টুকরো টুকরো লেখা ৫

সুমন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুমন চৌধুরী (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৯/১০/২০০৮ - ১০:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডেয়ার বাডার মাইনহফ কমপ্লেক্স

ভাবছিলাম খুব মন খারাপ করা একটা পোস্ট ছাড়ুম। কিন্তু বঙ্গপুঙ্গবের দল সেই চান্স দিলো না। তখনো রান বাকি গোটাকুড়ি। ঘরের মধ্যে নাচলাম কতক্ষণ। পাশের ঘর থিকা গালিভারনী গলা হ্যাকরানি মারে। কিন্তু তখন ওকে শোনার টাইম নাই। হঠাৎ আয়নার মুখে পড়তে মন আবার খারাপ হতে ধরলেও ঠিক তক্ষনই সাকিব মিয়া উইনিং রান নিয়া আমার নাচের গতি বাড়াইয়া দিলো।

১.

ঘটনাটা শোকেরই। চারবছর লালন পালন কইরা তার লাশ টুকরিতে ফিক্কা ফালানোর মতো শোক আর দুনিয়ায় কয়টা আছে?

আমি আর নাই সে আমি।

মাথাটা ফুঁ দিয়া ফুলানো প্লাস্টিক বলের মতো লাগে। আয়নার দিকে চাইলে এক বিপর্যস্ত কাকতাড়ুয়ারে দেখতে পাই। কাকহাসুয়াও বলা যাইতারে। মনে হয় ডজন খানেক কাক আমার আড়াআড়ি সমান্তরালে বইসা গত আড়াই ঘন্টা যাবৎ বি-ফ্ল্যাটে কোরাসে হাসতেছে। কোন রকম তাল কাটাকাটি নাই।

২০০৪ সালের ৮ আগস্ট সকাল এগারোটার দিকে শেষ বার। তারপর এই চাইরবছর দুইমাস একদিন ধইরা বড় করা চুল কোরবানি দিলাম ঠিক বাংলাদেশ যখন একটু একটু কইরা রানরেট বাড়াইতেছে তখন। আসার সময় পকেট থিকা হেয়ার ব্যান্ড বাইর কইরা ডাস্টবীনে ফালাইলাম।

একটা যূগ শেষ হইলো। আবার কবে এমন ঝুটি বান্তারুম বা আদৌ পারুম কীনা ইবলিসেও জানে না।

২.

গত পৌনে তিন সপ্তাহে গোটা তিন জার্মান ছবি দেখলাম। তিনটা তিন মেজাজের ছবি। আমি বরাবরই জার্মান ছবির ভক্ত। তবে যেগুলি ছবি ওরা হলিউডের নকল কইরা বানাইতে গিয়া ধরা খায় সেগুলি না। যেগুলি ছবি হাউস ফুল চলে ছোট ছোট অডিটোরিয়ামে, সেগুলি। দু:খজনকভাবে সেগুলি দেখতে গেলে একইসাথে জার্মান ভাষা জানতে হয় আর রুচি খানিকটা ভালো হইতে হয়। এইখানে রুচি ভালো হওয়া বলতে রাজনৈতিক আর সাংস্কৃতিক ইতিহাসের কিছু প্রাইমারি ধারনা থাকারে বুঝাইছি। আর একটা ব্যারিয়ার আছে। সেইটা হইলো মিইউমজা অর্থাৎমিলিটারি-ইউনুস-মজহার-জামাতের ভক্তরা কোনদিনই আমার সাথে তাদের ফিলিমের টেস্ট মিলাইতে পারবে না। প্রতিটা লোকেরই সীমাবদ্ধতা থাকে। আমারো আছে। আর সেইখানে আমি মৌলিক ঘাউড়া। যেহেতু এই বিষয়ে আমার মতের বাইরের পাবলিকে ঘাউ ঘাউ করলে আমি চুপ থাকি, সুতরাং এই পয়েন্টে আমারে এলিটিস্ট বলার তেমন চান্স আছে বইলা মনে করি না। আমি মনে করি একজনের জেমস বন্ড দেইখা আনন্দিত হওয়ার অধিকার যতটুকু , জেমস বন্ডরে প্রতিক্রিয়াশীল প্রোপাগান্ডা বলার অধিকার আমার ঠিক ততটুকু। কেউ র্যাম্বো দেইখা মজা পায় কেউ ফুল মেটাল জ্যাকেট দেইখা মজা পায়। এইখানে আসলে ডাইভারসিটি মাইনা নেওয়াই উত্তম। পাশাপাশি আবার রাজনীতিতে সব সময় এই ডাইভারসিটি আমি মানি না। কারণ সেইটা হাতে কলমে মাঠে বাস্তবায়িত বা বাস্তবায়নের সাথে কোন না কোন ভাবে জড়িত। সেইখানে যারা র্যাম্বোর রাজনীতি সমর্থন করে তাদের ব্যাপারে আমি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মাথায় পিস্তল ঠেকানোর মতো চিপায় না পড়লে মানি না। কারণ যা ফুল মেটাল জ্যাকেটে দেখানো হইছে সেইটা ইতিহাস। যা র্যাম্বোতে দেখানো হইছে সেইটা মার্কিন রাজনীতির জঘন্য ইতিহাস জালিয়াতী। আমার মতে বৈশ্বিক ছাগলায়ন প্রক্রিয়ার অংশ।

এইবারের কেইস একটু অন্যরকম ছিলো। কাসেলের সবচাইতে বড় বা প্রধান সিনেকমপ্লেক্স সিনেস্টারে জার্মান চলচ্চিত্রের উৎসব শুরু হইছে। একই সাথে আরো কয়েকটা হল থাকলেও সিনেস্টারই এই উৎসবের আসল জায়গা। পুরা হাউসে টোটাল ১৩ টা অডিটোরিয়াম। কোনটাই খুব বড় না। মানে আমাদের মতো রিয়ালস্টলডিসি এই সব নাই। অডিটোরিয়ামের চেহারায়ও কোন আলাদা জেল্লা নাই। কিন্তু কোয়ালিটি বোঝা যায় ছবি শুরু হওয়ার সময়। অসাধারণ সাউন্ড কোয়ালিটি। আমি ভারতেও কিছু হাইফাই হলে ছবি দেখছি। যেগুলার বসার ব্যবস্থার সাথে তুলনা করলে জার্মান সিনেমা হলরে ফকীর মনে হবে। কিন্তু ছবিশুরু হইলে কান ফাইটা যায়। কোন কারণে উপমহাদেশের বাণিজ্যিক হলমালিকদের ধারণা আওয়াজ যত জোরে হবে লোকের কাছে টেকনিক্যাল সাপোর্ট ততবেশী পাওয়া গেছে বইলা বাহবা পাওয়া যাবে। স্বদেশের কথা আর আলাদা কইরা বললাম না। ভুক্তভোগী বোঝেন। জার্মানীতে আসা অব্দি মিউনিখে, গোয়টিঙ্গেনে আর কাসেলে হলে গিয়ে সিনেমা দেখা হয়েছে। সব জায়গাতেই এক অভিজ্ঞতা। প্রতিটা শব্দ স্পষ্ট বোঝা যায়, কিন্তু কানে বাড়ি মারে না। ঠিক যতটুকু দরকার ততটুকু।

অনেক অপ্রাসঙ্গীক কথা বলতেছি। এর কারণ সম্ভবত: এই প্রসঙ্গগুলিতে আমার একান্ত নি:সঙ্গতা। চারবছর হইল প্রায় কাসেলে, এমন কোন বন্ধু পাইলাম না যারে অন্তত প্রস্তাব দেয়া যায় যে চল অমুক ছবিটা দেইখা আসি। এই পর্যন্ত যা দেখা হইছে দুয়েকটা বাদে সবই একা।

৩.
গত মাসের শেষ দিকে মনটন খুব খারাপ। উদ্দেশ্যবিহিন হাঁটতেছিলাম শহরে। সিনেস্টারে গেলাম মুততে। গিয়া দেখি এই চলচ্চিত্র উৎসব শুরুর ঘোষনা। সামনে বিরাট পোস্টার "ডেয়ার বাডার মাইনহফ কমপ্লেক্স" সাথে সাথে দ্বিতীয় চিন্তা না কইরা টিকিট কইটা ফালাইলাম। আন্দ্রেয়াস বাডার আর উলরিখ মাইনহফ নাম দুইটা ঐতিহাসিকভাবে আমার খুব চেনা। ১৯৬৮'র ছাত্র আন্দোলন থিকা শুরু। ১৯৬৯ সালে এসপিডি (Sozial-Demokratische Partei Deutschlands অর্থাৎ Social-Democratic Party of Germany)ক্ষমতায় বসার পর ভিলি ব্রান্ডট্ পলিটিক্সে আন্দোলন ঝিমাইয়া পড়ে। সেই সময়কার অ্যাক্টিভিস্টদের একটা অংশ তখন সারেন্ডার না কইরা সশস্ত্র বিপ্লবের লাইন নেয়। এদের নাম ছিল "রেড আর্মি ফ্র্যাকশান"(RAF). স্বভাবতই এরা ব্যর্থ হয়। যেই কারণে নকশাল আন্দোলন ব্যর্থ হয় মোটামুটি সেই একই কারণে এরা ধরা খায়। কিন্তু একটা সময়রে একটা প্রজন্মরে ঝাঁকি দিয়া এরা অন্নপ্রাশনের ভাতশুদ্ধা নাড়া দিতে পারছিল। এদের সমর্থক যাতে না বাড়ে সেই জন্য পুরা সত্তর দশক ধইরা জার্মানী আর ফ্রান্সে মধ্যপন্থী "প্রগতিশীল"রা পুঁজিবাদের সাথে দৃশ্যত: অসামঞ্জস্যপুর্ণ অনেকগুলি আইন করতে বাধ্য হইছিল। এদের সাথে মতৈক্যে যাওয়া না যাওয়া তর্ক সাপেক্ষ বিষয় কিন্তু ইতিহাসে এদের অবস্থান অস্বীকার করা এক ধরণের জালিয়াতীই।

ছবি শুরু হইছে ১৯৬৮ তে ইরানের তখনকার শাহ রেজা খান পাহলভীর ড্রইংরূম বিলাসীনি বৌয়ের পশ্চিম বার্লিন সফর দিয়া। বামপন্থী ছাত্রদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে গুলি চালালে নিহত হন বেনো ওনেযর্গ নামে এক ছাত্র।

এই ঘটনা ১৯৬৮র ছাত্র আন্দোলনরে রীতিমতো এপিকের পর্যায়ে নিয়া যায় জার্মানীতে। তারপর ধারাবাহিক ভাবে ইতিহাস অনুসরণ করতে করতে একেবারে ১৯৭৭ সালে জেলের ভিতর RAF নেতাদের আত্মহনন পর্যন্ত। কোন মন্তব্য নাই। কোন উপদেশ নাই। শুধু ইতিহাস। লাশগুলি বাস্তবে ঠিক যেইভাবে পইড়া ছিল, স্ক্রীনেও ঠিক তাই দেখা গেল। তারপর বব ডিলানের Blowin' in the windদিয়া শেষ।

দুর্দান্ত স্ক্রিন প্লে। অসাধারণ অভিনয়। মার্টিনা গেডেক, ইয়োহানা ভোকালেক আর মরিৎস ব্লাইবট্রয় লাজওয়াব ছিলেন। সেই সাথে বাকি যাদের নাম জানিনা তারাও।

পুরা ফিলিমের লিঙ্ক দিলাম। যারা জার্মান জানেন তারা দেখতারেন

৪.

ছবি দেখে বাড়ি ফেরার সময় অনেক কথা মনে হচ্ছিল। রাজনৈতিক ইতিহাস নিয়ে নগ্ন মিথ্যাচার করা সিনেমা বানাতে হলিউডিবলিউডি ধোনকুবেররা গত পয়ত্রিশ-চল্লিশ বছর ধরে টনকে টন ডলার ঢেলেছেন। ষাট-সত্তর দশকের সেইসব সাম্রাজ্যবাদবিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরাই আবার পরে পয়সা দিয়ে টিকেট কেটে জেমসবন্ড-র্যাম্বো-ফায়ারফক্সের মতো জঘন্য প্রতিক্রিয়াশীল ফিল্ম গোগ্রাসে গিলেছেন। সাড়ে তিনদশক পেরিয়ে আজকের প্রজন্মের কথাবার্তায় স্পষ্ট বোঝা যায় সাম্রাজ্যবাদ তাঁদের প্রোপাগান্ডায় সফল। বিপরীতের ছবিগুলি অযত্ন আর অনর্থক আঁতলামীতে ভরা। কিউবায়, ভিয়েতনামে আর বাংলাদেশের গণযুদ্ধে অন্তত তাৎক্ষণিক বিজয়ী জনতার বীরত্বগাঁথা কেন্দ্র করে সেভাবে কোন কিছুই হয় নি। এই ব্যাপারে শুধু জনগণ জনগণকে নায়কের ভুমিকায় দেখতে চায়না জাতীয় উত্তরাধুণিক বাখোয়াজ তুলে কিছু মতলববাজ কৌশলে মিথ্যা ইতিহাস হালালের প্রক্রিয়ায় নাম লিখিয়েছেন। অথচ যাদের হাতে বিপরীত সিনেমা নির্মানের অর্থ এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা অন্তত পরবর্তী বছর পনের থেকেছে, তাদের দিক থেকে যে কোন রকম চেষ্টা চালানো হয় নি, এই কথাটা বেমালুম চেপে যাওয়া হয়। সঠিক অর্থে কোন অ্যাকশান ছবি হয়নি মুক্তিযুদ্ধকে ঘিরে। নকশাল আন্দোলন নিয়ে তো দুরস্থান। যদিও ঠিক ঐ সময়টাতে ফ্রান্স-জার্মানীর তুলনায় অনেক অনেক বড় অনেক বেশী র্যাডিক্যাল গণজাগরণ ঘটেছে এশিয়ায় আর দক্ষিণ আমেরিকায়। সেইসব আন্দোলনের বাস্তব সামাজিক ভিত্তি এবং বিপ্লবীদের আত্মদানও ঐসময়কার ফ্রান্স-জার্মানীর ছাত্র আন্দোলনের চাইতে অনেক অনেক বেশী শক্তিশালী।

দীর্ঘশ্বাস ফেলে ঘরে ঢুকি। কেউ না কেউ হয়তো করবে কখনো। কিংবা হয়তো করবে না......


মন্তব্য

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আহারে... বছর চারেক আগে আমারো চুল বড় ছিলো... সেইটা তখন কাটছিলাম... তারপর থেকে আর বড় করা হয় নাই...
তখন কাটার সময় আমার চেয়ে বেশি দুক্ষ পাইছিলো আমার রেগুলার নাপিত। হেয়ারোবিক্সের... সে কোনোভাবেই কাটবো না... এত শখের চুল কাইট্টালাইবেন?
সেদিন এক দৃশ্যের অবতারণা হইছিলো আরকি।
আজ আপনার জন্য খারাপই লাগতেছে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুমন চৌধুরী এর ছবি
তীরন্দাজ এর ছবি

অতি উত্তম লেখা। সাধু সাধু।

আমার মনে হয়, বাডার-মাইনহফ গ্রুপ তাদের কর্মকান্ডে সফল না হলেও (এ ধরণের চরমপন্থী গ্রুপের সফল না হবারই কথা, হলে হয়তো ভালোও হতো না। এদের আসলে কোন সরাসরি প্রয়োগযোগ্য লক্ষ্য থাকে না। কিন্তু মিলিয়ে যাবার আগে তারা যে চিহ্ণ রেখে যায় সমাজে, তা ইতিবাচকই হয়। কিছু কিছু লোককে ভাবতে শেখায়। ), জার্মান যুবক সমাজে এদের একটা অবদান রয়েছে। তাদের প্রভাবেই "আলপারনাটিভ" চিন্তার সুত্রপাত, যা অন্ততপক্ষে কিছু কিছু মানুষকে পুজিবাদী স্বার্থপরতার দিকে সামান্য হলেও সমালোচনামূলক দৃষ্টিতে তাকাতে শেখায়। আটষট্টির দশকে রুডি ডুচকের অবদানও ফেলে দেবার নয়।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

মুজিব মেহদী এর ছবি

চুলওয়ালা ঝুঁটিবাঁধা সুমন চৌধুরী দেখতে কেমন, তা জানার আগেই আপনি চুলগুলো কোরবানী দিয়ে ফেললেন, এটা আমার জন্য বেদনার ঘটনা হয়ে থাকল। আমার নিজেরগুলোও গেল, গেল শেষে আপনারগুলোও। হায়!

মুভি নিয়ে যেসব কথাবার্তা এই পোস্টে বলা হয়েছে তা খুব জরুরি মনে হলো। এই ব্যাপারে বলবার মতো কথা আমার প্রায় নেই। তবু আদ্যোপান্ত মনোযোগ দিয়ে পড়া গেল খুব জরুরি কথা বলেই।
এ ব্যাপারে আপনার দীর্ঘশ্বাস ফেলানো যে সহজে বন্ধ হচ্ছে না, আপনাকে কেবল এটুকু আশ্বস্ত করতে পারি।

'কাকহাসুয়া', 'বৈশ্বিক ছাগলায়ন'-- কথা দুটো প্রয়োগসফল।

................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

যাক, চুল-দাঁড়ি সব শেষ। পোস্টে একখান ফটুক থাকলে ভালৈতো। হাসি

মুভির ব্যাপারে, আমার কাছে গোবিন্দই বেস্ট। প্রধান উদ্দেশ্য বিনোদন, টাইম পাস। হালকা টাইপ হইলে ভালো। গভীর জিনিসের দরকার আছে, শেষ বিচারে হয়তো বেশিই দরকার আছে। তবে তার জন্য স্থির সময়ও হয়তো দরকার। নির্মাতারা ব্যবসায়ের দিকটা বেশি দেখে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

রণদীপম বসু এর ছবি

তাইলে আপনার সেই লম্বাচুলো গগলস মাখানো ডাকাতমার্কা ছবিটা (ফেসবুকে) ইতিহাস হয়ে গেলো !

বাকিগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বুঝতে পারছি। কিন্তু মন্তব্য করার আপাতত মুরোদ নাই। তবে এইসব এপিক কাহিনী নিয়া সার্থক কোনো চলচ্চিত্র আদৌ যে হবে না সেটা এখন বলি কী করে। আগামী দিনের কোন মেধাবী স্রষ্টার জন্য হয়তো আরো বহুকাল অপেক্ষা করতে হবে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমি প্রচুর সিনেমা দেখি। আপনার পোস্টে সিনেমার অনেক কিছু উইঠা আসায় ভাল্লাগলো খুব।
চুল কাটলেন কেন! কাটার আগের আর পরের ছবিসহ, চুল কাটার বিবরণীসহ একটা পোস্ট দেন। দেঁতো হাসি
_______________
বোকা মানুষ মন খারাপ

সুমন চৌধুরী এর ছবি
অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

থেংক্যু বদ্দা, সেইরম সাইট দিসেন একটা হাসি
_______________
বোকা মানুষ মন খারাপ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এক. যে সকল সম্মানিত সচলের চুল ঘার স্পর্শ করে আছে, বিনা বাক্যব্যয়ে তা কেটে ফেলা হউক। উল্লেখ্য মোটারাম চিকনরাম কেউই ছাড় পাবার নয়।

দুই. সিনেমা বানানোর জন্য নজু ভাইকে ধরা যায়। স্ক্রীপ্ট লেখার জন্য লীলেন ভাই। এই কম্বিনেশনে কিছু নামানো যায় কিনা ভেবে দেখেন বদ্দা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নজমুল আলবাব এর ছবি

ঠিকাছে কাইল না হইলে পরশু যামুনে নাপিতের বাড়ি মন খারাপ

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আপনার "‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍টুকরো টুকরো লেখা" সিরিজটার ভক্ত হয়ে পড়েছি।
‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
Life is what happens to you
While you're busy making other plans...
- JOHN LENNON
(আজ তাঁর বয়স হতো ৬৮)

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

রেজওয়ান এর ছবি

আপনার চুলের জন্যে শোক।

লেখাটার জন্যে শুধু ধন্যবাদ দিলে চলবে না। বাডার মাইনহফ কম্প্লেক্স সিনেমা হলে দেখব বলে ঠিক করে রেখেছিলাম। আপনার কল্যানে ওইটা দেখে যখন ঘুমাতে গেলাম তখন দেখি রাত প্রায় সাড়ে চারটা।

রেড আর্মী ফ্যাকশন সম্পর্কে আমার জানার আগ্রহ প্রবল। সম্প্রতি ১৯৭২ সালের মিউনিখ অলিম্পিকে ইজরায়েলী অ্যাথলেটদের অপহরণ আর মৃত্যু নিয়ে স্পিলবার্গের ছবি 'মিউনিখ' দেখে মন ভরে নি। সেখানে রেড আর্মী ফ্যাকশনের সংস্লিষ্টতার কথা ছিল কিন্তু এই এপিসোডটি এখনও খুব স্বচ্ছ নয়। বরং জার্মান টিভির এক ডকুমেন্টারী দেখে ঘটনাটি সম্পর্কে আরও পরিস্কার ধারণা পেয়েছি।

ঢাকায় গ্যোথে ইন্সটিটিউটের কল্যানে যে কটি ভাল সিনেমা দেখার সুযোগ হয়েছিল তার মধ্যে একটি হচ্ছে দা লস্ট হনর অফ ক্যাটারিনা ব্লুম (http://en.wikipedia.org/wiki/The_Lost_Honour_of_Katharina_Blum) যাতে আক্সেল স্প্রিংগারের বিল্ড পত্রিকার মুখোশ (রেড আর্মী ফ্যাকশন ও কমিউনিষ্টদের প্রতি তাদের বিদ্বেষ) উন্মোচন করা হয়েছিল। এর কাহিনীচিত্র হাইনরিশ বোলের এক উপন্যাস থেকে আর পরিচালক ছিলেন ভোলকার স্লোনডর্ফ কাজেই টানটান উত্তেজনার ছবিটি সম্পর্কে বেশী কিছু বলা লাগবে না।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

কাটার আগে আর পরের ছবি দেওয়া বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত ঃ)
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

১. সব সরকারই ছাত্র মারতে পছন্দ করে দেখি!

২. অনেক কষ্টে এই মোল্লার দেশে চুল বড় করসি। এখন দেশে ফিরলে বউয়ের তোপের মুখে সেলুনে গিয়া বইতে হয় কিনা সেই ডরে আছি! দেঁতো হাসি
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

রানা মেহের এর ছবি

ঠিকই বলেছেন
কেউ না কেউ নিশ্চয়ই করবে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।