আমাদের সময়ের সম্পাদকীয় রীতি ও আবেগী শিরোনাম

থার্ড আই এর ছবি
লিখেছেন থার্ড আই (তারিখ: সোম, ২২/০৯/২০০৮ - ৬:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তারেক জিয়া যেদিন মুক্তি পেলেন বিলেতের একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার প্রধাণ সম্পাদক আমাকে ফোন দিয়ে বললেন, তানভীর তোমার একটা ইন্টার ভিউ নিব। আমি চমকে গেলাম ! তারেক জিয়া মুক্তি পেয়েছে , আমার ইন্টারভিউ কেন ? আমি কি বিএনপির লন্ডনের মুখপাত্র নাকি ? সম্পাদক সাহেব বললেন, আজকে আমার পত্রিকার ডেড লাইন, তাই তোমার একটা মতামত ছাপাতে চাই। আমি বললাম, ’ভাই আমার কাজতো মতামত দেয়া না, বরং সাংবাদিক হিসাবে অন্যের মতামত সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরাই আমার দায়িত্ব।’ সম্পাদক সাহেব হেসে বললেন , ’আমাকেও লন্ডনের এক টিভি সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছে তারেক জিয়ার মুক্তিতে আমার কেমন লাগছে ? আমিও তোমার মতো চমকে গিয়েছিলাম,তাই তোমার সাথেএ একটু মজা করলাম।’

এই অবস্থা কিছুদিন পূর্বে আরো ভয়াবহ ছিলো বিলেতের কমিউনিটি সাংবাদিকতায়। চার বছর আগে যখন বিলেতে আসি তখন দেখতাম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হওয়া সব সাংবাদিকের নাম গনহারে পত্রিকার পাতায় লিখা হতো । সাংবাদিকরা এসেছেন সংবাদ সংগ্রহ করতে , তিনি তো সংবাদ হবার কথা না ? কিন্তু এখানে সাংবাদিক সংবাদ ও করতেন এবং নিজেও সংবাদ হতেন ! এখন অবশ্য অবস্থা খানিকটা বদলেছে। বিলেতের বাংলা গনমাধ্যম অনেক শক্তিশালি হয়েছে।

এই উদাহরণ দেওয়ার অর্থ হলো সাংবাদিক হিসাবে আমার কতটুকু সীমাবদ্ধতা আছে সেটি সম্পর্কে সচেতন হওয়া, সেই সাথে একজন সম্পাদক নিজের আবেগকে কতটুকু প্রশ্রয় দেবেন সে সম্পর্কে আলোচনা করা। প্রশ্ন আসতে পারে আমাদের সময়কেই আমি কেন বেছে নিলাম ? আমাদের সময়ের কিছূ সম্পাদকীয় রীতি আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না বলেই বিষয়টি নিয়ে সরাসরি লিখবার তাগিদ অনুভব করছি। নাঈমুল ইসলাম খান আমার অনেক শ্রদ্ধেয় , সেই সাথে সাহসী সাংবাদিক ,প্রায় প্রতিদিন তিনি বড় বড় শিরোনামে নানান মন্তব্য প্রতিবেদন লিখে থাকেন , সেগুলো আমাদের সময়ের প্রধাণ শিরোনাম হয়। আমি খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ি , বলতে দ্বিধা নেই আমি উনার লেখার একজন মুগ্ধ পাঠক। তবে সেই লেখা প্রতিদিন শীর্ষ সংবাদ হিসাবে মেনে নিতে পাঠক হিসাবে আমার বাঁধে! প্রত্রিকার সম্পাদক হলেই সেই মন্তব্য প্রতিবেদন প্রতিদিন প্রধাণ শিরোনামে হতে হবে এমন সম্পাদকীয় নীতি আমাদের সময়ের থেকে থাকলে আমার আপত্তি করার কিছূ নেই। তবে সম্পাদক হিসাবে নিজের পত্রিকায় প্রায় প্রতিদিন প্রধান শিরোনামে চিঠি লিখার আবেগকে অবশ্যই সংযত করা উচিত বলে আমি মনে করি। এটা আমার একান্তই নিজস্ব মতামত।

আমি ১০ সেপ্টেম্বরের আমাদের সময়ের কথা বলছি। ঐদিন পত্রিকায় প্রথম পাতায় সংবাদ ছিলো ২৩ টি, এর মধ্যে দুলাল আহমেদ চৌধুরীর সম্পাদনায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে ৮ টি। শুধু তাই নয়, অনুসন্ধান চালিয়ে দেখলাম শেষ পাতায় ও দুলাল আহমেদ চৌধুরীর সম্পাদনায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে ৬ টি । পুরো কাগজে ঐ সম্পাদকের সম্পাদনায় সংবাদ প্রসব হয়েছে ১৫ টি । ধারণা করছি তিনি সম্পাদকীয় মন্ডলীর কেউ একজন হবেন। যদি তিনি সম্পাদকীয় মন্ডলীর কেউ হয়ে থাকেন তাহলে তার কাজইতো সম্পাদনা করা। প্রতিবেদকের নামের পরে সম্পাদক হিসাবে প্রতি সংবাদের পরে তাঁর নাম প্রকাশের যৌক্তিকতা কতটুকু আমি সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাইনা। শুধু দূলাল আহমেদ চৌধূরীই নন, আমাদের সময়ের প্রায় প্রতিটি সংবাদের শুরুতেই প্রতিবেদকের নাম থাকে এবং শেষে সম্পাদকের নাম জুড়ে দেয়া হয়। জানতে চাইছি এটি কি সম্পাদকীয় নীতি নাকি আমাদের সময় স্টাইল ?
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে পাঁচ লাইনের সংবাদ পরিবেশন করে একজন প্রতিবেদকের নাম ও একজন সম্পাদকের নাম জুড়ে দেয়া কোন ধরণের সম্পাদকীয় সংস্কৃতি এটা আমার কাছে স্পষ্ট নয়।

১০ সেপ্টেম্বর প্রথম পাতায় প্রকাশিত দুটি সংবাদের উদাহরণ দিলে পাঠকের কাছে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হবে। প্রথম সংবাদটিতে ৫ টি বাক্য দ্বিতীয়টিতে ৪ টি বাক্য । এখানেও সংবাদের শুরুতেই প্রতিবেদকের নাম এবং শেষে যথারীতি সম্পাদকের নাম লেখা আছে।

’খালেদা জিয়ার জামিনকে স্বাগত জানিয়েছে আ’লীগ’ শিরোনামে ছাপা হওয়া পাঁচ লাইন বিশিষ্ট প্রতিবেদনটি তৈরী করেছেন শামীম খান এবং সম্পাদনা করেছেন রেজাউল করিম।

একই পাতায় 'যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আঙ্গুলের ছাপ দিতে তারেককে সশরীরে দূতাবাসে যেতে হবে’
শিরোনামে চার লাইনের এই প্রতিবেদনটি লিখেছেন আনোয়ারুল করিম এবং সম্পাদনায় ছিলেন দূলাল আহমেদ চৌধূরী। এভাবে যদি লিখতেই হয় তাহলে জনাব নাঈমুল ইসলাম খান যেহেতু আমাদের সময়ের সম্পাদক তাহলে সবক’টি প্রতিবেদনের নিচে সম্পাদক হিসাবে নাঈমুল ইসলাম খানের নামই লিখা উচিত নয় কি ?

এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা উপলব্দী করছি এই জন্য যে, সাংবাদিকতায় এই সংস্কৃতি চালু করলে একদিন হয়তো প্রতিবেদনের নীচে টাইপিস্ট, গ্রফিক্স ডিজাইনার ও প্রুফ রিডারের নাম প্রকাশের দাবী উঠতে পারে ! কাউকে ছোট করা বা হেয় করার জন্য এই লিখা লিখা হয়নি। কিন্তু চার পাতার খবরের কাগজে একজন সম্পাদকের নাম যখন ১৫ বার লিখা হয় তখন সেই সম্পাদনা পরিষদ সর্ম্পকে মন্তব্য না করে আর থাকা গেলো না । আমাদের সময়ের সম্পাদনা হয়তো শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে !


মন্তব্য

অমিত আহমেদ এর ছবি

আমাদের চার বন্ধুর (আমি ছাড়া সাথে ছিলো দিবালোক চক্রবর্তী, পরাগ দত্ত, হাবিবুর রহমান) করা লিটলম্যাগের কথা মনে পড়ে গেলো। প্রথম সংখ্যায় পাতায় পাতায় আমাদের নাম। সেই দেখে আরিফ ভাই আমাদের ধরে দিলো - একে তো বাংলা পত্রিকার নাম রাখছো Y2K আবার নিজেদের নাম দিয়া ভরায় রাখছো। দেঁতো হাসি আহারে, আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

রণদীপম বসু এর ছবি

হা হা হা হা ! চলুক

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

আরিফ জেবতিক অফলাইন এর ছবি

এইটা ঐ সম্পাদনা না , এটা হচ্ছে প্রুফ রিডার ।
যে প্রুফ দেখে তার নাম খবরের সাথে দেয়ার কারন বোধহয় ভুলত্রুটি হলে পরে চিহ্নিত করতে পারা ।

আমার কাছে এটার কোন যৌক্তিকতা আছে বলে মনে হয় নি ।
তবে নাঈম ভাইয়ের কাজই হচ্ছে উদ্ভট কিছু করে চমক দেয়ার চেষ্টা ।

তানবীরা এর ছবি

তবে নাঈম ভাইয়ের কাজই হচ্ছে উদ্ভট কিছু করে চমক দেয়ার চেষ্টা

কথা এইটাই

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

এইটা হইলো উগ্রবাদীদের হাত থেকে বাঁচার জন্য সম্পাদকের ঢাল। যখন কোন খবর/কার্টুন নিয়া ক্যাচাল লাগবে, মূল সম্পাদক (নাঈমুল) বলতে পারবে সম্পাদনা তো আমি করিনাই, করছে অমুকে চোখ টিপি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

পলাশ দত্ত এর ছবি

এভাবে যদি লিখতেই হয় তাহলে জনাব নাঈমুল ইসলাম খান যেহেতু আমাদের সময়ের সম্পাদক তাহলে সবক’টি প্রতিবেদনের নিচে সম্পাদক হিসাবে নাঈমুল ইসলাম খানের নামই লিখা উচিত নয় কি ?

কে যেনো কী না করে? নাঈমুল সাহেব এরকম করবেনই। এটা তার নতুন কিছু করার দৃষ্টান্ত বোধহয় (যেমন বলেছেন তানবীরা)।

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

---
_________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি একই প্রশ্ন নাঈমুল সাহেবের লেখা কেন সবসময় শিরোনাম হবে? আর তিনি তো দুইটা তিনটার কম একদিনও লেখেননা। আমার কাছে ব্যাপারটা মাঝে মাঝে বিরক্ত লাগে। ধন্যবাদ লেখককে। আশা করি আমাদের সময় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি লক্ষ্য করবেন।

পুতুল এর ছবি

লন্ডন থেকে প্রকাশিত পত্রিকায় একবার পড়েছিলাম টমেটোর ভেতর আল্লাহু লেখা আছে। কপালগুনে সে সব টমেটো কেবল লন্ডনেই হয়।
অবশ্য সে সংবাদের সম্পাদক বা সাংবাদিক কে সেটা মনে পড়ছে না!
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

আনিস মাহমুদ এর ছবি

চিন্তার বিষয়!

.......................................................................................
Simply joking around...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

অফ টপিকেঃ

আমাদের সময়ের দাম ২টাকা। বিজয় স্মরণীর মোড়ে এক হকারকে 'আমাদের সময়' বিক্রি করতে শুনেছি "ঐ ২টাকা, ২টাকা, ঝালমুড়ি ২টাকা, লন ২টাকা"

রূপক কর্মকার এর ছবি

ভবিষ্যতের গবেষকদের জন্য 'আমাদের সময় ও নাঈমুল ইসলাম খান' সন্দর্ভের ভালো বিষয় হবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে একটা কথা না-বলে পারছি না- যে যত সমালোপচনাই করুন, তারাও কাগজটিতে চোখ না-রেখে পারেন না। এখানেই নাঈমুল ইসলাম খানের সার্থকতা। গত শতকের নব্বইয়ের দশকে আজকের কাগজ করে তিনি অলোড়ন তুলেছিলেন। এই শতকে 'আমাদের সময়' করে বিতর্কের তুঙ্গে। পত্রিকাটির পলিসি এবং আজকের নাঈমুল ইসলাম খানকে ভালো জানা যায়, আবু হাসান শাহরিয়ারের প্রতিমিডিয়া সিরিজের সর্বশেষ বই 'যাইত্যাছি যাইত্যাছি কই যাইত্যাছি জানি না' পড়লে। ঐ কাগজে লেখা মন্তব্য গুলোই ছাপা হয়েছে বইটিতে। আবার লেখক অনেক ভিন্নমাত্রাও যুক্ত করেছেন সেখানে। যে-লেখাগুলো নাঈমুল ইসলাম খান ছাপাননি, যুক্ত করেছেন সেগুলোও। আরও যুক্ত করেছেন, পত্রিকাটিতে প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত কিছু পাঠপ্রতিক্রিয়া। বলা বাহুল্য অপ্রকাশিতই বেশি। আর সেখানেই না।ীমুল ইসলাম খানের সব গোমর ফাঁস। সংযোজনী ও বিস্তারে অঅবুহাসান শাহরিয়ারের অনেক নতুন কথাও আছে। তাতে বইটি হয়ে উঠেছে সময়ের একটি অনবদ্য দলিল। সেই সাথে নাঈমুল ইসলাম খানসহ অনেক সুবিধাবাদীরই মুখোশ উন্মোচিত হয়ে গেছে।

না-পড়া থাকলে থার্ড আই ভাইকে বইটি পড়তে বলি। আমি ঢাকার আজিজ মার্কেট থেকে বইটি কিনেছি। প্রকাশক 'ভাষাচিত্র'র অফিসও ঐ মার্কেটের তিন তলায়।
____________________________
বন্ধুত্ব মানেই তুমি বিচ্ছেদের চুক্তি মেনে নিলে
[আবু হাসান শাহরিয়ার]

____________________________
বন্ধুত্ব মানেই তুমি বিচ্ছেদের চুক্তি মেনে নিলে
[আবু হাসান শাহরিয়ার]

থার্ড আই এর ছবি

শুধু মাত্র পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষন করাই পত্রিকার নীতি হতে পারেনা। তার কিছু নিয়ম কানুন থাকা চাই। একদিনে এক সম্পাদকের নাম ১৫ বার ছাপা হওয়া কোন নিয়মের মধ্যে পড়েনা। আবার নাঈমুল ইসলাম খান সাহেব যেসকল লেখা বা মন্তব্য প্রতিবেদন ছাপেন এই খবর শুধু আমাদের সময়ের শিরোনাম হয় অন্যকোন গনমাধ্যমে সেই দিন ঐ সংবাদের কোন ছিটে ফোটাও থাকেনা। তার অর্থ এই নয় জনাব নাঈমুল ইসলাম খানের লেখা সুখপাঠ্য নয় , কিংবা সেই প্রতিবেদন অপ্রয়োজনীয়। নিশ্চই সেই মন্তব্য গুলো অনেক গুরুপূর্ণ এবং বিশ্নেষনাত্নকও বটে , এই এই টাইপ মন্তব্য প্রতিবেদন বরাবরই পাঠককে আকর্ষন করে এই জন্য জনাব নাঈমুল ইসলাম খানকে কৃতৃত্ব দিতেও আমার কার্পণ্য নেই। আপত্তি সেখানেই যদি সেটি হয় প্রধাণ শিরোনাম।

আপনার মন্তব্যের উত্তরে বলবো আমি এই লেখা জনাব নাঈমুল ইসলাম খান সাহেবের আমাদের সময়ে ইমেইল করে পাঠিয়ে ছিলাম। ১০ দিন অপেক্ষা করেছি, তিনি এই লেখা তার পত্রিকায় ছাপাতে সাহস দেখাননি। তাই সচলায়তনে দিয়ে পাঠকদের মতামত জানতে চেয়েছি।

আবু হাসানা শাহরিয়ারের বইয়ের কথা শুনেছি, তথ্যের জন্য ধন্যবাদ।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

রূপক কর্মকার এর ছবি

আপনার এই কথাগুলোর সঙ্গে আমার কোনও দ্বিমত নেই। আপনি যা বলেছেন, আমিও তো তা-ই বলতে চেয়েছি। আবার আপনার লেখাটি তিনি সাহসের অভাবে ছাপাননি, তা-ই বা কী করে জানলেন? অনেক সাহসী লেখাই তার পত্রিকায় যায়, যা তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট। বলুন, আপনার লেখাটি ছাপা হলে তাঁর স্বার্থে আঘাত পড়ত, তাই ছাপাননি। বিজ্ঞাপনি স্বার্থেই তিনি অসংখ্য মন্তব্য প্রতিবেদন লিখেছেন নিজের পত্রিকায়। কিছু কিছু ব্ল্যাকমেলিং পর্যায়ের।

আপনাকেও ধন্যবাদ, পাঠকের মন্তব্যে সাড়া দেওয়ার জন্য।
____________________________
বন্ধুত্ব মানেই তুমি বিচ্ছেদের চুক্তি মেনে নিলে
[আবু হাসান শাহরিয়ার]

____________________________
বন্ধুত্ব মানেই তুমি বিচ্ছেদের চুক্তি মেনে নিলে
[আবু হাসান শাহরিয়ার]

থার্ড আই এর ছবি

আপনার লেখাটি তিনি সাহসের অভাবে ছাপাননি, তা-ই বা কী করে জানলেন? অনেক সাহসী লেখাই তার পত্রিকায় যায়, যা তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট

আমার লেখাটি আমাদের সময় কতৃপক্ষ সাহসের অভাবে ছাপেনি এই বিষয়টি অনুমান নির্ভর মন্তব্য।

বিজ্ঞাপনি স্বার্থেই তিনি অসংখ্য মন্তব্য প্রতিবেদন লিখেছেন নিজের পত্রিকায়। কিছু কিছু ব্ল্যাকমেলিং পর্যায়ের

ধন্যবাদ আপনাকে এই বিষয়টি আলোচনায় নিয়ে আসার জন্য। আমি চাইছিলাম এমন একজন পাঠক যিনি আপনার মতো টু দ্যা পয়েন্টে কথা বলবেন। ইতিপূর্বে যারা মন্তব্য করেছেন প্রায় সকলেই 'ধরি মাছ না ছুঁই পানি'র মতো মন্তব্য করেছেন, ওরে বাপরে.......যদি নাঈম ভাই দেখে ফেলে!! ঠিক সে কারণে পাঠকের মন্তব্যে উত্তর কি দেবো বুঝে উঠতে পারছিলামনা।

আপনার আলোচনা গঠনমূলক বলেই উত্তর দিয়েছি।

যাই হোক যে কথা বলছিলাম, বিজ্ঞাপন নিয়ে আমাদের সময়ে সম্পাদক মহোদয় যে সকল মন্তব্য প্রতিবেদন তাঁর পত্রিকায় ছেপেছেন সেই যুক্তি তথ্য উপাত্ত সত্য হলেও সেটিকে আমি সমর্থণ করবো না। এই লেখা যদি সম্পাদক না লিখে জনাব নাঈমুল ইসলমা খান সাহেবের তথ্য উপাত্তগুলোর উপর ভিত্তি করে যদি তার বিজ্ঞাপন বা বিপনন বিভাগের প্রধান এই প্রতিবেদন লিখতেন তাহলে আমি খুশি হতাম।

অথবা প্রতিবেন না লিখে যাদের কাছ থেকে বিজ্ঞাপন পাচ্ছেননা বলে তিনি মনে করছেন, এই তথ্য উপাত্ত নিয়ে সংশিষ্ট প্রতিষ্টানের মুখোমুখি হওয়া যেত । বা কোন সিনিয়র রির্পোটার অনুসন্ধানি প্রতিবেদন লিখতে পারতেন, সেখানে যদি কোন বৈষম্য হয়ে থাকে সেগুলো নিয়েও খোলা মেলা প্রতিবেদন হতে পারতো। কিন্তু আমাদের সময়ের সম্পাদক মহোদয় সেটি না করে নিজের পত্রিকায় লিখে গেছেন , আমাদের সময় কাটতি বিষয়ক অনবদ্য আলোচনা।

একজন সম্পাদকের কলমে এমন লেখা একজন পাঠক হিসাবে আমি অন্তত মানতে পারিনি।

---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

সুপ্তি এর ছবি

শুধু 'আমাদের সময়ে'র নয়, 'প্রথম আলো'রও একই চরিত্র। ইরাক যুদ্ধে 'সিএনএন' আরও ভয়ঙ্কর চরিত্র নিয়ে মাঠে নেমেছিল। চমস্কি র বই পড়লে বোঝা যায়। অরন্ধতীর বই পড়লেও। এবং আবু হাসান শাহরিয়ারের প্রতিমিডিয়া সিরিজের বইগুলো পড়লে। একটি ভালো লেখা উপহার দেয়ার জন্য থার্ড আইকে ধন্যবাদ।
*******************************
'ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত'
-সুভাষ মুখোপাধ্যায়

*******************************
'ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত'
-সুভাষ মুখোপাধ্যায়

থার্ড আই এর ছবি

আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার লেখায় ও মনে হচ্ছে আগুন আছে, লিখুননা চমেস্কি কিংবা অরুন্ধতীকে নিয়ে।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।