ধূমকেতুর বাষ্পপুচ্ছ

ছায়াপথের পথচারী এর ছবি
লিখেছেন ছায়াপথের পথচারী [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১৫/১১/২০১৪ - ৪:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“আমি যুগে যুগে আসি, আসিয়াছি পুনঃ মহাবিপ্লব হেতু
এই স্রষ্টার শনি মহাকাল ধূমকেতু!
সাত— সাতশো নরক-জ্বালা জ্বলে মম ললাটে,
মম ধূম-কুণ্ডলী করেছে শিবের ত্রিনয়ন ঘন ঘোলাটে।“

হুঁ হুঁ বাবা! আশা করি টের পাচ্ছেন আমি যেই সেই লালু ভুলু নই, স্বয়ং বিদ্রোহী কবি আমাকে নিয়ে এমনতরো কবিতা লিখে গেছেন। আমি এমনই ‘বস্লুক’ যে আমাকে ধ্বংস আর দুর্যোগের দূত হিসেবে আপনারা দেখতে পাবেন দেশ-বিদেশের সাহিত্য, চিত্রকলায়। কাজী নজরুল ইসলাম আমার এই রুদ্রমূর্তি সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দিয়েছেন তাঁর একাধিক লেখায়। ‘ধূমকেতু’ কবিতার মতোই তাঁর আরেক সেরা ‘সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’ কবিতায় রয়েছে আমার ‘এজেন্ডা’-র উল্লেখ –

“ওই ধূমকেতু আর উল্কাতে
চায় সৃষ্টিটাকে উল্টাতে।”


ছবিঃ ফরাসী সূচকর্মে ১০৬৬ সালের ফরাসী-ইংরেজ হেস্টিংস যুদ্ধের সময় হ্যালির ধূমকেতুর আবির্ভাব।

কিন্তু কেন লোকজন আমাকে দেখে এমন ভিরমি খায়? আমার মনে হয় আকাশে হঠাৎ করে ইয়া বড় ঝাঁটা-বেশী আজগুবি এক আগন্তুকের আবির্ভাবই এর মূল কারণ। তাও আবার কয়েক বছর এমনকি কয়েক যুগ পরপর আমি রেগুলার ভিজিট দেই কিনা, অনেকটা চৌকিদারের টহলের মতো আরকি। মোটামুটি ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত দেখতে পেয়েছি যে, মানুষ আমাকে দেখলেই মৃত্যু আর দুর্যোগের বার্তাবাহকের চাকরিটা বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় আমার কাছে গছিয়ে দিয়েছে। ঝামেলাটা বাধলো ১৫৭৭ সালে, যখন আমি পুচ্ছ দুলিয়ে দুলিয়ে বরাবরের মতোই পৃথিবীর লোকজনকে ভেংচি কেটে উড়ে যাচ্ছিলাম। ড্যানিশ মহাকাশ বিজ্ঞানী টাইকো ব্রাহে (ইয়োহানেস কেপলার এই ভদ্রলোকের সহকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন) আমার দিকে তাকান সম্পূর্ণ ভিন্ন এক দৃষ্টিতে – বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে। তার গবেষনা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে পৃথিবী থেকে চাঁদ যত দূরে, ১৫৭৭ এর ধূমকেতু তার থেকেও চার গুণ দূরে ছিলো। এটা হয়তো খুব একটা বড় আবিষ্কার ছিলোনা, কিন্তু এর মূল অবদান ছিলো ধূমকেতুর প্রতি মানুষের বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলায়। এরপর ১৬৮০ সালের ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ করে এর কক্ষপথ সম্পর্কে ধারণা লাভ করেন আইজাক নিউটন, যা তিনি উল্লেখ করেন তার বিখ্যাত গ্রন্থ “প্রিন্সিপিয়া ম্যাথেমেটিকা”-তে ১৬৮৭ সালে। আর নিউটনের গবেষণার উপর ভর করে এডমন্ড হ্যালি ১৭০৫ সালে বের করেন এক ধূমকেতুর কক্ষপথের ধরণ, এর আবির্ভাবের পূর্বাভাস। তার পূর্বাভাসকে সত্য প্রমাণিত করে ১৭৫৯ সালে আবির্ভূত হয় সেই ধূমকেতু – যা পরবর্তীতে ‘হ্যালির ধূমকেতু’ নামে পরিচিত হয়। এর পরবর্তী আবির্ভাব ২০৬১ সালে।


ছবিঃ হ্যালির ধূমকেতু।

তো এইসব ঘটনার সাথেই ক্রমে আমার জারিজুরি ফাঁস হয়ে যায়। মানুষ জানতে পারে যে আমি আসলে উড়ে চলা দৈত্য-দানো বা এলিয়েন মহাকাশযান নই, আমি নিরীহ এক দলা বরফে মোড়া পাথরমাত্র। এই বরফের মধ্যে আছে জমাট বাঁধা পানি, কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড আর এমোনিয়া। সূর্যের মোটামুটি কাছাকাছি চলে আসলেই এর তেজস্ক্রিয় রশ্মির প্রভাবে এইসব বরফ গলে বাষ্পে পরিণত হয়, আর রেখে যায় আমার চলার পথে বিশাল পুচ্ছ। বুঝতেই পারছেন ‘অগ্নিপুচ্ছ’ বলাটা একটু বাড়াবাড়িই হয়ে যায়, বরং একে বলা ভালো বাষ্পপুচ্ছ। এই বাষ্পপুচ্ছ পিছনে রেখে আমি উড়ে চলি মহাকাশের পথে, সৌরজতের অলি-গলি দিয়ে। সূর্য থেকে একটু দূরে গেলেই আবার আমি সেই পুচ্ছবিহীন প্রস্তরখন্ড। এই ভ্রমণপিপাসু আমি কোথা থেকে এসেছি? কোথায় আমার বাড়ি?

আমার কক্ষপথের আকার বেশ বাড়াবাড়ি রকমের ভিন্ন। কয়েক বছর থেকে শুরু করে কয়েক মিলিয়ন বছর লেগে যেতে পারে তা একবার ঘুরে আসতে। তবে আমার জন্ম এই সৌরজগতের জন্মের সমসাময়িক। যখন এক দলা ধূলা আর গ্যাস পাক খেতে খেতে জন্ম দেয় সূর্য আর গ্রহ-উপগ্রহের, তখন সবটুকু ধূলা আর গ্যাস তাদের দলে যোগ না দিয়ে কিছু রয়ে যায় সৌরজগতের বাইরের সীমানার দিকে, কিছু ‘কুইপার বেল্টে’ (নেপচুনের কক্ষপথের ঠিক বাইরে) আর কিছু ‘উর্ট ক্লাউডে’ (কুইপার বেল্ট থেকে শুরু করে নিকটবর্তী তারার প্রায় মাঝামাঝি পর্যন্ত)। এইসব জমাট বাঁধা প্রস্তরখন্ডই হচ্ছে আমার ভাই-বেরাদার-পরিবার-পরিজন। তবে আমি খেয়াল করেছি যে আপনারা আমার সাথে আর গ্রহাণুর সাথে প্রায়ই গুলিয়ে ফেলেন। তাই বলে রাখছি, ওই গ্রহাণুগুলো আমার মতো এত দূরের যাত্রীও নয়, ওদের আমার মতো পুচ্ছ-টুচ্ছও নেই। ওদের জন্ম সৌরজগতের আরো ভিতরের দিকে – বেশিরভাগ বৃহষ্পতির কক্ষপথের ভিতরে। অবশ্য অনেক সময় ধূমকেতু বারবার সূর্যের কাছ দিয়ে যাওয়ার ফলে এর সব বরফ বাষ্প হয়ে উড়ে একেবারে ন্যাড়া হয়ে যায় – তখন সেটা অবশ্য অনেকটা গ্রহাণুর মতোই দেখায়। তবে হ্যাঁ, গ্রহাণুর সাথে আমাদের একটা মিল আছে বটে – সেটা হচ্ছে কক্ষপথের পরিবর্তনে। সূর্য বা অন্য কোন গ্রহের বেশি কাছে দিয়ে গেলে আমরা সবাইই এর মহাকর্ষের টানে পুরনো কক্ষপথ থেকে একটু সরে আসতে পারি। তবে তাতে অত ভয় পাওয়ার কিছু নাই। কী আর এমন হবে কক্ষের পরিবর্তন হলে? গতবার আপনাদের পৃথিবী থেকে দূরে দিয়ে গেলেও পরেরবার হয়তো শুধুই একটু কোলাকুলি করে যাবো। ঠিক যেমনটা করেছিলাম ১৯৯৪ সালে বৃহষ্পতির গায়ে। ওরা তখন আমার নাম দিয়েছিলো ‘শ্যুমেকার-লেভি ৯’। আমার গুঁতো খেয়ে সেখানে যে ধোঁয়ার কুন্ডলি উঠেছিলো, তার আকার ছিল গোটা পৃথিবীর মতো বড়। গ্রহরাজের জন্য অবশ্য সেটা ছিলো শুধুই আদরের ছোট্ট টোকা।


ছবিঃ বৃহষ্পতির গায়ে শ্যুমেকার-লেভি ৯ এর আঘাত।

যাই হোক, নিজের সম্পর্কে অনেক কিছুই বললাম। তবে ইদানিং যে উটকো ঝামেলা আমার কাঁধে সিন্দাবাদের ভূতের মতো চেপে বসেছে তার সম্পর্কে কিছু বলে হালকা হওয়া যাক। খেলনা হাঁসের মতো রূপ নিয়ে আমি বেশ আরামেই উড়ে চলছিলাম এতদিন, আপনারা আমার নাম দিয়ে দিলেন ‘চুরিউমভ-গেরাসিমেনকো’। ভাই, আপনারা পারেনও বটে! তবে দাঁতের মায়া থাকলে এই নামে না ডেকে বরং আমাকে ’৬৭-পি’ বলে ডাকতে পারেন। আমার বিশাল কক্ষপথ ছোট হয়ে আসে ১৯৫৯ সালে বৃহষ্পতির বেশ কাছে দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময়ে। আমার উপর নজরদারী করার জন্য ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সী (ই.এস.এ.) এক বিশাল পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামে যার মধ্যে রয়েছে প্রথমাবারের মতো কোন ধূমকেতুকে কেন্দ্র করে ঘোরা মহাকাশযান আর ধূমকেতুর গায়ে রোবটযানের নেমে আসা। বিশাল ব্যাপার বলতেই হবে, মাত্র কয়েকশো বছর আগেই আমাকে দেখলে ভয়ে দিশেহারা হয়ে যেতেন আপনারা, আর আজ আমাকে আরো ভালো করে জানার জন্য, কাছ থেকে দেখার জন্য একেবারে গায়ে চেপে বসছেন!


ছবিঃ রোজেটা মিশনের সময়কাল। আরো বড় করে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

২ মার্চ, ২০০৪ সালে ই.এস.এ.-এর ‘রোজেটা’ মহাকাশযান নিয়ে রকেট ওড়ে মহাকাশে। এরপর রোজেটা পৃথিবীকে পাশ দিয়ে তিনবার, মঙ্গলের পাশ দিয়ে একবার আর দু’টো গ্রহাণুর পাশ দিয়ে উড়ে ২০১১ সালের ৮ জুন ‘শীতনিদ্রায়’ যায়। এখানে বলে রাখা ভালো যে, এই বারবার গ্রহ-গ্রহাণুর পাশ দিয়ে রোজেটা শুধু সখের বশে উড়ে যায়নি। ৬৭-পি-এর সাথে যে দূরত্বে দেখা হবে রোজেটার, সেখান পর্যন্ত যেতে হলে মহাকাশযানের গতিবেগ হতে হবে অনেক বেশি – যেটা শুধু প্রথম উৎক্ষেপনের সময়কার ধাক্কায় অর্জন করা সম্ভব নয়। কোন মহাকাশযান অন্য কোন গ্রহের পাশ দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় এর মহাকর্ষের প্রভাবে গতিবেগ অনেক বাড়িয়ে নিতে পারে। একে বলে ‘গ্র্যাভিটি অ্যসিস্ট’ বা ‘মহাকর্ষীয় গুলতি’। ভারতীয় মহাকাশযান এই পদ্ধতি বারবার ব্যবহার করে অনেক কম জ্বালানি খরচে মঙ্গলে তাদের যান পাঠাতে পেরেছিলো। ভয়েজার মহাকাশযানগুলোও একই পদ্ধতিতে সৌরজগত থেকে মুক্তিবেগ অর্জনে সক্ষম হয়েছিলো। রোজেটাও সেই একই পথ অবলম্বন করে, যার কারণে এই গ্রহ-গ্রহাণু প্রদক্ষিণ করে বারবার উড়ে যাওয়া।


ছবিঃ রোজেটা থেকে তোলা ৬৭-পি ধূমকেতুর মোজাইক ছবি। মাঝের দিকে বাষ্পের উদ্গীরণ।

২০১৪ সালের ২০ জানুয়ারি রোজেটার ঘুম ভাঙ্গে, ৬ অগাস্ট আমার সাথে দেখা আর আমাকে প্রদক্ষিণ করে ঘুরে চলা। অবশেষে ১২ নভেম্বর আমার গায়ে ‘ফিলি’ রোবটিক ল্যান্ডারের অবতরণ। আমার শরীরটা আপনাদের পৃথিবী এমনকি চাঁদের মতো অত বড় না হওয়ায় আমার মহাকর্ষের টান খুবই কম। তাই ফিলির বেগ পেতে হয় আমার গায়ে নেমে আসতে। দুই-দুইবার আমার গায়ে গুঁতো খেয়ে প্রায় মহাকাশেই চলে যাচ্ছিলো রোবটটা, তবে শেষমেষ ঠিকমতো চেপে বসতে সক্ষম হয়। এখন সে শুরু করবে তার গবেষণা – খুলে চলবে সৌরজগতের জন্মরহস্যের জট, পৃথিবীতে প্রাণের আবির্ভাব, ধূমকেতুর পানি আর বাষ্প নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ। ২০১৫ সালের ১৫ অগাস্ট আমি সূর্যের সবচেয়ে কাছে আসবো, তখন ফিলি আমার গায়ে বসেই দেখতে পাবে কিভাবে আমি বাষ্প উদ্গীরণ করে চলি। আশা করি সে সফল হবে তার এই ঐতিহাসিক অভিযানে, সার্থক হবে তার ১০ বছর ধরে, ৩০০ মিলিয়ন মাইল দূরে আমার কাছে ছুটে আসা। আর আপনারাও খামোখাই আমাকে দেখে ভয়ে দিশেহারা হবেননা, জানবেন যে এই আমি কোন দানব নই, আমি সৌরজগতের সৃষ্টিরহস্য ধারণকারী শুধুই এক ছায়াপথের পথচারী!


ছবিঃ প্রথমবারের মতো কোন ধূমকেতুর পৃষ্ঠ থেকে তোলা ছবি - ফিলি রোবটের তোলা ৬৭-পি ধূমকেতুর ছবি।

তথ্যসূত্র ও ছবিঃ

http://en.wikipedia.org/wiki/Comet

http://www.rocketstem.org/wp-content/uploads/2014/10/Rosetta_s_journey_and_timeline.jpg

http://en.wikipedia.org/wiki/Rosetta_(spacecraft)

http://www.nasa.gov/jpl/rosetta/pia18823/rosetta-comet-fires-its-jets/#.VDDqN_ldX6e

http://www.esa.int/rosetta

- ছায়াপথের পথচারী


মন্তব্য

cengel এর ছবি

চরোম

ছায়াপথের পথচারী এর ছবি

ধন্যবাদ, সেঞ্জেল ভাইয়া! হাসি

রংতুলি এর ছবি

লেখার ধরণ দারুণ লাগলো! হাততালি

ছায়াপথের পথচারী এর ছবি

ধন্যবাদ! লেখা শুরু করেছিলাম সাধারণ প্রবন্ধ লেখার ধরণে - দাঁত কিড়মিড়ে বিজ্ঞানের ব্যাপারস্যাপার আসতেই মনে হলো, "নিজেই এখান থেকে পালাতে চাই, পাঠক তো আরো আগে পালাবে!" চোখ টিপি তাই যেভাবে মজা পাচ্ছিলাম সেভাবেই লিখলাম। হাসি

জিপসি এর ছবি

হাততালি ভিন্নধর্মী লেখাটা পড়ে চমৎকৃত হলাম।

------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাততালি দারুণ, লিখতে থাকুন হাত খুলে পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

খুব ভাল লেখা হয়েছে। লেখার স্টাইলটা ভাল লেগেছে।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ছায়াপথের পথচারী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ! এরই মধ্যে ফিলি বেচারা ঘুমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গায়ে সূর্যের আলো পড়লেই আবার জেগে উঠবে আশা করা যায়। হাসি

সত্যপীর এর ছবি

অত্যন্ত চমৎকার। আপনার লেখাগুলোর ফোকাস ভালো লাগছে। চালিয়ে যান চলুক

..................................................................
#Banshibir.

মাসুদ সজীব এর ছবি

বিজ্ঞান রসকসহীন কতগুলো তত্ত্ব শুধু নয় বরং সেটি আনন্দায়ক রসালো একটি বিস্ময় হতে পারে সেটি আপনার লেখা প্রমাণ করে। লেখার স্টাইলটা দারুণ লেগেছে হাসি । চলুক

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

ঈয়াসীন এর ছবি

চমৎকার। হাততালি

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

ছায়াপথের পথচারী এর ছবি

ধন্যবাদ! চেষ্টা চলবে! হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

উপস্থাপনার ধরণটা দারুণ লাগল।

(ক্লান্ত কালবৈশাখি)

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক অনেক ভালো লাগা। অনেক।

শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন। সবসময়।

দীপংকর চন্দ

ছায়াপথের পথচারী এর ছবি

ভালো লাগলো জেনে খুশি হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ! হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুণ লেখা
তথ্য ও মজাদার লেখনীর মুন্সীয়ানা

ছায়াপথের পথচারী এর ছবি

ধন্যবাদ! হাসি

স্পর্শ এর ছবি

উত্তম জাঝা!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ছায়াপথের পথচারী এর ছবি

ধন্যবাদ! হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।