভিত্তিক রিয়েল মাদ্রিদকে ... এমনকি জনশ্রুতি আছে যে ঘরোয়া ফুটবলের কোন একটা ফাইনালে নাকি বার্সেলোনা এগিয়ে থাকা অবস্থায় হাফটাইমের সময় ফ্রাংকোর লোকজন গিয়ে বার্সার খেলোয়াড়দের হুমকি দিয়ে এসেছিলো দেঁতো হাসি ...

ছোট একটা সংশোধনী, ইতো এখন আর বার্সেলোনায় খেলে না; তার বদলে খেলে সুইডেনের ইব্রাহিমোভিচ ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

অবশ্য গন্তব্য শহর। আমার খুব ইচ্ছা ছিল নু ক্যাম্প যাওয়ার। ঐরকম হিসাব করে রাখছিলাম। কিন্তু শেষমেষ সময় হয় নাই, আড়াই দিন একটু বেশী অল্প হয়ে যায়। হাতে আরো দুটা দিন নিয়ে গেলে এফ সি'র দেখা মিলতো। লীগের প্রথম খেলার টিকেট বিক্রি হচ্ছিলো সবগুলা ট্যুরিস্ট দোকানে।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পুরাই সাসপেন্স দেখি। নাজমুল হোসাইনের সেই বিখ্যাত "কী হয় কী হয়" টাইপ অবস্থা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এই লেখাটা অফিস থেকে বসে দেখলাম। পরে দেখি আর প্রথম পাতায় নেই। ঘটনা কি সুবিনয় ভাই?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

জুবায়ের ভাইকে নিয়ে ভাবীর লেখাটার ঠিক উপরে চলে এসেছিল। তাই সরিয়ে দিয়েছিলাম।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ও ,তাই বলুন!! আমি ভাবি কী ব্যাপার-সারাদিন ধরে এই লেখা দেখলাম না, কারণ কী ...

বার্সার প্রতি ভালোবাসার জন্ম ছোটকালে, যখন প্রফেসর শঙ্কু সোনা তৈরীর অভিযানে সেখানে গেছিলেন। এরপর ফুটবল দিয়ে জানলাম সেখানকার ক্যাটালুনিয়ান সংস্কৃতি...।

চান্স পাইলে যামুই...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

মুস্তাফিজ এর ছবি

আপনে তো মিয়া আরেক নজরুল, এমন জায়গায় থামাইলেন...

...........................
Every Picture Tells a Story

সমুদ্র এর ছবি

ইউরো ট্রিপের একটা প্ল্যান সবসময়ই মাথায় ঘোরে, আর রায়ান এয়ার তার বড় একটা অংশ। আপনার লেখা পড়ে তো কানে হাত বুলাতে হচ্ছে!

"Life happens while we are busy planning it"

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

আরামসে প্ল্যান করেন, বার্সা মিস দেওয়ার মত না। তার উপর থাকেন মেইনল্যান্ডে, চিন্তা কি আর। আমাদের মতন ভিসার ফাঁপড় নাই।

রায়ানের ফিরতি ফ্লাইট অনেক বেশী সভ্য ছিল। বুঝেনই তো, ১০০ পাউন্ডের টিকেট, আর কত সার্ভিস দিবো??
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

সমুদ্র এর ছবি

মক্কার লোকের হজ্জ্ব না পাওয়ার কাহিনী মনে করায় দিলেন ভাইয়া। মিস হবেনা আশা করি, বন্ধুবান্ধব-জুনিয়ার কয়েকজন আছে ওইখানে।

আমি তো ১০-১৫ ইউরোর ট্রিপ দিতে চাই কয়েকটা, ১০০ পাউন্ডেই যদি এই অবস্থা হয় তাইলে তো... মন খারাপ

"Life happens while we are busy planning it"

মামুন হক এর ছবি

লিখেন বস, আমিও একদিন আমার স্পেন ভ্রমণের কাহিনী শুনামু।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

'একদিন'-টা শিগগিরই করে ফেলেন না, দাদা??
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

ছবিগুলো ফ্লিকারে তুলে দিয়ে এখানে এইচটিএমএল কোড কপি-পেস্ট করে দেন।
বর্ণনা দুর্দান্ত হচ্ছে।
ভিসা জোগাড়ের যন্ত্রণাটা একটু বর্ণনা করেন।
এক মাস আগে প্ল্যান করে ভিসার জন্য নামতে হয় - এই ভয়ে ইউরোপ ভ্রমণ থমকে আছে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এতো ঝামেলা নাকি? এদিক থেকে আপনাদের দিকে যেতে হলে তো মনেহয় এতো ঝামেলা নাই। অবশ্য মাস আষ্টেক আগে আরও সহজ ছিলো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

শোহেইল ভাই, ভিসা নিয়ে কোন ভয় পাবেন না। প্রায় এক ডজন ইউরোপীয় দূতাবাস এখন ওদের ভিসা সার্ভিস আউটসোর্স করে দিয়েছে VFS নামে একটা কম্পানীর কাছে। এদের কারনে ভিসা নেয়া আগের থেকে বেশ সহজ হয়েছে। আমি দশদিনের ভেতর পেয়েছি। কাগজপত্র ঠিক থাকলে সব ঠিক। আপনি যেহেতু বিবাহিত, আপনার মালটিপল এন্ট্রি পেয়ে যাবার সম্ভাবনা অনেক বেশী। একবারই ঝামেলা পোহাবেন, তারপর সব ফকফকা।

http://www.vfsglobal.com/ (টটেনাম কোর্ট রোডের পিছনে সোহো'তে অফিস।)
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

বিরাট ধন্যবাদ।
এই বিষয়টা জানতাম না।
বছর দুয়েক ধরে শুধু ইংল্যান্ড আর স্কটল্যান্ডের মধ্যে ঘুরেই কাটালাম। এখন এসেছে ভিএফএস। আহা।
কিন্তু আমাদের কন্যারা?
যাই হোক, উপায় একটা বের করতে হবে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

বসে আইলেন তাইলে চোখ টিপি

ফটো সহ ঘটনাবলির বর্ণনা দিতে থাকেন। চলুক

দুর্দান্ত এর ছবি

যোশ লাগছে। পরেরটায় আরো ছবি চাই।

স্বাধীন এর ছবি

চলবে দেখে ভরসা পেলাম, সহসাই আবার উঁধাও হচ্ছেন না জানলাম। এ সিরিজ চলুক। তবে অর্থনীতির উপর লেখার কোন মাফ নেই কিন্তু বলে রাখছি।

নিবিড় এর ছবি

চলুক চলুক


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভাল্লাগছে। এসব পোস্ট সেইভ করে রাখতে হবে, নিদেনপক্ষে বুকমার্ক। যদি কোনদিন এসব জায়গায় যাই তাহলে কাজে লাগবে।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

স্পেনের প্রতি আমার ভীষণ দুর্বলতা আছে। জীবনে সুযোগ পেলে, অবশ্যই যাব স্পেনে।
লেখাটা দারুণ লাগল চলুক
চলুক। অপেক্ষায় থাকলাম পরের পর্বের জন্য।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

ভ্রমনকাহিনী পড়তে এসে এরকম সাসপেন্সে পড়তে হলে তো মুশকিল!

ভালো লাগছে। চলুক। মনে রাখবেন, চা স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

যাহ্ শালা! তারপর?

ওহ পরেরটা পইড়া দেখি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।