সিয়েরা লিওন পেরেছে বাংলাদেশ নয় কেন?

থার্ড আই এর ছবি
লিখেছেন থার্ড আই (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/০১/২০০৮ - ৩:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যুদ্ধাপরাধী চার্লস টেইলর
শান্ত মেজাজে দৃশ্যমান সোনালী ফ্রেম আর ধূসর টাই পরিহিত এই দানবটি লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট চার্লস টেইলর। পার্শ্ববর্তী দেশ সিয়েরা লিওনে হত্যা যজ্ঞ, ধর্ষন আর নিপীড়ন চালিয়েছেন টানা ১০ বছর। ১৯৯১-২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে টেইলরের বিরুদ্ধে জঙ্গীদের আর্থিক সহায়তা ও সামরিক সাযায্য দেয়ার অভিযোগ উঠেছে হেগের আন্তজার্তিক আদালতে। যদিও প্রথম থেকেই চার্লস টেইলর তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন, কিন্তু মামলার প্রথম সাক্ষী হিসাবে ইয়ান স্মাইলি এগিয়ে আসলে ছয় মাস পর মামলাটি সচল হয়।

টেইলর সর্মথিত রেভুল্যশনারী ইউনাইটেড ফ্রন্ট (আরইউএফ)হাজার হাজার মানুষের উপর নির্যাতন চালিয়ে হাত. পা, নাক কেটে দেয়ার মতো নৃশংস নির্যাতন চালায়। দশ বছরে প্রান হারায় ২০ লাখ মানুষ।

চার্লস টেলর দশ বছরে সিয়েরা লিওনে যে ঘৃন্য কাজটি করেছে, ১৯৭১ সনে বাংলাদেশে ৯ মাসে তার চেয়ে জঘন্য কাজটি করেছে গোলাম আজম,মতিউর নিজামী ও মুজাহিদ গংরা। আরইউএফ যে নির্যাতন চালিয়েছে ঠিক সেই কাজটিই করেছে রাজাকার, আলবদর ,আল শামস বাহিনী!! টেইলর যেমন প্রথম থেকেই তার বিরুদ্ধে আনিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন রাজাকার আলবদর গংরাও তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। টেইলরের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী হাজির করা গেছে। ১৯৭১এর যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রচুর সাক্ষ্য প্রমান রয়েছে। এখন অভাব শুধুই উদ্যোগের। দেশের আদালত বিব্রত বোধ করলে আন্তর্জাতিক আদালত রয়েছে, সেখানে মামলা হতে বাঁধা কোথায় ??

চার্লস টেইলর আজ ইতিহাসের মুখোমুখি।কিন্তু বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের আমরা ইতিহাসের মুখোমুখি করতে পারছিনা।
সিয়েরা লিওন যদি পারে আমরা কেন নয় ??


মন্তব্য

রেজওয়ান এর ছবি

অত্যন্ত সময়োপযোগী প্রশ্ন। আমরা মুখে অনেক কথাই বলি কিন্তু কাজ করার ব্যাপারে ঠনঠন।

আমার খুব খারাপ লাগলো যে সেপ্টেম্বর ২০০৬ তে করা অস্ট্রেলিয়ায় করা প্রথম মামলাটি (যেটিতে পাকিস্তানী যুদ্ধ অপরাধীদেরও অভিযুক্ত করা হয়েছিল) বাদী কর্তৃক মে ২১, ২০০৭ এ তুলে নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা আর কিছুই জানি না।

পাকিস্তানী লেফটেনান্ট নিয়াজী যিনি ৭১ য়ের ১৬ই ডিসেম্বর আত্মসমর্পন করেছিলেন অরোরার কাছে , রেডিফ কে দেয়া এক স্বাক্ষাৎকারে বলেছিলেন:

I approached my bosses through a letter dated April 15, 1971, informing them of the mess being created. I clearly wrote in my letter that there have been reports of rapes and even the West Pakistanis are not being spared. I informed my seniors that even officers have been suspected of indulging in this shameful activity

Sheikh Mujib’s Awami League had emerged victorious and he should have been handed over the government. Bhutto’s fiery speeches were not mere rhetoric, but the actions of a desperate man vying for power at any cost. Had power been transferred to Mujib, Pakistan would have remained united.

Tikka has not been mentioned in the report, although his barbaric action of March 25 earned him the name of butcher. The commission overlooked his heinous crimes.

To find out the truth about the 1971 debacle and punish the guilty, it is essential to appoint a new commission with wider terms of reference.”

এরপরও কেন পাকিস্তানী সেই বর্বর সেনাদের (এবং বাংলাদেশী পদলেহী বাহিনী -রাজাকার আলবদরদের) যুদ্ধআদালতের কাঠগড়ায় নেয়া হবে না?

বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে?

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

হিমু এর ছবি

রেমন্ড সোলায়মান কি কোন কারণ জানিয়েছিলেন মিডিয়ায়?


হাঁটুপানির জলদস্যু

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

সকলেই পারে। আমরাই শুধু বিব্রত হই।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

রেজওয়ান এর ছবি

হিমু:

আমি অস্ট্রেলিয়ার কোর্টের সাইট থেকে মালার নম্বর দিয়ে সার্চ করে সংবাদটি পেয়েছি। মিডিয়ার কোন খবর আমার জানা নেই।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

হিমু এর ছবি

তাহলে কোন ঘোরপ্যাঁচ নিশ্চয়ই আছে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

দ্রোহী এর ছবি

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চান? বিব্রত বোধ করেন না?


কি মাঝি? ডরাইলা?

থার্ড আই এর ছবি

মাঝি আমারে ধর কেন? কলস ধর।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

হাসান মোরশেদ এর ছবি

কিছু তথ্য সংযোজন করা যেতে পারে এ প্রসংগেঃ
International Criminal court নিজ উদ্যোগে বিচার আয়োজন করতে পারতে শুধুমাত্র বর্তমান সময়ে সংঘটিত অপরাধসমুহের,অতীতের নয় । অতীতের কোন অপরাধ(গনহত্যা) এর বিচার আয়োজন করতে হলে জাতিসংঘের সাধারন ও নিরাপত্তা পরিষদের অনুমতিক্রমে এবং অতি অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত দেশের সরকারের আগ্রহ ও অনুরোধে ।
এই বিষয়গুলো প্রযোজ্য যদি বাংলাদেশ,পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবী করে

কিন্ত দেশে থাকা ঘাতক দালালদের বিচারের জন্য এসবের কোন কিছুরই প্রয়োজন নেই । যেহেতু তারা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আছে,সো বাংলাদেশের নিজস্ব আইনেই বিচার সম্ভব ।
শেষ কথা সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া আর কোন বাধা নেই এ ক্ষেত্রে
----------------------------------------
সঙ্গ প্রিয় করি,সংঘে অবিশ্বাস

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।