স্বপ্নে পাওয়া স্বাধীনতা !!

থার্ড আই এর ছবি
লিখেছেন থার্ড আই (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/১২/২০০৭ - ৯:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের কয়েকটি সমালোচনা নিয়ে ভাবছি সচলে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। প্রথমত নিজেকে পরিস্কার করা। অন্যদিকে কোন ভুল বিতর্ককে প্রশ্রয় না দেয়া।

যুদ্ধকালীন সময়ে মিত্র বাহিনী ভারত ও ইন্দিরা গান্ধির ভূমিকার পাশা পাশি ,মিত্রবাহিনী প্রধাণ জেনারেল অরোরার কাছে নিয়াজির আত্ন সমর্পনের সময় মুক্তি বাহিনী প্রধান জেনারেল এম এ জি ওসমানীর অনুপস্থিতির বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে ।

প্রশ্ন আসতেই পারে,এতো দিন পর পুরুনো কাসুন্দি ঘেটেঁ লাভ কি?? বই পড়লেই তো জানা যায় !!

১৯৭১ কি শুধুই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধ জয় ?? ভারতে কি ইতিহাস অন্যভাবে প্রচারিত হচ্ছে?? ভারতের পাঠ্য বইয়ে কিংবা পাকিস্তানের পাঠ্য পুস্তকে ১৯৭১ সনের স্বাধীনতা যুদ্ধটিকে আমরা যেভাবে দেখি বা বর্ণনা করি ঠিক একই রকমভাবে দেখা হয় ??

মুক্তিযুদ্ধের সময় অনন্য বিরত্ব দেখানোর জন্য বীরশ্রেষ্ঠ,বীর উত্তম, বীর প্রতীক নামে আমরা আমাদের বীরদের সম্মানিত করেছি, একই ভাবে কি মিত্রবাহিনীর কেউ এমন বিরত্ব দেখায়নি?? দেখালেও তাদের নাম শোনা যায়না কেন?? সেগুলো কি আমাদের জানা উচিত না ?? কিংবা আমাদের হামিদুর, মতিউরের বীরত্ব গাঁথা সংগ্রামের কাহিনীকি ভারতীয় নতুন প্রজন্মরা জানে??
১৯৭১ নিয়ে তারা কি ভাবছে??

ব্লগে অনেক ভারতীয় ব্লগার রয়েছেন আশা করি মতামতে অংশ নেবেন।
সম্প্রতি ইউটিউবে '৭১ নিয়ে কয়েকটি ডকুমেন্টারীগুলো চোখে পড়লো, ব্লগারদের উদ্দেশ্যে তুলে দেয়া হলো। ইতিপূবে কোন ব্লগার এই ভিডিও পোষ্ট দিয়ে থাকলে জানাবেন প্রয়োজনে মুছে দেবো।


মন্তব্য

দিগন্ত এর ছবি

ধন্যবাদ, ডকুমেন্টরিগুলো দেখলাম। বিষ্ণু সোমের বাংলা উচ্চারণ শুনে মনেই হয়না উনি বাঙালী।
যাহোক, প্রসঙ্গে আসা যাক। আমার তাড়া থাকায় আপাতত বিশেষ কিছু লিখতে পারছি না, তবে সংক্ষেপে বলা ভাল - ভারতে বীরশ্রেষ্ঠদের সম্পর্কে কেউই বিশেষ কিছু জানেন না।
ভারতীয়দের মধ্যে দুজনকে খুব সম্মানের চোখে দেখা হয় যুদ্ধে প্ল্যানিং-এর জন্য। প্রথমজন হলেন জে.এফ.আর জ্যাকব। কোলকাতার এই ইহুদী জেনারেল সমস্ত গ্রাউন্ড-ওয়ার্ক করেছিলেন। পরে উনি বিজেপি-তে যোগদান করেছিলেন ও ইজরায়েল-ভারত সম্পর্ক স্থাপনে উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছিলেন।
আরেকজন হলেন জেনারেল মানেকশ - উনি পাঞ্জাবী পার্সী। কিন্তু পরে আয়ুব খানের ছেলে দাবী জানান যে উনি নাকি ১৯৬৫র যুদ্ধের আগে পাকিস্তানের কাছে অর্থের বিনিময়ে যুদ্ধের প্ল্যান আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। মনে করা হয় পাকিস্তানী বাহিনী ওনাকে এতটা অপছন্দ করে বলেই এরকম অভিযোগ তোলা হয়। উনি এখন কিছু নামী কোম্পানীতে ডিরেক্টর হিসাবে কাজ করেন।
মজার কথা জেনারেল অরোরা সহ তিন জন জেনারেলই ভারতের ধর্মীয় মাইনরিটি থেকে আসা।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

দিগন্ত এর ছবি

ভারতে বীরশ্রেষ্ঠ-এর সমতুল্য পুরস্কার হল পরমবীর চক্র। ১৯৭১ এর যুদ্ধে চারজন ভারতীয় (তিন জন মরণোত্তর) পরমবীর চক্র পেয়েছিলেন।
১) ঝাড়খন্ডের এলবার্ট এক্কা। (হিলির যুদ্ধে)
২) পাঞ্জাবী নির্মলজিত সিং শেখোঁ। (কাশ্মীর)
৩) অরুণ খেত্রপাল। (পাঞ্জাব)
৪) হুশিয়ার সিং। (পাঞ্জাব)

বুঝতেই পারছেন একজনই সম্মান পেয়েছেন বাংলাদেশে যুদ্ধের কারণে। এলবার্ট এক্কার জীবনী পড়ে নিন। বাংলাদেশের জন্য ইনিও জীবন দিয়েছেন।
বাকি আলোচনা পরে করছি।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

এক্কার নাম শুনেছি। এদের বীরত্ব আমাদের জন্যেও স্মরণীয়।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

থার্ড আই এর ছবি

মনে মনে দিগন্তের মন্তব্যই আশা করছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। তবে ভারতের পাঠ্য পুস্তকগুলোতে '৭১ প্রেক্ষাপটের উপস্থাপনা কেমন সেটি জানার খুব ইচ্ছে।
-------------------------------------
জল ভরো সুন্দরী কইন্যা, জলে দিছ ঢেউ।
হাসি মুখে কওনা কথা সঙ্গে নাই মোর কেউ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

দিগন্ত এর ছবি

আমি আপনাকে সময় পেলে কথা বলে জানাব। আমাদের সময়ে (এবং মনে হয় এখনও) ইতিহাস পড়ানো হত ১৯৪৭ অবধি। তাই স্কোপ ছিল না। এখন মনে হয় বদলেছে ব্যাপারটা। জেনে জানাবো।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

থার্ড আই-কে শুভেচ্ছা এরকম একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরুর চেষ্টা করার জন্য।
১৯৭১-এ আমাদের স্বাধীনতার আন্দোলনকে পশ্চিম পাকিস্তানের ইতিহাসে কীভাবে দেখা হয় সেটা মনে হয় বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিম পাকিস্তানে যদিও নানা জাতি এবং তাদের মতামতের ভিন্নতা ব্যাপক তবুও তাদের মতামত পেলে বুঝা যেত যে তারা এটাকে ভারতের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখে কিনা নাকি পূর্ব পাকিস্তানের মানুষদের মুক্তির আন্দোলন হিসেবে দেখে।

১৯৭১ ভারতের কাছে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ হিসেবেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে। নিজেদের ভূমিকা ও সীমানা-শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ-জয়ের আনন্দতো ভুলা যায় না। বাংলাদেশের ভেতর থেকে গড়ে ওঠা প্রতিরোধ ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার আন্দোলন আমাদের কাছে গর্বের বিষয়, ভারতের দৃষ্টিকোণ থেকে এটা তারা পাকিস্তান-বধের পরই স্থান দেয়ার কথা। নিশ্চয়ই ভারতের ব্লগাররা আলোচনা করবেন।

১৯৭১-এ যে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়েছে (অর্থাত পূর্ব দিক বাদে পশ্চিম দিকেও) তা আমাদের দেশে ১৯৭১-এর আলোচনায় স্বাভাবিকভাবে কখনও গুরুত্ব পায় না। ঐ ফ্রন্টে যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কেও আমরা খুব একটা বেশি জানি না। ঐ ফ্রন্টে ভারতের রণকৌশল পূর্ব-পাকিস্তানের ক্ষেত্রে পাকিস্তানীদের পরাজয় কতটা ত্বরান্বিত করেছিলো তা নিয়েও সাধারণভাবে খুব বেশি আলোচনা হয় না।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

থার্ড আই এর ছবি

শোমচৌকে ধন্যবাদ আলোচনায় যোগ দেয়ার জন্য। পাকিস্তানের কোন ব্লগার আছেন কিনা জানিনা। তবে বিবিসি উর্দু সংবাদের একটা ভিডিও ক্লিপস দেখে কিছুটা অনুমান করা যায় যে পাকিস্তানের নতুন প্রজন্ম '৭১ কে কিভাবে দেখছে।

---------------------------------------
জল ভরো সুন্দরী কইন্যা, জলে দিছ ঢেউ।
হাসি মুখে কওনা কথা সঙ্গে নাই মোর কেউ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

দিগন্ত এর ছবি

আমার ধারণা আমি এরকম ২-৩টে ভিডিও দেখেছি, সবগুলো যোগাড় করা গেলে ভাল হত।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

থার্ড আই এর ছবি

আমার সংগ্রহে আরো কয়েরটা ভিডিও ক্লিপস আছে, তবে এদের এজ গ্রুপ খানিকটা ভিন্ন। কারো কারো মন্তব্য পজিটিভ মনে হয়েছে। যদিও সবারই জন্ম একাত্তরেরর পর।

'৭১ সর্ম্পকে মুলতানের শিক্ষার্থীদের মন্তব্য

৭১ নিয়ে লাহোরের শিক্ষার্থীদের ভাবনা

--------------------------------------
জল ভরো সুন্দরী কইন্যা, জলে দিছ ঢেউ।
হাসি মুখে কওনা কথা সঙ্গে নাই মোর কেউ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

থার্ড আই এর ছবি

ব্লগারদের কাছে আরো একটা বিষয় জানতে চাইবো, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের কিছু জাত ভাইয়েরা যেমন রাজাকারের ভূমিকায় পাক সেনাদের সহায়তা করেছে ,আমার জানতে ইচ্ছে করছে পাকিস্তানের দৃষ্টিতে এমন রাজাকার ছিলো কিনা , যারা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছ। আমাদের তো সেই সব বীরদের ও স্বরণ করা উচিত, এসর্ম্পকে কারো কিছু জানা থাকলে আওয়াজ দিয়েন ।
------------------------------------
জল ভরো সুন্দরী কইন্যা, জলে দিছ ঢেউ।
হাসি মুখে কওনা কথা সঙ্গে নাই মোর কেউ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

rini এর ছবি

The last video clip is really very interesting...
Thanks Tanvir for uploading this
Most of the assertions said by the students were quite close to the fact
The last theory of this clip said by a girl is implausible though ( hahaha!)

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

জরুরি এই প্রসঙ্গগুলি। লক্ষ্য রাখছি জানিয়ে গেলাম। ধন্যবাদ।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

হাসান মোরশেদ এর ছবি

'৭১ এর ২৫ মার্চ রাতে শুরু হয়ে ১৬ ডিসেম্বর বিকেল বেলা শেষ হওয়া যুদ্ধে বেনিফিশিয়ার বাংলাদেশ এবং ভারত দু পক্ষই । বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মই হলো এ যুদ্ধে আর ভারত এই প্রথম তার চির প্রতিদ্বন্ধি পাকিস্তানকে নিরংকুশ ভাবে পরাস্ত করে আঞ্চলিক কর্তৃত্ব করায়ত্ত করলো (এর আগের এবং পরের পাক ভারত যুদ্ধে কেউই নিরংকুশ ভাবে জয়ী হয়নি) ।
শুরু থেকেই রাজনৈতিক ,অর্থনৈতিক,কুটনৈতিক,সামরিক সহায়তা ভারত দিয়েছে বাংলাদেশকে । মুক্তিযোদ্ধারা প্রশিক্ষন এবং অস্ত্র পেয়েছেন ভারতের কাছ থেকে- এসব ঐতিহাসিক সত্য ।৩ রা ডিসেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনী সরাসরি যুদ্ধে জড়িত হয় । এর আগের নয়মাস ও মুক্তিবাহিনীর ইউনিটগুলো যখন সীমান্ত এলাকায় অপারেশন করতো,ভারতীয় গোলন্দাজ বাহিনী ফায়ার সাপোর্ট দিতো ।
তবে সীমান্ত এলাকা পেরিয়ে এসে দেশের ভেতরের সব অপারেশন গুলো কিন্তু মুক্তিবাহিনীর নিজস্ব কার্যক্রম ছিলো । কাদের সিদ্দীকি তার ১৬,০০০ যোদ্ধাবাহিনী নিয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়েছিলেন ভারতের সহায়তা ছাড়াই ।
তবু বাংলাদেশকে অবশ্যই তার জন্মযুদ্ধে ভারতের রাজনীতিক,সাধারন মানুষ ও সেনাবাহিনীর ভুমিকার কথা স্বীকার করতে হবে । ৩ ডিসেম্বর-১৬ ডিসেম্বর সময়ে কয়েক হাজার ভারতীয় সৈনিক শহীদ হয়েছেন । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের জন্য যদি স্মৃতিসৌধ থাকতে পারেতাহলে ভারতীয় সৈনিকদের জন্য নয় কেনো?
১৬ ডিসেম্বর কেনো সেই সব শহীদদের নাম আমরা শ্রদ্ধা ভরে স্মরন করবোনা?

অপরদিকে ভারতকে ও স্বীকার করতে হবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়লাভ করার গৌরব যে যুদ্ধে অর্জিত হয়েছে, তার ভিত্তি গড়েছে মুক্তিবাহিনীর আত্নত্যাগ আর এদেশের সাধারন মানুষের সহযোগীতা । ঢাকা দখলের সময় মানুষ নৌকার সাথে নৌকা বেঁধে মেঘনা নদীতে সাময়িক সাঁকো তৈরী করে দিয়েছে, তার উপর দিয়ে নদী পার হয়েছে ভারতীয় ট্যাংক বহর , ঢাকা দখলের সময় টাংগাইল থেকে ভারতীয় বাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে কাদের সিদ্দীকির মুক্তি বাহিনী ।

আমাদের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় বাহিনীর অবদান জানেনা কিংবা জানলে ও স্বীকার করতে চায়না তেমনি দেখেছি ভারতীয় অনেক বন্ধু ও ধারনা পোষন করেন তাদের সেনাবাহিনী এসে আমাদের স্বাধীন করে দিয়ে গেছে । আমার এক খুব কাছের বন্ধু বেশ অবাক হয়ে প্রশ্ন করেছিল- মুক্তিবাহিনী বলে আসলেই কিছু ছিলো কিনা নাকি ভারতীয় কমান্ডোরাই মুক্তিবাহিনী নামে গেরিলা অপারেশন চালাতো?

হয়তো কোন দিন দু দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর হলে, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সাম্যাবস্থা তৈরী হলে-দু পক্ষই পরস্পরকে তাদের প্রাপ্য ক্রেডিবিলিটি দিতে কার্পণ্য করবেনা
----------------------------------------
পাখীটা উড়ে যেতেই চাঁদ উঠে পড়লো-
আজো সেই রক্তমাখা মুন্ডুটাই উঠলো ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

থার্ড আই এর ছবি

হাসান মোর্শেদকে ধন্যবাদ গঠনমূলক আলোচনার জন্য।
স্পর্শকাতর অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই পোষ্টটি দেয়ার আগে আমি কয়েকজন সচলের সাথে কথা বলেছিলাম... আমকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল, সাবধান - এসব প্রশ্ন তুললে রাজাকার বলা হবে আপনাকে । তাই অনেকটা ভয়ে ভয়ে এই পোষ্ট দিয়েছি। শেষ বেলায় এসে ব্লগারদের মন্তব্যে দেখা গেলো আমাদের এবিষয়ে তথ্যের স্বল্পতা রয়েছে বটে তবে মৌলিক বিষয়ে আমরা অনেকটাই একমত। তবে ভারতীয় বীরদের সম্মান জানানোর বিষয়টি যে সমর্থন এসেছে সেটি আরো জোড়ালো হওয়া প্রয়োজন, সেই সাথে আমাদের বীরদের ভারতে সম্মানের বিষয়গুলোও উচ্চারিত হওয়া উচিত। আর ইতিহাসে কোন লুকচুরির প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করিনা।
--------------------------------------
জল ভরো সুন্দরী কইন্যা, জলে দিছ ঢেউ।
হাসি মুখে কওনা কথা সঙ্গে নাই মোর কেউ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আর ইতিহাসে কোন লুকচুরির প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করিনা।

না অবশ্যই না ।
বৃটেন,ফ্রান্স,আমেরিকা,রাশিয়ার অনেক রাজনৈতিক মতদ্বৈততা থাকা স্বত্বে ও নভেম্বরে বিশ্বযুদ্ধ জয়ের উৎসব তারা এক সাথেই পালন করে ।
আমাদের ক্ষেত্রে ও তাই হওয়া উচিত । দু দেশের ইতিহাস পঠনেই সেই সময়ের প্রকৃত সত্যটা আসা দরকার,সত্যের খাতিরে । কিন্তু এ জন্য ঐ সহাবস্থান টুকু যে জরুরী ।
বাংলাদেশকে ও তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে, ভারতকে ও তার উন্নাসিকতা ছাড় দিতে হবে ।
কৃতজ্ঞতার বোঝা খুব ভারী বলে বাংলাদেশ সত্য অস্বীকার করবে-এটা যেমন ঠিক নয়, তেমনি এও ঠিক নয় ভারতের অতি উন্নাসিকতার কারনে একটা দেশের মুক্তি সংগ্রামের মতো গৌরবকে খাটো করা ।
আত্নসমর্পনের সেই দলিল ও কিন্তু স্বাক্ষর হয়েছে পাকিস্তান VS ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর মধ্যে । এর আগে ,পরে একা যুদ্ধ করে কিন্তু ভারত কখনোই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিরংকুশ জয়ী হতে পারেনি চোখ টিপি
----------------------------------------
পাখীটা উড়ে যেতেই চাঁদ উঠে পড়লো-
আজো সেই রক্তমাখা মুন্ডুটাই উঠলো ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

দিগন্ত এর ছবি

যাহোক, আমি ইতিহাসের সিলেবাস ঘেঁটে কোথাও ভারত-পাক যুদ্ধ বা বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ পড়ানোর কথা পেলাম না। মনে হচ্ছে ব্যাপারটা পলিটিকাল সায়েন্সের মধ্যে থাকবে।
১) আই-এ-এস (সিভিল সার্ভিস) এর সিলেবাসে ভারতের ইতিহাস ১৯৬৪ সালেই শেষ। আর আন্তর্জাতিক ইতিহাসে (কলোনিয়াল লিবারেশন) চারটে দেশ আছে - আর্জেন্টিনা (সাইমন বলিভার), মিশর, ভিয়েতনাম আর আফ্রিকান বর্ণবিদ্বেষ।
২) সি-বি-এস-ই (ন্যাশনাল বোর্ড) এর সিলেবাসের একই অংশে ভারত-চীন সম্পর্ক নিয়ে আছে, আর আছে ভিয়েতনাম আর বর্ণবিদ্বেষ।
৩) সি-বি-এস-ই (ন্যাশনাল বোর্ড) এর পলিটিক্যাল সায়েন্সের সিলেবাসে আছে বাংলাদেশ গঠন। কিন্তু ঠিকঠাক কি আছে জানি না।

পশ্চিমবঙ্গে যে ইতিহাস পড়ানো হয় তাতে দুটি বিষয় আছে - প্রথমটি ভাষা আন্দোলন, তারপরে মুক্তিযুদ্ধ। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা নেই, বরং শেখ মুজিব ও তার আদর্শ নিয়ে কিছু আলোচনা আছে।
---------------------------------
আমি ততদিন নাস্তিক ছিলাম যতদিন না আমি বুঝেছি যে আমি নিজেই ঈশ্বর।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

থার্ড আই এর ছবি

দিগন্ত আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের পাঠ্য বইয়ে আমরা ছেলে বেলায় মুক্তযুদ্ধে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সহায়তার কথা জেনেছি মাত্র। বিস্তারিত তেমন কিছু ছিলো না।থাকলেও হয়তো আমার পড়া হয়ন। ইদানিং সংযোজিত হয়েছ কিনা আমার জানা নেই।
কোন কোন সেক্টরে ভারতীয় কোন সেনা কর্মতার কিদায়িত্ব ছিলো ? মুক্তিযুদ্ধাদের সাথে তাদের সমন্বয় কিভাবে হতো ? গ্রুপ অপারেশনের সময় মিত্র বাহিনীর কার কি দায়িত্ব ছিলো। সফল অপারশেনে মিত্র বাহিনীর কাদরে ভূমিকা সক্রিয় ছিলো??
এসবঅনেক প্রশ্নরে পরিস্কার উত্তরের সল্পতা রয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে।
-------------------------------
জল ভরো সুন্দরী কইন্যা, জলে দিছ ঢেউ।
হাসি মুখে কওনা কথা সঙ্গে নাই মোর কেউ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।