দুরু দুরু বক্ষে

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি
লিখেছেন সুবিনয় মুস্তফী (তারিখ: মঙ্গল, ০৬/০১/২০০৯ - ৪:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নতুন বছর শুরু হবার পর আজকেই সব অফিস-আদালত খুললো। সাত সকালে দুরু-দুরু বক্ষে কাজে গেলাম। কম্পানীর অবস্থা বিশেষ সুবিধার না। অর্ধ-বার্ষিক ফলাফল বেরিয়েছে, প্রমাণ সাইজের লস খেয়েছে তাতে। ক্যাপিটালের অভাবের কারনে মাঝখানে কঠিন টানাটানিতে পড়ে গিয়েছিল - বিভিন্ন পার্টির সাথে আলাপ আলোচনা করে এইবারের মত কোনমতে গোঁজামিল দিয়ে ঠেকানো গেছে।

তবে বিপদ যে সম্পূর্ণ কেটে গেছে তা বলা যাবে না। বছরের প্রথম দিনেই ফার্মের বড় হুজুরদের বক্তৃতা সবার ডায়েরিতে বুকিং দেয়া ছিল। কত্তাবাবুরা কি বলেন, তা শোনার জন্যে পুরো ফ্লোরের লোকের সাথে আমিও গেলাম ঠিক দুপুর বারোটায়। তিনি বললেন অনেক কিছুই -- ক্রাইসিস শুধু আমাদের একার না, অন্যান্য কম্পানীগুলোও একই ধকল সামলাচ্ছে। ক্লায়েন্টের সুবিধা-অসুবিধার দিকে কড়া নজর রাখতে হবে। বেহুদা খরচাপাতি কমাতে হবে। ইত্যাদি ইত্যাদি।

তবে যেই কথাটা শোনার অপেক্ষায় ছিলাম, সেটা কেমন পাশ কাটিয়ে গেলেন তিনি। শুধু এইটুকু বললেন যে পড়ন্ত ইনকামের সাথে তাল মিলিয়ে কম্পানীর খরচ এখনো আনুপাতিক হারে কমেনি। ভাবলাম এই বুঝি সেরেছে। কস্ট-কাটিং বলতে কত্তাব্যক্তিরা মূলত যা বোঝান, তা হলো লোক ছাটাই। শুরুতে চাকরি যায় অপেক্ষাকৃত কমবয়স্কদের, যাদের অভিজ্ঞতা কম। অবশ্য তাদের বিভিন্ন রকম দায়বদ্ধতাও কম। একটা পঁচিশ বছরের চ্যাংড়া ছেলের চাকরি চলে গেলে, মাস ছয়েক বেকার ভাতা খেলে তার জন্যে সেটা বিরাট ক্রাইসিস হয়ে যাবে না। সময় ও সুযোগ এলে সে ঠিকই আরেকটা ব্যবস্থা করে ফেলতে পারবে - এই হলো ভাবনা।

এই চিন্তা করেই গত বছর অনেকগুলো চ্যাংড়া পোলাপানের মাথা কাটা পড়লো। কিন্তু কাটাকুটির খেলা একবার শুরু হলে কি আর এত তাড়াতাড়ি শেষ হতে চায়?

এই খেলা কঠিনতর হয়ে দাঁড়ায় যখন অপেক্ষাকৃত বয়স্ক লোকদের চাকরি চলে যায়। যারা মিডেল ম্যানেজমেন্টের লোক, বয়স ধরেন ৩৫ বা ৪০ বা তারো বেশী। বৌ আছে, বাচ্চা আছে। বাড়ির উপর মর্টগেজ আছে, মাসে মাসে তার কিস্তি আছে। গাড়ির লোন আছে, মানিব্যাগে লুকানো ক্রেডিট কার্ড আছে আরো ডজনখানেক। সংসারের নানাবিধ খরচ আছে, আছে বাচ্চাদের স্কুলের ফি। প্রতিটার পয়সা পাই-পাই করে গুণতে হয়। মাস শেষে থাকে নির্দয় উপহাসের মতো কার্ডে আরো কিছু বাড়তি দেনা।

এমন খাঁচা-বন্দী মানুষের জন্যে চাকরি খোয়ানোটা বিভীষিকার মতোই। আমার সাথে কাজ করে এই রকম লোকের সংখ্যা নেহায়েত কম না। নিত্যই তাদের চোখে মুখে দেখি শংকার ভাঁজ।

*

তবে যেটা শোনার অপেক্ষায় ছিলাম, সেটা আর বললেন না তিনি। কান খাড়া হয়েছিল আমাদের সবারই। এবং এই যাত্রা কানের পাশ দিয়েই গেল। তবে সামনের মাসে বা তার পরের মাসে বা তারও পরের মাসে যে গুলি তার লক্ষ্যভেদ করবে না, এমনটা কে বলতে পারে?

অদ্ভূত সময়। ২০০৮ যেমন অতি শিক্ষণীয় এবং ইন্টারেস্টিং একটা বছর ছিল, ২০০৯-ও ঠিক সেইরকম একটা দুর্বোধ্য, চমকপ্রদ আর বিপজ্জনক বছর হবে বলেই ধারণা করা যাচ্ছে।

তার প্রথম দিন গেল। আর মাত্র বারো মাস বাকি...

---

(অর্থনীতির সাথে অসম্পৃক্ত!) ডেভিড গ্রে'র এই গানটা গত কয়েকদিন ধরে অনেক শুনছি।


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এই দুরু দুরু ভাব কবে যে কাটবে সেই চিন্তা করি। চারদিকে খালি ছাটাইয়ের খবর...।

২০০৯এ আপনার থেকে নিয়মিত লেখা চাই। বিশ্ব অর্থনীতি-বাণিজ্য কোন পথে চলছে,যাবে - এসব নিয়ে আপনার সহজিয়া বিশ্লেষণ চাই। পাঠকের দাবী।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

নিয়ত তো আছেই, বাকিটা মাবুদের ইচ্ছা!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

দ্রোহী এর ছবি

আমিও দুরু দুরু বক্ষে চাকুরী খুঁজছি। আর মাত্র ৬ মাস। চাকুরী না পেলে না খেয়ে মরতে হবে আমায়।

অমিত আহমেদ এর ছবি

সবদিকেই একই গল্প। ভাল্লাগে না এসব আর। চলেন নৌকা ভাসাই।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

দ্রোহী এর ছবি

নৌকার এই জোয়ারের মৌসুমে নতুন করে কৈ নৌকা ভাসাইতে চান?

থার্ড আই এর ছবি

আমিতো এক বছর ধরইরা বেকার !!
----------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

অবস্থা ভালো না। কখন যে এই হাওয়া বাংলাদেশে লাগে এই ভয়ে আছি। আমাদের তো আবার বেকার ভাতা নাই। বাপের মাথায় চড়ে বসে খাওয়ার দিনও গেছে।

সৌরভ এর ছবি

আমি অন্যরকম চিপার উপ্রে আছি।
জাপানের খবর বলি।

জাপানে নিউ গ্রেডদের চাকুরি খোঁজার একটা মৌসুম আছে, সেইসময়ে চাকুরি জোগাড় করতে না পারলে, নিউ গ্রেড হিসেবে যে সুবিধাটুকু দেয়, সেটা আর পাওয়া যায় না। আমি সেই মৌসুম পার করে সৌভাগ্যবশত একটা অফার লেটার নিয়ে বসে আছি। সামনের এপ্রিলে জয়েন করার কথা।

কিন্তু, অবস্থা খু্ব একটা সুবিধার নাহ। অনেক জায়গাতেই অফার লেটার দিয়ে ক্যানসেল করছে, এইরকম খবর পেপারে পড়ছি, আশপাশে শুনছি। অফার বাতিল করলে আইনগতভাবে এর বিরোধিতা করা যায় কিন্তু, তাতে লাভ সামান্যই, বড়োজোর ক্ষতিপূরণ জুটবে কিছু, অথবা চাকুরিতে জয়েনের পরে গলা কাটবে।

নতুন বছর আসার পর ঘটনা আরো খারাপ হবে - নভেম্বরের শুরুতে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন বিশ্লেষকেরা।

অবস্থা এতোই খারাপ, সরকারের জনকল্যাণ দপ্তর অফার লেটার ক্যানসেল যাদের হচ্ছে তাদের মনিটরিং এর জন্যে একটা বড়সড় হেল্প সেন্টার খুলে ফেলেছে। তারা ঘটনা শুনছেন, অন্য চাকুরি বা স্কিল বাড়ানোর উপায়ের খোঁজ দিচ্ছেন, সাহায্য বড়োজোর এইটুকুই।

দ্বিতীয় গ্রেট ডিপ্রেসন কি তাহলে আসছে?


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

জাপানের জনসংখ্যা সমস্যা নিয়ে ইকনমিস্ট পত্রিকায় খুব ইন্টারেস্টিং একটা রচনা পড়লাম। ওদের অবস্থা তো যথেষ্ট খারাপ মনে হইলো। আপনাদের জন্যে সুযোগ সুবিধা কি আগের থেকে বাড়িয়ে দিচ্ছে?
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

সৌরভ এর ছবি

ইকোনোমিস্ট এর আর্টিকেলটা পড়লাম।
সমস্যা যদিও প্রকট কিন্তু, এখনো জাপান "সত্যিকার অর্থে বিদেশী"দের গ্রহণ করার মতো প্রস্তুত নয়।

"সত্যিকার অর্থে বিদেশি" বলতে যাদেরকে জাপানীদের সাথে আলাদা করা যায়, তাদেরকে বুঝিয়েছি। চীনা,কোরিয়ান অথবা জাপানী বংশোদ্ভূত ব্রাজিলীয়রা জাপানীদের সাথে সহজে মিশে যেতে পারে।

সমস্যা ভালোভাবেই স্পষ্ট। ওয়ার্কিং পপুলেশনের উপরে নির্ভরশীল রাষ্ট্রীয় হেলথ ইন্সুরেন্স ব্যবস্থা এবং পেনশন সিস্টেমের হিসেব মেলাতে পারছে না সরকার। বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, ওয়ার্কিং পপুলেশন কমছেই।

জাপানে প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণের সিস্টেম থাকায়, ছোট শহরগুলোকে নিজেদের অর্থনীতির হিসেব নিজেদের মেলাতে হয়। অনেক ছোট-বড় শহরেই বয়স্ক মানুষ বেশি হয়ে যাওয়ায় ট্যাক্স দেবার মানুষ নেই, আয়ও নেই। বাচ্চা নেই, স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

বিদেশীদের জন্যে সুযোগ বাড়ানো বলতে,
কিছু কিছু সেক্টরে (হেলথকেয়ার) ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স অথবা ভিয়েতনাম এর মতো দেশ থেকে পেশাজীবীদের অবাধ প্রবেশের সুযোগ তৈরি করার কাজ প্রাথমিকভাবে শুরু হয়েছে। ইকোনোমিস্টের ওই রিপোর্টে যেমনটা বলা হয়েছে, বিদেশীদের জন্যে সরকারের পলিসি এখনো বিতর্ক বা চিন্তাভাবনা পর্যায়েই আছে।

তবে আমার ব্যক্তিগত মত, বছর দশ-পনেরো পরে ইমিগ্র্যান্টনির্ভরতা অনেক অনেক গুণে বাড়বে এই দেশের।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

রেজওয়ান এর ছবি

গ্লোবাল ভয়েসেসে জাপান থেকে টমোমি সাসাকির লেখা পড়লাম এই বিষয়ের উপর -নাইতেই (naitei ) ক্যান্সেল হয়ে যাচ্ছে:
http://globalvoicesonline.org/2008/12/27/japan-un-hiring-fresh-graduates/

আরও জানার ইচ্ছে আছে এ ব্যাপারে।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

সৌরভ এর ছবি

"নাইতেই" এর কাহিনী বলি।

পৃথিবীর অন্য কোন দেশে আছে কি না জানি না, জাপানে নতুন গ্রাজুয়েটদের জন্যে বেশ সুবিধাজনক একটা সিস্টেম আছে। মনে করুন, ২০০৯ এর মার্চে আমার গ্রাজুয়েশন করার কথা। মানে আমি ২০০৯ নিউ গ্রেড।

কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া, বড় বড় কোম্পানিগুলো ২০০৯ নিউ গ্রেড দের জন্যে রিক্রুটমেন্ট কার্যক্রম চালাবে ২০০৮ এর জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই সময়েই আমাকে খুঁজেপেতে একটা চাকুরির জোগাড় করতে হবে, যার যোগদান ২০০৯ এর মার্চে আমার গ্রাজুয়েশন হবার পর, মানে এপ্রিলে।

সব ঠিকঠাক হয়ে গেলে যোগ দেবার ছয়মাস আগেই নিয়োগকর্তা আমার সাথে একটা কন্ট্রাক্ট করবে। এইটাকেই বলা হচ্ছে "নাই-তেই"। এতে আইনগত বাধায় আটকা পড়বে নিয়োগকর্তা ও প্রার্থী দুজনেই। কোন সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া এই "নাইতেই" বাতিল করা যাবে না।

কোন কারণে এই কন্ট্রাক্ট বাতিল হয়ে গেলে এই ২০০৯ নিউগ্রেড রা হয় এক বছর বসে থাকবে পরের বছরের নিউ গ্রেডদের রিক্রুটমেন্টের সময়ের জন্যে অথবা তাদেরকে ক্যারিয়ার রিক্রুটমেন্টের লোকদের সাথে অসম প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে হবে।

আরো সমস্যা হলো,
যারা এই মুহূর্তে চাকুরি করছেন, তাদের চাকুরি চলে গেলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে অর্থনৈতিক কিছু সুবিধা পাবেন। কিন্তু, এই "নাইতেই" ওয়ালাদের বাতিল করতে গেলে অর্থনৈতিক সুবিধা দেবার ব্যাপারে কোন নিয়মকানুন নেই। বরং চিন্তা করে দেখলে, যেহেতু, তারা কোন কাজ করে নি, অনেক ক্ষেত্রেই ব্যাপারটা অনৈতিক।

এই বছরে যা হচ্ছে
অর্থনৈতিক মন্দায় হাউজিং ইন্ডাস্ট্রির কয়েকটা বড় কোম্পানি দেউলিয়া হয়েছে। এদের "নাইতেই"ওয়ালাদের পেটে লাথি পড়েছে। দু-একটা কোম্পানি আইনি ঝামেলা এড়ানোর জন্যে, মানবিক খাতিরে, ২০-৩০ লাখ ইয়েন (২০-৩০ হাজার ডলার) ধরিয়ে দিয়ে সমঝোতায় এসেছে।

আবার কেউ কেউ, আইনি ঝামেলা এড়াতে নিয়োগপ্রার্থীদের কাছেই একটা কাগজে লিখে নিচ্ছে যে তারা নিজেদের ইচ্ছায় চাকুরির কন্ট্রাক্ট বাতিল করছে।

ব্যাংকিং সেক্টরের মন্দাও প্রভাব ফেলেছে সেভাবে। কাজেই এই আগেভাগে চাকুরিঠিক হয়ে যাওয়া সিস্টেম নিয়ে নিয়োগকর্তা আর প্রার্থী দুই পক্ষই বিপাকে পড়ছে।

নীতি নির্ধারকদের কেউ কেউ এই সিস্টেম বাতিল করে দিতে বলেছে।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

আমরা এখনো তাপ পাই নাই। ওম পেয়েছি সংকটের। দোজখের ওম একেই বলে বোধহয়।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

গত বছরের বিয়োগ চিহ্ন দেখে বউ বলছে-বুঝছি কি আর ছিড়বা তুমি।পারলে লন্ডন গিয়ে বাসন মাজো।
.........................................

---------------------------------------------------------

আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

থার্ড আই এর ছবি

লন্ডনে আজ কাল বাসন মাজাতে হৈলেও ইউরোপীয়ান হৈতে হয়, ভাবিরে কৈয়া একটা ইউরোপীয়ান ললনা ধরেন।
নয়া খবর :
ইউকের অন্যতম ফ্যাশন রিটেইলার মার্কস এন্ড স্পেন্সার যাদের ৭০ হাজার কর্মচারী আছে, তারাও আজ ১০০০ কর্মী ছাটাই করেছে।
----------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

মারসে। আমার তিন রুমমেটই মার্কস-এ কাজ করে। শান্তি নাইরে পাগল!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

ধুসর গোধূলি এর ছবি
থার্ড আই এর ছবি

এই লন আরো তাজা খবর । এই বার নিশানা করছে নিশান গাড়ী কোম্পানীরে। এইখানে কপাল পুড়লো ১২০০ কর্মীর
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

ফাহিম এর ছবি

কি যে এক যন্ত্রণা ভাই, ছাত্রকালে মনে করসিলাম পড়ালেখা খতম হইলেই শান্তি, খালি ঘুমাবো। পাশ কইরা দেখলাম শান্তি নাই, চাকরি খুজোরে, ইন্টারভিউ দাও রে, হেন তেন সব যন্ত্রণা। চাকরি পাইয়াও শান্তি নাই, কবে চাকরি যায় গা রে, কি হইবো রে... লাইফটা হালা ত্যানা ত্যানা হইয়া গেলো...

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

জানুয়ারীর ঘুর্নিপাক শুরু হয়ে গেছে। বৃহত্তম মাউস নির্মাতা লজিটেক ঘোষনা দিয়েছে ৫০০ চাকুরী ছাটাইয়ের। আরেকটা কোম্পানী দেখলাম হাজার খানেক ছাটাইয়ের ঘোষনা দিয়েছে। বছর শেষের খতিয়ান আসতে শুরু করেছে। ভাল না, একদম ভালো না সংখ্যা গুলো।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ডিসেম্বর ২০০৮ এ নাকি সাত লক্ষ চাকুরী গেছে আমেরিকায়!!!!!!!!!!!!

সুত্র: http://www.bloomberg.com/apps/news?pid=20601068&sid=axprAUuvIM3A&refer=home

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।