যেখানে আমরা আসলে কোনোদিনই যাইনি...

শ্যাজা এর ছবি
লিখেছেন শ্যাজা (তারিখ: রবি, ৩০/০৯/২০০৭ - ৪:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তখন আমার বিবাহপূর্ব প্রেমপর্ব চলছে। বেশিরভাগটাই টেলিফোনে। সারাদিন এখানে ওখানে টো টো করে ঘুরে বেড়িয়ে (পড়ুন শ্যুট করে) সন্ধের পর ভালমতন পান-ভোজন করে শরীফ মেজাজে রাত এগারটা-সাড়ে এগারটায় তিনি ফোন করতেন। আর ফোন ছাড়তেন সকালের আলো ফুটলে। আমি মাঝে মাঝেই ফোন কানে ঘুমিয়ে পড়তাম, এই যাহ... ঘুমিয়েই পড়ল! বলে তিনিও ঘুমুতে যেতেন।

বেশ কয়েকদিন ধরেই তিনি বলছিলেন কোথাও বাইরে বেড়াতে যেতে। বাইরে বলতে যে কোন একটা লোকাল ট্রেন ধরে উঠে বসা আর পছন্দমত একটা ষ্টেশন দেখে নেমে পড়া। রিকশা করে খানিক এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করে আবার ফেরত ট্রেন ধরে ফিরে আসা। আমি ঠিক সাহস করে উঠতে পারছিলাম না এধরণের অ্যাডভেঞ্চারে অভ্যস্ত নই বলে। কোথাও একটা গেলাম আর আটকে গেলাম তাইলে তো চিত্তির!

টেলিফোনের বিল প্রতিমাসেই উর্ধমুখী দেখে বিয়ের জন্যে বেশ সিরিয়াসলি ভাবনা চিন্তা চলছিল। বিয়েটা যখন করবই তো করে ফেললেই চুকে যায়! এভাবে ফোনওয়ালদের প্রতিমাসে ১২-১৪হাজার করে দেওয়ার কোন মানে নেই! তো আমরা ঠিক করলাম বিয়েটা করেই ফেলি! তো আমরা মোটামুটি বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করে সেদিন বেরোলাম বিয়ের ব্যবস্থা করতে। মোল্লা মৌলভি, কোর্ট কাচারি ঘুরে ফিরে ব্যবস্থাদি করতে বেলা দুপুর । ক্ষিদেও পেয়েছে বেশ। ধর্মতলার এক রেষ্টুরেন্টে ঢুকে রুটি-মাংস খেয়ে বললাম, চল একটু বাজারের দিকে। একটু কেনাকাটা তো করতে হবে, বিয়ে বলে কথা! বাজারের দিকে এগিয়েও তিনি বললেন বাজার তো কালও করতে পারবে, আজকে চল না কোথাও একটু বাইরে! মুখের দিকে তাকিয়ে আমার আর না করতে মন সরল না। তবুও বললাম, বেলা দুটো বাজে, এখন গিয়ে ফিরতে পারব? ত্বরিত জবাব এল, হ্যাঁ হ্যাঁ। চল তো! এগোলাম বাসগুমটির দিকে । এই প্রায় বিকেলে লোকাল ট্রেনে প্রচন্ড ভীড় হবে বলে বাসে যাওয়াই সাব্যস্ত হল। সেটা নভেম্বরের শেষ। ছোট দিন, বেলা দ্রুত ফুরিয়ে যায় কিন্তু ঐ মুখের দিকে তাকিয়ে খুব বেশি ভাবনা চিন্তা করতে মন চাইল না সেদিন আর।

যাব কোথায়? বলল, গাদিয়াড়া যাবে? সেখানে গঙ্গা আছে! আমরা যেখানেই যাব সেখানে একটা নদী তো থাকতেই হবে। শহরের এই ভীড়, ধোঁয়া থেকে দূরে, কোথাও একটা খোলা জায়গায়, নদীর ধারে দু'দন্ড গিয়ে বসব এই আকাঙ্খায় চেপে বসলাম এক বাসে। গন্তব্য গাদিয়াড়া। গঙ্গাপারের এক গ্রাম। বাসগুমটির টিকিটবাবুর কাছ থেকে জেনে নেওয়া হয়েছে, যেতে ঘন্টা দেড় লাগবে। মনে মনে হিসেব করে নিলাম, এখন দুটোর একটু বেশি বাজে, মোটামুটি চারটে-সোয়া চারটে নাগাদও যদি পৌঁছুই তো ঘন্টাখানেক সেখানে ঘুরে-ফিরে সন্ধের আগেই ফেরত বাসে চেপে বসা। একটু রাত হয়ে যাবে হয়ত ফিরতে, ঠিক আছে! বাস ছাড়ল প্রায় তিনটে বাজিয়ে।

সকালে বাড়ি থেকে বেরুনোর সময় একটা চাদর কাঁধে ফেলে নিয়েছিলাম, গলায় একটু ব্যথা ভাব আছে বলে। যদিও ঠান্ডা পড়েনি এই নভেম্বরে পড়েও না কিন্তু আমার আবার ঠান্ডা একটু বেশিই লাগে। তাই চাদর, যদি দরকার লাগে ভেবে। বাস শহর ছাড়িয়ে গ্রামের দিকে এগোতেই হাল্কা ঠান্ডা বোঝা গেল। চাদর ভালমতন জড়িয়ে পাশের মানুষটির কাঁধে মাথা রেখে কত কথা যে বলে গেলাম দুজনে। বাস চলছে তো চলছেই। ঘড়ির দিকে চোখ যায় অজান্তেই। পাঁচটা বেজে গেলো! 'হ্যাঁগো, এখানেই তো পাঁচটা বাজল, আমরা পৌঁছুব কখন আর ফিরব কখন?' 'কী জানি, ঐ ব্যাটা তো বলল, ঘন্টা দেড় লাগবে যেতে!' সামনে ছোট্ট এক নদী দেখা যায়, বললাম, এখানেই নেমে পড়ি, খানিক পরে এই রাস্তা থেকেই ফেরার বাস ধরে ফিরে যাব নাহয়! কিন্তু শুনশান জায়গা দেখে নামার সাহস হল না। আবার মগ্ন হই কথায়। বাস চলে। আর চলে।

শীত আসি আসি করছে। শেষ নভেম্বরের ছোট বেলা দ্রুত ফুরিয়ে যায়। সন্ধ্যা ঘনায়। গাদাগাদি ভিড়ের বাস ক্রমশ ফাঁকা হয়ে যায়। মানুষ নেমে যেতে থাকে যার যার গন্তব্যে। আমাদের কথাও কমে যেতে থাকে ক্রমশ। শহর থেকে বহুদূরে কোন এক গাদিয়াড়ার উদ্দেশ্যে বাস এগিয়ে যেতে থাকে গ্রামের পরে গ্রাম পেরিয়ে। কখনো ফাঁকা মাঠের উপর দিয়ে যাওয়া রাস্তা বেয়ে তো কখনো ঘন বসতিপূর্ণ কোন গ্রামের ভিতর দিয়ে। টিমটিমে বাতি জ্বলে ছোট্ট দোকানঘরে। কৃষকের ঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে লুকিয়ে চুরিয়ে বেরিয়ে আসে হলুদ আলোর ছিটে। রাস্তার পাশে হাত পা ছড়িয়ে কোথাও কোথাও পড়ে আছে খড়ের কাঠামো, দেবীমুর্তির। কোনটা দেবী সরস্বতী তো কোনটা দেবী দূর্গার। ছোট ছোট মন্দির দেখা যায়, কোনটা শিবের তো কোনটা কোন দেবীমায়ের। দ্রুত পেছনে সরে যায় দু'পাশের দৃশ্য। অন্ধকার ঘন হয়।

অবশেষে বাস এক রাস্তার শেষ মাথায় এসে থামল। ঘড়ির কাঁটা তখন ছ'টা ছুঁই ছুঁই। আমার মুখের কথা থেমেছে অনেকক্ষন। টিমটিমে বাতি জ্বলছে খুঁটির উপর শুধু চালের নিচে। দু-একজন যাত্রী, যারা এই শেষ অব্দি এসেছেন তাঁরা দ্রুতপায়ে বাস থেকে নেমে এগিয়ে গেছেন যার যার গন্তব্যে। গুটিগুটি পায়ে আমরা বাস থেকে নেমে এদিক ওদিক তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করি, কোথায় এলাম। বাস যেখানে এসে থেমেছে রাস্তার সেখানে শেষ। এখান থেকেই বাস আবার ঘুরবে কলকাতার দিকে। ফেরার টিকিট কাটা হোক আগে ভেবে বাসের কন্ডাক্টরের খোঁজ করতে গিয়ে দেখা গেল পাশের চায়ের দোকানে সে গিয়ে বসেছে জুত করে। টিকিটের কথা বলতে জানা গেল এটা লাষ্ট বাস ছিলো, এখান থেকে কোন বাস আজ আর যাবে না। কাল সকাল ছ'টায় প্রথম বাস!

হাতের আঙুল তুলে ও দেখিয়ে দিল ঐ দ্যাখো, নদী! তাই তো! নদী দেখতেই তো এখানে আসা... কিন্তু নদী দেখা গেল না। ঘুটঘুটে অন্ধকারকে যা খুশি তাই বলে চালিয়ে দেওয়া যায়। আমি তাই ধরে নিলাম সামনের ঐ অন্ধকারই গঙ্গা।

বাকিটুকু অপরজনের ভাষ্যে:-

...রুমাল তুমি হও না দ্রুতগামী বাস, সে রসিক মানুষ বসে হাসবেন কেবল, জালেতে মুখ লাগিয়ে, এই ভাবে দেখলেই আমার ছাগলের সিং ঘষার কথা মনে পড়ে, উপস্থিত বুদ্ধিবিহীন আমি তাকেই বাসের গতিবিধির কথা জিজ্ঞাসা করি, এই তো এই ঘন্টা দেড়, শীতকাল, যদিও সে হরপ্পা সভ্যতার কথা,আমার বান্ধবীটি সারা রাস্তা তার অলঙ্কার ছড়াতে ছড়াতে যায়, যেন রামচন্দ্র আলসেতে বসে দেখে চলেছেন আনাকারেনিনা,আরে আরে আমাদের জন্য মর্তে ধেয়ে আসছেন নদী, সুতরাং গন্তব্যের শেষে একটা নদী থাকবেই, থাকবেই, আরে সে সব টেলিভিশন মার্কা প্রচার নয়, এই তুলির আঁচড়ে পানেসারজি এঁকে দিচ্ছেন নদী...

... অমাবস্যার রাতে ঘুরঘুট্টি অন্ধকারে পীচের রাস্তাকেও নদী প্রমাণ করতে পারেন নীলস বোর,সুতরাং ফেরার বাস যে এই সাড়ে ছয়টায় পাওয়া যাবে না, জানা কথা, আরে বিধাতা তো সব জেনেই বসে আছেন কি না,আমরা একটা হোটেলে প্রবেশ করি, হ্যাঁ এখানেও কোন প্রাপ্ত বয়স্ক চিত্রমালা নেই,আপনারা উঠেপড়ুন ...

... এবং আমরা ফিরে আসি,কলকাতায়,এই ভাবে সেই ভাবে, 50 কিমি অটোতে ও খুলে যাওয়া শারীরিক যন্ত্রপাতি কুড়াতে কুড়াতে, যাক সে সব গুরুত্ত্বপূর্ণ নয়। আসলে আমার কিছু-কিছু জিনিস ভালো লাগে না, তা শতবার বলেও,লিখেও আপনি বোঝাতে পারবেন না, তখন বেরিয়ে পড়ুন, টাইটানিক চিরকালই ডুবে যায়, ভরসা রাখুন...

ও শ্রেয়াদি, এর চাইতে বেশী লেখা গেল না আজ, কিছুতেই না,বাইরে বেশ বিদ্যুত্ চমকাচ্ছে, অন্ধকার রাস্তায় হু হু , আরে তোমার খেলা তুমি নিয়ে সাজাচ্ছো, বাতাসে বেশ পুজো পুজো ভাব, দোলনায় আরেকটু দুলে নিন মাধবী...

আমাদের গল্পটা-আমাদেরই থাক, তাই জায়গাটার নাম গাদিয়াড়া হোক, যেখানে আমরা আসলে কোনোদিনই যাইনি...


মন্তব্য

শ্যাজা এর ছবি

এই পোষ্টেরে দেখি গুঁতোগুতির শীর্ষে দেখায় । কেমনে কী? মন খারাপ


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

অদ্ভুত অসাধারন হয়েছে লেখাটা! থাম্বস আপ।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

শ্যাজা এর ছবি

থ্যাঙ্ক ইউ মুর্শেদ হাসি


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

বিপ্লব রহমান এর ছবি

যদিও সে হরপ্পা সভ্যতার কথা,আমার বান্ধবীটি সারা রাস্তা তার অলঙ্কার ছড়াতে ছড়াতে যায়, যেন রামচন্দ্র আলসেতে বসে দেখে চলেছেন আনাকারেনিনা,আরে আরে আমাদের জন্য মর্তে ধেয়ে আসছেন নদী...

অসাধারণ! ...ইস! যদি আপনার মতো লিখতে পারতাম।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

তারেক এর ছবি

ভাগ্যিস যান নাই। গেলে হয়ত ঠিক এ লেখাটাই এভাবে লেখা হত না। ভীষণ ভাল লেগেছে আমার
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

নিঘাত তিথি এর ছবি

নীলস বোরের কথা এলো কেন?

--তিথি

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

আমরাওতো জামাইবাবুর তত্ত্বাবধানে একসাথে এ্যাডভেঞ্চারের আশায় বের হলাম শ্যাজার কথামত।
শেষ পর্যন্ততো কি যাই নাই?
নাই বা গেলাম। আড্ডাটাতো হলো। মানে এইসব কথা চালাচালি...খুব জমেছিল।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

কনফুসিয়াস এর ছবি
আরিফ জেবতিক এর ছবি

ও..ওখানটার কথা ?
ওখানে না যাওয়াই ভালো।

ভাস্কর এর ছবি

যেদিকেই যান বা না যান...বা যাওনের কথা থাক বা না থাক...লেখাটা অনেক ভালো লাগলো...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

শ্যাজা এর ছবি

বিপ্লব'দা,
একটু ভুল হল যে আপনার..
যে কথাগুলো কোট করলেন সেগুলি আমি লিখি নাই, ইটালিকে লেখা লাইন গুলার উপরেই লেখা আছে, অপরজনের ভাষ্যে :)অইরকম আমি লিখতে পারলে তো হইয়াই গেসিলো মন খারাপ

তিথি,
জেনে নিয়ে জানাবোক্ষণ, কেন এলো।

ধন্যবাদ তারেক।

কনফু,
ফট্টাশ ক্যান রে? বুঝাইয়া বলিতে মর্জি হোক।

শোমচৌ,
হুমম..
আড্ডা অতি উপাদেয় জিনিস।


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

বিপ্লব রহমান এর ছবি

দিদি,

আমি কিন্তু পুরো লেখাটিকেই অসাধারণ বলেছি। তবে ইটালিকে ওই বাক্যগুলো খূব পছন্দ হয়েছে বলেই উদ্ধৃত করা। ...আবারো আপনাকে হিংসা, হিংসা, হিংসা! ...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

??? এর ছবি

ভনিতা আর কবিতা, দুটোই চমত্কার!
..............................................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!

কনফুসিয়াস এর ছবি

সবসময়তো তুমি ফাটাফাটিই লেখো। এইবার ফট্টাশ কইয়া বুঝাইলাম যে ফাটাইয়া ফেলছো!
জটিল ভালো হইছে লেখাটা। বুঝলা?

-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

শ্যাজা এর ছবি

সুমন,
হাসি

ধন্যবাদ ভাস্কর।

আরিফ'দা,
অইখানে যেয়োনাকো তুমি
কথা বলোনাকো অই যুবকের সাথে ..


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

শ্যাজা এর ছবি

কনফু,
ধন্যযোগ উইথ আ ইয়াব্বড়ো স্মাইল হাসি


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

অমিত এর ছবি

সেরম লেখা।
______ ____________________
suspended animation...

শ্যাজা এর ছবি

শুধু অটোতে?! ফেরাটা ছিল লোমহর্ষক। দুইবার অটো পাল্টাইয়া ৫০কিমি রাস্তা পার হয়ে পৌঁছানো গেল নিকটস্থ রেলষ্টেশনে। অটো পাল্টনোর কারণ, সব অটোরই নিদৃষ্ট রুট আছে, এর বেশি ওরা যাবে না। রাত সাড়ে নয়টার লাষ্ট ট্রেন পাওয়া গেসিলো পরম সৌভাগ্যে। তারপর মাঝরাত পার করে কলকাতা! ওফফ...


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

দ্রোহী এর ছবি

ওরে রে...........
সেইরকম দুর্দান্ত!!!


কি মাঝি? ডরাইলা?

অতিথি লেখক এর ছবি

না বাজে, জঘন্য বাজে ....
.........................................
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.এই লেখাটাকে বাজে বলা জঘন্য বাজে।

- রেনেসা

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ধ্যাৎ, আর লোকজনের প্রেমগুলোই কেন ভাল হয় শুধু??

Roshmi এর ছবি

অনেক দিন পর ভালো একটা লেখা পড়লাম রে আপু

কারুবাসনা এর ছবি

হুম।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

মধুশ্রী এর ছবি

শ্যাজুদি হাসি
লিখতে দেরী হয়ে গেল । প্লিজ রাগ করবেন না ।
লেখাটা যে খুউব ভালো লেগেছে, সে কি আর বলতে হবে ? হাসি
গাদিয়ারায় বেড়াতে যাওয়ার ছবি আমি শিগগীরই অর্কুটে পোস্ট করে দেব ।

আপনাদের দু'জনের লেখা দু'রকমের । আপনার লেখা বেশ মাটির কাছাকাছি, সবুজ আর নরম । পড়ার সাথে সাথেই মন ছুঁয়ে যায় ।
আর দাদার লেখা যেন, আকাশের মেঘের মতন । খুব ভালো লাগে, কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু অংশ অনেক উপর দিয়ে ভেসে যায় । তখন আর গদ্য না ভেবে, কবিতার মতন করে পড়ি । অনেক বার পড়ার পরে, মনে হয় যেন, একটু একটু বুঝতে পারছি । হাসি

মধুশ্রী

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।