মরুর বুকে দুধের নহর বাষ্প হয়ে যাচ্ছে

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি
লিখেছেন সুবিনয় মুস্তফী (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৮/১২/২০০৮ - ৭:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ক্রেডিট ক্রাঞ্চ নামে এই জিনিসটার নানা কিসিমের সাইড এফেক্ট দেখা দিচ্ছে দিনে দিনে। যেমন বছরের শুরুতে ভাবা হচ্ছিল যে এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকার উন্নয়নশীল দেশগুলো এই যাত্রায় তেমন বড় ধাক্কা খাবে না। গ্যাঞ্জাম তো আর আমাদের থেকে শুরু হয়নি। সাবপ্রাইম ঘিরিঙ্গি লেগেছে মূলত আমেরিকাতে, আর বড় বড় ব্যাংক যেগুলো ধরা খেয়েছে সেগুলো সবই উন্নত বিশ্বের, হয় মার্কিন নয় ইউরোপীয়। তাই 'বিশারদ'রা - যারা বেশীর ভাগই আসলে কিসসু জানে না - তারা বলেছিল যে emerging markets এইবার মোটামুটি সেইফ।

এই গল্পের একটা নামও দিয়ে দিয়েছিল ওরা - de-coupling। মানে জুটির বিচ্ছেদ! উন্নত আর উন্নয়নশীল বিশ্বের কপাল যদি কোনকালে আঠা দিয়ে জোড়া দেওয়াও ছিল, এই ক্রাইসিসে সেটা আর প্রযোজ্য নয়। হ্যাঁ, ইউরোপ আমেরিকাতে আমাদের যেই রপ্তানীর বাজার ছিল, সেইটা হয়তো কিছুটা বিঘ্নিত হবে, কিন্তু ওটা তেমন সিরিয়াস কিছু না, এশিয়ান দেশগুলো একে অপরের সাথে আগের তুলনায় অনেক বেশী বাণিজ্য করছে, তাই পাশ্চাত্যের সেই ঘাটতি পুষিয়ে দেয়া যাবে। এই ছিল ডিকাপলিং থিওরির মূল কথা। (প্রভাবশালী ইকনমিস্ট পত্রিকায় ডিকাপলিং তত্ত্বের সাফাই গেয়ে একটা আর্টিকেল, গত মার্চ মাসে প্রকাশিত।)

দেখা গেলো যে বছরের শেষে এসে সেই থিওরি মরে ভূত হয়ে গেছে। কারন চীন জাপান থেকে শুরু করে সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া কোরিয়া ইন্দোনেশিয়া সবাই কম-বেশী আহত হয়েছে। রপ্তানী-শিল্প-কারখানা সবারই পড়ন্ত। আর বেকারত্ব হার বাড়ন্ত। থিওরি শুধু থিওরিতেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেলো - প্রাচ্য আর পাশ্চাত্য জুটি এখনো অটুট।

বাংলাদেশের কি হবে? নির্বাচন আসছে, শুনলাম দুই দল নাকি তাদের ম্যানিফেস্টোতে অর্থনীতি নিয়ে কিছু বাতচিত করেছে। জাঁদরেল ব্লগার ও তরুণ অর্থনীতিবিদ জ্যোতি রহমানের সাম্প্রতিক লেখা পড়ে এই বিষয়ে আরো কিছু জানা গেল। লীগ বলেছে টাস্ক ফোর্স বানাবে, আর দল বানাবে উপদেষ্টা কমিটি। তারপরে নাকি ঝড়ের থেকে কিভাবে শেল্টার নেয়া যায়, সেই পদ্ধতি তারা বাতলে দেবেন।

এক দিকে আশার কথা হচ্ছে যে বাংলাদেশ সব সময়ই অপেক্ষাকৃত কম দামী রপ্তানী সাপ্লাই দিয়ে এসেছে পশ্চিমের কাছে। আমাদের বানানো টি-শার্ট আর সোয়েটার ওয়ালমার্ট বা টেসকোর মত সস্তা দোকানেই বেশী বিক্রি হয়। অপেক্ষাকৃত হাই-ফাই দোকানগুলোতে আমাদের তৈরী পোশাকের ভাত নেই। এই ক্রেডিট ক্রাইসিসে সেটাই হয়তো হবে আমাদের জন্য শাপে বর। মার্কিন আর বিলেতে মানুষ চাকরি খোয়াচ্ছে ডাইনে বাঁয়ে। বাড়ির পেমেন্ট সময়মত দিতে না পেরে ঘর থেকে উচ্ছেদ হচ্ছে। এই ক্রিসমাসে কেনাকাটাও খুবই হতাশাব্যঞ্জক।

স্বভাবতই পশ্চিমা খদ্দেররা এখন গুণে গুণে টাকা খরচ করবেন। আগে কেনাকাটা করতে যেতো হয়তো মার্ক্স এন্ড স্পেন্সার অথবা গ্যাপ-এ। কিন্তু এই বাজারে কৃচ্ছতা সাধন করতে হচ্ছে, তাই সস্তার খোঁজে চলো টেসকো বা ওয়াল-মার্ট। কে জানে, হয়তো আমাদের গার্মেন্টস শিল্প খুব বেশী মার খাবে না এই ধাক্কায়। আরিফ জেবতিক যিনি প্রত্যক্ষ শিল্পের সাথে জড়িত আছেন, তার এই বিষয়ে মতামত জানতে পারলে ভালো হতো।

তবে চিন্তার বিষয় অন্যত্র। সেটা হলো রেমিট্যান্স। বিগত দশকে আমাদের ব্যর্থ জাতীয় নেতৃত্বের তুরুপের তাসটা কি ছিল? দেশ লুটার কাজে যেহেতু বেশী ব্যস্ত ছিল, তাই ম্যাঙ্গো পাবলিকের যে একটা কর্মসংস্থানের প্রয়োজন আছে, সেই বিষয়ে তেনারা মোটামুটি উদাসীনই ছিলেন বলা চলে।

কিন্তু তাতে টেনশনের কারন নাই। কারন আমাদের এয়ারপোর্ট আছে, প্লেনও নামে তাতে। লক্ষ লক্ষ বেকার পোলাপান-রে প্লেনে চাপায় দাও। ইঞ্জিনটা ঠিকমত স্টার্ট দিতে পারলেই হলো, প্লেন ঠিক ঠিক বেকারগুলোকে অন্য কোথাও নিয়ে যাবে - হয় মালয়েশিয়া নয় কোরিয়া নয় স্পেন নয় ইটালি। আর সবার উপরে তো আছেই এক মিডেল ইস্ট। সেইখানে মাটির তলে টাকা ঘুমায় থাকে, পাইপ বসালেই মাটির উপরে চলে আসে তৈলাক্ত টাকা। সেই টাকা সবাইকে টানে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, ফিলিপিনের পাশাপাশি বাংলাদেশ হলো মধ্য প্রাচ্যে আদম সাপ্লাইয়ের বড়-সড় উৎস। (এই আদম সাপ্লাই করেই শুনি মুসা বিন শমশের হন 'প্রিন্স' মুসা - আর তার জুতায় শোভা পায় হীরক খন্ড।)

কিন্তু মিডেল ইস্টের দুধের নহর যদি শুকিয়ে যায়? ভয়ের ব্যাপার হলো সকল আভাস এখন সেদিকেই তাক করছে। তেলের দাম ১৫০ ডলার থেকে নেমে গেছে ৩০-এর কোঠায়। সেই সাথে কমে গেছে দুবাই-কুয়েত-সৌদির জেল্লা-জৌলুশ। কথায় কথায় আকাশচুম্বী দালান আর অষ্ট-লেন হাইওয়ে আর সাগরের বুকে নিত্য নতুন দ্বীপ নির্মানের দিন আর বেশী বাকি নেই। তাই প্লেন বোঝাই মিসকিনের প্রয়োজনও কমে আসছে, তাদের গতর খাটানোর অবকাশ আগের মত নেই। গেল বছরে আট লক্ষ লোক স্বদেশ ফেলে চলে গিয়েছিল কাজের খোঁজে, তাদের অধিকাংশই মিডেল ইস্টে। শত সহস্র কোটি টাকা তারা দেশে পাঠিয়েছেন, বাবা-মা আত্মীয় পরিজনের কাছে। এই টাকার খনি বন্ধ হয়ে আসছে। ইউরোপ আমেরিকা আর অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসীদের মাঝেও কম-বেশি একই এফেক্ট কাজ করছে।

রেমিট্যান্স সংকট অতি আসন্ন তাই, আর দেশের বেকারত্ব সমস্যা ঘণীভূত হতে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের 'জাতীয় নেতৃত্ব' কি বন্দোবস্ত নেবেন, সেটা জানার কোন অধিকার কি আমাদের আছে?


মন্তব্য

অম্লান অভি এর ছবি

আপনার লেখায় কোন মন্তব্য করা আমার দ্বারা সম্ভব নয়। তারপরেও ছোট একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি- বিজয় দিবসের দিন ১১ টা থেকে বিকাল ৪:১৫টা পর্যন্ত এয়ারপোর্টে ছিলাম ঢাকায়। কারণ brother in law কে ভুলে যাওয়া দেশের পথে নামিয়ে আনতে দাড়িয়েছিলাম মাত্র। দুবাই থেকে বিজি ০২৬ চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় পৌচ্ছাল তখন ঘড়িতে ১২:৫৪মি আর ভেতরের কাজ-অকাজ শেষে বেড় হলেন বিকাল ৪:১০মি। তারপর ভেতরে দেরীর কথা জানালেন তিনি, তার লাগেজ শুণ্য হয়ে দেশে ফিরলেন কেন।?। কারণ প্রায় সব কোম্পানী থেকে লংগ ছুটিতে দেশে পাঠিযে দিচ্ছে কর্মীদের। এই চাপে আগে যাত্রী পরে মাল প্রক্রিয়ায় প্লেন আসছ। আর এই খবর দেশে এসে জানচ্ছে আমাদের স্বদেশী বিমানের যাত্রীরা। তার মত গোটা দশেক যাত্রীর দেখা পেলাম। কেউ একটা লাগেজ সহযাত্রী হিসেবে পেয়েছেন, কেউবা শুণ্য প্রায়। পরিবারে মাসহ দুই মেয়ে ফিরেছেন একদম লাগেজ শুন্য (সাথে বহন করা সাউড ব্যাগ ব্যতীত)। আমার BiL তাদের সাথে আলাপ করে জানলেন মেয়ে দ্বয়ের বাবা ষোল বছর ধরে দুবাইতে চাকরী করছে আর তারা সেখানে গত আট বছর ধরে।
এমন ঘটনা যে খুব ঘটছে তার বর্ণনা কি দরকার আছে।
কিন্তু দরকার যা তা হচ্ছে অনুসন্ধিৎসু চোখ আর রাজনৈতিক বোধ জাগ্রত করা। যাতে অর্থনৈতিক বড় কোন ভ্যাকুয়াম তৈরী না হয়।

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ। খুবই মন্দ সময় আসছে মিডেল ইস্টে। ইতিমধ্যে দুবাইয়ের হাউজিং মার্কেট জোরে-সোরে ক্র্যাশ শুরু হয়েছে। সকল
প্রকার কন্সট্রাকশনের কাজ়ে কড়া ব্রেক বসানো হচ্ছে। আপনার BiL প্রথম ধাক্কায় চলে আসলেন - ভয় হচ্ছে যে ২০০৯-১০-এ এরকম আরো কত শ্রমিককে স্বেচ্ছায়-অনিচ্ছায় ফিরে আসতে হবে।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আচ্ছা আমাদের দেশের উপর পরোক্ষ ইমপ্যাক্ট হলো এইটা। এরচেয়ে সরাসরি কোন ইমপ্যাক্ট আছে? যেমন গার্মেন্টস ছাড়া অন্যান্য রপ্তানী ভিত্তিক ব্যবসা, পুঁজিপতিদের বাইরে বিনিয়োগ। কবে নাগাদ জানা যাবে যে কতখানি এফেক্ট পড়বে?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

আরেকটু পড়াশোনা না করে বলা মুশকিল। বাংলাদেশের সুবিধা হলো যে চীন ভারতের তুলনায় প্রডাকশন খরচ কম। তাই ক্রেতা যখন বেশী সস্তা মাল খুঁজে, তখন আমাদের জিনিসের ডিমান্ড বাড়ে। সার্ভিস অর্থনীতিতেও একই কথা খাটে, ব্যাক অফিস জাতীয় কাজে। কিন্তু রপ্তানী সেক্টরে যে কোন ঝাপ্টাই লাগবে না, এইটা বলা বোধ হয় ঠিক হবে না। তবে কোন সেক্টর বেশী নাজুক অবস্থায় আছে, সেটা এখন বোধগম্য হচ্ছে না। দেখি, দেশের হাড়ির খবর যদি কোন পাঠকের জানা থাকে, তারা শেয়ার করবেন নিশ্চয়ই।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

একজন [অতিথি] এর ছবি

রেমিট্যান্সের কথা বলছি।
সংকট এখন পর্যন্ত শুরু হয়নি। উন্নত বিশ্বের মানুষ এখনো মিসকিনের কাজ করার মত দা‍রিদ্র মানসিক ভাবে মেনে নেয়নি। তবে মানুষ আতংকিত হয়ে আছে। আর এর সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে কিছু ব্যবসায়ী।

তবে সংকট শুরু হতে পারে। আমাদের দেশে রেমিট্যান্স ধাক্কা লাগলে তা সামাল দেওয়া কঠিন হবে। আবার বিদেশে যাওয়ার টাকা যোগার করা এই শ্রমিকদের জন্য খুব কষ্ট্কর।

দুঃখের একটা বিষয় জানেন - বাংলাদেশের ৯০ ভাগেরও বেশি রেমিট্যান্স পাঠায় এইসব শ্রমিকরা। বেশিরভাগ দেশে চিত্রটা পুরো বিপরীত।

দিগন্ত এর ছবি

বাংলাদেশের ৯০ ভাগেরও বেশি রেমিট্যান্স পাঠায় এইসব শ্রমিকরা।

এখানে কাজ করে একজনের কাছে শুনছিলাম, বাংলাদেশের যারা শ্রমিক বা গাড়ি চালানোর মত কাজ করে, তারা টাকা পাঠায়, আর যারা বড় টেক-সেক্টরে কাজ করে তারা প্রায় কিছুই পাঠায় না। কারণ, তারা বিদেশে শান্তিতে বসবাস করতে চায়।

বাংলাদেশের লোকজনের আমেরিকায় সিটিজেনশিপ পেতে গড়ে ৮ বছর মত লাগে আর ভারতীয়দের ক্ষেত্রে সেটা ১২+ বছর, তাই ভারতীয় অনেকেই এখানে আর না থেকে দেশে ফিরে যায়। টাকাও সাথে নিয়ে যায়। তাই ভারতে এখন এই অনুপাতটা কিছু কম ...


হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

গার্মেন্টসের ব্যাপারে আপনার চিন্তার সাথে আমিও একমত । তবে কথা হচ্ছে সব ঘাগুদের থিওরী যখন ফেল করছে , তখন কী হয় আদৌ বলা যায় না । আমরা ভয়ে আছি, ভয়ে আছে বাকী সব গার্মেন্টসগুলোও , তাই গার্মেন্টস বাড়ানোর কাজ বন্ধ রেখেছে সবগুলো বড় গ্রুপই । একারনে তৃনমূল নারীদের কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি আগামী একবছর খুব কমই হবে বলে মনে হচ্ছে । এটাও একটা ক্রেডিট ক্রাঞ্চ এফেক্ট ।
সবাই ধীরে চলো নীতিতে চলছে , বিশ্বের অন্যতম বড় বায়িং এজেন্ট Li&Fung একটি দশতালা ভবন কিনে অফিস চালু করার প্ল্যান চূড়ান্ত করেছিল , কিন্তু গত সপ্তাহে এই সিদ্ধান্তকে একবছরের জন্য স্থগিত করেছে ।

তবু এখনও ওয়ালমার্ট , টার্গেট , টেসকো , প্রাইমার্ক এই স্টোরগুলোর বায়িং অর্ডার কমে যায় নি । সম্ভবত এরা চীন থেকেও প্রচুর অর্ডার শিফট করে নিয়ে আসছে । এইচএন্ডএম যে পাঁচ বছরের টার্গেট ঘোষনা করেছে গত সপ্তাহে , ( এরা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় বায়ার ) তাতে তাদের অর্ডার আগামী ৫ বছরে দ্বিগুন করার ঘোষনা দিয়েছে ।

সব বিবেচনায় মনে হচ্ছে , গার্মেন্টসে আঁচ তেমন একটা লাগবে না ।
দেখা যাক ।আপনারাই ভালো বলতে পারবেন ।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

দারুন মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। এইসব ভেতরের খবরই আপনার কাছ থেকে জানতে চাচ্ছিলাম! তবে আসলেই শেষমেষ কি হবে, কেউ হলফ করে বলতে পারছে না।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

দিগন্ত এর ছবি

ধাক্কা নিচে আসে সবার শেষে। বাংলাদেশের গারমেন্টসে ধাক্কা লাগবে বলে মনে হচ্ছে না।


হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

কবি এর ছবি

মধ্যপ্রাচ্যে নির্মান শিল্পেই কি আমাদের শ্রমিকদের বেশীর ভাগ কাজ করেন? এই নিয়ে কারো কি কোন পরিসংখ্যান জানা আছে?

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

- প্রবাসী অর্ধ কোটি বাংলাদেশীর মধ্যে ৬০% অর্থাৎ ৩০ লক্ষ থাকে মধ্যপ্রাচ্যে।

- বাৎসরিক আনুমানিক ৮-৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স অংকের ৭০% মিডল ইস্ট থেকে আসে

- বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গার্মেন্টসের পর পরই রেমিট্যান্স তালিকার শীর্ষে। দাতা সাহায্যের থেকে অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ তো অবশ্যই। এই জিনিস শুকায়ে গেলে অনেক অশান্তি সামনে।

আপনি যেই ডাটার কথা বললেন সেটা নিশ্চিত জানি না, তবে খুঁজলে নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে। আপাতত উপরের চমতকার লিংকটা ঘুরে দেখতে পারেন - বাংলাদেশ সহ আটটি উন্নয়নশীল অর্থনীতির গলি-ঘুপচি নিয়ে লেখে এরা।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

পুঁজিবাদের ডোমিনো ইফেক্ট ....একটা একটা করে সবগুলো ডোমিনো ফল করে যখন একপাক ঘুরবে, তখন স্থিতি আসবে বলে মনে হয় ...
তেলের দামটা কমলো কি কি কারণে এইটা নিয়া একটা পোস্ট দেন
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

জিজ্ঞাসু এর ছবি

খবরে প্রকাশ পতনশীল বাজারে তেলের চাহিদা কমে (বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম কমিয়ে দেয়া, বন্ধ করে দেয়া ইত্যাদি) যাওয়ায় এবং সরবরাহ ঠিক থাকায় তেলের মূল্যপতন হয়েছে। এখন তেল উৎপাদনকারীরা আবার উৎপাদন কমিয়ে দাম বাড়ানোর চেষ্টায় রত।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

দিগন্ত এর ছবি

বাংলাদেশেও ধাক্কা লেগেছে এবার।


হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।